Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, December 24, 2014

আকাশ নিয়ে আল্লাহর হুমকি, আর আমার প্যাঁচাল !

মুসলমানদের সৃষ্টির জনক মহান রাব্বুল আলামীন(??) আল্লাহ সুবাহানু তাআলা পবিত্র(?) কুরআনুল করীমে(?) বলেছেন, সুরা শূরা, আয়াত ৫
'আকাশমন্ডলী তার উর্ধদেশ হতে ফেটে (ভেঙ্গে) পড়ার উপক্রম হয় এবং ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে এবং জগদ্বাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে । সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহ, তিনি অতি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ।"
"5. The heavens are almost rent asunder from above them [by Him Glory]: and the angels celebrate the Praises of their Lord, and pray for forgiveness for [all] beings on earth: Behold! Verily Allah is He, the Oft-Forgiving, Most Merciful."

দেখেছেন আকাশমন্ডলী (মানে সাতটা আকাশ) ফেটে বা ভেঙ্গে মানুষের মাথার উপর পড়ার উপক্রম হয় আর ফেরেশতারা কিভাবে মানুষকে এর হাত থেকে বাঁচায় । (নাস্তিকরা শুধু শুধু ফেরেশতাদের বদনাম করে !!!!)
"যদি ফেতেশতারা না থাকতো তবে হে মানব সমাজ তোমাদের কী গতি হতো ?" আমি নিজেই দেখি আয়াত লিখে ফেললাম, কী মুশকিল !!!

Friday, December 19, 2014

ইশ্বরের আরেক নাম অজ্ঞতা এবং অজ্ঞতার আরেক নাম ইশ্বর ।

ইশ্বর কী?
আস্তিকদের দাবী অনুযায়ী ইশ্বর হচ্ছে এমন অতি ক্ষমতাবান এক স্বত্বা (ইনটিটি) যে এই বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছে । আর তাই আস্তিকরা তাকে সৃষ্টিকর্তা বলে সম্বোধন করে থাকে । কিন্তু ইশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা শুধু সৃষ্টিই করে না বরং লালন-পালন বা পরিচালনাও করে । আর তাই সৃষ্টিকর্তাকে পালনকর্তা বা বিশ্বজগতের পরিচালক বলেও সম্বোধন করা হয় । আর সৃষ্টিকর্তার যে নানাবিদ অতিক্ষমতার বর্ননা মানুষ দেয়, সেসব আস্তিকরাই করে থাকে । অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার ধারনার সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে মানুষ ।
কিন্তু বিজ্ঞ বা জ্ঞানী মানুষরা বলে থাকে সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে অজ্ঞতার আরেক নাম ।
প্রাচীনকালে মানুষ যখন বিশ্বজগতের রহস্য সম্বন্ধে কিছুই জানতো না অর্থাত অজ্ঞ ছিল তখন তাদের এই অজ্ঞতাই সৃষ্টিকর্তার ধারণার সৃষ্টি করে । এবং অজ্ঞতাই সৃষ্টিকর্তাকে এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে ।

Tuesday, December 16, 2014

প্রার্থনা একটি অর্থহীন এবং সময় ও অর্থ অপচয়ী কর্মকান্ড ।

মুসলমানদের সামাজ (সালাত), হিন্দুদের পুজা, খ্রিস্টানদের প্রার্থনা এসবের বাস্তব উপযোগিতা বা উপকার কি ? মানে এসব অর্থহীন আচার অনুষ্ঠানের সুফল কি ?
সারা পৃথিবীর সব আস্তিক যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রার্থনা করে আসছে, কিন্তু এসব প্রার্থনাতে জগতের কোন উপকারই হয়নি । বরং মানুষ প্রার্থনার পিছনে প্রচুর সময় এবং অর্থ অপচয় করে আসছে । এই বিপুল পরিমান সময় এবং অর্থ দিয়ে অনায়াসে মানব কল্যানকর অনেক কাজ করা যেত । কিন্তু বোকা আস্তিকগুলো মানব কল্যানে মুল্যবান সময় ও অর্থ ব্যায় না করে অর্থহীন এবং সময় অপচয়ী প্রার্থনা বা আচার অনুষ্ঠান করে । আর এতে মানব জাতির কোন কল্যানতো হয়ই না বরং মানব জাতির ক্ষতি হয় । যে সময় এবং অর্থ ব্যায় হয় ওইসব ফালতু আচার অনুষ্ঠানে সেটা দিয়ে অনেক মানব কল্যাণকর কাজ করা যায় । কিন্তু আস্তিকরা সেটা না করে ওইসব অর্থহীন কাজ করতেই উৎসাহী ।
কিন্তু মানব ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় ওইসব প্রার্থনা কোন কাজেই আসেনি ।
জ্বর আসলে সারাদিন-রাত প্রার্থনা করলেও জ্বর কমবে না । কিন্তু একটা প্যারাসিটামল খাওয়ালেই জ্বর কমবে । প্রার্থনা এখানে অর্থহীন ।
হাড়িতে চাল আর পানি দিয়ে যত প্রার্থনাই করা হোকনা কেন এটা কোন দিনই ভাত হবে না । বরং অর্থহীন প্রার্থনা না করে আগুন দিয়ে ফোটালেই ওটা ভাত হবে ।

Saturday, November 29, 2014

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ৬) মানুষের জন্ম পদ্ধতি নিয়ে কুরআনের আবুল তাবুল কথা বার্তা ।


আগের পর্বগুলোতে দেখানো হয়েছে কুরআন ভূলে ভরা আর এই ভূলে ভরা কুরআন কোন অতি ক্ষমতাবান সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং কুরআন কোন এক স্বাধারণ মানুষ লিখেছে আর এই পর্বেও দেখাবো কুরআন কোন এক স্বাধারণ মানুষ লিখেছে

গত পর্বে দেখিয়েছি কুরআনে মানুষের সৃষ্টি নিয়ে বিজ্ঞান বিরোধী কথা বলা হয়েছে এ পর্বে দেখাবো কুরআন মানুষের জন্মগ্রহন পদ্ধতি সম্পর্কে বিজ্ঞান বিরোধী কথা বলেছে এর দ্বারা প্রমানিত হয়েছে কুরআন কোন এক স্বাধারণ মানুষের লেথা গ্রন্থ

কুরআনের সুরা আলাক-এর ২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"সৃষ্টি করেছেন মানুষকে রক্তপিন্ড হতে ।"
এটা সম্পুর্ন একটা বিজ্ঞান বিরোধী কথা মানুষের জন্ম কখনই রক্তপিন্ড থেকে হতে পারে না রক্তপিন্ড থেকে মানব শিশু জন্ম নেওয়া নেহায়েত কাল্পনিক এবং অবাস্তব ব্যাপার শুক্রানু এবং ডিম্বানু নিষিক্ত হয়ে মানব ভ্রুন তৈরী হয় এবং এই ভ্রুন তৈরীর অনেক পরে তৈরী হয় রক্ত এবং রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া তথা হৃৎপিন্ড কিন্তু কুরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহ মানুষকে রক্তপিন্ড থেকে সৃষ্টি করেছে যেটা শুধু অবৈজ্ঞানিকই নয় উপরন্তু অবাস্তব এবং অসম্ভব

Friday, November 28, 2014

ইশ্বর অনুভূতি ভ্রম ছাড়া কিছুই নয় !


ওরা বলে ইশ্বরকে যুক্তি প্রমান দিয়ে বুঝা যায় না ! ওদের দাবী ইশ্বরকে শুধুমাত্র পরম বিশ্বাস (আমি বলি অন্ধবিশ্বাস) এবং ভক্তির মাধ্যমেই উপলব্ধি করা যায় ! ওরা দাবী করে ইশ্বরকে কেবল মন বা অন্তকরন দিয়ে অনুধাবন করা যায় যুক্তিবুদ্ধি বা বাস্তবতা দিয়ে নয়
ওদের দাবী শুনে মনে হয়, নেশাগ্রস্থ হলে যে ভালোলাগা বা সুখ অনুভূত হয় ইশ্বর ওরকমই কিছু একটা হবে আর তাইতো ধর্মান্ধরা নেশাগ্রস্থদের মতো আচরন করে । 

পাগলের জ্বীন বা ভুত দেখা যেমনশুধু পাগলেই দেখতে পায় অন্য কেউ পায় না, তেমনি ইশ্বরকে অনুভব করতে হলে হতে হয় অন্ধবিশ্বাসী যে যুক্তি ও বাস্তবতা বুঝে না, বুঝে শুধু তার কাল্পনিক অনুভুতি (আসলে বিকৃত অনুভুতি) আর তাইতো ধর্মান্ধরা মাঝে মাঝে উন্মাদের মতো আচরন করে । 

ইশ্বর আরাধনার বিষয় আরাধনা ছাড়া ইশ্বরকে পাওয়া যায় না বিজ্ঞান বা দর্শন দিয়ে নয়, ইশ্বরকে পেতে হলে চাই একান্ত বিশ্বাস এবং আরাধনা অনেক আরাধনার পরেই কেবল ইশ্বরের সন্ধান মেলে যুক্তি তর্ক এবং অবিশ্বাস দিয়ে কখনও ইশ্বরের সন্ধান পাওয়া যায় না

Wednesday, November 26, 2014

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ৬)


আল মুরআল
সুরা অন্ধবিশ্বাসী, আয়াত ১২৬৫, ১২৬৬ এবং ১২৬৭

"তারা কি বিজ্ঞানকে মিথ্যে প্রতিপন্ন করতে চায় ? তবে তুমি তাদের বলঃ তাহলে তোমরাও অনুরুপ জ্ঞান তৈরী কর ! যদি তাদের সব (আস্তিক) সম্প্রদায় এবং তাদের কাল্পনিক সমস্ত ঈশ্বর মিলিত হয়েও প্রচেষ্টা করে তথাপিও তারা (অন্ধবিশ্বাসীরা) অনুরুপ জ্ঞান তৈরী করতে পারবে না !"
"তুমি কি দেখনি তারা এবং তাদের কাল্পনিক ঈশ্বরেরা কিরুপ জ্ঞান রচনা করেছিল ? আমি তাদের সমস্ত জ্ঞানকে মিথ্যা প্রমানিত করে দিয়েছি সত্য জ্ঞানের (বিজ্ঞানের) সাহায্যে আমি তাদেরকে অন্ধবিশ্বাসী আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিসেবে মানুষের কাছে প্রতিপাদ করেছি তথাপি তারা সত্য জ্ঞানকে গ্রহন করবে না ?"
"তারাতো অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিসেবে মানুষের হাসি আর ঘৃনার পাত্র হয়ে থাকবে চিরকাল যেমনটি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে আমি (অনুরুপ) নিদর্শনস্বরুপ করে রেখেছি ।"

Tuesday, November 25, 2014

আল্লাহ অজ্ঞতায় মুহাম্মদকেও হার মানায় ! (পর্ব ৩)

আল্লাহ অজ্ঞতায় ফেরেশতাদেরকেও হার মানায় !
মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছে,
সুরা বাকারা-এর ৩০ নাম্বার আয়াতে,
"এবং যখন তোমার রব ফেরেশতাগণকে বললেনঃ নিশ্চয় আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করবো, তারা বললোঃ আপনি কি যমীনে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে, তারা সেখানে বিবাদ সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত করবে ? আর আমরাই তো আপনার প্রশংসা গুনগান করছি এবং আপনারই পবিত্রতা বর্ণনা করে থাকি । তিনি বললেনঃ নিশ্চয় আমি যা পরিজ্ঞাত আছি তা তোমরা অবগত নও ।"

এই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে প্রতিনিধি তথা মানুষ সৃষ্টির কথা বলেছে এবং ফেরেশতারা প্রতিবাদ করে বলেছিল, আপনি কি এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যারা পৃথিবীতে বিবাদ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে ?  আল্লাহ প্রতিবাদে বলেছে, আমি যেটা জানি তোমরা তা জান না ।

Monday, November 24, 2014

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ৫) । সৃষ্টিকর্তা পাশা খেলেন !


আল মুরআল
সুরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টি (ব্যাকডেটেড পিপল)
আয়াত ১৭৯৬ এবং ১৭৯৭

"তুমি কি তাদের দেখেছো যারা সত্যকে পরিত্যাগ করে আর বলে 'এটাতো স্পষ্ট মিথ্যা' ? যারা সত্যজ্ঞানের সুফল ভোগ করে কিন্তু কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না ? তারা তাদের অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারকে সত্য বলে মনে করে যদি তারা বুঝতোঃ কল্পনা কখনো বাস্তবতার সাথে সামনঞ্জস্যপূর্ন নয় ! বস্তুত তারা এমন এক দৃষ্টান্ত যা আমি প্রদর্শন করে রেখেছি, যারা কল্পনাকে আকড়ে ধরে থাকে এবং বাস্তব সত্যকে পরিত্যাগ করে তারাই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টি যাদেরকে আমি রেখেছি দৃষ্টান্ত স্বরুপ যাতে মানব জাতি শিক্ষা গ্রহন করে যুগ যুগ ধরে ।"

তুমি কি দেখনি যারা সত্যজ্ঞানকে অস্বীকার করেছিল ? তারা শাস্তি দিয়েছিল সত্যজ্ঞান প্রচারকারীকে আমি কি তাদেরকে মানুষের কাছে অন্ধবিশ্বাসী আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিসেবে হাসির পাত্র বানাইনি ? তারাতো ছিল এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির পূর্বসুরি বস্তুত এখন যারা সত্যজ্ঞানকে অস্বীকার করে তাদের কাল্পনিক প্রাচীন মিথ্যে জ্ঞানকে আকড়ে ধরে আছে অন্ধের মত; তাদেরকে আমি প্রদর্শন করবো সেই রুপে যেমনটি আমি তাদের পূর্ববর্তীগনকে করেছি বস্তুত এরাই অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন পিছিয়ে পড়া মানুষ !"

Saturday, November 22, 2014

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী (৫ম পর্ব) । মানুষ সৃষ্টির ব্যপারে কুরআনের অবাস্তব কথা ।


কুরআনের নানা ভূল থেকে এটা স্পষ্ট বুঝা যায় কুরআন আসলে কোন অতিবুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং কুরআন কোন এক স্বাধারন মানুষ লিখেছে কুরআন আল্লাহর বাণী নাকি মুহাম্মদের বাণী সেটা আগের পর্বগুলোতে প্রমান করা হয়েছে এই পর্বেও দেখানো হবে কুরআন আসলে কার বাণী !

কুরআনে আল্লাহ মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে উদ্ভট কিছু তথ্য দিয়েছে যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই

কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,
সুরা সোয়াদ, আয়াত ৭১
"(স্মরন কর) যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদেরকে বলেছিলেনঃ আমি মানুষ সৃষ্টি করছি মাটি হতে,"

সুরা আল-ইমরান, আয়াত ৫৯
"নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের অনুরুপ; তিনি তাঁকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করলেন, তৎপর বললেন, হও, ফলতঃ তাতেই হয়ে গেল

সুরা আন'আম, আয়াত ০২
"অথচ তিনিই তোমাদেরকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন,"

Friday, November 21, 2014

আল্লাহ অজ্ঞতায় মুহাম্মদকেও হার মানায় ! (পর্ব ২)

মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ কুরআন করীমে জ্ঞাত করেছে,
সুরা নুর ; আয়াত ৪৩
"তুমি কি দেখ না, আল্লাহ সঞ্চালিত করেন মেঘমালাকে, তৎপর তাদেরকে একত্রিত করেন এবং পরে পুঞ্জিভূত করেন, অতপর তুমি দেখতে পাও, ওর মধ্য হতে নির্গত হয় পানিধারা; আকাশস্থিত শিলাস্তূপ হতে তিনি বর্ষণ করেন শিলা এবং এটা দ্বারা তিনি যাকে ইচ্ছা প্রদান করেন এবং যাকে ইচ্ছা তার উপর হতে এটা অন্য দিকে ফিরিয়ে দেন; "
এই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ মেঘমালা সঞ্চালিত করে, পরে পুঞ্জভূত করে এবং এটিই পরবর্তীতে বৃষ্টি হয়ে পরে । আকাশে সংরক্ষিত শিলাস্তুপ থেকে শিলা বর্ষন করে । এবং যার দিকে ইচ্ছা তার দিকে শিলা নিক্ষেপ করে ।
মহাজ্ঞানী আল্লাহ কুরআনে এই কথাগুলো বলেছে । মেঘমালাকে একত্রিত করা, সঞ্চালিত করা এবং বৃষ্টিপরা মানুষ পৃথিবীর মাটির উপরে দাড়িয়ে থেকে দেখতে পায় । আর তাই এইটুকু বলাতে কোন ভূল হবার কথা নয় একজন মানুষের । কিন্তু মানুষ মুহাম্মদের সময়ে জানতো না আকাশ থেকে শিলা কোথা থেকে আসে । মানুষ আগের দিনে ভাবতো শিলা হয়তো আকাশে সংরক্ষিত আছে এবং ওসব শিলাস্তুপ থেকেই শিলা পৃথিবীতে পরে । সেই সময়ের মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব ছিলনা শিলা বৃষ্টির কারন সম্পর্কে ।

Tuesday, November 11, 2014

নাস্তিক হবার শর্ত:-

নাস্তিক হবার শর্ত:-
১. বুদ্ধিমত্বা - বুদ্ধিমত্বা একটু উপরের লেভেলের হতে হবে । কারণ কম বুদ্ধিমত্বা সম্পন্ন প্রাণী সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করে কিন্তু বেশী বুদ্ধিমত্বা সম্পন্ন প্রাণী সৃষ্টিকর্তাকে হত্যা করে । (সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করা এবং সৃষ্টিকর্তাকে হত্যা করা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার মিথ্যে ধারনা বিশ্বাসকে সৃষ্টিকরা এবং হত্যা করা ।)
২. যৌক্তিক মন - যে মন যুক্তি বুঝতে পারে । এবং যুক্তির কাছে অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারকে পরাজিত করতে পারে । এমন মন নয় যে বলে কোন কিছুই সুষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে না আর তাই সবকিছুর একজন সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে; কিন্তু এটা বুঝতে পারে না এই যুক্তিতে সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে তা না হলে "সবকিছুর সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন" এই যুক্তিটা অর্থহীন হয়ে যায় । এরকম কু-যৌক্তিক মন থাকলে অন্ধবিশ্বাসী আর কুসংস্কারাচ্ছন্নই হওয়া যায়; নাস্তিক হওয়া যায় না ।

Sunday, November 9, 2014

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী (পর্ব ৪) । সূর্য এবং চন্দ্রের গতি সম্পর্কে কুরআনের অদ্ভুত বর্ণনা ।


কুরআনের নানা রকম ভুল দেখে এটা স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায় যে কুরআন কোন অতিবুদ্ধিমত্বা সম্পন্ন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় বরং কুরআন কোন এক স্বাধারন মানুষের লেখা এই পর্বেও দেখানো হবে কুরআন আল্লাহর বাণী নয় বরং এটি মুহাম্মদের নিজের বাণী

মুসলমানদের সৃর্ষ্টির জনক আল্লাহ কুরআনে সুরা ইয়াসীন-এর ৩৮ ও ৩৯ নাম্বার আয়াতে বলেছে,
"এবং র্সূয ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, এটা পরাক্রমশালী, সর্বাজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ ।"
"এবং চন্দ্রের জন্যে আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মনযিল; অবশেষে ওটা শুষ্কবক্র, পুরাতন খেজুর শাখার আকার ধাবণ করে ।"

এই আয়াতে বলা হয়েছে সূর্য ভ্রমন করে ওর জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া পথে সূর্য সম্পুর্নরুপে আল্লাহর নিয়ন্ত্রন আর চন্দ্রের জন্য বিভিন্ন আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ফলে ওটা পুরাতন খেজুর ডালের মত বাকা আকার ধারন করে

আল্লাহ সত্যিই অজ্ঞতায় মুহাম্মদকেও হার মানায় ! (পর্ব ১)


আল্লাহ কোরআনে বলেছে,
সুরা শামস, আয়াত ৩ ও ৪ :
"শপথ দিবসের, যখন তা' (সূর্যকে) প্রকাশ করে, "
"শপথ রজনীর, যখন তা' সূর্যকে ঢেকে দেয়, "
এই আয়াত দুটোতে আল্লাহ বলছে দিবস বা দিন সূর্যকে প্রকাশ করে আর রজনী বা রাত সূর্যকে ঢেকে দেয়
কতটা কম জ্ঞানের অধিকারী হলে কেও এরকম ছেলেমানুষী কথা বলবে সেটা কুরআন না পড়লে বিশ্বাস হবে না ! দিন নাকী সূর্যকে প্রকাশ করে আর রাত নাকী সূর্যকে ঢেকে দেয় ! এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর হতে পারে না ! আল্লাহ কতটা অজ্ঞতা সম্পন্ন প্রাণী সেটা এই আয়াত পড়লেই বোঝা যায় !

Thursday, November 6, 2014

কুরআন আল্লাহর বানী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বানী (পর্ব ৩) । বিশ্বজগৎ সৃষ্টির মোট সময় সম্পর্কে কুরআনের মিথ্যে বার্তা ।


এর আগের পর্বে দেখিয়েছি কুরআন-এর বানী সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন করা হয় কুরানের কোন ভূল ধরা পড়লে ধর্মের স্বার্থ রক্ষার্থে কিছু চতুর ধার্মিক কুরানের অর্থ পরিবর্তন করে নিজেদের সুবিধানুযায়ী নতুন অর্থ করে মোট কথা আল্লাহ কুরআনে কথা দিয়েছিল কুরআনের বানীকে রক্ষা করবে আল্লাহ সেই কথাটি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সম্পুর্নরুপে অথবা কথাটি সম্পুর্ন মিথ্যে তার মানে কুরআনে বর্নিত আল্লাহ কোন সর্বশক্তিমান কেউ নয় কোন স্বাধারন মানুষ
এই পর্বেও এরকম কয়েকটি আয়াতের উল্লেখ করবো যেগুলো সম্পুর্ন বিজ্ঞান বিরোধী কথা বলায় এদের অর্থ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং সুবিধামত এদের নতুন অর্থ করা হয়েছে অর্থাত আল্লাহর কথা পরিবর্তন করে আয়াতগুলোর সম্পুর্ন নতুন অর্থ করা হয়েছে

মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ কুরাআনে বলেছে,
সুরা ইউনুস, আয়াত ৩ :
"নিশ্চয় তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরি করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয় দিনেঅতঃপর আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন ।"

Sunday, November 2, 2014

কেন কুরআনকে অনুবাদ করা যায় না ?

পৃথিবীর সব ভাষার সব গ্রন্থ (বই) অনুবাদ করা যায়; এমনকি আরবি ভাষার কোন গ্রন্থ অনুবাদ করলে কোনই সমস্যাই হয় না l কিন্তু কুরআন অনুবাদ করলেই যত সমস্যা হয় ! অনুবাদে ভুল, অনুবাদে ভুল বলে সরব উঠে ! কিন্তু কেন এমনটি হয় ?
কুরআন কোন অশিক্ষিত মানুষের দ্বারা লেখা হয়েছে বা তৈরী করা হয়েছে; ফলে এতে অনেক ব্যাকরনগত ভুল আছে এজন্যই কি এমন হয় ?
তা না হলে পৃথিবীর সব গ্রন্থই অনুবাদ করা যায় কিন্তু কুরআনকে অনুবাদ করলেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয় !
যখনই কুরআনের কোন ভুল দেখানো হয় অন্ধবিশ্বাসী মুসলমানগুলো বলে উঠে অনুবাদের ভুল !
যে ভুলগুলো বের করা হয়েছে শুধু সেগুলোর ক্ষেত্রেই কেন অনুবাদে ভুল হয় ?
কুরআনে হাজার রকমের ভুল l আর সেগুলো মুসলমানদের কাছে পেশ করলেই বলে অনুবাদে ভূল ! যখন অনেকগুলো ভুল দেখিয়ে বলা হয় সবগুলোই কি অনুবাদে ভুল ? তখন তারা বলে, কুরআন আরবিতে নাজিল হয়েছে আর তাই এর অনুবাদ পড়ে ভুল ধরা যাবে না !

Saturday, November 1, 2014

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ৪) । আস্তিকরা কেন যুক্তি বুঝেনা বা বুঝতে পারে না ?

সুরা জ্ঞানহীন; আয়াত ৫৪১২,
"তুমি তাদের য্তই যুক্তি প্রমান দিয়ে বুঝাও না কেন, তারা বুঝতে পারবে না । কারন তাদের বুদ্ধিমত্বাকে কুসংস্কার এবং অন্ধ-বিশ্বাসের পর্দা দ্বারা ঢেকে দেয়া হয়েছে । ফলে তারা যুক্তি বুঝতে পারবে না এবং অন্ধ-বিশ্বাস ও কু-সংস্কারকে আকড়ে ধরে বসে থাকবে । তারাই প্রকৃত জ্ঞানহীন; অজ্ঞতা এবং ভ্রান্তিতে শ্রেষ্ট ।"

Friday, October 31, 2014

কোরানের অনুরূপ সুরা কি মানুষ লিখতে পারে না ?




মুসলমানরা দ্বাবি করে কোরানের অনুরূপ সুরা লেখা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় !
কিন্তু মানুষ চাইলেই কুরআনের থেকে খুব ভালো মানের সুরা লিখতে পারে l নিচে কিছু উদাহরণ দেখানো হচ্ছে :-

01)
সুরা আরম্ভ (বিজ্ঞান) :
১. বিজ্ঞানের নামে শুরু করছি যা মানব জাতির জন্য কল্যাণ ও হিতকর l
২. সমস্ত প্রশংসা সেইসব বিজ্ঞানীদের যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে মানবজাতির উপকারার্থে l
৩. যারা পরম জ্ঞানী , অতিশয় কল্যাণকারী l
৪. যারা বিজ্ঞান ও সমস্ত আবিস্কারের অধিনায়ক l
৫. তাদেরই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি এবং তাদের কাছেই জ্ঞান প্রার্থনা করি l
৬. আমাদেরকে আপনারা জ্ঞান ও আলোর পথ প্রদর্শন করুন l
৭. তাদের পথে যাদেরকে আপনারা জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেছেন;
তাদের পথে নয় যারা বিজ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে; এবং তাদের পথেও নয় যারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধবিশ্বাসী l
(বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীগণ; জয় হোক !)

114)  
সুরা নাস্তিক (মানবতাবাদী)
১. সবাই বলুন: আমরা আশ্রয় চাইছি বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের আলোর l
২. যারা বিজ্ঞানের অধিকর্তা l
৩. যারা সমগ্র বিজ্ঞানের অধিনায়ক l
৪. মুখোশধারী ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্তি থেকে l
৫. যারা ধর্মের নামে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে l
৬. প্রতারক ধর্ম ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে অথবা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকদের মধ্য থেকে l

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়; কুরআন মুহাম্মদের বাণী (পর্ব ২) l কুরআন সংরক্ষনের কথা দিয়েও কুরআন সংরক্ষনে অক্ষম কুরআনের লেখক ।


কুরআনের বাণী চিরন্তন নয় বরং এটি পরিবর্তনশীল l আজ কুরআনের যে অর্থ করা হয় একশো বছর আগে ঠিক সে রকম অর্থ করা হতো না l এবং একশো বছর পরেও এটির অর্থ (বাণী) পরিবর্তিত হয়ে যাবে l মুহাম্মদ কুরআন তৈরী করার সময় কুরআনের যে অর্থ ছিল বর্তমান কুরআনের অর্থ অনেক বদলে গেছে l অর্থাত কুরআনের বাণী বা কথা সর্বদাই পরিবর্তনশীল l 
কিন্তু মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ কুরানে বলেছে,
" আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষণকারী l " (সুরা হিজর; আয়াত ৯)

অর্থাত স্বয়ং আল্লাহ কুরআনকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করবে l কিন্তু কুরআনের বাণী বা অর্থ যেভাবে দিনে দিনে পরিবর্তিত হয়েছে এবং হচ্ছে তাতে আল্লাহ কুরআন সংরক্ষণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ l

আবার কুরআনে সুরা কাহফ-এর ২৭ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে;
"তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট তোমার প্রতিপালকের কিতাব আবৃত্তি কর; তার বাক্য পরিবর্তন করার কেউই নেই; তুমি কখনই তাকে ব্যতিত অন্য কোন আশ্রয় পাবে না l "
উক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে আল্লাহর বাণীর পরিবর্তন করার কেউ নেই l  অর্থাত কোন মানুষ আল্লাহর বাণী পরিবর্তন করতে পারবে না l

Tuesday, October 28, 2014

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়; এটা মুহাম্মদের বাণী (পর্ব ১) । কুরআন আসলে কার বাণী; আল্লাহর, জিব্রাইলের নাকী মুহাম্মদের ?

মুসলমানরা দাবি করে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআন আল্লাহর তরফ থেকে নাজিল হয়েছে l অর্থাত কুরআনের সমস্ত বাণী স্বয়ং আল্লাহর l এবং তাদের দ্বাবি কুরআনে যেহেতু আয়াতগুলো উত্তম পুরুষে বর্ণিত হয়েছে অর্থাত আমি বা আমি আল্লাহ এই সব সর্বনাম ব্যবহৃত হয়েছে তাই কুরআন অবশ্যই আল্লাহর বাণী বা ঐশী বাণী l

যারা কুরআনকে কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে স্বীকার করে না তারা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে প্রমান করে দেয় যে কুরআন আল্লাহর বা সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় l
আসুন দেখি কুরআন কি সত্যিই কোন সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে নাকি কোন মানুষ কুরআন তৈরী করেছে !

আমরা জানি আল্লাহ কুরআনকে গ্রন্থ আকারে মুহাম্মদের কাছে পাঠায়নি l বরং এটি বিভিন্ন সময়ে জিব্রাইলের মাধ্যমে মুহাম্মদের কাছে পাঠানো হয়েছে l জিব্রাইলকে মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কেউই দেখেনি ! আর তাই কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী কিনা অথবা এটি কোন ঐশী বাণী কিনা সে সম্পর্কে কোন প্রমান নেই l
যদি কুরআন সত্যিই আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে তবে এতে উল্লেখিত সব বাণী উত্তম পুরুষে অর্থাত আমি বা আমি আল্লাহ প্রভৃতি সর্বনাম ব্যবহৃত হবে l
কুরআনের প্রথম সুরা "সুরা ফাতেহা"-এর প্রতি লক্ষ করে দেখি কি বলা হয়েছে !
১. আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যিনি পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু l
২. আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক l
৩. যিনি পরম করুনাময়, অতিশয় দয়ালু l
৪. যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক l 
৫. আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি l
৬. আমাদেরকে সরল সঠিক পথ-প্রদর্শন করুন l
৭. তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের নয় যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, এবং তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট l

Saturday, October 25, 2014

কুরানে কি এমন কোন কথা লেখা আছে যেটা মুহাম্মদ আগে থেকে জানতো না ?

কুরানে কি এমন কোন কথা লেখা আছে যেটা মুহাম্মদ আগে থেকে জানতো না ?
কুরআন পড়লে দেখা যায় কুরানে যেসব কথা বলা আছে যেমন চাদ সূর্যের আবর্তন, সমতল পৃথিবী, পাহাড় পর্বত নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা, রাত দিন সমর্কে উদ্ভট কথা বার্তা, পৌরানিক কাহিনী, মানুষকে ভয় ভীতি এবং প্রলোভন ইত্যাদি কোন একজন মানুষ লিখে রেখেছে ! সমগ্র কুরানে এমন একটি বিষয়ও পাওয়া যাবে না যেটা মুহাম্মদ জানতো না !
এমনকি মুহাম্মদের অজ্ঞতাগুলোও কুরানে স্পষ্ট করে ফুটে উঠেছে সমগ্র কুরানে ! যেমন দুই দরিয়া পাশাপাশি প্রবাহিত হয় কিন্তু কখনই মিলিত হয় না l মানুষ মাটি ও পানি দিয়ে তৈরী l মানুষ শুক্রানু ও জমাট রক্ত থেকে জন্ম গ্রহণ করে l পাহাড় তৈরী করা হয়েছে যাতে পৃথিবী কোন এক দিকে কাত হয়ে পড়ে না যায় l পৃথিবী সমতল l রাত দিন পরিবর্তিত হয় তাদের আপন গতিতে অর্থাত রাত দিন একে অন্যে চলাচল করে রাত দিনের পরিবর্তন ঘটায় ! ইসা নবী হচ্ছে মুছা নবীর ভাগিনা l পৃথিবী সমতল l চাদ সূর্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে (কিন্তু পৃথিবী স্থির) এবং আল্লাহর আরশের নিচে গিয়ে সেজদা দেয় ! তারকা তৈরী করা হয়েছে আকাশের সুন্দর্যের জন্য এবং শয়তানদেরকে শাস্তি দেবার জন্য l শিলা বৃষ্টি আকাশে মজুত করা থাকে ! আকাশ হচ্ছে কঠিন পদার্থের তৈরী এবং যেকোন সময় সেই কঠিন আকাশের কোন খন্ড পৃথিবীতে পতিত হতে পারে ! এসব মিথ্যে ধারণা গুলো মুহাম্মদ বিশ্বাস করতো বলে কুরানে এগুলো লেখা আছে l

Thursday, October 23, 2014

আল্লাহ কি পৃথিবীর আবর্তন, বায়ুমন্ডল ও সূর্যের অবস্থান সম্পর্কে সম্পূর্ণই অজ্ঞ ?


মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ কুরআনে সুরা কাহফ-এর ৯০ নাম্বার আয়াতে বলেছে,
"চলতে চলতে যখন তিনি সুর্যোদয়ের স্থলে পৌছলেন তখন তিনি দেখলেন ওটা এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদিত হচ্ছে যাদের জন্যে সূর্য -তাপ হতে আত্বরক্ষার কোন অন্তরাল আমি সৃষ্টি করি নাই l "
“Until, when he came to the rising of the sun, he found it rising on a people
for whom We had provided no covering protection against the sun.”

এই আয়াতে আল্লাহ বলেছে জুলকারনাইন নামে এক মহামানব এমন এক স্থানে পৌছেছে যেখানে মানুষের মাথার খুব কাছে সূর্য উদয় হয় এবং ওই মানুষদের জন্য কোন নিরাপত্তা জনিত অন্তরালের ব্যবস্থা আল্লাহ করেন নি !

মুসলমানরা কবে বুদ্ধিমান হবে ?

মুসলমানরা কবে বুদ্ধিমান হবে ?
৩৪) সুরা সাবা আয়াত ০৯
"তারা কি তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে, আসমান ও যমিনে যা আছে তার প্রতি লক্ষ করে না ? আমি ইচ্ছে করলে তাদেরকেসহ ভূমি ধ্বসিয়ে দিবো অথবা তাদের উপর আকাশের কোন খন্ডের পতন ঘটাব, আল্লাহ অভিমুখী প্রতিটি বান্দার জন্যে এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে l "
এটি কুরআনের একটি আয়াত যেখানে আল্লাহ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে আকাশের কোন খন্ডের পতন ঘটিয়ে মানুষকে শাস্তি দেবার ! আর বোকা মুসলমানরাও আল্লাহর হুমকিতে ভীত হয়ে যাচ্ছে ! এই বোকা মুসলমানদেরকে কে বুঝাবে আকাশ হচ্ছে বায়ুবিও পদার্থের তৈরী l আর তাই এটির কোন খন্ডকে কারো উপরে ফেলে দেয়ার ভয় দেখানো বোকামি (আসলে গাধামি) l আসলে আল্লাহ জানতো না আকাশ আসলে কি ! আল্লাহ ভেবেছে আকাশ বুঝি কোন কঠিন পদার্থের তৈরী ! মুসলমানরা এই গাধা আল্লাহকেই সর্বজ্ঞানী বলে ডাকে ! আসলে আল্লাহ হচ্ছে একজন মুর্খ মানুষ !

Monday, September 29, 2014

শুধু কি ইসলামের সমালোচনাই করা হয় ? কিন্তু কেন ?

ধর্ম সমাজের জন্য ক্ষতিকর l নাস্তিকদের উদ্দেশ্য ইসলামকে খাটো করা নয় বরং সব ধর্মের সমালোচনা করা l যাতে করে ধর্মান্ধরা বুঝতে পারে, যে ধর্মের জন্য তারা উগ্রতা দেখাচ্ছে তার কোন ভিত্তিই নেই l ধর্ম দাড়িয়ে আছে মিথ্যের উপরে এই সত্যটি সবাইকে বুঝানো গেলে পৃথিবী থেকে ধর্মীয় উগ্রতা, ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ, ধর্মীয় হত্যাকান্ড এবং ধর্মীয় সমাজ ব্যবস্থার সমস্যাগুলো (যেমন- নারীর মর্যাদা ও অধিকার) সমাজ থেকে দূর করা যাবে l আর এজন্যই নাস্তিকরা সব সময় ধর্মীয় সমালোচনা করে l
এখন যে যে ধর্ম থেকে নাস্তিক হয়েছে সে সে ধর্ম সম্পর্কে জানে বেশি অন্য ধর্ম থেকে (অনেক ক্ষেত্রে অন্য ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানে না) l ফলে তারা ছেড়ে আসা ধর্মটির সমালোচনা করতে পারে সবচেয়ে ভালো ভাবে l
আর এজন্যই যারা মুসলমান ধর্ম থেকে নাস্তিক হয়েছে তারা ইসলাম সম্পর্কে সমালোচনা করে সব থেকে বেশি l আবার যারা হিন্দু ধর্ম থেকে নাস্তিক হয়েছে তারা হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করে বেশি l

Saturday, September 27, 2014

এক যে ছিল স্রষ্টা l

এক যে ছিল স্রষ্টা l সে ছিল খুব ছোট l এবং সে ছিল খুব একা l তার তিন কুলে কেউ ছিল না l সে ছিল খুব দু:খি l একদিন কি মনে করে সে খেলতে বসলো এবং মাটি দিয়ে পুতুল বানাতে থাকলো l পুতুলগুলো ছিল খুব ছোট l আর তাই পুতুলগুলোকে রাখার জন্য ছোট ছোট মার্বেল মানালো যেগুলো ছিল পুতুলগুলোর চেয়ে অনেক বড় l এবং স্রষ্টা পুতুলগুলোকে কি মনে করে ফু দিল l ওমা ওকি, অমনি পুতুলগুলো জীবন্ত হয়ে উঠলো ! দেখেতো স্রষ্টার সেকি হাসি ! চট করে তার মাথায় একটি বুদ্ধি খেলে গেল ! সে পুতুলগুলোকে ওই মার্বেলের উপর ছেড়ে দিল l আর তারপর থেকেই সেই পুতুলগুলো ওই মার্বেলের উপর দিয়ে ছোটাছুটি করে বেড়ায়, মারামারি করে; খুনোখুনি করে ! এক পুতুল আরেক পুতুলকে কষ্ট দেয় l ছেলে পুতুলগুলো মিলে কোন এক অসহায় মেয়ে পুতুলকে ধর্ষণ করে, হত্যা করে l একদল পুতুল আরেক দল পুতুলকে আক্রমন করে এবং হত্যা করে l
আর এসব দেখে উপরে বসে থাকা সেই বাচ্চা স্রষ্টা সেকি হাসি ! হাসতে হাসতে তার পেটে খিল লেগে যায় l কিন্তু কোন পুতুলই স্রষ্টার সেই হাসি শুনতে পায় না এবং তাকে দেখতেও পায় না l কারণ সেই বাচ্চা স্রষ্টার কোন আকৃতি নেই; সে হচ্ছে সম্পূর্ণ নিরাকার !

এস. এম. রায়হান-এর চ্যালেঞ্জের প্রতিউত্তরে পাল্টা চ্যালেঞ্জ !


এস. এম. রায়হান আপনিতো বিবর্তনবাদীদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অনেকগুলো বাচ্চা বাচ্চা মার্কা প্রশ্ন করেছেন এবং দাবি করেছেন এগুলোর উত্তর দেবার l আপনিতো বিবর্তনবাদ মানেন না l ভালো কথা ! আপনি মানেন আদম হওয়া 'টুপ করে ধপাস' তত্ত্ব l সেটাও ভালো কথা l যেকোন কিছু মানার বা বিশ্বাস করার অধিকার আপনার আছে l সেটা কাল্পনিক আল্লাহ হোক অথবা কাল্পনিক ভুত হোক আপনি বিশ্বাস করতে পারেন তাতে কারো কিছু করার নেই l তো আপনি যে বিবর্তনবাদীদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন কিন্তু আপনি কি চিন্তা করে দেখেছেন যদি এই প্রশ্নগুলোই আপনার কাল্পনিক আল্লাহ এবং মিথ্যে আদম হওয়া 'টুপ করে ধ্বপাস' তত্বের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় তবে কিন্তু আপনার কাল্পনিক আল্লাহ আর আদম হাওয়া 'টুপ করে ধ্বপাস' এই দুটোই পালাবার জায়গা পাবে না !
আমি আপনাকে আপনার প্রশ্নের প্রতি উত্তরে আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করব না আপনার কাল্পনিক আল্লাহর ক্ষেত্রে l কিন্তু আপনাকে আদম হাওয়া 'টুপ করে ধ্বপাস' তত্তের প্রমান হিসেবে নিচের প্রশ্নের উত্তর গুলো চাইবো ! আশা করি আপনার কাল্পনিক আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবে !

আপনারা দাবি করেন আদম হাওয়া কে আল্লাহ বেহেস্ত থেকে 'টুপ করে ধ্বপাস' করে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছে l এবং আদম হাওয়ার উচ্চতা ছিল প্রায় ৬০ হাত অর্থাত প্রায় ৯০ ফিট l এবং তারপর থেকে মানুষ ছোট হতে হতে আজকের উচ্চতার মানুষে বিবর্তিত হয়েছে l অর্থাত আপনাদের দাবি ঠিক বিবর্তনবাদের বিপরীত l

মুসলমান আস্তিকদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ :

মুসলমান আস্তিকদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ :

আপনারা বলেন বিবর্তনবাদ মিথ্যে l আদম-হাওয়া 'টুপ করে ধপাস' তত্ত্ব সত্য !
এদিকে বিবর্তনবাদের স্বপক্ষে হাজার হাজার প্রমান পাওয়া গেছে ! তার পরেও আপনাদের ত্যাড়ামী - বিবর্তনবাদ মিথ্যে !
বিজ্ঞানীগণ ফসিল রেকর্ড দেখে এবং ডিএনএ ম্যাচিং দেখে নিশ্চিত হয়েছে বিবর্তনবাদ সত্য ! তার পরেও আপনাদের নানা হেচং বেচং !
আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি ! যদি আপনারা আদমের অর্থাত ৯০ ফুট (বা ৬০ হাত) মানুষের কোন ফসিল আবিষ্কার করতে পারেন এবং সেটা যদি পরীক্ষা করে সত্যি বলে প্রমানিত হয় (কারণ মুসলমানরা ভন্ডামি করেই থাকে ) তবে আমি সাথে সাথে ইসলাম ধর্মে ফিরে যাবো !
এবং বাকি জীবন ইসলামের খেদমত করে কাটিয়ে দেবো !
আছেন কোন সৎ (ভন্ড) মুসলমান আমার চ্যালেন্জটা গ্রহণ করবে ?
আপনাকে শুধু একটা সত্য ফসিল (আদমের) দেখাতে হবে যেটা ৯০ ফুট লম্বা !
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আপনারা সেটা পারবেন না ! কারণ আদম হাওয়া (টুপ করে ধপাস) তত্ত্ব মিথ্যা, আর আপনাদের আল্লাহ তত্ত্বও মিথ্যা ! এজন্যই ৯০ ফুটের কোন ফসিল পাওয়া যাবে না ! এটা আমার চ্যালেঞ্জ সমস্ত মুসলমান জাতির প্রতি !

বিবর্তনবাদ সত্যি নয় ! দেখুন আস্তিকদের আস্তিকতা !!!!


বিবর্তনবাদ সত্যি নয় ! দেখুন আস্তিকদের আস্তিকতা !!!!

এত এত ফসিল আবিষ্কার; এত এত জেনেটিক মিল, এত এত প্রমান বিবর্তনের স্বপক্ষে তবুও কিছু কিছু মানুষ বলেই যাচ্ছে বিবর্তন তত্ত্ব সত্যি নয় !
-কেন ?
-কারণ আল্লাহ বলেছে আদম হাওয়া প্রথম মানুষ; আর আল্লাহ
কখনই মিথ্যে হতে পারে না !
-কেন মিথ্যে হতে পারে না ? আল্লাহ কি আপনার সাথে দেখা করেছে ?
-না !
- তাহলে কি আল্লাহ কোন ম্যাজিক দেখিয়েছে মানে অলৌকিক কিছু !
- না তাও না !
- তাহলে আল্লাহ মিথ্যে হতে পারবে না কেন ? আর আপনারা বিবর্তনকে মিথ্যে বলেন কোন হিসেবে ? এত এত প্রমানের পরেও বিশ্বাস করছেন না কেন ?
- কারণ আল্লাহ বলেছে আদম হওয়া প্রথম মানুষ কিন্তু বিবর্তনবাদ এটাকে মিথ্যা বলে রায় দিয়েছে তাই !
- আদম হওয়া প্রথম মানুষ এর কি কোন প্রমান আছে আপনাদের কাছে ?
-কুরানে বলা হয়েছে এ কথা !
- অন্য কোথাও কি আদম হাওয়ার প্রমান পাওয়া গেছে ?
- না অন্য কোথাও পাওয়া যায় নি !

আস্তিকদের আস্তিকতা ও হাস্যকর দাবি !



মুসলমান আস্তিক : "মানুষ মরে গেলে তার শরীর পচে গলে নষ্ট হয়ে যায় l এটা বৈজ্ঞানিক কথা l তাই হিন্দুরা যে বলে মানুষের পুনর্জন্মের কথা এটা পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা l কিন্তু আল্লাহ কেয়ামতের দিন সব প্রাণীকেই পুনরায় জীবিত করবেন l আল্লাহ সব কিছুই করতে সক্ষম ! "

হিন্দু আস্তিক : "মানুষ মরে গেলে তার শরীর পচে গলে নষ্ট হয়ে যায় l এটাই বৈজ্ঞানিক সত্য ! তাই মুসলমানরা যে বলে মানুষকে কেয়ামতের দিন পুনর্জীবিত করা হবে সেটা পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা l কিন্তু মানুষকে এই জীবনের (মৃত্যুর) পরে নতুন জীবন দেয়া হবে ! মানে মানুষ পুনর্জন্ম লাভ করবে l ভগবান সবকিছুই করতে পারে !""'

নাস্তিক : "বাহ (!) আপনাদের আল্লাহ-ভগবান তো খুব ক্ষমতাবান তারা বিজ্ঞানেরও বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে !!!!!"

মিথ্যা ধর্মগুলো, কাল্পনিক অবতার ও নবী-রাসুল এবং ভিলেন মুহাম্মদ :


পৃথিবীর সব ধর্মই মিথ্যা ! সৃষ্টিকর্তাকে মানুষ সৃষ্টি করেছে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য !
পৃথিবীতে যত দেবদূত এবং অবতার, নবী-রাসুল এসেছে তারা সবাই কাল্পনিক চরিত্র ! সত্যি সত্যি মুসা-ইসা বা রাম-কৃষ্ণ ইত্যাদি চরিত্র পৃথিবীতে সত্যি এসেছিল এরকম কোন ঐতিহাসিক দলিল-প্রমান নেই l এগুলো শুধু গল্প কথকেই স্বীমাবদ্ধ l আর তাই পৃথিবীর মানুষ যখন দেখবে মানুষ মিথ্যা ধর্মগুলোকে তৈরী করেছে এবং ধর্মের নামে অমানবিক এবং নির্মম কাজ ও হত্যাকান্ডগুলো করেছে, মানুষ যুগের পর যুগ ধরে তখন মানুষ ধর্মকে এবং ধর্ম গুরুদেরকে ঘৃনা করবে চিরদিন l আর তাই স্বভাবতই ইসা-মুসা বা রাম-কৃষ্ণ প্রভৃতি কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে ঘৃনা করবে ভবিষ্যতের মানুষ ! তবে মুসা বা মোজেস, ইসা বা জেসাস ক্রাইস্ট, রাম ও কৃষ্ণ এই চরিত্রগুলোকে মানুষ ক্ষমার চোখে দেখবে অথবা এদেরকে ঘৃনা করবে না l এর কারণ হচ্ছে এই চরিত্রগুলো কাল্পনিক এবং এরা কেওই ধর্ম তৈরী করেনি বরং এদের নাম ভাঙিয়ে মানুষ ধর্মের ব্যবসা করেছে যুগ যুগ ধরে ! আর তাই এদেরকে কেউ ঘৃনা করবে না বরং এদেরকে অর্থাত এইসব কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে যারা সৃষ্টি করেছে সেই সব মানুষগুলোকে বা ধর্মগুরুদেরকে মানুষ ঘৃনা করবে চিরদিন l আর তাই ইসা বা জেসাস ক্রাইস্ট, মুসা বা মোজেস, রাম ও কৃষ্ণ তারা মানুষের ঘৃনা থেকে মুক্ত থাকবে তারা কাল্পনিক চরিত্র হবার কারণে !

ইসলাম আসার আগে আইয়ামে জাহিলিয়া এবং ইসলাম আসার পরে সুপার আইয়ামে জাহিলিয়া !!!


ইসলাম আসার আগে আয়ামে জাহিলিয়াতের যুগ মানে অন্ধকারের যুগ ছিল l
আর ইসলাম আসার পরে ফকফকা আলোর যুগের সূচনা হয়েছে l
কি বিশ্বাস করলেন না তো ! তাহলে দেখুন তার কিছু নমুনা !

১. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ বহু বিবাহে লিপ্ত ছিল l অর্থাত একজন মানুষ একসাথে ১০ টা ২০ টা বিয়ে করতো l আবার ইসলাম আসার পরেও মানুষ ৪ টা ১৩ টা বিয়ে করে l কোন পার্থক্য নেই !

২. ইসলামের আগে আরবের মানুষ শিশু বিবাহ এবং শিশু কামের মত জঘন্য কাজ করতো l ইসলাম আসার পরেও আরবের মানুষ শিশু বিবাহ এবং শিশু কামের মত জঘন্য কাজ করতো এবং করে ! কোন পার্থক্য নেই !

৩. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, একে অন্যে মারামারি-বিবাদ এবং যুদ্ধ এসব লেগেই ছিল l আবার ইসলাম আসার পরে খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, একে অন্যে মারামারি-বিবাদ এবং যুদ্ধ এসব চালিয়েই গেছে l কোন পার্থক্য নেই !

৪. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ অসহায় নিরীহ মানুষকে জোর করে ধরে নিয়ে যেয়ে বাজারে পশুর মত বিক্রি করতো অর্থাত দাস প্রথা ছিল l আবার ইসলাম আসার পরেও দাস প্রথা বলবৎ ছিল বহাল তবিয়তে l কোন পার্থক্য নেই !

মুসলমানদের মিথ্যা দাবি l পৃথিবী কি সত্যিই ডিম্বাকৃতির ? এবং দাহাহা নিয়ে দাহা হা হা ! হা হা !!!


মুসলমানদের দাবি :
পবিত্র কুরানে আল্লাহ (৭৯) সুরা নাযি'আত-এর  ৩০ নাম্বার আয়াতে বলেছে,
"এবং পৃথিবীকে এরপর করেছে ডিম্বাকৃতির l "
এই আয়াত উল্লেখ করে মুসলমানরা দাবি করে এই আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীর আকৃতি স্পষ্ট ভাবে উপস্থাপন করেছে l মুসলমানদের দাবি পৃথিবী সম্পূর্ণ রূপে ডিম্বাকৃতির l আর আল্লাহ এই আয়াতের মাধ্যমে জানাচ্ছে যে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির l তাদের দাবি কুরানে এই আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতির বলেছে ১৪০০ বছর আগে l সুতরাং কুরআন সত্যই আল্লাহর বাণী l

এখন আমরা দেখবো আসলেই কুরানে পৃথিবীর আকৃতি স্পষ্ট করে বলতে পেরেছে কিনা !
উপরিউক্ত আয়াতটির অনুবাদ বিভিন্ন অনুবাদকগণ করেছেন নিম্নুক্ত ভাবে !

কুরানে মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ বলেছে,
৭৯) সুরা নাযি'আত, আয়াত ৩০ :
"এবং পৃথিবীকে এরপর বিস্তৃত করেছেন l "   (অনুবাদ - প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর বহমান )
"আর পৃথিবী- এরপরে তাকে প্রসারিত করেছেন l "  (অনুবাদ - ড: জহুরুল হক)
“And after that He spread the earth,”  (অনুবাদ - Mohammad Marmaduke Pickthal)
“And the earth, moreover, hath He extended [to a wide expanse];” (অনুবাদ - Abdullah Yusuf Ali )
“And after that He spread the earth.” (অনুবাদ - Saheeh International )

Monday, September 22, 2014

মুসলমানদের মিথ্যে দাবী - কুরআনে বিগ ব্যাং এবং পৃথিবী ঘুর্নায়মান !


মুসলমানরা দাবি করে কুরানে বিগ ব্যাং থিওরী অনেক আগেই বর্ণনা করা হয়েছে l তারা কুরআনের সুরা আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াত উল্লেখ করে দাবি করে যে এই আয়াতে বিগ ব্যাং থিওরীর কথা বলা হয়েছে l তারা আরো দাবি করে কুরানে নাকি পৃথিবীর ঘূর্ণনের কথা ১৪০০ বছর আগেই কুরানে বর্ণনা করা হয়েছে l আসুন আমরা দেখি কুরানে সত্যি বিগ ব্যাং এবং রাত দিনের পরিবর্তন বা পৃথিবীর ঘূর্ণন সম্পর্কে কি বলা হয়েছে l
কুরআনে আছে;
২১) সুরা আম্বিয়া, আয়াত ৩০ :
অবিশ্বাসিরা কি লক্ষ্য করে দেখে না,নভোমন্ডল ও ভুমন্ডল পরস্পর সংযুক্ত ছিল ;অতপর আমি এদের ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি l”

"যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অত:পর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না ?" (অনুবাদ - প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)
এই আয়াত অনুযায়ী, পৃথিবী ও আকাশমন্ডলী একসাথে মিশে ছিল অর্থাত একটা আরেকটার সাথে মিলিত অবস্থায় ছিল এবং আল্লাহ এদেরকে পৃথক করে দিয়েছে l

এখানে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে যে পৃথিবী এবং আকাশ আগে থেকেই তৈরী অবস্থায় ছিল এবং একটা আরেকটার সাথে পরস্পর মিশে ছিল l আল্লাহ শুধু এদেরকে আলাদা করে দিয়েছে l এটা বিগ ব্যাং থিওরীর সম্পূর্ণ বিপরীত l

Saturday, September 20, 2014

আস্তিকের সাথে নাস্তিকের আলোচনা : কোন সৃষ্টিকর্তা আছে কী ?


আস্তিকের সাথে নাস্তিকের আলোচনা :

আস্তিক :- আপনি কোথা হতে এসেছেন মানে আপনার জন্ম হয়েছে কোথা থেকে ??
নাস্তিকঃ  আমার বাবা মার কাছ থেকে
আস্তিক - ok ঠিক আছে,তাহলে আপনার
বাবা মা??
নাস্তিকঃ ভাই, সহজ কথা, আমার
বাবা মা তাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে এসেছে,
আবার তাদের বাবা মা উনাদের বাবা মায়ের
কাছে থেকে...............l
আস্তিক :- তার মানে সবাই তাহলে একটা পূর্বতমপুরুষ
এবং একটা পূর্বতম-নারী থেকে সৃষ্টি হয়েছে,তাহলে তাদের
পূর্বতম ২ জনকে কে সৃষ্টি করল??
নাস্তিকঃ - ভাই প্রকৃতি থেকে সেই
২জন সৃষ্টি হয়েছে ?
আস্তিক:-তাহলে প্রকৃতি কে সৃষ্টি করেছে????
নাস্তিকঃ ভাই প্রকৃতিকে কেউ সৃষ্টি করে নাই
আস্তিক :- তাহলে প্রকৃতি আসলো কিভাবে ??
নাস্তিক:- প্রকৃতিকে আসতে হয়নি ওটা আগে থেকেই ছিল l

আস্তিক:- সেটা কিভাবে হয় কোন কিছুইতো এমনি এমনি সৃষ্টি হতে পারে না l প্রত্যেক জিনিসেরই কোন না কোন সৃষ্টিকর্তা লাগে l সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব l
নাস্তিক :- তাহলে আপনি বলছেন যে প্রকৃতিকে সৃষ্টি করেছে কোন এক সৃষ্টিকর্তা ?
আস্তিক:- হ্যা হ্যা ঠিক তাই !
নাস্তিক :- কিন্তু আপনিতো বলেছেন সব কিছুরই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে তাহলে সেই সৃষ্টিকর্তারও নিশ্চই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে ?
আস্তিক :- সেরকমই তো মনে হচ্ছে !
নাস্তিক:- তাহলে আবার সেই সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা আছে ?
আস্তিক :- সেরকমই তো মনে হচ্ছে !
নাস্তিক :- আবার সেই সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকবে, এভাবে একটার পরে একটা সৃষ্টিকর্তা আসতেই থাকবে তাইতো ?
আস্তিক:- যুক্তিতে তো তাই বোঝা যাচ্ছে !
নাস্তিক :- তাহলে কি শুধু একজন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব যদি একটার পর একটা সৃষ্টিকর্তা আসতেই থাকে ?

Friday, September 19, 2014

কার অন্তরে সিলমোহর মারা - বিশ্বাসীদের নাকি অবিশ্বাসীদের ?


মুসলমানদের একটা অদ্ভুত দাবি - " আল্লাহ অবিশ্বাসীর অন্তরে সিলমোহর মেরে দিয়েছেন l আর তাই অবিশ্বাসীরা ইমান আনবে না l " (কুরআন)
যুক্তিবাদীর উত্তর - আল্লাহ যদি অবিশ্বাসীর অন্তরে সিলমোহর মেরেই থাকে তবে আর অবিশ্বাসীদের দোষ কি ? আল্লাহই তো সিল মেরে দিয়েছে, ফলে হাজার চাইলেও অবিশ্বাসীরা ইমান আনতে পারবে না l কারণ আল্লাহ সর্বশক্তিমান; আর তাই যদি সে সিল মেরে থাকে তবে মানুষের সাধ্য নেই সেই সিল মারা অবস্থা থেকে ফিরে আসা l যদি ফিরে আসে তাহলে আল্লাহর কথা মিথ্যে হয়ে যাবে l আর তাই অবিশ্বাসীদেরকে শাস্তি দেয়া চরম বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় l

বিশ্লেষণ : কুরানে বলা হয়েছে আল্লাহ মানে মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা নিজেই অবিশ্বাসীদের অন্তরে সিলমোহর মেরে দিয়েছেন l আর মুসলমানরা দ্বাবি করে কুরআন হচ্ছে আল্লাহর বাণী l যুক্তি দিয়ে বিচার করলে বোঝা যায় যে যদি সর্বশক্তিমান আল্লাহই সিল মেরে থাকে তবে মানুষের এটার উপর কিছু করার নেই l কিন্তু এই যুক্তিটা মুসলমানরা বুঝবে না l কেন তারা এই যুক্তিটা বুঝবে না যেটা সহজ ভাবে প্রতীয়মান হয় l এর কারণ উত্ঘাতন করতে হলে কুরআন কার বাণী সেটা নিশ্চিত হতে হবে l যদি কুরআন আল্লাহর বাণী হয় তবে সর্বজ্ঞানী আল্লাহ কি ভাবে এরকম একটা অযুক্তিক দাবি করে বসবেন যে অবিশ্বাসীরা ইমান আনবে না কারণ আল্লাহ নিজেই তাদের অন্তরে সিল মেরে দিয়েছেন ? আর এর জন্য নিরীহ অবিশ্বাসী মানুষগুলো কেন শাস্তি পাবি ? কারণ আল্লাহ নিজেইতো তাদের অন্তরকে সিল মেরে দিয়েছেন l
তাহলে আল্লাহর কথা পরস্পর বিরোধী হয়ে যায়না ?

বাল্য বিবাহ এবং ধর্মব্যবসায়ীর ধর্মব্যবসা !



জাকির নালায়েকের (ওরফে ভন্ড জাকির) মত ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাদের ধর্ম ব্যবসার জন্য সব কিছুকেই জায়েজ মনে করে ! করবে না কেন যদি এতে টাকা আসে ? এরা ব্যবসার জন্য মানে টাকার জন্য নিজের ৬ বছরের মেয়েকেও ৫০ বছরের বৃদ্ধের সাথে বিয়ে দিতে দিধা বোধ করবে না ! তাতে মেয়ে বাচুক বা মরুক তাতে ওই শয়তানটার কিছু যায় আসে না ! টাকা তো ইনকাম হলো !
অথচ ওই ভন্ডগুলো কখনই চিন্তা করে না যে ওই শিশু বাচ্চাগুলোর কি হবে ! শয়তানটা ডাক্তার হয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলে শুধু মাত্র ধর্মব্যবসার খাতিরে ! কিন্তু কখনই সত্যি কথা বলবে না ! মিথ্যে বলবে আর টাকা কামাবে !
একটা মেয়ের মাসিক হওয়া মানে ওই মেয়েটার কেবল মাত্র যৌনাঙ্গ (বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা) তৈরী হওয়া শুরু হয়েছে এবং এটা পুরোপুরি গঠিত হতে তার ১৬ বা ১৮ বছর বয়সের দরকার হয় ! অর্থাত মেদেয়েদের ১৬ বা ১৮ বছর বয়সে এটা সম্পূর্ণ হয় ! কারো ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগে !
আর বয়োসন্ধির সময়টা প্রত্যেক মানুষের জন্য কঠিন একটা সময় ! কারণ ওই সময়টাতে মানুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা জগতে প্রবেশ করতে থাকে ! এবং শারীরিক ও মানুষিক একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় ! সেই সময়টাতে মানুষ নিজেকে খুব অসহায় মনে করে !
আর সেই সময়ে একটা শিশুকে বিয়ে দেয়া মানে তার উপর শারীরিক ভাবে অত্যাচার করা ! আর এটা যদি জায়েজ হয় তবে পৃথিবীতে না-জায়েজ কোনটা ?!!!!!!
শৈশবে বিয়ে দেয়া মানে একটা মেয়ের উপর ভারী বোঝা তুলে দেয়া ! আর শৈশব থেকে বঞ্চিত করা সেটাতো একটা অমানবিক ব্যাপার ! শৈশবে একটা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তার কাছ থেকে শৈশবকে কেড়ে নেয়া বা শৈশবের আনন্দ থেকে তাকে বঞ্চিত করা জঘন্য অপরাধ ! এবং ওই মেয়েটাকে পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত করা বা পড়াশুনার ক্ষতি করা একটা মারাত্মক অন্যায় !
আর জাকির নায়েক (ওরফে জাকির ভন্ড) বাল্য বিয়েকে বৈধতা দিতে উল্টা পাল্টা কথা বলে নিজের ধর্ম ব্যবসাকে শক্ত অবস্থানে নেয় ! স্বাধারণ মানুষ এসব ভন্ডের কথা শুনে এবং বিশ্বাস করে নিজেদের ক্ষতি করে !
তাই এসব ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাবধান থাকা অতি জরুরি !

Sunday, September 14, 2014

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী বাণী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ১) । আমার উপর নাজিলকৃত ওহি বানী ।


আমার উপর নাজিলকৃত ওহি বানীটি হলো :
"আল মোরাল"
সুরা চ্যালেঞ্জের উত্তর
আয়াত ৫৯ :-
"ইহা এমন কিতাব যা লিপিবদ্ধ করা আছে; ফলে কোন শব্দও বিকৃত (পরিবর্তন) করা যাবে না l এবং ইহাই একমাত্র আমার (আল্লাহর) প্রেরিত বাণী যার অর্থ যে কেউ, যেকোন ভাবেই বিকৃতি, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে পারে l এমন কি ইহার ব্যাখ্যা প্রদানে যে কেহ মনের মাধুরী মিশাতে পারবে l তথাপি আমি তোমাদিগকে শাস্তি প্রদান করি না l বস্তুত আমি পরম দয়াশীল; অসীম মার্জনাকারী l "

(এখানে উল্লেখ্য, উক্ত আয়াতটি আমার উপর নাজিল করা হয়েছে l আমার উপর কেন উক্ত আয়াতটি নাজিল করা হলো ভেবে পাচ্ছি না ! আমি কোন নবী না l অবশ্য আমার জানা মতে একজন নবী ফেসবুকে আছে l তার কাছে ওহি নাজিল হয় ! কিন্তু হঠাত করে আমার কাছে কেন ওহি নাজিল হলো বুঝতে পারছি না (তাও আবার গ্রন্থের নাম, সুরার নাম এবং আয়াত নাম্বার সহ) l আমার কি গুন আছে যে আমার উপর ওহি নাজিল করতে হবে ! সেটা মনে হয় পরওয়ার দেগারই ভালো জানেন !)

আল্লাহ কি ? দেখুন কুরানে কি বলা হয়েছে ?

আল্লাহ কি ? দেখুন কুরানে কি বলা হয়েছে ?

সুরা নাহল আয়াত-৭৯
"তারা কি লক্ষ করে না আকাশের শূন্য গর্ভে নিয়ন্ত্রনাধীন পাখিদের প্রতি ? আল্লাহই ওদেরকে স্তির রাখেন; অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্যে l "

সুরা মূলক আয়াত ১৯
"তারা কি লক্ষ করে না তাদের উপরে পাখিসমূহের প্রতি, যারা ডানা বিস্তার করে ও সংকুচিত করে ? দয়াময় আল্লাহই তাদেরকে স্তির রাখেন l তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা l "

এতদিন শুনেছেন পাখিরা বাতাসের উপর ভর করে উড়ে বেড়ায় ! কুরআন পড়ে জেনে নিন পাখিরা আসলে বাতাসের উপর ভর করে ভেসে থাকে না বরং আল্লাহ পাখিদেরকে ভাসিয়ে রাখে !

আবার বিজ্ঞান বলে পাখি ভেসে থাকে বাতাসের উপর ! কুরআন বলছে আল্লাহ এদের ধরে রাখে !

এবার আমরা ধরে নিতে পারি বাতাস হচ্ছে আসলে আল্লাহ !

অর্থাত নাস্তিকরা যে বলে আল্লাহর অস্তিত্ব নেই সেটা আসলে মিথ্যে কথা ! আল্লাহ আসলে বাতাস ! কুরআনের আয়াততো সেটাই বলছে !

-ভাই মালু কি ?

-মালুরা খুব খারাপ !
-ভাই মালু কি ?
- জানেন না হিন্দুরা হচ্ছে মালু ?
- কেন ভাই ওদের মালু বলেন কেন ? মালু মানে কি ?
-সেটাতো জানি না কিন্তু ওদেরকে যে মালু বলা হয় সেটাই জানি শুধু !

অনেককে জিজ্ঞেস করেছিলাম কথাটা কিন্তু কেও এর সঠিক উত্তর দিতে পারেনি ! তবে অনেকে এর অর্থ করেছে "ঈশ্বরের অভিশপ্ত জাতি" !
যদি এর অর্থ এটাই হয় তবে কেন শুধু হিন্দুদেরকে মালু বলা হবে ?
আর ঈশ্বরের অভিশপ্ত জাতি যে শুধু হিন্দুরাই এটাই বা কে নির্ধারিত করে দিলো ?
মুসলমানরা হিন্দুদেরকে মালু বলে l ফলে যদি ইসলাম সত্যি হয় তবে তাদের দাবি অনুযায়ী পৃথিবীর সব ধর্মীয় আস্তিকই মালু !
আবার হিন্দুদের মত অনুযায়ী মুসলমানরাই হচ্ছে ঈশ্বরের অভিশপ্ত জাতি ! তাহলে হিন্দুদের কাছে মুসলমানরা(বাকিরাও) হচ্ছে মালু !
কিন্তু আমরা দেখি আস্তিকরা (সব ধর্মের আস্তিকরা) কু-সংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধ-বিশ্বাসী l এবং এরাই বা এদের কেও কেও হচ্ছে (অন্ধ)বিশ্বাসের দ্বারা আক্রান্ত হিংস্র প্রাণী ! ফলে হিংস্র প্রানীদের মত আক্রমন করে অন্য ধর্মের আস্তিকদেরকে l অর্থাত এই আস্তিকগুলোই হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের অভিশপ্ত বা মালু !
সুতরাং আমরা বলতে পারি আস্তিকরা হচ্ছে মালু l
কিন্তু আমি খুব ভালো ভাবেই লক্ষ করি যে মুসলমানরা হিন্দুদেরকে মালু বলে গালি দেয় এবং নিজেকে নিয়ে গর্ব করে !
আবার নাস্তিকরাও হিন্দুদেরকে মালু বলে গালি দিতে সাচ্ছন্দ বোধ করে !
কিন্তু কেন ? যদি মালু একটা গালি হয় এবং এর অর্থ যদি হয় ঈশ্বরের অভিশপ্ত জাতি তবে সব মানুষকেই মালু বলা বা মালু বলে গালি দেয়া যুক্তিযুক্ত !

অবশ্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে সব আস্তিকদের মালু বলে সম্বোধন করি (যারা আমাকে গালি দেয় তাদেরকে বেশি) l
এই বিষয়টির প্রতি আমি সবাইকে মানে নাস্তিক এবং আস্তিক সবাইকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ! তারা যেন হিন্দুদেরকে মালু বলে গালি দেবার আগে একবার ভেবে দেখে !
আমরা যারা নাস্তিক; নিজেদেরকে মানবতাবাদী বলে মনে করি তাদের কি উচিত কোন এক মানুষকে বা জাতিকে মালু বলে গালি দেয়া ? এতে কি মানবতার ক্ষতি হয় না ?
আমি মানবতাবাদী হিসেবে কোন এক সম্প্রদায়কে গালি দিয়ে ছোট করাকে কখনই সমর্থন দিবো না ! আমার কাছে পৃথিবীর সব মানুষ সমান l হতে পারে সে কু-সংস্কারাচ্ছন্ন হিন্দু অথবা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধবিশ্বাসী মুসলমান ! যেসব আস্তিক কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধ-বিশ্বাসী এবং বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত হিংস্র ও বর্বর প্রাণী আমি শুধু তাদেরকে মনে প্রাণে ঘৃনা করি ! বাকি আস্তিকদেরকে নয় !

মানুষ কি দেখে, আল্লাহ কিভাবে স্তরে স্তরে আকাশগুলোকে সৃষ্টি করেছে ?

সুরা নুহ; আয়াত ১৫ :
"তোমরা লক্ষ করনি? আল্লাহ কিভাবে সাত আসমানকে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন ?"

কুরআনের এই আয়াতে আল্লাহ মানুষকে বলেছে - মানুষ কি দেখে না আল্লাহ কিভাবে স্তরে স্তরে আকাশগুলোকে সৃষ্টি করেছে ?

আমি কখনো আকাশকে স্তরে স্তরে দেখিনি ! মুমিন ভাইয়েরা কি দেখেছেন কখনো আকাশকে স্তরে স্তরে অর্থাত একটার উপর আরেকটা ?
আমার ধারণা পৃথিবীর কেউই দেখেনি ! দেখবে কি করে; কুরানে বর্ণিত আকাশের অস্তিত্ব এই বাস্তব জগতে নেই !
বলে কি সাতটা আকাশ ! তাও আবার শক্ত কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী ! কেউ বলে বায়ুমন্ডলের সাত স্তর আবার কেউ বলে- না বিশ্বজগতের বাইরে হচ্ছে ১ম আকাশ যেটা শক্ত ও কঠিন ! আবার কুরআনের এই আয়াতে বলা হচ্ছে তোমরা কি দেখনা সাতটা আকাশ স্তরে স্তরে !
ওরেব্বাস ! একটা আকাশই আমরা দেখতে পাইনা (এমনকি নাসার বিজ্ঞানীরাও পায়না কুরআনের আকাশ !) সেখানে স্তরে স্তরে সাতটা আকাশ দেখার কথা বলা হচ্ছে !
তা মুমিন ভাইয়েরা কি দেখেছেন স্তরে স্তরে সাজানো আকাশ তাও আবার সাতটা ! দেখে থাকলে আমাদেরকেও একটু দেখার সুযোগ করে দেবেন প্লিজ ! (বিনা পয়সায় দেখবো না ! যা করচা হয় দিবো ! ভয় পাচ্ছেন কেন ?) !

বি: দ্র: মুমিন ভাইয়েরা চাইলে বলতে পারেন এখানে অমুক শব্দ ব্যবহার হয়েছে আর অমুকের অর্থ হচ্ছে তমুক ! তারপর অনুবাদকে বদলে দেবেন ! আমরা মুক্তমনারা কিছুই মনে করবোনা ! কথা দিচ্ছি ! আমরা তো মুক্তমনা তবে অনুবাদের ক্ষেত্রে কেন নয় !?

রাত দিন সম্পর্কে কুরআনের অদ্ভুত হাইপোথিসিস (Hypothesis) :


রাত দিন সম্পর্কে কুরআনের অদ্ভুত হাইপোথিসিস (Hypothesis) :

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ কুরানের বর্ণনায় রাত আর দিন কেমন সেটা নিম্নের আয়াত থেকে বুঝা যায় l
১৩) সুরা রাদ; আয়াত ০৩ :
          "তিনিই ভূমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু' দু' প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন l তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন l এতে তাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে যারা চিন্তা করে l"
এই আয়াতে বলা হচ্ছে দিনকে রাত দ্বারা আবৃত করা হয় অর্থাত আল্লাহ দিনকে রাত্রির দ্বারা আবৃত করে l
আবৃত করা বা আচ্ছাদিত করা বলতে আমরা বুঝি কোন কিছুকে অন্য কোন কিছু দিয়ে আবৃত করা বা ঢেকে দেয়া l যেমন চাদর দিয়ে দেহকে ঢেকে দেয়া বা টুপি দিয়ে মাথাকে ঢেকে নেয়া l গাছের ছাল গাছের অভ্যন্তরকে ঢেকে দেয় বা দেহের চামড়া দেহের মাংস ও অন্যান্য অঙ্গকে আবৃত করে l
আবৃত করা বা আচ্ছাদিত করা হচ্ছে কোন কিছুকে ঢেকে দেয়া l
কুরানে বলা হয়েছে আল্লাহ দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করে দেয় বা ঢেকে দেয় l

২৭) সুরা আন-নমল : আয়াত ৩৯ :
          "তিনি আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে l তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন l এবং তিনি সূর্য চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন; প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত l জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল l"
এই আয়াতে বলা হয়েছে,
তিনি অর্থাত আল্লাহ রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন l এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ রাতকে দিন দ্বারা আচ্ছাদিত করে বা ঢেকে দেয় আবার দিনকেও রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করে বা ঢেকে দেয় l
অর্থাত রাত দিনকে ঢেকে দেয় এবং দিন রাতকে ঢেকে দেয় l  

আবার আল্লাহ বলেছে,
৫৭) সুরা আল হাদীদ; আয়াত ০৬ :
             "তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রিতে l তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত l"

০৩) সুরা আলে ঈমরান; আয়াত ২৭ :
             "তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতর প্রবেশ করিয়ে দাও l আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর l আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর l"