Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, February 24, 2016

একজন অন্ধবিশ্বাসী, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের সাথে বিতর্ক (পর্ব ২ – প্রথম অংশ)

আমি ফেইসবুকে আস্তিক বনাম নাস্তিক নামের অনেক গ্রুপে ধর্মের অস্বাড়তাগুলো সম্পর্কে পোস্ট দিতাম। সেখানে কুরআনের অসাড়তাগুলো এবং বিজ্ঞানের ভিত্তিতে কুরআন যে কত বড় মিথ্যা বই সেটা প্রমাণ করে যাচ্ছিলাম। বলাই বাহুল্য আমার করা পোস্টগুলোর প্রেক্ষিতে কোন মুসলমান আস্তিকই উপযুক্ত যুক্তিখন্ডন করতে পারেনি। তবে তারা নানা অযুক্তি, কুযুক্তি এবং জাকির নায়েকের মতো মিথ্যাবাদী প্রতারকদের দেওয়া নানা অপযুক্তি দিয়ে ত্যাঁনা পেঁচিয়েছিল। তবে যারা উপযুক্ত যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছিল তাদের যুক্তি খন্ডন করে তাদের কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস দুর করতে চেষ্টা করছিলাম। বলাই বাহুল্য ফেইসবুকের আস্তিকগুলোর বুদ্ধিমত্তা এবং জ্ঞান খুব নিম্নমানের ছিল এমনটিই আমি বুঝতে পেরেছিলাম। যাদেরকে প্রথমে কিছুটা জ্ঞানী মনে হতো তাদের সাথে বিতর্কে যেয়ে বুঝতাম এরা আসলে জ্ঞানের জগতে প্রবেশই করতে পারেনি। জ্ঞানের জগতের দরজার সামনেই অবস্থান করছিল। এমন কাউকেই পাইনি যারা বিজ্ঞান সম্পর্কে কিছু সম্মখ জ্ঞান রাখে এবং তাদের ধর্ম সম্পর্কেও সামান্য জ্ঞান রয়েছে। সেসব আস্তিকদের সাথে বিতর্ক করে একটা কথা স্পষ্ট বুঝেছি যে এরা সবাই জাকির নায়েকের মতো মিথ্যাবাদী প্রতারকদের কাছ থেকে বিজ্ঞান এবং ধর্মের প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করেছে।

ফলে যা হবার তাই হয়েছে। এরা বিজ্ঞানতো শিখতেই পারেনি বরং জাকির নায়েকের মতো ভন্ড প্রতারক মিথ্যাবাদীদের দ্বারা নানা অপবিজ্ঞান, অপযুক্তি, কুযুক্তি শিখেছে। ফলে প্রকৃত বিজ্ঞানের জ্ঞান থেকে এরা বিচ্ছুত। যেমন জাকির নায়েক বিবর্তন সম্পর্কে অনেকগুলো মিথ্যা কথা বলে বিবর্তনবাদকে ভূল হিসেবে দেখাতে চেষ্টা করেছে। আসলে জাকির নায়কেরও যে বিজ্ঞান সম্পর্কে খুব সামান্য ভাসা ভাসা জ্ঞান রয়েছে সেটা জাকির নায়েকের বিজ্ঞান সম্পর্কে বক্তব্যগুলোতেই বুঝা যায়। আর এসব বিজ্ঞান না জানা ভন্ড মিথ্যাবাদী প্রতারকদের কাছ থেকে বিজ্ঞানের কিছু কিছু আবিষ্কার সম্পর্কে জেনেছে এবং নানা অপবিজ্ঞানের মাধ্যমে এদের বিজ্ঞান শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায় পার হয়েছে। ফলে সবগুলো মুসলিম আস্তিকই প্রকৃত বিজ্ঞান শিখতে পারেনি। শিখেছে অপবিজ্ঞান বা বিজ্ঞানের মতো দেখতে ছদ্দ বিজ্ঞান। যেমন জাকির নায়েক এসব আস্তিকদেরকে শিখিয়েছে যে বিগ ব্যাং-এর সময় সমস্ত উপাদান ছিল গ্যাসীয়। আর তারফলে এসব মুসলমান আস্তিকরা সত্যই বিশ্বাস করেছে যে বিগ ব্যাং এর আগে সমস্ত উপাদানগুলো গ্যাসীয় ছিল। ফলে তারা বিতর্কে এসব অপবিজ্ঞানমূলক ভ্রান্ত ধারণাগুলোই বারবার আবৃতি করেছে তোতাপাখির মতো। কিন্তু এরা যদি প্রকৃত বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতো তবে বুঝতে পারতো যে বিগ ব্যাগ-এর আগে কোন গ্যাসীয় পদার্থ ছিল না। বরং গ্যাসীয় পদার্থের সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং-এর লক্ষ লক্ষ বছর পরে। ফলে এই সব আস্তিকরা বিশ্বাস করে যে জাকির নায়েকের কথাই সত্য এবং আসলেই বিগ ব্যাং-এর আগে সমস্ত উপাদান গ্যাসীয় অবস্থায় ছিল। 

এদেরকে নানা ভাবে বুঝানোর পরেও বুঝতে তো পারেইনি কিছু বরং মস্ত বড় বড় ত্যাঁনাপ্যাঁচানো মার্কা কুযুক্তি ও অপযুক্তির আমদানী করে গেছে।

প্রকৃত বিজ্ঞানের জ্ঞান না থাকা এবং জাকির নায়েকদের মতো মিথ্যাবাদী প্রতারকদের দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ্ড হওয়া এসব মুসলমান আস্তিকদেরকে প্রকৃত বিজ্ঞান শেখানো এবং ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের নানাবিধ অসংগতি দেখিয়ে তাদেরকে অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কার মুক্ত করার চেষ্টা করে গিয়েছি। এসব করার সময় রানা আব্দুল্লাহ নামের এক কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীর বিতর্কের আমন্ত্রন পেতে থাকি। আমার করা নানা পোস্টে সে কোন যুক্তিতো উপস্থাপন করতে পারতোই না বরং কেউ কোন যুক্তি উপস্থাপন করলে মন্তব্য করতো, “চালিয়ে যান আমি সাথে আছি”। আমার অনেক পোস্টেই দেখতাম রানা আব্দুল্লাহ কোন উপযুক্তি যুক্তি কখনই দিতে পারতো না। শুধু সময়ে সময়ে এসে মন্তব্য করতো, “চালিয়ে যান আমি আপনার সাথে আছি”। রানা আব্দুল্লাহ এসব মন্তব্য করতো আমার সাথে বিতর্ক করা অন্যান্য আস্তিকদেরকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু নিজে কখনই কোন দিন উপযুক্ত যুক্তি দিতে পারতো না। এমনকি কখনও কোন অপযুক্তিও দিতে পারতো না।

এসব কারণে রানা আব্দুল্লাহর প্রতি আমার একটি নেগেটিভ ধারণা জন্মেছিল যে এ লোকের জ্ঞান খুবই নিচু শ্রেণীর।

ফলে সে যখন প্রায়ই আমার পোস্টে যুক্তি না দিতে পেরে আমাকে বিতর্কের জন্য আমন্ত্রন জানাতো তখন আমি তার বিতর্কের আমন্ত্রনকে পাত্তা দিতাম না। আমার মনেই হয়েছিল যে এ লোকটার জ্ঞান খুবই সামান্য। আর সামান্য জ্ঞানের মানুষের সাথে বিতর্কে জড়ানোতে নিজেরই মান সম্মান নষ্ট হবে। এজন্য প্রতিবার রানা আব্দুল্লাহর বিতর্কের আহবানগুলো আমি সব সময়ই এড়িয়ে যেতাম। কিন্তু আমি বিতর্ক করিনা তাই সে অভিমানীত হয়ে যেতো। আর গদগদ করে বলতো, "আসুন বিতর্ক করি!" কিন্তু আমি তাকে বিতর্কের যোগ্য মনে করতাম না। আসলে রানা আব্দুল্লাহর মন্তব্যগুলো পড়ে এ লোককে আমার কখনই বিতর্কের যোগ্য মনে হতো না। এটা আমার মনের এক ধরণের স্বাধারণ প্রতিক্রিয়া ছিল।

কিন্তু রানা আব্দুল্লাহ প্রতিবারই আমার পোস্টের প্রেক্ষিতে কোন যুক্তি উপস্থাপন না করতে পেরে শুধু "বিতর্ক করতে চাই, বিতর্ক করতে চাই" বলে বায়না করতো।

প্রায় প্রতি পোস্টে এমন আবদার শুনে শুনে একবার ঠিক করলাম এ লোকটার আবদার একবার হলেও রাখা উচিত। ব্যাচারা এতো এতোবার আমার সাথে বিতর্ক করার আবদার করেছে যে না রাখাটা অমানবিক হবে।

শেষ বার যখন রানা আব্দুল্লাহ আমার পোস্টে কোন যুক্তি উপস্থাপন না করতে পেরে শুধু “বিতর্ক করতে চাই, বিতর্ক করতে চাই” বলে আবদার করলো সেবার আমি তার আবদার রাখলাম। "হাজার হোক ব্যাঁচারার এতো দিনের খায়েশ। দেখি না কি বলে?"

তো যথারীতি একদিন সময় করে আমি রানা আব্দুল্লাহর বিতর্কে সাড়া দিলাম এবং আমার সাথে বিতর্ক করার জন্য একটা আলাদা পোস্ট দিলাম। এবং শর্ত দিলাম যে কোন রকমের গালাগালি করা যাবে না এবং ব্যাক্তিগত আক্রমন করে কথা বলা যাবে না। এবং আমাদের বিতর্কমুলক পোস্টে অন্য কেউ মন্তব্য করতে পারবে না। কারণ যে গ্রুপটাতে আমি বিতর্ক করতে গিয়েছিলাম সেখানে রানা আব্দুল্লাহই এডমিন ছিল আর তার কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ ছিল যাদের কাজ ছিল, “বাহ্ রানা ভাই, বাহ্ এগিয়ে যান। চমৎকার হচ্ছে।" আর ছিল বিপরীত বিতার্কিককে ব্যাক্তিগত আক্রমন এবং গালাগালি করে হেনস্তা করা।

এজন্যই আমি চাইছিলাম যেন আমাদের বিতর্কে অন্য কেউ মন্তব্য না করে। কারণ তাহলে এতো এতো মন্তব্য জমে যায় যে কোনটা রানা আব্দুল্লাহর মন্তব্য সেটা খুজে পেতেই সমস্ত সময় ব্যয় হয়ে যায়। আর গালাগালি নিষিদ্ধ করার কারণ হলো, আমি অনেক আগেই জেনেছিলাম যে রানা আব্দুল্লাহ নামের এই ব্যক্তিটি বিতর্কের সময় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতো। এবং এজন্য কেউ রানা আব্দুল্লাহর সাথে বিতর্ক করতে চাইতো না এবং কেউ বিতর্ক শুরু করলে বেশীক্ষন বিতর্ক করতে পারতো না রানা আব্দুল্লাহর গালাগালির জন্য। এটাও একটা কারণ ছিল রানা আব্দুল্লাহর সাথে বিতর্ক করতে না চাওয়ার।

তাই আমি প্রথমেই ব্যক্তিগত আক্রমন এবং গালাগালি সম্পূর্ণ নিষেধ এবং আমাদের পোস্টে অন্য কেউ মন্তব্য করতে পারবে না এই শর্ত দিলাম। রানা আব্দুল্লাহ প্রথমে রাজি হলো এবং আমাকে অন্য একটা পোস্ট করে বিতর্কের আমন্ত্রন জালানো। কিন্তু সে আমার করা বিতর্কের পোস্টটিতে বিতর্ক করলো না। নিজের পোস্টে আমাকে বিতর্কের জন্য আহবান করলো। আমিও সাত পাঁচ না ভেবে আমার পোস্টে বিতর্ক না করে রানা আব্দুল্লাহর পোস্টে বিতর্ক শুরু করে দিলাম। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল যে রানা আব্দুল্লাহর যদি নূন্যতম জ্ঞানও থাকে তবে আমি তাকে বুঝাতে সক্ষম হবো যে কুরআনের প্রচুর ভূল রয়েছে। তাই আমি আমার পোস্টে বিতর্কে না করে রানা আব্দুল্লাহর করা পোস্টে বিতর্ক শুরু করলাম। 

এজন্য অবশ্য আমাকে কিছু সমস্যা পোহাতে হয়েছে। কারণ আমার করা বিভিন্ন মন্তব্য সে ইচ্ছেমতো ডিলিট করে দিতো। এমনকি তার নিজের মন্তব্যগুলোও সংশোধন করতো এবং নিজের মতো করে বিতর্ক নিয়ন্ত্রন করতো তবুও আমি কিছু বলতাম না, কারণ আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে কুরআনে যেহেতু হাজার খানেক ভূল আছে তাই কয়টা যুক্তিপূর্ণ মন্তব্য আর ডিলিট করতে পারবে।

ফলে যা হবার তাই হলো রানা আব্দুল্লাহ আমার অনেক যুক্তিপূর্ণ মন্তব্য ডিলেট করে দিতো এবং নিজের ভূল প্রমাণিত হওয়া মন্তব্যগুলোও সংশোধন করে নিতো।

এমনকি গালাগালি এবং ব্যক্তিগত আক্রমন অব্যাহতো ছিলো বার বার নিষেধ করার পরেও।

কিন্তু সব থেকে আমার বিরক্ত লেগেছে রানা আব্দুল্লাহর ত্যাঁড়ামীগুলো। রানা আব্দুল্লাহ এমন ছিল যে খুব একটা ত্যাঁনাও প্যাঁচাতে পারতো না। কিন্তু ত্যাঁড়ামোতে ছিল এক্সপার্ট।

সেই সুদীর্ঘ একঘুয়ে বিতর্কটিই এই পর্বটিতে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরবো।


বিতর্কের সূচনা হয়েছিল আমার একটি পোস্টের বিষয় বস্তুর উপর ভিত্তি করে। আমি কুরআনের বিভিন্ন আয়াত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছিলাম যে কুরআনে সূর্যের ও চন্দ্রের গতিশীলতা সম্পর্কে এবং রাত ও দিন সম্পর্কে অবাস্তব, অসম্ভব এবং অবৈজ্ঞানিক কথা বলা হয়েছে। তাই কোন ভাবেই কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ হতে পারে না। কুরআন প্রাচীণ মানুষের জ্ঞান সম্পন্ন মানুষের লেখা একটা প্রাচীণ ধ্যান ধারণার বই। আমি নানা তথ্য প্রমাণ সহ এই সত্যটি প্রমাণ করেছিলাম (যদিও এর আগেই পৃথিবীর নানা জ্ঞানী গুনী মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছিল যে কুরআন একটি স্বাধারণ মানুষের লেখা এক অতিস্বাধারণ বই)।

আমার পোস্ট পড়ে (অথবা না পড়েই) রানা আব্দুল্লাহ আগের পোস্টে দেওয়া মন্তব্যের মতই মন্তব্য করলো যে সে আমার সাথে বিতর্ক করবে। তাই বিতর্কের বিষয়টিও কাকতালীয় ভাবে এই বিষয়টিই নির্ধারিত হলো।

রানা আব্দুল্লাহ চ্যালেঞ্জ দিল বিতর্ক করবে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রেক্ষিতে কুরআন মিথ্যা নাকি সত্য।

আমি অবশ্য বুঝতে পেরেছিলাম যে রানা আব্দুল্লাহ মুসলমানদের প্রধান মিথ্যাবাদি প্রতারক ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের দেওয়া বিজ্ঞান সম্পর্কে নানা অযুক্তি, কুযুক্তি এবং অপযুক্তি সম্পন্ন অপবিজ্ঞানগুলো বর্ণনা দিয়ে কুরআনের সত্যতা দেখানোর চেষ্টা করবে। যা আমি অনেক আগেই জাকির নায়েকের মুখ থেকেই শুনেছি এবং সেসব অযুক্তি, কুযুক্তি এবং অপযুক্তি সম্পন্ন অপবিজ্ঞানগুলোর অসত্যতা এবং অসাড়তা প্রমাণ করেছি। আমি সেসময় জাকির নায়েকের মিথ্যাবাদিতা এবং প্রতারণাগুলো নিয়ে একটি সিরিজ লিখছিলাম। তাই আমি এই বিষয় দিয়েই বিতর্ক করতে রাজি হলাম।

আমি আমার পোস্টটিতে সূর্য এবং চন্দ্র সম্পর্কে আর রাত দিন সম্পর্কে কুরআনে যেসব অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা ছিল সেগুলোই আমার পোস্টটিতে লিখেছিলাম। আমি দেখিয়েছিলাম যে কুরআন সূর্য ও চাঁদ এবং রাত ও দিন কুরআনের বর্ণনা মতো কাজ করে না বরং সূর্য ও চন্দ্র এবং রাত ও দিন কুরআনে যেভাবে বর্ণনা করা আছে তার সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে কাজ করে।

কিন্তু রানা আব্দুল্লাহ প্রতিবাদ করে দাবী করলো কুরআনে বর্ণিত সূর্য ও চন্দ্র এবং রাত ও দিন সম্পর্কে বর্ণিত প্রতিটি কথাই আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে হুবহু মিলে যায়। আমি প্রমাণ দিয়ে দেখালাম যে সূর্য ও চন্দ্র এবং রাত ও দিন সম্পর্কে কুরআনের বলা কথা পুরোপুরিই মিথ্যা। যেমন কুরআনে সুরা লোকমানের ২৯ নং আয়াত, সূরা রাদ-এর ০২ নং আয়াত, এবং সূরা ফাতির-এর ১৩ নং আয়াত প্রভৃতি আয়াতে বলা হয়েছে যে,

"..... তিনি চন্দ্র-সূর্যকে করেছেন নিয়মাধীন, প্রত্যেকটি পরিভ্রমন করে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত; "

অর্থাৎ উপরের আয়াতগুলো অনুযায়ী সূর্য ও চন্দ্র একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিভ্রমন করে। অর্থাৎ এই নির্দিষ্ট সময় পরে সূর্য ও চন্দ্র আর পরিভ্রমন করে না।

কিন্তু বিজ্ঞান আমাদের জানিয়েছে যে সূর্য ও চন্দ্র সব সময়ই পরিভ্রমণ করে। যা কুরআনের কথার সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

আবার রাত দিন সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে যে,

রাতকে দিনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং দিনকে রাতের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু বাস্তবে আসলে রাত দিন কোন কিছুই কারো ভিতরে ঢুকে যায় না। বরং রাত এবং দিন স্থির থাকে কিন্তু পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে রাত দিন গতিশীল বলে মনে হয়। অর্থাৎ কুরআন স্পষ্টতই বাস্তবতা বহির্ভুত ভ্রান্ত কথা বলেছে। তাই কুরআনের কথা মিথ্যা তথা কুরআন মিথ্যা।

সুরা রাদ-এর ০৩ নং আয়াত, সুরা নমল-এর ৩৯ নং আয়াত প্রভৃতি আয়াতে বলা হয়েছে,

"তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন"

এই আয়াত অনুযায়ী রাত দিনকে ঢেকে দেয় এবং দিন রাতকে ঢেকে দেয়। কিন্তু বাস্তবে আসলে রাত এবং দিন কেউ কাউকে ঢেকে দেয় না। বরং বাস্তব সত্য হলো রাত ও দিন গোলাকার পৃথিবীর দুই বিপরীত পাশে অবস্থান করে সূর্যের প্রেক্ষিতে। এমনকি সূর্যের অবস্থানের সাপেক্ষে পৃথিবীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে রাত ও দিন সব সময়ই স্থির থাকে। পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের দিকে থাকে সেখানে দিন হয় এবং যে অংশ সূর্যের বিপরীতে অবস্থান করে সেখানে রাত হয়। অর্থাৎ সূর্যের দিক থেকে পৃথিবীর সামনের অংশটিতে সব সময় দিন এবং বিপরীত অংশটিতে সব সময়ই রাত থাকে। বরং গোলাকার পৃথিবী আহ্নিক গতির ফলেই রাত দিনকে গতিশীল মনে হয়। প্রকৃতপক্ষে সূর্যের সাপেক্ষে রাত দিন স্থির থাকে বরং পৃথিবীই গতিশীল থাকে।

কিন্তু কুরআন বলছে রাত দিন যেমন গতিশীল থাকে ঠিক তেমনি রাত দিন একে অপরকে ঢেকে দেয়। কিন্তু বাস্তব পৃথিবীতে দেখা যায় যে রাত এবং দিন কেউ কাউকে ঢেকে দেয় না এবং কেউই কারো ভিতরে ঢুকে যায় না। বরং রাত এবং দিন পৃথিবীর দুই বিপরীত পাশে নির্দিষ্ট অবস্থানে সব সময়ই সূর্যের সাপেক্ষে স্থির ভাবে অবস্থান করে।

অর্থাৎ কুরআনে যা বলা হয়েছে তা রীতিমত অবৈজ্ঞানিক, অসম্ভব এবং অবাস্তব। তাই কুরআন সম্পূর্ণই মিথ্যা কথা বলেছে।


সাথে সাথে রানা আব্দুল্লাহ যুক্তি না দেখিয়ে প্রশ্ন করে বসে, "আনহিক গতি কি?”


উত্তরে আমি বলেছিলাম, আহ্নিক গতি কি; এটা কি, ওটা কি করে করে দিন পার করলে সেটাকে কি বিতর্ক বলে?  মনে হচ্ছে আপনি ছাত্র আর আমি মাস্টার মশাই।

আপনি এটা কি, ওটা কি না করে আপনার যুক্তি উপস্থাপন করুন। আমি খন্ডন করবো।

আমি আমার যুক্তি উপস্থাপন করেছি এবার আপনি আপনার প্রতিউত্তর দিন । এটা কি, ওটা কি না করে কী বলতে চান সেটা ক্লিয়ার করুন।

আপনি সম্ভবত বলতে চাইছেন রাত-দিনের পরিবর্তনের কথা। অন্যান্য মুসলমানদের মতো আপনি নিশ্চয় রাত দিনের ভিতরে ঢুকে যাওয়া বা রাত দিনকে ঢেকে দেয়া বা আচ্ছাদিত করা মানেই পৃথিবী গোল এই অপযুক্তি দিতে চাইছেন। (এটাতো জাকির নায়েকের মতো ভন্ড মানুষদের গোজামিল মার্কা কুযুক্তি। )

যুক্তির বাহার কি! রাত ধীরে ধীরে দিনে পরিনত হয় আর দিন ধীরে ধীরে রাতে পরিনত হলেই যেন পৃথিবী গোল এটা বলা হল। রাত দিনকে আচ্ছাদিত করে আর দিন রাতকে আচ্ছাদিত করে বলাতে জাকির নায়েকের মতো ভন্ড লোকগুলো অপযুক্তি দেয় যে, যেভাবে পাগড়ী পরা হয় সেভাবে রাত দিনকে আচ্ছাদিত করে। আর যেহেতু পাগড়ী গোলাকার মাথাকে ঢেকে দেয় তাই কুরআনে এটা থাকাতে বুঝা যায় পৃথিবী গোল।

প্রকৃতপক্ষে এটিকে যুক্তি বলে মনে হলেও এটি একটি অপযুক্তি। জাকির নায়েকের দাবী অনুযায়ী প্রাচীন মানুষও দেখতো রাত ধীরে ধীরে দিনে পরিনত হয়।  তাতে কী এটা প্রমাণিত হয় যে প্রাচীণ মানুষ আসলে আবিষ্কার করেছিল যে পৃথিবী গোল? মোটেও তা নয়। মানুষ প্রাচীন কাল থেকে দেখে আসছে রাত ধীরে ধীরেই দিনে পরিনত হয় তবুও মুসলমানসহ সব আস্তিক হাজার হাজার বছর ধরে বিশ্বাস করে আসছে যে পৃথিবী সমতল ।

যদি কুরআনে পৃথিবীকে গোলাকারই বলা হত তবে মানুষকে কষ্ট করে আবিষ্কার করে দাবী করতে হয় না যে পৃথিবী গোল। ওই ইহুদী নাসারারা যদি না আবিষ্কার করতো যে পৃথিবী গোল তবে এখনও মুসলমান আস্তিকরা বিশ্বাস করতো (আর অপযুক্তি আনতো) যে পৃথিবী সমতল। ১৫০০ সাল পর্যন্ত মুসলমানরা (বেশীর ভাগই বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত) বিশ্বাস করেছে পৃথিবী সমতল। আর তাই মুসলমানদের লেখা কোন বইগুলোতে (হাদিস বা অন্য কারো বই) এ কথা লেখা ছিল না যে পৃ্থিবী গোল। বরং পৃথিবী গোলাকার এটা আবিষ্কার করার আগে মুসলমানদের লেখা সব বইয়েই পৃথিবীকে সমতল বলে দাবী করা হয়েছে। বিংশ শতাব্দিতে যখন সবাই জেনে গেছে পৃথিবী সমতল নয় বরং গোলাকার তখন জাকির নায়েকের মতো ভন্ড মুসলমানগুলো গোঁজা মিল দিয়ে কুরানকে বৈজ্ঞানিক বানিয়েই ছেরেছে (আসলে হবে বানানোর চেষ্টা করে হেরেছে)।

পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে যে রাত দিন হয় সেটা ইহুদী নাসারা বা বিধর্মী বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে । কোন মুসলমান নয়। যদি কুরআনে সেটা লেখাই থাকতো তবে তাদেরকে এতো এতো পরিশ্রম করে এগুলো আবিষ্কার করতে হতো না।

এসব বুঝতে আইনস্টাইন হতে হয় না। সাধারন মুক্ত বুদ্ধির হলেই এসব প্রতারণা ধরা যায়। তার জন্য চাই মুক্ত বা স্বাধীন মন এবং কুসংস্কারগুলোর প্রতি অন্ধবিশ্বাস না থাকা।

আর তাই জাকির নায়েক যতই “আচ্ছাদিত হয় বা ঢুকে যায় মানেই পৃথিবী গতিশীল, গোল প্রমান হয়ে গেল” বলে চ্যাঁচামেচি করুক না কেন, এই অপযুক্তি দিয়ে বুদ্ধিমানদেরকে বোঁকা বানানো যাবে না। শুধু তাদেরকেই বোকা বানানো যাবে যারা অনেক আগেই বোঁকা হয়ে আছে।

কোরানে কোথাও বলা হয়নি পুথিবী ঘুরে। বরং বারবার বলা হয়েছে সূর্য, চন্দ্র, রাত, দিন প্রত্যেকে নিজ নিজ অক্ষে ঘুরে । যদিও সুর্য চন্দ্র ঘুরে বলতে মুহাম্মদ চাঁদ ও সূর্যের পৃথিবীর চার দিকে ঘূর্ণন বুঝানো হয়েছে তবুও তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই যে এগুলো নিজস্ব অক্ষেই ঘুরে (মানে সূর্য আর চাঁদের কক্ষপথ আলাদা আলাদা) তাহলে কুরআনে যেভাবে বলা আছে দিন আর রাত নিজ নিজ অক্ষে ঘুরে সেটা কী তবে রাত আলাদা অক্ষে বা কক্ষপথে ঘুরে আর দিন আলাদা কক্ষপথে ঘুরে বুঝানো হয়েছে? দিন আর রাত কী ঘুরে; তাও আবার আলাদা আলাদা কক্ষ পথে? 

আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে রাত আর দিন ঘুরে না বা গতিশীল থাকে না। এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে দিন বা আলোর নিজস্ব অস্তিত্ব থাকলেও রাত বা অন্ধকারের নিজস্ব অস্তিত্ব নেই। বরং অন্ধকার বা রাত হলো সূর্যের আলোর অনুপস্থিতির জন্য মস্তিষ্কে তৈরী হওয়া একটি আলোর বিপরীত প্রতিক্রিয়া। আলোর উপস্থিতিতে যেমন দিন বা আলো দেখার অনুভূতি মস্তিষ্কে তৈরী হয় ঠিক তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া হিসেবে আলোর অনুপস্থিতির জন্য মস্তিষ্কে অন্ধকারের বা রাতের এক কাল্পনিক প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই প্রতিচ্ছবিটি ঘটে মস্তিষ্কের ভিতরে। আসলে বাস্তবে বা মস্তিষ্কের বাইরের অন্ধকারের বা রাতের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই। আর তাই অস্তিত্বহীন অন্ধকারের পক্ষে গতিশীল হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু কুরআন স্পষ্ট বলেছে যে সূর্য ও চন্দ্রের মতো (যাদের বাস্তব অস্তিত্ব রয়েছে) রাত ও দিনও গতিশীল থাকে এবং তাদের নিজস্ব অক্ষ বা কক্ষপথ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক তার উল্টো। তাই কুরআন ভূল বা মিথ্যা কথা বলেছে।

কোন এক মনিষী বলেছে - "তুমি কিছু সময়ের জন্য সবাইকে বিভ্রান্ত করতে পারবে; এমন কি কিছু মানুষকে সব সময়ের জন্য বিভ্রান্ত করতে পারবে; কিন্তু তুমি কখনই সবাইকে সব সময়ের জন্য বিভ্রান্ত করতে পারবে না।"

অনেক দিন মানুষ ধর্মের ভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত ছিল। এখনও আছে। কিন্তু সময় এসেছে মুক্তির। মানুষ আর আস্তিক হয়ে অন্ধবিশ্বাসীর জীবন চাইছে না। মানুষ এখন মুক্ত হতে চাইছে। কুসংস্কার মুক্ত; অন্ধবিশ্বাস মুক্ত। 

আর তাই দিনে দিনে নাস্তিকের সংখ্যা বাড়ছে । আর বিজ্ঞান যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ফলে কুসংস্কার পিছিয়ে যাচ্ছে তাতে এই বৃদ্ধির হার বাড়তেই থাকবে যতদিন না পৃথিবী থেকে কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস দুর হয় ।


রানা আব্দুল্লাহ বলেছে, কুরআনে বর্ণিত আছে,

"তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন? (সূরা লোকমান ৩১:২৯)

এখানে রাত দিনকে প্রবিষ্ট করে বা আচ্ছাদিত করে রাখে এবং দিন রাতকে প্রবিষ্ট করে বা আচ্ছাদিত করে রাখে মানে হচ্ছে যে রাত দিন পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে রাখে। আর আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের দেখিয়েছে যে রাত ও দিন  আসলেই পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে রাখে।

কুরআনে বলা হয়েছে,

"তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।" (সূরা আম্বিয়া ২১:৩৩)

কুরআন এখানে পরিষ্কার ভাবেই চন্দ্র এবং সূর্যের একটি নির্দিষ্ট অরবিটে ঘূর্ণনের কথা বলেছে। আর চন্দ্র ও সূর্য যে নির্দিষ্ট অরবিটে ঘূর্ণন করে সেটা বিজ্ঞান এই কিছু দিন আগে প্রমাণ করেছে। তাই কুরআন আর বিজ্ঞান একই কথা বলেছে। আর তাই কুরআন সত্য।


আমি বলেছি,

"আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন।"

কথাটার মানে হচ্ছে আল্লাহ রাতকে দিনের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। আর দিনকে রাতের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। এখন আপনি বলুন কিভাবে এটা হয়? আপনি কি কখনই রাতকে দিনের ভিতরে ঢুকে যেতে দেখেছেন? নাকি কেউ দেখেছে? এখানে মুহাম্মদের ভ্রান্ত ধারণাই প্রকাশিত হয়েছে যে 'রাত দিনের ভিতরে ঢুকে যায় আর দিন রাতের ভিতরে ঢুকে যায়'। এই আয়াতটিতে এটাই স্পস্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে।

কিন্তু আপনি দাবী করেছেন যে দিন রাতে প্রবিষ্ট হয় এবং রাত দিনে প্রবিষ্ট হয় মানেই হলো পৃথিবী গোলাকার। আবার দিন রাতকে আচ্ছাদিত করে এবং রাত দিনকে আচ্ছাদিত করে মানেই হলো পৃথিবী গোলাকার। আয়াতটিতে ভালো করে লক্ষ করুন বলা হয়েছে যে, "দিন রাত্রিতে প্রবিষ্ট হয় অর্থাৎ দিন রাতের ভিতরে ঢুকে যায়। আর রাত দিনে প্রবিষ্ট হয় অর্থাৎ রাত দিনের ভিতরে ঢুকে যায়।

আবার কুরআনে বলা হয়েছে যে রাত দিনকে আচ্ছাদিত করে বা রাত দিনকে ঢেকে দেয়। আবার দিন রাতকে আচ্ছাদিত করে বা রাত দিনকে ঢেকে দেয়।

আপনি যেভাবে দাবী করেছেন যে রাত দিনকে আচ্ছাদিত করা মানেই রাত পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করা বুঝায় সেটি কিন্তু কুরআনে লেখা নেই। বরং কুরআন স্পষ্ট করে বলছে যে রাত দিনের ভিতরে শুধু প্রবেশই করে না বরং রাত দিনকে ঢেকেও দেয়। অথচ বাস্তবে দিন বা রাত কেউই কাউকে ঢেকে দেয় না বা কেউই কারো ভিতরে প্রবেশ করে না। আসলে কুরআন লেখক জানতো না যে রাত দিন কেন হয় এবং কিভাবেই রাত দিনের পরিবর্তন হয়। তাই কুরআনে সে এসব উদ্ভট কথাবার্তা বলেছে যার কোন ভিত্তিই নেই এবং কোন তাৎপর্যও নেই। এসব জ্ঞানহীন প্রাচীণ অজ্ঞ মানুষের অর্থহীন কথাবার্তা ছাড়া আর কিছুই নয়।

আমরা পৃথিবীর কোথাও দেখি না যে রাত দিনকে ঢেকে দেয় বা দিন রাতকে ঢেকে দেয়। আবার পৃথিবীর কোথাও রাত দিনের ভিতরে ঢুকে যায় না এবং দিন রাতের ভিতরে ঢেকে যায় না। অর্থাৎ কুরআনের এসব কথা ভিত্তিহীন এবং অর্থহীন মিথ্যা ও ভ্রান্ত কথা।

প্রকৃতপক্ষে কুরআন লেখক জানতো না রাত দিন কিভাবে হয় এবং কেন হয়?

আসলে দিন বা রাত কোনটিই কোনটিকে ঢেকে দিতে পারে না (এটা অসম্ভব) এবং কোনটি কোনটির ভিতরেও প্রবেশ করতে পারে না। কারণ হলো দিন তৈরী হয় সূর্যের আলোর জন্য আবার রাত তৈরী হয় সূর্যের আলোর অনুপস্থিতির জন্য। যখন দিনের আলো প্রবেশ করে তখন রাত পালিয়ে যায়। আবার রাত বা অন্ধকারের কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই বলে রাত কখনই দিনের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ রাতের কোন বাস্তব অস্তিত্বও নেই। অর্থাৎ আলোহীন শুন্যতাই হলো রাত। আর এই শুন্যতায় যখন আলো পড়ে তখন দিনের সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ আলো অন্ধকার শুন্যতায় প্রবেশ করে এবং দিন সৃষ্টি হয়। কিন্তু অন্ধকার বা রাতের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব না থাকায় এটি কোন কিছুতে যেমন প্রবেশ করতে পারে না বা ঢুকে যেতে পারে না ঠিক তেমনি এটি কোন কিছুকে আচ্ছাদিত বা ঢেকে দিতেও পারে না। অর্থাৎ কুরআনের দাবী যেমন ভিত্তিহীন তেমনই অসম্ভব। আর তাই কুরআনের কথা পুরোপুরিই মিথ্যা।

কিন্তু এ সব মিথ্যা কথাগুলোকে দিয়েই মুসলমানরা কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবী করে। যেমন তারা বলে থাকে যে রাত দিনকে আচ্ছাদিত করা মানেই হলো রাত পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে রাখে। আবার দিন রাতকে আচ্ছাদিত করে রাখে মানেই হলো দিন পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে রাখে। তাদের দাবী প্রমাণ করার জন্য তারা নানা কুযুক্তির আমদানী করে। তারা বলে আচ্ছাদিত করা মানেই হলো গোলাকার কিছুকে আচ্ছাদিত করা। যেমন মাথায় পাগড়ী পড়া। মাথা যেমন গোরাকার আর পাগড়ী গোলাকার মাথাকে আচ্ছাদিত করে বা ঢেকে দেয় ঠিক সেভাবেই রাত এবং দিন পৃথিবীকে ঢেকে দেয়। কুযুক্তির এক উদ্ভট দৃষ্টান্ত!

আচ্ছাদিত কি শুধু গোলাকার কিছুকেই করা যায়? সমতল কিছুকে কি আচ্ছাদিত করা বা ঢেকে দেওয়া যায় না?

আসলে যে কোন কিছুকেই আচ্ছাদিত করা বা ঢেকে দেওয়া যায়। সমতল টেবিলকে টেবিল ক্লথ দিয়ে আচ্ছাদিত করা বা ঢেকে দেওয়া হয়। বিছানাকে বিছানার চাদর দিয়ে আচ্ছাদিত করা ঢেকে দেওয়া হয়। আসলে আচ্ছাদিত করা কথাটির মানেই হচ্ছে ঢেকে দেওয়া। আর আমরা জানি যে যেকোন কিছুকেই ঢেকে দেওয়া যায়। কিন্তু কুরআনে পৃথিবীকে ঢেকে দেবার কথা বলা হয়নি এবং গোলাকার কিছুকে ঢেকে দেবার কথাও বলা হয়নি। তাই আচ্ছাদিত করা মানে মাথাকে পাগড়ি দিয়ে ঢেকে দেওয়াই বুঝায় আর মাথা গোলাকার বলে রাত দিনকে বা দিন রাতকে ঢেকে দেওয়া মানেই হলো পৃথিবী গোলাকার এগুলো কুযুক্তি এবং মিথ্যাবাদিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং এরা সত্যকে মিথ্যা দিয়ে আচ্ছাদিত বা ঢেকে দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা জানে না যে সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে দেওয়া যায় না। কারণ কুরআনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে রাত স্বয়ং দিনকে ঢেকে দেয় এবং দিন স্বয়ং রাতকে ঢেকে দেয়। এবং রাত স্বয়ং দিনের ভেতরে ঢুকে যায় এবং দিন স্বয়ং রাতের ভিতরে ঢুকে যায়। যদিও দিনের নিজস্ব অস্তিত্ব আছে তাই তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় যে দিন রাতের ভেতরে প্রবেশ করে বা দিন রাতকে ঢেকে দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো রাত বা অন্ধকারের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই। আলোহীন শুন্যতাই হলো অন্ধকার অর্থাৎ কোন কিছু (আলো) না থাকাটাই হলো অন্ধকার। আর তাই অস্তিত্ব বিহীন রাতের পক্ষে দিনের ভেতরে ঢুকা সম্ভব নয়। কিন্তু কুরআন লেখকের পক্ষে আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে জানা সম্ভব ছিল না যে অন্ধকার বা রাতের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই। কিন্তু দিন বা আলোর নিজস্ব অস্তিত্ব আছে। তাই কুরআন লেখক জানতো না যে দিন কোন কিছুর ভেতর ঢুকে যেতে পারলেও রাতের পক্ষে সম্ভব নয় যে দিন বা অন্য কিছুর ভিতরে ঢুকে যাবে। ফলে এখানে স্পষ্টতই প্রমাণ হয় যে, কুরআন লেখক মিথ্যা এবং ভ্রান্ত কথা বলেছে।

আর তাই প্রবিষ্ট করা বা আচ্ছাদিত করা মানেই হলো পৃথিবী গোলাকার এসব অপযুক্তি এবং কুযুক্তি দিলেই কুরআন সত্য হয়ে যায় না। বরং কুরআন রাত দিন সম্পর্কে মিথ্যা এবং ভ্রান্তিপূর্ণ কথা বলেছে এটাই প্রমাণিত হয়।


কুরআনে সূরা আম্বিয়া'র ৩৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে,

"আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিবস এবং সূর্য ও চন্দ্র; প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।" (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)

আপনি নিজের বিবেক বুদ্ধি একটু ব্যবহার করুন। অন্যের বুদ্ধিতে চললে হবে কি করে? বাক্যটি ভালো করে লক্ষ করুন বলা হচ্ছে, "রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে"। এখানে শুধু সূর্য চন্দ্র ঘুরে বা বিচরণ করে এটাই বলা হয়নি বরং রাত ও দিনও ঘুরে এটা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরন করে।

তাহলে এখন আমাকে বলুন রাত (যার বাস্তব অস্তিত্ব নেই) এবং দিন কিভাবে নিজের কক্ষপথে বিচরন করে? এটাতে কি এটা বুঝা যাচ্ছে না যে মুহাম্মদ ভেবেছে সূর্য ও চন্দ্র যেভাবে পরিভ্রমন করে সেভাবে রাত দিনও পরিভ্রমন করে। কারণ সে প্রতিদিন সূর্য ও চাঁদকে বিচরন করতে দেখেছে এবং রাত দিনকেও পরিবর্তন হতে দেখেছে। আর সরল মনে ভেবেছে, নিশ্চয় চাঁদ সূর্য যেভাবে বিচরন করে ঠিক তেমনি রাত দিনও তাদের নিজস্ব কক্ষপথে বিচরন করে ।

এই আয়াতগুলোই প্রমান করছে কুরআনে মুহাম্মদের ধ্যান-ধারণাই বর্নিত হয়েছে। কারণ আমরা জানি যে সূর্য ও চন্দ্র তাদের নিজের নিজের কক্ষপথে ভ্রমন করলেও রাত ও দিন ভ্রমণ তো করেই না এমন কি এগুলোর নিজেদের আলাদা আলাদা কোন কক্ষপথও নেই। বরং সূর্যের আলো যেখানে যেখানে প্রবল ভাবে পড়ে সেখানে দিন হয় আর রাত হলো সূর্যের আলোর অনুপস্থিতে সৃষ্টি হওয়া মস্তিষ্কের এক কাল্পনিক প্রতিচ্ছবি যার বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই; যার অস্তিত্ব শুধুই মস্তিষ্কের ভিতরে সৃষ্টি হওয়া আলোর অনুপস্থিতির দরুন কাল্পনিক প্রতিচ্ছবিতে। তাই রাতের কোন নিজ কক্ষপথ থাকা অসম্ভব। যদিও পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্য আপাত মনে হয় যে রাত দিন চলমান থাকে কিন্তু বাস্তবে রাত এবং দিন চলমান নয়। বরং যেখানে সূর্যের আলো প্রবল ভাবে উপস্থিত থাকে সেখানে দিন হয় এবং সূর্যের আলো যেখানে উপস্থিত থাকে না সেখানে রাত হয়। (এই রাত হওয়াটা শুধুই মানুষের বা অন্যান্য প্রাণীর মস্তিষ্কের অভ্যন্তরিন ব্যাপার যার বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।) আর তাই রাত এবং দিনের কোন কক্ষপথ থাকা কখনই সম্ভব নয়। যেখানেই সূর্যের আলো পৌছবে সেখানেই দিন হবে এবং যেখানে সূর্যের আলো পৌছবে না সেখানেই রাত হবে। আর তাই রাত এবং দিনের কখনই কোন কক্ষপথ থাকতে পারবে না।

কিন্তু কুরআনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে যেভাবে সূর্য ও চন্দ্রের নিজস্ব কক্ষপথ রয়েছে ঠিক সেভাবেই রাত এবং দিনেরও নিজস্ব কক্ষপথ আছে। যা বাস্তব জগতে সত্য নয়। এটি কুরআন লেখকের অজ্ঞতা সূচক কাল্পনিক ধারণা। ফলে এই ভ্রান্তিযুক্ত মিথ্যা কথাটি কুরআনে থাকায় এটাই প্রমাণিত হয় যে কুরআন কোন অতিক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং কুরআন লিখেছে প্রাচীণ আবরের অজ্ঞ কোন মানুষ। তাই কুরআন মিথ্যা।

কিন্তু আপনি এই আয়াতটি উল্লেখ করে দাবী করেছেন যে এখানে আসলে সূর্য ও চন্দ্রের নিজস্ব কক্ষপথ আছে বা অরবিট আছে এটাই বুঝানো হয়েছে। কিন্তু ওই আয়াতের সম্পূর্ণ অংশটি পড়লেই এটা স্পষ্ট হয় যে ওই আয়াতে শুধু সূর্য ও চন্দ্রের অক্ষ বা কক্ষপথের কথাই বুঝায়নি বরং রাত ও দিনের অক্ষ বা কক্ষপথের কথাও বুঝানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তব পৃথিবীতে সূর্য ও চন্দ্রের নিজস্ব কক্ষপথ থাকলেও রাত ও দিনের নিজস্ব কোন কক্ষপথ বা অক্ষ নেই।

আর তাই সূর্য ও চন্দ্র তাদের নিজ নিজ অক্ষে প্রদক্ষিণ করে বলতে কুরআন বুঝিয়েছে যে সূর্য ও চন্দ্রের কক্ষপথ আলাদা আলাদা, যা বিজ্ঞান মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করেছে অথচ কুরআনে একথা ১৪০০ বছর আগেই বলা হয়েছে তাই কুরআন সত্য ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে এসব কুযুক্তিপূর্ণ কথা মুসলমানরা এজন্যই বলে যাতে মানুষকে সহজেই বোকা বানানো যায়।

কারণ সূর্য ও চন্দ্রের যে নিজ নিজ কক্ষপথ আছে সেটি বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে। কুরআন থেকে মানুষ এই তথ্যটি পায়নি। অথচ মুসলমানরা বিজ্ঞানের কল্যাণেই এই তথ্যটি জেনেছে এবং এর সাথে কুরআনের ওই আয়াতটিকে মিশিয়ে এক প্রকার মুসলমানীয় খিচুড়ী বানিয়েছে। কারণ আয়াতটি দেখলেই স্পষ্ট বুঝা যায় যে এই আয়াতে সূর্য ও চন্দ্রের নিজ নিজ কক্ষপথের কথা বলা হয়েছে সেটি বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত সূর্য ও চন্দ্রের আলাদা আলাদা কক্ষপথ নয়; বরং অন্য কোন কক্ষপথ। এটা বুঝা যায় যখন কুরআনের ওই আয়াতটিতে লেখা থাকে যে সূর্য ও চন্দ্রের মতো রাত ও দিনেরও আলাদা আলাদা কক্ষপথ আছে। তখন বুঝা যায় যে কুরআন সূর্য ও চন্দ্রের কক্ষপথ বুঝাতে বাস্তব জগতের সূর্য ও চন্দ্রের আলাদা আলাদা কক্ষপথকে বুঝানো হয়নি বরং এমন এক কক্ষপথের কথা বলা হয়েছে যে কক্ষপথ সূর্য ও চন্দ্রের মতো রাত ও দিনেরও আলাদা আলাদা কক্ষপথ রয়েছে। কিন্তু আমরা বাস্তবে রাত ও দিনের কোন কক্ষপথ দেখিনি। আসলে বিজ্ঞান আমাদের জানিয়েছে যে সূর্য ও চন্দ্রের কক্ষপথ থাকলেও রাত ও দিনের কোন আলাদা আলাদা কক্ষপথ নেই। তাই কুরআনের এই কথাগুলো মিথ্যা।

কিন্তু যখন মুসলমানরা কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে চায় তখন ওই আয়াতটি শুধু ‘সূর্য ও চন্দ্রের আলাদা আলাদা কক্ষপথ আছে’ শুধু এই অংশটিই উল্লেখ করে। কিন্তু আয়াতটিতে যে রাত ও দিনের আলাদা আলাদা কক্ষপথের কথা বলা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। এরকম প্রতারণা করে তারা কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানায়। আয়াতটি লক্ষ করলেই বুঝা যায় যে সেখানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে যে,

সূর্য ও চন্দ্র এবং রাত্রি ও দিবস প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।

অর্থাৎ কুরআনের ভাষ্য মতে শুধু সূর্য ও চন্দ্রই তাদের নিজেদের আলাদা আলাদা কক্ষপথে বিচরণ করে না বরং রাত ও দিনও তাদের নিজেদের আলাদা আলাদা কক্ষপথে বিচরণ করে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো সূর্য ও চন্দ্র আলাদা আলাদা কক্ষপথে ভ্রমণ করলেও রাত ও দিনের কোনই কক্ষপথ নেই এবং এরা ভ্রমণও করে না। তাই তারা সূর্য ও চন্দ্রের মতো আলাদা আলাদা কক্ষপথে ভ্রমণ করে না। এই দাবিটি প্রাচীণ কোন অজ্ঞ মানুষের অজ্ঞতাসূচক কথা। যার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। আর এই ভিত্তিহীন কথা যে গ্রন্থে বর্ণিত থাকে সেটা কোন ক্রমেই কোন সত্য কথার গ্রন্থ হতে পারে না। বরং সেই গ্রন্থ বা বইটি মিথ্যার বই।

আমি আমার যুক্তি তুলে ধরলাম। আশাকরি আপনিও আপনার যুক্তি তুলে ধরবেন। এটা কি, ওটা কি এসব অযৌক্তিক প্রশ্ন করবেন না।

চলবে....

(বাকীটুকু দ্বিতীয় অংশে)

2 comments:

  1. ১.নির্দিষ্ট সময় বলতে কিয়ামত পর্যন্ত।
    ২. দিন রাত দিন রাত দিন রাত দিন রাত দিন।
    পৃথিবীর আবর্তনকালে এই ঘটনাটাই সংগঠিত হয়।
    যাই হোক খুবি আনাড়ি বিশ্লেষণ মনে হলো।

    ReplyDelete
  2. Tasty extra long digital titanium styler - TITanium Art
    Tasty extra long digital titanium hip titanium styler. titanium ore Tasty extra long titanium plate digital titanium styler. Tasty extra nipple piercing jewelry titanium long digital titanium wood stoves titanium styler. Tasty extra long digital titanium

    ReplyDelete