Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, September 19, 2014

কার অন্তরে সিলমোহর মারা - বিশ্বাসীদের নাকি অবিশ্বাসীদের ?


মুসলমানদের একটা অদ্ভুত দাবি - " আল্লাহ অবিশ্বাসীর অন্তরে সিলমোহর মেরে দিয়েছেন l আর তাই অবিশ্বাসীরা ইমান আনবে না l " (কুরআন)
যুক্তিবাদীর উত্তর - আল্লাহ যদি অবিশ্বাসীর অন্তরে সিলমোহর মেরেই থাকে তবে আর অবিশ্বাসীদের দোষ কি ? আল্লাহই তো সিল মেরে দিয়েছে, ফলে হাজার চাইলেও অবিশ্বাসীরা ইমান আনতে পারবে না l কারণ আল্লাহ সর্বশক্তিমান; আর তাই যদি সে সিল মেরে থাকে তবে মানুষের সাধ্য নেই সেই সিল মারা অবস্থা থেকে ফিরে আসা l যদি ফিরে আসে তাহলে আল্লাহর কথা মিথ্যে হয়ে যাবে l আর তাই অবিশ্বাসীদেরকে শাস্তি দেয়া চরম বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় l

বিশ্লেষণ : কুরানে বলা হয়েছে আল্লাহ মানে মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা নিজেই অবিশ্বাসীদের অন্তরে সিলমোহর মেরে দিয়েছেন l আর মুসলমানরা দ্বাবি করে কুরআন হচ্ছে আল্লাহর বাণী l যুক্তি দিয়ে বিচার করলে বোঝা যায় যে যদি সর্বশক্তিমান আল্লাহই সিল মেরে থাকে তবে মানুষের এটার উপর কিছু করার নেই l কিন্তু এই যুক্তিটা মুসলমানরা বুঝবে না l কেন তারা এই যুক্তিটা বুঝবে না যেটা সহজ ভাবে প্রতীয়মান হয় l এর কারণ উত্ঘাতন করতে হলে কুরআন কার বাণী সেটা নিশ্চিত হতে হবে l যদি কুরআন আল্লাহর বাণী হয় তবে সর্বজ্ঞানী আল্লাহ কি ভাবে এরকম একটা অযুক্তিক দাবি করে বসবেন যে অবিশ্বাসীরা ইমান আনবে না কারণ আল্লাহ নিজেই তাদের অন্তরে সিল মেরে দিয়েছেন ? আর এর জন্য নিরীহ অবিশ্বাসী মানুষগুলো কেন শাস্তি পাবি ? কারণ আল্লাহ নিজেইতো তাদের অন্তরকে সিল মেরে দিয়েছেন l
তাহলে আল্লাহর কথা পরস্পর বিরোধী হয়ে যায়না ?
যদি ধরি কুরান আল্লাহর বাণী নয় অর্থাত মুহাম্মদের বাণী; তাহলে মুহাম্মদ কেন বলবে অবিশ্বাসীদেরকে আল্লাহ সিল মেরে দিয়েছে এজন্য তারা ইমান আনে না ?
এটা হতে পারে যে মুহাম্মদ চাইছে মুসলমানরা অর্থাত বিশ্বাসীরা যেন না সন্দেহ করে যে কেন অবিশ্বাসীরা ইমান আনছে না !
তাহলে সমস্ত ঘটনা পরিস্কার হয়ে যায় l  কিভাবে ?
ধরি মুহাম্মদ কুরআন লিখেছে আল্লাহর নাম করে l তাহলে যখন দেখবে কিছু কিছু মানুষ তাকে নবী মানছে না এবং এটা দেখে মুসলমানদের অর্থাত বিশ্বাসীদের মনে প্রশ্নের উদয় হচ্ছে কেন তারা ইমান আনছে না ? তখন মুহাম্মদ তাদেরকে সান্তনা দিতে বলবে যে আল্লাহই তাদের অন্তরে সিল মোহর মেরে দিয়েছে এবং এজন্যই তারা ইমান আনছে না l
তখন বোকা (যুক্তিবুদ্ধিহীন) মুসলমানরা দেখল সত্যিইতো যদি আল্লাহই অবিশ্বাসীর অন্তরে সিল মেরে থাকে তাহলেতো তারা ইমান আনবেই না l কিন্তু তাদের মনে এটা সন্দেহ হবে না যে যদি আল্লাহই নির্ধারণ করে থাকে যে অবিশ্বাসীরা কখনই ইমান আনবে না তবে তার জন্য অবিশ্বাসীদেরকে শাস্তি দেয়া হবে কেন !  তারাতো আল্লাহর দেয়া বিধানই পালন করছে !

এই আয়াতের দ্বারা আসলে মুহাম্মদ মুমিন মুসলমানদেরকে বোকা বানাতে চেয়েছে l এবং সফলও হয়েছে l কারণ মুসলমানরা এবং অন্যান্য সব আস্তিকরাই বোকা প্রকৃতির হয়ে থাকে l আর এজন্যই তারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে যার কোন অস্তিত্বই নেই বাস্তব জগতে l তার অস্তিত্ব শুধুই কল্পনাতে l
আর এই আয়াতের মাধ্যমে মুহাম্মদ চেয়েছে বোকা মুসলমানগুলোকে আরো বোকা বানাতে l অর্থাত মুহাম্মদের এই কথা দিয়ে আসলে মুসলমানদেরকেই তাদের অন্তরে সিল মোহর মেরে দিয়েছে যেন মুমিন মুসলমানরা কখনই সত্যটা না জানতে পারে এবং বুঝতে পারে l অর্থাত আল্লাহ অবিশ্বাসীর মনে সিলমোহর মেরে দেয়নি বরং মুহাম্মদই মুসলমানদের মানে বিশ্বাসীদের অন্তরে সিলমোহর মেরে দিয়েছে l আর এজন্যই মুসলমানরা কুরানে হাজার হাজার ভুল থাকা সত্তেও এটাকে আল্লাহর বাণী মনে করে l
কুরআন পড়লে যে কোন বুদ্ধিমান মানুষই বুঝতে পারবে এটা কোন সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং এটা একজন মানুষ অর্থাত মুহাম্মদ নিজেই লিখেছে এবং আল্লাহর নামে চালিয়ে দিয়েছে l
আর এজন্যই কুরানে প্রচুর বৈজ্ঞানিক ভুল তথ্য, ঐতিহাসিক ভুল তথ্য এবং ভৌগলিক ভুল তথ্য আছে l কিন্তু দু:খের কথা হচ্ছে এই ভুলগুলোকে ধরিয়ে দেবার পরেও বোকা মুসলমান মুমিনগুলো বুঝতে পারছে না l তারা ভুলে ভরা কুরআনকে আল্লার বাণী বলেই বিশ্বাস করছে l অর্থাত মুহাম্মদ ওই সব মুমিন মুসলমানদেরকে খুব শক্ত ভাবেই তাদের অন্তরে সিলমোহর মেরে দিয়েছে l ফলে তারা সত্যকে বুঝতে পারছে না l তারা ভুলে ভরা কুরআনকে আল্লার বাণী মনে করছে এবং অন্ধ-বিশ্বাস এবং কুসংস্কারকে বিশ্বাস করছে l আর সারা জীবন অন্ধ-বিশ্বাসী অর্থাত মিথ্যেকে বিশ্বাসকারী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে কাটিয়ে দিচ্ছে l
সুতরাং কেউ অবিশ্বাসীদের অন্তরে সিল মোহর মেরে দেয়নি বরং অবিশ্বাসীরাই প্রকৃত জ্ঞানী l এবং জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে l প্রক্ষান্তরে মুহাম্মদ বিশ্বাসী মুমিন মুসলমানদের অন্তরে অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের সিল মোহর মেরে দিয়েছে বলে তারা আজ জ্ঞান-বিজ্ঞানে এত পিছিয়ে l



4 comments:

  1. পোস্ট সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রদান করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে !

    মন্তব্য করার নিয়ম:
    ১. Comments বাটনে ক্লিক করুন
    ২. মন্তব্য লিখে Google একাউন্ট অথবা অন্য কোন একাউন্ট-এ লগ ইন করুন
    ৩. Publish বাটনে ক্লিক করুন ?

    ReplyDelete
  2. জটিল বলেছেন ভাই !

    ReplyDelete
  3. নাস্তিকদের অভিযোগ – ১

    নাস্তিকগণ বলেন, “সূরা বাকারার ৬ ও ৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছন, তিনি কাফেরদের অন্তরে ও কর্ণে মোহর মেরে দিয়েছেন। এ কারণে কাফেরগণ ঈমান আনতে পারেন না। আল্লাহ কাফিরদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন বলেই তো কাফেরগন আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না। এখানে কাফেরদের দোষ কি?”

    নাস্তিকদের এই প্রশ্নটির উত্তর পাওয়া যাবে কোর’আনের অন্য দুটি আয়াতে।

    ১।

    আল্লাহ তায়ালা বলছেন –

    وَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِاٰيَاتِ رَبِّه۪ فَاَعْرَضَ عَنْهَا وَنَسِيَ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُۜ اِنَّا جَعَلْنَا عَلٰى قُلُوبِهِمْ اَكِنَّةً اَنْ يَفْقَهُوهُ وَف۪ٓي اٰذَانِهِمْ وَقْرًاۜ وَاِنْ تَدْعُهُمْ اِلَى الْهُدٰى فَلَنْ يَهْتَدُٓوا اِذًا اَبَدًا

    “কোনো ব্যক্তিকে তার প্রতিপালকের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেয়ার পরে সে যদি আয়াত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, এবং তার (পাপ) কাজ সমূহ ভুলে যায়, তাহলে তার অপেক্ষায় অধিক জালিম আর কে আছে? আমি নিশ্চয় তাদের অন্তরে আবরণ দিয়ে দিয়েছে যেনো তারা কোর’আন বুঝতে না পারে, এবং তাদের কানে বধিরতা এঁটে দিয়েছি। তুমি তাদেরকে সৎপথে আহবান করলেও তারা কখনো সৎপথে আসবে না।” [সূরা ১৮/কাহাফ – ৫৭]

    দেখুন, আল্লাহ তায়ালা প্রথমেই কারো অন্তরে মোহর মেরে দেন না, অথবা প্রথমেই কারো অন্তরে আবরণ দিয়ে দেন না। যখন মানুষ পাপ কাজ করতে থাকে, এবং তাকে কেউ পাপ কাজ থেকে বাধা দিলেও সে শুনে না, তখন তার পাপ কাজের কারণেই তার অন্তরে একটা আবরণ পড়ে যায়। এর ফলে পরবর্তীতে সে আর সত্য বুঝতে পারে না।

    অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা আগেই কারো অন্তরে মোহর মেরে দেন না, বরং মানুষ তাদের পাপ কাজের দ্বারা নিজেই নিজের অন্তরকে অকেজো করে ফেলে।

    ২।

    আল্লাহ তায়ালা বলেন –

    وَاِذَا قَرَأْتَ الْقُرْاٰنَ جَعَلْنَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ الَّذ۪ينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْاٰخِرَةِ حِجَابًا مَسْتُورًاۙ

    “তুমি যখন কোর’আন পাঠ করো, তখন যারা আখিরাত বিশ্বাস করে না, তাদের ও তোমার মাঝে একটা প্রচ্ছন্ন পর্দা থাকে।” [সূরা ১৭/বনী ইসরাঈল – ৪৫]

    দেখুন, যারা আগে থেকেই আখিরাতে বিশ্বাস করেন না, তাদের সামনেই কেবল পর্দা দেয়া হয়। অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা পর্দা দেয়ার কারণে মানুষ ইমান আনতে পারে না, এমন নয়। বরং মানুষ সত্য জেনে-বুঝেও কোনো না কোনো স্বার্থের কারণে যখন সত্য অস্বীকার করে, তখনি কেবল আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরে মোহর বা পর্দা দিয়ে দেন।

    ReplyDelete
  4. আপনি কিভাবে বলছেন যে মিসলিম রা জ্ঞান বিজ্ঞানে অনুন্নত? বর্তমান মাত্র ১০০/২০০ বছর সব জাগায় অমুসলিমদের রাজত্ব আর দখলদারি চলেছে তাই জ্ঞান বিজ্ঞান এখন তাদের দখলে চলে গেছে। বর্তমান গণিত ও বিজ্ঞানের বলতে গেলে সকল খুঁটি ই আগের হাজার বছর ধরে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের ফসল। যা ই হোক। সত্য জ্ঞান কেবলমাত্র আল্লাহর কাছেই আছে আর আল্লাহর তরফ থেকেই আসে, যিনি এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। এটা খুবই সিম্পল একটা কথা। এই সিম্পল কথাটা বিশ্বাস করতে মুহাম্মদ (স) এর সিল মোহর মারার প্রয়োজন লাগেনা। বরং আপনারা নিজেরাই নিজেদের অন্তরে অবিশ্বাসের সিল মেরে রেখেছেন, যেইখানেই ইসলামের কথা শুনেন অন্য কথা আপনাদের বলতেই হবে। অথচ যাদেরকে আপনারা জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত বলছেন, তারাও আল্লাহর অন্যান্য রাসূলদের কিতাবে অনুসারী, কিন্তু তারা সেগুলো নিজেদের সুবিধামত করে বিকৃত করে ফেলেছে। সকল রাসূলগণই তাওহীদ এর কথাই বলে গেছেন। অথচ আপনাদের মত বাস্তব বাদী মানুষ যারা চোখে দেখা ছাড়া কিছুই বিশ্বাস করতে নারাজ, তারা মূর্তি বানিয়ে সেটার পূজা করতেই বেশি ভালবাসে। তাহলে কে বেশি জ্ঞানী? যে চোখে দেখার জন্য মূর্তি বানায় সে? নাকি যে না দেখলেও বিশ্বাস করে যে অদেখা অনেক কিছুই তার চারপাশে আছে যা দেখার সামর্থ্য বা যোগ্যতা তার চোখের নাই -সে? কোনটা বেশি বিজ্ঞান সম্মত বলে মনে হয় আপনার?
    আপনি যদি মন থেকে অবিশ্বাসের পর্দা সরিয়ে অন্তরের খোলাচোখ দিয়ে সবকিছু দেখেন এবং পড়েন, তাহলে আপনিও পারবেন বুঝতে এই সহজ ব্যাপারটা। নিশচয়ই আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন যে নিজেকে নিজে সাহায্য করে।

    ReplyDelete