Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, June 25, 2014

বিজ্ঞান বলে আত্মা বলে কিছু নেই l


বিজ্ঞান বলে আত্মা বলে কিছু নেই l মানব সত্তা বিরাজ করে তার দেহ এবং মস্তিস্কে l যখন মস্তিস্ক মরে যাবে এবং দেহ নষ্ট হয়ে যাবে তার সাথে সাথে মানুষটির সমস্ত অস্তিত্ব নষ্ট হয়ে যাবে l ফলে পরকাল বা পুনর্জন্ম বা পরকাল-এর ধারণা এমনিতেই মিথ্যে হয়ে যায় l
আবার বিজ্ঞান ভিত্তিক পৃথিবীতে কোনো অলৌকিকতার অস্তিত্ব নেই l তাই কোনো অলৌকিক সৃষ্টি কর্তা থাকাও মিথ্যে হয়ে যায় l
সুতরাং পৃথিবীর সব ধর্মে যেসব সৃষ্টি কর্তার বর্ণনা আছে ( অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন ) সেসবের অস্তিত্ব অসম্ভব হয়ে পরে l
তাছাড়া সব ধর্মে যেমন পরকালের বর্ণনা দেয়া আছে তার সাথে আমাদের ইউনিভার্স -এর কোনো মিল নেই l তাই বৈজ্ঞানিক ভাবেই স্বীকৃত যে কোনো ধর্মের সৃষ্টিকর্তাই বাস্তবে নেই l
যেখানে আত্মা নেই , পরমাত্মা নেই সেখানে এমনিতেই ঈশ্বর নেই l কারণ আত্মা না থাকলে পরকাল, আত্মার বিচার এসবই মিথ্যা কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না l
বিজ্ঞানে যেহেতু আত্মা, পরম আত্মা এবং অলৌকিকতা বলে কিছু নেই , তাই অলৌকিক সৃষ্টিকর্তাও নেই l এটা আলাদা ভাবে বলার দরকার হয় না l
তাই বিজ্ঞানের যুক্তিতে ঈশ্বর বা মহাশক্তিধর কোনো স্বত্তা নেই l
যারা বলবে ঈশ্বর বা সৃষ্টি কর্তা নেই তা বিজ্ঞান প্রমান করতে পারেনি তাই বলা যাবে না ঈশ্বর নেই , তারা যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে দেখে যে সৃষ্টি কর্তার ধারণা টিকে আছে আত্মা এবং আত্মার অমরত্বের উপর অথবা পুনর্জন্মের উপর , কিন্তু বিজ্ঞান সরাসরি আত্মা, আত্মার অমরত্ব এবং পুনর্জন্ম এসব ধারনাকে সরাসরি অস্বীকার বা নাকচ করে দিচ্ছে তাই আল্টিমেটলি ঈশ্বর বা সৃষ্টি কর্তার ধারণাকেও অস্বীকার করছে l
সুতরাং আমরা বলতে পারি যে বিজ্ঞান ঈশ্বর ধারনাকে অস্বীকার করছে l
তবে ঈশ্বর বিশ্বাসীদের একটা সুযোগ আছে যে তারা যদি প্রমান করতে পারে (অবশ্যই গুজব ব্যতিত ) আত্মা বা অলৌকিকতা বলে পৃথিবীতে কিছু আছে তবেই তারা বলতে পারে যে ঈশ্বর থাকা সম্ভব l তাছাড়া যদি বলে বিজ্ঞান প্রমান করতে পারেনি যে ঈশ্বর নেই তাই ঈশ্বরের অস্তিত্ব মিথ্যা বলা যাবে না তাহলে তারা মরিচিকার পিছনে ছুটছে l
আমাদের এত বড় জগতে কোথাও আত্মার প্রমান পাওয়া গেল না অথচ ইলেকট্রন প্রোটনের মত অতি ক্ষুদ্র বস্তু কনার অস্তিত্ব পাওয়া গেল , এমনকি নিউট্রিনোর মত কনা ( যার অস্তিত্ব নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব ) পাওয়া গেল আর মানুষ আত্মার এবং পরমাত্তার অস্তিত্ব পাওয়া গেলনা l তার একটাই কারণ আত্মা বা পরমাত্মা বলতে কিছু নেই এই বিশ্ব জগতে l
আর যেহেতু মানুষের মৃত্যুর পরে তার সব অস্তিত্ব ধংস হয়ে যায় , তার স্বত্তা বিলীন হয়ে যায় তাই পরকাল এবং পুনর্জন্মও সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা হয়ে যায় l
প্রকৃত পক্ষে ঈশ্বর সম্মন্ধীয় কোনো কিছুই পাওয়া যায়না আমাদের এই বিশ্ব জগতে তাই এমনিতেই প্রমানিত যে ঈশ্বর নেই l
তাই আমি বলব আত্মা ,পরমাত্তা এবং পুনর্জন্ম বা পরকালের অস্তিত্ব অস্বীকারই ঈশ্বর অস্বীকার করা l
আলাদা ভাবে ঈশ্বর প্রমানের বা অপ্রমানের দরকার নেই l

No comments:

Post a Comment