Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Monday, September 29, 2014

শুধু কি ইসলামের সমালোচনাই করা হয় ? কিন্তু কেন ?

ধর্ম সমাজের জন্য ক্ষতিকর l নাস্তিকদের উদ্দেশ্য ইসলামকে খাটো করা নয় বরং সব ধর্মের সমালোচনা করা l যাতে করে ধর্মান্ধরা বুঝতে পারে, যে ধর্মের জন্য তারা উগ্রতা দেখাচ্ছে তার কোন ভিত্তিই নেই l ধর্ম দাড়িয়ে আছে মিথ্যের উপরে এই সত্যটি সবাইকে বুঝানো গেলে পৃথিবী থেকে ধর্মীয় উগ্রতা, ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ, ধর্মীয় হত্যাকান্ড এবং ধর্মীয় সমাজ ব্যবস্থার সমস্যাগুলো (যেমন- নারীর মর্যাদা ও অধিকার) সমাজ থেকে দূর করা যাবে l আর এজন্যই নাস্তিকরা সব সময় ধর্মীয় সমালোচনা করে l
এখন যে যে ধর্ম থেকে নাস্তিক হয়েছে সে সে ধর্ম সম্পর্কে জানে বেশি অন্য ধর্ম থেকে (অনেক ক্ষেত্রে অন্য ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানে না) l ফলে তারা ছেড়ে আসা ধর্মটির সমালোচনা করতে পারে সবচেয়ে ভালো ভাবে l
আর এজন্যই যারা মুসলমান ধর্ম থেকে নাস্তিক হয়েছে তারা ইসলাম সম্পর্কে সমালোচনা করে সব থেকে বেশি l আবার যারা হিন্দু ধর্ম থেকে নাস্তিক হয়েছে তারা হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করে বেশি l

Saturday, September 27, 2014

এক যে ছিল স্রষ্টা l

এক যে ছিল স্রষ্টা l সে ছিল খুব ছোট l এবং সে ছিল খুব একা l তার তিন কুলে কেউ ছিল না l সে ছিল খুব দু:খি l একদিন কি মনে করে সে খেলতে বসলো এবং মাটি দিয়ে পুতুল বানাতে থাকলো l পুতুলগুলো ছিল খুব ছোট l আর তাই পুতুলগুলোকে রাখার জন্য ছোট ছোট মার্বেল মানালো যেগুলো ছিল পুতুলগুলোর চেয়ে অনেক বড় l এবং স্রষ্টা পুতুলগুলোকে কি মনে করে ফু দিল l ওমা ওকি, অমনি পুতুলগুলো জীবন্ত হয়ে উঠলো ! দেখেতো স্রষ্টার সেকি হাসি ! চট করে তার মাথায় একটি বুদ্ধি খেলে গেল ! সে পুতুলগুলোকে ওই মার্বেলের উপর ছেড়ে দিল l আর তারপর থেকেই সেই পুতুলগুলো ওই মার্বেলের উপর দিয়ে ছোটাছুটি করে বেড়ায়, মারামারি করে; খুনোখুনি করে ! এক পুতুল আরেক পুতুলকে কষ্ট দেয় l ছেলে পুতুলগুলো মিলে কোন এক অসহায় মেয়ে পুতুলকে ধর্ষণ করে, হত্যা করে l একদল পুতুল আরেক দল পুতুলকে আক্রমন করে এবং হত্যা করে l
আর এসব দেখে উপরে বসে থাকা সেই বাচ্চা স্রষ্টা সেকি হাসি ! হাসতে হাসতে তার পেটে খিল লেগে যায় l কিন্তু কোন পুতুলই স্রষ্টার সেই হাসি শুনতে পায় না এবং তাকে দেখতেও পায় না l কারণ সেই বাচ্চা স্রষ্টার কোন আকৃতি নেই; সে হচ্ছে সম্পূর্ণ নিরাকার !

এস. এম. রায়হান-এর চ্যালেঞ্জের প্রতিউত্তরে পাল্টা চ্যালেঞ্জ !


এস. এম. রায়হান আপনিতো বিবর্তনবাদীদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অনেকগুলো বাচ্চা বাচ্চা মার্কা প্রশ্ন করেছেন এবং দাবি করেছেন এগুলোর উত্তর দেবার l আপনিতো বিবর্তনবাদ মানেন না l ভালো কথা ! আপনি মানেন আদম হওয়া 'টুপ করে ধপাস' তত্ত্ব l সেটাও ভালো কথা l যেকোন কিছু মানার বা বিশ্বাস করার অধিকার আপনার আছে l সেটা কাল্পনিক আল্লাহ হোক অথবা কাল্পনিক ভুত হোক আপনি বিশ্বাস করতে পারেন তাতে কারো কিছু করার নেই l তো আপনি যে বিবর্তনবাদীদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন কিন্তু আপনি কি চিন্তা করে দেখেছেন যদি এই প্রশ্নগুলোই আপনার কাল্পনিক আল্লাহ এবং মিথ্যে আদম হওয়া 'টুপ করে ধ্বপাস' তত্বের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় তবে কিন্তু আপনার কাল্পনিক আল্লাহ আর আদম হাওয়া 'টুপ করে ধ্বপাস' এই দুটোই পালাবার জায়গা পাবে না !
আমি আপনাকে আপনার প্রশ্নের প্রতি উত্তরে আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করব না আপনার কাল্পনিক আল্লাহর ক্ষেত্রে l কিন্তু আপনাকে আদম হাওয়া 'টুপ করে ধ্বপাস' তত্তের প্রমান হিসেবে নিচের প্রশ্নের উত্তর গুলো চাইবো ! আশা করি আপনার কাল্পনিক আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবে !

আপনারা দাবি করেন আদম হাওয়া কে আল্লাহ বেহেস্ত থেকে 'টুপ করে ধ্বপাস' করে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছে l এবং আদম হাওয়ার উচ্চতা ছিল প্রায় ৬০ হাত অর্থাত প্রায় ৯০ ফিট l এবং তারপর থেকে মানুষ ছোট হতে হতে আজকের উচ্চতার মানুষে বিবর্তিত হয়েছে l অর্থাত আপনাদের দাবি ঠিক বিবর্তনবাদের বিপরীত l

মুসলমান আস্তিকদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ :

মুসলমান আস্তিকদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ :

আপনারা বলেন বিবর্তনবাদ মিথ্যে l আদম-হাওয়া 'টুপ করে ধপাস' তত্ত্ব সত্য !
এদিকে বিবর্তনবাদের স্বপক্ষে হাজার হাজার প্রমান পাওয়া গেছে ! তার পরেও আপনাদের ত্যাড়ামী - বিবর্তনবাদ মিথ্যে !
বিজ্ঞানীগণ ফসিল রেকর্ড দেখে এবং ডিএনএ ম্যাচিং দেখে নিশ্চিত হয়েছে বিবর্তনবাদ সত্য ! তার পরেও আপনাদের নানা হেচং বেচং !
আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি ! যদি আপনারা আদমের অর্থাত ৯০ ফুট (বা ৬০ হাত) মানুষের কোন ফসিল আবিষ্কার করতে পারেন এবং সেটা যদি পরীক্ষা করে সত্যি বলে প্রমানিত হয় (কারণ মুসলমানরা ভন্ডামি করেই থাকে ) তবে আমি সাথে সাথে ইসলাম ধর্মে ফিরে যাবো !
এবং বাকি জীবন ইসলামের খেদমত করে কাটিয়ে দেবো !
আছেন কোন সৎ (ভন্ড) মুসলমান আমার চ্যালেন্জটা গ্রহণ করবে ?
আপনাকে শুধু একটা সত্য ফসিল (আদমের) দেখাতে হবে যেটা ৯০ ফুট লম্বা !
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আপনারা সেটা পারবেন না ! কারণ আদম হাওয়া (টুপ করে ধপাস) তত্ত্ব মিথ্যা, আর আপনাদের আল্লাহ তত্ত্বও মিথ্যা ! এজন্যই ৯০ ফুটের কোন ফসিল পাওয়া যাবে না ! এটা আমার চ্যালেঞ্জ সমস্ত মুসলমান জাতির প্রতি !

বিবর্তনবাদ সত্যি নয় ! দেখুন আস্তিকদের আস্তিকতা !!!!


বিবর্তনবাদ সত্যি নয় ! দেখুন আস্তিকদের আস্তিকতা !!!!

এত এত ফসিল আবিষ্কার; এত এত জেনেটিক মিল, এত এত প্রমান বিবর্তনের স্বপক্ষে তবুও কিছু কিছু মানুষ বলেই যাচ্ছে বিবর্তন তত্ত্ব সত্যি নয় !
-কেন ?
-কারণ আল্লাহ বলেছে আদম হাওয়া প্রথম মানুষ; আর আল্লাহ
কখনই মিথ্যে হতে পারে না !
-কেন মিথ্যে হতে পারে না ? আল্লাহ কি আপনার সাথে দেখা করেছে ?
-না !
- তাহলে কি আল্লাহ কোন ম্যাজিক দেখিয়েছে মানে অলৌকিক কিছু !
- না তাও না !
- তাহলে আল্লাহ মিথ্যে হতে পারবে না কেন ? আর আপনারা বিবর্তনকে মিথ্যে বলেন কোন হিসেবে ? এত এত প্রমানের পরেও বিশ্বাস করছেন না কেন ?
- কারণ আল্লাহ বলেছে আদম হওয়া প্রথম মানুষ কিন্তু বিবর্তনবাদ এটাকে মিথ্যা বলে রায় দিয়েছে তাই !
- আদম হওয়া প্রথম মানুষ এর কি কোন প্রমান আছে আপনাদের কাছে ?
-কুরানে বলা হয়েছে এ কথা !
- অন্য কোথাও কি আদম হাওয়ার প্রমান পাওয়া গেছে ?
- না অন্য কোথাও পাওয়া যায় নি !

আস্তিকদের আস্তিকতা ও হাস্যকর দাবি !



মুসলমান আস্তিক : "মানুষ মরে গেলে তার শরীর পচে গলে নষ্ট হয়ে যায় l এটা বৈজ্ঞানিক কথা l তাই হিন্দুরা যে বলে মানুষের পুনর্জন্মের কথা এটা পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা l কিন্তু আল্লাহ কেয়ামতের দিন সব প্রাণীকেই পুনরায় জীবিত করবেন l আল্লাহ সব কিছুই করতে সক্ষম ! "

হিন্দু আস্তিক : "মানুষ মরে গেলে তার শরীর পচে গলে নষ্ট হয়ে যায় l এটাই বৈজ্ঞানিক সত্য ! তাই মুসলমানরা যে বলে মানুষকে কেয়ামতের দিন পুনর্জীবিত করা হবে সেটা পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা l কিন্তু মানুষকে এই জীবনের (মৃত্যুর) পরে নতুন জীবন দেয়া হবে ! মানে মানুষ পুনর্জন্ম লাভ করবে l ভগবান সবকিছুই করতে পারে !""'

নাস্তিক : "বাহ (!) আপনাদের আল্লাহ-ভগবান তো খুব ক্ষমতাবান তারা বিজ্ঞানেরও বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে !!!!!"

মিথ্যা ধর্মগুলো, কাল্পনিক অবতার ও নবী-রাসুল এবং ভিলেন মুহাম্মদ :


পৃথিবীর সব ধর্মই মিথ্যা ! সৃষ্টিকর্তাকে মানুষ সৃষ্টি করেছে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য !
পৃথিবীতে যত দেবদূত এবং অবতার, নবী-রাসুল এসেছে তারা সবাই কাল্পনিক চরিত্র ! সত্যি সত্যি মুসা-ইসা বা রাম-কৃষ্ণ ইত্যাদি চরিত্র পৃথিবীতে সত্যি এসেছিল এরকম কোন ঐতিহাসিক দলিল-প্রমান নেই l এগুলো শুধু গল্প কথকেই স্বীমাবদ্ধ l আর তাই পৃথিবীর মানুষ যখন দেখবে মানুষ মিথ্যা ধর্মগুলোকে তৈরী করেছে এবং ধর্মের নামে অমানবিক এবং নির্মম কাজ ও হত্যাকান্ডগুলো করেছে, মানুষ যুগের পর যুগ ধরে তখন মানুষ ধর্মকে এবং ধর্ম গুরুদেরকে ঘৃনা করবে চিরদিন l আর তাই স্বভাবতই ইসা-মুসা বা রাম-কৃষ্ণ প্রভৃতি কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে ঘৃনা করবে ভবিষ্যতের মানুষ ! তবে মুসা বা মোজেস, ইসা বা জেসাস ক্রাইস্ট, রাম ও কৃষ্ণ এই চরিত্রগুলোকে মানুষ ক্ষমার চোখে দেখবে অথবা এদেরকে ঘৃনা করবে না l এর কারণ হচ্ছে এই চরিত্রগুলো কাল্পনিক এবং এরা কেওই ধর্ম তৈরী করেনি বরং এদের নাম ভাঙিয়ে মানুষ ধর্মের ব্যবসা করেছে যুগ যুগ ধরে ! আর তাই এদেরকে কেউ ঘৃনা করবে না বরং এদেরকে অর্থাত এইসব কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে যারা সৃষ্টি করেছে সেই সব মানুষগুলোকে বা ধর্মগুরুদেরকে মানুষ ঘৃনা করবে চিরদিন l আর তাই ইসা বা জেসাস ক্রাইস্ট, মুসা বা মোজেস, রাম ও কৃষ্ণ তারা মানুষের ঘৃনা থেকে মুক্ত থাকবে তারা কাল্পনিক চরিত্র হবার কারণে !

ইসলাম আসার আগে আইয়ামে জাহিলিয়া এবং ইসলাম আসার পরে সুপার আইয়ামে জাহিলিয়া !!!


ইসলাম আসার আগে আয়ামে জাহিলিয়াতের যুগ মানে অন্ধকারের যুগ ছিল l
আর ইসলাম আসার পরে ফকফকা আলোর যুগের সূচনা হয়েছে l
কি বিশ্বাস করলেন না তো ! তাহলে দেখুন তার কিছু নমুনা !

১. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ বহু বিবাহে লিপ্ত ছিল l অর্থাত একজন মানুষ একসাথে ১০ টা ২০ টা বিয়ে করতো l আবার ইসলাম আসার পরেও মানুষ ৪ টা ১৩ টা বিয়ে করে l কোন পার্থক্য নেই !

২. ইসলামের আগে আরবের মানুষ শিশু বিবাহ এবং শিশু কামের মত জঘন্য কাজ করতো l ইসলাম আসার পরেও আরবের মানুষ শিশু বিবাহ এবং শিশু কামের মত জঘন্য কাজ করতো এবং করে ! কোন পার্থক্য নেই !

৩. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, একে অন্যে মারামারি-বিবাদ এবং যুদ্ধ এসব লেগেই ছিল l আবার ইসলাম আসার পরে খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, একে অন্যে মারামারি-বিবাদ এবং যুদ্ধ এসব চালিয়েই গেছে l কোন পার্থক্য নেই !

৪. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ অসহায় নিরীহ মানুষকে জোর করে ধরে নিয়ে যেয়ে বাজারে পশুর মত বিক্রি করতো অর্থাত দাস প্রথা ছিল l আবার ইসলাম আসার পরেও দাস প্রথা বলবৎ ছিল বহাল তবিয়তে l কোন পার্থক্য নেই !

মুসলমানদের মিথ্যা দাবি l পৃথিবী কি সত্যিই ডিম্বাকৃতির ? এবং দাহাহা নিয়ে দাহা হা হা ! হা হা !!!


মুসলমানদের দাবি :
পবিত্র কুরানে আল্লাহ (৭৯) সুরা নাযি'আত-এর  ৩০ নাম্বার আয়াতে বলেছে,
"এবং পৃথিবীকে এরপর করেছে ডিম্বাকৃতির l "
এই আয়াত উল্লেখ করে মুসলমানরা দাবি করে এই আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীর আকৃতি স্পষ্ট ভাবে উপস্থাপন করেছে l মুসলমানদের দাবি পৃথিবী সম্পূর্ণ রূপে ডিম্বাকৃতির l আর আল্লাহ এই আয়াতের মাধ্যমে জানাচ্ছে যে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির l তাদের দাবি কুরানে এই আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতির বলেছে ১৪০০ বছর আগে l সুতরাং কুরআন সত্যই আল্লাহর বাণী l

এখন আমরা দেখবো আসলেই কুরানে পৃথিবীর আকৃতি স্পষ্ট করে বলতে পেরেছে কিনা !
উপরিউক্ত আয়াতটির অনুবাদ বিভিন্ন অনুবাদকগণ করেছেন নিম্নুক্ত ভাবে !

কুরানে মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ বলেছে,
৭৯) সুরা নাযি'আত, আয়াত ৩০ :
"এবং পৃথিবীকে এরপর বিস্তৃত করেছেন l "   (অনুবাদ - প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর বহমান )
"আর পৃথিবী- এরপরে তাকে প্রসারিত করেছেন l "  (অনুবাদ - ড: জহুরুল হক)
“And after that He spread the earth,”  (অনুবাদ - Mohammad Marmaduke Pickthal)
“And the earth, moreover, hath He extended [to a wide expanse];” (অনুবাদ - Abdullah Yusuf Ali )
“And after that He spread the earth.” (অনুবাদ - Saheeh International )

Monday, September 22, 2014

মুসলমানদের মিথ্যে দাবী - কুরআনে বিগ ব্যাং এবং পৃথিবী ঘুর্নায়মান !


মুসলমানরা দাবি করে কুরানে বিগ ব্যাং থিওরী অনেক আগেই বর্ণনা করা হয়েছে l তারা কুরআনের সুরা আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াত উল্লেখ করে দাবি করে যে এই আয়াতে বিগ ব্যাং থিওরীর কথা বলা হয়েছে l তারা আরো দাবি করে কুরানে নাকি পৃথিবীর ঘূর্ণনের কথা ১৪০০ বছর আগেই কুরানে বর্ণনা করা হয়েছে l আসুন আমরা দেখি কুরানে সত্যি বিগ ব্যাং এবং রাত দিনের পরিবর্তন বা পৃথিবীর ঘূর্ণন সম্পর্কে কি বলা হয়েছে l
কুরআনে আছে;
২১) সুরা আম্বিয়া, আয়াত ৩০ :
অবিশ্বাসিরা কি লক্ষ্য করে দেখে না,নভোমন্ডল ও ভুমন্ডল পরস্পর সংযুক্ত ছিল ;অতপর আমি এদের ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি l”

"যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অত:পর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না ?" (অনুবাদ - প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)
এই আয়াত অনুযায়ী, পৃথিবী ও আকাশমন্ডলী একসাথে মিশে ছিল অর্থাত একটা আরেকটার সাথে মিলিত অবস্থায় ছিল এবং আল্লাহ এদেরকে পৃথক করে দিয়েছে l

এখানে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে যে পৃথিবী এবং আকাশ আগে থেকেই তৈরী অবস্থায় ছিল এবং একটা আরেকটার সাথে পরস্পর মিশে ছিল l আল্লাহ শুধু এদেরকে আলাদা করে দিয়েছে l এটা বিগ ব্যাং থিওরীর সম্পূর্ণ বিপরীত l

Saturday, September 20, 2014

আস্তিকের সাথে নাস্তিকের আলোচনা : কোন সৃষ্টিকর্তা আছে কী ?


আস্তিকের সাথে নাস্তিকের আলোচনা :

আস্তিক :- আপনি কোথা হতে এসেছেন মানে আপনার জন্ম হয়েছে কোথা থেকে ??
নাস্তিকঃ  আমার বাবা মার কাছ থেকে
আস্তিক - ok ঠিক আছে,তাহলে আপনার
বাবা মা??
নাস্তিকঃ ভাই, সহজ কথা, আমার
বাবা মা তাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে এসেছে,
আবার তাদের বাবা মা উনাদের বাবা মায়ের
কাছে থেকে...............l
আস্তিক :- তার মানে সবাই তাহলে একটা পূর্বতমপুরুষ
এবং একটা পূর্বতম-নারী থেকে সৃষ্টি হয়েছে,তাহলে তাদের
পূর্বতম ২ জনকে কে সৃষ্টি করল??
নাস্তিকঃ - ভাই প্রকৃতি থেকে সেই
২জন সৃষ্টি হয়েছে ?
আস্তিক:-তাহলে প্রকৃতি কে সৃষ্টি করেছে????
নাস্তিকঃ ভাই প্রকৃতিকে কেউ সৃষ্টি করে নাই
আস্তিক :- তাহলে প্রকৃতি আসলো কিভাবে ??
নাস্তিক:- প্রকৃতিকে আসতে হয়নি ওটা আগে থেকেই ছিল l

আস্তিক:- সেটা কিভাবে হয় কোন কিছুইতো এমনি এমনি সৃষ্টি হতে পারে না l প্রত্যেক জিনিসেরই কোন না কোন সৃষ্টিকর্তা লাগে l সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব l
নাস্তিক :- তাহলে আপনি বলছেন যে প্রকৃতিকে সৃষ্টি করেছে কোন এক সৃষ্টিকর্তা ?
আস্তিক:- হ্যা হ্যা ঠিক তাই !
নাস্তিক :- কিন্তু আপনিতো বলেছেন সব কিছুরই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে তাহলে সেই সৃষ্টিকর্তারও নিশ্চই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে ?
আস্তিক :- সেরকমই তো মনে হচ্ছে !
নাস্তিক:- তাহলে আবার সেই সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা আছে ?
আস্তিক :- সেরকমই তো মনে হচ্ছে !
নাস্তিক :- আবার সেই সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকবে, এভাবে একটার পরে একটা সৃষ্টিকর্তা আসতেই থাকবে তাইতো ?
আস্তিক:- যুক্তিতে তো তাই বোঝা যাচ্ছে !
নাস্তিক :- তাহলে কি শুধু একজন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব যদি একটার পর একটা সৃষ্টিকর্তা আসতেই থাকে ?

Friday, September 19, 2014

কার অন্তরে সিলমোহর মারা - বিশ্বাসীদের নাকি অবিশ্বাসীদের ?


মুসলমানদের একটা অদ্ভুত দাবি - " আল্লাহ অবিশ্বাসীর অন্তরে সিলমোহর মেরে দিয়েছেন l আর তাই অবিশ্বাসীরা ইমান আনবে না l " (কুরআন)
যুক্তিবাদীর উত্তর - আল্লাহ যদি অবিশ্বাসীর অন্তরে সিলমোহর মেরেই থাকে তবে আর অবিশ্বাসীদের দোষ কি ? আল্লাহই তো সিল মেরে দিয়েছে, ফলে হাজার চাইলেও অবিশ্বাসীরা ইমান আনতে পারবে না l কারণ আল্লাহ সর্বশক্তিমান; আর তাই যদি সে সিল মেরে থাকে তবে মানুষের সাধ্য নেই সেই সিল মারা অবস্থা থেকে ফিরে আসা l যদি ফিরে আসে তাহলে আল্লাহর কথা মিথ্যে হয়ে যাবে l আর তাই অবিশ্বাসীদেরকে শাস্তি দেয়া চরম বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় l

বিশ্লেষণ : কুরানে বলা হয়েছে আল্লাহ মানে মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা নিজেই অবিশ্বাসীদের অন্তরে সিলমোহর মেরে দিয়েছেন l আর মুসলমানরা দ্বাবি করে কুরআন হচ্ছে আল্লাহর বাণী l যুক্তি দিয়ে বিচার করলে বোঝা যায় যে যদি সর্বশক্তিমান আল্লাহই সিল মেরে থাকে তবে মানুষের এটার উপর কিছু করার নেই l কিন্তু এই যুক্তিটা মুসলমানরা বুঝবে না l কেন তারা এই যুক্তিটা বুঝবে না যেটা সহজ ভাবে প্রতীয়মান হয় l এর কারণ উত্ঘাতন করতে হলে কুরআন কার বাণী সেটা নিশ্চিত হতে হবে l যদি কুরআন আল্লাহর বাণী হয় তবে সর্বজ্ঞানী আল্লাহ কি ভাবে এরকম একটা অযুক্তিক দাবি করে বসবেন যে অবিশ্বাসীরা ইমান আনবে না কারণ আল্লাহ নিজেই তাদের অন্তরে সিল মেরে দিয়েছেন ? আর এর জন্য নিরীহ অবিশ্বাসী মানুষগুলো কেন শাস্তি পাবি ? কারণ আল্লাহ নিজেইতো তাদের অন্তরকে সিল মেরে দিয়েছেন l
তাহলে আল্লাহর কথা পরস্পর বিরোধী হয়ে যায়না ?

বাল্য বিবাহ এবং ধর্মব্যবসায়ীর ধর্মব্যবসা !



জাকির নালায়েকের (ওরফে ভন্ড জাকির) মত ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাদের ধর্ম ব্যবসার জন্য সব কিছুকেই জায়েজ মনে করে ! করবে না কেন যদি এতে টাকা আসে ? এরা ব্যবসার জন্য মানে টাকার জন্য নিজের ৬ বছরের মেয়েকেও ৫০ বছরের বৃদ্ধের সাথে বিয়ে দিতে দিধা বোধ করবে না ! তাতে মেয়ে বাচুক বা মরুক তাতে ওই শয়তানটার কিছু যায় আসে না ! টাকা তো ইনকাম হলো !
অথচ ওই ভন্ডগুলো কখনই চিন্তা করে না যে ওই শিশু বাচ্চাগুলোর কি হবে ! শয়তানটা ডাক্তার হয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলে শুধু মাত্র ধর্মব্যবসার খাতিরে ! কিন্তু কখনই সত্যি কথা বলবে না ! মিথ্যে বলবে আর টাকা কামাবে !
একটা মেয়ের মাসিক হওয়া মানে ওই মেয়েটার কেবল মাত্র যৌনাঙ্গ (বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা) তৈরী হওয়া শুরু হয়েছে এবং এটা পুরোপুরি গঠিত হতে তার ১৬ বা ১৮ বছর বয়সের দরকার হয় ! অর্থাত মেদেয়েদের ১৬ বা ১৮ বছর বয়সে এটা সম্পূর্ণ হয় ! কারো ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগে !
আর বয়োসন্ধির সময়টা প্রত্যেক মানুষের জন্য কঠিন একটা সময় ! কারণ ওই সময়টাতে মানুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা জগতে প্রবেশ করতে থাকে ! এবং শারীরিক ও মানুষিক একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় ! সেই সময়টাতে মানুষ নিজেকে খুব অসহায় মনে করে !
আর সেই সময়ে একটা শিশুকে বিয়ে দেয়া মানে তার উপর শারীরিক ভাবে অত্যাচার করা ! আর এটা যদি জায়েজ হয় তবে পৃথিবীতে না-জায়েজ কোনটা ?!!!!!!
শৈশবে বিয়ে দেয়া মানে একটা মেয়ের উপর ভারী বোঝা তুলে দেয়া ! আর শৈশব থেকে বঞ্চিত করা সেটাতো একটা অমানবিক ব্যাপার ! শৈশবে একটা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তার কাছ থেকে শৈশবকে কেড়ে নেয়া বা শৈশবের আনন্দ থেকে তাকে বঞ্চিত করা জঘন্য অপরাধ ! এবং ওই মেয়েটাকে পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত করা বা পড়াশুনার ক্ষতি করা একটা মারাত্মক অন্যায় !
আর জাকির নায়েক (ওরফে জাকির ভন্ড) বাল্য বিয়েকে বৈধতা দিতে উল্টা পাল্টা কথা বলে নিজের ধর্ম ব্যবসাকে শক্ত অবস্থানে নেয় ! স্বাধারণ মানুষ এসব ভন্ডের কথা শুনে এবং বিশ্বাস করে নিজেদের ক্ষতি করে !
তাই এসব ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাবধান থাকা অতি জরুরি !

Sunday, September 14, 2014

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী বাণী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ১) । আমার উপর নাজিলকৃত ওহি বানী ।


আমার উপর নাজিলকৃত ওহি বানীটি হলো :
"আল মোরাল"
সুরা চ্যালেঞ্জের উত্তর
আয়াত ৫৯ :-
"ইহা এমন কিতাব যা লিপিবদ্ধ করা আছে; ফলে কোন শব্দও বিকৃত (পরিবর্তন) করা যাবে না l এবং ইহাই একমাত্র আমার (আল্লাহর) প্রেরিত বাণী যার অর্থ যে কেউ, যেকোন ভাবেই বিকৃতি, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে পারে l এমন কি ইহার ব্যাখ্যা প্রদানে যে কেহ মনের মাধুরী মিশাতে পারবে l তথাপি আমি তোমাদিগকে শাস্তি প্রদান করি না l বস্তুত আমি পরম দয়াশীল; অসীম মার্জনাকারী l "

(এখানে উল্লেখ্য, উক্ত আয়াতটি আমার উপর নাজিল করা হয়েছে l আমার উপর কেন উক্ত আয়াতটি নাজিল করা হলো ভেবে পাচ্ছি না ! আমি কোন নবী না l অবশ্য আমার জানা মতে একজন নবী ফেসবুকে আছে l তার কাছে ওহি নাজিল হয় ! কিন্তু হঠাত করে আমার কাছে কেন ওহি নাজিল হলো বুঝতে পারছি না (তাও আবার গ্রন্থের নাম, সুরার নাম এবং আয়াত নাম্বার সহ) l আমার কি গুন আছে যে আমার উপর ওহি নাজিল করতে হবে ! সেটা মনে হয় পরওয়ার দেগারই ভালো জানেন !)

আল্লাহ কি ? দেখুন কুরানে কি বলা হয়েছে ?

আল্লাহ কি ? দেখুন কুরানে কি বলা হয়েছে ?

সুরা নাহল আয়াত-৭৯
"তারা কি লক্ষ করে না আকাশের শূন্য গর্ভে নিয়ন্ত্রনাধীন পাখিদের প্রতি ? আল্লাহই ওদেরকে স্তির রাখেন; অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্যে l "

সুরা মূলক আয়াত ১৯
"তারা কি লক্ষ করে না তাদের উপরে পাখিসমূহের প্রতি, যারা ডানা বিস্তার করে ও সংকুচিত করে ? দয়াময় আল্লাহই তাদেরকে স্তির রাখেন l তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা l "

এতদিন শুনেছেন পাখিরা বাতাসের উপর ভর করে উড়ে বেড়ায় ! কুরআন পড়ে জেনে নিন পাখিরা আসলে বাতাসের উপর ভর করে ভেসে থাকে না বরং আল্লাহ পাখিদেরকে ভাসিয়ে রাখে !

আবার বিজ্ঞান বলে পাখি ভেসে থাকে বাতাসের উপর ! কুরআন বলছে আল্লাহ এদের ধরে রাখে !

এবার আমরা ধরে নিতে পারি বাতাস হচ্ছে আসলে আল্লাহ !

অর্থাত নাস্তিকরা যে বলে আল্লাহর অস্তিত্ব নেই সেটা আসলে মিথ্যে কথা ! আল্লাহ আসলে বাতাস ! কুরআনের আয়াততো সেটাই বলছে !

-ভাই মালু কি ?

-মালুরা খুব খারাপ !
-ভাই মালু কি ?
- জানেন না হিন্দুরা হচ্ছে মালু ?
- কেন ভাই ওদের মালু বলেন কেন ? মালু মানে কি ?
-সেটাতো জানি না কিন্তু ওদেরকে যে মালু বলা হয় সেটাই জানি শুধু !

অনেককে জিজ্ঞেস করেছিলাম কথাটা কিন্তু কেও এর সঠিক উত্তর দিতে পারেনি ! তবে অনেকে এর অর্থ করেছে "ঈশ্বরের অভিশপ্ত জাতি" !
যদি এর অর্থ এটাই হয় তবে কেন শুধু হিন্দুদেরকে মালু বলা হবে ?
আর ঈশ্বরের অভিশপ্ত জাতি যে শুধু হিন্দুরাই এটাই বা কে নির্ধারিত করে দিলো ?
মুসলমানরা হিন্দুদেরকে মালু বলে l ফলে যদি ইসলাম সত্যি হয় তবে তাদের দাবি অনুযায়ী পৃথিবীর সব ধর্মীয় আস্তিকই মালু !
আবার হিন্দুদের মত অনুযায়ী মুসলমানরাই হচ্ছে ঈশ্বরের অভিশপ্ত জাতি ! তাহলে হিন্দুদের কাছে মুসলমানরা(বাকিরাও) হচ্ছে মালু !
কিন্তু আমরা দেখি আস্তিকরা (সব ধর্মের আস্তিকরা) কু-সংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধ-বিশ্বাসী l এবং এরাই বা এদের কেও কেও হচ্ছে (অন্ধ)বিশ্বাসের দ্বারা আক্রান্ত হিংস্র প্রাণী ! ফলে হিংস্র প্রানীদের মত আক্রমন করে অন্য ধর্মের আস্তিকদেরকে l অর্থাত এই আস্তিকগুলোই হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের অভিশপ্ত বা মালু !
সুতরাং আমরা বলতে পারি আস্তিকরা হচ্ছে মালু l
কিন্তু আমি খুব ভালো ভাবেই লক্ষ করি যে মুসলমানরা হিন্দুদেরকে মালু বলে গালি দেয় এবং নিজেকে নিয়ে গর্ব করে !
আবার নাস্তিকরাও হিন্দুদেরকে মালু বলে গালি দিতে সাচ্ছন্দ বোধ করে !
কিন্তু কেন ? যদি মালু একটা গালি হয় এবং এর অর্থ যদি হয় ঈশ্বরের অভিশপ্ত জাতি তবে সব মানুষকেই মালু বলা বা মালু বলে গালি দেয়া যুক্তিযুক্ত !

অবশ্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে সব আস্তিকদের মালু বলে সম্বোধন করি (যারা আমাকে গালি দেয় তাদেরকে বেশি) l
এই বিষয়টির প্রতি আমি সবাইকে মানে নাস্তিক এবং আস্তিক সবাইকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ! তারা যেন হিন্দুদেরকে মালু বলে গালি দেবার আগে একবার ভেবে দেখে !
আমরা যারা নাস্তিক; নিজেদেরকে মানবতাবাদী বলে মনে করি তাদের কি উচিত কোন এক মানুষকে বা জাতিকে মালু বলে গালি দেয়া ? এতে কি মানবতার ক্ষতি হয় না ?
আমি মানবতাবাদী হিসেবে কোন এক সম্প্রদায়কে গালি দিয়ে ছোট করাকে কখনই সমর্থন দিবো না ! আমার কাছে পৃথিবীর সব মানুষ সমান l হতে পারে সে কু-সংস্কারাচ্ছন্ন হিন্দু অথবা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধবিশ্বাসী মুসলমান ! যেসব আস্তিক কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধ-বিশ্বাসী এবং বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত হিংস্র ও বর্বর প্রাণী আমি শুধু তাদেরকে মনে প্রাণে ঘৃনা করি ! বাকি আস্তিকদেরকে নয় !

মানুষ কি দেখে, আল্লাহ কিভাবে স্তরে স্তরে আকাশগুলোকে সৃষ্টি করেছে ?

সুরা নুহ; আয়াত ১৫ :
"তোমরা লক্ষ করনি? আল্লাহ কিভাবে সাত আসমানকে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন ?"

কুরআনের এই আয়াতে আল্লাহ মানুষকে বলেছে - মানুষ কি দেখে না আল্লাহ কিভাবে স্তরে স্তরে আকাশগুলোকে সৃষ্টি করেছে ?

আমি কখনো আকাশকে স্তরে স্তরে দেখিনি ! মুমিন ভাইয়েরা কি দেখেছেন কখনো আকাশকে স্তরে স্তরে অর্থাত একটার উপর আরেকটা ?
আমার ধারণা পৃথিবীর কেউই দেখেনি ! দেখবে কি করে; কুরানে বর্ণিত আকাশের অস্তিত্ব এই বাস্তব জগতে নেই !
বলে কি সাতটা আকাশ ! তাও আবার শক্ত কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী ! কেউ বলে বায়ুমন্ডলের সাত স্তর আবার কেউ বলে- না বিশ্বজগতের বাইরে হচ্ছে ১ম আকাশ যেটা শক্ত ও কঠিন ! আবার কুরআনের এই আয়াতে বলা হচ্ছে তোমরা কি দেখনা সাতটা আকাশ স্তরে স্তরে !
ওরেব্বাস ! একটা আকাশই আমরা দেখতে পাইনা (এমনকি নাসার বিজ্ঞানীরাও পায়না কুরআনের আকাশ !) সেখানে স্তরে স্তরে সাতটা আকাশ দেখার কথা বলা হচ্ছে !
তা মুমিন ভাইয়েরা কি দেখেছেন স্তরে স্তরে সাজানো আকাশ তাও আবার সাতটা ! দেখে থাকলে আমাদেরকেও একটু দেখার সুযোগ করে দেবেন প্লিজ ! (বিনা পয়সায় দেখবো না ! যা করচা হয় দিবো ! ভয় পাচ্ছেন কেন ?) !

বি: দ্র: মুমিন ভাইয়েরা চাইলে বলতে পারেন এখানে অমুক শব্দ ব্যবহার হয়েছে আর অমুকের অর্থ হচ্ছে তমুক ! তারপর অনুবাদকে বদলে দেবেন ! আমরা মুক্তমনারা কিছুই মনে করবোনা ! কথা দিচ্ছি ! আমরা তো মুক্তমনা তবে অনুবাদের ক্ষেত্রে কেন নয় !?

রাত দিন সম্পর্কে কুরআনের অদ্ভুত হাইপোথিসিস (Hypothesis) :


রাত দিন সম্পর্কে কুরআনের অদ্ভুত হাইপোথিসিস (Hypothesis) :

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ কুরানের বর্ণনায় রাত আর দিন কেমন সেটা নিম্নের আয়াত থেকে বুঝা যায় l
১৩) সুরা রাদ; আয়াত ০৩ :
          "তিনিই ভূমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু' দু' প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন l তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন l এতে তাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে যারা চিন্তা করে l"
এই আয়াতে বলা হচ্ছে দিনকে রাত দ্বারা আবৃত করা হয় অর্থাত আল্লাহ দিনকে রাত্রির দ্বারা আবৃত করে l
আবৃত করা বা আচ্ছাদিত করা বলতে আমরা বুঝি কোন কিছুকে অন্য কোন কিছু দিয়ে আবৃত করা বা ঢেকে দেয়া l যেমন চাদর দিয়ে দেহকে ঢেকে দেয়া বা টুপি দিয়ে মাথাকে ঢেকে নেয়া l গাছের ছাল গাছের অভ্যন্তরকে ঢেকে দেয় বা দেহের চামড়া দেহের মাংস ও অন্যান্য অঙ্গকে আবৃত করে l
আবৃত করা বা আচ্ছাদিত করা হচ্ছে কোন কিছুকে ঢেকে দেয়া l
কুরানে বলা হয়েছে আল্লাহ দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করে দেয় বা ঢেকে দেয় l

২৭) সুরা আন-নমল : আয়াত ৩৯ :
          "তিনি আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে l তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন l এবং তিনি সূর্য চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন; প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত l জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল l"
এই আয়াতে বলা হয়েছে,
তিনি অর্থাত আল্লাহ রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন l এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ রাতকে দিন দ্বারা আচ্ছাদিত করে বা ঢেকে দেয় আবার দিনকেও রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করে বা ঢেকে দেয় l
অর্থাত রাত দিনকে ঢেকে দেয় এবং দিন রাতকে ঢেকে দেয় l  

আবার আল্লাহ বলেছে,
৫৭) সুরা আল হাদীদ; আয়াত ০৬ :
             "তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রিতে l তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত l"

০৩) সুরা আলে ঈমরান; আয়াত ২৭ :
             "তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতর প্রবেশ করিয়ে দাও l আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর l আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর l"

Tuesday, September 2, 2014

মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো না



মুহাম্মদ কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেয়নি l নিয়েছে কিনা সেটা আর আমরা জানতেও পারবনা l যদি নিয়েও থাকে তবে কুরআন পড়ে এটা বোঝা যায় যে সে বিজ্ঞান জানতো না ! আর এজন্যই কুরানে পৃথিবী, আকাশ, চাদ-তারা-সূর্য সম্পর্কিত দেয়া তথ্যে সম্পূর্ণ ভুল করেছে l যেমন মুহাম্মদ জানতো না সমতল কাকে বলে l তাই পৃথিবীকে নিয়ে সেই সময়ের মানুষের ধারণা যে পৃথিবী সমতল এই কথাটা বুঝাতে যেয়ে বিছানা এবং কার্পেটের মত বিছানো এই কথাটা বলেছে l অর্থাত পৃথিবীকে সমতল বুঝাতে মুহাম্মদ বিছানা বা কার্পেটের উদাহরণ দিয়েছে l এটাকেই যে সমতল বলা হয় সেটা মুহাম্মদ জানতো না l আর তাই সে পৃথিবীকে সমতল বুঝাতে বিছানার মত বিছানো বা কার্পেটের মত বিছানো এবং প্রশস্তভাবে বিস্তৃত এই সব শব্দ ব্যবহার করেছে l যদি মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো তবে বিছানা বা কার্পেট না বলে সমতল কথাটাই সরাসরি বলতো l

আবার মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো না বলে আকাশকে ছাদ বলে আখ্যায়িত করেছে কুরানে l আকাশকে দেখতে ঘরের ছাদের মতই মনে হয় l আর তাই সেই সময় মানুষ ভাবতো আকাশ হচ্ছে ছাদ l কিন্তু আকাশ যে ছাদ নয় বরং পৃথিবীর আকাশ বায়ুবীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত হয়েছে এটা সেই সময়ের মানুষের জানা সম্ভব ছিল না l মুহাম্মদ এবং সেই সময়ের মানুষ ভেবেছিল আকাশ হচ্ছে ছাদ এবং এটি কোন কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী l ফলে কুরানে আকাশকে ছাদ বলা হয়েছে এবং এটি কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী ছাদ এটাই উল্লেখ করা হয়েছে বার বার l
কিন্তু যদি মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো তবে আকাশকে ছাদ বা কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদ বলে উল্লেখ করতো না l
কুরানে এভাবে বলা হয়েছে কারণ হচ্ছে মুহাম্মদ জানতো না আসলে আকাশ কি l সে প্রাচীন কালের মানুষের ধ্যান ধারনাই কুরানে উল্লেখ করেছে l

আগের দিনে মানুষ ভাবতো পৃথিবী সমতল এবং এই সমতল পৃথিবী কোন এক দিকে হেলে পড়ে যেতে পারে l আর তাই সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর উপর পাহাড় স্থাপন করে পৃথিবীর ভার সাম্য রক্ষা করেছে এবং পাহাড় স্থাপন করার ফলে পৃথিবী কোন এক দিকে হেলে পড়ে যাচ্ছে না l
মুহাম্মদ এটাই জানতো l আর তাই কুরানে পাহাড়ের কথা বলে হয়েছে যে আল্লাহ পাহাড় সৃষ্টি করেছে যেন পৃথিবী হেলে না পড়ে l অথবা নড়েচড়ে না উঠে l
কিন্তু যদি মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো তবে কুরানে পাহাড় সম্পর্কে এমন অবৈজ্ঞানিক কথা বলতো না l

মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো না ফলে সে জানতো না আকাশের তারা আসলে কি l সে জানতো না তারাগুলোও একেকটি সূর্যের মত l আর তাই সে তারা সম্পর্কে বলেছে এগুলো আকাশের সুন্দর্যের জন্য এবং মানুষের পথ দেখার জন্য তৈরী করা হয়েছে l আকাশে যে উল্কা পিন্ড রাতে দেখা যেত সেগুলোকেও সে তারা মনে করেছে l এবং কুরানে উল্লেখ করেছে তারা হিসেবে l কিন্তু সেগুলো হচ্ছে উল্কা এটা মুহাম্মদ জানতো না বলে এগুলোকে তারা বলে উল্লেখ করেছে কুরানে l

এছাড়াও মুহাম্মদের বিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞান ছিল না বলে মানুষের জন্ম সম্পর্কে, পৃথিবী ও আকাশ সৃষ্টির সম্পর্কে, ঝর-বৃষ্টি সম্পর্কে, অসুখ-বিসুখ (রোগ) সম্পর্কে, রাত-দিন সম্পর্কে নানা অবৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়েছে l
আর এর কারণ হছে মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো না l যদি মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো তবে এগুলো সম্পর্কে ভুল কথা বলতো না l এবং কুরআনেও এই ভুলগুলো পাওয়া যেতো না l
আর মুহাম্মদ বিজ্ঞান না জানাতে এই ভুল গুলোই প্রমান করে কুরানে বর্ণিত কথা গুলো কোন সৃষ্টিকর্তার নয় l আর তাই কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় l কুরআন মুহাম্মদ নিজেই তৈরী করেছে এবং মুহাম্মদ যে ভুল বা মিথ্যে ধারণা পোষণ করেছে সে গুলোই কুরানে উল্লেখ করেছে l
কুরআন পড়লেই মুহাম্মদের অজ্ঞতা গুলো বুঝা যায় l আর এই অজ্ঞতাই প্রমান করে কুরআন মুহাম্মদ কর্তৃক তৈরী করা l

Monday, September 1, 2014

আস্তিকতা একটা মহামারী

আমরা কুরআনের হাজার হাজার ভুল ধরিয়ে দিয়েছি ! দেখিয়েছি আকাশ, পৃথিবী, সূর্য-চাদ-তারা, এবং প্রাণী ও প্রকৃতি সম্পর্কে কি উদ্ভট ও মিথ্যা কথা বলেছে কুরআন l প্রমান করে দিয়েছি এটা একটা স্বাধারণ মানুষের লেখা গ্রন্থ !
কিন্তু তবুও অন্ধবিশ্বাসী ও কু-সংস্কারাচ্ছন্ন মুসলমান আস্তিকগুলো তাদের মিথ্যে ধর্ম এবং অন্ধবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না l বরং অন্ধ-বিশ্বাসী, কু-সংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকগুলো আগের মতই কুসংস্কারকে আকড়ে ধরে বসে আছে ! সহজে কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস থেকে তাদেরকে বের করে আনা যাচ্ছে না l
আর এতে এটাই প্রমানিত হয় আবার করে - অন্ধবিশ্বাস কতটা ভয়ংকর হতে পারে !
এর সবচেয়ে জুড়ালো প্রমান হচ্ছে প্রাচীনকাল থেকে ঘটে আসা ধর্মীয় সহিংসতা এবং ধর্ম যুদ্ধ বা ক্রুসেড l
বর্তমানের সব চেয়ে উত্কৃষ্ট প্রমান হচ্ছে মুসলিম জঙ্গিবাদ !
অন্ধ-বিশ্বাস বা কু-সংস্কার বিশ্বাস একটা মানুষিক রোগ ! আর এই রোগ মানুষের নিজ হাতে তৈরী করা এক ভয়ংকর মহামারী ! এতে জর্জরিত সমগ্র পৃথিবী !
আর এজন্যই মুসলমান আস্তিকদেরকে তাদের অন্ধ-বিশ্বাস এবং কুসংস্কার থেকে বের করে আনা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে l
অন্ধ-বিশ্বাস ও কু-সংস্কার বিশ্বাস এক কঠিন মানুষিক সমস্যা l আর তাই আমাদের আরো সচেতন হয়ে এই মানুষিক সমস্যার মুকাবিলা করতে হবে l

কুরআন হচ্ছে পুথি সাহিত্য

আপনাদের কি পুথি গানের কথা মনে আছে ? ওই যে একজন সুর করে গায় আর গানের মত করে গল্প বা কাহিনী বর্ণনা করে ! ঐসব গানকেই পুথি গান বলে (পুথি সাহিত্য) l
যারা পুথি গান শুনেনি তারা "হাজার বছর ধরে" ছবিটা দেখে নিতে পারেন !

এবার কুরআনের দিকে লক্ষ করুন কোন মিল খুঁজে পাচ্ছেন কি পুথি গানের সাথে ? কুরআন কিন্তু সুর করেই পড়া হয় এবং কুরআনের কথাগুলো কিন্তু পুথি গানের মতই ! সুর করে গল্প বলার মত !
অর্থাত কুরআনের কথাগুলো হচ্ছে পুথি গান বা পুথি সাহিত্য l
বিশ্বাস না হয়তো কুরআন পড়ে দেখতে পারেন ! কবিতার মত করে গল্প বলা হয়েছে l এবং কুরআনের আয়াত বা কথাগুলো সুর করেই পড়া হয় !
তাহলে যদি কুরআন আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে তবে পুথি গানও কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী - এই কথাটাও মেনে নিতে হবে !

আস্তিকদের ভুল দাবি

আস্তিকরা বিশেষ করে মুসলমান আস্তিকরা একটা কথা প্রায়ই বলে থাকে যে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থের মত কোন গ্রন্থ তৈরী করা সম্ভব নয় ! মুসলমানরা আরোও এক ধাপ এগিয়ে বলে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন-এর অনুরূপ গ্রন্থ তৈরী করা সম্ভব নয় l
এর উত্তরে দুটি কথা বলা যায় :
১. কুরআন সহ পৃথিবীর যাবতীয় ধর্ম গ্রন্থের চেয়ে অনেক অনেক ভালো মানের গ্রন্থ মানুষ তৈরী করতে পারে এবং করেছে !
২. পৃথিবীর কোন লেখকের অনুরূপ কোন লেখা সম্ভব নয় !
যেমন - লালন, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুলের মত করে পৃথিবীর কেউ কোন কিছু রচনা করতে পারবে না ! এবং পৃথিবীর বিখ্যাত লেখকদের লেখার অনুরূপ লেখা কেউ লিখতে পারবে না ! এমনকি তাদের লেখা পৃথিবীর সব ধর্মীয় গ্রন্থের চেয়েও অনেক বেশি ভালো ও উন্নত মানের লেখা l
(জে.কে. রাউলীন-এর হেরি পটার হচ্ছে এর একটি প্রমান ! )
সুতরাং বোকা আস্তিকদেরই এই উদ্ভট দাবি করা সাজে যে 'আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থের মত কোন গ্রন্থ লেখা সম্ভব নয় !"
প্রকৃত সত্য হচ্ছে পৃথিবীর মানুষ অনেক আগেই কুরআন ও অন্যন্য সব ধর্মীয় (যেমন-বাইবেল, বেদ) গ্রন্থের চেয়ে অনেক অনেক ভালো গ্রন্থ তৈরী করেছে !
দু:খের ব্যাপার হচ্ছে যারা সাহিত্য বোঝে না তারাই এমন উদ্ভট দাবি করে থাকে !

ধন্যবাদ বিজ্ঞান

ধন্যবাদ বিজ্ঞান (সাইন্স) ; ধন্যবাদ ইন্টারনেট; ধন্যবাদ ফেইসবুক, ধন্যবাদ ব্লগ সাইট l
এসব কিছুকেই প্রাণ ভরে ধন্যবাদ l
যখন আমি আস্তিক থেকে পুরোপুরি নাস্তিক হয়েছিলাম তখন আমি খুব মানুষিক কষ্টের মধ্যে পার হয়েছি l খুব ইচ্ছে হতো কারো সাথে এই ব্যাপারে কথা বলতে ! কিন্তু জঙ্গির ভয়ে কারো কাছে কিছু বলতাম না l
একা একাই মানুষিক যন্ত্রণা সহ্য করতাম l কি যে কষ্টের দিন ছিল সেগুলো l
কিন্তু এই ইন্টারনেটের যুগে নাস্তিকদের সেই রকম নি:সঙ্গ মানুষিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়না l তারা নাস্তিকদের কাছ থেকে নানা রকম পরামর্শ পেতে পারে খুব সহজেই l
আর এতে সম্পূর্ণ ভুমিকাটা পালন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি !
তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে লক্ষ কোটি ধন্যবাদ l

(অ)পবিত্র কুরানের সুরা নাহলের ১০৩ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত আছে :-

(অ)পবিত্র কুরানের সুরা নাহলের ১০৩ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত আছে :-
"আমিতো ভালো ভাবেই জানি যে তারা বলে - তাকে শিক্ষা দেয় এক মানুষ; তারা যার প্রতি ইঙ্গিত করে তার ভাষাতো আরবি নয়; কিন্তু এই কুরআন পরিষ্কার আরবি ভাষায় (নাজিল হয়েছে) l

অপরাধী যখন কোন অপরাধ করে তখন সে কোন না কোন ক্লু রেখে যায় ! মিথ্যা সেটা যত শক্তই হোক না কেন তাতে ত্রুটি থাকবেই l
কুরআনের ওই আয়াত অনুযায়ী আমরা জানতে পারি যে মুহাম্মদের সময়ে মানুষ জানতো যে কোন এক ব্যক্তি মুহাম্মদকে শিক্ষা দেয় ! তখনও অনেক মানুষ ছিল যারা মুহাম্মদের মিথ্যাবাদিতা ধরতে পেরেছিল l
আর মুহাম্মদ নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য উপরিউক্ত আয়াতটি তৈরী করে !
আর আমরা একবিংশ শতাব্দিতে এসেও ধরতে পারি যে কেউ একজন ছিল যে মুহাম্মদ কে নানা বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছিল ! এবং সবার অভিযোগ থেকে বাচতে সে নিজেই কুরআনের আয়াত নাজিল করেছিল !
আমরা আধুনিক যুগেও এসে ভালো করেই জানি লেখকদের কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দান করার ক্ষমতা সম্পর্কে !
আর আমরা খুব সহজেই কুরআনের আয়াত দিয়েই মুহাম্মদকে মিথ্যাবাদী প্রমান করতে পারি ! উপরিউক্ত আয়াতটি তার একটি উদাহরণ !

মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর চিন্তা শক্তির অক্ষমতা !

সৃষ্টির জনক আল্লাহ (অ)পবিত্র কুরানে সুরা রহমানের ৩৩ নাম্বার আয়াতে বলেছে -

"যে জ্বিন ও মানুষ জাতি! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা হতে যদি তোমরা বের হয়ে যেতে পার, তবে বের হয়ে যাও; কিন্তু তোমরা তা পারবে না, শক্তি ব্যতিরেকে (আর সে শক্তি তোমাদের নেই ) l"
(অনুবাদ- প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)

  "হে জ্বিন ও মানুষের সমবেতগোষ্ঠী ! যদি তোমরা মহাকাশ-মন্ডল ও পৃথিবীর সীমারেখা থেকে বেরিয়ে যাবার ক্ষমতা রাখো তাহলে বেরিয়ে যাও l তোমরা অতিক্রম করতে পারবে না নির্দেশ ব্যতিত l "
(অনুবাদ- ড:জহুরুল হক)


সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ বলছে মানুষ এমনকি জ্বিন (যার কোন অস্তিত্ব নেই বাস্তব পৃথিবীতে ) কখনই পৃথিবী ও আকাশের সীমানা অতিক্রম করে বেরিয়ে যেতে পারবে না ! একমাত্র আল্লাহর নির্দেশেই সেটা করা সম্ভব l
কিন্তু আমরা দেখি নাসার মহাকাশ যাত্রীরা চাইলেই পৃথিবী ছাড়িয়ে, আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে পারি জমায় l কিন্তু সৃষ্টির জনক আল্লাহর কোন নির্দেশ বা অনুমতিই লাগে না l বেচারা সৃষ্টির জনক এমন একটা মিথ্যে কথা কি ভাবে বলল সেটা ভেবে পাই না l
আল্লাহ ভেবেছে যে মানুষ উড়তে পারে না আর তাই মানুষ কখনই পৃথিবী ছাড়িয়ে আকাশ পারি দিয়ে মহাকাশে চলে যাবে না l কিন্তু আল্লাহর ধারণাকে মিথ্যে প্রমান করে দিয়ে শয়তান নাস্তিকগুলো আকাশে পারি জমিয়েছে l তারা কুরআনের কোন মূল্যই রাখেনি l
আল্লাহ বুঝতেই পারেনি মানুষ জ্ঞান বুদ্ধিতে তাকেও ছাড়িয়ে যাবে এবং পৃথিবী ও আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে পারি জমাবে এবং বিশ্বজগত পরিভ্রমনের প্রস্তুতি নিবে l
মানুষই মনে হয় সবচেয়ে বড় সৃষ্টিকর্তা যে কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাগুলোকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারে l