Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, June 25, 2014

পৃথিবীর কোন শিশুই তার নিজের ধর্ম বেছে নেবার সুযোগ পায় না l

পৃথিবীর কোন শিশুই তার নিজের ধর্ম বেছে নেবার সুযোগ পায় না l পরিবার, এমনকি সমাজ প্রত্যেক শিশুর উপর তাদের ধর্মকে এবং তাদের বিশ্বাসকে শিশুটির উপর চাপিয়ে দেয় l শিশু যখন ধর্ম কি জানে না, তার আগেই তাকে শেখানো হয় সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে ! যুক্তি বুদ্ধি বিচার শক্তি তৈরী হবার আগেই সে তাদের পিতা-মাতার বিশ্বাসকে বিশ্বাস করতে শুরু করে দেয় ! আর তাই শিশুর যুক্তি-বুদ্ধি বা বিচার করার ক্ষমতা তৈরী হবার আগেই সে তার পরিবারের ধর্মকে বিশ্বাস করতে শুরু করে দেয় ! আর সমাজ ও পরিবার মিলে শিশুকে আস্তিকে পরিনত করে ফেলে সে মানুষ হবার পূর্বেই l সে সারা জীবনে তার শৈশবের বিশ্বাসকে (অনেক জ্ঞানী হবার পরেও) আকড়ে ধরে বসে থাকে ! এর থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারে না !
পৃথিবীর কোন শিশুই তার নিজের ধর্মকে বেছে নিতে পারে না ! পরিবার তাদের ধর্ম এবং বিশ্বাস সব শিশুর উপর চাপিয়ে দেয়, যখন শিশু অসহায় অবস্থায় থাকে !
আর এজন্যই পৃথিবীতে আস্তিকে ভর্তি ! হাতে গোনা কয়েকজন সেই শৈশবের মিথ্যা এবং অন্ধ বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে ! তাই পৃথিবীতে নাস্তিকের সংখ্যাটা এত কম l
যদি শিশুকে তার ধর্ম বেছে নেবার সুযোগ করে দেয়া হতো তবে দেখা যেত পৃথিবীতে আস্তিকের সংখ্যা বেশি নাকি নাস্তিকের !?
প্রত্যেক শিশুকে প্রথমে মানুষ হতে দিতে হবে l তার যুক্তি-বুদ্ধি, বিচার করার ক্ষমতা তৈরী হতে দিতে হবে l তাকে সব ধর্ম সম্পর্কে সমান ধারণা দিতে হবে l সব ধর্মের ভালো এবং খারাপ দিক তার কাছে তুলে ধরতে হবে নিরপেক্ষ ভাবে l এবং তারপর তাকে তার ধর্ম বেছে নিতে বলতে হবে l
তবেই মানুষ ধর্ম বিশ্বাসের যে সুযোগ সেটা পাবে l তা না হলে পৃথিবীর কোন মানুষই প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে না l সব মানুষ বর্তমানের মতই অন্ধ-বিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন হবে l
বাস্তবতা দেখেও সে কল্পনার জগত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না যে কল্পনার জগত প্রত্যেক মানুষকে শৈশবে চাপিয়ে দেয়া হয় l

তাই আসুন সকল আস্তিক এবং নাস্তিক-বৃন্দ আমরা আগামী পৃথিবীর কল্যাণের জন্য আমরা আমাদের সন্তানদেরকে তাদের ধর্ম তাদের নিজেদের বেছে নেবার সুযোগ করে দেই l
বিশ্বাস করার মানবিক অধিকার প্রত্যেক মানুষকে দেয়া মানবিকতারই দ্বায়িত্ব l

আসুন আজ থেকে কোন শিশুকে তার যুক্তি-বুদ্ধি, এবং বিচার করার ক্ষমতা তৈরী হবার আগে কোন ধর্মকে তাদের উপর চাপিয়ে দেব না l তাদের যুক্তি-বুদ্ধি এবং বিচার করার ক্ষমতা তৈরী হয়ে গেলে তাদেরকে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে l সব ধর্মের ভালো এবং খারাপ দিক তার কাছে তুলে ধরতে হবে l এবং সবশেষে তাকে তার ধর্ম বেছে নিতে বলা হবে l এবং সে তার ধর্মকে বেছে নিতে যত সময় চায় সেটাও তাকে দিতে হবে l তারপর সে যে ধর্ম বেছে নেবে সেটাই হবে তার প্রকৃত বিশ্বাস l একমাত্র এভাবেই তার বিশ্বাস করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে l
মানুষের; সব মানুষের উচিত শিশুকে তার বিশ্বাস করার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া l

No comments:

Post a Comment