Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, April 28, 2015

মানব সভ্যতার অদ্ভুত এক সৃষ্টি, বিশ্বজগতের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা। ভিত্তিহীন কাল্পনিক হলেও মানুষের সব কল্পনার সৃষ্টি থেকে অনেক অনেক শক্তিশালী সৃষ্টি এই কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা। (পর্ব ২) আস্তিকদের খোড়া যুক্তির অযুক্তিকতা, কুযুক্তিকতা বা অপযুক্তিকতার প্রমাণ।


সব কিছুরই একজন সৃষ্টিকর্তা আছেকারণ সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কিছুই নিজে নিজে সৃষ্টি হতে পারে নাতাই এই বিশ্বজগতের অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা আছেকারণ যেহেতু কোন কিছু সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে না তাই এই বিশ্বজগতও কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারবে নাআর তাই অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে যে বিশ্বজগতের সব কিছুকে সৃষ্টি করেছে

আস্তিকরা এই যুক্তিকে সব চেয়ে সঠিক ও সত্য যুক্তি হিসেবে বিশ্বাস করেতাদের কাছে এর উপরে আর কোন যুক্তি হয় নাকিন্তু যুক্তিবাদী মানুষ যখন এই যুক্তিটি নিয়ে ভাবে তখন তারা খুব সহজেই এই যুক্তিটির অসাড়তা ধরে ফেলে
এটি কোন যুক্তি নয়এটি একটি অপযুক্তি বা কুযুক্তিএটাকে ইংরেজীতে বলে আর্গুমেন্ট অফ স্পেসাল প্লিডিংএর বাংলা অনেকটা এরকম, নিজের সুবিধামত যুক্তি

আস্তিকদের যুক্তি হলো কোন কিছুই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া নিজে নিজে সৃষ্টি হতে পারবে নাএই যুক্তিটির অসাড়তা হলো, কোন কিছুই যে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারবে না এটি কোন প্রমাণিত সত্য নয়অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করার জন্য একটি সুবিধাজনক যুক্তি দাড়া করানো হয়েছে যেটা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায়কিন্তু এটি কোন যুক্তি নয় বলে এর অসাড়তা পরিলক্ষিত হয়যেমন- যদি বলা হয়, এই যুক্তি অনুযায়ী যেহেতু কোন কিছুই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে না তাহলে সৃষ্টিকর্তাও কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারবে নাকারণ কোন কিছুই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে নাফলে সেই সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকবে, এবং সেই নতুন সৃষ্টিকর্তারও আরেকজন সৃষ্টিকর্তা থাকবেএভাবে অসীম সংখ্যক সৃষ্টিকর্তা আসবেফলে সৃষ্টিকর্তার ধারণাটি ভিত্তিহীন হয়ে যাবেকারণ তখন প্রত্যেকটি সৃষ্টিকর্তাও একেকটি সৃষ্টি হবে যা সৃষ্টিকর্তার ধারণাকে মিথ্যে করে দেবে

Monday, April 27, 2015

মানব সভ্যতার অদ্ভুত এক সৃষ্টি, বিশ্বজগতের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা। ভিত্তিহীন কাল্পনিক হলেও মানুষের সব কল্পনার সৃষ্টি থেকে অনেক অনেক শক্তিশালী সৃষ্টি এই কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা।


আস্তিকদের অন্ধবিশ্বাস যে এই বিশ্বজগতের একজন সৃষ্টিকর্তা আছেকিন্তু সেই সৃষ্টিকর্তার কোন সৃষ্টিকর্তা নেইআস্তিকরা দাবী করে কোন কিছুই একজন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে নাকিন্তু সেই সৃষ্টিকর্তাটি একজন সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছেকিন্তু যখন তাদেরকে প্রশ্ন করা হয় যে, কেন কোন কিছু সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারবে না, সব কিছুর একজন সৃষ্টিকর্তা থাকলে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি হতে কেন একজন সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন হলো না, তখন আস্তিকরা সঠিক উত্তর দিতে পারে নাতারা কোন যুক্তি ছাড়াই দাবী করে যে সৃষ্টিকর্তার কোন সৃষ্টিকর্তার দরকার হয়নিসৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করার দরকার পড়েনি কারণ সে সব সময়ই ছিলঅর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি হয়নি বলে তার সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই
কিন্তু যখন প্রশ্ন করা হয় যদি সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি না হয়েই বিরাজমান থাকতে পারে তবে বিশ্বজগত কেন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারবে না?
মুলত আস্তিকরা এসব প্রশ্ন শুনলে ভয় পায় এবং আমতা আমতা করতে থাকেকারণ তাদের কাছে এই প্রশ্নগুলোর উপযুক্ত উত্তর জানা নেইতারা বিশ্বজগতের রহস্যের সমাধান করতে  সৃষ্টিকর্তা নামের আরেক মস্ত বড় রহস্য এনে বিশ্বজগতের রহস্যের সমাধান করতে চায়ফলে একটা রহস্যের সমাধান করতে যেয়ে তারা যে বড় আরেকটি রহস্যের আমদানী করে এই ব্যপারটা তারা ধরতে পারে নাতারা ভাবে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে মানুষ সঠিক ভাবে জানতে পারবে না তাই সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে কোন কথা না বলাই ভালোতাই বিশ্বজগতের রহস্যের সমাধান করতে সৃষ্টিকর্তাকে সামনে দাড়া করালেই চলবেকিন্তু সৃষ্টিকর্তার রহস্যের কোন সমাধানের কোন প্রয়োজন নেই

Saturday, April 4, 2015

বিশ্বাসের ভাইরাসের আরেক শিকার, ওয়াশিকুর বাবু! এরপরও ইহা সহী ইসলাম নহে! ইহা বিশ্বাসের ভাইরাসের ফল নহে! সহী ইসলাম শান্তির সাদা পায়রা, বিশ্বাস কোন ভাইরাস নহে!

বিশ্বাসের ভাইরাসের কোন আকার নেই! আছে শুধু ভয়াবহতা! এই ভাইরাস জীবানু ভাইরাসের মতো নয়এটি কম্পিউটার ভাইরাসের মতো অদৃশ্য, কিছু তথ্য বা ইনফরমেশনের সমন্বিত রুপ বা ফলকম্পিউটার ভাইরাস হলো কিছু তথ্য বা সংকেত; যে সংকেতগুলো অন্য কোন সংকেতকে আক্রান্ত করতে পারে ঠিক জীবানু ভাইরাসের মতো করে, সেগুলোই হলো কম্পিউটার ভাইরাসঠিক একই ভাবে কিছু তথ্য বা সংকেত (ভাষা বা শব্দ) যখন মানুষের মনে (মস্তিষ্কে) প্রবেশ করে এবং মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও যুক্তিকে আক্রান্ত করে ঠিক ভাইরাসের মতো, সেরকম তথ্য বা সংকেত বা বিশ্বাসগুলোই হলো বিশ্বাসের ভাইরাস

বিশ্বাস বা অন্ধবিশ্বাসের ভাইরাসগুলো যখন মানুষের মনকে আক্রান্ত করে তখন মানুষটি হয়ে যায় বিশ্বাসের ভাইরাসের গোলামবিশ্বাস বা অন্ধবিশ্বাসগুলো তখন মানুষকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারে এবং করেমানুষ বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে, হয়ে উঠে ভয়ংকর ঠিক যেভাবে ভাইরাস ক্ষতি করে ঠিক সেভাবেইপ্রতিটি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী যেমন অন্য সুস্থ মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে, যেভাবে একটা ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটার অন্য একটা কম্পিউটারকে আক্রান্ত করতে পারে ঠিক সেভাবেই বিশ্বাসের ভাইরাস আক্রান্ত মানুষটিও অন্য সুস্থ মানুষকে আক্রান্ত করতে পারেএর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো সাম্প্রতিক সংঘঠিত হওয়া ওয়াশিকুর বাবুর হত্যাকারী দুজন গ্রেফতার হওয়া আসামী জিকরুল্লাহ এবং  আরিফুল ইসলামএদেরকে বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত করার প্রধান দায়িত্ব পালন করেছে যথাক্রমে জিকরুল্লাহকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকগন এবং আরিফুল ইসলামকে ঢাকার মিরপুরের দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষকগন এবং তাদেরকে হিংস্রতা সম্পন্ন বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত করার জন্য দায়িত্ব পালন করেছে নাম না জানা বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত কিছু মানুষ