Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Monday, March 30, 2015

কেন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয় । (পর্ব ১) সৃষ্টিকর্তার কোন অস্তিত্ব নেই কেন?



আস্তিকদের দাবী বিশ্বজগত, প্রাণীজগত ও জড়জগতকে একজন সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেকিন্তু সেই সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তাকে কেউ সৃষ্টি করেনিকারণ হলো সেই সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করার প্রয়োজন হয়নি কিন্তু বিশ্বজগতের সব কিছুকে সৃষ্টি করার প্রয়োজন হয়েছে
বিশ্বজগতের সব কিছুকে কেন সৃষ্টি করার দরকার পরলো? সৃষ্টি না করলে কি এগুলো থাকতে পারতো না? সৃষ্টি করা ছাড়া কি এদের অস্তিত্ব থাকতো না?
আস্তিকরা এই প্রশ্নের খুব হাস্যকর উত্তর দেয়তারা বলে, সৃষ্টি থাকলে সেই সৃষ্টির অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবেকোন কিছুকে সৃষ্টি করা ছাড়া সেটা অস্তিত্বশীল হতে পারে নাসৃষ্টি থাকলে অবশ্যই সেই সৃষ্ট বস্তু বা উপাদানকে সৃষ্টি হতেই হবেসৃষ্টি করা ছাড়া কোন কিছুই সৃষ্ট হতে পারবে না
কোন অস্তিত্বশীল জিনিসকে কেন সৃষ্টি করতে হবে? সৃষ্টি করা ছাড়া কোন জিনিস চিরকাল থেকে অস্তিত্বশীল থাকতে পারে না কি?
আস্তিকদের উত্তর- না পারে নাকোন কিছুকে অস্তিত্বশীল থাকতে হলে অবশ্যই তাকে সৃষ্টি করতে হবেবিশ্বজগতের সব অস্তিত্বশীল উপাদানই সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেনসে যদি এসব সৃষ্টি না করতো তবে কোন কিছুই থাকতো নাকারণ সৃষ্টি করা ছাড়া কোন কিছু এমনি এমনি সৃষ্টি হতে পারে না

Saturday, March 28, 2015

আল কুরআনঃ ইহা একটি কৌতুক গ্রন্থ, গল্প গ্রন্থ, কবিতা গ্রন্থ, সন্ত্রাসী গ্রন্থ, নাকি কাম গ্রন্থ? (পর্ব ২)


মুসলমানরা দাবী করে থাকে যে, তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআন স্বয়ং আল্লাহ কর্তৃক লিখিত বইআল্লাহ কুরআন লিখে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষন করে রেখেছিল এবং মুহাম্মদের ৪০ বছর পূর্ণ হবার পরে জিব্রাইল ফেরেশতার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে মুহাম্মদের কাছে কুরআনের বাণীগুলো পাঠিয়েছে দীর্ঘ ২৩ বছর যাবতমুহাম্মদ সেই বাণীগুলোকে সবার কাছে বলেছে এবং তারা সেই বাণীগুলো বিভিন্ন জায়গায় (পাথরে, খেজুর পাতায় এবং অন্যান্য জায়গায়) লিখে রেখেছেপরবর্তীতে যথাক্রমে আবু বক্কর ও উসমান কুরআনকে বই আকারে সংরক্ষন করেছিলআবু বক্কর কুরআনের বিভিন্ন খন্ডগুলোকে একত্রিত করে বই আকারে কুরআনকে সংরক্ষিত করেপরবর্তীতে উসমানের সময়ে কুরআন বিকৃত হয়ে যাবার পর কুরআনকে সংশোধন করে পুনরায় সংকলিত করতে হয়উসমান কুরআনকে নতুন করে বই আকারে প্রকাশের সময় কুরআনকে সংশোধন করে নেয়এবং বাকী পূর্ববর্তী সংকলনগুলো এবং বিকৃত কুরআনের অংশগুলোকে ধ্বংস করে দেয়সুতরাং মুসলমানরা যে দাবী করে কুরআন অবিকৃত আছে সেটার কোন ভিত্তি নেইআবু বক্কর কর্তৃক সংকলিত কুরআনের কোন হদিস পাওয়া যায় নাআজ পৃথিবীতে যে কুরআন ছড়িয়ে আছে সেটা উসমান কর্তৃক সংকলিত, সংরক্ষিত এবং সংশোধিত কুরআন

কিন্তু তবুও মুসলমানরা মনে করে কুরআন সম্পূর্ন অবিকৃত আছে এবং কুরআনকে স্বয়ং মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সংরক্ষনের দায়িত্ব নিয়েছে। (ইতিমধ্যে আমরা জেনে গেছি কুরআন সংরক্ষনে আল্লাহ পুরোপুরি ব্যর্থ।)  

মুসলমানদের দাবী যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তবে কুরআনের বাণীগুলো স্বয়ং আল্লাহর এবং বাণীগুলো পুরোপুরি অবিকৃত রয়েছে

অর্থাৎ কুরআনে বলা কথাগুলো, বাক্যগুলো, শব্দগুলো এবং লেখাগুলো স্বয়ং আল্লাহর

এই পর্বগুলোতে পর্যায়ক্রমে কুরআনকে বিশ্লেষণ করে দেখা হবে কুরআন আসলে কার বাণী, কুরআনের কথাগুলো কি রকম, কুরআন কি ধরনের বই? এবং কুরআন কি ঐষী গ্রন্থ নাকী কুরআন একটি কৌতুক গ্রন্থ, গল্প গ্রন্থ, কবিতা গ্রন্থ, সন্ত্রাসী গ্রন্থ, নাকি কাম গ্রন্থ?

 

Thursday, March 26, 2015

কেন আমরা একেকজন একেকটি আলাদা আলাদা স্বত্বা যদিও আমরা একই রকম উপাদান থেকে তৈরী হয়েছি ?


আস্তিকরা বুঝতে পারে না যে, মানুষের আলাদা আলাদা স্বত্বা তৈরী হয় কি করে? তারা ভাবে যেহেতু প্রত্যেকটি মানুষই তৈরী হয় একই রকম পদার্থ থেকে, একই রকম মৌল থেকে এমনকি একই রকম ইলেক্ট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন থেকে, তাই যদি এই সব পদার্থ, মৌল বা কনিকাগুলো থেকেই সব মানুষ তৈরী হয় এবং তাদের মধ্যকার রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলোও একই রকম হয় তাহলে আলাদা আলাদা মানুষ তৈরী হয় কি করে? সব মানুষ একই রকম উপাদান থেকে তৈরী এবং একই রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বেঁচে থাকে; তাহলে কোন উপাদান তাদেরকে আলাদা আলাদা করে দেয়কোন উপাদানের জন্য তারা আলাদা আলাদা স্বত্বা হিসেবে বিরাজ করে?

কথাটি সত্যি যে প্রত্যেকটি মানুষ একই রকম ইলেক্ট্রন, প্রোটন এবং নিউটনের সমন্নয়ে গঠিত একই রকম পদার্থ থেকে উৎপন্ন হয়কিন্তু সেই সব পদার্থের সমন্নয়ে গঠিত মানব দেহটি এক রকম নয়যদিও মানুষের ডিএনএ একই উপাদান দিয়ে তৈরী তবুও সেগুলো সম্পূর্নরুপে এক রকম নয়
প্রত্যেকটি মানুষের ডিএনএ-এর গঠন আলাদা আলাদাডিএনএ কোডিং আলাদা আলাদা হবার কারণে একেক জন মানুষ একেক রকমের হয়এবং ঠিক এই কারণেই একেকজন মানুষের মধ্যে একেক রকমের স্বত্বা তৈরী হয়আমার আপনার ডিএনএ-এর কোডিং-এর জন্য আমাদের কার্যকারিতা আলাদামস্তিষ্কের গঠনে সুক্ষ পার্থক্য আছেঠিক তেমনি একই রকম এনার্জি ব্যবহার করার পরেও আমাদের শরীর একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেআর এই ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়াই একেক রকমের মানব স্বত্বার জন্ম দেয়

Monday, March 23, 2015

ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। জীবন ধারণের যাবতীয় সব সমস্যার সমাধান ইসলামে আছে। সত্যিই কি ইসলাম সব সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে?



ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা নয়ইসলামে সে সব সমস্যার সমাধানই করা আছে যেগুলো সম্পর্কে মুহাম্মদ অবগত ছিলযে সব সমস্যার কথা মুহাম্মদ জানতো না সে সব সমস্যার সমাধান করা আল্লাহর পক্ষেও সম্ভব হয়নিকিন্তু কেন?  

মুসলমানরা দাবী করে থাকে যে, ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থামানব জাতির সব সমস্যার সমাধান ইসলামে করে দিয়েছে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহমুসলমানদের দাবী অনুযায়ী জীবন ধারণের ক্ষেত্রে এমন কোন সমস্যা নেই যার সমাধান ইসলামে নেইএমনকি মানব জাতির জন্য ইসলামের এই বিধান কেয়ামত পর্যন্ত মানুষের সব সমস্যার সমাধান দেবেতাই ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা

কিন্তু মুসলমানদের এই দাবী কি আদৌ সত্য? বাস্তবতা বলে মুসলমানদের এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যেআধুনিক কালে আমরা দেখি জীবনের এমন কিছু সমস্যা আছে যেগুলো ইসলাম দিতে পারেনি এবং পারে নাবরং মুসলমানদেরকেই সে সব সমস্যার সমাধান নিজ জ্ঞান বুদ্ধি খাটিয়ে করতে হয় সম্পূর্ণ শরীয়তের বাইরে যেয়েযে সব সমস্যার সমাধান কুরআন হাদিসে পাওয়া যায় না সেসব সমস্যার সংখ্যা অগনিত

Saturday, March 21, 2015

ধর্ম বা প্রার্থনা ধর্ম (Religion) আর বাস্তবতা এক নয় । (পর্ব ৩) ধর্মের ধ্যান ধারণা এবং বাস্তবতা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।



ধর্ম আর বাস্তবতা এক নয়ধর্ম হলো বাস্তবতা বহির্ভুত কাল্পনিক ধ্যান ধারণা এবং বিশ্বাসের সামষ্টিক রুপতাই ধর্ম এবং বাস্তবতা পরস্পর সাংঘর্ষিকধর্ম যা কিছুকে সত্য বলে মনে করে বাস্তবে সেসবই মিথ্যা ও কল্পনা মাত্রআবার ধর্ম যেসব কাজ ভালো মনে করে সেগুলো আসলে বাস্তবের ভালোর সাথে মিল নেইফলে ধর্মের সাথে বাস্তবতার সংঘর্ষ প্রাচীণকাল থেকেই চলে আসছেধর্মের মূল ভিত্তি হলো কল্পনাকিন্তু বাস্তবতায় কল্পনার কোন স্থান নেইতাই ধর্ম এবং বাস্তবতা কখনই এক হতে পারে না

ধর্ম বলে আত্মা বলে অমর এক স্বত্বা আছে যা জীব দেহে উপস্থিত থাকে বলে জীবের প্রাণ থাকে বা জীব জীবিত থাকেকিন্তু বাস্তব জ্ঞান তথা বিজ্ঞান বলে আত্মা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেইজীব বেঁচে থাকে যতক্ষন জীব দেহে রাসায়নিক ক্রিয়া স্বক্রিয় থাকেরাসায়নিক ক্রিয়া কোন কারনে বন্ধ হয়ে গেলে সেই জীবটি মারা যায়

জীব এবং জড়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হলে আগে জানতে হবে জীব বা জীবন আসলে কি?

জীবের সব চেয়ে ভালো সংজ্ঞাটি হলো-

জীব হলো জৈব রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা তৈরী এমন একটি রাসায়নিক ব্যবস্থা বা সিস্টেম যার অন্তর্বর্তী রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলোকে সেই জৈব রাসায়নিক ব্যবস্থাটি নিজেই নিয়ন্ত্রক করেঅর্থাৎ সেই রাসায়নিক সিস্টেমটি নিজের অভ্যন্তরিন রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো নিজেই নিয়ন্ত্রন করে এবং নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারে

Thursday, March 19, 2015

কুরআনের কারিক্যাচার এবং মুসলমানদের অনুবাদের কারী-ক্যাঁচাল । ১৪০০ বছর পরে কি এমন হলো যে কুরআনের অর্থই বদলে গেল ? (পর্ব ৩) চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো নাকি চাঁদ নিজেই আলো প্রদানকারী, এই নিয়ে মুসলমানদের অনুবাদের কারী-ক্যাঁচাল।


মুসলমানদের দাবী কুরআন আল্লাহ নামের এক আরবীয় সৃষ্টিকর্তার কথা বা বাণীআল্লাহ (মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা) তার কথাগুলোকে জিব্রাইল নামের এক ফেলেশতা বা দেবদুতের মাধ্যমে মুহাম্মদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেজিব্রাইল আল্লাহর কথাগুলো মুহাম্মদের কাছে হুবহু তুলে ধরেছেমুহাম্মদ সেই কথাগুলো তার সাহাবা বা সাথীদেরকে বলেছে এবং সাহাবারা সেই কথাগুলো লিখে রেখেছেপরবর্তীতে সেই কথাগুলোকে বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে যথাক্রমে আবু বক্করের অধীনে এবং উসমানের অধীনেকুরআনের খন্ড খন্ড অংশগুলো বিকৃত হয়ে গেলে ইসলামের তৃতীয় খলিফা (রাজা বা সম্রাট) উসমান নতুন করে কুরআনকে সংকলন এবং সংশোধন করে গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করেছেএভাবেই আজকের দিনের কুরআন সংকলিত ও সংশোধিত হয়েছে
কিন্তু মুসলমানদের দাবী কুরআন অবিকৃত আছে এবং কুরআন সংরক্ষনের দায়িত্বে আছে স্বয়ং আল্লাহতাই কুরআনকে বিকৃত করার সাধ্য কারোরই নেইকিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কুরআনকে বিকৃত করা হয়েছিল এবং উসমান সেই বিকৃত কুরআনের খন্ড খন্ড অংশ থেকে কুরআনকে সংশোধন করেছে এবং তার নিজের মতো করে কুরআনকে সাজিয়েছেএমনকি কুরআনের আগের সংকলন এবং কথিত বিকৃত অংশগুলোকে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছেঅর্থাৎ কুরআনকে আল্লাহ সংরক্ষনে ব্যর্থ হয়েছিল বলে মানুষকেই সেই কুরআনকে সংকলন, সংরক্ষন এবং সংশোধন করতে হয়েছেআল্লাহ কুরআন সংরক্ষনে কোন ভুমিকাই রাখতে পারেনিএকবার কুরআনকে লিখিত আকারে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার পরে এটির বিকৃত হবার সম্ভাবনা আর ছিল নাএটা পৃথিবীর সব গ্রন্থ ও পুস্তকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্যযে অর্থে কুরআন অবিকৃত রয়েছে বলে মুসলমানরা দাবী করে থাকে, ঠিক সেই অর্থে পৃথিবীর তাবৎ গ্রন্থ বা বই অবিকৃত আছেএর জন্য কোন সৃষ্টিকর্তার আমদানী করতে হয়নি

Tuesday, March 17, 2015

বেদঃ এটি একটি ধর্মগ্রন্থ, প্রার্থনা মন্ত্র, কৌতুক গ্রন্থ নাকি অজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের নানা স্তুতি বা কথার সংকলন ? (পর্ব ১)


বেদ হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় গ্রন্থবেদই হলো হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে প্রাচীণতম গ্রন্থবেদে নানা স্তুতি বা প্রার্থনা বাণী সংকলিত হয়েছেবেদকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছেঋগ , সাম, যজুর ও অথর্ব নামেআবার যজুর বেদের ২ টি ভাগ যেমনঃ শুক্ল ও কৃষ্ণকথিত আছে বেদ শ্রী কৃষ্ণ কর্তৃক কংকলিত হয়েছেপ্রকৃতপক্ষে শ্রী কৃষ্ণ বলে আদোও কেউ ছিল কিনা সেটাই বিতর্কিততবে ধনে নেওয়া যায় কৃষ্ণ নামে কেউ একজন বেদকে সংকলিত করেছে

Saturday, March 14, 2015

জাকির নায়েকের মিথ্যাচার এবং প্রতারনা । বিজ্ঞান সম্পর্কে জাকির নায়েকের মিথ্যাবাদীতা এবং প্রতারনা । (পর্ব ৬) সূর্য পরিভ্রমন করে বলতে কুরআন কি বুঝিয়েছে? সূর্যের গ্যালাক্সিকে পরিভ্রমন করা নাকি পৃথিবীকে পরিভ্রমন করা। এটা নিয়ে জাকির নায়েক কেন মিথ্যা কথা বললো?


জাকির নায়েক একজন বিখ্যাত ইসলামী পন্ডিতকিন্তু সে তার বক্তব্যে নানা অসত্য কথা, উদৃতি দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারনা করে থাকেজাকির নায়েকের মিথ্যাবাদিতা এবং প্রতারণা অনেকেই আগে ধরিয়ে দিয়েছে; আমিও এই পর্বগুলোতে জাকির নায়েকের নানা মিথ্যেবাদিতা এবং প্রতারণা ধরিয়ে দিয়েছিএই পর্বটিতেও জাকির নায়েকের একটা মিথ্যাবাদিতা এবং প্রতারণা ধরিয়ে দেবো
জাকির নায়েক তার 'কুরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞান- বিরোধ নাকি সাদৃশ্য' স্বীর্ষক বক্তৃতায় (লেকচারে) সূর্যের এবং চাঁদের পরিভ্রমন বা গতিশীলতা সম্পর্কে নিম্নোক্ত কথাগুলো বলেছে,

"আগেকার দিনে ইউরোপিয়ানরা মনে করতো যে, পৃথিবী এই বিশ্বজগতের কেন্দ্রে একেবারে স্থির হয়ে বসে আছে আর সূর্য সহ অন্য সব গ্রহ নক্ষত্র পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিন করছেএই মতবাদকে বলা হতো থিউরী অফ জিওসেন্ট্রিজম এই মতবাদে বিশ্বাস করতেন টলেমী খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে এবং তার পরবর্তীতে এই মতবাদ টিকে ছিল ১৬০০ শতাব্দি পর্যন্তযতদিন না কোপার নিকাস বললেন যে, পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহ সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিন করছেআর পরবর্তীতে ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে ইউহান্নেস কেপলাম, তিনি তার বই এস্টোনবিয়া নবিয়াতে লিখেছেন যে, এই সৌর জগতে পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহ শুধু সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিন করে না, তারা নিজ অক্ষের চারপাশেও প্রদক্ষিন করে
আমি যখন স্কুলে ছিলাম, তখন পড়েছিলাম যে, পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহ নিজ অক্ষের চারপাশে প্রদক্ষিন করেতখন আমি পড়েছিলাম যে, সূর্য স্থির থাকে, সূর্য তার নিজ অক্ষের চারপাশে প্রদক্ষিন করে না

Friday, March 13, 2015

ধর্মানুভুতি, সেটা আবার কেমন অনুভুতি? ধর্মানুভুতি হলো অদ্ভুত এক অনুভুতি! যা শুধু কোমলমতি ধার্মিকদেরই আছে, পৃথিবীর অন্য কারোরই নেই!


বর্তমান সময়ে ধর্মানুভুতি নামের একটি অনুভুতির আমদানি হয়েছে এবং এই অনুভুতিটিই বর্তমানের সব থেকে আলোচিত এবং সমালোচিত অনুভুতি ধার্মিকরা অনুভুতি বলতে শুধু ধর্মানুভুতিকেই বুঝেআমি আসলে সঠিক ভাবে বুঝি না ধর্মানুভুতিটা আসলে কি ধরনের অনুভুতি? আর এই অনুভুতিটা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বল অনুভুতি কেন সেটাও একটা চিন্তার বিষয়

পৃথিবীতে অনুভুতিতে আঘাতজনীত অনেক জঘন্য কাজ প্রতিনিয়ত ঘটে চলে কিন্তু তাতে কারো অনুভুতিতে আঘাত লাগে নাবোমা মেরে মানুষ মারা, নৃশংসভাবে কাউকে খুন করা এবং ধর্ষনের মতো অমানুবিক অন্যায় করা, এসবের কোনটিতেই কারো কোনরুপ অনুভুতিতে আঘাত লাগে নাশুধু প্রাচীণ মানুষদের দারা তৈরী হওয়া প্রাচীণ কুসংস্কারের বিরোদ্ধে কিছু বললেই একদল মানুষের ধর্মানুভুতি নামের অদ্ভুত অনুভুতিতে আঘাত লাগেকেন এমনটি হয়?

রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রভৃতি মানুষেরা যদি হিন্দু কুসংস্কারের বিরোদ্ধে না দাড়াতো তাহলে সতিদাহ্ প্রথার মতো ভয়ংকর অমানবিক প্রথা কি কখনই রোধ হতো না বিধবা বিবাহের মতো মহৎ কাজ কি সমাজে প্রচলিত হতো না ধর্মীয় কুসংস্কার বদলাতে সেই সময়ের মানুষের তথাকথিত ধর্মানুভুতিতে আঘাত না করা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না

Wednesday, March 11, 2015

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ১০ ) আল্লাহ কি রাত্রিকে সৃষ্টি করেছেন ? কিন্তু রাতের তো কোন অস্তিত্ব নেই তবে কীভাবে তৈরী করলো যার কোন অস্তিত্বই নেই? আল্লাহ কি জানে রাত কি? রাতের অস্তিত্ব আছে কি নেই? যার কোন অস্তিত্বই নেই তাকে কি তৈরী করা যায়?


মুসলমানদের দাবি তাদের ধর্মীয়গ্রন্ত কুরআন-এর কথাগুলো স্বয়ং আল্লাহ লিখেছেঅর্থাৎ কুরআনের বাণী সবগুলোই আল্লাহর বলা বা লেখা বাণী বা কথাকিন্তু যখন আমরা পৃথিবীর সবাই (মুসলমান বাদে) কুরআন পড়ি তখন দেখতে পাই কুরআনে ভূল কথা, ভূল উদৃতি, ভ্রান্ত ধ্যান ধারণা সম্পন্ন বাণী এবং সর্বপরি বিজ্ঞান ও বাস্তবতা বহির্ভুত কথা বার্তাফলে খুব সহজেই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে কুরআন কোন অতিক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তা লিখেনি বরং পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থের মত প্রাচীণ ধ্যান ধারনার মানুষ লিখেছেপৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থ পড়লে যেমন সেই সব ধর্মগ্রন্থ রচয়িতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় ঠিক তেমনি কুরআন পড়লে কুরআন লেখকের ধ্যান ধারনা পাওয়া যায়এবং এটা স্পষ্ট ভাবেই বুঝা যায় যে, কুরআন লেখকের ধ্যান ধারনাগুলো ছিল সেই সময়ের মানুষের সাধারণ চিন্তা ভাবনার প্রতিফলনসেই সময়ের মানুষ যেমনটি চিন্তা করতো, কুরআন লেখকও সেভাবেই চিন্তা করতোআর তাই কুরআনে ঔতিহাসিক ভুল, ভৌগলিক ভূল, এবং বৈজ্ঞানিক ভুলের ছড়াছড়ি দেখতে পাওয়া যায়এমনকি কুরআনের ভাষা গুনও সেই সময়ের মানুষের ভাষার প্রতিফলন
সুতরাং এটা প্রমাণিত যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়পৃথিবীর তাবৎ ধর্মগ্রন্থের মতই কুরআন মানুষের লেখা একটা প্রাচীণ বই
কুরআনের ভুল ইতিপূর্বে অনেকেই দেখিয়েছে, এবং আমিও এই সিরিজের আগের পর্বগুলোতে দেখিয়েছি
এই পর্বে আরো একটি প্রমান উপস্থাপন করছি

বলা হয়ে থাকে কুরআন আল্লাহর কথা বা বাণীর বইকিন্তু আল্লাহ কুরআনে রাত-দিন সম্পর্কে উদ্ভট কিছু কথা বলেছে যার সাথে বাস্তবতার কোন মিলই নেই; উপরন্তু অবাস্তব ধ্যান ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে

Wednesday, March 4, 2015

বাইবেলঃ এটি একটি কৌতুক গ্রন্থ, গল্প গ্রন্থ, সন্ত্রাসী গ্রন্থ, রক্তপিপাসী গ্রন্থ নাকি মিথ্যার সংকলন। (পর্ব ১)



পৃথিবীর তাবৎ ধর্মের মতো খ্রিস্টানরাও নিজেদেরকে সত্য ধর্মের অনুসারী মনে করেআর তারা এটাও বলে যে, যারা খ্রিস্ট ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মকে অনুসরণ করে তারা সরাসরি নরকে যাবে এবং অনন্তকাল ধরে নরকের যন্ত্রনা (অত্যাচার) সহ্য করবেখ্রিস্টানদের ধর্মীয় গ্রন্তের নাম বাইবেলখ্রিস্টানদের দাবী এতে তাদের সৃষ্টিকর্তার (জেহোবা অথবা ফাদার, সান ও হোলি স্পিরিটের ট্রিনিটি গড) বানী অন্তর্ভুক্ত হয়েছেবাইবেলের কথা বা ধারণাগুলো স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্তবাইবেল দুই খন্ডে বিভক্তপুরাতন নিয়ম বা ওল্ড টেস্টামেন্ট হলো মুজেস (ইহুদী নবী ও মুসলমানদের নবী মুসা) এর উপর আবর্তিত ওহী গ্রন্থ (যাকে 'তৌরাত'ও বলা হয়)এবং নতুন নিয়ম বা নিউ টেস্টামেন্ট জেসাস ক্রাইস্টের (মুসলমানদের ঈসা নবীর) উপর আবির্ভুত ঔহী গ্রন্থ  (যাকে ইঞ্জীল শরীফও বলা হয়)
বাইবেল যদি সৃষ্টিকর্তার বানী সংকলন হয়ে থাকে তবে অবশ্যই বাইবেলের বাণী বা কথাগুলো হবে সত্য ও বাস্তবসম্মতযদি বাইবেলের কথাগুলো ভুল ও পরস্পর বিরোধী হয় তবে এটা সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তার বানী হবে না
এই পর্বগুলোতে বাইবেলকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্লেষণ করা হবেএবং বাইবেলের যাবতীয় ভূল ও পরস্পর বিরোধীতাগুলো উপস্থাপন করা হবে
শুরু করা যাক পুরাতন নিয়ম বা ওল্ড টেস্টামেন্ট-এর প্রথম পুস্তক জেনেসিস থেকে
পুরাতন নিয়ম বা ওল্ড টেস্টামেন্ট-এর প্রথম পুস্তক হলো জেনেসিস বা বিশ্বজগতের সৃষ্টিএটি প্রথমে আলাদা পুস্তক আকারে ছিল এবং পরে বাইবেলের পুরাতন নিয়মের প্রথম পুস্তক হিসেবে যুক্ত হয়েছে  

Monday, March 2, 2015

নিজেদেরকে নিজেরাই শ্রেষ্ট নির্বাচন করার প্রাচীণ বৈশিষ্ট্যই ধর্মীয় বর্বরতা সৃষ্টি করেছে।


পৃথিবী আমাদের সবারএখানে সবারই সমান অধিকার নিয়ে বাঁচার অধিকার আছেমানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে বনের সাধারণ পশু থেকে আসা এক সাধারণ প্রাণী মাত্রকিন্তু মানুষ বনের এক সাধারণ পশু থেকে আজকের আধুনিক সভ্য মানুষে উন্নিত হতে পেরেছেতৈরী করতে পেরেছে একটি সভ্য সভ্যতামানুষ তার মানবতার জন্য শ্রেষ্ট; মনুষ্যত্ত্বের জন্যই সে মানুষ হিসেবে পৃথিবীর বুকে গর্বের সাথে টিকে আছে

পৃথিবীতে মানুষ সহ আরও হাজারও রকমের প্রাণী বাস করেমানুষের যেমন বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে তেমনি অন্য প্রাণীদেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছেকারণ পৃথিবীটা আমাদের সবার
পৃথিবীতে সব মানুষের সমান অধিকার রয়েছেসব মানুষেরই বেঁচে থাকার সমান অধিকার আছে

কিন্তু পৃথিবীতে মানুষরা নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরী করে রেখেছেউঁচুনিচু নানা স্তর সৃষ্টি করেছেসাদা কালো, হিন্দু-খ্রিস্টান-মুসলমান ইত্যাদি নানা স্তরে মানুষ বিভক্তআরও একটা বড় ভেদাভেদ হলে নারী-পুরুষে ভেদাভেদএদের সবাই একদল আরেক দলের চেয়ে নিজেকে শ্রেষ্ট মনে করেকিন্তু শ্রেষ্টত্বের মাপ কাঠি কি নিজের হাতেই যে, যে কেউ নিজেকে শ্রেষ্ট বলে দাবী করতে পারে? নিজে নিজে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নিজেকে শ্রেষ্টত্ব নির্ণয়ে সেটা কি কখনও সঠিক হতে পারে?  বিজয়ী নির্ণয় করতে হলে বিচারকের প্রয়োজন হয়এটাই সত্য, এটাই বাস্তবতা