Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Sunday, February 28, 2016

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ১১)

আল মোরাল
সূরা মানবতা বিরোধী, আয়াত ১০৫, ১০৬, ১০৭ এবং ১০৮
তুমি তাদের সত্য বলো আর (বিজ্ঞানের) প্রমাণ দেখাও- তারা কুসংস্কার মুক্ত হবে না। বরং তারা তাদের অন্ধবিশ্বাস সম্পর্কে অযুহাত বের করে। তারাতো স্পষ্ট অন্ধবিশ্বাসে মজে আছে। আর তাদেরকে তুমি বাস্তব জ্ঞানের প্রমাণ দেখালে তবে তারা বললো, এটাতো আমাদের গ্রন্থে সেই হাজার বছর আগেই লেখা আছে। বস্তুত তারা প্রতারণা করে। আর প্রতারকদের জন্য রয়েছে ভবিষ্যতের প্রজন্ম দ্বারা ঘৃণার ব্যবস্থা। যুগযুগ ধরে মানুষ তাদের ঘৃণা করবে যেভাবে শয়তানদের ঘৃণা করা হয়। বস্তুত তাদেরকে আমি শয়তানের উদাহরণ স্বরুপ উপস্থাপন করে দিয়েছে। যাতে প্রকৃত জ্ঞানের (বিজ্ঞানের) অধিকারীরা শ্রেষ্ট মানব হিসেবে সম্মানিত হতে পারে। আমি জ্ঞানীদের সম্মানিত হতে বঞ্চিত করি না।

ব্যাখ্যাঃ অন্ধবিশ্বাসী ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকগুলো হাজার তথ্য প্রমাণ থাকার পরেও তারা বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে মেনে নেয় না শুধুমাত্র তাদের মিথ্যা ধর্ম এবং কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের বিপক্ষে যায় বলে। এমনকি তারা তাদের মিথ্যা ধর্ম এবং কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে বিজ্ঞানের সত্যের হাত থেকে বাঁচাতে নানা মুখরোচক অপব্যাখ্যা এবং অর্থের পরিবর্তনের মাধ্যমে ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের মিথ্যাবাদিতাগুলোকে বিজ্ঞানের সত্যের হাত থেকে বাঁচনোর এবং বিজ্ঞানের সাথে মেলানোর অযুহাত বের করে। তাই মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীরা তাদের কল্পনা, কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস থেকে বেড়িয়ে আসবে না বলে জানিয়েছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, সে সমস্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীরা কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসে এতটাই অন্ধ ও আচ্ছন্ন যে তাদেরকে হাজার হাজার প্রমাণ দেখানোর পরেও তারা তাদের মিথ্যা ধর্ম এবং কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা তথা কুসংস্কারের উপর অন্ধবিশ্বাস থেকে বেড়িয়ে বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হবে না। উপরন্তু যেসব বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো তাদের ধর্মের বিরোদ্ধে যায় না সেগুলোকে তাদের ধর্মগ্রন্থে হাজার হাজার বছর আগেই লেখা আছে বলে মিথ্যা দ্বাবী করে। যেখানে বিজ্ঞানীগণ দিন রাত জ্ঞান স্বাধনার মাধ্যমে এবং গবেষণার মাধ্যমে অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে বাস্তব সত্য জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো করে থাকে সেখানে মিথ্যা ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থকে বাঁচানোর জন্য প্রতারণামুলক ভাবে মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে ধার্মীকরা দ্বাবী করে যে সেগুলো তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোতে আগেই লেখা আছে। প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের ধর্মগ্রন্থের মিথ্যা ও ভ্রান্তিগুলোকে বিজ্ঞানের সত্যের আঘাত থেকে বাঁচাতে নানা অপব্যাখ্যা এবং অর্থের পরিবর্তনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন অর্থ করে এবং নতুন ব্যাখ্যা দাড় করে সেগুলোকে বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলে। আর তাদের ভূলে ভরা মিথ্যা ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় বানায়। এতো এতো মিথ্যাবাদিতার মাধ্যমে এবং প্রতারণামূলক ভাবে তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানের সাথে মিল করে উপস্থাপন করে। এবং তারপর সেটাকে উল্লেখ করে দ্বাবী করে যে তাদের ধর্মগ্রন্থে হাজার বছর আগেই বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কারের কথা লেখা আছে এবং এসব কথা বলে গুজব ছড়ায়। এজন্য মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা এসব মিথ্যাবাদি প্রতারকদেরকে শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন। আর তাদের জন্য শাস্তির ব্যাবস্থা রেখেছেন যাতে তাদেরকে ভবিষ্যতের মানুষ ঘৃণা করে যুগ যুগ ধরে। ফলে এসব মিথ্যাবাদী প্রতারকদেরকে ভবিষ্যতের মানুষ ঘৃণা করবে। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন যে, শয়তানদেরকে অর্থাৎ মানব ইতিহাসের নিকৃষ্ট মানুষদের যেভাবে ঘৃণা করা হয় ঠিক সেভাবেই এসব ধর্ম ব্যবসায়ী মিথ্যাবাদি প্রতারকদেরকে এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসদেরকে ভবিষ্যতের মানুষ ঘৃণা করবে।
প্রক্ষান্তরে যারা বাস্তব জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের জ্ঞান স্বাধনা করে এবং বিজ্ঞানের সত্য জ্ঞানের আলোতে আলোকিত হয় তারাই ভবিষ্যতে শ্রেষ্ট মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে মহান সৃষ্টিকর্তা উল্লেখ করেছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা বাস্তব জ্ঞানী তথা বিজ্ঞানীদেরকে সম্মানিত করে থাকেন। আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসীদেরকে ঘৃণার শান্তি দিয়ে থাকেন।
এটাই হলো উক্ত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা।  

সূরা কুসংস্কার, আয়াত ৮৩২৪, ৮৩২৫, ৮৩২৬, ৮৩২৭ এবং ৮৩২৮
আর যখন তাদের সম্মুখে আমার মনোনিত বাস্তব জ্ঞানের অনুসারীরা প্রকৃত সত্য (বিজ্ঞানের সত্য) উপস্থাপন করে তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। তারা কন্ঠ বিদ্রুপাত্বক করে বলে, এসব মিথ্যা; এসব প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। যখন তা প্রতিষ্ঠিত সত্য হিসেবে প্রমাণ হয়ে যায় তখন তারা বলে, এগুলোতো আমাদের নির্বাচিত গ্রন্থে হাজার বছর আগেই বর্ণিত হয়েছে! প্রকৃতপক্ষে এরাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীর দল; আমি যুগ যুগ ধরে এদের শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছি। এদেরকে ঘৃণা করা হবে নিকৃষ্টরুপে। যে সত্য তাদের সম্মুখে উপস্থাপন করা হয় তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তারাতো কুসংস্কারে বুঁদ হয়ে থাকে। সত্য এবং মিথ্যার পার্থক্য করার ক্ষমতা তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে তারা ভাবে তাদের মিথ্যা কাল্পনিক কুসংস্কারগুলোই প্রকৃত সত্য। যদি তারা বাস্তবতা বুঝতো! প্রকৃত জ্ঞানকে ফেলে তারা কি নিয়ে পড়ে আছে? সে জ্ঞানকে কি আমি মিথ্যা প্রমাণ করে দেয়নি আমার মনোনিত বাস্তব জ্ঞানীদের মাধ্যমে? তবে তারা কিসে মজে আছে? আর তারা তাদের মিথ্যা গ্রন্থকে সর্বৎকৃষ্ট মনে করে। বস্তুত তারাই ইতিহাসের নিকৃষ্ট জাতি। কিন্তু তারা তা জানে না।

ব্যাখ্যাঃ মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের বলেছেন যে, যখন কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদের কাছে বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য জ্ঞান উপস্থাপন করা হয় তখন তারা প্রথমে সেটাকে মিথ্যা বলে রায় দেয়। তারা এই সত্য জ্ঞানকে মেনে নেয় না এবং একে নিয়ে বিদ্রুপ করে। তারা এসব বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে মিথ্যা এবং প্রতারণামূলক মনে করে এবং এসব কথা তারা সবার কাছেই প্রচার করে বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে। কিন্তু যখনই সেই প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সত্যটি সব মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হয় প্রমাণ সহকারে তখন সেই সত্যটি পৃথিবীর সব মানুষই জেনে যায়। ফলে ধর্মানুসারীরা তাদের মিথ্যা ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থকে বাঁচানোর জন্য দ্বাবী করে যে এগুলো তাদের মিথ্যা ধর্মগ্রন্থগুলোতে হাজার হাজার বছর আগেই লেখা রয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তির ব্যবস্থা করেছেন। আর তা হলো তাদেরকে সমগ্র মানব জাতি যুগ যুগ ধরে ঘৃণা করবে। ভবিষ্যৎ ইতিহাস এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী জাতিটি এবং তাদের মিথ্যা ধর্মগ্রন্থকে সত্য বলে অপপ্রচার করা মিথ্যাবাদি প্রতারকদেরকে নিকৃষ্ট ভাবে ঘৃণা করবে। এই শাস্তিটিই মহান সৃষ্টিকর্তা তাদের জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন।
মহান সৃষ্টিকর্তা বলেছেন যে কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদের কাছে যখন বিজ্ঞানের বাস্তব সত্য জ্ঞানকে উপস্থাপন করা হয় তখন তারা সেটাকে মেনে নেয় না কারণ সেটা তাদের ধর্মগ্রন্থের বিরুদ্ধে যায়। মহান সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে কুসংস্কারে বুঁদ হয়ে থাকা কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী হিসেবে যুগ যুগ ধরে মানুষের ঘৃণার পাত্র করে রেখে দেবেন। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন এসব অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষরা কুসংস্কারে বুঁদ হয়ে থাকে বলে এরা সত্য মিথ্যার পার্থক্য করতে পারে না। কারণ তাদের সে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয় শৈশবে ধর্ম নামের মিথ্যা কাল্পনিক কুসংস্কার বিশ্বাস করতে বাধ্য করার মাধ্যমে। ফলে তারা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে না। এবং তারা তাদের কাল্পনিক মিথ্যা ধর্ম বিশ্বাসগুলোকে সত্য বলে মনে করে। তাদের কুসংস্কারকেই তারা সত্য মনে করে এবং বিজ্ঞানের বাস্তব জ্ঞানকে মিথ্যা বলে মনে করে। সৃষ্টিকর্তা বলছেন যে এরা বাস্তবতা বুঝতে পারে না। প্রকৃত জ্ঞানকে রেখে এরা কুসংস্কারকে নিয়ে থাকে এবং কাল্পনিক প্রাচীণ কুসংস্কারগুলোকে আকড়ে ধরে বসে থাকে। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন যে তাদের প্রাচীণ কাল্পনিক মিথ্যা ধর্ম বিশ্বাসগুলোকে বিজ্ঞানের মাধ্যমে বারবার মিথ্যা প্রমাণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীগুলো তাদের মিথ্যা কাল্পনিক এবং কুসংস্কারময় অন্ধবিশ্বাসগুলোকেই সত্য বলে বিশ্বাস করে অন্ধের মতো। তারা হাজার হাজার প্রমাণ থাকা সত্তেও তাদের মিথ্যা ধর্মগ্রন্থকে নিয়ে পড়ে থাকে এবং এইসব প্রাচীন মানুষের লেখা মিথ্যা ও ভ্রান্তিপূর্ণ ধর্মগ্রন্থগুলোকে একমাত্র সত্য বলে মনে করে এবং এগুলোকেউ শ্রেষ্ট জ্ঞানের বই মনে করে। ফলে তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়ে এবং ইতিহাসের নিকৃষ্ট মানুষে পরিনত হয়। তারাই যে কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসের কারণে ইতিহাসের নিকৃষ্ট জাতিতে পরিণত হয় তারা সেটা জানে না বা বুঝতে পারে না।
এটাই হলো উক্ত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা। 

সূরা জ্ঞান, আয়াত ১২৩৪, ১২৩৫, ১২৩৬, ১২৩৭, ১২৩৮ এবং ১২৩৯
"তুমি কি তাদের দেখনি, তারা কিভাবে সত্য জ্ঞানকে পরিত্যাগ করে তাদের কাল্পনিক মিথ্যা জ্ঞানকে আকড়ে ধরে থাকে? যেভাবে আকড়ে ধরে থাকে সর্প ব্যাঙকে; বস্তুত আমি এজন্যই এসব বর্ণনা করেছি যাতে বুদ্ধিমানরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদেরকে চিনতে পারে। তারাতো অজ্ঞ; জ্ঞানহীন পশুর ন্যায়; তারা বেঁচে থাকে অন্ধবিশ্বাসে বুঁদ হয়ে। আর যখন তাদের সামনে সত্য জ্ঞানকে আনয়ন করা হয় তখন তারা মুখ ফিরিয়ে বলে, “তুমি কি আমাকে সেই জ্ঞান দিতে চাও যা আমার পূর্ববর্তীগণ বংশ পরম্পরায় বহন করেনি। আমি এমন জ্ঞানকে চাই না তুমি যত প্রমাণই উপস্থাপন করো না কেন! আমার পূর্ব পুরুষের প্রাচীণ জ্ঞানকে আমি ছাড়তে পারবো না। এটাই চির সত্য জ্ঞান যা আমার পূর্ববর্তীগণ পালন করেছে।“ বস্তুত আমি তাহাদিগতে এক চক্ষু হরিণ করে রেখেছি যারা এক চোখে পৃথিবীকে দেখে আর আত্বতুষ্টিতে উচ্ছসিত হয়। তারা কোন দিনই তাদের ভ্রান্তি থেকে বেড়িয়ে আসবে না এবং বাস্তব জ্ঞানকে তারা চিরকালই মিথ্যা বলে রায় দেবে। তারাতো ভ্রমের মধ্যে থাকতে ভালোবাসে। আমি তাদের জন্য রেখেছি ভয়ঙ্কর ঘৃণার শাস্তি; যা ইতিহাসের নিকৃষ্ট মানুষদের করা হয়। তারাই সর্বনিকৃষ্ট, জ্ঞানহীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধবিশ্বাসীর দল।

ব্যাখ্যাঃ মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা, সব সৃষ্টিকর্তাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের জানাচ্ছেন যে একদল মানুষ আছে যারা সত্য জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানকে অস্বীকার করে এবং তাদের মিথ্যা জ্ঞান এবং কাল্পনিক অবাস্তব মিথ্যা জ্ঞানকে আকড়ে ধরে থাকে। তাদেরকে হাজার হাজার প্রমাণ দেখানোর পরেও তারা তাদের মিথ্যা ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে বেড়িয়ে আসে না। যদিও তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করে দেওয়া হয়ে গেছে অনেক আগেই। বরং সব ধর্মকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে বিজ্ঞানের বাস্তব সত্য জ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সত্যের একমাত্র কর্ণধার হিসেবে বিজ্ঞান আজ প্রতিষ্ঠিত। একমাত্র সত্য জ্ঞানের অধিকারী হলো বিজ্ঞান এটা আজ প্রমাণিত। কিন্তু তবু কিছু মানুষ সেই জ্ঞানকে মেনে নিতে পারে না শুধু মাত্র তাদের কুসংস্কারের উপর অন্ধবিশ্বাসের কারণে। তারা সব সময়ই তাদের পূর্বপুরুষের দেওয়া কুসংস্কারগুলোকে সত্য বলে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে চলে যদিও বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য এসে গেছে। তারা হাজার হাজার তথ্য প্রমাণ দেখার পরেও অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। তাদের প্রমাণ দেখানোর পরেও তারা তাদের পূর্বপুরুষের চাপিয়ে দেওয়া কুসংস্কারগুলোকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে চলে। তারা কিছুতেই তাদের কুসংস্কারময় অন্ধবিশ্বাস পরিত্যাগ করতে চায় না। মহান সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সাপ এবং ব্যাঙের সাথে। সাপ যেমন ব্যাঙকে ধরে রাখে এবং কিছুতেই ছেড়ে দেয় না ঠিক একই ভাবে কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীরাও তাদের মিথ্যা ধর্মের কাল্পনিক বিশ্বাসগুলোকে ছেড়ে দিতে চায় না। আবার সাপ যেমন ব্যাঙকে গ্রাস করে ফেলে ঠিক সেভাবেই ধর্মীয় কুসংস্কার এবং কাল্পনিক অপবিশ্বাসগুলো কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী ধার্মীকদেরকে গ্রাস করে ফেলেছে। আর তাই তারা তাদের কুসংস্কারময় ধর্মবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসে না। তারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসীই থেকে যায়। এজন্যই এদেরকে মহান সৃষ্টিকর্তা জ্ঞানহীন পশুর সাথে তুলনা করেছেন।
সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে জানিয়েছেন যে সেসব অন্ধবিশ্বাসীর দল অজ্ঞ এবং জ্ঞানহীন পশুর মতো। তারা শুধু তাদের কল্পনাকে নিয়ে বেঁচে থাকে এবং তাদের কাল্পনিক ধর্মের মিথ্যা কথাগুলোতে আচ্ছন্ন থাকে।  এজন্যই যখন তাদেরকে বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য জ্ঞানের কথা বলা হয় তখন তারা সেই প্রতিষ্ঠিত সত্যকে অস্বীকার করে বলে, না এটা কখনই সত্য হতে পারে না। আমাদের ধর্ম বিশ্বাস যা আমাদের পিতামাতা আমাদেরকে দিয়ে গেছেন সেগুলোই একমাত্র সত্য এবং বাকী সব কিছুই মিথ্যা। তারা আরো বলে, আমরা সে জ্ঞান নিতে চাই না যা আমাদের পূর্বপুরুষেরা পালন করতো না। আসলে তারা তাদের কুসংস্কারে এতোটাই আচ্ছন্ন থাকে যে তাদের কে হাজার হাজার প্রমান দেখালেও তারা তাদের অন্ধবিশ্বাস থেকে কখনই বেড়োতে পারে না। যত প্রমানই দেখানো হোক না কেন তারা তাদের মিথ্যা ধর্মকেই সত্য বলে মনে করে। অথচ বিজ্ঞান হাজার হাজার প্রমাণ হাজির করে দেখিয়েছে যে ধর্ম এবং ধর্মের প্রতিটি কথাই মিথ্যা, অবাস্তব এবং প্রাচীণ মানুষের ধ্যান ধারণা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভ্রান্তিকর। কিন্তু তাদের বাবা মা শৈশবেই তাদের উপর এসব মিথ্যা কথাগুলোকে ঢুকিয়ে দেয় বলে তারা এই মিথ্যা কুসংস্কারগুলো থেকে বেরুতে পারে না। তাদেরকে মহান সৃষ্টিকর্তা এক চোখওয়ালা হরিণের সাথে তুলনা করেছেন। এক চোখা হরিন যেমন জগতের এক পাশ দেখতে পায় এবং মনে করে সে যে পাশটা দেখতে পাচ্ছে সেটাই সত্য আর বাকী সব কিছুই মিথ্যা। ঠিক একই ভাবে এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা মনে করে তাদের বাবা মার আরপিত ধর্মই সত্য এবং এর বাইরের সব কিছুই মিথ্যা। যদিও তাদের ধর্ম যে মিথ্যা তা বিজ্ঞান আগেই প্রমাণ করে দিয়েছে। তবুও তারা তাদের পূর্বপুরুষের মিথ্যা ধর্মগুলোকেই সত্য বলে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে চলে যদিও বিজ্ঞান তা অনেক আগেই মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে। আসলে এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলো যেমন কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসে আচ্ছন্ন রয়েছে ঠিক সেভাবে তারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসী থেকে যেতেই ভালোবাসে। এজন্যই তারা বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানকে মেনে নিতে পারে না। বরং তারা তাদের ভ্রম নিয়ে বেঁচে থাকে এবং মিথ্যা ধর্মকেই আকড়ে ধরে রাখে।
এসমস্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী মানুষদেরকে এক বাস্তব সম্মত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সেটা হলো ভবিষ্যতের মানুষের দ্বারা ঘৃণার ব্যবস্থা। আমরা যেমন পৃথিবীর বহু মিথ্যা ধর্মের মানুষদের কুসংস্কারাচ্ছন্নতা এবং অন্ধবিশ্বাসের দরুন পূর্ববর্তী ধর্মাচ্ছন্ন মানুষদের ধর্মীয় গুয়ার্তুমীগুলোর জন্য তাদেরকে ঘৃণা করি ঠিক সেভাবেই আজকের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদেরকে ভবিষ্যতের মানুষেরা ঘৃণা করবে কারণ তারা তাদের মিথ্যা ধর্মীয় কুসংস্কারগুলোর উপর অন্ধভাবে বিশ্বাস রেখে নানা ধর্মীয় গুয়ার্তুমি প্রদর্শন করে চলেছে। এটাই হলো ধর্মাচ্ছন্ন কুসংস্কারে অন্ধ মানুষগুলোর শাস্তি।
সৃষ্টিকর্তা এসব মানুষকে মানব ইতিহাসের নিকৃষ্ট জ্ঞানহীন এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী মানুষ বলে আখ্যায়ীত করেছেন।
এটাই হলো উক্ত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা।

No comments:

Post a Comment