Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, June 25, 2014

বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যা : পর্ব -৩ : জাকির নায়েকের পৃথিবী সমতল নাকি গোলাকার সম্পর্কে মিথ্যাচার ( নাকি অজ্ঞতা ?) :

বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যা : পর্ব -৩ :
জাকির নায়েকের পৃথিবী সমতল নাকি গোলাকার সম্পর্কে মিথ্যাচার ( নাকি অজ্ঞতা ?) :
(হিন্দু বা অন্য ধর্মের আস্তিকদের খুশি হবার কিছু নেই l কারণ তাদের ধর্মের ভন্ডদেরও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে লেখা হবে l)

বিশিষ্ট ইসলামিক বক্তা জাকির নায়েক তার 'কোরান ও আধুনিক বিজ্ঞান : বিরোধ নাকি সাদৃশ্য' লেকচারে বলেছেন :

" আগেকার দিনে মানুষ মনে করতো, আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি সেটা সমতল; আর তারা খুব বেশি দুরে যেতে ভয় পেতো হঠাত করে যদি নিচে পড়ে যায় সেজন্য l এরপর ১৫৫৭ খ্রিস্টাব্দে স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক জাহাজে করে পুরো পৃথিবী ঘুরে আসলেন আর প্রমান করলেন যে পৃথিবী আসলে বর্তুলাকার l
পবিত্র কুরানে সুরা লুকমানের ২৯ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে ,
" আল্লাহ তাআলা রাত্রির ভিতর দিবসকে অন্তর্ভুক্ত করেন l এবং রাত্রিকে দিবসের ভিতর অন্তর্ভুক্ত করেন l"
অন্তর্ভুক্ত করা একটি ধীর গতির চলমান প্রক্রিয়া l রাত ধীরে ধীরে চলমান প্রক্রিয়ায় দিনে পরিনত হয় আর দিন ধীরে ধীরে চলমান প্রক্রিয়ায় রাতে পরিনত হয় l এটা শুধু মাত্র তখনই সম্ভব হবে যদি পৃথিবী বর্তুলাকার হয় l পৃথিবী সমতল হলে এটা সম্ভব হবে না l পৃথিবী সমতল হলে দিন রাত হঠাত করে বদলে যেত l
পবিত্র কুরানে সুরা আল জুমার ৫ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে ,
"আল্লাহ তাআলা এই আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করিয়াছেন যথাযথ ভাবে l এবং তিনি রাত্রি দ্বারা দিবসকে আচ্ছাদিত করেন এবং রাত্রিকে আচ্ছাদিত করেন দিবস দ্বারা l"
এখানে যে আরবি শব্দটা আছে সেটা হলো 'কাওয়ারা' যার অর্থ কোনো কিছু আচ্ছাদন করা l যেভাবে আমরা আমাদের মাথায় পাগড়ি পড়ি, আমরা যেভাবে আমাদের মাথায় পাগড়ি পড়ি l
এই মতবাদটা যে রাত দিনকে আর দিন রাতকে আচ্ছাদন করছে এটা শুধু তখনই সম্ভব হবে যদি পৃথিবী বর্তুলাকার হয় l যদি পৃথিবী সমতল হয় তাহলে এটা সম্ভব হবে না l দিন রাত তখন হঠাত করে বদলে যেত l



এরপর পবিত্র কুরআনে আছে, সুরা নাযিয়াতের ৩০ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে ,
"এবং ইহার পর তিনি পৃথিবীকে করিয়াছেন ডিম্বাকৃতির l"
এখানে আরবি শব্দ 'দাহাহা' যার মূল শব্দ 'দুইয়া' যার অর্থ হলো ডিম্বাকৃতির l এই শব্দটা দিয়ে কোনো স্বাধারণ ডিমকে বুঝানো হয়না l শব্দটা দিয়ে বিশেষ করে বোঝানো হয় উটপাখির ডিমকে l
আর এখন আমরা জানি যে আমাদের পৃথিবী পুরোপুরি ফুটবলের মত গোল নয় l এটা আসলে বর্তুলাকার l এটা উপরে আর নিচে চাপা আর দুই পাশে কিছুটা ফোলানো l
এটা হলো বর্তুলাকার l
আর আপনারা যদি উট পাখির ডিমকে ভালো ভাবে দেখেন এই ডিমটা বর্তুলাকার l উপরে নিচে কিছুটা চাপা আর দুই পাশে কিছুটা ফুলানো l
তাহলে পবিত্র কুরআনে পৃথিবীর আকার সঠিক ভাবে উল্লেক করা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে l"

এই হচ্ছে ইসলামিক বিশেষজ্ঞ জাকির নায়েকের বক্তব্য l

এই আলোকে এখন আমি কিছু কথা বলবো এবং আমার দাবির সত্যতা নিশ্চিত করবো l

আল্লাহ তাআলা যে কথাগুলো (বানীগুলো) মুহাম্মদ স: কে বলেছেন বা তার উপর যে বাণী প্রেরণ করেছেন জিব্রাইল (আ:)-এর মাধ্যমে তাই কোরান করিমে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে l আল্লাহ তার কথা গুলো মোহাম্মদ (স:) কে বুঝানোর জন্য খুব সহজ কিছু শব্দ বেছে নিয়েছিল যেন মুহাম্মদ (স:) সেগুলো খুব সহজে বুঝতে পারে l সেই কথা গুলো মোহাম্মদ স: বুঝেছিল এবং তার সাহাবাদেরকে তিনি ভালো ভাবে বুঝিয়েছিল l আর কিছু কিছু আয়াত আল্লাহ রূপক ভাবে বলেছেন এবং তিনি এটাও বলে দিয়েছেন যে এগুলোর অর্থ তিনি (আল্লাহ) ছাড়া কেউ বুঝতে পারবে না l আর এগুলো বাদে বাকি গুলিই গুরুত্বপূর্ণ l
এখন আল্লাহ যে কথাগুলো মুহ্হাম্মদ স: কে বলেছেন এবং যে শব্দ গুলো দিয়ে বাক্য তৈরী করেছেন সেগুলো দিয়ে ওই অর্থই প্রকাশ করেছেন যেটা আল্লাহ মুহাম্মদ স: কে বলতে চেয়েছিল l
এবং মুহাম্মদ স: ওই অর্থই বুঝেছিল যেটা আল্লাহ বলতে চেয়েছিল তাকে l
এখন যদি সেসব বাক্যের কতগুলো নির্দিষ্ট শব্দের অর্থের অন্য অর্থগুলো (সমার্থক অর্থ ) দিয়ে সেই বাক্যটির অর্থ করা হয়, তাহলে আল্লাহ যে কথা গুলো মুহাম্মদ স: কে বলেছেন সেই অর্থ গুলো বদলে যাবে l
এক্ষেত্রে যদি আমরা একটা উদাহরণ দেই যেমন ইংরেজি বাক্যে যদি বলা হয়ে থাকে "It is raining cats and dogs" . এর বাংলা হবে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে l কারণ ইংরেজ ভাষাভাষী মানুষ গুলো এটা দিয়ে এই অর্থই করে থাকে l এখন যদি একজন ওই বাক্যটার অর্থ করে এরকম " বিড়ালে কুকুরে বৃষ্টি হচ্ছে " তাহলে কিন্তু এর অর্থ ঠিক থাকলো না l কারণ বৃষ্টির সাথে বিড়াল কুকুরের কোনো সম্পর্ক নেই l
আবার কোনো শব্দের উত্পত্তি হয়েছে যে শব্দ থেকে সেই শব্দের অর্থই যদি কোরানে উল্লেখিত শব্দের অর্থ ধরি তবুও কিন্তু সেই অর্থটা আর আল্লাহর বলা কথার অর্থটা আর ঠিক থাকবে না l
যেমন ধরি বাংলা একটা শব্দ 'হাত' যার সমার্থক শব্দ 'হস্ত' l আর এই হস্ত শব্দটি এসেছে হস্তি থেকে l এখানে হস্তি মানে হচ্ছে হাতি আর হস্ত মানে হাত l এখন যদি কেও বলে যে আমি হাত দিয়ে ভাত খাই l আর একজন যদি এর অর্থ করে আমি হাতি দিয়ে ভাত খাই l এবং সে যদি যুক্তি দেখায় যে হাত সেটাকে হস্ত বলা হয় সেটা এসেছে হস্তি শব্দ থেকে এবং হস্তির অর্থ হচ্ছে হাতি তাই আমি বাক্যটির অর্থ করেছি এই রকম l তাহলে কিন্তু আর আগের অর্থ ঠিক থাকলো না l
ঠিক সেভাবেই কোরানে বর্ণিত শব্দ গুলোর অর্থ সেটাই করতে হবে যেটা মুহাম্মদ স: বুঝেছেন l

এখন যদি কেও কোরানে বর্ণিত বাক্যের ব্যবহৃত শব্দ গুলোর কোনো একটার অর্থ পরিবর্তন করে (সমার্থক শব্দ এনে) সেই বাক্যটির অর্থ করে তাহলে কিন্তু আল্লাহ মুহাম্মদ স: কে যে কথাটা বলেছিল সেটা আর ঠিক থাকবে না l কারণ আল্লাহ মুহাম্মদ স: কে সেভাবেই শব্দ প্রয়োগ করে বুঝিয়েছেন যেভাবে সে সবচেয়ে ভালো বুঝবে l কারণ তাকে(আল্লাহকে) সর্ব জ্ঞানী বলে থাকে মুসলমানরা l আর মুহাম্মদ স: সেই কথা গুলো বুঝেছে খুব ভালো ভাবে এবং তার সাহাবাদেরকে ব্যাখ্যা করেছেন খুব ভালো ভাবে l
তার মানে কোরানে ব্যবহৃত শব্দ গুলোর সেই অর্থই ধরতে হবে যেগুলো মুহাম্মদ স: বুঝেছেন l অন্য সমার্থক শব্দ এনে অর্থ করলে সেই অর্থটা বিকৃত হয়ে যাবে l যেটা মুসলমানরা করছেন হর হামেশাই l এক অর্থে তারা আল্লাহর কথাগুলোকে বিকৃত করে ফেলেছে সমার্থক অর্থ দিয়ে কোরান-এর অর্থ করে l ফলে যে কোরান মোহাম্মদ স: এর উপর নাজিল হয়েছিল সেই কোরান বর্তমানে আর নেই l কারণ সব আধুনিক মুসলমানরা বিজ্ঞানের সাথে কোরান কে মিলাতে কোরানে ব্যবহৃত শব্দের অন্য সমার্থক শব্দ এনে কোরান কে পুরাপুরি বিকৃত করে ফেলেছে l

এবার মূল আলোচনায় আসি l
জাকির নায়েক কোরানের বর্ণনায় পৃথিবী সমতল নাকি গোলক আকৃতির তা প্রমানের জন্য কোরানের যে আয়াতটি তুলে ধরেছেন তা হলো :
(৩১) সুরা লুকমান; আয়াত ২৯ :
" আল্লাহ তাআলা রাত্রির ভিতর দিবসকে অন্তর্ভুক্ত করেন l এবং রাত্রিকে দিবসের ভিতর অন্তর্ভুক্ত করেন l"

এই আয়াতটির অন্য অনুবাদ হলো :
(৩১) সুরা লুকমান; আয়াত ২৯ :
"তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন ? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন l প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে l তুমি কি আরও দেখো না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন ?

(৩১) সুরা লুকমান; আয়াত ২৯ :
তুমি কি দেখো না যে , আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে এবং দিবসকে রাত্রির ভিতরে প্রবেশ করান ? তিনি চন্দ্র-সূর্যকে করেছেন নিয়মাধীন, প্রত্যেকটি পরিভ্রমন করে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত; তোমরা যা কর আল্লাহ সে অবহিত l" (প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মূজীবুর রহমান)

(৩১) সুরা লুকমান; আয়াত ২৯ :
তুমি কি দেখনি যে তিনি রাতকে দিনের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন এবং দিনকে ঢুকিয়ে দেন রাতের ভেতরে এবং সূর্য ও চন্দ্রকে তিনি অনুগত করেছেন, প্রত্যেকটিই এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত বিচরণ করে; আর তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ নিশ্চই পূর্ণ ওয়াকিবহাল ?" (অনুবাদ - ড: জহুরুল হক)

এখন জাকির নায়েক বলেছেন যে কোরানে আছে যে আল্লাহ ধীরে ধীরে রাতকে দিনের ভিতর অন্তর্ভুক্ত করেন এবং দিনকে রাতের ভিতর অন্তর্ভুক্ত করেন l এই অন্তর্ভুক্তিকরণ খুব ধীর গতির প্রক্রিয়া , তাই পৃথিবী যদি সমতল হয় তবে এটা সম্ভব নয় l পৃথিবী গোল বলেই এটা সম্ভব l
আপনারা লক্ষ করুন এখানে জাকির নায়েকের যুক্তিটা কত ঠুনকো l এটা কোনো যুক্তি হলো যে দিন রাত ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয় বলেই প্রমান হয় পৃথিবী গোল ? হাজার হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ দেখে আসছে যে দিন রাত ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয় l তবুও তারা বিশ্বাস করত যে পৃথিবী সমতল l এমনকি ১৫৫৭ সালের আগেও মানুষ(মুসলমান সহ) বিশ্বাস করত যে পৃথিবী সমতল l তাহলে কি ধরে নেব যে প্রাচীন কালের মানুষ যেহেতু দেখেছে যে দিন রাত ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয় তাই তারা পৃথিবীকে গোল বলেই জানত ? কি আজব যুক্তি!

পৃথিবী গোলক আকৃতির এবং সেজন্যই রাত দিন ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয় এটা আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞান l কোরানের লেখা অনুযায়ী যদি মুসলমানরা এবং মুহাম্মদ স: যদি জানতই পৃথিবী গোল তাহলে তারা এটা বলেনি কেন ? তারা বলত পৃথিবী গোলক আকৃতির তাহলেই তো মুসলমানদের নামে একটা আবিষ্কার থেকে যেতো l যখন পৃথিবীর মানুষ আবিষ্কার করে ফেলেছে যে পৃথিবী গোলক আকৃতির, তখন ফাল-পেড়ে বললে কি লাভ ! তার মানে হচ্ছে মোহাম্মদ ঠিকিই জানত এবং মানত পৃথিবী সমতল l আর এটাই সে তার সাহাবাদের কে বলেছে l এবং এজন্যই মুসলমানদের কোনো লেখাতেই পাবেন না যে পৃথিবী গোল l মুসলমানদের 'পৃথিবী গোল' এটা প্রমানিত হবার আগের কোনো লেখকের লেখাতেই পাবেন না যে লেখা আছে পৃথিবী গোল l যদি লেখা থাকত তবে তারা এটা এত বেশি প্রচারিত করত যে সারা পৃথিবী তুলপার হয়ে যেত l কিন্তু এমন কোনো লেখা নেই বলেই এটা শুনবেন না কোনো মুসলমানদের মুখে l
আর এর একমাত্র কারণ হচ্ছে যে মুহাম্মদ এটাই জানত যে পৃথিবী সমতল l সে কখনই জানত না যে পৃথিবী গোলক আকৃতির l
অর্থাত তাকে আল্লাহ বলেছেন যে পৃথিবী সমতল l

তাই জাকির নায়েক যে যুক্তিটা দিয়েছে সেটা বাচ্চাদের কে সাত পাঁচে তেরোর বুঝ বুঝানোর মতো l

সে আর যে আয়াতটা উল্লেখ করেছে সেটা হলো :
(৩৯) সুরা আল যুমার; আয়াত ৫ :
"আল্লাহ তাআলা এই আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করিয়াছেন যথাযথ ভাবে l এবং তিনি রাত্রি দ্বারা দিবসকে আচ্ছাদিত করেন এবং রাত্রিকে আচ্ছাদিত করেন দিবস দ্বারা l"

জাকির নায়েক বলেন এখানে 'কাওয়ারা' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ কোনো কিছু আচ্ছাদন করা l যেভাবে আমরা আমাদের মাথায় পাগড়ি পড়ি, আমরা যেভাবে আমাদের মাথায় পাগড়ি পড়ি l
এখানে আমার প্রশ্ন 'কাওয়ারা' শব্দটি কি শুধু পাগড়ি পরার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় নাকি এর অর্থ কোনো কিছু আচ্ছাদন করা ?
এর অর্থ যদি কোনো কিছু আচ্ছাদন করা হয় তবে বলতে হবে যে রাত দিনকে বা দিন রাত কে আচ্ছাদন করছে না l আমরা জানি আমাদের এই পৃথিবীতে দিন রাত পরিবর্তন হচ্ছে পৃথিবীর ঘুর্ণনের ফলে l আবার সবসময় পৃথিবীর একপাশে থাকছে রাত আর অন্য পাশে থাকছে দিন l অর্থাত অর্ধেক পৃথিবীতে সবসময় রাত থাকছে এবং বাকি অর্ধেক পৃথিবীতে সবসময় দিন থাকছে l ফলে রাত দিনকে অথবা দিন রাতকে কখনই আচ্ছাদিত করছে না l সুতরাং এটা দিয়ে প্রমান হবার প্রশ্নই আসে না যে পৃথিবী গোলক আকৃতির l এটা একটা ফালতু ধারণা ছাড়া আর কিছুই না l আর (ভন্ড) জাকির নায়েক এই ফালতু যুক্তিটি দিয়ে গোজামিল করে পৃথিবীর গোল আকৃতি প্রমানের ব্যর্থ চেষ্টা করেছে মাত্র l এটা দিয়ে আসলে কিছুই প্রমান হইনি l

এরপর (ভন্ড) জাকির নায়েক তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র (যেটা আমাদের কাছে ফালতু অস্ত্র ) প্রয়োগ করেছেন l সে একটি আয়াত উল্লেখ করেছেন l সেটা হলো :
(৭৯) সুরা নাযিয়াত; আয়াত ৩০ ,
"এবং ইহার পর তিনি পৃথিবীকে করিয়াছেন ডিম্বাকৃতির l"

এরপর যাকিন নায়েক বলেন, "এখানে আরবি শব্দ 'দাহাহা' যার মূল শব্দ 'দুইয়া' যার অর্থ হলো ডিম্বাকৃতির l এই শব্দটা দিয়ে কোনো স্বাধারণ ডিমকে বুঝানো হয়না l শব্দটা দিয়ে বিশেষ করে বোঝানো হয় উটপাখির ডিমকে l"

তার মতে পৃথিবী এবং উটপাখির ডিম একই আকৃতির l

তার উল্লেখিত আয়াতের অন্যান্য অনুবাদ গুলো হলো :
(৭৯) সুরা আন-নাযিয়াত; আয়াত ৩০ :
"পৃথিবীকে এরপরে বিস্তৃত করেছেন l"

(৭৯) সুরা আন-নাযিয়াত; আয়াত ৩০ :
"এবং পৃথিবীকে এরপর বিস্তৃত করেছেন l" (অনুবাদ - প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)

(৭৯) সুরা আন-নাযিয়াত; আয়াত ৩০ :
"আর পৃথিবী- এর পর তাকে প্রসারিত করেছেন l" (অনুবাদ- ড: জহুরুল হক)

SURA (79) AN-NAZIAT :
30. And after that He spread the earth,

(79) Al Nazi'at :
30. And the earth, moreover, hath He extended
(to a wide expanse);

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে উপরে বর্ণিত কোনো অনুবাদেই নেই যে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির তাও আবার উটপাখির ডিম l
অথচ অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুবাদক সবসময় খেয়াল রাখেন যে অনুবাদ যেন যে ভাষা থেকে অনুবাদ করা হয়েছে সেই ভাষার ওই অনুবাদের অর্থের সাথে মিল থাকে l অর্থাত অনুবাদ যা করা হয় সেটা সেই ভাষার অর্থের সাথে মিল রাখতে হয় l আর এজন্যই যখন অনুবাদ গ্রন্থ পড়া হয় সেখানে দেখা যায় যে মূল বাক্যের সাথে অনুবাদের আভিধানিক অর্থের থেকে পার্থক্য দেখা যায় l এর কারণ ওই বাক্য দিয়ে সেই ভাষার মানুষ বা লেখক কি বুঝে সেটাকে গুরুত্ব দেয়া হয় l এজন্যই মূল বাক্যের আভিধানিক অর্থের সাথে অনুবাদের অর্থের কিছুটা পার্থক্য থাকে l
এখন কোরান অনুবাদ করার সময়ও অনুবাদক কোরানের অর্থ আরবরা যা বুঝে সেটাকেই অনুবাদে তুলে ধরবেন l
তার মানে কোরান অনুবাদ করার সময় অনুবাদকগণ লক্ষ রাখেন যে কোরানের আয়াত গুলোর অর্থ মুহাম্মদ স: কি বুঝতেন l আর তারা বিভিন্ন হাদিসের সাহায্য নিয়েই অনুবাদ করে থাকেন l
এখন যদি আপনারা লক্ষ করেন তবে দেখবেন যে কোরানের কয়েক বছর আগে যে অনুবাদগুলো ছিল তার সাথে বর্তমানের অনুবাদ গুলোর বেশ পার্থক্য রয়েছে l আর এর কারণ বিজ্ঞানের সাথে কোরানের মিল খোজতে যেয়ে মুসলমানরা কোরানের অর্থের পরিবর্তন করে ফেলেছে l আর এজন্যই আগের অনুবাদগুলোতে দেখবেন যে উপরিউক্ত আয়াতের অর্থ আগের অনুবাদগুলোতে ছিল 'বিস্তৃত বা প্রসারিত'; কিন্তু পরের অনুবাদগুলোতে দেখবেন যে এর অর্থ করা হয়েছে ডিম্বাকৃতির l আর এই পরিবর্তনটা করা হয়েছে পৃথিবী পুরোপুরি গোল বা ১০০% সুষম গোলক নয় এটা প্রমানিত হবার পর l অর্থাত কোরানের মতে যেটা ছিল সমতল আর সেটাই হয়ে গেছে গোল বা ডিম্বাকৃতির l
কিন্তু আজ থেকে কয়েকশ বছর আগেও এর অর্থ করা হত বিস্তৃত বা প্রসারিত পৃথিবী l যেটা মুহাম্মদ স: এবং এরপরের সময় থেকে ওই সময় পর্যন্ত এর অর্থ ছিল ঐটা l কিন্তু এখন এটার অর্থ পরিবর্তিত হয়ে গেছে l অর্থাত কোরান বিকৃত হয়ে গেছে l

আবার ভন্ড জাকির এখানে দেখাচ্ছে যে, আরবি শব্দ 'দাহাহা' যার মূল শব্দ 'দুইয়া' যার অর্থ হলো ডিম্বাকৃতির l এখানে লক্ষ করুন দুইয়া অর্থ ডিম্বাকৃতি কিন্তু দাহাহা অর্থও কি ডিম্বাকৃতির ? আরবি ডিকশনারিতে দাহাহা এর অর্থ আসে বিস্তৃত করা , যেটা আগের প্রায় সবকটা অনুবাদেই পাওয়া যেতো l দুইয়া অর্থ ডিম্বাকৃতির সেটা ভালো কথা তাই বলে কি দাহাহা এর অর্থও কি ডিম্বাকৃতি ? হস্ত শব্দটি এসেছে হস্তি শব্দ থেকে তাই বলে কি হাত আর হাতি এক হলো ? (আরবি জানিনা তাই ওরা যেটা বলবে সেটাই মেনে নিতে হবে l) আর একটা শব্দের অনেকগুলো অর্থ থাকতে পারে l তার মানে এটা নয় যে কোরানে মুহাম্মদ স: দাহাহা দিয়ে ডিম্বাকৃতি এই অর্থ বুঝতেন l যদি সে এটাই বুঝতো তবে এটা নিয়ে সে সময় অনেক বিতর্ক হতো l আর মুসলমানদের আগের অনেক লেখাতেই এটা উঠে আসতো যেটা বর্তমানের মুসলিমরা এটা নিয়ে সারা পৃথিবীতে তুলকালাম করে ফেলতো l
এটাই প্রমান করে যে মুহাম্মদ দাহাহা দিয়ে বিস্তৃত পৃথিবীই বুঝতো l ডিম্বাকৃতির বুঝতো না l (একটা শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে বাক্যের অর্থ পরিবর্তন করা যায় কিন্তু তাতে মূল অর্থ ঠিক থাকে না l)
আর সব অনুবাদেই উঠে আসতো যে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির l অথচ কয়েক বছর বা কয়েক দশক আগের অনুবাদেও এর অর্থ করা হয়েছে বিস্তৃত পৃথিবী l যেটা অতিসাম্প্রতিক অনুবাদগুলোতে এর অর্থ বদলে হয়েছে ডিম্বাকৃতির l

এখন আমরা দেখব পৃথিবী ডিম্বাকৃতির এই কথাটা কতটুকু সত্য l বিজ্ঞানীরা এবং সারা পৃথিবীর সব মানুষ পৃথিবীর আকৃতির সাথে তুলনা করে থাকে কমলা লেবুর সাথে অথবা ফুটবলের সাথে l কিন্তু ডিমের সাথে খুব একটা তুলনা করা হয় না l কারণ পৃথিবীর আকৃতি আসলে ডিমের মতো নয় l এটা অনেকটা কমলা লেবুর আকৃতির অথবা ফুটবল আকৃতির l আসুন দেখি পৃথিবীর আকৃতির সাথে কোনটা সবচেয়ে মানানসই l
পৃথিবীর equatorial diameter হচ্ছে ১২,৭৫৬ কি.মি., আর polar diameter হচ্ছে ১২,৭১৩ কি.মি. l তাহলে দেখা যাচ্ছে যে equatorial diameter এবং polar diameter এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ৪৩ কি.মি. মাত্র l এখন চিন্তা করুন এত বড় পৃথিবীতে ইকুয়েটরিয়াল এবং পোলার এর দূরত্বের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে মাত্র ৪৩ কি.মি. l যেটা কোনো পার্থক্যই নই আপাত দৃষ্টিতে l (নিচের ছবি গুলোতে দেখানো হচ্ছে যে পৃথিবীর সাথে ডিম, কমলা এবং বল এগুলোর সাদৃশ্য )
এখন পৃথিবী ডিম্বাকৃতির হতে হলে দুই exis পার্থক্য হতো প্রায় এক হাজার l অর্থাত equatorial diameter এবং polar diameter এর মধ্যে পার্থক্য হতো এক হাজারের বেশি, যদি পৃথিবীর আকৃতি ডিমের মতো হতো l সেখানে পার্থক্য মাত্র ৪৩ কি.মি. l আর এজন্যই পৃথিবীকে প্রায় সুষম গোলকের মতো দেখায় l মহাবিশ্ব থেকে পৃথিবীর তোলা ছবিতে দেখবেন যে পৃথিবীকে পুরোপুরি ফুটবলের মতো দেখাচ্ছে l এর কারণ দুই অক্ষের পরিমাপের পার্থক্য খুব কম l
কিন্তু উটপাখির ডিমের x অক্ষের চেয়ে y অক্ষের পরিমান অনেক বেশি l যেটা পৃথিবীর দুই অক্ষের পার্থক্যের তুলনায় অনেক অনেক বেশি l
আসুন পৃথিবীর সাপেক্ষে উটপাখির ডিম, কমলা লেবু এবং ফুটবলের তুলনা করি l (নিচের ছবি লক্ষ করুন)
পৃথিবীর সাপেক্ষে উটপাখির ডিম হবে ৬০% l কিন্তু কখনই ৭০%-এর বেশি নয় l
পৃথিবীর সাপেক্ষে ফুটবল হবে ৯০%-৯৫% l
পৃথিবীর সাপেক্ষে কমলা লেবু হবে ৯০%-৯৮% l

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে পৃথিবীর আকৃতির সাথে সবচেয়ে মিলে যাচ্ছে ফুটবল এবং কমলার আকৃতির l উটপাখির ডিমের সাথে অনেক পার্থক্য পৃথিবীর গঠনের l
এখন তাহলে প্রশ্ন আসবে যে আল্লাহ কেন কমলা না বলে পৃথিবীর আকৃতি বোঝাতে ডিমের কথা বলেছে মোহাম্মদ স: কে l মুহাম্মদ স: কি কমলা চিনতো না ? হয়ত সে ফুটবল চিনতো না কিন্তু কমলাতো সে ঠিকই চিনতো l তার মানে এখানে আল্লাহ মুহাম্মদ কে পৃথিবী ডিমের আকৃতি বুঝাননি বরং বুঝিয়েছেন বিস্তৃত পৃথিবীর কথা l আর মুহাম্মদ স:-ও তাই বুঝেছিল l আর এজন্যই হাদিস ও অন্যন্য মুসলিমদের গ্রন্থে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির বা গোলক আকৃতির এই কথাটি উঠে আসেনি l শুধু শুধু আধুনিক মুসলিমরা বিজ্ঞানের সাথে কোরানের সাদৃশ্য করতে যেয়ে সমার্থক শব্দ এনে কোরানকে শুধু বিকৃতই করছে না বরং হাস্যকর করে তুলছে l

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির নয় l পৃথিবী প্রায় (কাছাকাছি) সুষম গোলক আকৃতির l অর্থাত ফুটবল বা কমলা আকৃতির l
আর এই ভুল তথ্যটা দিয়ে জাকির নায়েক সহ তাবত মুসলিম ভন্ড গুলো কোরানকে বিকৃত করছে , বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যা করছে এবং মানুষ ঠকাচ্ছে মিথ্যাচার করে করে l
এইসব (ভন্ড) ধর্ম ব্যবসায়ীদের থেকে সর্বদা দুরে থাকাই একজন সৎ এবং সত্যবাদী মানুষের কর্তব্য l

আমাদের উচিত সঠিক ভাবে বিজ্ঞানকে জানা l তাহলে এই ভন্ড লোকগুলো আর মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারবে না l

বি : দ্র : কেউ কমেন্টস করতে চাইলে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার জন্য অনুরোধ করছি l কেউ অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দিবনা l পরে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে উত্তর দেয় না উত্তর দেয় না বলে চিল্লালে কোনো লাভ নেই l





40 comments:

  1. এই লিংকে পড়ে বুঝতে পারবেন কেন ডিমের সাথে তুলনা করা হয়েছে কমলালেবুর সাথে না করে।

    http://www.shodalap.org/rk-rizvi/28947/

    ReplyDelete
  2. apni jodi karo sathe kono kotha bolen... tar vitor emon kono kotha thakbe na jar onno ortho thakbe? kew apnake bole na je etar mane ki eta.... karon jar sathe kotha bolben se thik e bujhbe apni ki bolte cheyechen... ok

    ReplyDelete
  3. vai apnake kisu question kori?
    1. apnar kono sristi korta nei?
    ans: er ans pete hole 1400 bochor ager kono jiboni apnake porte hobe. ami bolci na je muhammad er jiboni porte. je kono islamic bekti. prottek dhorme kisu na kisu oloikkik ghotona ase... but apnara je ki suru korchen........... vai ektu bujhte chesta korun vai.. apni hoito kono dhormo hote aghat peyechen.... jodi kono dhormo apnar kase vul kore vai khoma kore den.... আল্লহ বলেছেন- চাদ আর সূর্য হল সময় নির্ণায়ক/ এ কথা কে বলতে পারে--------- amin

    ReplyDelete
  4. 2 theke 3, 4, 5, banano khomota tomar thakte pare,,, kintu allah chara ke pare 0 theke 1 are 1 theke 2 banate. je 0 theke 1 banate pare sei to allah. 1 er man je 1 eta janle ki vabe.... offcourse, emon kono dhormer lok shikkha diechen,,

    ReplyDelete
  5. অামি অাপনার নির্বোধের মতো উক্তির জবাব অাপনাকে দিব ইনশা-অাল্লাহ

    ReplyDelete
  6. অাপনার মতো কিছু নাস্তিকরা বলে কুরআনে বিজ্ঞান খোঁজা নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। কুরআন পড়ে কেউ তো মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করতে পারে না, পারে না বিজ্ঞানী হতে।
    বাহ! কুরআনে বিজ্ঞান খোঁজা অপরাধ অথচ বিজ্ঞান দিয়ে কুরআনের ভুল ধরা বিজ্ঞানমনস্কতার পরিচয়! এই দ্বীমুখী নীতি কেন?
    আমরা কুরআনে বিজ্ঞান খুঁজি না, খুঁজি বৈজ্ঞানিক সমর্থন। কুরআন আর বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক কিনা তা খোঁজার চেষ্টা করি। প্রবৃত্তির অনুসরণ করে কুরআনে ভুল খুঁজতে যায় না। কুরআন হলো জীবনবিধান। কুরআন কোনো বিজ্ঞানের বই না। তবুও কুরআন যে সার্বজনিন তা প্রমাণের জন্য কুরআনে অনেক বৈজ্ঞানিক আয়াত আছে। সকল যুগে যেমন কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ঠিক তেমনি বিজ্ঞানের যুগেও তার শ্রেষ্ঠত্ব থাকবে। আল্রহ কোথাও বলেন নি যে, কুরআন পড়লে আমরা বিজ্ঞান শিখতে পারব, বরং কুরআন আমাদের বিজ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মনোযোগী হতে শেখায়। আল্লহ আমাদের তার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে বলেছেন। এখন কেউ যদি কুরআন থেকে বিজ্ঞান চর্চা করতে চাই তাহলে সে দোষ মুসলিমদের দিয়ে তাদের ধর্মান্ধ বলা কতটা যৌক্তিক বলতে পারেন?
    ডারউনের origin of species পড়ে কয়জন বিজ্ঞানী হয়ছে বলতে পারেন? স্টিফেন হকিং এর The grand design পড়ে কয়জন পদার্থবিদ হয়ছে? সাহিত্য পড়ে কয়জন সাহিত্যিক হয়? নাস্তিক ভাইদের বলছি অন্তত এই দ্বিমুখী নীতিটা বাদ দিন। আপনি যেহেতু নাস্তিক সেহেতু আপনার নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। কিন্তু আপনাদের চরিত্রে সে বৈশিষ্ট্য অনুপস্থিত। আপনি আগে নাস্তিকের গুণাবলি অর্জন করুন তারপর আসবেন কুরআনের ভুল ধরতে।
    নাস্তিকরা কুরআনের অারো কিছু আয়াত নিয়ে কুরআনের খুবই সমালোচনা করে। তাদের দাবি কুরআনের অনেক জায়গায় পৃথিবীকে কার্পেট বা বিছানা বলা হয়েছে।
    (১৫:১৯,২০:৫৩,৫০:৪৮,৭১:১৯,৭৮:৬,৯:৩০,২:২২)
    অর্থ্যাৎ কুরআন নাকি পৃথিবীকে সমতল বলছে।
    আগা গোড়া না জেনে নাস্তিকরা তাদের শিরমনিরা যা বলে তা অন্ধভাবে মেনে নিয়ে কুরআনের সমালোহহচনায় নেমে পড়ে। কিন্তু আমরা মুসলিমরা হলো প্রকৃত মুক্তমনা। সকল নকল ঈশ্বরকে বাদ দিয়ে আমরা এক আল্লহর ইবাদত করি। আমরাই তো তাহলে প্রকৃত মুক্তমনা। নাস্তিকরা যতই সমালোচনা করুক না কেন তাদের মিথ্যা বিলুপ্ত হবেই।ইনশাআল্লহ।
    কুরআনে আছে- ” এটা ঐ গ্রন্ধ যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই; আল্লহ ভীরুদের জন্য এ গ্রন্ধ হিদায়াত বা মুক্তিপথের দিশারী।(২:২)
    কুরআন নিজেই বলছে এ গ্রন্ধে কোনো সন্দেহ নেই এবং আমরা মুসলমানরা,কুরআন নিয়ে কোনো সন্দেহ পোষণ করিও না।এবং কুরআন এটাও বলছে যে এ গ্রন্ধ আল্লহ ভীরুদের জন্য হেদায়াত।তাই আপনারা যারা সন্দেহ পোষণ করেছেন কুরআন নিয়ে তাদের উক্ত বিষয়টি ব্যাখ্যা করার আগে আপনাদের দুইটি স্বীকার্য মেনে নিতে হবে।কোনো মডেল কিংবা প্রস্তাবনা প্রদানের পূর্বে যেমন কিছু স্বীকার্য মেনে নিতে হয় ঠিক তেমনি এখানেও কিছু স্বীকার্য আপনাদের মানতে হবে।আপনি যদি মনে করেন আপনি কেবল কুরআনের বিরোধীতায় করবেন,তাহলে আপনার পক্ষে সঠিক তথ্য জানা সম্ভব নয়।আপনাকে নিরপেক্ষ হতে হবে।তাই নিচে দেওয়া স্বীকার্য গুলো মেনে পড়ুন।পাঠকের কাছে আমার আবেদন এটি
    ১) কুরআন সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লহর বাণী
    ২) কুরআনে কোনরূপ ভুল ত্রুটি থাকতে পারে না।
    স্বীকার্য দুইটি অন্তত কিছুক্ষণের জন্য মেনে নিন।

    ReplyDelete
  7. এবার মূল বক্তব্যে আসি।উল্লিখিত বিষয় সম্পর্কে কোরআনের কিছু আয়াত উল্লেখ করছিঃ
    “আল্লাহ তালা তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বিছানা, যাতে তোমরা চলাফেরা কর প্রশস্ত পথে।(৭১:১৯)
    “আমরা কি পৃথিবীকে পাতানো-বিছানা-রূপে বানায়নি,আর পাহাড়-পর্বতকে খুটিরূপে?”(৭৮:৬-৭)
    “যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন শয্যা এবং আকাশকে ছাদ রূপে”(২:২২)
    আয়াতগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে,বিছানা কিংবা বিছিয়ে দিয়েছি ইত্যাদির পরে মহান আল্লহ কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।যেমন-কোথাও হরেক রকমের জিনিস উৎপন্নের কথা বলেছেন,কোথাও গন্তব্যস্থানে পৌছাতে পারার কথা বলেছেন আবার কোথাও চারণভূমিও বলা হয়েছেন।কিন্তু কারণ হিসেবে কোথাও পৃথিবী সমতল এরুপ বলা হয়নি।এ আয়াত যে সমতল পৃথিবী বোঝায় না তা আমরা একটু পরে দেখব।সত্যি বলতে কুরআনে পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে যে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে তা অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে নেই।
    আগে বিছানা বা শয্যা বলার আসল কারণ,এর পিছনে কি বিজ্ঞান আছে আসুন তা দেখে আসি
    আমরা জানি পৃথিবীর মধ্যভাগ বসবাস ও ফসল উৎপাদনের জন্য উপযোগী নয়।বিছানা হলো আরামদায়ক স্থান।এবং আমরা জানি,পৃথিবীর লেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে উপরে হচ্ছে -ক্রাস্ট।এটিই পাতলা আস্তরণ। এর আয়তন ৩০ কি.মি. এই পাতলা আস্তরণের উপরই আমরা বসবাস করি।পৃথিবীর যত নিচের দিকে যাওয়া যায় তাপমাত্রা তত বাড়তে থাকে যা জীবের বসবাসের উপযোগী নয়।কেবল উপরের স্তরটিই বসবাস উপযোগী।তাই কুরআনে পৃথিবীকে বিছানা বলা হয়েছে।
    এখন এই আয়াতটি যে, পৃথিবী সমতল; তা বোঝায় না তার ব্যাখ্যার কিছু যুক্তি মহান আল্লহ আমাকে বোঝার তৌফিক দিয়েছেন।এ সম্পর্কে আমি আপনাদের সামনে কিছু প্রমাণ পেশ করছিঃ
    [১] সূরা নাবার ৬-৭ আয়াতে বলা হয়েছে-“আমি কি পৃথিবীকে বিছানা করিনি এবং পর্বতমালাকে পেরেক?
    এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করুন।পৃথিবীকে বিছানা উল্লেখ করে মহান আল্লহ পর্বতকে পেরেক বলছেন।
    পর্বতকে পেরেক বলার কারণ আগে বর্ণনা করছি।
    আমরা জানি,পর্বতমালা পৃথিবীকে কাঁপা বা ঢলে পড়া থেকে রক্ষা করে।কুরআন থেকে আমরা তা জানতে পারি।
    “Earth” নামক বইটি বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিষয়ে ব্যবহৃত প্রাথমিক রেফরেন্স বই।এই বইয়ের লেখক ফ্রাঙ্ক প্রেস বর্ণনা দেন যে,পাহাড় পর্বতমালা পেরেকাকৃতি এবং এগুলো অবিভক্ত বস্তুর ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।যার মূল ভুপৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে নীচ পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে বিস্তৃত।যা পৃথিবীকে সুস্থির রাখতে পাহাড়-পর্বত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
    কোরআনও আমাদের একই দিকে ইঙ্গিত দেয়।

    ReplyDelete
  8. কুরআনে আছে- “আমি পৃথিবীতে ভারী বোঝা রেখে দিয়েছি যাতে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে।” (সূরা আম্বিয়া:৩১)
    তারমানে কুরআনে বর্ণিত পাহাড় পর্বতের কাজ আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। বরং নির্ভুল বিজ্ঞান।
    এখন আপনাদের কাছে প্রশ্ন,পৃথিবী যদি সমতল প্লেটের মতো হতো তাহলে কি পৃথিবীর নড়াচড়ার কোনো কারণ ছিল?
    বরং পৃথিবীর সমতল আকারই তাকে সুস্থির রাখত।
    পৃথিবী সমতল হলে এর প্রত্যেকটি লেয়ার একে অপরের সাথে সুস্থির থাকত।এর জন্য কোনো পেরেকের প্রয়োজন হতো না।একবার সমতল এবং গোলাকার পৃথিবী কল্পনা করুন।দেখবেন
    পৃথিবী যদি গোলকার হতো তাহলেই এর উপরের ক্রাস্টটি নড়াচড়ার সম্ভাবনা থাকে,কিন্তু পৃথিবী যদি সমতল হয় তাহলে এর উপরের লেয়ার নড়াচড়ার কোনো কারণ নেই।পৃথিবীর সমতল আকৃতিই তাকে স্থির রাখত।
    বরং পৃথিবী সমতল হলে তাতে পাহাড় স্থাপন করলে তা পৃথিবীর নড়াচড়ার কারণ হতো।
    কিন্তু কুরআন বলছে তার উল্টো।সত্যি বলতে উক্ত আয়াতটি পৃথিবীর সঠিক আকৃতিরই ইঙ্গিত দেয়।পৃথিবী বর্তুলাকার, এজন্য তার উপরের স্তর নড়াচড়ার সম্ভাবনা থাকেই, এজন্য আল্লহ পাহাড়-পর্বত স্থাপন করে ব্যালেন্স করেন এবং পৃথিবীর ঢলে পড়া থেকে রক্ষা করেন। আল্লহ সুপরিকল্পনাকারী।
    [২] এবার আরেকটি আয়াতের মাধ্যমেও যুক্তিটি প্রমাণ করা যায়।সূরা বাকারাহ্ এর ২২ আয়াতে আল্লহ তালা বলেন, ” যিনি তোমাদের জন্য যমিনকে করেছেন শয্যা এবং আকাশকে ছাদরূপে।”(২:২২)
    পৃথিবীকে ছাদ বলার কারণ তো জানা গেল এখন আকাশকে ছাদ বলার কারণটা একটু বলিঃ
    আকাশ(sky) বলতে কি বোঝায় আগে দেখিঃ
    The sky is everything that lies above the surface of earth,including the atmosphere and outer space অর্থ্যাৎ আকাশ হলো ভূপৃষ্ঠ থেকে দেখতে পাওয়া বায়ুমন্ডল বা মহাশূন্যের অংশবিশেষ। স্পষ্ট করে দেখুন বায়ুমন্ডলও কিন্তু আকাশের অন্তর্ভুক্ত। এখানে আবার আকাশকে নিয়ে ভ্রান্ত জল্পনা-কল্পনা করবেন না।
    এবং আমরা জানি বায়ুমন্ডল আমাদের সূর্য থেকে আসা অনেক ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে।বায়ুমন্ডল একটি ছামিয়ানা বা ছাদের মতো কাজ করে।এজন্য কুরআনে আকাশকে ছাদ বলা হয়েছে।এখন আবার এটা বলবেন না তো আকাশও সমতল। মহান আল্লহ এ বিষয়ে অধিক অবগত।
    এখানে আমি অমুসলিমদের কিছু বলতে চাই।আপনারা যেহেতু বাহ্যিক দিক দিয়ে কুরআনকে ব্যাখ্যা করেন,তাহলে একবার ভাবুন তো, যমীন যেহেতু বিছানা এবং আকাশ যেহেতু ছাদ,সেহেতু তাদের মধ্যে কাঠামো পূর্ণের জন্য কোনো স্তম্ভ বা পিলারের তো প্রয়োজন যা হিন্দুধর্মগ্রন্থ এবং খ্রিষ্টানধর্মগ্রন্থ আছে।
    হিন্দুধর্মঃ গরু আকাশকে ধরে রেখেছে।(যজুর্বেদ:৪:৩০)
    এবং খ্রিষ্টানধর্ম তো পৃথিবীকে সমতল বলার পাশাপাশি পৃথিবীকে শক্ত স্তম্ভের উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।(Psalm 104:5)
    তবে আলহামদুলিল্লাহ কুরআনে এমন কোনো আজগুবি কথা বলা নেই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এবং খৃষ্টধর্মের ভ্রাান্ত ধারনা বা প্র্রচলিত ধারনা আকাশেে খুটিি পোতা আছে এই ধারনাটি ভেঙ্গে দেবার জন্য আল্লাহ বলেছেন তিনি খুটি ছাড়া আকাাশ সৃষ্টি করেছেন।মাশাল্লাহ

      Delete
    2. আপনার ধারণা ভুল। পৃথিবী গোলাকার দেখেই পৃথিবীকে স্থিতিশীল রাখার জন্য পাহাড় পর্বতের প্রয়োজন নেই। বরং পৃথিবী গোলাকার দেখে পৃথিবীর কেন্দ্রে রয়েছে অভিকর্ষ বল আর এই অভিকর্ষ বলই পৃথিবীকে স্থিতিশীল রাখে। পৃথিবী যদি সমতল হতো, তবে পৃথিবীকে স্থিতিশীল রাখার জন্য পাহাড় পর্বত দরকার হতো। উদাহরণস্বরূপ একটি কাঠের স্কেলের কথা বলা যায়। স্কেলটিকে হাতের কোনো আঙ্গুলের উপর রাখলে তা যেকোনো একদিকে পড়ে যেতে পারে। কিন্তু স্কেলটির দুইপাশে যদি সমান ভর দেওয়া হয়,তাহলে স্কেলটি স্থিতিশীল থাকবে। তেমনি পৃথিবী যদি সমতল হতো তাহলে এই সমতল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে পাহাড় পর্বত অর্থাৎ ভারী বোঝা দিয়ে পৃথিবীকে স্থিতিশীল রাখা যেতো।

      Delete
  9. ৩] পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার নয়।উপর ও নিচের দিকে কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ স্ফিত।এই স্ফীতির কারণেই বিষুব অঞ্চলীয় ব্যাস মেরু অঞ্চলীয় ব্যাসের তুলনায় প্রায় ২৩ কি.মি. বেশি।পৃথিবীর এই স্ফীতির কারণ হচ্ছে পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণন।যা পৃথিবী সমতল হলে হতো না।এবং পৃথিবীর এ ঘূর্ণনের কথা কুরআনেও বলা হয়েছে-
    “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র।সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।(সূরা আম্বিয়া:৩৩)
    তাহলে একবার ভেবে দেখুন কোরআন কিভাবে পৃথিবীর গোল হবার মূল বিষয়গুলোকে সমর্থন করে।এ বিষয়গুলো কি ১৪০০ বছর পূর্বে কেউ জানত??
    [৪] পৃথিবী সমতল হলে দিন রাত্রি পরিবর্তনে ব্যঘাত দেখা দিত।আকস্মিকভাবে দিন রাত্রির পরিবর্তন হয়ে যেত; কিন্তু কুরআনে দিন-রাত্রি পরিবর্তন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে।(সূরা লুকমান:২৯) আরো অনেক আয়াত রয়েছে।যা পৃথিবীর সঠিক আকৃতি নির্দেশ করে।
    [৫] সবচেয়ে বড় বিষয় কুরআনে পৃথিবীর আকার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে।
    কুরআনে আছে- ” He made the earth egg-shaped.(79:30)
    “এবং আল্লহ পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতি করে তৈরী করেছেন।”
    এখানে “দা-হাহা” শব্দটির দুইটি অর্থ আছে।প্রথমটি হলো উটপাখির ডিম যা “দহিয়া” থেকে উৎপত্তি।আর একটি অর্থ হচ্ছে “বিস্তৃত করা”।
    প্রথমে উটপাখির ডিম অর্থটি নিয়ে বলিঃ
    এখানে ডিমের আকার এবং পৃথিবীর আকারের সাদৃশ্যটাই মূল।ডিম আর পৃথিবী কিন্তু এক জিনিস নয়।তবুও এদের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য রয়েছে যেমন ডিমের কয়েকটি স্তর আছে(শেল,নিচের পাতলা স্তর,সাদা তরল পদার্থের স্তর,হলুদ তরল পদার্থের স্তর,ইত্যাদি)।ঠিক তেমনি পৃথিবীর কয়েকটি স্তর রয়েছে(crust,mantle,inner core, outer core)।তাছাড়া আরো অনেক আয়াত আছে যা পৃথিবীর সঠিক আকার উল্লেখ করে।(৮৪:৩,৭০:৪০,যুমার ৫,আরাফ ৫৪) ইত্যাদি।
    এবার আসি “বিস্তৃত করা” অর্থটা নিয়ে।চারপাশে তাকালে পৃথিবীকে সমতল মনে হয়।কারণ পৃথিবী এত বড় গোলক যা নির্দিষ্ট কোন স্থান থেকে সমতলই মনে হয়।বিজ্ঞানের যে পরীক্ষা গুলোতে পৃথিবীর ছোট কোনো অংশ বিবেচনা করা হয় সেখানে কিন্তু সমতলই ধরা হয়। তবে বৃহৎ দুরত্বে অবশ্যই গোলাকার। আর পৃথিবীর সমস্ত জায়গায় কিন্তু মানুষ বসবাস করেও না,বসবাস করার উপযোগীও নয়। তাছাড়া পৃথিবীর উত্তর থেকে দক্ষিণ এর ব্যাস ১২৭০৯এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর ব্যাস ১২৭৭৫২ এক বিরাট বিস্তৃত দুরত্ব।এর আয়তন ১৯ কোটি ২০ লক্ষ বর্গমাইল এবং পরিধি ২৫০০০ মাইল।এ বিশাল জায়গাকে দেখলে বিস্তৃতই মনে হয়।এটা পৃথিবী সমতল প্রমাণ করে না।
    তবে আমরা তো দেখলাম দা-হাহা শব্দের দুটো অর্থই বিশুদ্ধ।
    আপনাকে মনে রাখতে হবে যে,কুরআন কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট কোনো সময় এবং গোষ্ঠীর জন্য আসি নি,কুরআন সমস্ত মানব জাতির জন্য এসেছে।ইনজিল যেমন কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছিল, কুরআন কিন্তু তা নয়।কুরআন নিয়ে গবেষণা এবং আল্লহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করা আল্লহরই হুকুম।তাই কুরআনের কোনো আয়াতের সমসাময়িক যতগুলো শুদ্ধ অর্থ হবে সবগুলোই আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।আপনি একটা গ্রহণ করে আরেকটা বাদ দিতে পারেন না।কুরআন সকল মানবজাতির জন্য,সকল সময়ের মানুষের জন্য।”দা-হাহা শব্দের অর্থ উটপাখির ডিম এটাও আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।তাই বলা যায় কুরআনে পৃথিবীর আকার সম্পর্কে কোনো ভুল তথ্য দেওয়া নেই।
    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কুরআনে পৃথিবীর আকার সম্পর্কে যে ধারণা দেওয়া হয়েছে “নাসা” তার সত্য সমর্থন করেছে।
    দেখুনঃ
    http://newsrescue.com/the-earth-is-egg-shaped-nasa-validates-quran-ancient-scripture/#axzz3KJWs5Vnh
    “সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে।নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।”

    ReplyDelete
    Replies
    1. মাশাআল্লাহ

      Delete
    2. এমন বলে এখন নিজের মনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন তো দেন। মরনের পরে দেখা যাবে কিভাবে থাকেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন যেকোনো উছিলায় ইমান দান করেন।

      Delete
  10. ভাই আমার মনে হয় আপনার কুরআন সম্পর্ক এ অনেক ভাল ধারণা আছে তাই বলছি ফেসবুক/youtube e কিছু ভিডিও আপ্লোড দিন।

    ReplyDelete
  11. ভাই আমার মনে হয় আপনার কুরআন সম্পর্ক এ অনেক ভাল ধারণা আছে তাই বলছি ফেসবুক/youtube e কিছু ভিডিও আপ্লোড দিন।

    ReplyDelete
  12. নাস্তিক রা নিরপেক্ষ হয় কিন্তু সে দেখি ইসলাম বিরোধী

    ReplyDelete
  13. ইসলামের বিরোধীরা নিজের মতো করে নিজেই কোরআনের ব্যাখ্যা করেন।আকাশের ছাদ বলতে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান হতে পারে।কিন্তু তারা বলছে যে আকাশের ছাদ বলতে নাকি শুধু শক্ত ছাদ বুঝায়। যেহেতু এই ব্যাপারে সাহাবীরা বা নবীজী কোন ব্যাখ্যা করেননি তাই ছাদ বলতে দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান হতে পারে ।দৃ্শ্যমান শক্ত ছাদ যদি হয় তাহলে বিজ্ঞান হয়ত একসময় ১৫০০ শ কোটি আলোকবর্ষের ও দূরে ১ম মহাবিশ্বের গম্বোজাকৃতির শক্ত সীমানা হয়ত আবিষ্কার করতে পারবে ।বিজ্ঞান প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগেও শক্তিশালী আলফা রে টলিস্কোপের সাহায্যে সর্বেশ এই মহাবিশ্বের ১৫০০ শত কোটির আলোক বর্ষের কিছু দূরে অবস্থিত সবচেয়ে উজ্জ্বল একটি কোয়াসারের সন্ধান পেয়েছেন।কিন্তু বিজ্ঞানের এখন পর্যন্ত এটিকেই শেষ সীমানা বলছে বিজ্ঞান বলছে এরপরও যে বিশাল অসীম জগৎ আছে তার তথ্য জানা এখন পর্যন্ত তাদের আয়ত্তের বাইরে। এমনও হতে পারে যে বিজ্ঞান হয়ত কোনদিন জানবে যে ১৫ শত কোটি আলোকবর্ষের দূরে শক্ত আসমানের ছাদের সন্ধান পাবেন।আল্লাহ বলছেন মানুষ কোনদিন সেখানে আল্লাহর হুকুম ছাড়া যেতে পারবে না। আচ্ছা বলুন আমরা কথায় বলি কোন বিপদ হলে আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে।এর অর্থ কি আকাশ সত্যিকারে কি ভেঙ্গে পড়েছে?আমরা বলি আকাশ গর্জন করছে অথবা মুষলধারে বৃ্ষটির সময় বলি আকাশ যেনো আজ সারাদিন ঝরঝরিয়ে ক্রন্দণ করছে।এর অর্থ কি আকাশের কোন প্রাণ আছে সে গর্জণ করতে পারে বা সে কান্না করতে পারে? শরতের বিকেলে পশ্চিমাকাশে দেখা যায় লাল রংয়ে মেঘ।যাকে বলে সিঁদূরে মেঘ।আসলে কি তা সত্যিই সেই গুলো সিঁদূর দিয়ে তৈরী? কিন্তু কোরআনে যদি এই সিঁদূরে মেঘের নামটি উল্লেখ থাকতো তাহলে ইসলামের শত্ররা বলতো মেঘে কোন সিঁদূর থাকে না কাজেই কোরআনে ভূল আছে এবং মুহাম্মদ লাল মেঘকে ভেবেছে সিঁদূর ছড়ানো।কাজেই কোরআন হলো মুহাম্মদের নিজের হাতে লেখা। যদিও কোরআনে লাল মেঘ কালো মেঘ সাদা মেঘ উল্লেখ আছে।বলতে

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভাই আমাদেরই ভুল এইখানে কমেন্ট করা। পড়ে থাকতে দেন এদের গর্তে হাহাহাহ। যদি এতই বিজ্ঞানী হয় তারা, তহলে গর্তে থাকে কেন?

      এদেরকে ইংরেজিতে বলে 'mythomaniac" এবং স্পানিশ এ বলে "Mitomano" এর মানে হোল এক ধরনের মানুষিক রোগ - যে নিজে মিথ্যে বলে এবং তা বিশ্বাস করে।

      Delete
  14. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  15. প্রথমত ডাহাহা যদি দুহিয়া থেকে এসেও থাকে, দুহিয়া অর্থ উট পাখির ডিম নয়, বরং উট পাখি যে স্থানে ডিম পারে, সেই স্থান কে বুঝায়, উটপাখি ডিম পারার আগে সেই স্থান কে সমান/ প্রশস্ত করে নেয়। দ্বিতীয়ত, ডাহাহা হচ্ছে একটি VERB, আর দুহিয়া হচ্ছে ADJECTIVE, তাই ডাহাহা এর জায়গায় দুহিয়া দিয়ে কাজ হবে কোন, পুরা বাক্যই ভুল হয়ে যাবে। তৃতীয়ত, পৃথিবী হচ্ছে OBLATE SPHEROID, আর যেকন ডিম হচ্ছে - PROLATE SPHEROID.
    আর কতকাল মুমিনরা টেনা পেঁচিয়ে অর্থের বারোটা বাজিয়ে কুরআনে বিজ্ঞান বের করবে? তাদের না বিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা? তারা না বিজ্ঞানে বিশ্বাস করেন না! তাহলে সেই বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে আবার কুরআন প্রমান করতে যান কেন?

    ReplyDelete
  16. গোলাকার আর সমতল দুইটা নিয়েই তো খুব বিতর্ক ভক্ষণ করলাম। কিন্তু পৃথিবী আসলে কেমন তা দেখাতাম যদি এই বিতার্কিকদের কাছে পেতাম। এদের চৌদ্দগুষ্টিকে বিজ্ঞান শিখিয়ে দিতাম মাত্র একটা এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে। আবালের গুষ্টি কোথাকার।

    ReplyDelete
  17. ভাই তোমার মতো পাতি নাস্তিকরা শুধু দূরে থেকেই ড. জাকির নায়েককে নিয়ে সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু ড. জাকির নায়েকের সামনে কথা বলার যে যোগ্যতা তোমার নাই তা কি ডান???

    তোমার যুক্তি খন্ডন করতে ড. জাকির নায়েককে দরকার হবে না। আমিই যথেষ্ট। ইনশাল্লাহ...

    ReplyDelete
  18. ভাই তোমার মতো পাতি নাস্তিকরা শুধু দূরে থেকেই ড. জাকির নায়েককে নিয়ে সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু ড. জাকির নায়েকের সামনে কথা বলার যে যোগ্যতা তোমার নাই তা কি ডান???

    তোমার যুক্তি খন্ডন করতে ড. জাকির নায়েককে দরকার হবে না। আমিই যথেষ্ট। ইনশাল্লাহ...

    ReplyDelete
  19. ভাই তোমার মতো পাতি নাস্তিকরা শুধু দূরে থেকেই ড. জাকির নায়েককে নিয়ে সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু ড. জাকির নায়েকের সামনে কথা বলার যে যোগ্যতা তোমার নাই তা কি ডান???

    তোমার যুক্তি খন্ডন করতে ড. জাকির নায়েককে দরকার হবে না। আমিই যথেষ্ট। ইনশাল্লাহ...

    ReplyDelete
  20. unknown একটা ছাগল।

    ReplyDelete
  21. ভাই, আপনার কাছে সুরা আর রহমান 17 আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই।

    ReplyDelete
  22. পৃথিবীর এমন কোনো বিজ্ঞানি ও নাস্তিক আছেন সবার উপর চ্যালেঞ্জ করলাম। মানুষের হাতের আঙ্গুলের ছাপ কেন এক জনের সাথে অন্য জনের অমিল আসলে এর কারন কি?? এটা নিয়ে ভেবে উওর দিবেন। যদি কেউ বলতে পারেন এটা একজন স্রাস্টা যে আছেন এর সরাসরি নির্ভভুল প্রামান কিনা?? এ ছাড়া অন্য কোনো উওর জীবনে দিতে পারবেন না। যদি পারেন বুকে সাহস নিয়ে উত্তর টা দিয়ে দেন। এটা অদৃশ্যকিছু নয় আপনার হাতের আংগুল দেখেন। যদি উত্তর দিতে না পারেন তাহলে আমার উওর টা ভালোভাবে সুসমে মেনে নেন। আমি চাই আপনিও সঠিক শিক্ষা পান। আল্লাহর জান্নাতে যান। জাহান্নামে জ্বলতে যাইয়েন না। এটা দেখে যেই যেই নাস্তিক ভাই বোনের মনে সঠিক বিবেক বোধ জেগে উঠবে আমাকে রিপ্লাই করবে।। আমি আপনাকে একেবারে সত্যের কাছে নিয়ে গিয়ে আল্লাহ তাআলা ক একেবারে খালি চোখে দেখিয়ে দিব ইইনশাল্ল।। এরিয়ে যাবেন ন।। নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাচানোর চেষ্টা করে দয়া করে

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিক ভাই! এরা পারলে একটা মানুষ বা অন্তত একটা ছোট পিঁপড়া বানায় দেখাক দেখি।

      Delete
  23. পৃথিবীর এমন কোনো বিজ্ঞানি ও নাস্তিক আছেন সবার উপর চ্যালেঞ্জ করলাম। মানুষের হাতের আঙ্গুলের ছাপ কেন এক জনের সাথে অন্য জনের অমিল আসলে এর কারন কি?? এটা নিয়ে ভেবে উওর দিবেন। যদি কেউ বলতে পারেন এটা একজন স্রাস্টা যে আছেন এর সরাসরি নির্ভভুল প্রামান কিনা?? এ ছাড়া অন্য কোনো উওর জীবনে দিতে পারবেন না। যদি পারেন বুকে সাহস নিয়ে উত্তর টা দিয়ে দেন। এটা অদৃশ্যকিছু নয় আপনার হাতের আংগুল দেখেন। যদি উত্তর দিতে না পারেন তাহলে আমার উওর টা ভালোভাবে সুসমে মেনে নেন। আমি চাই আপনিও সঠিক শিক্ষা পান। আল্লাহর জান্নাতে যান। জাহান্নামে জ্বলতে যাইয়েন না। এটা দেখে যেই যেই নাস্তিক ভাই বোনের মনে সঠিক বিবেক বোধ জেগে উঠবে আমাকে রিপ্লাই করবে।। আমি আপনাকে একেবারে সত্যের কাছে নিয়ে গিয়ে আল্লাহ তাআলা ক একেবারে খালি চোখে দেখিয়ে দিব ইইনশাল্ল।। এরিয়ে যাবেন ন।। নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাচানোর চেষ্টা করে দয়া করে আমার নাম্বার ০১৭৫৮১৬১৬৯১

    ReplyDelete
  24. hahahaah বিজ্ঞান কিছু বানায় না রে পাগলা শুধু তৈরি জিনিসটা কিভাবে তৈরি হোল তা জানায়। কোরআনে বহুত কিছু বলা হইছে মানুষ বুঝত না। প্রথম আয়াত "𝑹𝒆𝒂𝒅
    𝑰𝒏 𝒕𝒉𝒆 𝒏𝒂𝒎𝒆 𝒐𝒇 𝒚𝒐𝒖𝒓 𝑳𝒐𝒓𝒅 𝑾𝒉𝒐 𝒄𝒓𝒆𝒂𝒕𝒆𝒅❟ 𝑪𝒓𝒆𝒂𝒕𝒆𝒅 𝒎𝒂𝒏 𝒇𝒓𝒐𝒎 𝒂 𝒍𝒆𝒆𝒄𝒉 𝒍𝒊𝒌𝒆 𝒔𝒖𝒃𝒔𝒕𝒂𝒏𝒄𝒆."(86: 1-2)

    "পড়
    তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জোঁকের মত দেখতে কোন বস্তু থেকে" (৮৬ঃ ১-২)

    তো মুহাম্মাদ সাঃ কি দেখতে চাইছিল কেমন জোঁকের মত? যখন সে ফেরেস্তার ব্যপারে শিয়র ছিল, একই ভাবে আল্লাহর ব্যপারেও। অতএব আর কোন প্রস্ন নাই যাচাই করে দেখার।

    বিজ্ঞানিদের ক্ষমতা নাই একটা আনু তৈরি করার। পৃথিবীর সব বস্তু আনুর দ্বারা তৈরি, আর সমস্ত অনুই আল্লাহর হুকুমে একের সাথে অন্য লেগে থাকে।

    ReplyDelete
  25. আপনি কি geoid model সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন, না জানি কথা বলে

    ReplyDelete
  26. বলদ। কোরান কেবল নবিজীর জন্য না, কোরান সবার জন্যই। আর কোরানের মুজিজা এটাই যে এর শব্দ চয়ন অসাধারণ, সব যুগের সাথেই মানায়।

    ReplyDelete
  27. কপি পেষ্ট না করে ভালো করে যেনে পোষ্ট করেন https://islamicknowledge80.blogspot.com/2021/05/blog-post_23.html

    ReplyDelete
  28. দ্বিতীয়ত,
    সূরা আর রহমানের ১৭ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন,- ‘তিনিই দুই অস্তাচল আর দুই উদয়াচলের মালিক।’
    এখানে অস্তাচল আর উদয়াচল বলতে সূর্যের উদয়-অস্তের কথা বলা হচ্ছে।
    আমরা জানি, পৃথিবীতে একদিনে দুইবার সূর্যোদয় আর দুইবার সূর্যাস্ত ঘটে থাকে। আমরা বাংলাদেশে যখন সূর্যকে পূর্বদিকে উদিত হতে দেখি, তখন আমেরিকানরা দেখে যে সেখানে সূর্যটা পশ্চিমে ডুবে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের এখানে যখন সকাল, তাদের কাছে তা সন্ধ্যা। আবার, আমরা যখন সূর্যকে পশ্চিমে ডুবে যেতে দেখি, তারা তখন সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত হতে দেখে।
    তার মানে পৃথিবীতে মোট দু’বার সকাল, দু’বার সন্ধ্যা পরিলক্ষিত হয়। এখন,দুবার সূর্যাস্ত আর আর দুবার সূর্যোদয় তখনই সম্ভব যখন পৃথিবীর আকার গোল হবে। পৃথিবীর আকার যদি সমতল বা চ্যাপ্টা কাঠ বা তক্তার মতো হতো, তাহলে পৃথিবীতে একবারই সূর্যাস্ত – সূর্যোদয় ঘটতো। তক্তা সদৃশ পৃথিবীর একপাশে সূর্য উঠে অন্যপাশে ডুবে যেতো। কিন্তু সেরকম হয়না, কারন পৃথিবী গোলাকার।

    ReplyDelete
  29. তাছাড়া, সূরা আল ইনশিক্বাকের ৩ নাম্বার আয়াতে আছে- ‘যেদিন পৃথিবীকে সমতল করা হবে…..।’

    এখানে বলা হচ্ছে কিয়ামত দিবসের কথা। সেদিন পৃথিবীকে আল্লাহ সমতল করবেন। তাহলে , তিনি যদি এখনই পৃথিবীকে সমতল করে তৈরি করতেন, আবার কিয়ামত দিবসে এটাকে সমতল করার কথা আসে কিভাবে?

    ReplyDelete
  30. [২০:১০৬] ত্বোয়াহ


    فَيَذَرُها قاعًا صَفصَفًا

    বায়ান ফাউন্ডেশন:
    ‘তারপর তিনি তাকে মসৃণ সমতলভূমি করে দিবেন’।

    মুহিউদ্দীন খান:
    অতঃপর পৃথিবীকে মসৃণ সমতলভূমি করে ছাড়বেন।

    মুজিবুর রহমান:
    অতঃপর তিনি ওকে পরিণত করবেন মসৃণ সমতল মাইদানে।

    [২০:১০৭] ত্বোয়াহ


    لا تَرى فيها عِوَجًا وَلا أَمتًا

    বায়ান ফাউন্ডেশন:
    ‘তাতে তুমি কোন বক্রতা ও উচ্চতা দেখবে না’।

    মুহিউদ্দীন খান:
    তুমি তাতে মোড় ও টিলা দেখবে না।

    মুজিবুর রহমান:
    যাতে তুমি বক্রতা ও উচ্চতা দেখবেনা।



    কুরআন যদি সমতলের কথা বলত তাহলে পরের আয়াত বক্রতা এবং উচ্চতার কথা বলত নাহ।

    মুলত নাস্তিকদের বুঝানোর যদি আল্লাহ তায়ালা কুরআনকে বিস্তারিত বলতেন তখন আপনি হতেন নাহ নাস্তিক।
    কুরআন মানুষের হিদায়তর জন্য তৈরি হয়েছে, এটা কোন বিজ্ঞানর বই নাহ , আর যদি বিস্তারিত থাকত তখন আবার আপনার মত নাস্তিক বলত যে, আল্লাহ কেন তাহলে থ্রিডি ভিডিও তৈরি করে পাঠালো নাহ 😆
    জ্ঞানীরা সঠিক পথে থাকবেই আর নাস্তিকরা সারাজীবন আমাদের পিছনে পরে থাকবে এটাই স্বাভাবিক😆।
    আপনি যদি কুরআনের সামনের পিছনের আয়াত না বুঝে ব্যাখ্যা দেন তাহলে ব্যাপারটা হবে এরকম যে, মনে করেন আপনার মায়ের নাম তাসলিমা নাসরিন, আর আপনার বাবার নাম জনি সিং কিন্তু বর্তমানে আপনার বাবা এখন হাসমি ।
    কিন্তু আমি যদি আপনার সামনে পিছনে কথা না দেখে বা না বুঝে বলি যে আপনার বাবা জনি সিং , তাহলে তো ব্যাপারটা দিয়ে ভুল বুঝানো হলো😊।
    ব্যাপারটা হলো এরকমই😆💕। আশা করি বুঝতে পেরেছেন😁😑, তবে এটা মনে করিয়েন নাহ যে আপনাকে আমি বুঝালাম, আসলে নাস্তিকরা সারাজীবন কেন স্বয়ং আল্লাহ এসে বুঝালে বুঝতেন কিনা আল্লাহ ভালো জানে😆💕

    ReplyDelete
    Replies
    1. আর পৃথিবী গোলাকার জন্য পরের আয়াতে বক্রতা এবং উচ্চতার কথা বলছে💕

      Delete
  31. ভাই,মানুষ ভুলের উর্ধে না, কিন্তূ আপনি কাউকে ভন্ড উপাধি দেয়ার কে? যেখানে আপনি আপনার মতবাদ ব্যাক্ত করেছেন, যাচাই করার মালিক আপনি হলে এখানে পোস্ট করার দরকার কি ? সবার মতামত নিয়ে নিজেকে যাচাই করার চেষ্টা করুন

    ReplyDelete