Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, March 4, 2016

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ১৪) দুই দরিয়ার পানি কি একে অপরের সাথে মিশতে পারে না? নাকি সেটা আল্লাহর জানাই ছিল না বলে প্রাচীণ আরবের ভূল ধারণাটাই কুরআনে লিখে দিয়েছে?


মুসলমানরা দাবি করে তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআন হলো পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা তাদের আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নিজের হাতে রচনা করেছে এবং সে নিজেই এর রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। তাদের ধর্মগ্রন্থটিই অবিকৃত অবস্থায় আছে। তাই তাদের ধর্মগ্রন্থটিই পৃথিবীর একমাত্র সত্য ধর্মগ্রন্থ। মুসলমানরা আরো বলে তাদের ধর্মগ্রন্থটি অবশ্যই (আরবীয়) সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছ থেকে আসা ঔষী গ্রন্থ। তাদের দাবী কুরআনে বহু বৈজ্ঞানীক তথ্য দেওয়া আছে। মুসলমানদের যে দাবীটা সব চেয়ে বেশী বার আসে সেটা হলো তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনে একটা ভূলও নেই। আর তাই এটা অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর লেখা বই।
একটা বইতে কোন ভূল না থাকলেই সেটা কিভাবে সৃষ্টিকর্তার বই হয় সেটা ভেবে পাই না। পৃথিবীতে অনেক বই আছে যা সত্য এবং প্রমাণিত বাস্তবতার কথা বলে। কিন্তু কেউই সেটাকে সৃষ্টিকর্তার বই বলে দাবী করে না।


সত্যিই কি কুরআনে কোন ভূল নেই? মুসলমানরা চোখ বন্ধ করে দাবী করে, অবশ্যই কুরআনে কোনই ভূল নেই।  কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী মুসলমানরা বাদে পৃথিবীর সব যুক্তিবাদী, বিধর্মী এবং জ্ঞানী মানুষ আছে তারা সবাই কুরআন পড়ে বুঝতে পারে এতে প্রচুত ভূল এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়া আছে। যেহেতু কুরআনে সাধারণ বিষয়গুলোর বর্ণনাতেই নানাবিধ ভূল ভ্রান্তি এবং প্রাচীণ আরবের ধ্যাণ ধারণা রয়েছে, তাই কুরআন কখনও কোন সৃষ্টিকর্তার রচিত গ্রন্থ হতে পারে না।
আমরা সবাই জানি কুরআন কিভাবে রচিত হয়েছে। মুহাম্মদ নামের এক প্রাচীণ আরবীয় লোক কুরআনের কথাগুলোকে বর্ণনা করেছে এবং তার অনুসারীরা সেগুলোকে নানা যায়গায় লিখে রেখেছে। মুহাম্মদের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে লিখিত কুরআনের কথাগুলোকে একসাথে করে সেগুলোকে গ্রন্থাকারে লিখে রাখা হয়। উসমানের সময়ে গ্রন্থাকারে সংকলিত মুহাম্মদ বর্ণিত কথামালাগুলোই আজকের কুরআন।
তাহলে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর কোন মানুষই কুরআনকে আকাশ থেকে পড়তে দেখেনি, কোন মানুষই দেখেনি মুহাম্মদের বলা কুরআনের সেই কথাগুলো আল্লাহ বলেছে; কোন মানুষই ওইসব কথাগুলোকে মুহাম্মদের কাছে অন্য কারো কাছে থেকে আসতে দেখেনি। তারা কোন ফেরেশতা বা আল্লাহর কথা শুনেনি আর কুরআন আকাশ থেকেও পড়েনি। তাহলে মুসলমানরা কেন দাবী করে যে এটা আল্লাহর রচিত গ্রন্থ? মুহাম্মদের বলা কথাগুলো কোন ভাবেই কোন সৃষ্টিকর্তার বই হতে পারে না।
আবার কুরআনের যত ভূলভ্রান্তিযুক্ত কথা আছে যা ততকালীন আরবের সাধারণ মানুষের ধ্যান ধারণার সমষ্টি সেই কথাগুলোই প্রমাণ করে কুরআন কোন অতিক্ষমতাবাণ বা সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়। বরং সে সময়ের কোন সাধারণ আরবীয় মানুষের নিজের বানী। কুরআন যেহেতু মুহাম্মদ লিখেছে বা বর্ণনা করেছে তাই কুরআন হলো মুহাম্মদের নিজের বাণী।

কুরআন আল্লাহর বাণী নয় এটা প্রমাণ করেছে পৃথিবীর বহু মানুষ। কিন্তু তারপরেও মুসলমানরা ত্যাঁড়ামো করে বলতে থাকে না কুরআন অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার বাণী। তারা তাদের দাবীর পক্ষে নানা কুযুক্তি তুলে ধরে। কুরআনের নতুন অর্থ এবং ব্যাখ্যা দাড় করে। এবং বলতে থাকে কুরআন সত্য, কুরআনে কোন ভূল নেই, কুরআনে বিজ্ঞানের কথা বলা হয়েছে। এসব অবশ্য কুরআনে নেই তবে তারা কুরআনের ভূলগুলোকে সংশোধন করে কুরআনের নতুন সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ করে এবং ভিন্ন ব্যাখ্যা হাজির করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বলে দাবী করে।
কিন্তু একথা প্রমাণিত যে কুরআন আসলে মুহাম্মদের লেখা বা রচিত বাণী বা কথার সংকলন। এজন্যই কুরআনে নানা ভূল ভ্রান্তি রয়েছে। এজন্য আধুনিক কালের মুসলমানগুলো এই কুরআনের  অর্থের পরিবর্তন করে এবং নতুন ভিন্ন ব্যাখ্যা হাজির করে কুরআনের ভূলগুলোকে সংশোধন করে নেয় এবং কুরআনকে বিজ্ঞানময় বলে দাবি করে। এটা পক্ষান্তরে কুরআন যে কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় সেটাই প্রমাণ করে। কারণ যদি কুরআন সত্যিই কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী হতো তবে এর অর্থ পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ এনে কুরআনকে ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করে একে সৃষ্টিকর্তার বাণী বানানোর অপচেষ্টা করতে হতো না। এটা তখন এমনিতেই সৃষ্টিকর্তার বাণী হতো এবং এর মধ্যে কোনই ভূল, মিথ্যা অবৈজ্ঞানীক কথা থাকতো না। আর এর অর্থ পরিবর্তন করে একে সংশোধন করতেও হতো না।

কুরআন যে সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় এটা পৃথিবীর অনেক জ্ঞানী মানুষই প্রমাণ করেছে এবং অতি নগন্য মানুষ হয়েও আমিই এই সিরিজের আগের পর্বগুলোতে প্রমাণ করে দিয়েছি। যেহেতু অন্ধবিশ্বাসী মুসলমানরা এতো প্রমাণ দেখেও তারা খুব সহজে তাদের কুসংস্কার থেকে বের হবে না তাই তাদের সুবিধার জন্য এই পর্বেও একটি প্রমাণ উপস্থাপন করবো যাতে তারা কুরআনের ভূলকে বুঝতে পারে এবং কুসংস্কার থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে (যেভাবে আমি বেড়িয়ে এসেছি)

মুহাম্মদের সময়ের আরবের মানুষগুলো নানা রকম ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বসবাস করতো। তারা কাবা শরীফের পাথরকে কেন্দ্র করে একটি মন্দির তৈরী করেছিল যা বংশ পরম্পরায় আরবদের নানা গোষ্ঠির মানুষের তীর্থস্থানে পরিনত হয়েছিল। সেখানে পৌত্তলিক ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন ধর্মী অনুসারীরা পরস্পরের সাথে মিলে মিশে ধর্মচর্চা করতো। কেউ মানাতের পুঁজা করতো কেউ লাতের পুজা করতো, কেউ বা উজ্জ্বার পুঁজা করতো। তবে তাদের মোটামুটি প্রত্যেকে কাবা শরীফের প্রধান দেবতা আল্লাহকে মান্য করতো। অনেকে আল্লাহকে প্রধান দেবতা হিসেবে মানতো না।
সেসময়ের মানুষ মনে করতো আকাশ হলো সাতটা, পৃথিবী সমতল এবং দেখতে ঘরের ছাদের মতো আকাশটা আসলেই ঘরের ছাদের মতই সমতল পৃথিবীর উপর স্থাপন করা হয়েছে। তারা ভাবতো পৃথিবী সমতল হওয়ায় এটি কোন এক দিকে কাঁত হয়ে পড়ে যেতে পারে। তাই পাহাড় পর্বতগুলো স্থাপন করা হয়েছে। পৃথিবীতে পাহাড় পর্বতগুলো স্থাপন করার জন্যই পৃথিবী কোন এক দিকে কাঁত হয়ে ঢলে পরে না।
সেই প্রাচীণ আরবের মানুষগুলো এরকমের ভ্রান্তিযুক্ত মিথ্যা ধারণাগুলোকেই সত্য বলে বিশ্বাস করতো। তারা আরও বিশ্বাস করতো পৃথিবীতে স্থাপিত সমুদ্রগুলো পরস্পরের সাথে মিশে থাকে কিন্তু পাশাপাশি মিশে থাকা সমুদ্রগুলোর পানি একে অপরের সাথে মিশে না। মুলত আরবদের এই ভ্রান্ত ধারণাটি নিয়েই আজকের পর্বটিতে আলোচনা করা হবে।
সেসময় আরবের মানুষগুলো খুব বেশী দেশ ভ্রমণ করতে পারেনি। তারা মুলত ব্যবসার জন্য পার্শবর্তী দেশগুলোতে ভ্রমণ করতো। মিশর হল আরবের পাশের দেশ। কিন্তু তবুও আরবের মানুষ সে সময় খুব বেশী মিশরে যেতো না। তারা মুলত সিরিয়াতে যেতো ব্যবসার উদ্দেশ্যে। দুর্গম আরবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জ্ঞান বিজ্ঞানের খবর খুব কমই আসতো। যদিও সেসময় গ্রীকরা জ্ঞানে অনেক এগিয়ে ছিল কিন্তু আরবরা ততটা উন্নতি সাধন করেনি। তবে তাদের কাছে গ্রীকদের জ্ঞানের ছোয়া কিছুটা লাগতো। যেহেতু গ্রীকদের দর্শন আরবে আসতো বিভিন্ন হাত ঘুরে তাই তারা গ্রীকদের প্রকৃত জ্ঞান পেতো না। যা পেতো তা অনেকটাই ভ্রান্ত। ফলে মুহাম্মদের সময়ের আরবরা আসলে পানির গুনাগুন সম্পর্কে ছিল পুরোপুরিই অজ্ঞ বা বিভ্রান্ত। তারা জানতো না পানি কিভাবে পরস্পরের সাথে মিশে যায়। কোন প্রক্রিয়াতে পানি মিশ্রিত হয় সেটা যেমন তারা জানতো না ঠিক একই ভাবে তারা জানতো না কিভাবে এবং কেন পানির ভিন্ন ভিন্ন মিশ্রনগুলো ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে। যদিও বা নানা মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হতে হতে এসব ধারণা আরবে প্রবেশ করতো তবুও এই ধারণাগুলো পরিবর্তিত বা বিকৃত হয়ে যেতে। ফলে আরবের মানুষের পক্ষে সম্ভব হতো না গ্রীকদের অভ্রান্ত দর্শন বা জ্ঞান সম্পর্কে পরিশুদ্ধ ধারণা করা। ফলে তারা নানা ভাবেই হতো বিভ্রান্ত।
কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান সম্পর্কে ভাসা ভাসা এবং অবশ্যই বিকৃত তথ্য আরবদের জানা ছিল। একারণেই মুহাম্মদ এবং তার সময়ের মানুষগুলো নানা ভ্রান্তিকর তথ্যগুলোকেই সত্য বলে বিশ্বাস করতো। আর এর প্রভাব কুরআনে প্রকট।
আরব মরুভূমির দেশ হলেও আরবের পাশেই সমুদ্র ছিল। যেমন মিশর এবং সৌদি আরবের মাঝামাঝি লাল সাগর বা রেড সি অবস্থিত। এই সাগরটি মক্কা থেকে খুব বেশী দুরে নয়। ফলে তারা সমুদ্রের পানি সম্পর্কে নানা রকম ধারণা রাখতো যার বেশীর ভাগই ভূল ছিল।
মিশরের নীদ নদ সে সময়ে আরবদের কাছে খুব বিখ্যাত ছিল। মুসা নবী এবং ফেরাউন বা রাজার কাহিনী সে সময় মিশর এবং আরবের অনেক দেশেই প্রচলিত ছিল। যে অংশটিতে নীল নদের পানি ভূমধ্য সাগরে পড়তো সেখানে পানির ভিন্ন মিশ্রনের আচরণগত পার্থক্যগুলো স্পষ্ট করে বুঝা যায়। সেসময়ের মানুষও এটা পর্যবেক্ষন করেছিল। তারা যেহেতু সমুদ্রের পানি কেন পাশাপাশি প্রবাহিত হওয়ার ফলেও পরস্পরের সাথে মিশে না সেটা দেখে অবাক হয়ে যেতো। যেহেতু সে সময়ের আরবের মানুষ জানতো না পানি কিভাবে পরস্পরের সাথে মিশে বা কেন দু রকমের পানি (যেমন গরম পানি শীতল পানি) মিশলেও কিছু সময় তারা ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে। ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা পানি কেন পরস্পরের থেকে ভিন্ন থাকে কিছু সময় সেটা তৎকালীর আরবের মানুষের পক্ষে জানা প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু তারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতো। অর্থাৎ তারা জানতো যে সমুদ্রে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা পানির মধ্যে একটি পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু কেন এই পার্থক্য বিরাজ করে কিছু জায়গা বা কিছু সময় জুড়ে সেটা আরবদের জন্য ছিল এক রহস্য। কিন্তু তৎকালীন গ্রীকরা পানির বৈশিষ্ট সম্পর্কে যথেষ্ট ভালো ধারণা রাখতো। তাই তারা বুঝতো কেন ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা সমুদ্রের পানির বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হয় এবং তা কিভাবে ঘটে। ফলে তাদের কাছে এটি কোন রহস্যময় ব্যপার ছিল না।
পানির এই ভিন্নতার ব্যাপারটিও মিশর ছাড়িয়ে আরবের মক্কাতে এসে পৌঁছে ছিল। কিন্তু যেহেতু এই বিষয়টি নানা মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ঘুরে মক্কায় এসেছিল তাই কথাটার একটু বিকৃতি বা পরিবর্তন ঘটে। যদিও মিশর বা আরবের অনেক মানুষ জানতো যে সমুদ্রের পানির বৈশিষ্ট্যের এই পার্থক্যটা কিছু নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যেই স্বীমাবদ্ধ থাকে। সেই নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রম করার পরে পানির বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা দুর হয়ে যায় এবং ভিন্ন ভিন্ন পানি পরস্পরের সাথে মিশে যায়। কিন্তু যখন এই বিষয়টি আরবে তথা মক্কায় আসে তখন কথাটা দাড়ায় পানি কখনই মিশে না। অর্থাৎ আরবরা জেনেছে সমুদ্রের ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা পানি কখনই মিশে না।
এই ভ্রান্ত ধারণাটি আরবের মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হতো। মুহাম্মদও এই ভ্রান্ত ধারণটি রাখতো। আর তার কাছেও ব্যাপারটি রহস্যময় ছিল। এজন্যই সে কুরআনে অলৌকিকতার নিদর্শন স্বরুপ এই উদাহরণটি দিয়েছিল। যেহেতু সমুদ্রের ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা পানির বিষয়টি মুহাম্মদ জানতো ভ্রান্তভাবে তাই সে কুরআনে এই কথাটি ভ্রান্তভাবেই বর্ণনা করেছে।  

কুরআনের সূরা ফুরকান-এর ৫৩ নং আয়াতে বলা আছে,
তিনিই দুই সমুদ্রকে মিলিত ভাবে প্রবাহিত করেছেন, একটি মিষ্টি, মজাদার এবং অপরটি লবণাক্ত, বিস্বাদ; উভয়ের মধ্যে রেখেছেন এক অন্তরায়, এক শক্ত ব্যবধান। (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)
মুহাম্মদ জানতো সমুদ্রে যখন নদীর পানি প্রবেশ করে এবং প্রবাহিত হয় তখন ওই পানিটা তখনও মিষ্টি সুপেয় থাকে। অপর দিকে সমুদ্রের পানি হল লবনাক্ত এবং অপেয়। অর্থাৎ নদীর পানি সমুদ্রে গেলেও এটি সমুদ্রের পানির সাথে মিশে না। তাই সে ভেবেছিল নদীর মিষ্টি পানি সমুদ্রে যায় ঠিকই কিন্তু সমুদ্রের পানির সাথে মিশতে পারে না কারণ নদীর পানি এবং সমুদ্রের পানির মাঝখানে একটি অন্তরায় বা প্রতিবন্ধক রয়েছে। এই প্রতিবন্ধকটিই সমুদ্রের পানির সাথে নদীর পানিকে মিশতে দেয় না। তৎকালীন আরবের সাধারণ মানুষের মত মুহাম্মদেরও এই ভ্রান্ত ধারনাটি ছিল। আর সে তার ভ্রান্ত ধারণটিই কুরআনে লিখে রেখেছে এবং তখনকার আরবদের জন্য নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছে (কারণ তখনকার আরবদেরও সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণ ছিল)
এই আয়াতটির অন্য আরেকটি অনুবাদ দেখা যাক,
"It is He Who has let free the two bodies of flowing water: One palatable and sweet, and the other salt and bitter; yet has He made a barrier between them, a partition that is forbidden to be passed." (অনুবাদ- Abdullah Yusuf Ali)

স্পষ্টতই এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে দুই ভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা পানি পরস্পের সাথে মিলিত ভাবে প্রবাহিত হলেও সেই ভিন্ন রকমের পানি একটার সাথে আরেকটা মিশে না। কারণ এদের মধ্যে একটি প্রতিবন্ধক বা অন্তরাল থাকে। আর এই প্রতিবন্ধক বা অন্তরালকে দুই সমুদ্রের পানি অতিক্রম করতে পারে না। এজন্যই মুজিবুর রহমান একে শক্ত দেয়াল বলে অবিহীত করেছেন। একই কথা ইউসুফ আলিও বলেছেন।

একই কথা বলা আছে সূরা রহমান-এর ১৯-২০ নং আয়াতে,
"তিনিই দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন যারা পরস্পর মিলিত হয়,
দুয়ের মধ্যে রয়েছে এক অন্তরাল যা ওরা অতিক্রম করতে পারে না।" (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)
দেখাই যাচ্ছে এখানে বলা হচ্ছে, দুই সমুদ্রের পানি প্রবাহিত হয় মিলিত ভাবে কিন্তু তারপরেও একটার পানি আরেকটার পানির সাথে মিশে না। কারণ এদের মধ্যে একটি অন্তরাল আছে যা এই দুই পানি অতিক্রম করতেই পারে না।

প্রাচীন মিশর, আরব এবং সিরিয়ার মানুষরা দেখেছে সমুদ্রের দুই ধরণের পানি প্রবাহিত হতে। এই ভিন্ন ধরণের পানি পাশাপাশি প্রবাহিত হওয়া এবং কিছু সময় স্থানব্যপী বিস্তৃত হওয়া দেখে তারা বুঝতে পারেনি কেন এমনটা ঘটে। তাই তারা এটাকে অলৌকিক ব্যাপার বলে মনে করেছে। আর এই কথাটা যখন সিরিয়া মিশর হয়ে যখন আরবের মক্কায় আসে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পরার মাধ্যমে তখন এই কথাটার কিছুটা বিকৃতি ঘটে। আর এর সাথে যুক্ত হয় যে এই দুই ভিন্ন পানি পাশাপাশি প্রবাহিত হয় কিন্তু মিশে না এর কারণ হলো এদের মধ্যে একটি অন্তরাল বা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আর এই প্রতিবন্ধক বা অন্তরালটা উপন্থিত থাকার কারণে এই দুই রকমের পানি মিশতে পারে না। কারণ দুই রকমের পানি এই অন্তরালটা অতিক্রম করতে পারে না।
এই ধারণাটা তৎকালীন অন্যান্য আরবীয়দের মত মুহাম্মদের জানা ছিল। তাই সে এই ভ্রান্ত ধারণাটুকু কুরআনে যুক্ত করে দেয়। আর দাবী করে দুই রকমের পানি পাশাপাশি প্রবাহিত হলেও একে অন্যের সাথে মিশে না কারণ আল্লাহ এদের মধ্যে একটি অদৃশ্য দেয়াল তৈরী করে রেখেছে যা পানি অতিক্রম করতে পারে না।

এখন প্রশ্ন হলো যদি কুরআন কোন অতিক্ষমতাবাণ সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তাই লিখে থাকে তবে কুরআনে প্রাচীণ আরবের মানুষদের ভ্রান্ত ধারণা কেন লেখা রয়েছে? এর উত্তর একটাই, মুহাম্মদের মতো প্রাচীণ আরবের দ্বারা কুরআন রচিত বলেই মুহাম্মদের প্রাচীণ ভ্রান্ত ধারণাগুলো কুরআনে সত্য বলে উপস্থাপন করা আছে। অর্থাৎ কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বানী নয় বরং কুরআন হলো মুহাম্মদের লেখা একটা প্রাচীণ ধ্যাণ ধারণার বই।  

সত্যিই কি কুরআনের করা দাবির মতো দুই সমুদ্রের পানি পাশাপাশি প্রবাহিত হয় কিন্তু তারা পরস্পরের সাথে মিলিত হয় না? নাকি মিলিত হয়?

সম্পর্কে বুঝতে হলে আগে বুঝতে হবে পানির মিশ্রন কাকে বলে? পানি কিভাবে মিশ্রিত হয় অর্থাৎ পানি মিশ্রিত হওয়ার প্রক্রিয়া কি?

মিশ্রনঃ সাধারণত কোন একটি পদার্থের সাথে অন্য কোন পদার্থকে মিশিয়ে দেওয়াকেই মিশ্রন প্রক্রিয়া বলে। যেমন বালুকে যদি চিনির সাথে মেশানো হয় তবে সেটা হবে একটি মিশ্রন। আবার চিনিকে যদি পানির সাথে মেশানো হয় তবে সেটাও হবে মিশ্রন।
পানির সাথে মিশ্রন ক্রিয়ায় দুটি ব্যাপার ঘটে; একঃ কিছু পদার্থ পানির সাথে সমসত্ব মিশ্রনে মিশে যায়। যেমন চিনি, লবন ইত্যাদি। প্রক্ষান্তরে বালু পানির সাথে সমসত্বভাবে মিশ্রিত হয় না। সমসত্ব মিশ্রণ হলো যে মিশ্রনে মিশ্রিত অনুগুলোর অনুপাত সমভাবে থাকে। যেমন পানি আর চিনির সরবতে পানি এবং চিনির অনুপাত সব জায়গায় সমান থাকে। সমুদ্রে পানির সাথে লবণের সমসত্ব মিশ্রন ঘটে বলে সমুদ্রের পানি লবনাক্ত এবং বিস্বাদ লাগে। আবার সমুদ্রের পানির সাথে বালুর সমসত্ব মিশ্রন ঘটে না বলে পানিকে বালু বালু লাগে না (যদি না খাবার পানিতে বালু ঘুরাফেরা করে)।

পানিকে তাপ দিলে ওই তাপ পানির সব জায়গায় সমভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তাপ আর পানি সমসত্ব মিশ্রনের মতো কাজ করে তবুও তাপ আর পানির মিশ্রনকে মিশ্রন বলা হয় না। কারণ তাপ কোন পদার্থ নয়। তবে তাপের একটি ধর্ম হলো তাপ নিজেই উচ্চ তাপমাত্রা থেকে নিম্ন তাপমাত্রার দিকে প্রবাহিত হয় যে পর্যন্ত না তাপমাত্রা সমান হয়। যদি শীতল পানিতে গরম পানি ছেড়ে দেওয়া হয় তবে তাপ সাথে সাথে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে না। বরং তাপ ধীরে ধীরে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এবং তাপমাত্রা সর্বত্র সমান না হওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।
আবার যদি লবণহীন পানির সাথে লবণযুক্ত পানি যোগ করা হয় তবে লবণ সাথে সাথেই সমস্ত লবণহীন পানিতে মিশে যায় না। এটি সমসত্ব মিশ্রনে যেতে কিছুটা সময় নেয়। উভয় ক্ষেত্রে (তাপ এবং লবণাক্ততা) যদি আলোড়ন বা নাড়াচাড়া করা হয় তবে অপেক্ষাকৃত অনেক কম সময়ের মধ্যেই তাপমাত্রা এবং লবনাক্ততা চারদিকে সমভাবে ছড়িয়ে পড়ে বা সমসত্ব মিশ্রনে চলে যায়।

এই বিষয়ে আলোচনা করতে হলে ব্যাপন সম্পর্কে একটু জেনে নিতেই হবে।
ব্যাপন হচ্ছে এমন এক প্রক্রিয়া যাতে কোন পদার্থ (সাধারণত তরল এবং বায়বীয় পদার্থ) অপেক্ষাকৃত কম ঘনত্ব থেকে বেশী ঘনত্বের দিকে ধাবিত হয়। যেমন পানিতে যদি এক চামচ চিনি ঢেলে দেওয়া হয় তবে এই চিনি প্রথমে দ্রবিভূত হবে এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। যে স্থানটিতে চিনি  থাকবে সেই স্থানে চিনির পরিমান (ঘনত্ব) বেশী থাকবে পক্ষান্তরে তার চারদিকে চিনির পরিমাণ কম থাকবে। এজন্য চিনি পানির অভ্যন্তরিন চিনিহীন জায়গাতে চলে আসতে থাকবে। এভাবে যতক্ষন চিনি সম্পূর্ণ পানিতে সমভাবে ছড়িয়ে না পড়বে ততক্ষন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।
আবার যদি বাতাসে কোন সুগন্ধি ছেড়ে দেওয়া হয় তবে সেই সুগন্ধি বাতাসের চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। সুগন্ধির অনুগুলো বাতাসের সুগন্ধিহীন জায়গাগুলোতে যেতে থাকে এবং ঘনত্ব একই রকম না হওয়া পর্যন্ত ব্যাপন প্রক্রিয়া চলে।
যখন স্বাদুপানি সমুদ্রের লোনা পানির সাথে মিশে তখন সাথে সাথে লোনা পানিতে দ্রবীভূত লবণের অনু চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে না। বরং ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সমস্ত পানির সমসত্ব মিশ্রণে পরিণত হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু সমুদ্রে পানির পচন্ড স্রোত থাকায় লোনা পানি আর স্বাদু পানি সমসত্ব মিশ্রন সম্পন্ন হবার আগেই পানি অনেক দুরে চলে যায়। এভাবে পানির স্রোতের তীব্রতার দরুণ একটা নির্দিষ্ট দুরত্ব পর্যন্ত পানি পুরোপুরো সমসত্ব মিশ্রণে মিশ্রিত হতে পারে না। কিন্তু সমস্ত জায়গা জুড়েই মিশ্রণ প্রক্রিয়া চলতে থাকে।  
কুরআন যেভাবে দাবী করেছে, দুই সমুদ্রের পানি মিশে চললেও তারা পরস্পরের সাথে মিলিত হয় না বা তাদের মধ্যে মিশ্রন ঘটে না বা দুই পানি মিশতে পারে না কথাটি সম্পূর্ণই মিথ্যা। প্রকৃত সত্য হলো নদীর পানি সমুদ্রের পানির সাথে মেশার সাথে সাথেই তাদের মধ্যে লবণ জনীত মিশ্রন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং স্রোতের কারণে এই প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে পানি অনেক দুরে চলে আসে। এজন্যই একটা নির্দিষ্ট জায়গা জুড়ে একটা অস্থায়ী এলাকা তৈরী হয় যেখানে আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় এখানে বুঝি দুই পানি মিলিত হচ্ছে না। সাধারণ চোখে দেখলে এমনটিই মনে হয়। কিন্তু অনুসন্ধিত চোখে দেখলে খুব স্পষ্ট করেই বোঝা যায় যে ওই অঞ্চলটিতেও প্রতিনীয়ত মিশ্রন ঘটছে। যেটা কোন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না। ফলে কোন মানুষ যখন ওই জায়গাটিতে যায় এবং দেখে দুই পাশে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পানি প্রবাহিত হচ্ছে কিন্তু তারা মিশ্রিত হচ্ছে না। তখন সে ধরে নেয় সেখানে কোনই মিশ্রন ঘটছে না। প্রকৃতপক্ষে আসলে সমস্ত জায়গা জুড়েই স্বাদুপানি আর লোনা পানির মধ্যে প্রতিনীয়ত মিশ্রন ঘটে চলে যা খালি চোখে মানুষ দেখে না। বিশেষ করে সেই মানুষটি যদি হয় জ্ঞান বিজ্ঞানে অজ্ঞ কোন প্রাচীণ আরবীয় ব্যাক্তি। ফলে তার ভ্রান্তি ঘটা সাভাবিক যে দুই সমুদ্রের পানি পরস্পরের সাথে মিশছে না। থেকে সে ধারণা করতেই পারে যে এই অঞ্চলটিতে একটি অদৃশ্য অন্তরাল বা প্রতিবন্ধক রয়েছে যা পানিকে পরস্পরের সাথে মিশতে দেয় না। আর সেই কথা মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে কোন এক মরু বাসির কাছে পৌঁছে যে নিজেও জ্ঞান বিজ্ঞান সম্পর্কে সম্পূর্ণই অজ্ঞ, সেই ব্যাক্তি ধরেই নিবে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করবে যে দুই সমুদ্রের দুই রকমের পানি পরস্পরের সাথে মিশে না। কারণ এদের মাঝে এক অদৃশ্য অন্তরায় বা দেয়াল আছে।  আর যদি সে সেটা কোন গ্রন্থে লিখে রাখে তবে যুগ যুগ ধরে অজ্ঞ মানুষেরা বিশ্বাস করতে থাকবে যে আসলেই দুই সমুদ্রের পানি পরস্পরের সাথে মিশে না। কারণ তাদের মধ্যে একটি অন্তরায় বা প্রতিবন্ধক বা দেয়াল আছে।
যেহেতু কুরআনে এই ভ্রান্তিকর তথ্যটি রয়েছে তাই ধারণা করা যায় কুরআন লেখক এক ভ্রান্তিকর তথ্যে বিশ্বাস করেছে সত্য বলে এবং সেটাকেই সত্য বলে ধরে নিয়ে কুরআনে লিখে দিয়েছে। এ থেকে প্রমানিত হয় কুরআন হল কোন আরবীয় অজ্ঞ মানুষের লেখা অজ্ঞতাসম্পন্ন বই।

মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে অক্সিজেন বা গ্লুকোজ রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে কোষে পৌঁছে। রক্তনালীর বাইরে থেকে অক্সিজেন বা গ্লুকোজ কোষের মধ্যে প্রবেশ করে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কোষের বাইরে (রক্তে) অক্সিজেন ও গ্লুকোজের পরিমাণ বেশী কিন্তু কোষের ভিতরে কম। ফলে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ ব্যাপনের মাধ্যমে রক্তনালী থেকে কোষের ভিতর প্রবেশ করে। এখানে লক্ষনিয় ব্যাপার হচ্ছে অক্সিজেন, গ্লুকোজ বা অন্যান্য উপাদানের ঘনত্ব যখন বেশী থাকে কোষের অভ্যন্তরের তুলনায় শুধুমাত্র তখনই এগুলো কোষের ভিতর ঘুকে। আবার যখন অক্সিজেন ও গ্লুকোজের মধ্যে বিক্রিয়া ঘটে কোষের ভিতর তখন কার্বনডাইঅক্সাইড তৈরী হয়। এ পর্যায়ে কোষের ভিতরে কার্বনডাইঅক্সাইডের ঘনত্ব থাকে বেশী আর বাইরে ঘনত্ব থাকে কম। ফলে কার্বনডাইঅক্সাইড বিপরীত প্রক্রিয়ায় ব্যাপন ঘটিয়ে কোষের বাইরে চলে আসে। একই ঘটনা ঘটে ফুসফুসে। 
পানির মধ্যে ব্যাপন আর কোষের অভ্যন্তরের ব্যাপনের কিছু পার্থক্য রয়েছে। পানির মধ্যে ভিন্ন পদার্থের মিশ্রন এবং ব্যাপন ঘটে কোন বাধা বা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই। অর্থাৎ পানির মধ্যে কোন বাধাদানকারী উপাদান (দেয়াল বা পর্দা) নেই। কিন্তু কোষের বাইরে এবং ভিতরে প্রবেশের জন্য বাধাদানকারী উপাদান (দেয়াল বা পর্দা) আছে। এই বাধাদানকারী উপাদানটি হলো কোষপ্রাচীর বা কোষঝিল্লী। এটি অর্ধপরিবাহকের মতো কাজ করে। অর্থাৎ এই কোষপ্রাচীর বা কোষঝিল্লীটির ভিতর দিয়ে পদার্থ ঢুকতে পারে।  

তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রাণী দেহের অভ্যন্তরে প্রতিবন্ধক বা অন্তরায় থাকার পরেও সেখানে দুই প্রকারের পদার্থ মিলিত হচ্ছে। কোষে দুই প্রকারের পানি মিলিত হয় (কোষের বাইরের পানি কোষের অভ্যন্তরিন কোষরসের সাথে মিলিত হয়। অপর দিকে সমুদ্রের দুই প্রকার পানির মাঝে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা বা অন্তরাল নেই। সুতরাং সমুদ্রের মধ্যে প্রবাহিত দুই রকমের পানি মিলিত হতে পারে না বলে কুরআন যে ভ্রান্ত দাবীটি করেছে সেটি পুরোপুরিই মিথ্যা এবং অবৈজ্ঞানিক।

নদী দিয়ে আসা স্বাদু পানি যখন সমুদ্রে মিলিত হয় তখন এটি সমুদ্রে ঢুকা মাত্রই সমুদ্রের লবনাক্ত পানির সাথে মিশতে শুরু করে। যেহেতু এই মিশ্রনে কোন আড়লন বা নাড়াচাড়া কাজ করে না (শুধু পানির চাপ কাজ করে) তাই এই পানিদুটোর মিশ্রনে অনেক সময় লাগে। কিন্তু নদীর পানির স্রোতের কারণে পানি অনেক দুরে চলে আসে সম্পুর্ন মিশ্রনের আগেই। এই স্রোত প্রতিনিয়ত চলতেই থাকে এবং সমুদ্রের কিনারে প্রতিনিয়ত নতুন পানি আসতে থাকে এবং এই পানি সমুদ্রের ভিতরের দিকে চলে যেতে থাকে। ফলে সমুদ্রের পাড়ের কাছে নদীর পানি এবং সমুদ্রের পানির যে মিশ্রন প্রক্রিয়া শুরু হয় সেটা শেষ হতে পারে না। এই মিশ্রন প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে নদীর পানি সমুদ্রের অনেক ভিতরে চলে আসে এবং এখানে মিশ্রন প্রক্রিয়া শেষ হয়। ফলে একটি অস্থায়ী স্থান বা অঞ্চলের সৃষ্টি হয় যা স্বাদু পানি আর লোনা পানির একটি আলাদা আলাদা সীমানা তৈরী হয়। যদিও এই সীমানা দেখে মনে হয় এখানে স্বাদু পানি এবং লোনা পানি মিশছে না কিন্তু আসলে এই অঞ্চলটিতে প্রতিনিয়ত মিশ্রন প্রক্রিয়া চলতে থাকে যা খালি চোখে দেখা যায় না।

ফলে কোন সাধারণ মানুষের কাছে মনে হতে পানে যে এদের মধ্যে কোন মিশ্রন ঘটছে না। প্রকৃতপক্ষে মিশ্রন প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত ক্রিয়াশীল থাকে। এই দুই রকমের পানির মধ্যে অস্থায়ী অঞ্চলটি তৈরী হবার কারণ অমিশ্রনশীলতা নয়। এর কারণ পানির স্রোত, (এবং বিপরীত দিক থেকে আসা পানির চাপ)। স্রোতের কারণেই এই আপাত অমিশ্রনশীল মনে হওয়া অঞ্চলটি তৈরী হয়। আসলে সমস্ত এলাকা জুরেই ভিন্ন রকমের পানির মধ্যে মিশ্রন প্রক্রিয়া চলতে থাকে যে পর্যন্ত না সমুদ্রের পানি এবং নদীর পানির মধ্যে সমসত্ব মিশ্রন সম্পন্ন হয়।

চিত্রঃ খুব ভালো করে তাকিয়ে দেখলেই বুঝা যায় দুই রকমের পানি খুব ধীরে ধীরে পরস্পরের সাথে মিশে যাচ্ছে।

সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে কুরআন লেখক যেভাবে দাবী করেছে সমুদ্রের দুই রকমের পানি পরস্পরের সাথে মিশতে পারে না এদের মধ্যে একটি অদৃশ্য প্রতিবন্ধক বা অন্তরাল থাকার কারণে সেই দাবীটা সম্পূর্ণরুপেই মিথ্যা এবং অবৈজ্ঞানিক।

প্রাচীণ আরববাসীরা সমুদ্রের স্বাদু পানি আর লোনা পানির ব্যবধানের বিষয়টি জানতো। কিন্তু তারা জানতো না এই ব্যবধানটা কেন হয়। তাই তারা ধরে নেয় এদের মধ্যে একটি অন্তরাল বা প্রতিবন্ধক আছে যা লোনা পানি এবং স্বাদু পানিকে এক হতে দেয় না। তারা কল্পনা করেছিল সমুদ্রের ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশের পানিগুলো এই দুর্বেধ্য অন্তরাল বা দেয়াল ভেদ করে যেতে পারে না বলে দুই পাশে দুই রকমের পানি বিরাজ করে। তাদের জানা ছিল না যে নদীর পানি সমুদ্রে যাবার পরেই এগুলো মিশতে শুরু করে। কিন্তু সমুদ্রের স্রোতের কারণে এগুলোর মিশ্রন সম্পন্ন হতে হতে অনেক সময় লাগে যে সময়ের মধ্যে এগুলো অনেক দুর চলে যায়। এই দুরত্বটুকুকেই মনে হয় ভিন্ন রকম পানি মিশছে না। প্রাচীণ আরবের সাধারন মানুষের পক্ষে এটা জানা অসম্ভব ছিল যে, এই পানি আসলে মিশে। ফলে সেই সময়ের মানুষেরা বিশ্বাস করতো সমুদ্রের ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পানি পরস্পর মিশে না।

কুরআনের রচয়িতা যদি কোন সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা হতো তবে তার এই কথাটি জানা থাকার কথা। এবং কোন সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তাই এই অজ্ঞতামুলক কথাটি বলবে না যে, "দুই সমুদ্রের পানির মধ্যে একটি অন্তরাল রয়েছে যা দুই পানি অতিক্রম করে পরস্পরের সাথে মিশে না" প্রকৃতপক্ষে কুরআন লেখক কোন প্রাচীণ আরবের সাধারণ মানুষ ছিল বলেই সে এই ভ্রান্ত ধারণাটি বিশ্বাস করেছে সত্য বলে এবং এই ভ্রান্ত ধারণাটিই কুরআনে লিখে দিয়েছে।

এই একটি আয়াতই যথেষ্ট প্রমাণ করার জন্য যে, কুরআন কোন অতিক্ষমতাবাণ, সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়। বরং কুরআন একজন প্রাচীণ ভ্রান্ত ধারণায় বিশ্বাসকারী সাধারণ মানুষের লেখা এক সাধারণ মানের প্রাচীণ বই।

যেহেতু কুরআনের বাণী বা কথাগুলো মুহাম্মদের নিজের মুখ থেকে এসেছে তাই একথা স্পষ্ট ভাবেই বুঝা যায় কুরআন মুহাম্মদের বাণী।
অর্থাৎ কুরআন আল্লাহর বাণী নয় বরং কুরআন হলো মুহাম্মদের বাণী। (প্রমাণিত)

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ কুরআনের নানাবিধ ভুল প্রমাণিত হবার পরে একদল অন্ধবিশ্বাসে বিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলমান প্রানপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে কুরআনের ভূলগুলোকে সংশোধন করতে এবং ভূলে ভরা কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে। এটা করতে যেয়ে তারা নানা রকমের মুখরোচক মিথ্যা কথার আমদানী করছে এবং কুরআনের অর্থ সম্পূর্ণরুটে বদলে দিয়ে এবং নানা কৌশলমূলক ব্যাখ্যা আমদানী করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে জ্ঞানবাণ এবং শিক্ষিত মানুষদের বোঁকা বানানো না গেলেও কিছু অর্ধশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত মানুদেরকে খুব সহজেই বোঁকা বানাতে সক্ষম হচ্ছে। তারা এটা বুঝতে চাচ্ছে না যদি কুরআনের মূল অর্থকে পরিবর্তন করে আয়াতের শব্দের অর্থকে পরিবর্তন করে বা ভিন্ন অর্থ এনে কুরআনের নতুন অর্থ এনে কুরআনের যে অর্থ তারা দাড় করাচ্ছে সেটা মুহাম্মদ প্রদত্ত কুরআন থাকছে না। কারণ যদি মুহাম্মদের বর্ণিত কুরআনের কোন একটি শব্দের ভিন্ন অর্থ এনে কুরআনের নতুন অর্থ করা হয় তবে সেই আয়াতটির সম্পূর্ণ অর্থটিই বদলে যাবে। এবং এভাবে কুরআনকে সংশোধন করে বিজ্ঞানময় গ্রন্থও বানানো সম্ভব হবে। তবে সেটি কুরআনের কৃতিত্ব হবে না; সম্পুর্ণ কৃতিত্ব হবে যারা কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করে কুরআনকে সংশোধনকারী এবং বিজ্ঞানময় বানানো ব্যক্তিদের। এই সজহ সত্যটি যদি কারো মাথায় না আসে তবে তার জন্য দুঃখ করা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। কুরআনের কোন একটি শব্দকে বেছে নিয়ে সেই শব্দটির এমন একটি অর্থকে বেছে নেওয়া হয় যাতে একই সাথে কুরআনের ভূলকে সংশোধন করা যায় এবং কুরআনকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বানানো যায়। এই অসততা আর যাই হোক কোন ধর্ম হতে পারে না। যারা জেনে বুঝে এমনটা করে তাদের মতো খারাপ, মিথ্যাবাদী, প্রতারক এবং ভন্ড মানুষ এই পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই।



19 comments:

  1. Share করলাম লেখাটা

    ReplyDelete
  2. তুই যে একটা নাস্তিক সেটা তোর লেখ পড়লেই বুঝা যায়। আরে ছাগল নাস্তিক মুহাম্মদ (সঃ) জীবনে কোনদিন সমুদ্রের ভ্রমন করেননি আর তুই লেখে দিলি ঊনি জানতেন নদীর পানি সমুদ্রে গেলেও সুমিষ্ট থাকে। গর্দভ ছাগল নাস্তিক কোথাকার।

    ReplyDelete
  3. Replies
    1. আচ্ছা মুহাম্মদ (স:) নয় অনুমানের সাহায্যে সঠিকটাই বলছেন আর তখনকার আরবরা মূর্খ ছিল তাই এই কথাকে বিশাল কিছু মনে করেছে, কিন্তু ভাই এখনতো আধুনিক বিজ্ঞানের যুগ, বিজ্ঞানের দুয়ারে সবাই। তো এখনো কেন বিজ্ঞানীরা মুহাম্মদ (স:) যা বলছিলেন ঐ এক কথা পর্যন্তই আটকে আছে, সমুদ্র সম্পর্কে নতুন কোন কিছু কেন আবিষ্কার করতে পারছে, কেন বলতে পারছে না যে কিসের অন্তরাল রয়েছে। আপনাদের কথা অনুযায়ী নবী তো শুধু ঢিল ছুরেছিল তাইনা, তাহলে আধুনিক যুগে বিজ্ঞানীরা কেন এর রহস্য বের করতে পারছে না।

      তার কারণ একটাই, এটা সৃষ্টিকর্তার বাণী আর তিনি জানতেন তিনি যতটুকু বলেছেন তার বেশি কোনো মুখের বিজ্ঞানীরা বের করতে পারবে না। আর পারেও নি। আর কুরআনে শুধু পৃথিবী নিয়ে থাকবে কেন? সেখানে মহাবিশ্ব সম্পর্কেও বলা হয়েছে, যা একজন মানুষের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। সেখানে বলা হয়েছে পৃথিবীর বাইরেও এমন অনেক গ্রহ আছে যেখানে আমাদের মত প্রাণ আছে। আর এই কথা বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছে ১০০,২০০ বছর আগে wow signal এর মাধ্যমে।

      Delete
  4. তুই তো বাপের জনম এটার প্রমান দিতে পারবি। আরে বেটা তুর মায়ে তো তোকে তুর সেটি চিনিয়েছে।।

    ReplyDelete
  5. কুরআনের ভুল ভুল ধরস জারজ

    ReplyDelete
  6. আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন।

    ReplyDelete
  7. فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ﴿١٣﴾
    সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে* অস্বীকার করবে ?

    ReplyDelete
  8. তোর মতো নাস্তিকরে আল্লাহ হেদায়েত দান করুক তোদের মতো মানুষের এর জন্য আজ পৃর্থীবির এই অবস্থা এতো বিজ্ঞান গিরি করিস তাইলে তোরা আন্য কোন জায়গায় এইভাবেই পানি আলাদাভাবে রেখে দেখা। তোরা জা বর্ননাকরলি😠😠😠😠😠😠😠😠😠😠😠

    ReplyDelete
  9. হাহাহা!!! একটা কৌতুক!!! আপনি নিজে যে কল্পনা থেকেই লিখেন, শেষমেশ প্রমাণিত হলো। আল্লাহ্ যে আপনাকে মোহর মেরেছে, বুঝাই যাচ্ছে। যাই হোক, আর কথা বলব না।

    ReplyDelete
  10. আচ্ছা আপনি কি একটা অণুর বংশধর? হলে শুধুমাত্র আপনার মত নাস্তিক আর অজ্ঞেয়বাদীরাই একটা অণুর বংশধর! সত্যিকারের ঈমানদাররা নয়! সত্যিকারের ঈমানদার মুসলিম কখনোই আপনাকে সত্যবাদী বলবে না। অবশ্য আপনাি সেটা চান-ও না।

    ReplyDelete
  11. এই তুমি গাধা নাকি? পৃথিবীর জন্ম থেকে আজকে এপর্যন্ত পানি সময় পায় নাই মিলে যাবার? বিক্রিয়া আর শেষ হয় না?

    বড় বড় বিজ্ঞানিরা এটার পক্ষে কথা বলে। বিজ্ঞানের বইতে উল্লেখ আছে আর তুমি মিয়া আইছ মাস্টারি করতে। principles of oceanography davis pp. 92-93 এই বই কিনা পড়। এইখানে বলছে কিভাবে কি হয়। আর এইসব ব্লগ বন্ধ করে তওবা করে আল্লাহর কাছে মাফ চাও। সাধারন জীবনে আস, গর্ত থেকে বের হও

    ReplyDelete
  12. আর তুমি যে বলছ কোরআন বদলে যাচ্ছে, আরে গাধা এর অর্থ বদলায়, আসল কোরআনের একটা অক্ষর ও কেউ বদলাতে পারবে না।

    যেন তুমি এমন বলছ, বিজ্ঞানিরা আগে এটা আবিস্কার করল না কেন, এখন করলে হবে না। খেল্মু না। গাধা নাকি? দুনিয়া কি তোমার মত গর্ত বিজ্ঞানিদের দ্বারা চলে নাকি?

    আইজেক নিউটন যেটা বলছে আইনস্টাইন সেটা পাল্টে দিছে কিন্তু বাস্তবতা তো বদলায় নাই। ভাষার সুদ্ধতা ও ভাষার সুপিরিয়রিটি ব্যপারে তোমার কোন ধারনা আছে? যদি কোরআনের অর্থ বদলায় তাহলে তুমি আরবি শিখ এবং বল যে এটা ভুল। শিশুদের মত বলতেছ এটা হবে না, আমি খেলব না।

    ReplyDelete
  13. আপনার লেখাটি পড়ে মনে হলো, আপনি আপনার জ্ঞান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রি বা আমেরিকার ট্রাম গুরু থেকে ধার নিয়েছেন। সময় নিয়ে সমগ্র কোরআনকে বুঝে পড়ার আহবান জানাচ্ছি।

    ReplyDelete
  14. মূর্খ হতে টাকা লাগে না। আপনারা জাকির নায়েক কে চিনেন । আলহামদুলিল্লাহ, অনেক জ্ঞানী একজন ব্যাক্তি । ডা উইলিয়াম কেম্বল ও কোরআনের ভুল ধরে উপাধি লাভ করে ছিল । কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, ডা জাকির নায়েক তার সবগুলো ভুল ধরে তার সঠিক উত্তর দিয়েছে । আপনি চাইলে সেগুলো দেখতে পারেন । আলহামদুলিল্লাহ, কোরআনে কোনো ভুল নেই । এমনি আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা এই কোরআন থেকেই । যা আল্লাহ তায়ালা নাজিল করেছেন ।

    ReplyDelete
  15. নাস্তিকদের কাছে প্রশ্ন!
    আমার মেয়ের (৫ বছর) গত ১১/০১/২০২১ তারিখে একটা স্বর্ণের আংটি লুজ হওয়ায় হাত থেকে খুলে হারিয়ে যায়। সারাদিন অনেক জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। তাই কোথায় খুলে পড়েছে অনেক খুজেও পাওয়া যায় নি। মনে খুব কষ্ট নিয়েই মেয়ে রাত্রে ঘুমিয়ে পড়েছে। কারন আংটিটা অনেকদিন ধরে চাওয়ার পর মাত্র কয়েকদিন আগে বানিয়ে দিয়েছি। আমরাও খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম মেয়ের মন খারাপ দেখে। যাইহোক ফজরের ওয়াক্তে হঠাৎ আমার মেয়ে ঘুম থেকে উঠে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে উঠছে আম্মু আম্মু আমার আংটি পেয়েছি। ওর আম্মু জিজ্ঞেস করছে কোথায় তোমার আংটি মামুনি? মেয়ে বলছে আল্লাহ আমাকে স্বপ্নে দেখিয়েছেন খাটের নিচে আংটি পড়ে আছে। তখনি খুঁজে দেখা গেল সত্যিই খাটের নিচে আংটিটি পড়ে আছে। এই ঘটনায় আল্লাহর প্রশংসা কিভাবে করব বুঝে পাচ্ছি না। আপনারা হলে কি করতেন ????

    ReplyDelete
  16. নাস্তিক, তোদের মতো সয়তান বেছে আছে বলেই আজ পৃথিবীতে এতো মহামারি, আল্লাহ ক্ষমাশীল

    ReplyDelete
  17. https://www.facebook.com/beingtawhidi/videos/2279056168808333/

    ReplyDelete
  18. সূরাঃ আর-রাহমান [55:13]

    فَبِأَىِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

    ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।

    অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
    একথাটা আল্লাহ একবার বলিনি কয়েক বার বলেছে তা তোমরা অস্বীকার করবে

    ReplyDelete