Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, October 28, 2014

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়; এটা মুহাম্মদের বাণী (পর্ব ১) । কুরআন আসলে কার বাণী; আল্লাহর, জিব্রাইলের নাকী মুহাম্মদের ?

মুসলমানরা দাবি করে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআন আল্লাহর তরফ থেকে নাজিল হয়েছে l অর্থাত কুরআনের সমস্ত বাণী স্বয়ং আল্লাহর l এবং তাদের দ্বাবি কুরআনে যেহেতু আয়াতগুলো উত্তম পুরুষে বর্ণিত হয়েছে অর্থাত আমি বা আমি আল্লাহ এই সব সর্বনাম ব্যবহৃত হয়েছে তাই কুরআন অবশ্যই আল্লাহর বাণী বা ঐশী বাণী l

যারা কুরআনকে কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে স্বীকার করে না তারা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে প্রমান করে দেয় যে কুরআন আল্লাহর বা সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় l
আসুন দেখি কুরআন কি সত্যিই কোন সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে নাকি কোন মানুষ কুরআন তৈরী করেছে !

আমরা জানি আল্লাহ কুরআনকে গ্রন্থ আকারে মুহাম্মদের কাছে পাঠায়নি l বরং এটি বিভিন্ন সময়ে জিব্রাইলের মাধ্যমে মুহাম্মদের কাছে পাঠানো হয়েছে l জিব্রাইলকে মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কেউই দেখেনি ! আর তাই কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী কিনা অথবা এটি কোন ঐশী বাণী কিনা সে সম্পর্কে কোন প্রমান নেই l
যদি কুরআন সত্যিই আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে তবে এতে উল্লেখিত সব বাণী উত্তম পুরুষে অর্থাত আমি বা আমি আল্লাহ প্রভৃতি সর্বনাম ব্যবহৃত হবে l
কুরআনের প্রথম সুরা "সুরা ফাতেহা"-এর প্রতি লক্ষ করে দেখি কি বলা হয়েছে !
১. আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যিনি পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু l
২. আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক l
৩. যিনি পরম করুনাময়, অতিশয় দয়ালু l
৪. যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক l 
৫. আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি l
৬. আমাদেরকে সরল সঠিক পথ-প্রদর্শন করুন l
৭. তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের নয় যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, এবং তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট l



লক্ষ করুন এই সুরাতে উত্তম পুরুষে বর্ণনা করা হয়নি l এই সুরা পড়লে মনে হয় এটা মানুষের বাণী, আল্লাহর বাণী নয় ! তাহলে কুরআনের সব সুরা কি আল্লাহর বাণী ? সুরা ফাতেহা দেখে বুঝা যাচ্ছে এই সুরটি আল্লাহর বাণী নয় বরং মুহাম্মদ বা মানুষের বাণী !
যদি এটা আল্লাহর বাণী হতো তবে সুরার প্রথমে লেখা থাকত "বলো" তারপরে সুরটি লেখা হতো, তবে এটাকে আল্লাহর বাণী বলে দাবি করা যেত l যেমন -
১. বলো - "আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যিনি পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু l
২. আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক l
৩. যিনি পরম করুনাময়, অতিশয় দয়ালু l
৪. যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক l 
৫. আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি l
৬. আমাদেরকে সরল সঠিক পথ-প্রদর্শন করুন l
৭. তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের নয় যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, এবং তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট l "

কিন্তু কুরআনের সুরা ফাতেহার প্রথমে "বলো" কথাটি লেখা নেই l আর তাই এটি আল্লাহর বাণী নয় ! যদি এটা সত্যিই আল্লাহর বাণী হতো তবে সুরার প্রথমে "বলো" কথাটি লেখা থাকত l অথবা সুরটি হতো এই রকম :
১. শুরু কর আমার নামে, আমি পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু l
২. সমস্ত প্রসংসা আমার জন্য, আমি জগতসমূহের প্রতিপালক l
৩. আমি পরম করুনাময়, অতিশয় দয়ালু l
৪. আমিই প্রতিফল দিবসের মালিক l
৫. সুতরাং তোমরা শুধু আমারই ইবাদত করো এবং আমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো l
৬. কারণ আমিই তোমাদের সরল সঠিক পথ-প্রদর্শন করি l
৭. তাদের পথ যাদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছি; তাদের নয় যাদের প্রতি আমার গযব বর্ষিত হয়েছে, এবং তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট l
সুরা ফাতিহা যদি এরকম হতো তবে এটাকে আল্লাহর বাণী বলে দাবি করা যেত l অথবা যদি সুরার প্রথমে "বলো" কথাটি লেখা থাকতো তবুও এটাকে আল্লাহর বাণী বলে দাবি করা যেত l
কিন্তু সুরা ফাতেহা ঠিক ওরকম নয় l বরং এটি কোন মানুষের বাণী এভাবেই লেখা হয়েছে l
আর তাই সুরা ফাতেহা আল্লাহর বাণী নয় l

আবার কুরআনের কিছু কিছু আয়াত পড়লে মনে হয় এটি আল্লাহর বাণী নয় l বরং এটি কোন মানুষের বাণী; অথবা এটি অন্য কারো বাণী l যেমন :-
সুরা নামল, আয়াত ৮৬ :
"তারা কি অনুধাবন করে না যে, আমি রাত্রি সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিবসকে করেছি আলোকপ্রদ?এতে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে l "
এই আয়াতটি পড়লে খুব সহজেই বুঝা যায় এটা সরাসরি আল্লাহর বাণী l অর্থাত আল্লাহ এই আয়াতে সরাসরি বলেছে যে সে নিজেই রাত সৃষ্টি করেছে মানুষের বিশ্রামের জন্য এবং দিবসকে করেছে আলোকপ্রদ l এবং মানুষের কাছে নিজেই সরাসরি প্রশ্ন করেছে, মানুষকি এসব দেখে না ?

আবার সুরা নাহল-এর ১২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে;
"তিনিই তোমাদের কল্যানে নিয়োজিত করেছেন রজনী, দিবস, সূর্য এবং চন্দ্রকে; আর নক্ষত্ররাজিও অধীন হয়েছে তারই হুকুমে; অবশ্যই এতে বোধশক্তি সম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে রয়েছে নিদর্শন l "
লক্ষ করুন এই আয়াতে কিন্তু উত্তম পুরুষ বা আমি সর্বনাম ব্যবহৃত হয়নি ! বরং এই আয়াত পড়ে মনে হচ্ছে এটি অন্য কেউ বলেছে l এখানে বলা হয়েছে তিনিই (আল্লাহই) তোমাদের (মানুষের) কল্যানে নিয়োজিত করেছেন .... l অর্থাত এই আয়াতটি সরাসরি আল্লাহর নয়; এমনকি কোন মানুষেরও নয় l এই আয়াতটি অন্য কারো l যেহেতু জিব্রাইল (গ্যাব্রিয়েল) ফেরেশতা মুহাম্মদের কাছে আল্লাহর বাণী নিয়ে আসতো সুতরাং এই কথাটি জিব্রাইলের l অর্থাত এটি আল্লাহর বাণী নয় বরং জিব্রাইলের বাণী l আর তাই জিব্রাইল বলছে তিনিই (আল্লাহ) তোমাদের জন্যে কল্যানে নিয়োজিত করেছেন .... l
যদি এটি আল্লাহর বাণী হয় তবে আল্লাহ কেন বলবে -"তিনিই তোমাদের কল্যানে নিয়োজিত করেছেন .... "? এই তিনিটা তাহলে কে ? আল্লাহ নাকি আল্লাহর সৃষ্টিকর্তা ?
সুতরাং এই আয়াতটি স্বয়ং আল্লাহর নয়; এটি জিব্রাইলের বাণী l

যদি কুরআনের বাণী স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার হয়ে থাকে তাহলে কুরআনের এই আয়াতগুলো কেন উত্তম পুরুষে লেখা হয়নি ? কেন কিছু কিছু আয়াত আল্লাহর উদৃতি দেয়া, কিছু কিছু আয়াত জিব্রায়লেব্র উদৃতি দেয়া আবার কিছু কিছু আয়াত মুহম্মদের উদৃতি দেয়া ? এটা কি সন্দেহের কারণ নয় যে কুরআন আল্লাহর বাণী নয় ? যদি সর্বজ্ঞানী আল্লাহ এই কুরআন লিখতো তবে কুরআনের এই ভুল গুলো থাকতো না l শুধুমাত্র তখনি এই ভুল গুলো থাকা সম্ভব যখন কুরআন মুহাম্মদ নামের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত কোন স্বাধারণ মানুষের লেখা হবে l
মুহাম্মদ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত, মতান্তরে নিরক্ষর l আর তাই মুহাম্মদ কুরআন তৈরী করার সময় এই ভুলগুলো করেছে নিজের অজান্তে l কিন্তু একবার লেখা হয়ে যাবার পড়ে সেটা পরিবর্তন করার মত সুযোগ বা প্রয়োজনীয়তা ছিলনা মুহাম্মদের l আর তাই এই ভুল গুলো থেকে গেছে !

তাই বলা যায় কুরআন আল্লাহ লিখে পাঠায়নি বরং মুহাম্মদ নিজে কুরআনের বাণী তৈরী করেছে l অর্থাত কুরআন আল্লাহর বাণী নয় এটি মুহাম্মদের বাণী l

বিশেষ দ্রষ্টব্য : পোস্টে উল্লেখিত কুরআনের আয়াতগুলো প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান-এর অনুবাদ থেকে নেয়া হয়েছে l সুতরাং অনুবাদ জনিত ভুলের জন্য লেখক দ্বায়ী থাকবে না !

45 comments:

  1. আচ্ছা কোরআনের সর্ব প্রথম নাযিল করা আয়াত টি কি ছিল ????/ " বল তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন" অর্থাৎ সুচনা না টাইনা মাঝ খান থেকে নিয়ে টানা টানি। তিনিই তোমাদের কল্যানে নিয়োজিত করেছেন রজনী, দিবস, সূর্য এবং চন্দ্রকে; আর নক্ষত্ররাজিও অধীন হয়েছে তারই হুকুমে; অবশ্যই এতে বোধশক্তি সম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে রয়েছে নিদর্শন lএইখানে তিনি ব্যাবহার কেন করেছে সুরা নাহলের ১ নাম্বায় আয়তে টি দেখুন এখানে হুকুমের কথা বর্ণনা করেছে। মানুষ কে উপদেশ দিবার জন্যে। সেই প্রসঙ্গে আপনাদের মত কাফেরদের জন্যে এইগুলো আল্লাহ্‌ বলেছে। হা হা হা হা হাসি পাই......... ভাই একটা সুরা বানাই দেখান আজ কে থেকে আমি নাস্তিক হয়ে যাব । কথা দিলাম ১০০%

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভাই সুরা বানাতে পারবেনা ঠিক কিন্তু আপনাকে ভিভ্রান্ত করে ফেলবে। ও এই রাস্তায় নতুন তাই ভাল করে বুঝাতে পারে নই।

      Delete
    2. ভাই আপনি কাজী নজরুল এর বিদ্রোহী কবিতার মতো একটি কবিতা লিখে দেখান তো।এই লিখিত রচনা বলী পাড়া না পাড়ার মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার পরিচয় মিলে যাবে এটা ভাবা মোটেও ঠিঁক না।এই রকম হাজারো উদাহরণ দেয়া যাবে।।

      Delete
    3. কাজী নজরুলের কবিতায় অনেক ভুল আছে কিন্তু কুরআনে ভুল নেই এই জন্য কুরআনের মতো কোনো সুরা তৈরি করতে পারবে না

      Delete
    4. Vaiya apnar brain matha takha pore gse.. Kindly matar modde dukaien

      Delete
    5. কোরান মহম্মদের নিজের লেখাও নয় আর আল্লাহর বানী নয়।মহম্মদের এই আয়াতগুলি তার খ্রিস্টান পাদরির লেখা। যে ইহুদি পাদরি এগুলি লিখেছিলেন ব্যবসা করতে যাবার সময় তাকে হত্যা করে এই গ্রন্থটি চুরি করেন এবং কুবুদ্ধি বশতঃ সেটিকে মুখস্থ করে ধারাবাহিক ভাবে আল্লাহর বানী বলে নাজিল করে ধর্মভীরু মানুষকে ভুল পথে চালিত করেছে।তাই যখনই কেউ এর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা তুলেছে। মহম্মদ ক্রুদ্ধ হয়ে বলেছে।তোমরা কি আল্লাহর আদেশ মানছ না।তাহলে জাহান্নামে যাবে।বলেই জিজ্ঞাসা শেষ করেছে।এখনও তাই কোনও মুসল্লি কোরান নিয়ে প্রশ্ন করতে সাহস করে না।মহম্মদ চতুর রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া কিছু নয়। কোরান কেন পৃথিবীর কোনও বই স্বর্গ থেকে আসতে পারেনা।

      Delete
    6. এই সুরা প্রথম দিলেন না কেন?

      Delete
  2. হা পড়লাম। নিশ্চয়ই এই কুরআন মুখের বাণী সম্মানিত রাসুলের রাব্বুল আলামিনের পক্ষ হতে নাযিল করা। ৬৯ঃ৪০,৪৩

    ReplyDelete
  3. আপনি ব্যারথ। সুধু কিছু অজ্ঞি মানবে। আরও স্টাডি করেন। আপনার আগে বহুত (---) এসেছে ,হাউমাউ করা ছাড়া কিছুই করতে পারে না। ২৫ঃ৬৩ মতে সালাম।

    ReplyDelete
  4. মুহাম্মদ এর উপর নাজিল কৃত প্রথম আয়াত ... ''ইকরা বিইস্মি রব্বিকাল লাজি হলাক্ক ...।পড তুমার প্রভুর নামে জিনি তুমাকে সৃষ্টি করে ছেন

    ReplyDelete
    Replies
    1. বুঝতে পারলাম ভাইয়া আপনি ভাষার শব্দ,শব্দের অর্থ এবং শব্দের অর্থ সম্পর্কে অজ্ঞ। এমন কি নিজের মাতৃভাষাটাও ভালো করে শিখেন নাই।
      আপনি নিজেই লিখেছেন মুহাম্মাদ (সাঃ) নিরক্ষর ছিলেন, তা ভাইয়া নিরক্ষর মানে বুঝেন কি !!!
      নিরক্ষর মানে হলো ভাইয়া অক্ষরজ্ঞানহীন। যার অক্ষরজ্ঞানই নাই তিনি আবার লিখতে পারেন কেমনে !!!
      কোন ক্লাস পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন ভাইয়া ????

      Delete
    2. ওহ সরি ভাই ।।

      Delete
  5. বুঝতে পারলাম ভাইয়া আপনি ভাষার শব্দ,শব্দের অর্থ এবং শব্দের অর্থ সম্পর্কে অজ্ঞ। এমন কি নিজের মাতৃভাষাটাও ভালো করে শিখেন নাই।
    আপনি নিজেই লিখেছেন মুহাম্মাদ (সাঃ) নিরক্ষর ছিলেন, তা ভাইয়া নিরক্ষর মানে বুঝেন কি !!!
    নিরক্ষর মানে হলো ভাইয়া অক্ষরজ্ঞানহীন। যার অক্ষরজ্ঞানই নাই তিনি আবার লিখতে পারেন কেমনে !!!
    কোন ক্লাস পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন ভাইয়া ????

    ReplyDelete
  6. বিষয়টা যুক্তিপূর্ণ করতে পারেন নাই।

    ReplyDelete
  7. যুক্তিগুলো সুন্দরভাবে দিছেন তবে ভুল বলেছেন। আরবি ভাষা সাহিত্যের সেরা ভাষা আর কোরআনে আছে সবচাইতে উচু মানের সাহিত্য। কোরআনের সাহিত্যের কাছে কোন সাহিত্য নেই। ব্যাকরণে ভুল থাকতে পারে। অনেক সময় যেই শব্দটি এক অঞ্চলে পূরুষবাচক অন্য অঞ্চলে সেই শব্দটিই স্ত্রিবাচক। এক দেশের বুলি অন্য দেশের গালি। কিন্তু কোরআনে কোন ভুল নেই। সমস্ত মানুষ এএবং জ্বিনেরা মিলে চেষ্টা করলেও কোরআনের ছোট একটি সূরার মত করে কেও লেখতে পারবে না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. কুরআনের প্রত্যেক পাতায় পাতায় আছে অমুসলিমদের প্রতি গালি আর ভ্ৎসনা. কুরআন একটা নিকৃষ্ট অপাঠ্য বাজে গ্রন্থ

      Delete
    2. তুই একটা কাফের লিঙ্গ পুজারি তুই কোরআনের কি বুজবি

      Delete
  8. Arbic literature ar system amon na j uttom purush a bolte hoi. Ata arabic literature a kotha bolar akta dhoron. Ai samanno bisoy ar jonno nijer imaan nosto kora bokami. Karon akhirat ar jibon Ananta kal ar.

    ReplyDelete
  9. ওহে গাধা কুরআনের নাযিল ৃৃত প্রথম সূরা আলাক।যেটা শুরু হয়েছে ইকরা দিয়ে যার অর্থ পড়ো।পুরো আয়াতের অর্থ পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে ৃৃষ্টি করেছে।
    তোর মতো কত নাস্তিক আসলো গেল কিন্তু পবিত্র কুরআন থেকেই যাবে ইনশাআল্লাহ

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইনশাআল্লাহ,,,, কেয়ামত পর্যন্ত কুরআন অবিকৃত অবস্থায় থাকবে

      Delete
  10. নাস্তিকের বাচ্ছা কোরানের অনেক জায়গায় রয়েছে হবে মোহাম্মদ সঃ আপনি বলুন, এগুলো তুই আদার বেপারী জাহাজের খবর নিয়ে লাভ নেই। আল্লাহর লা নতুন তোর উপর।

    ReplyDelete
  11. ✎✎✎ উত্তরঃ শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু এবং সকল প্রশংসার এক মাত্র সত্ত্বা।
    দরুদ এবং সালাম বর্ষিত হোক বিশ্ব নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি।
    আমি তিনটি যুক্তি দিয়ে উত্তরটা তুলে ধরবো, ইনশাল্লাহ।
    ✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺ ১ম যুক্তি ✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺
    আল-কোরআনকে ইসলাম বিরোধীরা মনে করে এই গ্রন্থ আল্লাহর বাণী নয়। এটা নবী মোহাম্মদ (সাঃ) নিজে লিখেছে। মক্কার কুরাইশ কাফেরেরাও এই ধারনা রাখতো। তারা বলতো এটা তো তুমি নিজে লিখেছো মোহাম্মদ। কোরআন যে আসমানী কিতাব এটা তারা বিশ্বাস করতো না। আল্লাহ বলেন, হে নবী, আপনি এদের বলুন এই গ্রন্থের আয়াতের মত একটা আয়াত নিজে তৈরি করে দেখাতে। তারা পারবে না।
    আসুন দেখি কেনো আল-কোরআন আসমানী কিতাব।
    ❁❁❁ ১. রাসূল লেখাপড়া কিছুই জানতেন না। উনাকে কেনো উনার চাচা আবু তালিব লেখাপড়া না শিখিয়ে নিজের ছেলেদেরকে শিখিয়েছেন সেটা তর্ক সাপেক্ষ কিন্তু রাসূল যে পুরোপুরি নিরক্ষর ছিলেন সেটা নিয়ে কোন মতভেদ নেই। রাসূল যখন হেরা গুহায় গেলেন তখন হঠাৎ তিনি খেয়াল করলেন কে একজন জানি উনাকে চেপে ধরেছে। জিব্রাইল এসে উনাকে এমন জোরে চেপে ধরেছিলো যে উনার দম আটকে যাওয়ার অবস্থা। জিব্রাইল বললেন, আপনি পড়ুন এই আয়াত। আয়াত দেখে রাসূল বলেন, আমি কি করে পড়বো? আমিতো লেখাপড়া জানি না। জিব্রাইল এবার আরো জোরে চেপে ধরলেন। আবার বললেন আপনি পড়ুন। রাসূল আবার বললেন আমি তো পড়তে পারি না। এবার জিব্রাইল নিজেই উনাকে পড়িয়ে শুনালেন।
    রাসূল যে নিরক্ষর ছিলেন সেটা আল-কোরআনেই বলা হয়েছে-
    "যারা বার্তাবাহক নিরক্ষর রাসূলের অনুসরণ করে, যার উল্লেখ তাদের জন্য তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা আছে, যে তাদেরকে ভালো কাজের নির্দেশ দেয় ও খারাপ করতে নিষেধ করে, যে তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে ও অপবিত্র বস্তু হারাম করে আর যে তাদের জন্য ওপরের ভার ও বন্ধন থেকে তাদেরকে মুক্তি দেয়’। সুতরাং যারা তার ওপর বিশ্বাস করে, তাকে সম্মান করে, তাকে সাহায্য করে আর যে-আলো তার সাথে নেমে এসেছে তার অনুসরণ করে, তারাই সফলতা লাভ করবে।" (সূরা আল-আরাফ; আয়াত-১৫৭)
    যেই মানুষটি লিখতে পড়তে জানতেন না সেই মানুষ কিভাবে কোরআন লিখবেন? পাঠকের কাছে প্রশ্ন রইলো।
    ❁❁❁ ২. রাসূল (সাঃ) এর কিছু কাজের সমালোচনা করে ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। রাসূল একবার মক্কার এক গোত্রের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করছিলেন। আলাপের এক পর্যায়ে এক অন্ধ লোক এসে রাসূলের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ভ্রূকুচকে মুখ ঘুরিয়ে নেন। উনার এই আচরন দেখে আল্লাহ সূরা আবাসার প্রথম কিছু আয়াত নাজিল করেন।
    "তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। (সূরা আবাসা; আয়াত ১)
    কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল। (সূরা আবাসা; আয়াত ২)
    আর কিসে আপনাকে জানাবে যে, সে হয়ত পরিশুদ্ধ হত। (সূরা আবাসা; আয়াত ৩)
    অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত। (সূরা আবাসা; আয়াত ৪)
    আর যে বেপরোয়া হয়েছে, (সূরা আবাসা; আয়াত ৫)
    আপনি তার চিন্তায় মশগুল। (সূরা আবাসা; আয়াত ৬)
    সে শুদ্ধ না হলে আপনার কোন দোষ নেই। (সূরা আবাসা; আয়াত ৭)
    পক্ষান্তরে যে আপনার কাছে ছুটে আসল, (সূরা আবাসা; আয়াত ৮)
    আর সে ভয়ও করে, (সূরা আবাসা; আয়াত ৯)
    অথচ আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন।" (সূরা আবাসা; আয়াত ১০)
    কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশ বানী।
    নিজের কাজের সমালোচনা করে তিনি নিজে সেটা লিখেছেন কোরআনে এটা কি বিশ্বাসযোগ্য!!!

    ReplyDelete
  12. ❁❁❁ ৩. একবার রাসূলের দুই স্ত্রী আয়েশা ও হাফসা বুদ্ধি করলেন উনারা রাসূলের সাথে একটু দুষ্টমী করবেন। রাসূল এলে তাদের দুজনের মধ্যে যার ঘরেই তিনি যান সে রাসূলকে বলবে আপনার মুখে তামাকের গন্ধ আসছে। আপনি কি মাগাফির খেয়ে এসেছেন? রাসূল উনার এক স্ত্রীর কাছ থেকে এই কথা শুনে বলেন, আমি আমার আরেক স্ত্রী জায়নাবের কাছে ছিলাম গতরাতে। সে আমাকে মধু খেতে দিয়েছিলো। আমি আর মধু খাবো না। তুমি এই কথা কাউকে বলো না। আয়েশা ও হাফসা এই কথা শুনার পরে সবার কাছে এই কথা বলে বেরানো শুরু করলো যে রাসূল জায়নাবের ঘরে মধু খেয়ে এসেছেন।
    আল্লাহ রাসূলকে জানিয়ে দেন উনার অগোচরে উনার দুই স্ত্রী কি করে বেরাচ্ছে।
    তখন আল্লাহ নাজিল করে সূরা তাহরিমের কিছু আয়াত।
    "হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। [সুরা তাহরীম: ১]
    আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। [সুরা তাহরীম: ২]
    যখন নবী তাঁর একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বললেন এবং কিছু বললেন না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বললেন, তখন স্ত্রী বললেনঃ কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল? নবী বললেন,ঃ যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন। [সুরা তাহরীম: ৩]
    তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর, তবে ভাল কথা। আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ জিবরাঈল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ তাঁর সহায়। উপরন্তুত ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী। [সুরা তাহরীম: ৪]
    যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী।" [সুরা তাহরীম: ৫]
    উনি বলেন উনি আর জীবনেও মধু খাবেন না। এই কথা বলায় আল্লাহ নাজিল করেন, আপনি হালাল (মধু) নিজের জন্য হারাম করছেন কেনো নিজের দুই স্ত্রীকে খুশি করতে? এই কাজ করবেন না।
    রাসূল যদি নিজে কোরআন লিখতেন তবে কি তিনি নিজের ভুলের কথা নিজে লিখতেন?
    ❁❁❁ ৪. এক্সট্রিমিস্ট খ্রিষ্টানদের অভিযোগ বাইবেলের ৬০-৭০% নিয়ে নবী মোহাম্মদ (সাঃ) কোরআন লিখেছেন। তিনি যদি নিজে লিখে না থাকেন তবে উনি বলেছেন আর সাহাবীরা লিখেছেন। হ্যা, রাসূল নিজে মুখে সাহাবীদের বলতেন। সাহাবীরা সেটা মুখস্ত করে রাখতো ও লিখে রাখতো কিন্তু বাইবেলের নকল করে তিনি কোরআন সাজিয়েছেন এটা একেবারেই ভিত্তিহীন কথা। রাসূলতো লেখাপড়াই জানতেন না তিনি কিভাবে বাইবেল পড়ে কোরআন সাজাবেন? বাইবেলে নবী-রাসূলদের যে সব ঘটনা বর্ননা আছে তার অনেক কিছুই কোরআনের সাথে মিলে যায় এর কারন হচ্ছে বাইবেলের তোরাহ ও গোসপেল আল্লাহর বানী। আল্লাহর বানীর মিল থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক।
    আল-কোরআনে বলা আছে,
    "আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।" (সূরা আনকাবুত; আয়াত-৪৮)

    ReplyDelete
  13. ❁❁ ৫. আল- কোরআন একমাত্র গ্রন্থ যেখানে মা মরিয়মকে নারী জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে ঘোষনা দিয়ে পুরো এক সূরা নাজিল হয়েছে। কোরআনে মাদার ম্যারি বা মা মরিয়মের কথা যতবার এসেছে বাইবেলে কোথায়ও এতবার আসে নি। এমনকি ঈশা (আঃ) / যীশু খ্রিষ্টের নাম যতবার এসেছে মোহাম্মদ (সাঃ) এর নাম এতবার আসে নি। উনার নাম মাত্র চারবার এসেছে। কোরআন যদি রাসূলের নিজের কথা হতো তবে তিনি নিশ্চয়ই উনার নাম অনেকবার বলতেন।
    ❁❁❁ ৬. কোরআন শরীফ নাজিল হয়েছে ২৩ বছর ধরে। কোরআনের কথার মধ্যে ছন্দ, বাক্যের মধ্যে ধারাবাহিকতা এগুলো দেখলেই যে কেউ বুঝার কথা এ গ্রন্থ কোনো মানুষের রচিত নয়। এটা আল্লাহ ছাড়া আর কারো বানী হতে পারে না। অমুসলিমেরা কোরআন না মানলেও অনেকে এটা স্বীকার করে যে আরবী ভাষায় সবচেয়ে সেরা ‘কাব্যগ্রন্থ’ হচ্ছে কোরআন। ধরেন এইগ্রন্থ স্রষ্টার বানী না (নাউজুবিল্লাহ) তাহলে কে এত সুন্দর ‘কাব্যগ্রন্থ’ লিখলো? নবী মোহাম্মদ? উনি তো লিখতে পড়তে জানতেন না তাহলে উনার পক্ষে ‘কাব্যগ্রন্থ’ লেখা কিভাবে সম্ভব হলো?

    ReplyDelete
  14. ✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺ ২য় যুক্তি ✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺
    █ █ █ ড. জাকির নায়েক জাকির নায়েক ও একজন নাস্তিকের সংক্ষেপ কথোপকথন █ █ █
    ড. জাকির নায়েক: আপনার ধর্ম কি ?
    নাস্তিক: আমার কোন ধর্ম নেই। আমি কোন সৃষ্টির্তাকে বিশ্বাস করি না ।
    ড. জাকির নায়েক: আপনি নাস্তিক তাই আপনাকে অভিনন্দন।
    নাস্তিক: কেন ?
    ড. জাকির নায়েক:কারণ আপনি ইসলামের অর্ধেক শাহাদা বলেছেন আর সেটা হল "লা ইলাহা"=" কোন মাবুদ নেই" । আর আমার কাজ হল আপনাকে "ইল্লালাহ"=" আল্লাহ ছাড়া" বিশ্বাস করানো । আর আপনি আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছেন কারণ অন্য অমুসলিমকে আগে বিশ্বাস করাতে হয় যে আপনি যে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করছেন সেটা ভুল, তারপর আসল সৃষ্টিকর্তাকে চেনাতে হয়।আর আপনি ভেবেছেন এ আবার কেমন সৃষ্টিকর্তা যে নিজেই নিজেকে রক্ষা করতে পারে না, এই সৃষ্টিকর্তা আমি বিশ্বাস করি না । তাই আপনার ক্ষেত্রে আমার কাজ সহজ। এখন আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি বলুনতো," ধরুন আপনার কাছে এমন একটা বস্তু আনা হল যা আগে কেউ দেখেনি এবং এই বস্তু সম্পর্কে সর্বপ্রথম কে আপনাকে বলতে পারবে ?
    নাস্তিক: যে বানিয়েছে সে বলতে পারবে ।
    ড. জাকির নায়েক: আপনি ঠিক বলেছেন । এবার বলুনতো এ মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?
    নাস্তিক : আধুনিক বিজ্ঞান বলে "বিগ ব্যাঙ" এর মাধ্যমে।
    ড. জাকির নায়েক: আপনি ঠিক বলেছেন। বলুনতো বিজ্ঞান সেটা কত বছর আগে প্রমাণ করেছে ?
    নাস্তিক : ৫০,৬০ বছর আগে।
    ড. জাকির নায়েক : আপনি কি জানেন পবিত্র কোরআনে ১৪০০ বছর আগে সুরা আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াতে বিগ ব্যাং সম্পর্কে বলা আছে । এই তথ্য কোরআনে কে লিখেছে ?
    নাস্তিক: আগের বিজ্ঞানীরা ।
    ড. জাকির নায়েক: কেন বিজ্ঞানীরা ১৪০০ বছর আগে প্রমাণ করে নাই ?
    নাস্তিক:উত্তর নেই।
    ড. জাকির নায়েক: ধরে নিলাম বিজ্ঞানীরা । চাদেঁর নিজেস্ব আলো নেই যা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছেন কিছুদিন আগে যা কোরাআনে সুরা ফুরকানের ৬১ নাম্বার আয়াতে বলা আছে ১৪০০ বছর আগে । কে লিখেছে এই তথ্য? ১৪০০ বছর আগে কে লিখেছে পৃথিবী গোলাকার,?
    পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরছে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিন করছে, মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে যা এগুলো কিছুদিন আগে জানতে পেরেছে।
    আপনি কি সবগুলোয় বলবেন ১৪০০ বছর আগে বিজ্ঞানী লিখেছে ?
    তাহলে আজকের বিশ্ব ১৪০০ বছর আগের মানুষ পেত। যুক্তিসহ উত্তর দিবেন কে লিখেছে ?
    নাস্তিক: যিনি মহাবিশ্ব তৈরী করেছেন।
    ড. জাকির নায়েক: আর তিনি হলেন সৃষ্টিকর্তা আর আমরা তাকে ডাকি আল্লাহ বলে।

    ReplyDelete
  15. ✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺ ৩য় যুক্তি ✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺
    “আমি আমার বন্দার প্রতি যাহা অবতীর্ন করেছি, তাহাতে তোমাদের বিন্দুমাত্র কোন সন্দেহ থাকলে, তোমরা ইহার অনুরুপ কোন সূরা আনয়ন কর। এবং তোমরা যদি সত্যবাদি হও তাহলে আল্লাহ ব্যাতিত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে নিয়ে আস। যদি আনয়ন না কর তবে সেই আগুনকে ভয় কর কাফিরদের জন্য যাহা প্রস্তুত করিয়া রাখা হয়েছে।" (সূরা বাকারা:২৩, ২৪)।
    এটা এমন এক বিষ্ময়কর কথা, যা মানব ইতিহাসে কোন গ্রন্থকারই নিজের বইয়ের পক্ষে দাবি করেন নি এবং জ্ঞানবুদ্ধি থাকা অবস্থায় কোন মানুষই এমন সাহস করতে পারবেন না যে, সে কোরআনের মত একটা বই লিখে ফেলেছে।
    কোরআনের এই চ্যালেঞ্জ চলে আসছে সেই কোরআন নাযিলের সময় থেকে। শত শত লোক, শত শত সংগঠন এই চ্যালেঞ্জ এর মোকাবেলা করতে এগিয়ে এসেছে। চরমভাবে ব্যার্থ হয়ে সম্পূর্ণ নিরাস হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাদের সাবাইকেই।
    দুটি ঘটনা :
    ১. লবিদ বিন রাবিয়া। তৎকালীন আরবের শেষ্ঠ কবি। তার শক্তিশালী ভাষা আর তেজোদিপ্ত ভাব তাকে সারা আরবে পরিচিত করে তুলেছিল। উনি যখন কোরআনের এই চ্যালেঞ্জের কথা জানলেন তখন জবাবে একটি কবিতা রচনা করে কাবা শরীফের চৌকাঠের উপর ঝুলিয়ে রাখলেন। পরে একজন মুসলমান কোরআনের একটি সূরা লিখে ঐ কিতাবের পাশে ঝুলিয়ে দেন।
    লবিদ পরের দিন কাবার দরজায় এলেন এবং ঐ সূরা পাঠ করলেন। অত:পর বললেন, “নি:সন্দেহে এটা মানুষের কথা নয় এবং আমি এর উপর ইমান আনলাম” অত:পর তিনি প্রকাশ্য কালেমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলেন। তিনি কোরআনের ভাব আর ভাষায এতো বেশী প্রভাবান্নিত হন যে, পরবর্তীতে তিনি আর কোনদিন কোন কবিতাই রচনা করেন নি।
    ২. দ্বিতীয় ঘটনাটি হল ইবনে মুকাফ্ফা এর। যা ঘটে কোরআন নাযিলের প্রায ১০০ বছর পর। এই ঘটনা প্রথমটির চাইতেও চাঞ্চল্যকর। এই ঘটনা সম্বন্ধে প্রাচ্যবিদ Wollaston বলেন “That Muhammad is boast as to the literary excellence of Quran was not unfounded is further evidence by a circumstance which occurred about a century after the establishment of Islam”
    ঘটনাটি এরকম, ধর্মবিরোধীদের একটি সংগঠন সিদ্ধান্ত নিল ওরা কোরআনের অনুরুপ একটি বই লিখবে। এই লক্ষে ওরা ইবনে মুকাফ্ফার (মৃত্যু-৭২৭ খৃ:) কাছে এলো। যিনি ছিলেন ঐ সময়ের সবথেকে জ্ঞানী, প্রখ্যাতি সাহিত্যিক এবং বিষ্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। তিনি তার নিজের কাজের উপর এতো বেশী আস্থাবান ছিলেন যে উনি সাথে সাথে রাজি হয়ে যান। এবং বলেন এক বছরের মধ্যে তিনি কাজটি করে দিবেন। শর্ত ছিল এই এক বছরকাল সময়টা যাতে তিনি পুরোপুরি মনোযোগের সাথে সূরা রচনা চালিয়ে যেতে পারেন এ জন্য তার যাবতীয় সাংসারিক আর অর্থনৈতিক কাজের দায়িত্ব সংগঠনটিকে নিতে হবে।
    ছ’মাস পেরিয়ে গেলে সঙ্গিরা কি পরিমান কাজ হয়েছে জানার জন্য তার কাছে এলো। তারা দেখতে পেল বিখ্যাত ঐ ইরানী সাহিত্যিক অত্যন্ত ধ্যানমগ্ন অবস্থায় হাতে একটি কলম নিয়ে বসে আছেন; তার সামনে রয়েছে একটি সাদা কাগজ এবং কক্ষের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ছিড়েফারা কাগজের স্তুপ। অসীম প্রতিভাধর, যাদুকরী ভাষার অধিকারী ঐ ব্যাক্তি আপন সর্বশক্তি ব্যায় করে ছয়মাস চেষ্টা করে কোরআন তো দূরের পথ একটি আয়াতও রচনা করে উপস্থাপন করতে পারেন নি।
    যা হোক শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত লজ্জিত ও নৈরাশ্যমনে তিনি কাজে ইস্তফা দেন। এই ঘটনাটি ঘটেছিল কোরআন নাযিলের ১০০ বছর পর। কুরআনের ঐ চ্যালেঞ্জ কত শতাব্দি পেরিয়ে গেছে আজো বিদ্যমান। এই চ্যালেঞ্জ থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত।
    সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি ভেবে দেখে না পৃথিবীর তাবত তাগুতি শক্তি কিভাবে পরাজিত হয়ে আছে কোরআনের কাছে ?

    ReplyDelete
  16. কোরআন নাজিলের সময় বৈজ্ঞানিক পরিস্থিতি :
    সপ্তম শতাব্দিতে কোরআন নাযিল হয়। মানুষ তখন পযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে কুসংস্কার ও প্রাচীন উপকথায় বিশ্বাসী ছিল। তখন মানুষ মহাবিশ্ব, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, মানুষের সৃষ্টি, বায়ুমন্ডলের গঠন এবং জীবন ধারনের প্রয়োজনীয় উপাদান ইত্যাদি সম্বন্ধে সঠিক কিছুই জানতো না। এই যেমন-
    সে সময় তারা বিশ্বাস করত যে,
    ১. পৃথিবী সমতল। গোলাকার নয়।
    ২. পাহাড় আকাশকে ধরে রাখে। অর্থাৎ পাহাড় হল আকাশের খুটি বা স্তম্ভ।
    ৩. পৃথিবীর দুই প্রান্তে বিশাল বিশাল পাহাড় আছে।
    ৪. মানুষের শুক্রানুর ভিতরে ছোট্ট একটা মানুষ থাকে। ওটাই মায়ের পেটে বড় হয়।
    ৫. বাচ্চার লিঙের জন্য মা দায়ি।
    ৬. গাছের লিঙ্গ নেই।
    ৭. কর্মি মৌমাছি হল পুরুষ মৌমাছি।
    ৮. ব্যাথা লাগে মস্তিস্কে। ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
    এরকম এক সময়, যখন মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞানের বহর ছিল ঠিক উপরের অবস্থা সেই সময়েই নাযিল হয়েছিল আল-কোরআন। যাতে শুধু বিজ্ঞানের সাথে রিলেটেড আয়াতের সংখ্যাই আছে হাজারের বেশি। অথচ সেই কোরআনেরই ১ টি আয়াতও পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয় নি। বরং বিজ্ঞানেরই কিছু ভুল ধারণা পরবর্তিতে সংশোধন করলে দেখা গেছে, তা কোরআনের সাথে মিলে গেছে। এরকমই কয়েকটি উদাহরণ দিয়েই বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু করা যাক।
    ▲▲▲ ১। আকাশের খুটি :
    সেই সময়ে নাযিল হওয়া কোরআনে লেখা হল- আকাশের কোন দৃশ্যমান খুটি নেই। “তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলিকে উচুতে স্থাপন করেছেন কোন দৃশ্যমান স্তম্ভ ছাড়া, যা তোমরা বুঝতে পারবে। (সূরা রাদ:২)
    আমাদের বিজ্ঞান আজ জানিয়েছে আকাশমন্ডলির কোন দৃশ্যমান স্তম্ভ নেই। এর আছে একটি অদৃশ্য স্তম্ভ-মধ্যাকর্ষন শক্তি! আর কোরআনও বলে দিচ্ছে একই কথা।
    ▲▲▲ ২। মহাবিশ্বের আদি অবস্থা :
    আজকের বিজ্ঞান বলছে মহাবিশ্ব গ্যালাক্সিগুলো তৈরী হওয়ার পূর্বে সব পদার্থগুলো গ্যাসিয় অবস্থায় একত্রে ছিল।চলুন দেখি দেড় হাজার বছর আগের কোরআন এ বিষয়ে কি বলে- পৃথিবী সৃষ্টি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কোরআন বলেছে- “অত:পর তিনি আকাশের দিকে মনযোগ দিলেন যা ছিল ধুমৃকুঞ্জ, অত:পর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন তোমরা উভয়ে আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল স্বেচ্ছায় আসলাম।” (সূরা হামিম আস সিজদাহ : ১১)।
    কিভাবে এই আধুনিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা কোরআনে এলো!

    ReplyDelete
  17. ▲▲ ৩। মহাবিশ্বের প্রসারনশীলতা :
    “আমি আকাশ নির্মান করিয়াছি আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহা-সম্প্রসারণকারী” (সূরা জারিয়াত : ৪৭)
    মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল এটা এই কিছুদিন আগে প্রমাতি হয়েছে। বিজ্ঞানী আরভিন সর্বপ্রথম আলোর লোহিত অপসারন পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রমাণ করেন এ বিশ্বজগত সম্প্রসারিত হচ্ছে, গ্যালাক্সিগুলো একটার থেকে আরেকটা দূরে সরে যাচ্ছে।
    মুহাম্মদ (স এর কাছে কি শক্তিশালী কোন টেলিস্কোপ ছিলো, যা দিয়ে উনি গ্যালাক্সিগুলোর সরে যাওয়া দেখেছিলেন ?
    ▲▲▲ ৪। বিগ ব্যাং থিওরি :
    “সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলি ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অত:পর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম” (আম্বিয়া:৩০)।
    আয়াতটি আমাদেরকে একেবারে পরিস্কারভাবে বলছে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রেরা একসময় একজায়গায় পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ে এদের জন্ম হয়।
    আজকের বিজ্ঞান কি বলে এ সম্বন্ধে ? ষ্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যাং থিওরী আজ সর্বময় স্বীকৃত। এ থিওরী অনুযায়ী মহাবিশ্বের সকল দৃশ্য অদৃশ্য গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টির শুরুতে একটি বিন্দুতে পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা বিশাল বিষ্ফোরণের মাধ্যমে এরা চারিদেকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। কিভাবে মরুভুমির বুকে সংকলিত দেড় হাজার বছর আগের একটি বই এ এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা ধারণ করতে পারল ?
    ড:মিলার বলেছেন, এই আয়াতটি নিয়ে চিন্তা-গবেষণার পর কোরআন যে ঐশী গ্রন্থ তা মেনে নিতে বাধ্য হই। যারা প্রচার চালাচ্ছে কোরআন হযরত মুহাম্মদ (সএর নিজস্ব বক্তব্য তাদের দাবি নাকচ করার জন্য এই একটি আয়াতই যথেষ্ট।
    ড:মিলার বলেছেন, দেড় হাজার বছর আগে ইসলামের নবীর পক্ষে কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে কথা বলা সম্ভব, যিনি কোন দিন কোন স্কুলে পড়ালেখা করেন নি। কারণ এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক বিষয়, যা সম্পর্কে তত্ত্ব আবিষ্কার করে মাত্র কয়েক বছর আগে ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছেন এক বিজ্ঞানী। মিলারের মতে এই আয়াতে সেই বিগ ব্যাং এর কথাই বলা হয়েছে যার মাধ্যমে পৃথিবী, আকাশমন্ডলী ও তারকারাজি সৃষ্টি হয়েছে।এই বিগ ব্যাং থিওরীর একটা অনুসিদ্ধান্ত হল “অনবরত দূরে সরে যাওয়া গ্রহ নক্ষত্রগুলো একসময় আবার কাছাকাছি আসা শুরু করবে কেন্দ্রবিমুখী বল শুন্য হয়ে যাওয়ার ফলে এবং সময়ের ব্যাবধানে সব গ্রহ নক্ষত্র আবার একত্রে মিলিত হয়ে একটা পিন্ডে পরিনত হবে”।
    “সেই দিন আকাশমন্ডলীকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর” (সূরা আম্বিয়া : ১০৪)
    কি কিছু বুঝা গেল ? এই হল কোরআন———–!
    ▲▲▲ ৫। কে স্থির আর কে গতিশীল :
    টলেমী বিশ্বাস করতেন থিওরী অফ জিওছেনট্রিজম এ। আর মতবাদটি হল- পৃথিবী একদম স্থির, আর সূর্য সহ সব গ্রহ নক্ষত্রগুলো ঘুরছে পৃথিবীর চারিদেকে। এ মতবাদটি ষোরস শতাব্দি পর্যন্ত বিজ্ঞান হিসেবে টিকে ছিলো। এরপর কোপার্নিকাস এসে প্রমাণ করলেন, পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহগুলো সূর্যের চারিদেকে প্রদক্ষিণ করছে। মাত্র ২৫ বছর আগেও বিজ্ঞান মানুষকে জানাচ্ছিল সূর্য স্থির থাকে, এটি তার নিজ অক্ষের চারপাসে প্রদক্ষিন করে না।কিন্তু আজ এটা প্রমানীত যে পৃথিবী ও সূর্য দুটোই গতিশীল। আর এদের দুজনের রয়েছে আলাদা কক্ষপথ। চলুন দেথি দেড় হাজার বছর আগের কোরআন এই ব্যাপারে কি বলে !
    “তিনিই একজন যিনি নিদ ও রাত সৃষ্টি করেছেন, সুর্য ও চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন, প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে। (সূরা আম্বিয়া:৩৩)
    “এবং সূর্য তার নিজস্ব পথে চলছ যা সর্বশক্তিমানেরই আয়ত্বে। তিনিই সব জানেন।”(সূরা ইয়াসিন:৩৮)
    এই কিছুদিন আগে প্রমাণিত হয়েছে যে, সূর্যও স্থির নয় বরং গতিশীল এবং ২০ লক্ষ বছরে একবার ওর নিজস্ব কক্ষপথে আবর্তন করে। আর এর গতি ৭২০০০০ কিমি/ঘন্টা।
    “আকাশ, যা পথ ও কক্ষপথ দ্বারা পরিপূর্ণ”(সূরা জারিয়াত:৭)
    এটা প্রমাণ করে যে, মহাবিশ্বের অন্য তারকারাজিও স্থির নয় বরং গতিশীল। যার সাথে আধুনিক বিজ্ঞান একাত্বতা ঘোষণা করেছে।

    ReplyDelete
  18. ▲▲ ৬। ব্লাক হোলস :
    “আমি শপথ করছি সেই জায়গার যেখানে তারকারাজি পতিত হয়। নিশ্চই এটা একটা মহাসত্য, যদি তোমরা তা জানতে।” (সূরা ওয়াক্বিয়া : ৭৫, ৭৬)
    ৭৫ নং আয়াতটি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, মহাবিশ্বে এমন জায়গা আছে, যেখানে তারকা পতিত হয়। ঠিক পরের আয়াতেই এটাকে, মহাসত্য বলে দাবি করা হয়েছে। মহাকাশে এরকম স্থান আছে, এটা মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করা হয়েছে। এই জায়গাগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ব্লাক হোলস। এগুলোতে শুধু নক্ষত্র নয়, যে কোন কিছুই এর কাছাকাছি এলে, এখানে পতিত হতে বাধ্য।
    ▲▲▲ ৭। নিরাপত্তার ছাদ :
    “আমরা আকাশে একটি সংরক্ষিত ও নিরাপত্তার ছাদ বানিয়েছি।” (সূরা আম্বিয়া : ৩২)।
    আয়াতটি বলছে আকাশে এমন কিছু আছে যা পৃথিবীকে নিরাপত্তা দেয়।
    ১.আমাদের পৃথিবীল বায়ুমন্ডলের উপরিভাগ কোটি উল্কাপাত থেকে হামেশা রক্ষা করছে। এটা এমন কিছু যা পৃথিবীকে নিরাপত্তা দেয়।
    ২. বায়ুমন্ডলের একেবারে উপরিভাগে ভ্যান-এলেন-বেল্ট নামের একটি অতিরিক্ত স্তর রয়েছে। এই স্তরটি প্রায় ৬০,০০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত। এই স্তর শুধুমাত্র সেই সমস্ত রশ্মিই পৃথিবীতে আসতে দেয় যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটা সত্যি বিষ্ময়কর যে শুধু রেডিও ওয়েভ বা আল্ট্রা ভায়োলেট রে এর মত ক্ষতিকর রশ্মিগুলোই পৃথিবীতে আসতে পারে না। যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। একইসাথে এই স্তর সূর্যের ক্ষতিকর কসমিক রে কে পৃথিবীকে আসতে বাধা দেয়। অতিরিক্ত কম ঘনত্বের কারণে, এই স্তরটি আয়োনিত বা প্লাজমা অবস্থায় আছে। এই প্লাজমা মেঘ প্রায় ১০০ বিলিয়ন আনবিক বোমার (হিরোসিমায় মাত্র ১ টা ফেলা হয়েছিল) সমান পরিমান ক্ষতিকর শক্তি বিশিষ্ট রশ্মিকে আটকিয়ে দিতে পারে!
    ৩. আবার এই স্তর পৃথিবীকে মহাকাশের অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে, যা মাইনাস ২৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
    দেড় হাজার বছর আগে মহানবী (স কি করে জানলেন, পৃথিবীর উপরের এই সংরক্ষিত আর নিরাপত্তার ছাদের কথা ? তার এই তথ্যের উৎস কোথায় ?
    ▲▲▲ ৮। আকাশের চক্রশীলতা বা পর্যায়বৃত্ততা :
    “শপথ চক্রশীল আকাশের এবং বিদারণশীল পৃথিবীর”। (সূরা তারিক:১১-১২)
    আমাদের বায়ুমন্ডল সাতটি স্তরে বিভক্ত। পত্যেকটি স্তর কিছু ভিন্ন চক্র সম্পূর্ণ করতে কাজ করে। এই যেমন-
    ট্রপোস্ফিয়ার : তের থেকে পনের কিলোমিটার উর্দ্ধে অবস্তিত। বায়ু থেকে জলীয় বাস্পকে ঠান্ডা করে বৃষ্টির ফোটা তৈরী করে। এভাবে পানিকে আবার পৃথিবীতে পাঠাতে সাহায্য করে। এভাবে পানি চক্র পূর্ণতা পায়। এই স্তর না থাকলে পৃথিবী সম্পূর্ণ শুস্ক ও অন্ধকার থাকতো।
    ওযোন স্তর : ২৫ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি ও রেডিও রশ্মি থেকে পৃথিবীকে বাচতে সাহায্য করে। এই রশ্মিগুলোকে পুনরায় মহাকাশে পাঠিয়ে দেয়।
    আয়নোস্ফিয়ার : পৃথিবী হেত পাঠানো বিভিন্ন রেডিও ওয়েভ আবার পৃথিবীতে ফেরত পাঠাতে সাহায্য করে। যা দ্বারা রেডিও ও টেলিভিশন সিস্টেম কাজ করছে। বাকীগুলো আর লিখলাম না।

    ReplyDelete
  19. ▲ ৯। সাত আসমান :
    “তিনিই সেই সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন, যা কিছু যমিনে রয়েচে সেই সমস্ত, অতপর তিনি মনোযোগ দিয়েচেন আকাশের প্রতি। বস্তুত তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত”। (সূলা বাকারাহ:২৯)
    আমাদের মাথার উপরের আকাশ অর্থাৎ বায়ুমন্ডল সাতটি বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত। এটা এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এই কিছুদিন আগে বিংশ শতাব্দির আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা ইহা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানীত হয়েছে। কোরআনে দেড় হাজার বাছর আগে এই সাতটি স্তরের কথাই এভাবে বলেছে!খুবই বিষ্ময়কর।
    এই সাতটি স্তরের নামগুলো এরকম- ট্রাপোস্ফিয়ার, স্ট্রাটোস্ফিয়ার, ওযনোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার, থার্মোস্ফিয়ার, আয়নোস্ফিয়ার, এক্সোস্ফিযার।
    ▲▲▲ ১০। ভূমির সাতটি স্তর :
    “তিনিই আল্লাহ যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং পৃথিবী সেই একই পরিমানে”। (সূরা তারেক:১২)
    আয়াতটি আমাদের কি বলছে ? আয়াতটি আমাদের বলছে শুধু আসমানই নয় বরং পৃথিবীরও সাতটি স্তর রয়েছে। মোহাম্মদ (স তখনকার দিনে কিভাবে একথা বলতে পারেন!যখন মানুষ পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করাই শেখেনি ?
    আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে এর উপরিভাগ পর্যন্ত সাতটি স্তর রয়েছে। গঠনগত এবং কার্যগত দিক থেকে একটার সাথে আরেকটার কোন মিলই নেই। এগুলো হল – Crust, 2. Lithosphere, 3. Upper mantle, 4. Asrenosphere, 5. Lower mantle, 6. Outer core, 7. Inner core. (Robart Gardner, Samuel F, Allyn and Bacon, Newton, Howe: General science-1885 Page-319-322)
    ▲▲▲ ১১। চাদের আলো কার আলো ? :
    “আল্লাহ তায়ালাই এই সূর্যকে করিয়াছেন তেজস্কর আর চন্দ্রকে করিয়াছেন পিতিবিম্বিত আলো”। (সূরা ইউনুস:৫)
    “কত কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করিয়াছেন রাসিচক্র এবং উহাতে স্থাপন করিয়াছেন প্রদীপ এবং চাদ-যাহার রহিয়াছে ধার কার আলো”। (সূলা ফুরকান:৬১)
    চাদের আলো যে প্রতিবিম্বিত আলো অন্য কথায় ধার করা আলো একথাটা দেড় হাজার বছর আগের একটা বইয়ে আসাটা খুবই স্বাভাবিক, যদি সে বইটা হয় এমন এক মহাসত্বার কাছ থেকে যিনি সাময়িক জাগতীক ধ্যান-ধারণার অনেক উর্ধে। সুবহানাল্লাহ। বিজ্ঞান সুস্পষ্ট কোরআনের সাথে এখন একমত।
    ▲▲▲ ১২। থিওরী অফ রিলেটিভিটি :
    রিলেটিভিটি থিওরী মতে আমাদের দৃশ্যমান সময়ের পরিমান, আমাদের নিজেদের আপেক্ষিক বেগের উপর নির্ভর করে। সহজ কথায় সময়ের পরিমাণ বেগের সাথে পরিবর্তনশীল। আইনস্টাইনের আগে কোন বিজ্ঞানী আমাদেরকে এই বিষয়ে ধারণা দিতে পারেন নি। মানুষ তখন সময়কে একটা ধ্রুব রাসি হিসেবে বিবেচনা করতো। আথচ দেড় হাজার বছর আগের কোরআনে আছে আমরা যে সময়কে বাস্তবে বিবেচনা করতে পারি, সেই সময়ই অন্য একটি ক্ষেত্রে সময়ের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
    “ফেরেশতারা আর রুহেরা আল্লাহর দিকে উর্ধগামী হয়, এমন একদিনে যাহার পরিমান একহাজার বছরের সমান।” (সূরা মায়ারিজ:৪)
    “তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সমস্ত কার্য পরিচালনা করেন, অত:পর তা তার কাছে পৌছবে এমন এক দিনে, যাহার পরিমাণ তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান”। (সূরা সেজদাহ:৫)
    সময়ের পরিমান ক্ষেত্রভেদে ভিন্ন হয়, এই কথাটা থিওরী অফ রিলেটিভিটি যতটা পরিস্কারভাবে বলেছে, তার থেকেও বেশি পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে এই আয়াতদুটিতে। ভুলে গেলে চলবেনা, থিওরীটি আবিষ্কার হয়েছে মাত্র এক শতাব্দি আগে!
    ▲▲▲ ১৩। পর্বতের গঠন ও কাজ :
    “আমি কি করিনি ভূমিকে বিস্তৃত এবং পর্বতমালাকে পেরেকের মত করে” (সূরা নাবা:৬,৭)।
    আয়াতটি বলছে পর্বতমালাকে পেরেকের মত করে তৈরী করা হয়েছে।
    পেরেকের কাজ হলো দুই বা ততোধিক কাষ্ঠখন্ডকে এমনভাবে জোরা লাগানো, যাতে সংযুক্ত বস্তুটিকে নাড়াচড়া করে হলেও খুলে না যায়।
    আমরা যে বিস্তির্ণ ভূমির উপর বিচরণ করি, তা মূলত একধরনের পাতলা প্লেট। এদেরকে বলা হয় টেকটোনিক প্লেট। পৃথিবীর ঘুর্ণনের ফলে এই প্লেটগুলো সদা নড়াচড়া করে থাকে। আধুনিক বিজ্ঞান ব্যাখ্যা দিয়েছে, দুই বা ততোধিক প্লেট যখন একটির উপর আরেকটি চলমান হয়, অথবা ধাক্কা খায়, তখন এদের মিলনস্থলে পাহাড়ের সৃষ্টি হয়। এই পাহাড় ভূমির উপরে যতদূর উপরে উঠে, পরের অংশে অনেকগুন পরিমানে ভূমির নিচে দেবে যায়। অনেকটা ভাজ সৃষ্টির মত। এর ফলে টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়া কমে যায়। অর্থাৎ এই প্লেটগুলোর সংযোগ স্থলে পাহাড় বা পর্বত অনেকটা পেরেকের মত কাজ করে। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ একটা ভীষণ উত্তপ্ত গলিত তরল পদার্থে পূর্ণ। পেরেকের আকৃতির এই পাহাড়গুলো না থাকলে, পৃথিবীর ঘুর্ননের কারনে, হয়তো কোন একদিকের প্লেট সরে গিয়ে ঐ অঞ্চলের গলিত তরলকে বাইরে বের হয়ে আসার সুজোগ করে দিতো। ফলে ভয়ানক বিপর্যয় ঘটতো।
    যেমন এভারেষ্ট পর্বতমালার সবচেয়ে উচু মাথা ভূমির প্রায় ৯ মাইল উপরে উঠেছে। ঠিক একই জায়গায় এর ভিত্তিমূল মাটির নীচে পৌছে গেছে ১২৫ কিমি পর্যন্ত। শুধু যদি এই অংশটিকে আমরা বিবেচনা করি, তাহলে একে দেখতে মনে হবে-দৈত্যাকার এক পেরেকের মত!
    আর কোরআন চমৎকার ভাবে বলে দিয়েছে একথাটাই দেড় হাজার বছর আগে। আচ্ছা মুহাম্মদ (স কি পৃথিবী ঘুড়ে পর্বতগুলোর নিচে কি রকম তা দেখেছিলেন ?

    ReplyDelete
  20. ▲ ১৪। পর্বতমালার অবস্থান :
    “তুমি পর্বতমালাকে দেখে অচল মনে কর (আসলে সেগুলো সচল), অথচ সেদিন এগুলো মেঘমালার মত সচল হবে। এটা আল্লাহর কারিগরি যিনি সবকিছুকে করেছেন সুসংগত। তোমরা যা কিছু করছ তিনি তা অবগত।” (সূরা নামল:৮৮)
    ১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইটি (ওয়াশিংটন ডিসি) প্রমাণ করে যে টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে পাহাড়গুলোও সম্পূর্ণ স্থির নয় বরং প্রতি বছর ২-৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে। যদিও এদের কার্যক্রম পেরেকের মতই। আর আমরা পাহারকে স্থির মনে করে যে একটা ভুলের মধ্যে আছি. একথাটাই কোরআন বলেছে কাব্যিকভাবে।
    ▲▲▲ ১৫। লোহার রহস্য :
    আমি লৌহ নাযিল করেছি, যার মাঝে অনেক শক্তি রয়েছে এবং যা মানবজাতির অনেক ব্যবহারে আসবে।” (সূরা হাদীদ:২৫)
    বিজ্ঞান আমাদের জানাচ্ছে, আমাদের সৌরজগতের কোন গঠন প্রনালী নেই যা লোহার উৎপত্তি ঘটাতে পারে। লোহা কেবলমাত্র সূর্যের চেয়ে বড় কোন নক্ষত্রেই তৈরী হতে পারে যেখানে তাপমাত্রা কোটি ডিগ্রির কাছাকাছি। এ রকম কোন গলিত নক্ষত্রের বিস্ফোরনের মাধ্যমেই লোহার উৎপত্তি সম্ভব। আর এই ধরনের বিস্ফোরনের মাধ্যমে সৃষ্ট লোহার টুকরাগুলো পরবর্তিতে পৃথিবীতে পরার ফলেই লোহা অস্তিত্বলাভ করেছে। অর্থাৎ লোহা যে আকাশ থেকে এসেছে এটা বিজ্ঞান মেনে নিয়েছে।
    আরেকটি বিষয় লক্ষনীয়, সুরা হাদিদ (হাদীদ অর্থ লোহা) কোরআনের ৫৭ নং সূরা। আজব ব্যাপারটা হলো ‘আলহাদিদ’ এর সংখ্যাগত অর্থও ৫৭, অর্থাৎ আরবীতে এই শব্দের মান হল ৫৭।
    শুধু ‘হাদিদ’ এর সংখ্যাগত অর্থ হল ২৬, যা লোহার এটমিক নাম্বার (২৬) এর সাথে মিলে যাচ্ছে। আর সূরাটির ১ থেকে ২৫ নং আয়াত (২৫ নং আয়াতে লোহার গুন সম্বন্ধে বলা হয়েছে) পর্যন্ত হাদিদ শব্দটি এসেছে ২৬ বার। (হা=৮, দাল=৪, ইয়া=১০, দাল=৪)।
    ▲▲▲ ১৬। পেট্রোলিয়ামের সৃষ্টি :
    “তিনি তৃনাদি বের করে এনেছেন, অত:পর তিনিই তাদের পরিনত করেন কাল বন্যার পানির মত” (সুরা আলা:৪,৫)
    গাছ-গাছরা, ফার্ন, শ্যাওলা এসব অরগ্যানিক পদার্থ ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয়ে একটা দীর্ঘ পদ্ধতির মাধ্যামে শেসে পেট্রোলিয়াম (খনিজ তেল) এর রূপ নেয়। খনিতে পদার্থটি অনেকটা বন্যার পানির মত গার থাকে, একই সাথে এটির রং থাকে কালোবর্ণের। যদিও মানুষ পেট্রোলিয়ামের ব্যাবহার শিখেছে অনেক আগে, কিন্তু তারা জানতো না কি থেকে এই পদার্থটি পৃথিবীতে তৈরী হয়েছিল।
    কোরআন উক্ত আয়াতে একটি তরলের কথা বুঝিয়েছে, যা পেট্রোলিয়ামের বৈশিষ্টের সাথে মিলে যায়। এভাবে-
    ১.এটি তৈরী হয় তৃনাদি থেকে। অর্থাৎ অরগ্যানিক ম্যাটারিয়াল থেকে।
    ২.এটির রং কাল হবে, আর এটি বন্যার পানির মত তরল হবে।
    কোরআন হাজার বছর আগে বলে দিয়েছে পেট্রোলিয়াম তৈরী হয়েছে গাছ-গাছড়া থেকে। আজ এটা বৈজ্ঞাকি সত্য।
    ▲▲▲ ১৭। বাতাশ ও বৃষ্টির সম্পর্ক :
    আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ুকে চালিত করে আকাশের কছে নিয়ে যাই, অত:পর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, এরপর তোমাদের তা পান করাই। বস্তুত তোমাদের কাছে এর ভান্ডার নেই” (সূরা হিজর:২২)
    বিংশ শতাব্দির প্রথমদিকেও মানুষের ধারনা ছিল যে, বৃষ্টির সাথে বাতাসের সম্পর্ক হল, বাতাস মেঘকে চালিত করে দূরে নিয়ে যায়, ফলে বৃষ্টি সমভাবে হয়। বাতাসের মাধ্যমেই যে জলিয়বাস্প উপরে উঠে মেঘের সৃষ্টি করে, এ সম্পর্কে মানুষ জানত না।
    বৃষ্টিভর্গ বায়ু বলতে জলিয়বস্পপূর্ণ বায়ু বুঝানো হয়েছে। “বাতাস জলিয়বাস্পকে আকাশে উড়িয়ে নেয়, অত:পর মেঘ সৃষ্টি হয়” একথা এই আয়াতে। বাতাসের ভুমিকা না থাকলে সূর্য যতই তাপ দিক না কেনো জলিয়বাস্প কখনোই আকাশে পৌছতেই পারতো না, মেঘ হওয়া তো দূরের কথা।
    ▲▲▲ ১৮। পরিমানমত বৃষ্টি :
    “তিন সে যিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী পানি পৃথিবীতে বর্ষণ করেছেন। যা একটি মৃত জমিকেও জীবিত করতে পারে, ঠিক সেভাবে যেভাবে একদিন তোমরা জীবিত হবে” (সূরা যুখরাফ:১১)
    প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৬ কোটি পানি বাতাসের সাথে মিশে। যা বছরে পাচ হাজার তেরশ কোটি টন। এই পানির পুরোটাই আবার প্রতি বছর মাটিতে ফিরে আসে। যদি এই ফিরে আসাটা পরিমিত না হত তাহলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যেতো। যেমন পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশী হয়। পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখার জন্য যা খুবি জরুরী। গবেষনায় দেখা গেছে যদি ঠিক এই পরিমাণ পানি বাতাশে না মিশে কিছু কম মিশতো, তাহলে মেরু অঞ্চলের জীববৈচিত্র নষ্ট হয়ে যেত। কারন মেরু অঞ্জলে বরফ স্তরের গভীরতা বেড়ে যেতো। যা গোটা পৃথিবীর জীববৈচিত্র রক্ষার সাথে সম্পর্কিত।

    ReplyDelete
  21. ▲▲ ১৯। সমুদ্রের পানির রহস্য :
    “তিনি পাশাপশি দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, উভয়ের মাঝে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।”(সূরা আর-রহমান:১৯-২০)
    সমুদ্রের এই বৈশিষ্ট্য অতি সম্প্রতীককালে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্রের সারফেস টেনসন এবং ঘনত্বের পার্থক্যের জন্য এক সমুদ্রের পানি অপরটির পাশ দিয়ে প্রবাহিত হলেও মিশে যায় না। যেমন গালফ অফ মেক্সিকোতে এর হাজার হাজার মাইলব্যাপি লোনা আর মিষ্টি পানির সাগর পাশাপাশি প্রবাহিত হলেও একটির পানি আরেকটির সাথে মিশে যায় না। কোরআন নাযিলের সময় মানুষের মাঝে পদার্থবিজ্ঞানের কোন জ্ঞান ছিল না আর মুহাম্মদ (স ছিলেন মরুভুমির মানুষ।
    ▲▲▲ ২০। সমুদ্র বিজ্ঞান :
    সূরা নূরের ৩০ ও ৪০ নং আয়াতে বলা হয়েছে:
    “যারা কাফের তাদের কাজ মরুভুমির মরীচিকার মত, যাকে পিপাসার্ত ব্যাক্তি পানি মনে করে। এমনকি সে যখন তার কাছে যায়, তখন কিছুই পায় না এবং পায় সেখানে আল্লাহকে, এরপর আল্লাহ তার হিসাব চুকিয়ে দেন। আল্লাহ দ্রুত হিসাব নেন। অথবা (তাদের কাজ) প্রমত্ত সমুদ্রের বুকে গভীর অন্ধকারের মত, যাকে উদ্বেলিত করে তরঙ্গের পর তরঙ্গ, যার উপরে ঘন কালো মেঘ আছে। একের উপর এক অন্ধকার। যখন সে তার হাত বের করে, তখন তাকে একেবারেই দেখতে পায় না। আল্লাহ জ্যোতি দেন না, তার কোন জ্যোতিই নেই”
    সমুদ্র বিজ্ঞান অনুযায়ী সূর্যের আলোর তিন থেকে ত্রিশ ভাগ সাগরে প্রতিফলিত হয়। তাই ২০০ মিটার গভীর সাগরে নীল রং ছাড়া আলোর সব রংই মিশে যায়। আগেকার দিনে মানুষ যন্ত্র না থাকায় ২০-২৫ মিটারের নীচে নামতে পারতো না। সাবমেরিনসহ নানা উন্নত সাজ সরাঞ্জাম ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা জেনেছেনে গভীর সাগরের পানির ঘনত্ব বেশি হওয়ায় দুই ধরনের ঢেউ সৃষ্টি হয়। উপরের ঢেউ ও ভিতরের ঢেউ। নিচের ঢেউ অন্ধকার হওয়ায় দেখা যায় না। ফলে কেউ হাত বের করলেও সেই হাত দেখতে পারবে না ।সাগর বিষয়ক জার্মান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মার্গারও মনে করতেন বিজ্ঞানের উন্নতির কারেনে ধর্মেল দরকার নেই। কিন্তু সূরা নূরের এ আয়াত শোনার পর তিনি বলেছেন, “এসব কথা কোন মানুষের কতা হতে পারে না, এ আয়াত ইসলামের অলৌকিকতার প্রমাণ।
    ▲▲▲ ২১। বাচ্চার লিংগ :
    “তিনিই জোরা সৃষ্টি করেছেন, ছেলে অথবা মেয়ে, যা একফোটা বীর্য এর দ্বারাই নির্ধারিত”।
    আধুনিক জীববিজ্ঞানের আবিস্কারের পূর্বে মানুষের ধারনা ছিল যে, ছেলে বা মেয়ে বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্য মহিলাই দায়ি। কিন্তু কোরআনে দেড় হাজার বছর আগে বলা হয়েছে বাচ্চার লিংগ নির্ধারন হয় স্পার্ম দ্বারা। অর্থাৎ বাচ্চার লিংগ কি হবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে স্বামি বা পুরুষের উপর।
    আর আজকে জেনেটিক আর বায়োলোজিকাল গবেষকগণ বহু পরিক্ষারিরিক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে যে, স্পার্ম সেলের মাধ্যমে লিংগ নিধার্রন হয় যা আসে পুরুষ হতে। আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারের আগে একথাটা কে জানতে পারে ?
    ▲▲▲ ২২। গাছের লিংগ :
    “তিনি প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।” (সুরা রাদ:৩)
    “আর তিনি প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন, তা জমিন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদ হোক, কিংবা তারা স্বয়ং অথবা এমন সৃষ্টি হোক যার সম্বন্ধে তারা এখনো জানেই না।” (সূরা ইয়াসিন:৩৬)
    জোড়া অর্থাৎ পুরুষ আর স্ত্রী লিঙ্গ। এই আয়াতটি আমাদের বলছে গাছপালারও লিঙ্গ রয়েছে। আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে গাছপালারও লিঙ্গ থাকে। পুরুষ গাছ এবং স্ত্রী গাছ। এমনকি উভলিঙ্গ গাছে পুরুষ এবং মাহিলা অংশ আলাদা অবস্থায় থাকে।
    সর্বপ্রথম যে বিজ্ঞানী উদ্ভিদরে মধ্যে পুংলিঙ্গ ও স্ত্রী লিঙ্গ থাকার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি হলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী কার্ল লিনে। খৃষ্টিয় অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি এ মত প্রকাশ করেন। তার ওই বক্তব্যে অনেকেই বিষ্মিত হয় এবং তারা গীর্জার কর্মকর্তাদরেকে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। ফলে কয়েক বছর ধরে ইউরোপে তার লেখনীকে ভূর মতামত হিসেবে ধরা হত। কিন্তু এর কিছু পরই বিজ্ঞানীরা লিনের মতামতকে সত্য বলে স্বীকৃতি দেন এবং তা একটি বৈজ্ঞানিক মূল নীতি হিসেবে গৃহিত হয়।
    বিজ্ঞানের আবিষ্কারের আগে কে জানতো যে গাছেরও লিঙ্গ আছে ?

    ReplyDelete
  22. ▲▲ ২৩। গাছের নি:শ্বাস-ফটোসিনথেসিস :
    “শপথ সকালের যখন তারা দিনের আলোয় নি:শ্বাস নেয়”। (সূরা তাকভীর:১৮)।
    ফটোসিনথেসিস আবিষ্কার করার পূর্বে, এই আয়াতটি বেশ রহস্য তৈরী করে রেখেছিল। মানুষ ভাবতো এটা এমন কি হতে পারে যা দিনের আলোয় নি:শ্বাস নেয়! লোকজন খুব অবাক হয়ে ভাবতো এমন কিছুর কথা, কিন্তু তারা খুজে পায়নি এটা। যতদিন না ফটোসিনথেসিস পদ্ধতির কথা মানুষ জানলো। এই পদ্ধতি মানুষকে জানালো এমন এক প্রক্রিয়ার কথা যেটা ব্যবহার করে গাছ কার্বণ-ডাই-অক্সাইড কে শোষণ করার মাধ্যমে নিজের জন্য খাদ্য প্রস্তুত করে। একইসাথে অক্সিজেনকে পরিবেশ এ মুক্ত করে। এই প্রক্রিয়াটি কেবল দিনের বেলাতেই ঘটে, যেহেতু আলো এখানে অনঘটক হিসেবে কাজ করে।
    অর্থাৎ গাছ কেবল দিনের বেলাতেই নি:শ্বাস ক্রিয়া চালায়। আর এ কথাটিই বলা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। এখানে আল্লাহ তায়ালা সরাসরি গাছের উল্যেখ করে আয়াতটি নাজিল করেন নি। বোধহয় এ কারনে যে, ভবিষ্যতেও কোরআন যে কালোত্তির্ন, এই বিষয়টি যাতে পরিষ্কার হয়।
    ▲▲▲ ২৪। জমাট রক্ত বা আলাক :
    “পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি মানুষকে তৈরী করেছেন জমাট রক্তপিন্ড(আলাক)থেকে”। (সূরা আলাক:১,২)
    আলাক শব্দটির অর্থ আরবিতে জমাট রক্তপিন্ড, পরিস্কারকারি যন্ত্র, জোক। যে কোন একটি বা একাধিক অর্থ নিতে পারেন আপনার পর্যবেক্ষনের জন্য, যাই নেন না কেন, তা ভ্রুনের বৈশিষ্টের সাথে মিলে যাবে! শব্দটির ব্যাবহার এতটাই যৌক্তিক!
    এটি কি খুবি আশ্চর্য নয় যে, মাতৃগর্ভাষয়ে একেবারে প্রথমদিকে জন্ম নেওয়া জাইগট বা জিগট দেখতে ঠিক জোকের মত, গর্ভের দেয়ালে ঝুলেও থকে ঠিক জোকের মত, এটা মায়ের দেহ থেকে খাবার নেয় অন্য কথায় মায়ের দেহ পরিস্কারের কাজ করে আর এটা জৈবিক গঠন ঠিক রক্তপিন্ডের মত?
    শত শত বছর আগে নিশ্চয়ই মানুষ জানতো না জাইগোটের এই বৈশিষ্টগুলো!
    ▲▲▲ ২৫। আঙ্গুলের ছাপের ভিন্নতা :
    “মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহকে একত্রিত করতে পারব না? বস্তুত আমি উহাদের অঙ্গুলির অগ্রভাগ পর্যন্ত সুবিন্যস্ত করব”। (সূরা কিয়ামাহ: ৩,৪)
    অর্থাৎ কারো আঙ্গুলের অগ্রভাগই অন্য কারো সাথে পুরোপুরি একই হবে না।
    আজ প্রমানীত এ পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের আলাদা আলাদা আঙ্গুলের ছাপ রয়েছে। কারো ছাপই কারো সাতে মিলবে না। আর এ জন্যই এই ছাপ এখন ব্যবহার করা হয় পরিচয়পত্র হিসেবে। ১৯ শতকের পূর্বে মানুষ আঙ্গুলের ছাপকে শুধু কিছু ভাজ বলেই জানতো।
    উল্লেখ্য আঙ্গুলের ছাপ ভিন্ন হয়, এটা ১৮৮০ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন স্যার ফ্রান্সিস গ্যালটন।
    ▲▲▲ ২৬। পেশি ও হাড়ের গঠন :
    কোরআনে বলা হয়েছে মাতৃগর্ভাষয়ে মাংশপেশী গঠিত হওয়ার আগই বাচ্চার হাড় গঠিত হয়।
    “এর পর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাটরক্তবিন্দুতে পরিনত করেছি, অত:পর জমাট রক্তকে মাংষপিন্ডে অত:পর সেই পিন্ডকে হাড়-এ আর তারপর সে হাড়কে মাংসপেশী দ্বারা সজ্জিত করি। এবং এরপর তাকে একটি নতুন সৃষ্টিতে রুপান্তরিত করি, আল্লাহতায়ালার আর্শিবাদ দ্বারা সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি রূপে। নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা কত কল্যানময়।” (সূরা মুমিনুন:১২-১৪)
    কিছুদিন পূর্বেও এম্ব্রয়লোজি জানতো যে, এম্ব্রয় এর হাড় ও মাংসপেশী একই সময়ে তৈরী হয়। এখন আধুনিক এমব্র্যয়লজি এভাবে দেয়া হয়েছে “সাত সপ্তাহের মদ্ধে কংকালের গঠন শেষ হয় এবং দেহের সবখানে ছড়িয়ে পরতে থাকে। এবং হাড় এর বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে। অষ্টম সপ্তাহের দিকে মাংসপেশী গঠিত হতে থাকে যা হাড়ের চারপাশে অবস্থান নিতে থাকে।” Keith Moore (developing Human, 6 part)-1998
    অর্থাৎ মানুষের জন্ম ঠিক সেভাবেই হয় যেভাবে কোরআনে বলা হয়েছে।
    মার্কিন নাগরিক ও বিজ্ঞানী মার্শাল জনসন ভ্রুনতত্ত্ব সম্পর্কিত আয়াত প্রসঙ্গে বলেছেন, “ভ্রণের বিকাশের পর্যায়গুলো সম্পর্কে কোরআনের এ বাস্তবতা আবিস্কার করা সম্ভব। কোরআন হল দেড় হাজার বছর আগের গ্রন্থ। সে সময় কোন মাইক্রোসকোপের অস্তিত্ব ছিল না। তখনও মাইক্রোস্কোপ আবিস্কৃতই হয়নি। কোরআন নাজিলের বহু বছর পরে যখন মাইক্রোস্কোপ আবিস্কৃত হল তখন ওই মাইক্রোস্কোপ কোন বস্তুকে ১০ গুণের বেশি বড় করতে পারতো না এবং স্বচ্ছতাও কম ছিল কাজেই কোরআনের বানী মানুষের হতে পারে না”
    ▲▲▲ ২৭। জন্মের তিন ধাপ :
    “তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক (ধাপে ধাপে) ত্রিবিধ অন্ধকারে”। (সূরা যুমার:৬)
    আধুনিক এমব্রয়লজি ও বিজ্ঞান জানিয়েছে গভাষয় তিনটি দেয়াল বা স্তর নিয়ে গঠিত। ১. ইন্টেরিয়ার এবডোমিনাল ওয়াল, ২. ইউটেরাইল ওয়াল, . এমনিওকার্ডিওনিক মেমব্রেন। ভ্রুনের বৃদ্ধি ব্যাখ্যা করতে কোরআনে বলা তিনটি অন্ধকার স্তর এবং বাস্তবে পাওয়া তিনটি স্তর মিলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, কারণ কোরআন সকল বিজ্ঞানের উর্দ্ধে। বিজ্ঞান ভুল করতে পারে কিন্তু কোরআন কালোত্তির্ন।

    ReplyDelete
  23. ▲ ২৮। দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি: কোনটা আগে ?
    “অত:পর তিনি তাতে রুহ সঞ্চার করেন, এবং তোমদের দেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্ত:করণ, তোমরা সামা্ন্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর”। (সূরা সেজদাহ : ০৯)।
    “অত:পর তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। (সূরা ইনসান : ০২)।
    অর্থাৎ কোরআন বলছে মানুষ আগে শ্রবণশক্তি আর তারপর দৃষ্টিশক্তি পায়। আসলে কি তাই? চলুন দেখি বিজ্ঞানীরা কি বলেন- গর্ভে পাচ মাস থাকার পর ভ্রুনের শ্রবন ইন্দ্রিয় তৈরী হয়। পরবর্তিতে সাত মাস থাকার পর ভ্রুনের চোখ তৈরী হয়।
    কি ধ্রুব-বিজ্ঞানময় এই কোরআন!
    ▲▲▲ ২৯। পেইন রিসেপটর, ব্যাথাটা আসলে কোথায় লাগে ?
    আগেকার দিনের ডাক্তাররা ভাবত শুধুমাত্র ব্রেণের কারণে, আমরা ব্যাথা অনুভব করি। এখন আমরা জানি চামড়ার নিচে কিছু রিসেপ্টর আছে যেগুলোকে বলা হয় পেইন রিসেপ্টর। এগুলোর কারনেই আমরা ব্যাথা অনুভব করতে পারি। এগুলো পুড়ে যাওয়ার পর ঐ পোড়াযায়গাতে খোচালেও মানুষ ব্যাথা অনুভব করে না ।
    “যাহারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করিবে তাহাদেরকে দোযখের অগ্নিতে দগ্ধ করিব, আর যখনি উহাদের চর্ম ঐ অগ্নিতে দগ্ধ হইবে তখনি উহার স্থলে নতুন চামড়া সৃষ্টি করিয়া দিব, যাহাতে তাহারা শাস্তি ভোগ করিতে পারে।” (সূরা নিসা : ৫৬)।
    এই আয়াত আমাদের বলছে আমাদের চামড়ায় একটা কিছু আছে যেটার কারণে আমরা ব্যাথা অনুভব করি। আর এই কারনে নতুন করে ব্যাথা দিতে গেলে নতুন চামড়ার প্রয়োজন রয়েছে।
    কি রহস্যময় বিজ্ঞান এই কোরআন!
    ▲▲▲ ৩০। পাখিদের গতিপথ :
    “তাহারা কি উড়ন্ত পাখির দিকে লক্ষ করে না? যাহারা আকাশে শু্ন্যগর্ভে নিয়ন্ত্রনাধিন। অন্য কেহই তাহাদের স্থির রাখে না, শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালাই তাদের স্থির রাখেন।” (সূরা নাহল:৭৯)।
    আধুনিক বিজ্ঞানের আবিস্কার কি ? আধুনিক বিজ্ঞান বলছে পাখিদের মাথায় উড়ে বেড়ানোর প্রোগ্রামিং করা আছে। আর এই কারনেই ছোট ছোট পাখি আগে কোনরকম অভিজ্ঞতা না থাকলেও হাজার হাজার মাইল উড়ে বেড়িয়ে আবার নিজ বাসায় ফিরে আসতে পারে। এই যেমন শীতকালে আমাদের দেশে সাইবেরিয়া থেকে এভারেষ্ট এর উপর দিযে উড়ে আসে অতিথী পাখিরা। শীত শেষে আবার চলে যায় নিজের বাসায়। এই বিশাল দুরুত্ব (মাত্র ৬৫০০ মাইল গড়ে) পরি দিতে ওদের কোন গাইড লাগে না! কে তাদরে মাথায় রাস্তা চেনার এই ক্ষমতা দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আ্ল্লাহ তায়ালাই তাদের স্থির রাখেন।”
    কি আশ্চর্যকর এই কোরআন!
    ▲▲▲ ৩১। পিপিলিকার সমাজ :
    “সোলায়মানের সম্মুখে তার সেনাবাহিনীকে সমবেত করা হল। জ্বীন, মানুষ ও পক্ষিকুলকে। অত:পর তাদরেকে বিভিন্ন দলে ভাগ করা হল। যখন তারা পিপীলিকা অধ্যষিত উপত্যকায় পৌছল, তখন এক পিপীলিকা বলল, হে পিপীলিকার দল, তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় সোলায়মান ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদরে পিষ্ট করে ফেলবে”( সূরা নামল: ১৭,১৮)।
    কি ভাবছেন ? কোরআনে এসব রুপকথার গল্প লিখা হয়েছে কেন ?
    হে বিজ্ঞানপ্রেমী, এগুলো এখন আর রুপকথা নয়! আপনার বিজ্ঞান ঘোষনা করে দিয়েছে, মানুষের সাথে সামাজিক কাঠামোয় সবথেকে মিল যে পাণীর সেটা পিপীলিকা। ওরা আরো জানিয়েছে পিপীলিকারা নাকি ওদের মৃহদেহ কবর দেয়, ওদের সমাজের কাজ নাকি ভাগ করে করে, ওদের নাকি আছে ম্যানেজার, সুপারভাইজার, শ্রমিক ইত্যাদি ব্যাবস্থা! ওরা নাকি ভবিষ্যত চিন্তা করে মানুষের মত খাদ্য মজুদ করে, আরো অবাক করা কথা কি জানেন, ওদের মজুদকৃত শষ্যদানায় যদি কুড়ি গজায় তো ওরা কুড়িগুলো কেটে ফেলে, যেন ওরা জানে, এই কুড়িগুলো ওদের শষ্যকে নষ্ট করে দিবে। আর কোনভাবে শষ্যদানাগুলো ভিযে গেলে, ওরা ওগুলো বাইরে এনে শুকাতে দেয়। যেনো ওরা জানে, এগুলো না শুকালে শষ্যগুলো পচে যাবে!
    পিপীলিকাদের এই উন্নত প্রকৃতি সম্বন্ধে বিজ্ঞান আমাদরে জানালো এই কিছুদিন আগে। আর কোরআন জানিয়েছে ——-১৪০০ বছর আগে!

    ReplyDelete
  24. ▲ ৩২। পাখিরা কথা বলে ?
    “সুলায়মান দাউদের উত্তরাধিকারী হলো, সে বলল, হে মানুষরা আমাদের উড়ন্ত পক্ষিদের ভাষা পর্যন্ত শিখানো হয়েছে।”(সূরা নামল:১৬)
    কোরআন এখানে পাখিদের ভাষার কথা বলছে, যা শিথানো হয়েছিল সুলায়মান (আ কে ।পাখিরা কি নিজেদের মধ্যে কথা বলতে পারে ?
    চলুন দেখি বিজ্ঞান কি বলে। মারিয়া লুইসা ডা সিলভা কর্তৃক ব্রাজিলিয়ান হামিং বার্ড এর উপর দীর্ঘ এক গবেষণার পর এর ফলাফল বিখ্যাত সাইন্স ম্যাগাজিন “ন্যাচার” এ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়-হার্মিং বার্ড এর কন্ঠনি:সৃত শব্দগুলোর নির্দিষ্ট অর্থ আছে, যেগুলো অন্য হার্মিং বার্ডকে নির্দিষ্ট কাজ করতে উৎসাহিত করে। এরা নিজেদের মধ্যে শব্দ বিনিময়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
    কাকের উপর গবেষণার একটি ফলাফল এরকম- এরা কয়েকশত প্রকারের বিভিন্ন সাউন্ড তৈরী করতে পারে, যেগুলোর নির্দিষ্ট অর্থ আছে, একটি কলোনির সকল কাকাকে সতর্ক করতে, কোন কলোনির কাকাদরকে এক জায়গায় একত্রিত করতে, নিজেদের দুরবস্থার কাথা অন্যকে জানাতে——এর নির্দিষ্ট ধরনের সাউন্ড তৈরী করে থাকে। এমনকি এরা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর প্রয়োগ ঘটিয়েও অন্য কাককে তা মনের কথা জানাতে পারে।
    এ রকম হাজারো উদাহরণ দেয়া যাবে।
    ▲▲▲ ৩৩। মধুর ওষুধীগুন :
    “মৌমাছির উদর হইতে নির্গত হয় বিবিধ বণের পানীয়, যাহাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য” (সূরা নাহল:৬৮, ৬৯)
    আমারা আগে জানতাম মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে বিভিন্ন ফুল থেকে অত:পর তা মৌচাকে মজুদ করে রাকে সরাসরি। আসলে তা নয়, বিজ্ঞান কিছুদিন আগে প্রমাণ করেছে মৌমাছির শরীর থেকে মধু বের হয়। কোরআন দ্বারা যা প্রমাণিত।
    কোরআন আরো বলেছে মধুর ওষুধীগুনের কথা। আজ আমরা জেনেছি মধুর মদ্ধে রয়েছে প্রচুর ধাদ্যগুন। আছে প্রচুর ভিটামিন কে আর ফ্রুক্টোজ। আরো আছে মাঝারি এন্টিসেপ্টিক গুন। কেটে যাওয়া যায়গায় মধু লাগিয়ে রাখলে কোনরকম ইফেকশান হয়না।
    ▲▲▲ ৩৪। সূরা নাহল ও কর্মি মৌমাছির লিঙ্গ :
    কোরআনে মৌমাছিকে নিয়ে একটি সূরা আছে। এটি হল সূরা নাহল, নাহল শব্দটির অর্থ মৌমাছি।
    ক. এই সূরাটির অবস্থান কোরআনের ১৬ নাম্বার স্থানে।
    খ. খুব সম্প্রতি বিজ্ঞান জানিয়েছে, পুরুষ মৌমাছির ক্রোমোসোম সংখ্যা ১৬! ইস্ত্রী মৌমাছির ৩২ । ১৬*২=৩২ ।এভাবে মিলে যেতে হবে ?
    গ. আবার সুরাটিতে আয়াত আছে ১২৮ টা। ১৬*৮=১২৮।
    ঘ. এই সূরার ৬৮ নং আয়াতে প্রথম নাহল বা মৌমাছি সম্বন্ধে বলা হয়েছে। এই আয়াতটিতে ১৩টি শব্দ আছে। সূরাটির একেবারে প্রথম শব্দ থেকে গুনে গুনে এই নাহল শব্দটি পর্যন্ত শব্দ সংখ্যা ৮৮৪। তো কি হয়েছে ? ৬৮ নং আয়াতে ১৩ টা শব্দ থাকতেই পারে আর সর্বপ্রথম নাহল শব্দটিও থাকতেই পারে, এটার গুরুত্ব কি আছে! আছে বৈ কি, কারণ ১৩*৬৮=৮৮৪ হয় যে!!!
    কি অস্বাভাবিক গানিতীক অবস্থান এই কোরআন মেনে চলে!!!
    এই সূরার ৬৮ এবং ৬৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে কর্মি মৌমাছির কথা। ওখানে কর্মী মৌমাছিকে বলা হয়েছে”কুল্লিঅফাছলুক”। এই শব্দটির অর্থ স্ত্রী মৌমাছি ।অর্থাৎ কোরআন কমী মৌমাছিদেরকে বলেছে মেয়ে মৌমাছি।
    “আর তোমর প্রভু নারী মৌমাছিকে বললেন, তোমাদের বাসস্থা বানাও। পাহারে, বৃক্ষে আর মানুষের গৃহে” (সূরা নাহল:৬৮)।
    আগে আমরা জানতাম কর্মী মৌমাছি হল পুরুষ মৌমাছি। আজ আমরা জেনেছি কর্মী মৌমাছিদের আসলে কোন রাজা নেই আেছে রাণী আর কর্মী মৌমাছি হচ্ছে স্ত্রী মৌমাছি। কোরআন দেড় হাজার বছর আগে মৌমাছির লিঙ্গ সনাক্ত করেছিল ?

    ReplyDelete
  25. ▲▲ ৩৫। কিছু রহস্যময় আয়াত :
    ইলেকট্রিক বাল্ব : ” আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের নূর। তার নূরের উদাহরণ যেন এক কুলঙ্গি, যাতে আছে এক প্রদীপ, প্রদীপিট একটি কাচপাত্রে আবদ্ধ। কাচপাত্রটি নাশপতি ফল বা পৃথিবীর আকৃতির। যাকে প্রজ্জলিত করা হয়, পবিত্র বৃক্ষের তেল দ্বারা, যা পূর্বমূখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। যার তেল আলোর ঠিক নিকটে থাকে, যদিও অগ্নি উহাকে স্পর্শ করতে পারে না। জ্যোতির উপরে জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে পথ দেখান তার জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত সমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সর্ববিষয়ে জ্ঞানী। (নূর:৩৫)
    কার সাথে তুলনা করেছেন মহান আল্লাহ এই আয়াতে ? এটা কি আধুনিক যুগের ইলেকট্রিক বাল্ব নয় ? যা দেখতে পৃথিবীর মতই গোলাকার, কাচপাত্রে আবদ্ধ, যার তেল হচ্ছে ইলেকট্রন কনা, যার আলো সমভাবে ব্যাপ্ত হয় (কোন নির্দিষ্ট দিকে নয়) আর প্রজ্জলনের সময় এই তেলটা শিখার একেবারে কাছই থাকে, কিন্তু এই তেলে কখনো আগুন লাগে না। কি অবাক মিল এই বস্তুটির সাথে ?
    দেড় হাজার বছর আগের কোন মানুষ, যে ইলেকট্রিক বাল্ব দেখেনি, ইলেকট্রন এর বৈশিষ্ট জানেনা তাকে এর থেকে সহজ আর যৌক্তিক উপায়ে উলেকট্রিক বাল্ব সম্বন্ধে ধারনা দেয়া সম্ভব ?
    স্টেট অফ ম্যাটার : “কিতাবের জ্ঞান যার ছিল, সে বলল- আপনি আপনার দিকে আপনার চোখের পলক ফেলার পূর্বেই আমি উহাকে আপনাকে এনে দিব। অত:পর সুলায়মান যখন তা সামনে রক্ষিত দেখতে পেলেন, তখন তিনি বললেন এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ”। (সূরা নামল : ৪০)
    বস্তুর রুপান্তর করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, আলোর গতিতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এই টেকনোলজীকে বলে স্টেট অফ আর্ট বা ম্যাটার সাইন্স। এই তত্বটা নিয়ে সারা দুনিয়ায় ১৯৯৩ সালের পর থেকে ব্যাপক গবেষনা হচ্ছে। এমন একদিন আসবে হয়ত মানুষ চোখের পলকে একটি বস্তুকে আমেরিকা থেকে জাপানে পাঠিয়ে দিবে। এটা সম্ভব কারণ কোরআন বলছে হাজার হাজার বছর আগে সোলাইমান (আ এর যুগেই এমন ঘটনা ঘটে গেছে!
    ▲▲▲ ৩৬। কোরআনের ভবিষ্যতবানি :
    ১. মক্কার কাফেরদের অত্যাচারে টিকতে না পেরে আল্লাহ তায়ালার আদেশে মুহাম্মদ (স মদিনায় হিযরত করেন। মদিনায় তিনি ও তার সাথিরা এতোটা নি:স্ব অবস্থায় পৌছান যে উনাদের মাথা গোজার ঠাই না থাকায় খোলা ছাপরার মদ্ধে দিন পার করছিলেন। এ কারনেই ওনারা আসহাফে সুফফা নামে পরিচিত হয়ে উঠেন। তার উপর ছিল কাফেরদের আক্রনের ভয়। এমনি ভায়ানক পরিস্থিতিতে আল্লাহ তায়ালা ওহী পাঠালেন-
    “তুমি মসজিদুল হারামে নিরাপদভাবে প্রবেশ করবে, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় কোন ভয় ছারা। তোমার মস্তক মুন্ডিত অবস্থায় এবং কেশ কর্তিত অবস্থায়। তিনি যানেন তোমরা যা জান না। এবং আদেশক্রমে এই জায়গায় তোমাদেরই জয় হবে।” (সুরা ফাতাহ:২৭)
    সত্যি সত্যি কিছু কালের মদ্ধেই সমগ্র আরব ভূ-খন্ড আল্লাহর রাসূলের অধিকারে এসে গেল, আর মুহা্ম্মদ (স মক্কায় প্রবেশ করলেন কোন বাধা ছারাই। সামান্য কয়েকজন নি:স্ব গরীব লোক, ঐ সমস্ত লোককে অত্যন্ত শোচনীয়ভাবে পরাজিত করল, যারা সংখ্যায় ছিল অধিক, সময় ও পরিবেশ ছিল যাদের অনুকুলে এবং যাদের কাছে ছিল উন্নত সমরাস্ত্র ও ধন-সম্পদের প্রাচুর্য।

    ReplyDelete
  26. ২. কোরআনের আর একটি ভবিষ্যতবানী, যার উল্লেখ আমি এখানে করতে চাই তাহলো- ইরানীদের উপর রোমানদের বিজয়।
    “রোমানরা পরাজিত হয়েছে, সবকিছু নিচু জায়গায় এবং তারা পরাজয়ের পর বিজয়ী হবে এবং কিছু বছরের মদ্ধেই। অগ্র পশ্চাতের কাজ হাতেই, সেদিন মুমিনরা আনন্দিত হবে।” (সূরা রুম:২-৩)
    এই আয়াতগুলো নাযিল হয় ৬২০ সনে। তখন রোমান অর্থাৎ বাইজেন্টাইনরা, ইরান বা পারস্য শক্তির কাছে পরাজিত হয়ে নিজেরা এতটাই দূর্বল হয়ে পরেছিল যে নিজেদের অস্তিত্ব টিকবে কিনা এই নিয়ে শংসয় চলছিল। উক্ত আয়াত নাজিল হওয়ার ঠিক ৭ বছর পর ৬২৭ সনে রোমানরা অবিশ্বাস্যভাবে ইরানীদের পরাজিত করে। সত্যি প্রমাণিত হয় কোরআনের ভবিষ্যতবাণী।
    আর একটি বিষয় খুবি চাঞ্চল্যকর। বলা হয়েছে “রোমানরা পরাজিত হয়েছে, সবচেয়ে নিচু জায়গায় (Adna al-ard পৃথিবীর নিম্নতম স্থান)। – রোমানরা ইরানীদের কাছে যে জায়গায় পরাজিত হয় সেটা হল ডেড সি বেসিন। এটি কি সত্যি পৃথিবীর নিম্নতম স্থান ?
    আজকে বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, পৃথিবীর নিম্নতম স্থান হল ডেডসি বেসিন, এই স্থানটি সমুদ্রতল থেকে মিটার নীচে অবস্থিত। পূর্বে নিশ্চয়ই এটি জানা অসম্ভব ছিলো যে, এটিই পৃথিবীর সবচাইতে নিচু জায়গ। মহানবী (স এই জাযগাটির গভীরতা কি দিয়ে পরিমাপ করেছিলেন ?
    ৩. কোরআনের ভবিষ্যতবানীর আরেকটি দৃষ্টান্ত সূরা কাওসার। বিশ্বনবী (সএর পুত্র সন্তান মারা যাওয়ায় এবং তার দ্বিতীয় কোন জীবিত পুত্র সন্তান না থাকায় কোন কোন অজ্ঞ মুশরিকরা বলত, মুহাম্মদ (স এর বংশ নিশ্চিহৃ হয়ে গেছে। যে লোকটি রাসূল (স কে ‘আবতার’ বা বংশহীন বলে উল্লেখ করত পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক তাকেই ‘আবাতার’ বলে উল্লেখ করেছেন।বাস্তবেও হয়েছে তাই। লোকটির সন্তানাদি থাকা সত্বেও দু্ই প্রজন্ম পরই তার বংশ নিশ্চিহৃ হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্বনবী (স এর পবিত্র বংশধারা (আওলাদে রাসূল) তার কণ্যা হযরত ফাতেমা (রা এর মাধ্যমে অব্যাহত থাকে এবং তা আজো অব্যাহত রয়েছে। পবিত্র বৃক্ষের মত এর শাখা-প্রশাখা আজো ক্রমবর্ধমান। মহান আল্লাহ পাক সূরা কাওসারে বলেছেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওসার (তথা ব্যাপক কল্যাণ ও বরকত) দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নাময পড়ুন এবং কোরবানী করুন। যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বর্শ।”
    ৪. ফেরাউনের লাশ সংরক্ষন :
    কোরআনে আছে ফেরাউন ডুবে মারা গেছে আর মৃত্যুর পরও তার শরীর অক্ষত রাখা হবে, পরবর্তি সীমালংঘনকারীদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে।
    “বনী ইসরাইলকে আমি পার করে দিয়েছি নদী, অত:পর তাদের পশ্চাদ্ভাবন করেছে ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী, দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্ধেশ্যে, এমনকি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করলো, তখন বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি কোন মাবুদ নেই তিনি ছাড়া যার ইবাদত করে বনী ইসরাঈলরা। অতএব আজকের দিনে রক্ষা করছি আমি তোমার দেহকে যাতে তা তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। নি:শন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।” (সূরা ইউনুস:৯২)।
    ঐতিহাসিকগণ ১৮৯৮ সালে ফেরাউনের লাশ উদ্ধার করেন। যা আজ মিশরের কায়রোতে দ্যা রয়েল মমী হলে একটি কাচের সিন্দুকের মধ্যে রয়েছে। এর দৈর্ঘ ২০২ সেন্টিমিটার। ৩১১৬ বছর পানির নীচে থাকা সত্ত্বেও তার লাশে কোন পচন ধরে নি। এটা কি মোটেও যৌক্তিক ? মুহাম্মদ (স এর যুগের আরব জাতি ও অন্যরা মিশরীয়দের মধ্যে, ফেরাউনের পানিতে ডুবে মারা যাওয়া কিংবা তার লাশ যে সংরক্ষিত হবে এরকম ভবিষ্যতবানী করা এবং তা মিলে যাওয়া এক কথায় অসম্ভব।

    ReplyDelete
  27. ৫. ইরাম শরহ এর রহস্য :
    কোরআন মাজিদের সূরা আল ফজর এর সাত নং আয়াতে ইরাম নামক একটি শহর এর ধ্বংস এর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইরাম নামক কোন শহর এর নাম পৃথিবীর ইতিহাসে খুজে পাওয়া যায় না। এজন্য ঐতিহাসিক ও তাফসিরকারকগণ ঐ শহরটির সম্বন্ধে কোন ব্যাখ্যা দিতে পারতেন না। বহুদিন ধরেই বেশ রহস্য তৈরী করে রেখেছিল কোরআন।
    ১৯৭৩ সালে সিরিয়ার এরলুস নামক একটি প্রাচিন শহর খননের সময় কিছু শিলালিপি পাওয়া যায়। এ সমস্ত লিপি পর্যবেক্ষন করে সেখানে ৪০০০ বছরের পুরনো একটি সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। শিলালিপিগুলোতে উল্যেখ পাওয়া যায় ইরাম নামক একটি শহরের নাম, যে শহরের সাথে তৎকালীন এরলুস শহরের লোকজন ব্যবসা-বানিজ্য করতো।
    এই সত্যটা অবিস্কার হলো মাত্র সেদিন, ১৯৭৩ সালে। এর আগে কেউ এই শহরের রহস্য জানতো না। অথচ কোরআন শহরটির কথা বলে গিয়েছে ১৪০০ বছর আগে। কোরআনের উৎস কোথায় ?
    ▲▲▲ ৩৭। কোরআনের শব্দ রিপিটেশন চ্যালেঞ্জ :
    কোরআনের আয়াত রচনার জন্য Choose করা বিভিন্ন শব্দগুলো নেয়া হয়েছে বিশেষ নিয়মে। একই অর্থবোধক ও বিপরীত অর্থবোধক শব্দগুলোর রিপিটেসনের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য বজায় রাখা হয়েছে।
    ✄✄✄ অতএব এমন একটা বই যেটার মত লেখা, মানুষের ক্ষমতা ও শক্তির বাহিরে। এর পিছনে হাত আছে এক মহান শক্তির।
    আর বইটির মালিক বলেই দিয়েছেন-
    “বলূন: যদি সকল মানব আর জ্বীন মিলে, এই কোরআনের অনুরুপ রচনা আনয়ন করার জন্য জড়ো হয় এবং তারা পরস্পরকে সাহায্যও করে; তবুও তারা কখনো এর অনুরুপ কিছু আনতে পারবে না। (সূরা বনী ইসরাইল”৮৮)।
    ................................................................................
    আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে উনার রহমত হিসেবে দেয়া সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল-কোরআনের বানী বুঝার এবং সেই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন।
    (আমিন)

    ReplyDelete
  28. গাধা গাধাই থাকবি😂
    কোরান নাজিল হয়েছে মানব জাতীর জন্য । সে মানব জাতী যদি কোরান পড়ে তোর হিসাবে
    ১. শুরু কর আমার নামে, আমি পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু l
    ২. সমস্ত প্রসংসা আমার জন্য, আমি জগতসমূহের প্রতিপালক l
    ৩. আমি পরম করুনাময়, অতিশয় দয়ালু l
    ৪. আমিই প্রতিফল দিবসের মালিক l
    ৫. সুতরাং তোমরা শুধু আমারই ইবাদত করো এবং আমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো l
    ৬. কারণ আমিই তোমাদের সরল সঠিক পথ-প্রদর্শন করি l
    ৭. তাদের পথ যাদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছি; তাদের নয় যাদের প্রতি আমার গযব বর্ষিত হয়েছে, এবং তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট l

    এমনি হবে ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অসাধার উত্তর ভাই👍👍👍👍

      Delete
  29. সুরা ফাতিহা প্রথম নাযিলকৃত আয়াত নয়,আপনার ভুল হচ্ছে লেখক সাহেব।

    ReplyDelete
  30. ধর্মান্ধতা এক দূরারোগ‍্য ব‍্যধি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. নাস্তিকতা এক অমানুষিক রিতি

      Delete
  31. ভাই যারা এসব বলছেন না যে কুরান আল্লাহর বানী নয় ধ্বংস তো হবেন ই। আর আজ দোয়া করলাম আল্লাহ যদি হেদায়াত দিয়ে মাফ করেন। আপনি নিজের কবর নিজে খুরছেন আর সেখানে পোকামাকড় ছাড়ছেন

    ReplyDelete
  32. https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&opi=89978449&url=https://sahihislambd.wordpress.com/2014/10/25/%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A3%25E0%25A7%2580-%25E0%25A6%25A4/&ved=2ahUKEwjOnt6srbyFAxXxzDgGHR5XB4M4ChAWegQIEBAB&usg=AOvVaw16GAWNplG07qhnRiD-6Dnj

    ReplyDelete