Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, June 25, 2014

কেন পৃথিবীর মানুষের সৃষ্টি এক মানুষ থেকে হতে পারে না ?

কেন পৃথিবীর মানুষের সৃষ্টি এক মানুষ থেকে হতে পারে না ?
উত্তর :
আমরা জানি মানুষের ডিএনএ মানুষের সমস্ত বৈশিষ্ট বহন করে / মানুষ ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে , কালো হবে নাকি সাদা হবে , লম্বা হবে নাকি খাটো হবে এমনকি তার আচার আচরণ কেমন হবে সেটাও থাকে ডিএনএ এর গঠনের উপর / পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ আলাদা আলাদা / তার কারণ প্রত্যেকের DNA -এর গঠন আলাদা আলাদা /একটা মানুষের DNA -এর সাথে আরেকটা মানুষের ডিএনএ-এর কখনো পরোপুরি মিল থাকে না / যার ফলে প্রতিটা মানুষ আলাদা /
সন্তান জন্ম নেয়ার সময় সে তার বাবা মার ডিএনএ -এর সংমিশ্রনে সম্পূর্ণ নতুন এক ডিএনএ পায় / তার ডিএনএ তৈরী হয় বাবার ডিএনএ-এর অর্ধের এবং মার ডিএনএ -এর অর্ধেক এর সংমিশ্রন ফলে যেটা সম্পূর্ণ নতুন গঠনের ডিএনএ / সন্তান তার বাবার ডিএনএ এবং মায়ের ডিএনএ পায় বলে সন্তান বাবা মার মত হয় / বাবা মার ডিএনএ-এর থেকে সন্তানের ডিএনএ তৈরী হয় বলেই সন্তান দেখতে তার বাবা মার মত হয় এবং তার আচার আচরণের মধ্যেও বাবা মার বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হয় / এজন্যই সন্তানের ডিএনএ-এর সাথে বাবা মার ডিএনএ-এর এত মিল খুঁজে পাওয়া যায় /
একই বাবা মার সব সন্তানের মধ্যে মিল থাকলেও অমিলও থাকে অনেক / এর কারণ সন্তান জন্ম নেয়ার সময় তাদের ডিএনএ-এর গঠন সবসময় আলাদা হয় / সেজন্যেই একই বাবা মার সব সন্তান আলাদা আলাদা হয় / যদিও তাদের মধ্যে মিল থাকে প্রচুর / এর কারণ সন্তানদের ডিএনএ-এর গঠন থাকে প্রায় কাছাকাছি গঠনের /
কোনো মানুষের সাথে তার পূর্ব পুরুষের ডিএনএ-এর গঠনেও অনেক মিল পাওয়া যায় / যদিও তাদের মাঝে অনেক নতুন মানুষের ডিএনএ ব্যাজ যোগ হয়েছে তবুও এদের ডিএনএ-এর মাঝে অভাবনীয় মিল খুঁজে পাওয়া যায় /
আবার বাবা মা সাদা হলে তার সন্তানরা সাদা হয় এবং বাবা মা কালো হলে তার সন্তানরা হয় কালো / এর কারণ তারা বাবা মার ডিএনএ-এর বৈশিষ্টই পায় আর ডিএনএ-ই নির্ধারণ করে কে সাদা হবে কে কালো হবে / ফলে যে সন্তান সাদা বাবা মার ডিএনএ পায় সে হয় সাদা / আর যে সন্তান কালো বাবা মার ডিএনএ পায় সে হয় কালো / আবার এর ব্যতিক্রমও দেখা যায় যে বাবা মা কালো কিন্তু তাদের সন্তান ফর্সা / অথবা বাবা মা ফর্সা কিন্তু সন্তান কালো / এর কারণ এই বাবা মার কারো পূর্বপুরুষ সাদা বা কালো ছিল / এখানে তার বৈশিষ্টই প্রকট আকারে প্রকাশ পেয়েছে / যেহেতু সন্তান তার পূর্ব পুরুষের ডিএনএ -এর বৈশিষ্ট পায় তাই পরবর্তিতে বাবা মার ডিএনএ থেকে তৈরী সন্তানের ডিএনএ -এর বৈশিষ্টে সেই পূর্ব পুরুষের ডিএনএ-এর বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হয় / এজন্যেই বাবা মা থেকে সন্তানের এই পার্থক্য দেখা যায় /
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে ' পৃথিবীর সব মানুষ কি একই মানুষ থেকে সৃষ্টি হয়ছে ? যদি পৃথিবীর সব মানুষ একই মানুষ থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ পাবে সেই মানুষটার গুন বা বৈশিষ্ট / তাদের ডিএনএ-এর মধ্যে থাকবে একই পূর্ব পুরুষের ডিএনএ-এর বৈশিষ্ট / ফলে প্রত্যেক টা মানুষের মধ্যে থাকবে অভাবনীয় মিল / যেমন প্রথম মানুষটা যদি ভদ্র হয়ে থাকে তবে পৃথিবীর সব মানুষ ভদ্র হবে / সে যদি কালো হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীর সব মানুষ কালো হবে / আবার সেই মানুষটা যদি ফর্সা হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীর সব মানুষ ফর্সা হবে /
মুসলমান এবং খিস্টান ধর্মের মতে প্রথম মানুষ আদমের বুকের পাজর থেকে তার সঙ্গী হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছে / তাহলে আদমের যে ডিএনএ হাওয়ারও একই ডিএনএ হবে / কারণ মানুষের শরীরের প্রত্যেকটা কোষের ডিএনএ একই থাকে / ফলে তারা একই বৈশিষ্টের হবে / অর্থাত তাদের চারিত্রিক এবং শারীরিক বৈশিষ্ট একই থাকবে / তারা দেখতে একই রকম হবে / ফলে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ দেখতে একই রকম হবে /
কিন্তু আমরা জানি পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ আলাদা আলাদা ধরনের / তাদের চারিত্রিক এবং শারীরিক বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা /
এর ফলে প্রমানিত হয় যে পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম ছিল না /
মানুষের জন্ম হয়েছে বিবর্তনের ফলে ধাপে ধাপে / লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে পৃথিবীর প্রথম জৈব রাসায়নিক পদার্থ অ্যামাইনো এসিড তৈরির মধ্য দিয়ে মানব প্রজাতি তৈরির সূচনা হয়ে ছিল / তারপরে ধাপে ধাপে লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে এককোষী প্রাণী তৈরী হয়েছিল / তারও লক্ষ লক্ষ বছর পরে বহুকোষী প্রাণী তৈরী হয়েছিল / এরও লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে প্রথম মেরুদন্ডি প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছিল / তারও লক্ষ লক্ষ লক্ষ বছর পরে তৈরী হয়ছিল মানুষ আর বানরের পূর্ব পুরুষ / তারও লক্ষ লক্ষ বছর পরে দুইটি প্রজাতি তৈরী হয়েছে বানর এবং মানুষ /
আর বিজ্ঞানের জ্ঞানে মানুষ হয়েছে আধুনিক মানুষ /
পৃথিবীর মানুষ যদি শুধুমাত্র একটি মানুষের থেকে সৃষ্টি হতো তবে তাদের ডিএনএ মধ্যে থাকত অনেক মিল / এবং সব মানুষ গুলো হলো একই রকম / সুতরাং এই এক মানুষ থেকে মানব প্রজাতির উদ্ভব এই তত্ত্ব টা সম্পূর্ণ কাল্পদিক যার সাথে আধনিক বিজ্ঞানের কোনো মিল নেই /

No comments:

Post a Comment