Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Sunday, February 28, 2016

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ১১)

আল মোরাল
সূরা মানবতা বিরোধী, আয়াত ১০৫, ১০৬, ১০৭ এবং ১০৮
তুমি তাদের সত্য বলো আর (বিজ্ঞানের) প্রমাণ দেখাও- তারা কুসংস্কার মুক্ত হবে না। বরং তারা তাদের অন্ধবিশ্বাস সম্পর্কে অযুহাত বের করে। তারাতো স্পষ্ট অন্ধবিশ্বাসে মজে আছে। আর তাদেরকে তুমি বাস্তব জ্ঞানের প্রমাণ দেখালে তবে তারা বললো, এটাতো আমাদের গ্রন্থে সেই হাজার বছর আগেই লেখা আছে। বস্তুত তারা প্রতারণা করে। আর প্রতারকদের জন্য রয়েছে ভবিষ্যতের প্রজন্ম দ্বারা ঘৃণার ব্যবস্থা। যুগযুগ ধরে মানুষ তাদের ঘৃণা করবে যেভাবে শয়তানদের ঘৃণা করা হয়। বস্তুত তাদেরকে আমি শয়তানের উদাহরণ স্বরুপ উপস্থাপন করে দিয়েছে। যাতে প্রকৃত জ্ঞানের (বিজ্ঞানের) অধিকারীরা শ্রেষ্ট মানব হিসেবে সম্মানিত হতে পারে। আমি জ্ঞানীদের সম্মানিত হতে বঞ্চিত করি না।

Friday, February 26, 2016

আল কুরআনঃ ইহা একটি কৌতুক গ্রন্থ, গল্প গ্রন্থ, কবিতা গ্রন্থ, সন্ত্রাসী গ্রন্থ, নাকি কাম গ্রন্থ? (পর্ব ৩)



মুসলমানরা দাবী করে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআন স্বয়ং আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে। এবং এটি দেড় হাজার বছর ধরে অবিকৃত অবস্থায় আছে। তারা কোন প্রমাণ ছাড়াই অন্ধের মতো বিশ্বাস করে যে কুরআনের প্রতিটা কথা আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে। এই পর্বটিতে কুরআনের প্রতিটি বাক্যকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে এর গঠন শৈলী বা এর অন্তর্নিহীত কথাগুলো মানুষের দ্বারা লেখা সম্ভব নাকি এটি একমাত্র কোন সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তাই লিখতে পারে। মোট কথা কুরআনের বাক্যগুলোর অর্থ বিশ্লেষণ করে বা ব্যাখ্যা করে দেখা যে কুরআন আসলে কি বলেছে এবং এর বাস্তব তাৎপর্যই বা কি? বাস্তবতার নিরীখে বিচার বিশ্লেষণ করে দেখাটাই এই পর্বটির উদ্দেশ্য। এই পর্বে সমগ্র কুরআন পর্যায়ক্রমে বিশ্লেষণ করে দেখা হবে।

গত পর্বের পর থেকে.... 

Wednesday, February 24, 2016

একজন অন্ধবিশ্বাসী, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের সাথে বিতর্ক (পর্ব ২ – প্রথম অংশ)

আমি ফেইসবুকে আস্তিক বনাম নাস্তিক নামের অনেক গ্রুপে ধর্মের অস্বাড়তাগুলো সম্পর্কে পোস্ট দিতাম। সেখানে কুরআনের অসাড়তাগুলো এবং বিজ্ঞানের ভিত্তিতে কুরআন যে কত বড় মিথ্যা বই সেটা প্রমাণ করে যাচ্ছিলাম। বলাই বাহুল্য আমার করা পোস্টগুলোর প্রেক্ষিতে কোন মুসলমান আস্তিকই উপযুক্ত যুক্তিখন্ডন করতে পারেনি। তবে তারা নানা অযুক্তি, কুযুক্তি এবং জাকির নায়েকের মতো মিথ্যাবাদী প্রতারকদের দেওয়া নানা অপযুক্তি দিয়ে ত্যাঁনা পেঁচিয়েছিল। তবে যারা উপযুক্ত যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছিল তাদের যুক্তি খন্ডন করে তাদের কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস দুর করতে চেষ্টা করছিলাম। বলাই বাহুল্য ফেইসবুকের আস্তিকগুলোর বুদ্ধিমত্তা এবং জ্ঞান খুব নিম্নমানের ছিল এমনটিই আমি বুঝতে পেরেছিলাম। যাদেরকে প্রথমে কিছুটা জ্ঞানী মনে হতো তাদের সাথে বিতর্কে যেয়ে বুঝতাম এরা আসলে জ্ঞানের জগতে প্রবেশই করতে পারেনি। জ্ঞানের জগতের দরজার সামনেই অবস্থান করছিল। এমন কাউকেই পাইনি যারা বিজ্ঞান সম্পর্কে কিছু সম্মখ জ্ঞান রাখে এবং তাদের ধর্ম সম্পর্কেও সামান্য জ্ঞান রয়েছে। সেসব আস্তিকদের সাথে বিতর্ক করে একটা কথা স্পষ্ট বুঝেছি যে এরা সবাই জাকির নায়েকের মতো মিথ্যাবাদী প্রতারকদের কাছ থেকে বিজ্ঞান এবং ধর্মের প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করেছে।

Monday, February 22, 2016

ধর্ম বা প্রার্থনা ধর্ম (Religion) আর বাস্তবতা এক নয় । (পর্ব 5) ধর্মের ধ্যান ধারণা এবং বাস্তবতা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। ধর্মের নৈতিকতা এবং বাস্তবের নৈতিকতা এক নয়।


আস্তিকদের দাবী ধর্মই নৈতিকতার উৎস এবং ধর্মই নৈতিকতার ধারক এবং বাহক। তাদের বিশ্বাস যদি ধর্ম না থাকতো তবে মানুষের কোন নৈতিকতা বোধই থাকতো না। ধর্মের মাধ্যমেই মানুষ নৈতিকতার জ্ঞান লাভ করেছে এমনটিই বিশ্বাস করেন আস্তিকরা। প্রকৃতপক্ষে ধর্ম না থাকলেও যে মানুষ নৈতিক হতে পারে এটা কিছুতেই তারা বুঝতে পারেন না। তাদের কাছে ধর্মই নৈতিকতা ঠিক করে দেয়। ধর্ম ছাড়া নৈতিকতা থাকা অসম্ভব বলেই আস্তিকরা বিশ্বাস করেন।

Saturday, February 20, 2016

আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের যৌক্তির ও বৈজ্ঞানিক উত্তর। (পর্ব ৯)


আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নঃ
আমরা জানি একটা শব্দের অনেকগুলো অর্থ থাকে। তাই যদি কোন একটা শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ এনে ওই বাক্যের অর্থ করা হয় তবে তাতে দোষের কিছু নেই। কুরআনেও যেসব শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোরও অনেকগুলো অর্থ আছে। তাই কোন শব্দের সুবিধামত অর্থ নিয়ে কুরআনের অর্থ করা যায়। একটি শব্দের একাধিক অর্থ থাকলে যেখানে যেটা সঠিক সেখানে সেটাই ব্যবহার করা দোষের কি আছে? বরং নিজেদের সুবিধা মতো কুরআনের শব্দগুলোর অর্থ ব্যবহার করে কুরআনের যথার্থ অর্থ করাতে দোষের কিছু নেই। দাহাহা শব্দটির অর্থ যেমন বিস্তৃত করা বুঝায় ঠিক তেমনি এর অর্থ ডিম্বাকৃতিরও হয়। তাহলে আমাদের সুবিধামতো যেটা উপযুক্ত সেই অর্থটি নিয়ে কুরআনের নতুন অর্থ করাতে দোষের কি আছে?

Thursday, February 18, 2016

কুরআনের কারিক্যাচার এবং মুসলমানদের অনুবাদের কারী-ক্যাঁচাল । ১৪০০ বছর পরে কি এমন হলো যে কুরআনের অর্থই বদলে গেল ? (পর্ব ৪) মানুষের জন্ম পঁচা রক্ত থেকে নাকি ঝুলন্ত জোঁক থেকে?


মুসলমানরা দাবী করে যে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআন স্বয়ং আরবীয় ঈশ্বর আল্লাহর লিখিত বা রচিত বই। এবং আল্লাহই এই বইয়ের সুরক্ষা করে থাকে। ফলে কুরআনের কোন আয়াতেরই কোনরুপ পরিবর্তন করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। অর্থাৎ কুরআন অবিকৃত আছে এবং এটি আল্লাহ যেভাবে রচনা করেছে ঠিক সেভাবেই আছে। এক চুল পরিমাণ পরিবর্তনও কুরআনে ঘটেনি। কারণ এটি সর্বশক্তিমান আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নিজে সংরক্ষণের দায়িত্বে আছে।

Tuesday, February 16, 2016

ঈশ্বরের (সৃষ্টিকর্তার) আধুনিক বাণীসমূহ। পর্ব ৩ মানবতা ধর্মের ধর্মগ্রন্থ - পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থ থেকে এর পার্থক্য নির্ণয়ের দায়িত্ব আপনাদের।



গ্রন্থঃ- পবিত্র মানবতা (Holy Humanity)
সূরা পরিবর্তন (Be Changed )

১৫২. তারা কি দেখেনি তাদের ভন্ড ধর্মগুরু গুলোকে পৃথিবীর মানুষ কিভাবে ঘৃনা এবং ধিক্কার করে !
15 II.
كيف لا يدرك قادتهم كاذبة في عالم يكره والسخط!
15 II. How do they perceive their false leaders into a world that hates and indignation!

Sunday, February 14, 2016

সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে নাস্তিকের মায়াময় চিন্তা



.
সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে যতই ভাবি ততই দ্বিধান্বিত হয়ে যাই। আচ্ছা লোকটা অনন্তকাল ধরে কিভাবে বেঁচে আছে?
সৃষ্টিকর্তা কি খায়? যেহেতু সৃষ্টিকর্তা বেঁচে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে কিছু না কিছু শক্তি খরচ করতে হয়। কারণ জীব বা জড় সেটা মানুষই হোক অথবা ইলেক্ট্রন তাকে শক্তির আদান প্রদান করতে হয়। আর জীবতো শক্তি ব্যবহার করে তার যাবতিও কাজ কারবার সম্পন্ন করে। অর্থাত শক্তির ব্যবহার ছাড়া বিশ্বজগত অচল।

Friday, February 12, 2016

জাকির নায়েকের মিথ্যাচার এবং প্রতারনা। বিজ্ঞান সম্পর্কে জাকির নায়েকের মিথ্যাবাদীতা এবং প্রতারনা। (পর্ব ৯) পাহাড় পর্বতের কাজ কি কুরআনে বর্ণিত রয়েছে? নাকি জাকির নায়েক কুরআনের পাহাড় পর্বত সম্পর্কিত আয়াতগুলো উল্লেখ করে কুরআনের ভূলগুলো মানুষের কাছে প্রকাশ করেছে?



জাকির নায়েক একজন বিখ্যাত (অথবা কুখ্যাত) ইসলামী বক্তা। তার মুখোরুচক কথার মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক আস্তিকদেরকে (বিশেষ করে মুসলমান অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকদেরকে) মুখরিত করে রাখে। তার বাঁচনভঙ্গি সবাইকে আনন্দিত করে। মানুষ জাকির নায়েকের বলা কথাগুলোকে সত্য বলে ধরে নেয়। বিশেষ করে মুসলমানদের মধ্যে জাকির নায়েকের ভক্তরা জাকির নায়েকের বলা কথাগুলোকে চিরসত্য বলে ধরে নেয়।

Monday, February 8, 2016

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ১৩) কুরআনের বিশ্বজগতের বর্ণনা একজন মানুষের চোখ দিয়ে দেখে করা হয়েছে। প্রাচীণ আরবের মানুষের ধ্যান ধারণা এবং অভিজ্ঞতাই কুরআনে বর্নিত হয়েছে। কোন সৃষ্টিকর্তার চোখ থেকে দেখা কিছুই কুরআনে নেই।



মুসলমানদের দাবী কুরআন হলো এমন একটি গ্রন্থ যার কথা বা বাণীগুলো স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক তৈরী কৃত। কিন্তু মুসলমানরা বাদে পৃথিবীর সব মানুষই কুরআন পড়ে এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে এটি কোন ক্রমেই কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী বা কথা হতে পারে না। কিন্তু তবুও মুসলমানরা নিজেরাই কুরআনকে সৃষ্টিকর্তার বাণী, সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে দাবী করতে থাকে। তারা কুরআনের আধো আধো বুলি, কবিতার মতো অস্পষ্ট করে লেখা কথাগুলোকে ফুঁলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজেদের মতো করে অর্থ করে, বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন ভাবে অর্থ করে দাবী করে যে কুরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। কিন্তু পৃথিবীর সব মানুষই (যারা কুরআন সম্পর্কে অন্ধবিশ্বাসী নয়) কুরআন পড়ে স্পষ্ট করেই বুঝতে পারে এটি কোন প্রাচীণ মানুষের লেখা একটি স্বাধারণ মানের বই।
তাতে কিন্তু মুসলমানদের দাবী করা থেমে থাকে না। তারা কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করে এবং এগুলোর মুখরোচক ব্যাখ্যা দাড় করিয়ে, সর্বপরী বিজ্ঞানকে ভূল ভাবে উপস্থাপন করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বলে দাবী করে। যা পুরোটাই মিথ্যা এবং সেটা সব মানুষই বুঝতে পারে মুসলমান কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীরা ব্যতীত।