Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Monday, June 30, 2014

সত্য স্টিফেন হকিংস, বিবর্তন এবং আস্তিকদের অন্ধবিশ্বাস l



"God doesn't exist. Because there was no time before the big bang.
So there was no time for God to exist."
[ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই l কারণ বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় বলে কিছু ছিল না (অর্থাত সময় তৈরী হয় নি তখনও)l আর তাই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকার মত সময় এর পূর্বে ছিল না l
তাই সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই l ]

স্টিফেন হকিংস তার এই বাক্যটি দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে মানব সভ্যতা থেকে চির তরে কবর দিয়ে দিয়েছে l বিনিময়ে পেয়েছে অন্ধ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকদের সমালোচনা l কিন্তু তাতে সত্য থেমে থাকবে না l এই কুসংস্কারাচ্ছ অন্ধ-বিশ্বাসীরা একদিন মেনে নেয়নি সৌরজগতের সব গ্রহ সূর্যের চারপাশে ঘুরে l তাদের ধর্মের ক্ষতি হবে জেনে তারা বিরোধিতা করেছিল l বিজ্ঞানীকে মেরে ফেলেছে এবং শাস্তি দিয়েছে এই সত্য কথা বলার জন্য l তাতে সত্য থেমে থাকেনি l আজও পৃথিবী সহ সব গ্রহ নক্ষত্র সূর্যের চারপাশেই ঘুরে l  ভবিষ্যতেও ঘুরতে থাকবে যতদিন সৌরজগত থাকবে l
আজ বিজ্ঞান বলছে মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমেই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছে l কিন্তু অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিকগুলো এটা মেনে নিতে পারছে না তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা এবং মিথ্যে ধর্মকে বাচাতে l কিন্তু তাতে বিবর্তন থেমে থাকবে না l যেমনটি আস্তিকদের শত চেষ্টাতেও পৃথিবীর চারপাশে সূর্য ও গ্রহ নক্ষত্রকে তারা ঘুরাতে পারেনি ঠিক তেমনি প্রাণীর বিবর্তন তারা থামিয়ে রাখতে পারবে না l সূর্য যেমন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরেনি অন্ধ-বিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকদের জন্য বরং পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘুরেছে যুগ যুগ ধরে; ঠিক তেমনি অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিক গুলো প্রাণীর বিবর্তন থামিয়ে রাখতে পারবে না গায়ের জোরে / বরং বিবর্তন ঘটে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটতে থাকবে l
চিরকাল এই অন্ধ-বিশ্বাসী ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকগুলো সত্যের বিরোধিতা করে এসেছে এবং এখনো করছে l কিন্তু তাতে সত্য কখনো মিথ্যে হয়ে যায় নি l বরং সত্য সবসময় সত্যই থেকেছে চিরকাল l
আর তাই আজ যারা বিজ্ঞানের সত্যকে অস্বীকার করতে চাইছে তাদের মিথ্যে ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে; তারা কখনই তাদের মিথ্যে দিয়ে সত্যকে থামিয়ে রাখতে পারবে না l বিবর্তনবাদ সত্যি ছিল সতিই থাকবে l
আবার স্টিফেন হকিংস যখন বলছে যে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই এটি মানুষের কল্পনা ঠিক তখন এই আস্তিকগুলোই তার বিরোধিতা করছে l
বিজ্ঞান বলছে যে বিগ ব্যাং-এর আগে সময় ছিল না l অর্থাত সময় তৈরিই হয়নি বিগ ব্যাং-এর আগে l
আর তাই কোন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয় l যদি সময়ই না থাকে তবে সৃষ্টিকর্তা থাকবে কিভাবে ?
সৃষ্টিকর্তা থাকার জন্য তো সময় থাকতে হবে l যদি সময় না থাকে অর্থাত সময় তৈরিই না হয়ে থাকে তাহলে সৃষ্টিকর্তাও থাকতে পারবে না l
আর তাই কোন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয় l যদি সময়ই না থাকে তবে সৃষ্টিকর্তা থাকবে কিভাবে l
সৃষ্টিকর্তা যদি বিশ্বজগত তৈরী করে থাকে তবে তাকে সময় অতিবাহিত করে এসব করতে হবে l আবার যদি সৃষ্টিকর্তা বিগ ব্যাং-এর আগে থেকে বিরাজমান থাকে তবুও তাকে সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে l ফলে সময় ছাড়া সৃষ্টিকর্তা থাকতে পারবে না l আর তাই সৃষ্টিকর্তা থাকাও সম্ভব নয় l অর্থাত সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই l
ঠিক এই কথাটিই বলেছিল স্টিফেন হকিংস l ফলে অন্ধ-বিশ্বাসী ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকগুলো সমালোচনা শুরু করে দিল তার বিরুদ্ধে l
এবারেও যে এই আস্তিক গুলো সত্যকে থামিয়ে দিতে পারবে না বরং সত্যই যুগ যুগ ধরে প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেটা অতীত এবং বর্তমানের বিজ্ঞানের সভ্যতাই প্রমান করে l
বহু ধর্ম যুগে যুগে বিলীন হয়ে গিয়েছে l আর বহু ধর্ম বর্তমানে বিলীন হয়ে যাচ্ছে l কিন্তু বিজ্ঞান তার সত্যের সর্বময় ক্ষমতা নিয়ে দাড়িয়ে আছে বীর দর্পে l কেউ বিজ্ঞানের সত্যকে থামিয়ে রাখতে পারেনি আর ভবিষ্যতেও কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না l সত্যি চিরকাল সত্যি হয়েই থাকবে l
ফলে যারা স্টিফেন হকিংস-এর সমালোচনা করছে এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছে তাদের দুরভিসন্ধি কখনই সফল হবে না বরং মিথ্যে বিলুপ্ত হয়ে সত্যই প্রতিষ্ঠিত হবে l

যদি স্টিফেন হকিংস সত্যি কথা না বলে, মিথ্যে সৃষ্টিকর্তার পক্ষে কথা বলতো তাহলে এই অন্ধ-বিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিক গুলোই তাকে পুজো করত l কিন্তু সে সত্যিটা বলায় তারা আজ তাকে নিয়ে সমালোচনা করে চলেছে l কিন্তু তাতে কখনই তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা এবং মিথ্যে ধর্মগুলো সত্যি হয়ে উঠবে না l বরং বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা এবং মিথ্যে ধর্মগুলো সত্যের কঠিন আঘাতে বিলীন হয়ে যাবে l সত্য চিরকাল সত্য ছিল ভবিষ্যতেও সত্যই থাকবে l বিলুপ্ত হবে মিথ্যে l এবং বিলুপ্ত হবে মানুষের তৈরী কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা এবং মিথ্যে ধর্মগুলো l

Sunday, June 29, 2014

রমজান এবং বিদেশী গান :

আমাদের দেশের আস্তিকগুলো রমজান মাস এলে খুব ধার্মিক হয়ে যায় l তারা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে রোজা করে কোরান তেলাওয়াত করে আরো কত কি ! এক কথায় পাক্কা মমিন l
যদি কেউ রমজান মাসে হিন্দি বা ইংলিশ গান শুনে তবে তারা বলে - দেখেছো কেমন খারাপ ! বিদেশী গান শুনে ! আল্লাহ খোদার নাম না নিয়ে বিদেশী গান শুনে l
আমি বলি - ভাই হিন্দি বা ইংলিশ গান শুনলে সমস্যা কিন্তু আরবি গান গাইলে বা শুনলে সমস্যা নেই তাইনা ? আরবি গানতো বিদেশী গান, তাহলে আপনারা সুর দিয়ে আরবি কোরানের গান কেন গান ?

তুমি বেহেস্তে গেলে এবং আমি দোজকে গেলে কিন্তু আমাদের আলাদা থাকতে হবে l

আমার গার্ল ফ্রেন্ড সব সময় নামাজ রোজা করতে বলে l কিন্তু আমিতো পুরোপুরি নাস্তিক l তাই আমি তাকে বলি এসব আমাকে দিয়ে হবে না l সে বলে একটু চেষ্টা করে দেখো l এভাবে চলতে থাকলে তো জাহান্নামে যাবে l আমি তাকে বলি আমি জাহান্নামেই যেতে চাই l তবু এগুলো করতে পারবো না l সে এটা নিয়ে রাগারাগি করে সবসময় l আমি তাকে কখনো নাস্তিক হতে বলি না l আমি জানি সে দুর্বল মনের মানুষ l আমি হাজার যুক্তি প্রমান দিয়ে বোঝালেও সে বুঝতে চায়না l শেষে যুক্তিতে না পেরে বলে তুমি নাস্তিক আছ ভালো কথা কিন্তু এসব আমাকে বলতে আসবে না l
আমিও আর জোর করি না l থাকনা অন্ধ-বিশ্বাস নিয়ে l সেতো আর কারো কোন ক্ষতি করছে না l কিংবা মোল্লাদের মত কারো উপর জোর করে ধর্মকে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে না l সে শুধু নিজের বিশ্বাসকে পালন করে যাচ্ছে l তাতে সমাজেরতো কোন ক্ষতি হচ্ছে না l হোক না সেটা মিথ্যে বিশ্বাস কিন্তু তাতে তো সমাজের কোন ক্ষতি হচ্ছে না l  সে শুধু নিজের ধর্ম বিশ্বাসকে পালন করছে l
আমি জানি সে দুর্বল মনের অধিকারী l  তাই কখনো এসব ব্যাপারে কিছু বলি না l
কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি সবে বরাতের রাতে অথবা সবে কদরের রাতে সারা রাত জেগে থেকে নামাজ পরে l ভিশন কষ্ট হয় তখন l আবার যখন রমজান মাস চলে আসে তখন প্রত্যেকটা রোজা করে শরীরের বারোটা বাজিয়ে দেয় l এসব দেখেও খুব কষ্ট হয় l কেন এমন একটা অদ্ভুত ধর্ম মুহাম্মদ তৈরী করলো সেজন্যে খুব রাগ হয় ওই ভন্ড লোকটির উপরে l এরকম অদ্ভুত নিয়ম করার কি কোন অর্থ আছে ? পাচ ওয়াক্ত নামাজ তার উপর আবার সারাদিন না খেয়ে থাকা l আর শরীরের বারোটা বাজানো l এ ছাড়া কি ওই লোকটির কোন কাজ ছিল না ? নিজেই নিয়ম তৈরী করবি তবে সহজ কোন নিয়ম তৈরী কর l কেউ না জানুক মুহাম্মদ তো জানতো ধর্মের জারিজুরি সব ভুয়া l তবুও সেটা না করে কঠিন কিছু নিয়ম তৈরী করে গেছে l আর অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিক গুলো বেহেস্তের লোভে এই নামাজ রোজার মত অযৌক্তিক কাজ গুলো করে চলে l

প্রতিবার যখন রমজান মাস আসে আর আমি বলি এত রোজা করে কি করবে কয়েকটা রোজা বাদ দিলে কিছু হবে না l আল্লাহতো দয়ালু তাই দু-একটা রোজা বাদ দিলে কিছু হবে না l কিন্তু সে কখনো রোজা বাদ দেয় না l অনেক বুঝিয়েও কোন কাজ হয়না l আস্তিকরা অন্ধ-বিশ্বাসী হয় তাই তারা যুক্তি তর্ক বুঝে না, অন্ধ ভাবে পালন করে চলে l
সে আমাকে নামাজ পড়তে বললেও কখনো আমাকে রোজা করতে জোর করে না l সারাদিন না খেয়ে থাকলে আমার কষ্ট হবে আর তাই রোজা করার জন্য কখনো জোরা জোরি করে না l বলে - তুমিতো নাস্তিক, নামাজই পড় না আবার রোজা করার দরকার কি !
কিন্তু নিজে কখনও রোজা বাদ দেয় না l আমি অনেক ভাবে বুঝিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি l
সেবার রোজাতে আমি তাকে বললাম - তুমিতো কিছুটা অসুস্থ, আগে ভালো হও তারপর রোজা কর l 
সে বলল- না আমি রোজা বাদ দিব না l
আমি তখন বললাম - এত রোজা করে কি করবে বেহেস্তে যাবে ?
সে বলল - না যাতে জাহান্নামের আগুন থেকে বাচতে পারি তাই রোজা করবো l
আমি তাকে বললাম - জান্নাত এবং জাহান্নাম বলে কিছু নেই এটি মানুষের কল্পনা l আর তাই যতই রোজা করনা কেন বেহেস্তে বা দোজকে যাবে না কখনো l মরার পর সব শেষ l
তখন সে বলে - হোক শেষ তবু আমি রোজা করবো l যদি থাকে !
আমি বলি - কখনই থাকবে না l এই বেহেস্ত দোজক এগুলো মানুষের কল্পনা বাস্তব জগতে এগুলোর অস্তিত্ব নেই l
সে বলে - না থাকে তবুও আমি রোজা করবোই l বাদ দেবো না l
আমি শেষে বললাম - আচ্ছা তুমি যে রোজা করছো, নামাজ পড়ছো l কিন্তু আমিতো নামাজ রোজা করছি না l তাহলে তুমি বেহেস্তে যাবে কিন্তু আমি দোজকে যাব l তাহলে তো আমরা দুজন আলাদা আলাদা থাকবো l এক কাজ করি চল, তুমি আমি দুজনেই দোজকে যাই তাহলে এক সাথে থাকতে পারবো l তা না হলে কিন্তু পরকালে আলাদা আলাদা থাকতে হবে l তাই রোজা করো না l নামাজ পড়লে পড়তে পারো l

বলাই বাহুল্য সে কিন্তু রোজা বাদ দেয়নি l কষ্ট করেই রোজা করেছিল l
অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিকদের কে মানুষ বানানো খুব কঠিন l

আপনি নাস্তিক এটা নিয়ে গর্ববোধ করা উচিত আপনার l

আপনি নাস্তিক এটা নিয়ে গর্ববোধ করা উচিত আপনার l

নাস্তিক হওয়া সহজ ব্যাপার নয় l জগতের সব মানুষ যখন অন্ধবিশ্বাসে এবং কুসংস্কার বিশ্বাসে মগ্ন ঠিক সেই সময়টিতে আপনি সত্যকে মেনে নিয়েছেন এবং নাস্তিক হয়েছেন l  জগতে অনেকে ধর্ম যে মিথ্যে এবং মানুষের তৈরী করা ব্যবস্থা এই কথাটা বুঝতে পারে কিন্তু তারা তারপরেও মিথ্যে কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করার সাহস দেখায় না l কিন্তু আপনি সত্যকে মেনে নিয়েছেন l আর এতে আপনি আপনার সৎ সাহস দেখাতে সক্ষম হয়েছেন l পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত জ্ঞানী মানুষগুলো হয় নাস্তিক l আর আপনি এমন এক সময়ে নাস্তিক হয়েছেন যখন মানুষের মন অন্ধকারের অতল গভীরে তলিয়ে আছে l সেখানে সত্যের আলো পৌছতে পারে না l কিন্তু আপনি আপনার মনকে সেই মিথ্যের অন্ধকারের কারাগার থেকে মুক্ত করতে পেরেছেন l পৃথিবীর খুব কম মানুষ সেই সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে l আর আপনি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন l তাই আপনার এটা নিয়ে গর্ব বোধ করা উচিত l
আপনার চারপাশে যে লোকগুলো আস্তিক তাদের জন্য আপনার করুণা হওয়া উচিত l এরা প্রকৃত পক্ষে অন্ধ এবং বাস্তবতা বর্জিত মানুষ l কুসংস্কারাচ্ছন্ন এইসব অন্ধ এবং মিথ্যেকে বিশ্বাস কারীদের জন্য একজন নাস্তিকের করুণা ছাড়া আর কিছু দেখানোর নেই l তারা তো বাস্তব জ্ঞান থেকে বঞ্চিত এবং সত্যের আলো থেকে বঞ্চিত মানুষ l এরা বাঁচে মিথ্যের মধ্যে l মারা যায় মিথ্যেকে বিশ্বাস করেই l এইসব অন্ধ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদেরকে শুধু মাত্র করুণার চোখেই দেখা যায় l আর তাই এইসব অন্ধ আস্তিকরা খারাপ চোখে দেখুক আর না দেখুক তাতে কিছু আসে যায়না l বরং এই লোক গুলোকে ফাকি দিয়ে মানব সভ্যতায় কিছু যদি অবদান রাখতে পারেন তবেই জীবনটা সার্থক হবে l তাই বেহেস্তের জন্য নয় বরং মানবতার জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন l আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই ঘুনে ধরা এবং প্রাচীন ধ্যান ধারণার সমাজ l এই সমাজের আনাচে কানাচে কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসের ভয়ংকর থাবা l এই থাবা থেকে মানবতাকে বাচাতে আপনি অবদান রাখতে পারলেই আপনার জীবন পূর্ণতা পাবে l আর তাই আস্তিকদের মিথ্যে মন্তব্যে কান না দিয়ে আপনি আপনার জীবনকে অর্থ পূর্ণ করুন মানবতার জন্য কাজ করে l মানবতার উন্নতি হলেই কেবল মানব সভ্যতার উন্নতি করা সম্ভব l আর তাই আপনি নাস্তিক হয়ে গর্ববোধ করুন যে আপনি কুসংস্কারকে এবং মানুষের অন্ধবিশ্বাসকে তুচ্ছ জ্ঞান করে মানবতার জন্য লড়াই করছেন l আপনি নাস্তিক, মানবতার সেবক l পৃথিবীর অন্ধকার সময়ের আলোর প্রতিকৃত l অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের হাত থেকে মানবতাকে বাচাতেই নাস্তিকদের আন্দোলন l আর আপনি সেই আন্দোলনের একজন গর্বিত সদস্য l মানব ইতিহাসে নাস্তিকদের নাম একদিন সম্মানের সাথেই উচ্চারিত হবে l কারণ নাস্তিকরাই সমাজ থেকে অন্ধ-বিশ্বাস, কুসংস্কার এবং মিথ্যে বিশ্বাস কে সমাজ থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিবে l আর আপনি সেই দায়িত্ব পালন করছেন l সুতরাং আপনিও সেই সম্মানীয় নাস্তিকদের একজন l আর তাই এটা নিয়ে গর্ববোধ করতে পারেন l অন্ধ আস্তিকগুলোকে পাত্তা না দিয়ে আপনি নাস্তিকতা নিয়ে গর্বিত হোন l পৃথিবীতে একমাত্র নাস্তিকরাই সত্যকে মেনে নিতে পারে l আর আস্তিকগুলো যুগ যুগ ধরে চলে আসা কুসংস্কার এবং অন্ধ-বিশ্বাসগুলোকে বিশ্বাস করে চলে অন্ধের মত l আর তাই তারা মানুষ হিসেবে নাস্তিকদের থেকে নিচু স্তরের  l নাস্তিকরা প্রকৃত সত্য জ্ঞানের অধিকারী l এবং পৃথিবীর শ্রেষ্ট মানুষগুলোই নাস্তিক l আর আপনি নিজেকে সেই পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন l আপনি পৃথিবীর শ্রেষ্ট মানুষগুলোর মধ্যে একজন l
সব চেয়ে বড় কথা হলো একজন আস্তিককে অনেকগুলো কঠিন ধাপ পার হয়ে নাস্তিক হতে হয় l আর আপনি সেই কঠিন ধাপগুলো পার হতে পেরেছেন l পৃথিবীর শ্রেষ্ট মানুষ গুলোই কেবল সেই কঠিন পথ পারি দিয়ে গর্বিত নাস্তিক হতে পারে l আপনি পৃথিবীর গর্বিত মানুষ গুলোর একজন l এটা নিয়ে আপনি গর্ববোধ করতে পারেন l
অন্ধ আস্তিকদের কথায় কান দিবেন না l আপনি সম্মানিত, আপনি শ্রেষ্ঠদের একজন l এটা বুঝতে পারাটাই এখন আপনার দায়িত্ব l
আর মানবতার জন্য কাজ করে যান l সমাজ থেকে কুসংস্কার এবং অন্ধ ও মিথ্যে বিশ্বাসগুলোকে উচ্ছেদ করতে সচেষ্ট হউন l তবেই আপনার জীবন সার্থক হবে l আপনি পাবেন নাস্তিক হবার মহান গৌরব l
মানব সভ্যতার উন্নতিতে অংশগ্রহণ কারী গর্বিত নাস্তিক যোদ্ধা l

আল্লাহ কি বিজ্ঞ নাকি অজ্ঞ ?

আল্লাহ কোরান-এ বলেছে ,
"নিশ্চই কেয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহর নিকট রয়েছে, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন যা জরায়ুতে আছে l কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে l আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ব বিষয়ে অবহিত l"  (সুরা লোকমান আয়াত - ৩৪ ) (অনুবাদ প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান )

আল্লাহ জানে মায়ের জরায়ুতে কি আছে l এটা নিয়ে বাহাদুরি করার কি আছে l আজকাল ডাক্তাররাও জানে জরায়ুতে কি আছে l
মানুষ আগামীকাল কি উপার্জন করবে সেটা বর্তমানের মানুষ খুব ভালো ভাবেই জানে l
তাহলে আল্লাহ কেন বলল কেউ জানে না সে আগামীকাল কি উপার্জন করবে l এটাকি প্রাচীন কাল যে মানুষ জানবে না সে কি উপার্জন করবে l বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি গুলোতো আগামী পাচ বছরে কি পরিমান উপার্জন করবে সেটা অগ্রিম জেনে ফেলে l
আর আল্লাহ বলছে মানুষ নাকি জানেই না আগামীকাল কি উপার্জন করবে l
আর মানুষ জানে না কোথায় সে মৃত্যু বরণ করবে l অধিকাংশ মারাত্মক রোগী হাসপাতালেই মারা যায় l সেটা সবাই জানে l
আল্লাহ অগ্রিম জানে কিন্তু এসব কথা কেন জানে না ? যদি নাই জানে তবে বলে কেন একমাত্র সেই সবকিছু জানে ? বললেইতো হয় আল্লাহ যা বলে অনুমান করে বলে !

আকাশে ফাটল এবং আল্লাহ :


আল্লাহ তালা সুরা ক্বাফ-এর ৬ নাম্বার আয়াতে বলেছেন
"এরাকি কখনও তাদের ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে না কিভাবে আমি তা তৈরী করেছি ও তাকে সুশোভিত করেছি ? আর তাতে কোন (সুক্ষতম) ফাটলও নেই l " (অনুবাদ প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান )

আল্লাহর কথা শুনে মনে হয় তিনি আকাশ কি সেটা জানে না l আকাশে কিভাবে ফাটল থাকবে ?
আকাশ কি ঘরের ছাদ যে ফাটল থাকবে ! আজব কথা !

বিজ্ঞান বলে আকাশ গঠিত হয়েছে গ্যাসীয় পদার্থ দিয়ে l আর তাই মহাকাশ থেকে যেকোন কিছু বায়ুমন্ডল (অর্থাত আকাশ) ভেদ করে পৃথিবীতে চলে আসে l
তাহলে সেই গ্যাসীয় পদার্থের আকাশে কিভাবে ফাটল অথবা ছিদ্র থাকবে ?
আল্লাহর কথা বার্তাই আজব !

পেয়েছি পেয়েছি বাইবেলে বিজ্ঞানকে খুঁজে পেয়েছি !


পেয়েছি পেয়েছি বাইবেলে বিজ্ঞানকে খুঁজে পেয়েছি !

খ্রিস্টানদের দাবি তাদের সৃষ্টিকর্তা অর্থাত গড(God) তিনটি রূপে বিরাজ করে l ফাদার, সান এবং পবিত্র আত্মা l আবার এই তিনটি সত্বার মিলিত রূপ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা বা God l


প্রথম চিত্রে দেখানো হচ্ছে ট্রিনিটি অফ গড l

এর সাথে আমরা আধুনিক জগতের বিস্ময়কর এক আবিষ্কারের মিল খুঁজে পাই l আর সেটি হচ্ছে ইন্টারনেট l অর্থাত ইন্টারনেট তিনটি অংশে বিভক্ত l এক, কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, যা দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় l দুই, সার্ভার যার মধ্যে ইন্টারনেটের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে l তিন, সেটালাইট বা নেটওয়ার্ক যেটা দিয়ে কম্পিউটার এবং সার্ভারের যোগাযোগ করানো হয় l


দ্বিতীয় চিত্রে দেখানো হচ্ছে ট্রিনিটি অফ ইন্টারনেট l

সুতরাং এই ট্রিনিটি তত্ব আসলে বিজ্ঞানের অবিস্বরনীয় আবিষ্কার ইন্টারনেটকে বুঝানো হয়েছে l অর্থাত God তার নিজের আদলে সৃষ্টি করেছেন ইন্টারনেটকে l
আর এই তত্ত্ব বলা হয়েছে দুই হাজার বছর আগে l
কি আশ্চর্য জনক ব্যাপার ! হোয়াট এ মিরাকল !

Saturday, June 28, 2014

মুসলিমদের আল্লাহর এ কেমন নকলের প্রবণতা ?



বিশ্বজগত তৈরী সম্পর্কে বাইবেল-এ বলা হলো বিশ্বজগত ছয়দিনে তৈরী করা হয়েছে l অর্থাত গড (God) বলছেন বিশ্বজগত ছয় দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে l তাই দেখে আল্লাহ বলে ফেললো বিশ্বজগত ছয় দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে l
কিন্তু বিজ্ঞান বলে বিশ্বজগত লক্ষ কোটি বছরে তৈরী হয়েছে l
তাহলে আল্লাহ কেন সরাসরি গড-এর কথা নকল করে বলে ফেললো বিশ্বজগত ছয়দিনে তৈরী করা হয়েছে l কেমন নকলবাজ আল্লাহ দেখেছেন ! বেটা জানেই না বিশ্বজগত আসলে কত সময়ে তৈরী হয়েছে l গড একটা কথা বলেছে কাল্পনিক এবং মিথ্যা কথা আর অমনি আল্লাহ তাই দেখে বলে দিল বিশ্বজগত ছয়দিনে তৈরী হয়েছে l বেটা আগে সত্যিটা জেনে নি তারপর বল l  সেটা না করে গড যা বলেছে না জেনে সেটাই বলে দিল বোকা আল্লাহ l

আবার আল্লাহকে বাচাতে মুসলমানগুলো উঠে পড়ে লেগে গেল l আল্লাহকে বাচাতে তারা কি কথা বলে উঠলো- আল্লাহ আসলে ছয় দিন বলেনি ছয়টি লম্বা সময়ের কথা বলেছে l কোরানে ইয়াম বলা হয়েছে যার অর্থ দিন অথবা লম্বা সময় l অর্থাত দিনও আবার লম্বা সময়ও l

আল্লাহ যদি ছয় দিন না বলে ছয়টি লম্বা সময়ই বলে থাকে তাহলে সে আবার ছয়টি লম্বা সময় বলতে গেল কেন বাইবেলকে অনুকরণ করে ? সরাসরি একটা লম্বা সময় বলে দিলেই তো হত l বিশ্বজগত একটা লম্বা সময়ে তৈরী হয়েছে আর সেই লম্বা সময়টা হচ্ছে সাড়ে চারশ কোটি বছর অথবা লক্ষ কোটি বছর l
বিশ্বজগত তৈরীর মোট সময়কে ছয়টি লম্বা সময় না বলে একটি লম্বা সময় বলাইতো অনেক যুক্তি যুক্ত হত l  তাহলে মানুষ বুঝে যেত এখানে ছয় দিন নয় বরং একটি লম্বা সময়কে বোঝানো হয়েছে l
কোরানে ছয় দিনের কথাই বলা হয়েছে ছয়টি লম্বা সময় নয় l আর এখানে ছয় দিন বা ছয়টি লম্বা সময় বলে প্রমান দিয়েছে, আল্লাহ আসলে একটা নকলবাজ মানুষ অথবা প্রাণী l
ছয়টি দিন বলা যে বাইবেলকে নকল করা সেটা খুব সহজেই আল্লাহ প্রমান দিয়েছেন l
আল্লাহ একটা নকলবাজ l

খ্রিস্টানদের গডের (God) এ কেমন অজ্ঞতা ?



বাইবেল-এ বিশ্বজগত সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে ছয় দিনে l
আর বিজ্ঞান বলে বিশ্বজগতের বর্তমান অবস্থায় আসতে সাড়ে চারশত বছর লেগেছে l
বিশ্বজগত তৈরী হতে লক্ষ কোটি বছর লেগেছে l
তাহলে গড কেন বললেন বিশ্বজগত ছয় দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে l গডের কি কোন ধারণা আছে বিশ্বজগত কিভাবে কত দিনে তৈরী হয়েছে l যে গড জানেনই না বিশ্বজগত কত দিনে সৃষ্টি হয়েছে সে গড বিশ্বজগত কি আদৌ সৃষ্টি করেছেন ?

Friday, June 27, 2014

পৃথিবীতে কত বিচিত্র বর্ণের ধর্ম l

পৃথিবীতে কত বিচিত্র বর্ণের ধর্ম l কত রকমের দেব, দেবতা, প্রভু, সৃষ্টিকর্তা, গড, আল্লাহ, ভগবান l আরো নাম না জানা কত সৃষ্টিকর্তা আছে তার হিসেবই পাওয়া যাবে না l আবার বৈচিত্রময় ধর্মগুলোতে আছে হাজার রকম কার্য প্রণালী; প্রার্থনার ধরন; নানা উত্সব, নানা রকমের উপাসনা, প্রার্থনা আরো শত শত পদ্ধতি l আবার ধার্মিকগুলোর জন্য আছে লক্ষ লক্ষ উপাসনালয়; গির্জা, মসজিদ, মন্দির আরো কত কি !
ধর্মগুলোকে এক কথায় কি বলা যায় ?
বুল শিট ?
না এতটা স্পষ্টভাষী সত্যবাদী হওয়াটা ঠিক হবে না !

মুসলমানদের আল্লাহ কি মানুষের কাছে পরাজিত হলো ?

মুসলমানদের আল্লাহ কি মানুষের কাছে পরাজিত হলো ?

আল্লাহ কোরান-এ বলেছেন
      "হে জ্বীন ও মানবকুল; নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায় তবে অতিক্রম কর l কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতিত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না l" ( সুরা আর রহমান; আয়াত ৩৩)

এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন মানুষ কখনো পৃথিবী অথবা আকাশের স্বীমানা অতিক্রম করতে পারবে না l অথবা পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে না l একমাত্র আল্লাহর অনুমতিতেই মানুষের আকাশ এবং পৃথিবীর স্বীমানা অতিক্রম করা সম্ভব l আল্লাহর অনুমতি ছাড়া মানুষ কখনো আকাশ বা পৃথিবীর স্বীমানা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না অথবা এদের স্বীমানা অতিক্রম করতে পারবে না l
আল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ করেছে মানুষকে l কিন্তু মানুষ পৃথিবী ছাড়িয়ে এবং আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে গিয়েছে l মহাকাশে মহাকাশ স্টেশন তৈরী করেছে l চাদে গিয়েছে l ( এবং কয়েক বছর পরে মঙ্গল গ্রহেও যাবে l )
কিন্তু মানুষের আল্লাহর কাছে অনুমতি নেবার প্রয়োজন পড়েনি l মানুষ নিজের ইচ্ছেতে এবং সম্পূর্ণ আল্লাহর অনুমতি ব্যতিত পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা অতিক্রম করেছে l

তাহলে আল্লাহ চ্যালেঞ্জে হেরে গেল না কি ? আল্লাহ চ্যালেঞ্জ দিল মানুষ পারবে না কিন্তু মানুষ আল্লাহর চ্যালেঞ্জকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা অতিক্রম করলো l
আর এর মধ্যে দিয়ে আল্লাহ মানুষের কাছে পরাজিত হলো l

আল্লাহ কি জানত না মানুষ একদিন পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা অতিক্রম করবে ?
যদি জানত তাহলে কি এমন একটা চ্যালেঞ্জ দিত যেটা মানুষ কয়েকশ বছর পরেই সফল হবে !
মানুষের ক্ষমতা সম্পর্কে আসলে আল্লাহর কোন ধারনায় নেই l আল্লাহ আজ থেকে ১৪০০ বছর আগের ধ্যান ধারণা নিয়েই বসে আছে l
মানুষ আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশের অন্য প্রান্ত নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে আর সেখানে আল্লাহ প্রাচীন কালের মানুষের মিথ্যে ধারণা নিয়ে বসে আছে যে মানুষ কখনো পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না l
সত্যি বড় অদ্ভুত আল্লাহ !

Thursday, June 26, 2014

কেন ঈশ্বরের ক্ষমতা কমে গেছে ? ঈশ্বর কি আছে ?

কেন ঈশ্বরের ক্ষমতা কমে গেছে ? ঈশ্বর কি আছে ?
মানুষ প্রাচীন কাল থেকে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে এসেছে l প্রার্থনা করেছে তার কাছে যেকোন বিপদে, রোগে , শুকে l সৃষ্টিকর্তা মানুষের প্রার্থনা শুনেছে l রক্ষা করেছে সব বিপদ থেকে l পাপীদের শাস্তি দিয়েছে l ভূমিকম্প ঝর তুফান থেকে রক্ষা করেছে তাদেরকে যারা সৃষ্টিকর্তার অনুগত ছিল l গজব নেমে এসেছে যারা সৃষ্টিকর্তাকে অমান্য করেছে l এক কোথায় সৃষ্টিকর্তা ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে সবসময় l সৃষ্টিকর্তা অসীম ক্ষমতার অধিকারী l
সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন শয়তানকে, সৃষ্টি করেছে ভুত-প্রেত, দৈত্য দানব এবং আরো অনেক প্রকার সৃষ্টি l মানুষকে শয়তান ক্ষতি করেছে l ভুত-প্রেত, দৈত্য-দানব আক্রান্ত করেছে মানুষকে l তাদের কাছ থেকে মানুষ বাচার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ডেকেছে l সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করেছে যারা তার কাছে প্রার্থনা করেছে l মানুষ প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন উপাসনা করে এসেছে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য l কুরবানী অথবা বলি দিয়েছে পশু l সৃষ্টিকর্তা মানুষের ত্যাগ দেখে খুশি হয়েছে, রক্ষা করেছে নানা বিপদ থেকে l আর মানুষ যেকোন বিপদে সৃষ্টিকর্তার কাছেই প্রার্থনা করেছে এবং সৃষ্টিকর্তা তাদের মুক্তি দিয়েছে, উদ্ধার করেছে তাদেরকে নানা বিপদ থেকে l রোগ হলে আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করেছে সৃষ্টিকর্তার কাছেই l সৃষ্টিকর্তা রোগ ভালো করে দিয়েছে l রক্ষা করেছে জ্বিন-পরী, ভুত-প্রেত, দৈত্য-দানব ইত্যাদির আক্রমন থেকে l সৃষ্টিকর্তা ছিল অসীম ক্ষমতাবান এবং পরম দয়াময় l আবার যারা নিকৃষ্ট পাপী তাদেরকে দিয়েছে ভয়ংকর শাস্তি l এমনি ক্ষমতা বান সৃষ্টিকর্তা l
সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা প্রাচীনকাল থেকেই প্রমানিত l কিন্তু যতই দিন গেছে ততই সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা প্রদর্শন কমে গেছে l বর্তমানে আর সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা দেখা যায় না l যে সৃষ্টিকর্তা ছিল সর্ব রোগের উদ্ধারকর্তা সে সৃষ্টিকর্তা এখন আর রোগ হলে উদ্ধার করে না l রোগ হলে মানুষ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা রোগ ভালো করে দেয় না l মানুষ রোগের চিকিত্সা আবিষ্কার করেছে l মানুষ এখন সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে না l মানুষ মানুষের কাছে যায় আরোগ্যের জন্যে l

সৃষ্টিকর্তা এখন আর মানুষকে কোন বিপদ থেকে রক্ষা করে না l মানুষ বিপদে পড়ে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সাড়া দেয় না l মানুষ বিপদে পড়লে মানুষের সাহায্য নেয় l মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে আসে l
ঝর-তুফান, বন্যা-ক্ষরা, ভুমিকম্পে সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করে না l মানুষ এসব বিপদ থেকে মানুষকে সাহায্য করে l
সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার আরেক প্রদর্শন জ্বিন-পরী, ভুত-প্রেত, দৈত্য-দানব ইত্যাদিকে আর দেখা যায় না l এগুলো মানুষকে আর আক্রমন করে না l মানুষ অনেক ক্ষমতাবান এখন l অত্যাধুনিক অস্ত্রপাতি তৈরী করেছে আত্ব রক্ষার জন্য l আর সেই ভয়ে সৃষ্টিকর্তার ঐসব অতিক্ষমতা সম্পন্ন সৃষ্টিগুলো আর মানুষের সামনে আসতে পারে না l  সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা যেমন মানুষের উন্নতির সাথে সাথে কমে গেছে ঠিক তেমনি ঐসব অলৌকিক ক্ষমতাবান সৃষ্টিগুলোও বিলুপ্ত হয়ে গেছে l এখন আর তাদের দেখা পাওয়া যায় না l  মানুষের ভয়ে কোথায় লুকিয়ে আছে কে জানে l
সৃষ্টিকর্তাকেও আর দেখা যায়না l  তার কোন ক্ষমতাও আর দেখা যায় না l যে সৃষ্টিকর্তার অসীম ক্ষমতা ছিল প্রাচীন পৃথিবীতে সেই সৃষ্টিকর্তার আজ আর কোন ক্ষমতা নেই l হয়তোবা সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা মানুষের চেয়েও কমে গেছে l  আর তাই সে আর মানুষকে সাহায্য করতে আসে না l আবার তাকে কেউ অনাম্য করলে অথবা তাকে গালাগালি করলেও সে আর মানুষকে শাস্তি দিতে পারে না l
কেন পারে না ? সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা কি কমে গেছে ? নাকি সেও মানুষের ভয়ে কোন অজানা জগতে চলে গেছে ? মানুষ কেন আর সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা দেখে না ? তবে কি সৃষ্টিকর্তা আর নেই ? কোথায় গেছে ?
তার আলৌকিতা সম্পন্ন সৃষ্টিগুলো মানুষের উন্নতির সাথে সাথে পালিয়ে গেছে l  ওগুলোর আর অস্তিত্ব দেখা যায় না l  অর্থাত তারা অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে l ওগুলো নেই; ওগুলোর অলৌকিক ক্ষমতাও নেই l

কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আর অলৌকিক ক্ষমতা দেখান না কেন ? সৃষ্টিকর্তাতো অসীম ক্ষমতার অধিকারী l তাহলে কোথায় গেল তার ক্ষমতা ? তাহলে সে কি নেই ? কোথায় গেছে সে ?
সৃষ্টিকর্তা চলে যাওয়াতে মানুষ তার প্রভুকে হারিয়ে ফেলেছে l
কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা, সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করা এবং তার কাছে প্রার্থনা করা থেমে থাকেনি l মানুষ সৃষ্টিকর্তার কাছে এখনো প্রার্থনা করে l সৃষ্টিকর্তা অবশ্য সেই প্রার্থনা শুনেন না l তবুও সৃষ্টিকর্তার উপাসনা থেমে নেই l মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে কিন্তু তিনি সাড়া দেন না l মানুষ ভাবে সৃষ্টিকর্তা তাদের উপর রাগ করে আছেন দেখে তিনি সাড়া দিচ্ছেন না l তারা আরো বেশি করে প্রার্থনা করে l ক্ষমা চায় তবুও সৃষ্টিকর্তার কোন খবর নেই l
কেন নেই ?
তবে কি সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই ? কখনো ছিলও না ? মানুষ কল্পনা করেছে সৃষ্টিকর্তার কিন্তু সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু ছিল না কখনোই l মানুষ প্রাচীন কাল থেকে প্রার্থনা করেছে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু ছিল না বলে কেউ সাড়াও দেয় নি l মানুষ এখন যেমন সৃষ্টিকর্তার কোন সাড়া না পেয়েও সৃষ্টিকর্তাকে ডেকে চলে, প্রার্থনা করে চলে সেভাবেই কি প্রাচীন মানুষ সৃষ্টিকর্তা কে ডেকেছে কিন্তু কখনো পায়নি ? এটার খুব সম্ভবনা আছে l  এখন মানুষ সৃষ্টিকর্তার  কোন সাড়া পায় না তবুও প্রার্থনা করে চলে তাহলে অনুন্নত প্রাচীন মানুষ যে আরো বেশি করে এই কাজটা করেছে সেটাতো বোঝাই যায় l
যদি এটা নাই হবে ; যদি সৃষ্টিকর্তা প্রাচীনকালে তার ক্ষমতা প্রদর্শন করেই থাকে তবে এখন কেন করে না ?
উত্তরটা খুব সহজ সৃষ্টিকর্তা কখনই ক্ষমতা প্রদর্শন করেনি l কখনো সৃষ্টিকর্তা ছিলই না l  আর তাই তার ক্ষমতা কমে যাওয়াও ঘটেনি l সৃষ্টিকর্তা যেমন বর্তমানে কল্পনা এবং অন্ধবিশ্বাসের উপর বেচে আছে তেমনি প্রাচীন কালেও এরকমই ছিল বরং আরো প্রকট আকারে ছিল l
সৃষ্টিকর্তা বলে কখনই কেউ ছিল না l এখনো সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই l এটি একটি ভ্রান্ত মিথ্যে কল্পনা মাত্র l আর তাই সৃষ্টিকর্তা যেমন প্রাচীন কালেও ছিল না তেমনি বর্তমানেও নেই l
অর্থাত সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই l

অন্ধ বিশ্বাস, বিশ্বাস ও অবিশ্বাস :

অন্ধ বিশ্বাস, বিশ্বাস ও অবিশ্বাস :
মানুষ জন্মের পর থেকে তার বাবা-মার বিশ্বাস অন্ধভাবে বিশ্বাস করে চলে l এই অন্ধবিশ্বাসগুলো পরিবার এবং সমাজ মানুষের উপর চাপিয়ে দেয় যখন মানুষ বিশ্বাসের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না তার পূর্বেই  l ফলে এই বিশ্বাসগুলো কাজ করে অন্ধ-বিশ্বাস রূপে l  শৈশবের এই অন্ধ-বিশ্বাসগুলো মানুষের মনকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে l ফলে সেই মানুষটি আর এই অন্ধবিশ্বাসের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না l বড় হয় বুদ্ধি বিবেক জাগ্রত হয় কিন্তু সেই বুদ্ধি দিয়ে মানুষ যখন কোন কিছু পর্যবেক্ষণ করে তখন সেই পর্যবেক্ষণগুলো সেই অন্ধবিশ্বাসের জাল দিয়ে ছেকে মানুষের মনে ঢুকে l এরফলে মানুষটি বাস্তব সত্য দেখতে পেয়েও তার অন্ধবিশ্বাসের বাইরে যেয়ে অন্য কিছু বিশ্বাস করতে পারে না l  বিশ্বাস এবং অন্ধবিশ্বাসের মধ্যে সবসময় একটা যুদ্ধ চলতে থাকে প্রত্যেক মানুষের মনে l কিন্তু অন্ধবিশ্বাস যেহেতু মানুষের মনকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে তাই বিশ্বাস কখনো মানুষের মনকে স্পর্শ করতে পারে না l ফলে যুক্তি বুদ্ধি সম্পর্ণ কোন মানুষ তার অন্ধবিশ্বাসের বাইরে যেতে পারে না l

মানুষের শৈশব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ l  মানুষ যখন শিশু অবস্থায় পৃথিবীতে আসে তখন তার সবকিছু থাকে শূন্য l তার জ্ঞান থাকে শুন্য, যুক্তি-বুদ্ধি থাকে শূন্য, বিশ্বাস থাকে শূন্য l  শিশু তার চারপাশের পরিবেশের কাছ থেকে জ্ঞান নেয় l তার মস্তিষ্কের গঠন হতে থাকে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে l  সেই সাথে তৈরী হয় জ্ঞান, যুক্তি-বুদ্ধি, এবং বিশ্বাস l  শিশু যা তার বাবা - মা পরিবার এবং সমাজে ঘটতে দেখে তাই সে সত্যি বলে ধরে নেয় l তার চারপাশের মানুষ যা করে সেও সেটাকেই অবশ্য কর্তব্য হিসেবে শেখে l পরিবার এবং সমাজ মিলে তাদের কৃষ্টি কালচার প্রত্যেক শিশুর মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় l প্রত্যেক শিশু শিক্ষা নেয় পরিবার ও সমাজ থেকে l আর এই শিক্ষা গুলোই সে সারাজীবন পরম সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে চলে l পরিবার শিশুকে বিশ্বাস করতে শেখায় যে বিশ্বাস সে পরিবার পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে পায় l প্রকৃত পক্ষে সেই বিশ্বাসগুলোকেও তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় l ফলে তারা সেই বিশ্বাস গুলোকে বিশ্বাস করে অন্ধের মত l তখন আর সেই বিশ্বাস গুলো আর বিশ্বাস থাকে না l  সেগুলো হয়ে যায় অন্ধ বিশ্বাস l বাবা-মা সেই অন্ধবিশ্বাসগুলোকেই বিশ্বাস মনে করে শিশুকে শেখায় বিশ্বাস করতে l যখন শিশুর বিশ্বাস করার ক্ষমতা তৈরী হয়ে উঠেনি তখন শিশুটি তার বাবা-মা এবং সমাজের অন্ধ-বিশ্বাসগুলোকে নিজের মধ্যে ধারণ করে চলে l শিশু বুঝতে পারে না সে কি ধারণ করছে l সে সত্যিটা শিখছে কিনা সেটা সে জানে না; কারণ তখনও তার যুক্তি-বুদ্ধি হয়ে উঠে না l  সে নিজের অজান্তেই বিশ্বাস করে চলে যখন তার বিশ্বাস করার শক্তিই ঠিক ভাবে তৈরী হয়ে উঠেনি l আর এই বিশ্বাস গুলোই সারাজীবন অন্ধের মত বিশ্বাস করে চলে সে l সে এই বিশ্বাসগুলোর বাইরে যাবার ক্ষমতা রাখে না l পরিবার সমাজ তার সেই ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় l  সে তার বিশ্বাসের স্বাধীনতা পায় না কোনদিন l সে বড় হয়, যুক্তি বুদ্ধি তৈরী হয় কিন্তু সে আর তার অন্ধবিশ্বাসের বাইরে যেয়ে যুক্তি বুদ্ধি খাটাতে পারে না l তার মন অন্ধবিশ্বাসে ছেয়ে গেছে তার অনেক আগেই l আর তাই সে অন্ধ-বিশ্বাসী হয়ে জীবন কাটিয়ে দেয় l
সে জানে না সে বিশ্বাস করছে নাকি অন্ধ-বিশ্বাস করছে l যে অন্ধ-বিশ্বাস তার মনকে ঘিরে রেখেছে সেই অন্ধ-বিশ্বাসগুলো তাকে বুঝতে দেয়না তার বিশ্বাস অথবা অন্ধ-বিশ্বাস সম্পর্কে l
আর তাই একজন মানুষ শূন্য বিশ্বাস নিয়ে পৃথিবীতে এসে অন্ধ-বিশ্বাস নিয়ে বেচে থাকে সারাজীবন l এই অন্ধবিশ্বাসগুলোই নিয়ন্ত্রণ করে সে কি বিশ্বাস করবে কি বিশ্বাস করবে না l তার যুক্তি-বুদ্ধি এবং জ্ঞান কোন কাজ করতে পারে না সেই অন্ধ-বিশ্বাসের বিরুদ্ধে l

শিশু নিজে বিশ্বাস করার সুযোগ পায় না l পরিবার এবং সমাজ তার উপর তাদের বিশ্বাসকে চাপিয়ে দেয় l যখন তার বিশ্বাস করার ক্ষমতা তৈরীই হয়নি তখন l ফলে মানুষ হয় অন্ধবিশ্বাসী l বঞ্চিত হয় বিশ্বাস করার অধিকার থেকে l সারাজীবন সে অন্ধ-বিশ্বাসগুলোকে বিশ্বাস করে চলে অন্ধভাবে l কারণ বিশ্বাসগুলো সে নিজে বিশ্বাস করেনি l  পরিবার এবং সমাজ তাকে বিশ্বাসগুলো বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে যখন সে বিশ্বাস করার ক্ষমতাই অর্জন করতে পারেনি l ফলে অন্ধ-বিশ্বাস গুলো তার মনকে অন্ধকারে ঢেকে রাখে l সে পরবর্তিতে আর বিশ্বাস করতে পারে না স্বাধীনভাবে l  তার বিশ্বাস গুলো নিয়ন্ত্রণ করে তার উপর চাপিয়ে দেয়া অন্ধ-বিশ্বাসগুলো l
আর এভাবেই মানুষ অন্ধ-বিশ্বাসগুলোকে বিশ্বাস করে চলেছে যুগ যুগ ধরে l এবং অন্ধ বিশ্বাসগুলোই মানুষের বিশ্বাসগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে যুগ যুগ ধরে l
বিশ্বাস তৈরী হয় বাস্তব জ্ঞান থেকে l যুক্তি-বুদ্ধি এবং বাস্তব জ্ঞান নিয়ন্ত্রণ করে বিশ্বাসকে l অন্ধ-বিশ্বাস চাপিয়ে দেয়া হয় মানুষকে l এবং মানুষ থাকে অন্ধ-বিশ্বাসের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে l অন্ধ-বিশ্বাস মানুষের মনকে ঘিরে রাখে এক শক্ত প্রাচীরের মধ্যে l মানুষ এই প্রাচীর ভেদ করে বাইরে আসতে পারে না l  শৈশবের অন্ধ-বিশ্বাস কাজ করে ছাকনির মত l মানুষ চারপাশ থেকে বাস্তব জ্ঞান নিয়ে তার মনে পাঠায় l কিন্তু জ্ঞান মনে ঢুকার আগেই অন্ধবিশ্বাসের প্রাচীর বাধা দেয় l ছেকে নেয় ইচ্ছে মত l ফলে সেই ছাকনি ভেদ করে বিশ্বাস ঢুকতে পারে না মনে l ঢুকে ছেকে ছেকে l ফলে মন বুঝতে পারে না সত্যি মিথ্যের পার্থক্য l অন্ধ-বিশ্বাসগুলো মিথ্যেকেই সত্যি হিসেবে দেখায় মনকে l ফলে মন থেকে যায় অন্ধ বিশ্বাসের মিথ্যে মায়াজালে l
অন্ধ-বিশ্বাসের কাছে মন থাকে অসহায় অবস্থায় l মন তাই বুঝে অন্ধ-বিশ্বাস যা বুঝায় তাকে l মন থেকে যায় অন্ধকারে l সত্যের আলো সেখানে পৌছাতে পারে না অন্ধ-বিশ্বাসের প্রাচীর ভেদ করে l ফলে মন চিরকাল মিথ্যের অন্ধকারেই থেকে যায় l আর মানুষ হয় অন্ধ-বিশ্বাসী, কুসংস্কার বিশ্বাসী l

এভাবেই অন্ধ-বিশ্বাস মানুষকে ধোকা দিয়ে এসেছে চিরকাল l মানুষ থেকেছে মিথ্যের মায়া জালে l অন্ধ-বিশ্বাসের গোলাম হয়ে l বিশ্বাসের কোন স্থান নেই সেই অন্ধ-বিশ্বাসের রাজত্বে l
এভাবেই বিশ্বাস পরাজিত হয়েছে অন্ধ-বিশ্বাসের কাছে চিরকাল ধরে l এভাবেই চলবে অন্ধ-বিশ্বাসের রাজত্ব চিরকাল ধরে l মুক্তি মিলবে না অসহায় মনের l মানুষ থেকে যাবে অন্ধ-বিশ্বাসের দাস হয়ে l

মুক্তি মিলবে অবিশ্বাসে l অবিশ্বাস দিতে পারবে মুক্তি অন্ধ-বিশ্বাসের দাসত্ব থেকে l অন্ধ-বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুরে মনকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র অবিশ্বাস l অবিশ্বাস করতে পারে সত্য মিথ্যের পার্থক্য l  মনকে করতে পারে জাগ্রত l অন্ধ বিশ্বাস হয় পরাজিত অবিশ্বাসের কাছে l রাজত্ব এনে দেয় বিশ্বাসের l মন বিশ্বাস করতে পারে স্বাধীনভাবে l যে বিশ্বাস পরাজিত থাকে অন্ধ-বিশ্বাসের কাছে; সেই বিশ্বাসকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে পারে একমাত্র অবিশ্বাস l অবিশ্বাস অন্ধ-বিশ্বাসকে পরাজিত করে প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বাসের রাজত্ব l  মন পায় মুক্তি এবং বিশ্বাস করার স্বাধীনতা l অন্ধ-বিশ্বাসের মিথ্যের রাজত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে মন পায় বিশ্বাসের রাজত্ব l প্রতিষ্ঠিত হয় সত্য l আলোকিত হয় মন l স্বাধীন হয় মন l মুক্তি মেলে মানুষের l
সত্য হয় প্রতিষ্ঠিত l