Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, October 31, 2014

কোরানের অনুরূপ সুরা কি মানুষ লিখতে পারে না ?




মুসলমানরা দ্বাবি করে কোরানের অনুরূপ সুরা লেখা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় !
কিন্তু মানুষ চাইলেই কুরআনের থেকে খুব ভালো মানের সুরা লিখতে পারে l নিচে কিছু উদাহরণ দেখানো হচ্ছে :-

01)
সুরা আরম্ভ (বিজ্ঞান) :
১. বিজ্ঞানের নামে শুরু করছি যা মানব জাতির জন্য কল্যাণ ও হিতকর l
২. সমস্ত প্রশংসা সেইসব বিজ্ঞানীদের যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে মানবজাতির উপকারার্থে l
৩. যারা পরম জ্ঞানী , অতিশয় কল্যাণকারী l
৪. যারা বিজ্ঞান ও সমস্ত আবিস্কারের অধিনায়ক l
৫. তাদেরই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি এবং তাদের কাছেই জ্ঞান প্রার্থনা করি l
৬. আমাদেরকে আপনারা জ্ঞান ও আলোর পথ প্রদর্শন করুন l
৭. তাদের পথে যাদেরকে আপনারা জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেছেন;
তাদের পথে নয় যারা বিজ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে; এবং তাদের পথেও নয় যারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধবিশ্বাসী l
(বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীগণ; জয় হোক !)

114)  
সুরা নাস্তিক (মানবতাবাদী)
১. সবাই বলুন: আমরা আশ্রয় চাইছি বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের আলোর l
২. যারা বিজ্ঞানের অধিকর্তা l
৩. যারা সমগ্র বিজ্ঞানের অধিনায়ক l
৪. মুখোশধারী ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্তি থেকে l
৫. যারা ধর্মের নামে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে l
৬. প্রতারক ধর্ম ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে অথবা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকদের মধ্য থেকে l

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়; কুরআন মুহাম্মদের বাণী (পর্ব ২) l কুরআন সংরক্ষনের কথা দিয়েও কুরআন সংরক্ষনে অক্ষম কুরআনের লেখক ।


কুরআনের বাণী চিরন্তন নয় বরং এটি পরিবর্তনশীল l আজ কুরআনের যে অর্থ করা হয় একশো বছর আগে ঠিক সে রকম অর্থ করা হতো না l এবং একশো বছর পরেও এটির অর্থ (বাণী) পরিবর্তিত হয়ে যাবে l মুহাম্মদ কুরআন তৈরী করার সময় কুরআনের যে অর্থ ছিল বর্তমান কুরআনের অর্থ অনেক বদলে গেছে l অর্থাত কুরআনের বাণী বা কথা সর্বদাই পরিবর্তনশীল l 
কিন্তু মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ কুরানে বলেছে,
" আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষণকারী l " (সুরা হিজর; আয়াত ৯)

অর্থাত স্বয়ং আল্লাহ কুরআনকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করবে l কিন্তু কুরআনের বাণী বা অর্থ যেভাবে দিনে দিনে পরিবর্তিত হয়েছে এবং হচ্ছে তাতে আল্লাহ কুরআন সংরক্ষণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ l

আবার কুরআনে সুরা কাহফ-এর ২৭ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে;
"তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট তোমার প্রতিপালকের কিতাব আবৃত্তি কর; তার বাক্য পরিবর্তন করার কেউই নেই; তুমি কখনই তাকে ব্যতিত অন্য কোন আশ্রয় পাবে না l "
উক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে আল্লাহর বাণীর পরিবর্তন করার কেউ নেই l  অর্থাত কোন মানুষ আল্লাহর বাণী পরিবর্তন করতে পারবে না l

Tuesday, October 28, 2014

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়; এটা মুহাম্মদের বাণী (পর্ব ১) । কুরআন আসলে কার বাণী; আল্লাহর, জিব্রাইলের নাকী মুহাম্মদের ?

মুসলমানরা দাবি করে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআন আল্লাহর তরফ থেকে নাজিল হয়েছে l অর্থাত কুরআনের সমস্ত বাণী স্বয়ং আল্লাহর l এবং তাদের দ্বাবি কুরআনে যেহেতু আয়াতগুলো উত্তম পুরুষে বর্ণিত হয়েছে অর্থাত আমি বা আমি আল্লাহ এই সব সর্বনাম ব্যবহৃত হয়েছে তাই কুরআন অবশ্যই আল্লাহর বাণী বা ঐশী বাণী l

যারা কুরআনকে কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে স্বীকার করে না তারা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে প্রমান করে দেয় যে কুরআন আল্লাহর বা সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় l
আসুন দেখি কুরআন কি সত্যিই কোন সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে নাকি কোন মানুষ কুরআন তৈরী করেছে !

আমরা জানি আল্লাহ কুরআনকে গ্রন্থ আকারে মুহাম্মদের কাছে পাঠায়নি l বরং এটি বিভিন্ন সময়ে জিব্রাইলের মাধ্যমে মুহাম্মদের কাছে পাঠানো হয়েছে l জিব্রাইলকে মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কেউই দেখেনি ! আর তাই কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী কিনা অথবা এটি কোন ঐশী বাণী কিনা সে সম্পর্কে কোন প্রমান নেই l
যদি কুরআন সত্যিই আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে তবে এতে উল্লেখিত সব বাণী উত্তম পুরুষে অর্থাত আমি বা আমি আল্লাহ প্রভৃতি সর্বনাম ব্যবহৃত হবে l
কুরআনের প্রথম সুরা "সুরা ফাতেহা"-এর প্রতি লক্ষ করে দেখি কি বলা হয়েছে !
১. আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যিনি পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু l
২. আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক l
৩. যিনি পরম করুনাময়, অতিশয় দয়ালু l
৪. যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক l 
৫. আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি l
৬. আমাদেরকে সরল সঠিক পথ-প্রদর্শন করুন l
৭. তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের নয় যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, এবং তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট l

Saturday, October 25, 2014

কুরানে কি এমন কোন কথা লেখা আছে যেটা মুহাম্মদ আগে থেকে জানতো না ?

কুরানে কি এমন কোন কথা লেখা আছে যেটা মুহাম্মদ আগে থেকে জানতো না ?
কুরআন পড়লে দেখা যায় কুরানে যেসব কথা বলা আছে যেমন চাদ সূর্যের আবর্তন, সমতল পৃথিবী, পাহাড় পর্বত নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা, রাত দিন সমর্কে উদ্ভট কথা বার্তা, পৌরানিক কাহিনী, মানুষকে ভয় ভীতি এবং প্রলোভন ইত্যাদি কোন একজন মানুষ লিখে রেখেছে ! সমগ্র কুরানে এমন একটি বিষয়ও পাওয়া যাবে না যেটা মুহাম্মদ জানতো না !
এমনকি মুহাম্মদের অজ্ঞতাগুলোও কুরানে স্পষ্ট করে ফুটে উঠেছে সমগ্র কুরানে ! যেমন দুই দরিয়া পাশাপাশি প্রবাহিত হয় কিন্তু কখনই মিলিত হয় না l মানুষ মাটি ও পানি দিয়ে তৈরী l মানুষ শুক্রানু ও জমাট রক্ত থেকে জন্ম গ্রহণ করে l পাহাড় তৈরী করা হয়েছে যাতে পৃথিবী কোন এক দিকে কাত হয়ে পড়ে না যায় l পৃথিবী সমতল l রাত দিন পরিবর্তিত হয় তাদের আপন গতিতে অর্থাত রাত দিন একে অন্যে চলাচল করে রাত দিনের পরিবর্তন ঘটায় ! ইসা নবী হচ্ছে মুছা নবীর ভাগিনা l পৃথিবী সমতল l চাদ সূর্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে (কিন্তু পৃথিবী স্থির) এবং আল্লাহর আরশের নিচে গিয়ে সেজদা দেয় ! তারকা তৈরী করা হয়েছে আকাশের সুন্দর্যের জন্য এবং শয়তানদেরকে শাস্তি দেবার জন্য l শিলা বৃষ্টি আকাশে মজুত করা থাকে ! আকাশ হচ্ছে কঠিন পদার্থের তৈরী এবং যেকোন সময় সেই কঠিন আকাশের কোন খন্ড পৃথিবীতে পতিত হতে পারে ! এসব মিথ্যে ধারণা গুলো মুহাম্মদ বিশ্বাস করতো বলে কুরানে এগুলো লেখা আছে l

Thursday, October 23, 2014

আল্লাহ কি পৃথিবীর আবর্তন, বায়ুমন্ডল ও সূর্যের অবস্থান সম্পর্কে সম্পূর্ণই অজ্ঞ ?


মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ কুরআনে সুরা কাহফ-এর ৯০ নাম্বার আয়াতে বলেছে,
"চলতে চলতে যখন তিনি সুর্যোদয়ের স্থলে পৌছলেন তখন তিনি দেখলেন ওটা এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদিত হচ্ছে যাদের জন্যে সূর্য -তাপ হতে আত্বরক্ষার কোন অন্তরাল আমি সৃষ্টি করি নাই l "
“Until, when he came to the rising of the sun, he found it rising on a people
for whom We had provided no covering protection against the sun.”

এই আয়াতে আল্লাহ বলেছে জুলকারনাইন নামে এক মহামানব এমন এক স্থানে পৌছেছে যেখানে মানুষের মাথার খুব কাছে সূর্য উদয় হয় এবং ওই মানুষদের জন্য কোন নিরাপত্তা জনিত অন্তরালের ব্যবস্থা আল্লাহ করেন নি !

মুসলমানরা কবে বুদ্ধিমান হবে ?

মুসলমানরা কবে বুদ্ধিমান হবে ?
৩৪) সুরা সাবা আয়াত ০৯
"তারা কি তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে, আসমান ও যমিনে যা আছে তার প্রতি লক্ষ করে না ? আমি ইচ্ছে করলে তাদেরকেসহ ভূমি ধ্বসিয়ে দিবো অথবা তাদের উপর আকাশের কোন খন্ডের পতন ঘটাব, আল্লাহ অভিমুখী প্রতিটি বান্দার জন্যে এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে l "
এটি কুরআনের একটি আয়াত যেখানে আল্লাহ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে আকাশের কোন খন্ডের পতন ঘটিয়ে মানুষকে শাস্তি দেবার ! আর বোকা মুসলমানরাও আল্লাহর হুমকিতে ভীত হয়ে যাচ্ছে ! এই বোকা মুসলমানদেরকে কে বুঝাবে আকাশ হচ্ছে বায়ুবিও পদার্থের তৈরী l আর তাই এটির কোন খন্ডকে কারো উপরে ফেলে দেয়ার ভয় দেখানো বোকামি (আসলে গাধামি) l আসলে আল্লাহ জানতো না আকাশ আসলে কি ! আল্লাহ ভেবেছে আকাশ বুঝি কোন কঠিন পদার্থের তৈরী ! মুসলমানরা এই গাধা আল্লাহকেই সর্বজ্ঞানী বলে ডাকে ! আসলে আল্লাহ হচ্ছে একজন মুর্খ মানুষ !