Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, June 25, 2014

বিজ্ঞানের একটা ভুল আর একটা ঠিক হয় কি করে ? ভুল হলে সমগ্র বিজ্ঞানই ভুল l আর ঠিক হলে সমগ্র বিজ্ঞানই ঠিক !

বিজ্ঞানের একটা ভুল আর একটা ঠিক হয় কি করে ? ভুল হলে সমগ্র বিজ্ঞানই ভুল l আর ঠিক হলে সমগ্র বিজ্ঞানই ঠিক ! এখন আপনি বেছে নিন আপনি কি বিশ্বাস করবেন ! কারণ বিশ্বাস করতে কোনো সত্যের দরকার হয় না ! যা ইচ্ছা বিশ্বাস করা যায় ! আর বিজ্ঞান সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ! এখানে ভুল হবার কোনো সুযোগ নেই ! কারণ যেটা ভুল ও মিথ্যা সেটা বিজ্ঞান বাদ দিয়ে দেয় ! সত্যটাকে গ্রহণ করে ! আর এটাই বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি ! বিবর্তনবাদ সত্য বলেই এটা বিজ্ঞান মেনে নিয়েছে তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে ! আর আপনি এটা বিশ্বাস নাই করতে পারেন তাতে বিজ্ঞানের কিছু যায় আসে না ! বিজ্ঞান চিরকালই সত্য বলে এসেছে আর চিরকালই সত্য বলবে ! এখানে কে মিথ্যা-কাল্পনিক ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাস করবে অথবা সত্যকে ( বিজ্ঞানের জ্ঞান) মেনে নেবে সেটা তার ব্যাপার ! কেও যদি বলে আমি মিথ্যা কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাকেই বিশ্বাস করব যদিও জানি সেটা মিথ্যা; তবে তাকে কে আটকিয়ে রাখবে ! খ্রিস্টানরা ও ইহুদিরা সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণন কে মেনে নিতে পারেনি উপরন্তু বিজ্ঞানীকে মেরে ফেলেছিল সত্য বলার জন্য ! তাতে পৃথিবীর সূর্যের চারপাশে ঘুরা বন্ধ হয়ে যায়নি ! ঠিক তেমনি নব্য আস্তিকরা (অন্ধ আর কল্পনা বিশ্বাসী এবং সত্য বিবর্জিত) বিবর্তন মেনে নিতে পারছে না কারণ এই তত্বটা মিথ্যা ঈশ্বর বিশ্বাসে চরম আঘাত হেনেছে ! আর সেই সব কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকরা এর বিরুদ্ধে রে রে করে উঠেছে ! তাতে কিন্তু সত্যকে ধামা চাপা দিয়ে রাখা যাচ্ছে না ! বরং সত্য বিবর্তনবাদ আরো শক্তিশালী হয়ে প্রমান দিচ্ছে যে এটা কত সত্য (ফসিল ও DNA টেস্ট) ! আর কিছু অন্ধ-কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং ভন্ড আস্তিক বিজ্ঞানের এই সত্যটাকে মেনে নিতে পারছে না ! এর কারণ তারা ধরেই নিয়েছে তাদের কাল্পনিক (এবং মিথ্যা) সৃষ্টি কর্তা একমাত্র সত্য ! তার কথা মিথ্যা হতে পারে না ! কিন্তু তারা একবারের জন্যও ভাবছে না যে তারা কত বড় মিথ্যার মধ্যে আছে ! এর কারণ কিছু ভন্ড মানুষ বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে ! আর এরাই ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ঘৃণার পাত্র হবে সত্যকে না মেনে নিয়ে এর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা ছড়িয়ে দেবার জন্য ! আর আস্তিকগুলোও সত্যের ধার না ধেরে মিথ্যা কথা গুলি বিশ্বাস করছে ! তারা সত্য মিথ্যা যাচাই করে না পর্যন্ত ! আর এই অন্ধ বিশ্বাস থেকেই তারা বিবর্তনবাদের বিরুধিতা করছে ! কিন্তু তারা ভালো করে ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে সব আস্তিকরা যারা বিজ্ঞানের সত্যের বিরুধিতা করেছে তারা বারবার মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে বিজ্ঞানের সত্যের কাছে !
আর এই সব আস্তিকেরা যারা বিবর্তন বাদের বিরুধিতা করছে এরাও ভবিষ্যতে ঘৃণার পাত্র হবে ! তখনও কিন্তু কিছু মানুষ থাকবে যারা মিথ্যা কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করবে ! তারাও এদের মত সত্যের ধার ধারবে না ! বরং তারা তাদের মিথ্যা কুসংস্কারকেই সত্য মনে করবে আর ইতিহাসে ঘৃণার এবং হাসির পাত্র হবে ! এরা কখনোই তাদের অন্ধকার কাল্পনিক জগত থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে না ! আর এজন্যই আজকেন অন্ধ- কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকগুলো তাদের ভ্রান্ত ও মিথ্যা বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে না ! যদি তারা তাদের কল্পনার জগত থেকে বাস্তব জগতে ফিরে আসতে চায় তাহলে তারা বিজ্ঞানের সত্য গুলো জেনে এই মিথ্যা কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে ! কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে সত্য মেনে নিতেই চায় না ! আর সেজন্যই তারা সত্য জেনেও বিবর্তনবাদ মেনে নিতে পারছে না ! বরং মিথ্যা কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে আর মানুষ কে এর বিরুদ্ধে ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে বেড়াচ্ছে !
এরা কখনই নিরপেক্ষ ভাবে বিজ্ঞানের সত্যগুলো জানেনা বা জানতে চায়না ! আর তাই এসব সত্যকে তারা মিথ্যা বলে ধরে নেয় আর কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার অন্ধ বিশ্বাসকে ধরে রাখে ! যে কুসংস্কার থেকে বেরোতে না চায় তাকে কিভাবে মিথ্যা কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাস থেকে বের করে আনা যাবে বলুন !!!!!!!!!??????

No comments:

Post a Comment