Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, May 19, 2015

বাইবেলঃ এটি একটি কৌতুক গ্রন্থ, গল্প গ্রন্থ, সন্ত্রাসী গ্রন্থ, রক্তপিপাসী গ্রন্থ নাকি মিথ্যার সংকলন। (পর্ব ২)



পৃথিবীর সব আস্তিকদের মত খ্রিস্টানরাও তাদের ধর্মকে পৃথিবীর একমাত্র সত্য ধর্ম বলে বিশ্বাস করেতারা বিশ্বাস করে যে তাদের সৃষ্টিকর্তা হলো পৃথিবীর একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তা আর তাদের ধর্ম গ্রন্থ হলো একমাত্র সত্য ধর্মগ্রন্থপৃথিবীর সব ধর্মের আস্তিকদের মত খ্রিস্টানরাও মনে করে শুধুমাত্র তাদের ধর্মই সত্য আর বাকী সবার ধর্ম মিথ্যাতারা বিশ্বাস করে শুধু তাদের সৃষ্টিকর্তা ব্যাতিত পৃথিবীর সব সৃষ্টিকর্তাই মিথ্যাএবং তাদের অন্ধবিশ্বাস যে তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলই হলো পৃথিবীর একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থ আর বাকী সবার ধর্মগ্রন্থ হলো মানুষের তৈরী করা

কিন্তু বাইবেল-এ নানা রকম ভূল ভ্রান্তি থেকে একথা স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হয় যে এটি কোন ক্রমেই সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত কোন গ্রন্থ হতে পারে নাআর তাই পৃথিবীর সব ধর্মের আস্তিকদের মতই খ্রিস্টানদের দাবীরও কোন ভিত্তি নেইপৃথিবীর সব ধার্মিক যেমন তাদের ধর্মগ্রন্থকে একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থ বলে দাবী করে কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই, ঠিক সেভাবে খ্রিস্টানরাও বাইবেলকে সত্য সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই
আর এজন্যই বাইবেল পড়লে নানা পরস্পর বিরোধী কথা, নানা ভূল ভ্রান্তিপূর্ণ তথ্য এবং ধারণা পাওয়া যায় পুরো বাইবেলে

Wednesday, May 6, 2015

মুসলমানদের কর্মকান্ডের ভবিষ্যতবাণী ! ভবিষ্যতে মুসলমানরা কিভাবে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবি করবে ? (পর্ব ২)



মুসলমানদের একটা অদ্ভুত কান্ডকারখানা হলো যে তারা কোন বৈজ্ঞানিক থিউরী প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথমে তারা সেই থিউরীর বিরোদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেপরে তারা সেই থিউরীটি সত্যি নয় বলে নানা অপপ্রচার শুরু করে দেয়বেশ কিছুদিন তারা অপপ্রচারে সার্থক হলেও বেশী দিন তারা মানুষকে ধোঁকা দিতে পারে নাযখন সব মানুষ সেই থিউরীটির সত্যতা জানতে পারে তখন আর কোন পথ পায় না সেই থিউরীটা মেনে নেওয়া ছাড়াথিউরীর ক্ষেত্রেই মুসলমানরা প্রায় একই রকম আচরণের পূনরাবৃত্তি করে। (এটা সব ধর্মের আস্তিকদের জন্যই প্রযোজ্য।)
যখন সেই বৈজ্ঞানিক থিউরীটি ইসলাম ধর্মকে প্রচন্ড ভাবে আঘাত করে তখন মুসলমানরা তাদের ধর্মকে বাঁচাতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেতারা কুরআনের কোন একটি নির্দিষ্ট আয়াতকে নির্বাচণ করে যেটার সাথে বিজ্ঞানের সেই থিউরীর কথাটার সাথে মিলে যাবার সম্ভাবনা আছেপরে তারা সেই আয়াতটির কোন এক নির্দিষ্ট শব্দের অর্থের পরিবর্তন করে দেয়ফলে কুরআনের সেই আয়াতটির সম্পূর্ণ অর্থটিই বদলে যেয়ে বিজ্ঞানের থিউরীর সাথে ৫% মিলে যায়
এবার মুসলমানরা নানা রকমের চাপাবাজি করে সেই আয়াতটির পরিবর্তিত অর্থ দিয়ে বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের মিল দেখিয়ে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবী করে

Sunday, May 3, 2015

কেন আমি ইশ্বর বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি না ? (পর্ব ১)


মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া প্রত্যেক সন্তার যেমনটি শিক্ষা পায় ধর্মের বিষয়গুলোতে, আমিও ব্যতিক্রম ছিলাম নাপ্রতিটা মুসলিম পরিবারের মত আমাকেও শৈশবে কিছু ধর্মীয় বিশ্বাস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিলপ্রত্যেকটি মুসলিম পরিবারের সন্তানদের মতই আমি জেনেছিলাম যে আল্লাহ হলো এই বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা এবং ইসলাম হলো আল্লাহর মনোনিত ধর্মপৃথিবীর সব ধর্মই মিথ্যে একমাত্র ইসলামই সত্য ধর্ম এবং আল্লাহই হলো একমাত্র বিশ্বজগতের সত্য সৃষ্টিকর্তা
প্রত্যেকটি মুসলিম সন্তানের মত আমাকেও শেখানো হয়েছে যে, নামাজ রোজা ইত্যাদি ইবাদত করলে বেহেশতে যাওয়া যায়, যেখানে আছে অনন্ত সুখ, মদ, হুরপরী ইত্যাদিআর তাই আল্লাহর ইবাদত করা অত্যন্ত জরুরী
আল্লাহর ইবাদত হলো, আল্লাহর গুনগান করা, কোন অপরাধ না করেও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, এটা দাও, ওটা দাও বলে আবদার করতে থাকা ইত্যাদি ইত্যাদিএবং আল্লাহ যত বড় অন্যায় কাজই করতে বলুক না কেন, চোখ কান বন্ধ করে সেই কাজ করাটাই হলো ইবাদত