Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, January 13, 2015

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ৭) আকাশ সম্পর্কে কুরআনের অযৌক্তিক, অবাস্তব এবং অবৈজ্ঞানিক কথা বার্তা ।


মুসলমানদের দাবী তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন একটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ কিন্তু কুরআন নানা ভূল এবং মিথ্যা কথায় ভরপুর কুরআনে নানা অবৈজ্ঞানিক তথ্য থাকায় এটা বুঝতে কারোও বাকী থাকে না যে কুরআন কোন অতি ক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ নয় কোন এক স্বাধারণ মানুষের তৈরী করা একটা স্বাধারণ মানের গ্রন্থ ইতিপূর্বে সেটা আমি প্রমাণ করেছি এই পর্বেও আরো একটি প্রমাণ উপস্থাপন করবো
কুরআনে আল্লাহ বলেছে, সুরা বাকারার ২২ নাম্বার আয়াতে,
"যিনি তোমাদের জন্যে যমীনকে শয্যা ও আকাশকে ছাদ স্বরুপ করেছেন এবং যিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেণ, ...."
এই আয়াত অনুযায়ী ভুমি শয্যা, আকাশ ছাদ এবং এই ছাদ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ হয়
আবার সুরা আম্বিয়ার ৩২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে
"এবং আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ;..."
অর্থাৎ আকাশ একটি সুরক্ষিত ছাদ
আল্লাহ যে শুধু একটা সুরক্ষিত ছাদ তৈরী করেছে তাই নয় সে মোট সাতটা ছাদ তৈরী করেছে
সুরা নাবা, আয়াত ১২
"আর নির্মাণ করেছি তোমাদের ওপর সুদৃঢ় সাত আকাশ ।"
সুরা তালাকের ১২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ এবং পৃথিবীও ওগুলোর অনুরোপ ভাবে...."
সুরা নূহ্-এর ১৫ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"তোমরা লক্ষ করনি ? আল্লাহ কিভাবে সাত আসমানকে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন ?"
উপরের আয়াতগুলো থেকে এটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে আকাশ হলো এমন এটা জিনিস যা ছাদের মতো ঘরের ছাদ যেমন মাঝ বরাবর একটু উচু এবং কোণার দিকে বা পাশের দিকে নিচু হয় ঠিক তেমনি আকাশও অনেকটা সে রকম আর আমরা আকাশকে দেখলে দেখতে পাই, আমাদের মাথার উপরের অংশ উচু এবং প্রান্ত বিন্দু বা দিগন্ত রেখায় নিচু অর্থাৎ খালি চোখে আকাশকে দেখলে ঘরের ছাদের মতই মনে হয় এখানে উল্লেখ্য মুহাম্মদের সময় আজকের দিনের মতো বড় বড় এপার্টমেন্ট ছিল না আর তাই ঘরের ছাদ যে সমতলও হয় সেটা তারা জানতো না তারা সব সময় ছাদকে মাঝখানে উঁচু এবং প্রান্ত স্বীমায় নিঁচু বা গম্ভুজ আকৃতির হিসেবেই দেখেছে এবং জেনেছে আর তাই আকাশকে ঘরের ছাদের মতো আকৃতির বলে মনে করেছে আর তাই মুহাম্মদ কুরআনে বার বার বলেছে আকাশ হচ্ছে ছাদের মতো বা ছাদ
আর সেই ছাদের মতো আকাশ কোন নরম বস্তু নয়, আকাশ হচ্ছে সুদৃঢ় অর্থাৎ শক্ত-কঠিন কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী এটা বুঝা যাচ্ছে, আকাশ একটি কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী শক্ত-কঠিন ছাদ আর এটাকে সুদৃঢ় করে অর্থাৎ কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে
আর সাতটা সুদৃঢ় বা শক্ত-কঠিন আকাশকে স্তরে স্তরে স্থাপন করা হয়েছে অর্থাৎ একটার উপর আরেকটা এভাবে স্থাপন করা হয়েছে

কুরআনের সুরা মুলক-এর ০৩ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"তিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাতটি আকাশ দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবে না; আবার তাকিয়ে দেখো, কোন ফাটল দেখতে পাও কি ?"
এই আয়াত অনুযায়ী, আল্লাহ সুদৃঢ় আকাশকে এমন ভাবে সৃষ্টি করেছে যে এতাে কোন ধরনের খুঁত বা ত্রুটি রাখেননি আল্লাহ বলছে এতে কোন ফাটল নেই অর্থাৎ আল্লাহ ধরে নিয়েছে আকাশ সুদৃঢ় এবং শক্ত ও কঠিন পদার্থের তৈরী কিছু (ছাদ) আর এরকম শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী সুদৃঢ় আকাশ আল্লাহ নিখুঁত করে তৈরী করেছে এতো নিখুঁত যে এতে কোন ফাটলও নেই
একই কথা বলা হয়েছে সুরা ক্বাফ-এর ০৬ নাম্বার আয়াতে,
"এরাকি কখনও তাদের ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে না কিভাবে আমি তা তৈরী করেছি ও তাকে সুশোভিত করেছি ? আর তাতে কোন (সূক্ষ্মতম) ফাটলও নেই ।"
অর্থাৎ আকাশ এমন একটা কিছু যার ফাটল বা ছিদ্র থাকা সম্ভব কিন্তু এতে কোন ফাটল বা ছিদ্র নেই খালি চোখে আকাশকে দেখতে সুদৃড় কঠিন ও শক্ত পদার্থের তৈরী কোন ছাদের মতই মনে হয়, যার মধ্যে কোন ফাটল বা ছিদ্র নেই আর তাই কুরআনের আল্লাহ ভেবেছে আকাশ আসলেই কোন একটা ছাদের মতো কিছু এবং শক্ত-কঠিন পদার্থের তৈরী এবং এটাকে সুদৃঢ় ভাবে তৈরী করা হয়েছে এবং এমন নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে যে এতে কোন ফাটল বা ছিদ্রও নেই
কিন্তু বাস্তব জগতে এমন কোন আকাশের অস্তিত্ব নেই

সুরা রাদ, আয়াত ০২,
"আল্লাহই ঊর্ধ্বদেশে আকাশমন্ডলী স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত, তোমরা এটা দেখছো্; অতঃপর তিনি আরশে সমন্নীত হলেন ...."
অর্থাৎ আকাশ এমন একটা জিনিস যেটাকে ছাদ বলা হয়েছে, সেটা ঊর্ধ্বে বা উপরে স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু কোন স্তম্ভ ব্যবহার করা হয়নি অর্থাৎ আল্লাহর কথা মতো আকাশ এমন একটা কিছু যাকে উপরে স্থাপন করতে হলে স্তম্ভ  বা খুঁটির দরকার হয় কিন্তু আল্লাহ নিজ ক্ষমতা বলে আকাশকে স্তম্ভ বা খুটি ছাড়াই স্থাপন করেছে
কুরআনের সুরা আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াতে বলা হযেছে,
"কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, ....."
এই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী এবং আকাশ এক সময় পরস্পরের সাথে মিশে ছিল বা মিলিত অবস্থায় ছিল এবং আল্লাহ পৃথিবী ও আকাশকে পৃথক করে দিয়েছে আর এভাবেই সুরা রাদের ০২ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত আকাশকে ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছে অর্থাৎ পৃথিবী ও আকাশ প্রথমে মিলে থাকলেও পরে আকাশকে পৃথিবী থেকে পৃথক করে ঊর্ধ্বে বা উপরে স্থাপন করা হয়েছে
তার মানে আকাশ হচ্ছে সুদৃঢ় ও শক্ত কঠিন ছাদ এবং একে পৃথিবী থেকে আলাদা করে উপরে স্থাপন করা হয়েছে

কুরআনে আকাশকে যে, কোন এক শক্ত ও কঠিন পদার্থের তৈরী সুদৃঢ় ছাদ বলা হয়েছে সেটা নিচের আয়াতটি পড়লে নিশ্চিত হওয়া যায় সুরা হাজ্জ, আয়াত ৬৫,
".....এবং তিনিই আকাশকে স্থির রাখেন যাতে ওটা পতিত না হয় পৃথিবীর উপর তাঁর অনুমতি ছাড়া ? ...."
অর্থাৎ আল্লাহ যদি শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী সুদৃঢ় ছাদ আকৃতির আকাশকে ঊর্ধ্বে স্থির না রাখতো তবে ওটা পৃথিবীর উপর পড়ে যেতে পারতো কিন্তু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার অপার করুনায় আকাশকে পৃথিবীর উপরে পড়তে দেয় না আর সেই আকাশের সাধ্য নেই যে আল্লাহর অনুমতি ছাড়া পৃথিবীর মাটিতে পড়ে যায় কিন্তু আল্লাহর অনুমতি পাওয়া মাত্রই কেবল সেটা পৃথিবীর উপর পড়বে আকাশ শক্ত কঠিন এবং সুদৃঢ় ছাদ বলে সেটা পৃথিবীতে যে কোন সময় পড়ে যেতে পারে
দেখুন সুরা সাবার ০৯ নাম্বার আয়াতে সেটাই বলা হয়েছে,
"তারা কি তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে, আসমার ও যমীনে যা আছে তার প্রতি লক্ষ্য করে না ? আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকেসহ ভুমি ধ্বসিয়ে দিবো অথবা তাদের উপর আকাশের কোন খন্ডের পতন ঘটাবো, ..."

এতক্ষনে নিশ্চয়ই বুঝা পানির মতো সহজ হয়ে গেছে যে, আকাশ কঠিন পদার্থের তৈরী করাই একটা সুদৃঢ় ছাদ আর সেটা আল্লাহ চাইলেই মাটিতে পড়তে পারে অথবা এর কোন খন্ড মানুষের উপর পড়তে পারে আকাশ শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী না হলে সেটার পক্ষে পৃথিবীতে পড়ে যাওয়া এবং এর কোন খন্ডের পতন ঘটা সম্ভব নয় অতএব এটা নিশ্চিত যে কুরআন আকাশকে শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরীকৃত সুদৃঢ় ছাদ বলেছে

সুরা শূরা'র ০৫ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"আকাশমন্ডলী তার ঊর্ধ্বদেশ হতে ফেটে (ভেঙ্গে) পড়ার উপক্রম হয় এবং ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে এবং জগদ্বাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে । ..."
যদি ফেরেশতারা মানুষের হয়ে প্রার্থনা না করতো তবে উপর থেকে আকাশটা ভেঙ্গেই পড়তো ফেরেশতারা প্রার্থনা করে বলেই আল্লাহ আকাশকে পৃথিবীর উপর ফেলে দেয় না আর তখনই এটা বলা যায় যখন আকাশকে একটি শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী বলে মনে করা হয়
সুরা তূর-এর ৪৪ নাম্বার আয়াতে আছে,
"যদি তারা আকাশের কোন খন্ড ভেঙ্গে পড়তে দেখে, তারা বলেঃ এটা তো এক পুঞ্জীভূত মেঘ ।"
মানুষ যেটাকে মেঘ বলে ভুল করে সেটা আসলে মেঘ নয়, আল্লাহর দাবী অনুযায়ী শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী আকাশের কোন এক খন্ড মানে আকাশ থেকে মাটিতে আকাশের কোন খন্ড ভেঙ্গে পড়ে কিন্তু মানুষ মনে করে এটা বুঝি মেঘ
অর্থাৎ আল্লাহ আকাশকে কঠিন পদার্থের তৈরী বলে দাবী করছে
সুরা বানী ইসরাইল-এর ৯২ আয়াতে আছে,
"অথবা তুমি যেমন বলে থাকো, তদানুযায়ী আকাশকে খন্ড-বিখন্ড করে আমাদের উপর ফেলবে অথবা আল্লাহ ও ফেরেশতাদেরকে আমাদের সামনে উপস্থিত করবে ।"
মুহাম্মদ কাফেরদেরকে সব সময় ভয় দেখাতো যে, আল্লাহকে না মানলে বা ইসলামে না আসলে আল্লাহ তাদের উপর আকাশের খন্ড ফেলে দিতে পারে আবার কিয়ামতের আলামতে মুহাম্মদ বলেছে কিয়ামতের দিন আকাশ খন্ড বিখন্ড হয়ে যাবে আর তাই কাফিররা মুহাম্মদকে তার নবুওতের প্রমান দিতে আকাশকে খন্ড-বিখন্ড করে তাদের উপর ফেলে দিতে বলছে তারা বলছে যদি তুমি সত্যি নবী হয়ে থাকো তবে তুমি যেমনটা দাবী করো ঠিক তেমনি ভাবে আকাশকে খন্ড-বিখন্ড করে আমাদের ওপর ফেলে দাও, না হয় আল্লাহ ও ফেরেশতাদেরকে উপস্থিত কর
এখানেও আকাশকে শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী কিছু, এটাই বুঝানো হয়েছে

এতোক্ষনে এটা স্পষ্টভাবে প্রমানিত হযেছে যে, কুরআনের বর্ণনা মতে আকাশ হচ্ছে কোন শক্ত ও কঠিন পদার্থ দ্বারা তৈরী করা সুদৃঢ় ছাদ এবং এই শক্ত কঠিন পদার্থের ছাদটি এক সময় পৃথিবীর সাথে মিলে ছিল যেটাকে পরে আল্লাহ পৃথিবী থেকে আলাদা করে কোন স্তম্ভ ছাড়াই ঊর্ধ্বে বা উপরে স্থাপন করেছে শক্ত কঠিন ছাদ আকৃতির আকাশটি যে কোন সময় উপর থেকে পৃথিবীতে পড়ে যেতে পারে কিন্তু আল্লাহর রহমতে এটি পড়ে যায় না কিন্তু আল্লাহ চাইলেই আকাশটিকে বা এর কোন খন্ডকে মানুষের উপর ফেলে দিতে পারে কিন্তু তিনি সেটা করে না আবার মাঝে মাঝে আকাশ ফেটে পড়ার উপক্রম হয় কিন্তু ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলে এটি ফেটে বা ভেঙ্গে যায় না
অর্থাৎ মোট কথা আকাশ হচ্ছে শক্ত কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী সুদৃঢ় ছাদ যেটা পৃথিবীর উপরে শুন্যের উপর স্থাপন করা হযেছে

শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরীকৃত সুদৃঢ় আকাশ পৃথিবীর উপরে স্থির থাকলেও কিয়ামতের দিন সেটা কিন্তু স্থির থাকবে না কিয়ামতের দিন আকাশের অবস্থা কেমন হবে সেটা নিচের আয়াতগুলোর সাহায্যে বর্ণনা করা হচ্ছে

সুরা তূর, আয়াত ০৯
"যেদিন আকাশ দুলিত হবে প্রবলভাবে ।"
আকাশ শক্ত কঠিন এবং সুদৃঢ় বলে কিয়ামতের দিন এটি দুলিত হবে
সুরা নাবা, আয়াত ১৯
"আকাশকে খুলে দেয়া হবে, ফলে ওটা হয়ে যাবে বহু দরজা বিশিষ্ট ।"
অর্থাৎ কিয়ামতের দিন আকাশকে খুলে দেয়া হবে এবং ওতে বহু দরজা তৈরী হবে আকাশ শক্ত কঠিন ও সুদৃঢ় হওয়ায়, এটাকে খুলে দেয়া হবে যাতে এর মধ্যে বহু দরজা সৃষ্টি হয়
সুরা মুরসালাত, আয়াত ০৯
"যখন আকাশ চিঁড়ে দেয়া হবে,"
অর্থাৎ আকাশকে কিয়ামতের দিন চিঁড়ে বা ফেঁড়ে দেয়া হবে কারণ আকাশ শক্ত কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী
সুরা হাককাহ্, আয়াত ১৬
"এবং আকাশ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে শক্তিহীন হয়ে পড়বে ।"
আকাশ শক্ত কঠিন পদার্থের বলে এটি কিয়ামতের দিন চূর্ণ বিচূর্ণ হবে এবং উপরে স্থির থাকার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলবে
সুরা রহমান, আয়াত ৩৭
"যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে সেদিন ওটা লাল চামড়ার মত রক্তবর্ণ ধারণ করবে;"
শক্ত কঠিন পদার্থের আকাশটা কিয়ামতের দিন লাল চামড়ার মত লাল হবে
আকাশ যে রক্তবর্ণ ধারন করবে শুধু তাই নয়; এটি রুপার মত গলে যাবে
সুরা মাআরিজ, আয়াত ০৮
"সেদিন আকাশ হবে গলিত রুপার মত,"
বর্তমানের আকাশ শক্ত কঠিন হওয়ায় কিয়ামতের দিন এটি ভেঙ্গে খন্ড খন্ড হবে এবং এটি গলে রুপার মত হবে কিয়ামতের দিন কঠিন আকাশ গলে যাবে
উপরিউক্ত আয়াতগুলো থেকে বুঝা যাচ্ছে কিয়ামতের দিন আকাশ ভেঙ্গে খন্ড-বিখন্ড হবে, চূর্ণ-বিচূর্ণ হবে, এবং এটি গলে যাবে যেভাবে রুপা গলে যায়, আর এটি লাল রং ধারণ করবে কিন্তু বর্তমানে আকাশ শক্ত কঠিন ছাদ হিসেবেই উপরে বা ঊর্ধ্বে স্তম্ভ ছাড়া স্থির হয়ে আছে

সুরা আম্বিয়ার ২১ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে ফেলবো, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর; ...."
অর্থাৎ আকাশ এমন কিছু যাকে গুটিয়ে ফেলা যায় যেভাবে লেখার কাগজ গুটিয়ে ফেলা হয় আল্লাহ এতই শক্তিশালী যে, সে শক্ত কঠিন আকাশকে কাগজের মত গুটিয়ে ফেলবে
সুরা যুমার, আয়াত ৬৭
"তারা আল্লাহর যথাযথ সম্মান করে না সমস্ত পৃথিবী কিয়ামতের দিন থাকবে তার হাতের মুষ্টিতে এবং আকাশমন্ডলী থাকবে ভাজকৃত তার ডান হাতে পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে ।"
আল্লাহ এতই শক্তিশালী যে তিনি কিয়ামতের দিন এক হাতে পৃথিবীকে মুষ্টিবদ্ধ করে রাখবে এবং সমস্ত আকাশগুলোকে ভাজ করে অন্য হাতে রাখবে অর্থাৎ আল্লাহ এতই ক্ষমতাবান যে সে পৃথিবীকে এবং শক্ত কঠিন আকাশকে ভাজ করে হাতের মুঠোর মধ্যে রাখতে পারে
সুরা আরাফ, আয়াত ৪০
"....তাদের জন্য আকাশের দ্বার উন্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতেও প্রবেশ করতে পারবে না,..."
যারা কুরআনকে বিশ্বাস করে না তাদের জন্য আকাশের দরজা খুলে দেয়া হবে না আর আকাশের দরজা খুলে না দিলে তারা শক্ত কঠিন ও সুদৃঢ় আকাশ ভেদ করে জান্নাতে যেতে পারবে না

আকাশে দরজার কথা সুরা নাবার ১৯ নাম্বার আয়াতেও বলা হয়েছে আর দরজার প্রশ্ন তখনই আসবে যখন এটা কোন কঠিন পদার্থের হবে কুরআনের আয়াতগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, আকাশ একটি শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদ আর এই কঠিন ছাদ ভেদ করে বাইরে যাওয়া যায় না যদি মাত্র এর ভিতরে কােন দরজার সৃষ্টি হয় তবেই এই আকাশ ভেদ করে উপরে যাওয়া যাবে মুহাম্মদের মেরাজের গল্পে এরকম আকাশের দরজা ভেদ করে উপরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে আর কুরআনে আকাশের দরজার কথা বলা হয়েছে যে এই দরজা ছাড়া কেই বাইরে যেতে পারবে না
সুরা মুলক, আয়াত ০৫
"আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা (তারকারাজী) দ্বারা এবং ওগুলোকে শয়তানদেরকে প্রহার করার উপকরণ করেছি এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত করেছি জাহান্নামের আযাব ।"
এই আয়াত মতে নিকটতম আকাশ যা আমরা দেখতে পাই সেটাতেই তারকাদেরকে স্থাপন করা হয়েছে আর এই তারকা দিয়ে শয়তানদের শাস্তি দেয়া হয়
সুরা হিজর, আয়াত ১৪-১৮
"যদি তাদের জন্যে আমি আকাশের দুয়ার খুলে দিই এবং তারা সারাদিন তাতে আরোহণ করতে থাকে; তবুও তারা বলবেঃ আমাদের দৃষ্টিভ্রম ঘটানো হয়েছে; না বরং আমারা যাদুগ্রস্থ হয়ে পড়েছি আকাশে আমি নক্ষত্ররাজি সৃষ্টি করেছি এবং ওকে করেছি সুশোভিত দর্শকদের জন্যে প্রত্যেক অভিশপ্ত শয়তান হতে আমি ওকে রক্ষা করে থা্কি আর কেই চুরি করে সংবাদ শুনতে চাইলে ওর পশ্চাদ্বাবন করে প্রদীপ্ত শিখা । "
অর্থৎ আল্লাহ আকাশকে শক্ত করে সৃষ্টি করেছে এবং কেউ এর বাইরে যেতে পারে না এবং তারকাদেরকে শয়তানদের শাস্তি দিতে এবং আকাশের সুন্দর্যের জন্য তৈরী করা হয়েছে শয়তানদের থেকে আকাশকে সুরক্ষা করা হয় যেন শয়তান আকাশের দরজা দিয়ে পালাতে না পারে এবং আকাশের উপরের কোন সংবাদ শুনতে না পারে যদি কেউ চুরি করে শুনতে চায় বা শুনে ফেলে তবে প্রদিপ্ত শিখা বা তারকা তাদের পিছু নেয়

সুরা সাফফাত, আয়াত ৬-১০
""আমি পৃথিবীর আকাশকে নক্ষত্ররাজির শোভা দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে ফলে, তারা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং তাদের প্রতি (জলন্ত তারকা) নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে, বিতাড়নের জন্যে এবং তাদের জন্যে আছে অবিরাম শাস্তি তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তাদের পশ্চাদ্বাবন করে ।"
এই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবীর আকাশকে অর্থাৎ যে আকাশকে আমরা দেখতে পাই সেটাকে তারকা স্থাপন করে, একে সুন্দর করা হয়েছে আর তারকাগুলোকে শয়তানদের শাস্তি দেবার জন্য রাখা হয়েছে কোন শয়তানই শক্ত কঠিন আকাশের উপরের কোন কথা বার্তা বা কোন সংবাদ শুনতে পারে না কিন্তু যদি কোন শয়তার চুরি করে কোন কিছু শুনে ফেলে তবে তাদেরকে ধাওয়া করে তারকাগুলো আর কোন শয়তাদের পক্ষেও সম্ভব হয়না শক্ত কঠিন আকাশকে ভেদ করে উপরে উঠে যাওয়ার

উপরের আকাশ সম্পর্কিত কুরআনের আয়াতের প্রেক্ষিতে এটা স্পষ্ট হয় যে, কুরআনে বর্নিত আকাশের সাথে বাস্তবের আকাশের কোন মিল নেই আমরা জানি যেটাকে আমরা আকাশ হিসেবে দেখি সেটা কোন কঠিন পদার্থের তৈরী নয় এবং শক্ত কঠিন বা সুদৃঢ় কিছু নয় কিন্তু কুরআন আকাশকে শক্ত কঠিন ও সুদৃঢ় ছাদ বলেছে এই আকাশের বর্ননার সাথে আমাদের দৃশ্যমান আকাশের কোন মিলই নেই আকাশ বলতে বাস্তবে কিছুর অস্তিত্ব নেই আমরা যেটাকে আকাশ হিসেবে দেখি সেটা বায়ুমন্ডল আর বায়ুমন্ডল কোন কঠিন পদার্থের তৈরী নয় এবং এটা কোন ছাদও নয় আর বায়ুমন্ডলের বাইরে শুধু শুন্যতা
অর্থাৎ কুরআনের বর্ণনার আকাশ আর বাস্তব জগতের আকাশ এক নয়
তবে কি কুরআন অন্য কোন আকাশের কথা বলছে ? সেই উত্তর দেওয়া আছে কুরআনেই
সুরা বাকারার ২২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"যিনি তোমাদের জন্যে যমীনকে শয্যা ও আকাশকে ছাদ স্বরুপ করেছেন এবং যিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেণ,...."
অর্থাৎ বৃষ্টি হয় আকাশ থেকেই আর সেটা কুরআনের আকাশ
এছাড়াও কুরআনে আকাশ হতে বৃষ্টি হবার কথা বলা হয়েছে নিম্নুক্ত আয়াতগুলোতে -
সুরা যুমার:আয়াত ২১ , সুরা রুম : আয়াত ২৪, সুরা মুমিনুন:আয়াত ১৮, সুরা আল হিজর:আয়াত ২২ , সুরা রাদ; আয়াত ১৭সুরা ফুরকান; আয়াত ৪৮, সুরা জাসিয়া; আয়াত ৫
অর্থাৎ বৃষ্টি বর্ষিত হয় আকাশ থেকে আর এই আকাশ কুরআন বর্ণিত প্রথম আকাশ বা পৃথিবীর আকাশ
আবার কুরআনের সুরা নাহলের ৭৯ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"তারা কি লক্ষ করে না আকাশের শূন্য গর্ভে নিয়ন্ত্রাণাধীন পাখিদের প্রতি ? আল্লাহই এদেরকে স্থির রাখেন;.."
অর্থাৎ পাখিরা যে আকাশে উড়ে বেড়ায় সেটাই কুরআনে বর্ণিত আকাশ বা পৃথিবীর আকাশ
কিন্তু আমাদের আকাশ যেখান থেকে বৃষ্টি হয় এবং পাখিরা উড়ে বেড়ায় সেটা কোন শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী নয় আর এই আকাশে তারকারাজীও নেই অর্থাৎ কুরআন যে আকাশের কথা বলে, যেটাতে তারকা আছে আবার সেখান থেকে বৃষ্টিও হয় আর সেটা শক্ত কঠিন আকাশ, সেটার সাথে বাস্তব আকাশের কোন মিল নেই কুরআন আকাশ সম্পর্কে সম্পূর্ন ভূল এবং কাল্পনিক ব্যাখ্যা দিয়েছে
কুরআনের বর্ণনা মতে আকাশ শক্ত কঠিন যেটা ভেঙ্গে যেতে পারে বা খন্ড খন্ড হতে পারে এমন একটা কিছু, আর একে পৃথিবীর উপরে (ঊর্ধ্বে) স্থাপন করা হয়েছে ছাদ হিসেবে আর এই ছাদের দরজা দিয়ে আকাশের উপরে উঠে যাওয়া যায়
এই আকাশ বাস্তব নয় এটা মুহাম্মদের কল্পনা এবং আকাশ সম্পর্কে মুহাম্মদের ভ্রান্ত ধারণাগুলোই কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে মুহাম্মদের সময় মানুষ ভাবতো আকাশ কোন শক্ত কঠিন ছাদ কারণ আকাশকে দেখতে সে রকমই লাগে সে ভেবেছে আকাশ যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা এটিকে ভেঙ্গে যেতে দেয় না মুহাম্মদ ভেবেছে এই আকাশের দরজা আছে যে দরজা দিয়ে মানুষ মরে যাবার পরে আকাশ পার হয়ে বেহেশতে প্রবেশ করে
আর তাই কুরআনে মুহাম্মদের সেই সব ভ্রান্ত ধারণাগুলোই সে উল্লেখ করেছে
আর তাই আকাশ সম্পর্কিত উল্টা পাল্টা ধারণা এবং কাল্পনিক আকাশের চিত্র তুলে ধরায় এটা স্পষ্ট ভা্বে প্রমান হয় কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক লিখিত নয় এটি মুহাম্মদ নিজে লিখেছে বা তৈরী করেছে আর তাই কুরআনে আকাশ সম্পর্কে অবৈজ্ঞানিক এবং বাস্তবতা বহির্ভুত কথা লেখা আছে

অর্থাৎ কুরআন আল্লাহর বাণী নয় বরং কুরআন মুহাম্মদের নিজের বাণী

19 comments:

  1. হাসি আইলো! কথা ১টাও হয় নাই। প্যারাড্রক্সিক্যাল সাজিদ বইটি নেট থেকে ফ্রি ডাউনলোড করে নিন

    ReplyDelete
    Replies
    1. This comment has been removed by the author.

      Delete
    2. This comment has been removed by the author.

      Delete
    3. নাস্তিকরা অজ্ঞ হয় জানতাম। তাই বলে এতো ...😁😂😂😂😂😁
      Paradoxical Sajid
      এর ৯৮ পৃষ্টায় এই পোস্টের উত্তর আছে ...

      Delete
    4. এদের কাছে আর কিরকম জ্ঞান আশা করা যায় 😂😂

      Delete
  2. খুব সুন্দর ..কোরান পুরো মিথ্যা

    ReplyDelete
  3. রফিকুল আলমেরSeptember 16, 2018 at 9:35 AM

    যারা পথভ্রস্ট তারা সত্য কোনদিন অনুভব ও করতে পারবে না যুক্তি তর্ক তার কাছে তার টায় ঠিক মনে হবে কারণ আল্লাহ সুবহানওয়াতালা তাদের অন্তরে তলা লাগিয়ে দিয়েছেন , আপনার এ বিস্লেষোণ দ্বারা পথভ্রস্ট রা কেই বোঝাতে পড়বেন ॥ হজরত মুহম্মদ (স:) কখোনো মিথ্যা বলেন নি শিশু থেকেই এবং তিঁনি নিজে না খেয়ে অর্ধাহার এ থেকে এবং অনাড়ম্বর জীবন যাপন করেছে্ন তাহলে কেন তিঁনি ঐরকম করলেন ? ? উত্তর খুঁজুন স্পট এ গিয়ে । আল্লাহ সুবহানওয়াতালা চাইলেন আপনাকে হেদায়েত করবেন ॥ আর আপনি যাই করুন দুদিন এঁর জীবন , আর আল্লাহ সুবহানওয়াতালা কে কখনই পরাভূত করতে পারবেন না ।

    ReplyDelete
  4. এখানে নাস্তিকরা যে বোকাচোদা তাই বুঝাযায়

    ReplyDelete
  5. এখানে আকাশ না আকাশ মন্ডলী, আকাশ মন্ডলি অর্থ কি, আকাশে যা আছে সব, যেম গ্রহ সূর্য ছায়াপথ নক্ষএ, আরও যা আছে সব, যদি বলি ক্লাসে ছাএ বললে একজনকে বঝায় আর ছাএ মন্ডলি দ্বারা ক্লাসের সবাইকে বুঝায়, আচ্ছা লুকমানের ১০নং আয়াতে সুরা আম্বিয়া সহ আরও সুরার আয়াত গুলো প্রতৌক টার আরবি শব্দ পরে দেখেন, আচ্ছা সকল গ্রহ সৃর্য চাদ এগুলোর খুটির নামটা আমাকে বলেন,,

    ReplyDelete
  6. মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না। কোরআন ভালো ভাবে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন। (অবশ্য সেটার জন্য বুদ্ধির প্রয়োজন হয়, যেটা কোন নাস্তিকের নেই । আল্লাহ বলেছেন, নাস্তিকের বিবেক চতুষ্পদ প্রানির থেকেও অধম) আর পুরা আয়াত পরবেন। অর্ধেক আয়াত পরলে এমন ভুল ধারনা হবেই। সপ্তম আশমান কি জিনিস এটা ভুঝতে হলে নবিদের জীবন কাহিনি পরতে হবে...

    ReplyDelete
  7. পবিত্র কোরআনে কোন ভুল নাই। ভালো ভাবে গবেষণা করুন সব ঠিক হয়ে যাবে। আর আপনি নাস্তিক তাই আপনার ভুল মনে হচ্ছে

    ReplyDelete
  8. নাস্তিক ভাই ভালো করে পড়ো


    · ” অবিশ্বাসীরা কি চিন্তা করে দেখে না যে,একসময় নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডল ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল,অতঃপর আমি তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম এবং জীবন্ত সবকিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম? তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না?” (সূরা আল-আম্বিয়া;৩০)

    · " তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী; তিনি যখন কিছু করতে চান তখন সেটিকে বলেন: ’হও’, অমনি তা হয়ে যায়। (আলে ইমরান:১১৭)

    এই আয়াতদ্বয় দ্বারা মহাবিশ্ব সৃষ্টির সাধারণ তত্ত্ব প্রকাশ পেয়েছে।Big Bang Theory অনুযায়ী একসময় মহাবিশ্বের সকল বস্তু আড়ষ্ট অবস্থায় ছিল, একটি বিন্দুতে।অতঃপর বিস্ফোরণের মাধ্যমে তা আলাদা হয়ে গেছে।তাছাড়া সমস্ত জীবদেহের ৮০-৮৫%-ই পানি দিয়ে গঠিত।

    · ”অতঃপর তিনি পৃথিবীর দিকে মনোনিবেশ করেন;যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ বিশেষ”(সূরা আল-ফুসসিলাত;৪১)

    এখানে ধুম্রকুঞ্জ বলতে পৃথিবীর আদি অবস্থার কথা বলা হয়েছে।‘ধুম্র’ শব্দের অর্থ-ধোয়া বা গ্যাস।Big Bang Theory অনুযায়ী পৃথিবী একসময় অত্যন্ত উত্তপ্ত,জ্বলন্ত ও গ্যাসের পিণ্ড ছিল।

    · “তিনিই সূর্যকে তেযস্বী করেছেন এবং চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং তার তিথি নির্দিষ্ট করেছেন” (সূরা আল-ইউনূস)

    · “ কত মহান তিনি; যিনি সৃষ্টি করেছেন সৌরজগৎ এবং উহাতে স্থাপন করেছেন সূর্যকে প্রদীপরূপে এবং চন্দ্রকে করেছেন জ্যোতির্ময় ” (সূরা আল-ফুরকানঃ৬১)

    কুরআনে সূর্যকে ‘সিরাজ’ (প্রদীপ) বলা হয়েছে;যা নিজেই আলো উৎপন্ন করতে সক্ষম।চাঁদের আলোকে কুরআনে ‘মুনীর’ বলা হয়েছে।আরবীতে ‘মুনীর‘ অর্থ-অন্য উৎস থেকে গৃহীত আলো’ বা ‘প্রতিফলিত আলো’।

    · ” চন্দ্র ও সূর্য হিসাবমত ঘোরে ”

    (সূরা আর-রহমান)

    মহাকাশবিজ্ঞান অনুযায়ী চাঁদ ২৮ দিন ১২ ঘণ্টায় সমগ্র পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে এবং সূর্য নিজের অক্ষে নিজস্ব গতিতে ঘূর্ণায়মান।সূর্য প্রায় ২৫ দিনে একটি আবর্তন সম্পন্ন করে।তবে পৃথিবীর সাপেক্ষে সূর্যের অবস্থান প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হতে থাকায় আমরা এই আবর্তন বেগের মান পাই ২৮ পার্থিব দিন। দেখা যাচ্ছে, সূর্যের নিজ কক্ষের চারদিকে আবর্তন বেগ খুবই কম, এই ঘূর্ণন বেগ থেকে যে কেন্দ্রাতিগ বলের সৃষ্টি হয় তা সূর্যের পৃষ্ঠ অভিকর্ষের তুলনায় ১৮০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ।

    · “আমি আমার অসীম ক্ষমতাবলে নির্মাণ করেছি মহাসম্প্রসারণশীল মহাকাশ” (সূরা যারিয়াতঃ৬০)

    বিংশ শতাব্দীর প্রাথমিক যুগে রুশ পদার্থবিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্রিডম্যান ও বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জর্জেস লেমেট্রে তাত্ত্বীকভাবে বিশ্লেষণ করে জানান যে মহাকাশ সম্প্রসারিত

    ReplyDelete
    Replies
    1. সুরা হা-মিম সেজদা 9 থেকে 12 নম্বর আয়াত পরেছিস? সুরা আম্বিয়ার 30 আয়াত পরলে সুরা হামিম সেজদা 9 থেকে 12 নম্বর আয়াত পরিস?

      Delete
  9. এই নাস্তিক আপনি যে বার বার পবিত্র কুরআনের আয়াত দিয়ে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে মহান আল্লাহ তাআ'লা আকাশকে শক্ত কঠিন সুদৃঢ় ছাদ বলেছেন। জি হ্যা আমাদের রব আল্লাহ তাআ'লা তার বিশেষ কুদরাতে আকাশকে শক্ত কঠিন এবং সুদৃঢ় ছাদ হিসেবে তৈরি করেছেন। আপনি হয়ত মহাকাশ বলতে শুধু বায়ু এবং মেঘ কেই বুঝেন? মহাকাশে কি কোন কঠিন বস্তু নেই?? গ্রহ,গ্রহাণু,চাঁদ,উল্কা এইসবে কি পাথরের অস্তিত্ব নেই?? মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি তে কি কোন কঠিন পদার্থের অস্তিত্ব নেই?? আপনি আকাশ বলতে শুধুই বায়বীয় পদার্থের সমষ্টি বোঝেন?? মহাকাশে কি কোন কঠিন-শক্ত-সূদৃঢ় বস্তুর অস্তিত্ব নেই? আপনি একটা মূর্খ ছাড়া কিছুই নন।আপনি যেভাবে আমাদের মহান রবকে এবং তার প্রেরিত রাসূল (স) কে নিয়ে মিথ্যাচার করলেন,এটার বিচার স্বয়ং আমাদের রব করবে।তখন আপনার কোন বাপ আপনাকে বাঁচায় সেটা বুঝতে পারবেন। আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ শাস্তি

    ReplyDelete
  10. হায়রে পাগল।তোর মহাকাশ সম্পর্কে আর আধুনিক বিজ্ঞান স্পেস সাইন্স সম্পর্কে কোনো আইডিয়া আছে বলে মনে হয়না।অশিক্ষিত হয়ে এত বড় বিষয় নিয়ে কথা বলতে আইছোস কেন?বেশি বেশি বিজ্ঞান পড় ব্যাটা।কি দুচার আনার শুনা শুনা আকাশ সম্পর্কে দুই চারটা আর্টিকেল পড়ে কুরআনের ভুল ধরতে আইছোস তোর তো বিজ্ঞান সম্পর্কে নূন্যতম কোনো আইডিয়াই নাই রে পাগলা।তোর লেখা পড়ছি আর খালি হাসছি।বেশি বেশি বিজ্ঞান পড়,বেশি বেশি মন দিয়ে চিন্তা ভাবনা কর।

    ReplyDelete
  11. আচ্ছা আপনি এত জ্ঞানী তাহলে বলুন তো আকাশ আসলে কি

    ReplyDelete
  12. যা হোক, আল্লাহ বলতে কী বোঝাচ্ছেন?!

    ReplyDelete
  13. মূর্খ(জাহেল)! যেখানে পবিত্র কুরআনের ভূল খুঁজতে গিয়ে অনেক নাস্তিক আস্তিক হচ্ছে, অনেক কুখ্যাতরা হচ্ছে বিখ্যাত। যেখান বাঘা বাঘা বিজ্ঞানিরা কুরআানের সাথে বিজ্ঞানের শতভাগ মিল দেখতে পেয়ে কুরআনকেই বিজ্ঞানের সেরা গ্রন্থ হিসেবে মেনে নিয়েছে। আর আপনি আসছেন খোরা যুক্তি দিয়ে আল্লাহ, আল্লাহর রাসুল সা. এবং আসমানি কিতাব মহাগ্রন্থ আল কুরআনকে মিথ্যা বলতে!!!..এখন পর্যন্ত আপনি বড়ই অভাগা। দুয়া করি আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুক। ঈমানের ক্লাবে জয়েন্ট করে শান্তির ছায়াতলে শামিল হবার আহবান করছি (ইহকাল + পরকাল)।

    "সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে,,মিথ্যা-তো বিলুপ্তি হবারই কথা"
    -আল কুরআন।

    ReplyDelete
  14. ১ম একটু পড়েই বুঝতে পারছি আপনি কেমন পন্ডিত। কথার কোনো যুক্তি নাই। তাই পুরোটা পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। আল্লাহ হেদায়েত করুক।

    ReplyDelete