Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, July 16, 2014

বিবর্তনবাদ সম্পর্কে আস্তিকদের আস্তিকতা :



মুসলমান আস্তিকরা বলে বিবর্তনবাদে বিশ্বাসীরা অন্ধবিশ্বাসী ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন l তাদের দাবি অনুযায়ী যারা বিবর্তনবাদ মেনে নিয়েছে এবং এটি সত্যি ও প্রমানিত এটা দাবি করে তারা সবাই হচ্ছে কুসংস্কারাচ্ছন্ন l আর মুসলমানরা যারা বিবর্তনকে মিথ্যে বলে বিশ্বাস করে তারা হচ্ছে প্রকৃত বাস্তব জ্ঞানের অধিকারী ! আসুন দেখি তারা আসলে সত্যিকার অর্থে কি !

কুসংস্কার হচ্ছে এমন কিছু মিথ্যা বিশ্বাস যা বাস্তব জগতে সত্যি নয় কিন্তু মানুষের মনে সেই বিশ্বাসগুলো স্থায়ী ভাবে গেথে থাকে ! যেমন অশিক্ষিত মুর্খ মানুষেরা জ্বিন, পরী, ভুত, প্রেত ইত্যাদি অস্তিত্বে বিশ্বাস করে যেগুলোর বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই l কিন্তু তার পরেও কিছু কিছু মানুষ দাবি করে থাকে যে এই অস্তিত্তগুলো বাস্তবে আছে l কিন্তু আসলে বাস্তব জগতে এগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই l এই অশিক্ষিত মানুষগুলো এগুলোকে পরম সত্যি বলে বিশ্বাস করে অন্ধের মত !
আধুনিক যুগে এদেরকে বলা হয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং এদের এই কাল্পনিক বিশ্বাসগুলোকে বলা হয় অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কার l
এখন যদি বিবর্তনবাদ কুসংস্কার হয়ে থাকে তবে এটির বাস্তব জগতে কোন অস্তিত্ব থাকবে না l অর্থাত বিবর্তনের দাবি মতে পাওয়া ফসিলগুলো এমনকি সমস্ত প্রাণী দেহের অভ্যন্তরীণ জেনেটিক মিলগুলো বাস্তব জগতে থাকবে না l কেবল তাহলেই আস্তিকদের দাবি বিবর্তনবাদ কুসংস্কার হিসেবে প্রমানিত হবে !
কিন্তু তাদের জন্য অতি দু:খের বিষয় হচ্ছে পৃথিবীতে অসংখ্য প্রাণী ফসিল পাওয়া গেছে যেগুলো বিবর্তনবাদের ভবিষ্যত বাণী অনুযায়ী হুবহু মিলে গেছে l অর্থাত বিবর্তনবাদ যেভাবে বলে ছিল ঠিক সেভাবেই ফসিলগুলোকে পেয়েছে মানুষ l আর এর ফলে মানুষ নিশ্চিত হতে পরেছে যে বিবর্তনবাদ আসলে সত্যি l
আবার বিভিন্ন প্রাণী দেহের মধ্যে জেনেটিক মিলগুলোকে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে প্রত্যেক প্রাণীই একটা পূর্বতন প্রাণী থেকে আবির্ভূত হয়েছে l এমনকি কয়েক বছর আগে প্রাপ্ত মানুষ ও শিপ্পাঞ্জির মধ্যেকার ডিএনএ-এর মধ্যে অবিশ্বাস্য মিল খুঁজে পাওয়া গেছে যেমনটি বিবর্তনবাদ ভবিষ্যত বাণী করেছিল ঠিক সেভাবেই l
তাহলে দেখা যাচ্ছে বিবর্তনবাদ যে সত্যি সেটা অনুমানের থেকেও বেশি প্রমানিত হয়েছে l ফলে বিবর্তনবাদ সম্পর্কে আর কোন দ্বিমত করা সম্ভব হয়নি l এবং পৃথিবীর সবাই বিবর্তনবাদকে মেনে নিচ্ছে (কিছু খ্রিস্টান ও মুসলমান বাদে) l
এছাড়াও বিবর্তনবাদ সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তথ্য প্রমান ও গবেষণা চলছেই l এবং বিবর্তনবাদ সত্যি এটার পক্ষে প্রমান পাওয়া যাচ্ছে l
সুতরাং বিবর্তনবাদ সত্যি ও বাস্তব ঘটনা l

কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী ও কুসংস্কারাচ্ছন্নরা দাবি করেই চলেছে বিবর্তনবাদ মিথ্যা l কিছু কিছু মুসলমান দাবি করেই চলেছে বিবর্তনে বিশ্বাসকারী অর্থাত বিবর্তনবাদ যারা মেনে নিয়েছে তারা সবাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন l তাহলে তাদের দাবি অনুযায়ী পৃথিবীর সব বিজ্ঞানীরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন শুধু মুসলমানরা প্রকৃত জ্ঞানী l সারা পৃথিবীর শিক্ষিত মানুষেরা সব কুসংস্কারাচ্ছন্ন শুধু মুসলমান বাদে (এবং কিছু কিছু খ্রিস্টান বাদে) l পৃথিবীর সমস্ত শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়ী সবাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন শুধু মুসলমানগুলো একেবারে জ্ঞানের শিখরে চলে গেছে l কারণ পৃথিবীর সব বড় বড় শিক্ষিত মানুষ সবাই বিবর্তনকে সত্যি হিসেবেই জানে l সুতরাং এরা কি সবাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ? পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী-বিজ্ঞানী মানুষগুলো কুসংস্কারাচ্ছন্ন আর অশিক্ষিত অর্ধ-শিক্ষিত এবং শিক্ষিত কিন্তু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলমান এবং অন্যান্য আস্তিকগুলো প্রকৃত জ্ঞানী এটা কি কোন পাগলও বিশ্বাস করবে ?
পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞান এবং সভ্যতা প্রমান দেয় মুসলমানরাই (এবং কিছু খ্রিস্টান) কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধবিশ্বাসী l

এবার আসুন দেখি কে সত্যিকারের কুসংস্কারাচ্ছন্ন !
আস্তিকরা (সব মুসলমান ও কিছু খ্রিস্টান) বিশ্বাস করে একজন সৃষ্টিকর্তা আছে যে বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছে l কিন্তু এদের কোন অস্তিত্বই কোন আস্তিক পায়নি শুধু অন্ধভাবে বিশ্বাস করে চলেছে l এমনকি তারা দাবি করে সম্পূর্ণ না দেখেই না প্রমান পেয়েই শুধুমাত্র অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার থেকে l কিন্তু বাস্তব জগতে কোন সৃষ্টিকরতার অস্তিত্ব নেই l
তবুও আস্তিকগুলো দাবি করে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে l তারা কিভাবে বলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে ? তারা কি সৃষ্টিকর্তাকে দেখেছে কখনো ? তার কোন কথা শুনেছে কখনো ? নাকি কেউ কোন প্রমান দিয়েছে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ?
তাদেরকে এই প্রশ্ন করলে তারা এর কোন প্রমানতো দিতেই পারে না উপরন্তু তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি কিছু ধর্মগ্রন্থকে দেখিয়ে দেয় l এই ধর্মগ্রন্থগুলি নাকি সৃষ্টিকর্তার প্রমান ! কিন্তু সেই সব ধর্মগ্রন্থগুলো সব মিথ্যে কথা এবং বিশ্বজগত সম্পর্কে মিথ্যে বা ভুল কথা বলেছে প্রচুর l  আর এই গ্রন্থগুলো প্রাচীন ধ্যান ধারণা ছাড়া কোন কিছুই বর্ণনা করতে পারেনি l আর এটা থেকেই বোঝা যায় ধর্মগ্রন্থগুলো প্রাচীন কোন মানুষ লিখেছে l কোন সৃষ্টিকর্তা প্রমানিত হয় না ওই সব বাজে বইগুলো থেকে l
তাহলে দেখা যাচ্ছে আস্তিকরা সৃষ্টিকর্তাকে দেখেনি এবং তারা সৃষ্টিকর্তার কোন অস্তিত্তই পায়নি ! কিন্তু তারপরেও তারা বলে সৃষ্টিকর্তা আছে l আর এই অন্ধবিশ্বাসটাকেই কুসংস্কার বলা হয় l

কিন্তু বিবর্তনবাদ প্রমানিত সত্য l কিন্তু ঈশ্বর বা আল্লাহ বা গড মানুষের কাল্পনিক চিন্তা থেকে তৈরী হওয়া কাল্পনিক চরিত্র l আর তাই প্রকৃত কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধবিশ্বাসী হচ্ছে মুসলমান ও কিছু কিছু খ্রিস্টান যারা বিবর্তনবাদ মেনে নেয় না শুধুমাত্র তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসের কারণে যার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই l কোন আস্তিকই সৃষ্টিকর্তার কোন প্রমান দিতে পারবে না l আর অন্য দিকে বিবর্তনবাদের সত্যতায় হাজারও প্রমান আছে l
এর পরেও যারা বলে বিবর্তনবাদ মিথ্যা কিন্তু অস্তিত্বহীন ও কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা সত্যি তবে তাদেরকেই অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন বলা হবে কুসংস্কার-এর সংজ্ঞানুসারে l

প্রকৃত পক্ষে মুসলমানরা তাদের আল্লাহর কোন অস্তিত্ব প্রমান করতে না পেরে তাদের মিথ্যে ধর্মকে বাচাতে সত্য ও প্রমানিত বিজ্ঞানকেই অস্বীকার ও অবিশ্বাস করে চলেছে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের কারণে l

No comments:

Post a Comment