Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, July 9, 2014

বিগ ব্যাং-এর পূর্বে কি ছিল এবং বিগ ব্যাং-এর সমস্ত উপাদান কোথা থেকে আসলো ?




বিগ ব্যাং যার মাধ্যমে এই বিশ্বজগতের সৃষ্টি হয়েছে সেই তত্ত্ব মতে বিশ্বজগতের সৃষ্টির শুরুতে সমস্ত বিশ্বজগতের মোট উপাদান এক বিন্দুতে মিলিত ছিল এবং এর ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিগ ব্যাং সংগঠিত হয়েছে l শুরু হয়েছে বিশ্বজগতের যাত্রা l এবং এই যাত্রায় যুগ হয়েছে সময় নামের একটা নতুন মাত্রার l ফলে আমাদের এই ত্রিমাত্রিক বিশ্বজগতে একটি নতুন মাত্রা, সময় যুগ হয়ে চতুর্মাত্রিক জগতের সৃষ্টি হয়েছে l বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় হীন একটা জগত ছিল; যে জগতে কোন সময় ছিল না l বিগ ব্যাং-এর পরেই সময়ের সৃষ্টি হয়েছে যেমন করে ত্রিমাত্রিক জগত সৃষ্টি হয়েছে l
আমরা স্বাধারণ মানুষেরা (আস্তিক এবং কিছু কিছু নাস্তিকরাও) এটা মেনে নিতে পারি না যে সময় হীন একটা জগত থাকতে পারে বা থাকা সম্ভব l অথবা আমরা চিন্তাই করতে পারি না যে বিগ ব্যাং-এর পূর্বে কোন সময় ছিল না এবং বিশ্বজগত এক বিন্দুতে মিলে ছিল l আর এই এক বিন্দুর কোন অতীত নেই যেমন নেই কোন পূর্ব মুহূর্ত বা পাস্ট l এবং এই এক বিন্দুর বাইরে কিছু ছিলনা l অর্থাত বিশ্বজগত এই এক বিন্দুতেই স্বীমাবদ্ধ ছিল l এর বাইরে কিছু থাকা সম্ভব নয় l এটা স্থান কাল হীন এক অবস্থা যেটা সময়ের জগতে বসে কল্পনাও করা অসম্ভব l আর এই অসম্ভব অকাল্পনিক অবস্থাই ছিল বিশ্বজগতের শুরুতে l
আস্তিকরা এই বিষয়ে প্রায়ই প্রশ্ন করে থাকে যে বিগ ব্যাং-এর পূর্বে কি ছিল কেমন ছিল অথবা এই বিশ্বজগতের এক বিন্দুতে মিলিত হওয়ার আগে কি ছিল বা এই এক বিন্দুতে বিশ্বজগত কিভাবে মিলিত হলো, কোথা থেকে আসলো এই এক বিন্দুতে মিলিত হওয়া বিশ্বজগতের মোট পরিমানের সমান উপাদান l এগুলো এক বিন্দুতে মিলিত হওয়ার আগে কোথায় ছিল ? কিভাবেই বা এগুলো মিলিত হলো ? ইত্যাদি ইত্যাদি ?
এই প্রশ্নগুলো শুধু যে আস্তিকদের তাই নয় l এই প্রশ্নগুলো পৃথিবীর সব মানুষেরই ? কোথা থেকে বিশ্বজগতের সৃষ্টি হলো l কিভাবে বিগ ব্যাং হলো l বিগ ব্যাং -এর আগে কি ছিল এবং বিগ ব্যাং-এর এই মোট উপাদান কোথা থেকে আসলো l এর উত্তর আমরা জানি না এবং বুঝতেও পারি না l এগুলো বিজ্ঞানের কঠিন হিসাব বা ক্যালকুলেশন যেগুলো বিজ্ঞানী ছাড়া খুব কম মানুষই বুঝতে পারে l আর তাই মানুষ বুঝতে পারে না কেন বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্ব মুহূর্ত অথবা কোন অতীত বা পাস্ট থাকা সম্ভব নয় l তারা শুধু জানে যে বিগ ব্যাং-এর কোন অতীত বা পাস্ট নেই l কিন্তু সেই অতীত বা পাস্ট অর্থাত সময় হীন জগতটা কিভাবে থাকা সম্ভব সেটা মানুষের ধারণ ক্ষমতার বাইরে l এই বাস্তব সত্যটি যেভাবে তাত্তিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায় কিন্তু সেভাবে কল্পনা করা যায় না l ফলে অনেকের কাছেই বিগ ব্যাং-এর আদি অবস্থাটা অর্থাত শুরুর অবস্থাটা ধুয়াশাময় থেকে যায় l আমরা বিগ ব্যাং পর্যন্ত জগতকে চিন্তা করতে পারব অথবা জানতে পারব কিন্তু এর উত্পত্তি কেন হলো কিভাবে হলো অথবা এর কোন অতীত কেন থাকবে না অথবা এর অতীত যদি থেকেই থাকে তাহলে সেটা কেমন থাকা উচিত এসব প্রশ্ন অর্থহীন হয়ে যায় যখন বাস্তবতা বা থিওরি অথবা পদার্থ বিজ্ঞান বিগ ব্যাং -এর পূর্ব অবস্থা বর্ণনা করতে যায় l কারণ তাত্তিকভাবে অথবা পদার্থ বিজ্ঞানের তত্ত্ব অনুযায়ী বিগ ব্যাং-এর কোন অতীত অবস্থা বা এর কোন ভিন্ন অবস্থা থাকা সম্ভব নয় l আর এই সম্ভব না হবার কারনটা আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো l

বিগ ব্যাং তত্ত্ব অনুযায়ী মহাবিশ্ব এক বিন্দুতে মিলিত ছিল l যখন বিগ ব্যাং শুরু হলো এটি চারদিকে ছুটতে শুরু করে l এটি প্রসারিত হতে হতে আজকের এই মহাবিশ্বের আকার ধারণ করে l এটি প্রসারিত হতেই থাকছে এবং এর বিস্তার বাড়তেই থাকছে l ফলে বিগ ব্যাং তত্ত্ব অনুযায়ী এটির একটি শুরু আছে এবং এটি এখনো প্রসারিত হচ্ছে অসীমের দিকে l বিজ্ঞানীগণ মহাবিশ্বের প্রসারণ লক্ষ করে অনুমান করেছে যে এই মহাবিশ্ব বিগ ব্যাং-এর সময়ে এক বিন্দুতে মিলিত অবস্থায় ছিল এবং বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে এটি প্রসারিত হয়েছে l এখন মহাবিশ্বের বিগ ব্যাং থেকে আজকের দিন পর্যন্ত প্রসারণকে যদি আমরা একটি বৃত্তের সাথে তুলনা করি যে বৃত্তের একটা বর্তমান আয়তন আছে এবং এটি শুরুতে এক বিন্তুতে মিলিত অবস্থায় ছিল l পরে এটির আয়তন বাড়তে থাকে l এবং বাড়তে বাড়তে বর্তমান আয়তনে এসে থেমেছে l



চিত্রে কালো বৃত্ত দ্বারা মহাবিশ্বের বিভিন্ন সময় পরের প্রসারণের অবস্থা চিত্রায়িত হয়েছে l এখন বাম পাশের ক্ষুদ্র বিন্দুটিকে যদি বিগ ব্যাং-এর সময় মহাবিশ্বের অবস্থা ধরে নেই (যেটা এক ক্ষুদ্র বিন্দুতে মিলিত হয়েছে) এবং ডান দিকের বৃত্তগুলোকে যদি নির্দিষ্ট সময় পরের মহাবিশ্বের অবস্থা ধরে নেয়া হয় তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে একেবারে ডান পাশের বৃত্তটির মত মহাবিশ্ব পাওয়া যাবে l অর্থাত মহাবিশ্ব বামপাশের বৃত্তের মত একবিন্দুতে মিলিত অবস্থায় ছিল বিগ ব্যাং-এর সময়ে l এবং ডান পাশের বৃত্তের মত বর্তমানের মহাবিশ্বের আকৃত পাওয়া যাবে l সময় অতিবাহিত হবার সাথে সাথে এর আয়তন বাড়তে থাকবে l
এখন সময়ের সাথে সাথে এর আয়তনের বৃদ্ধি ঘটেছে l সুতরাং সময়কে যদি পিছনের দিকে বিপরীত ভাবে গমন কল্পনা করি অর্থাত এখানে সময় চলবে পিছনের দিকে; তাহলে এই বৃত্তের আয়তন কমতে থাকবে l এবং সময় যত পিছনে যাবে বৃত্তের আয়তনও তত কমতে থাকবে l এবং এটি সময়ের প্রথম অবস্থায় গিয়ে এর আয়তন ওই বিন্দুতে মিলবে l যেখানে বৃত্তের অবস্থান হবে শুন্যের কাছাকাছি এবং এটি সর্বোচ্চ পরিমান ক্ষুদ্র হয়ে যাবে l কিন্তু সর্বোচ্চ ক্ষুদ্র আয়তন হয়ে যাবার পরে এটি আর ছোট হতে পারবে না l কারণ বৃত্তটি একটি বিন্দুতে মিলিত হবে ফলে এটির আর ছোট হওয়া সম্ভব হবে না l এটির অবস্থান তখন হবে শূন্য অবস্থানের বিন্দু; যেটার চেয়ে আর ক্ষুদ্র আয়তন হওয়া সম্ভব নয় l
বৃত্তটি এই সর্বোচ্চ পরিমানে ক্ষুদ্র অবস্থা থেকে বাড়তে বাড়তে বা প্রসারিত হতে হতে আজকের অবস্থানে এসেছে l আবার বিপরীত ক্রমে এটি সময় কমার সাথে সাথে শূন্য অবস্থানের বিন্দুতে অর্থাত এটি অতি ক্ষুদ্র আয়তনের বিন্দুতে মিলিত হবে l কিন্তু কখনই ওই অতিক্ষুদ্র বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র হওয়া সম্ভব নয় l কারণ কোন কিছুর আয়তন ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দুর আয়তনের চেয়ে কম হওয়া সম্ভব হয় না l আর তাই বিগ ব্যাং-এর সময়টাতে মহাবিশ্বের আয়তন ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দুর আয়তনের মত আকার ধারণ করেছিল l কিন্তু শূন্য আয়তন হয়নি l এই শূন্য অবস্থানের বিন্দুর আয়তন হচ্ছে শুন্যের কাছাকাছি আয়তন যার চেয়ে ক্ষুদ্র আয়তন হওয়া সম্ভব নয় l এর চেয়ে ক্ষুদ্র আয়তন মানে শূন্য আয়তন l কিন্তু কোন কিছুর আয়তন শূন্য হওয়া সম্ভব নয় বলে বিগ ব্যাং-এর শূন্য অবস্থানের বিন্দুর আয়তন হচ্ছে সবচেয়ে ক্ষুদ্র আয়তন l
এই বর্ণনাটা যদি একটা ত্রিমাত্রিক ফুটবলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করি তবে এই ফুলবলটা বর্তমান আয়তন থেকে অতীতের দিকে এর আয়তন কমতে থাকবে l অর্থাত বিগ ব্যাং-এর তত্ত্ব অনুযায়ী এই ফুটবলটি সময়ের বিপরীতে যেতে থাকবে এবং এর আয়তন কমতে থাকবে l ফলে এটি অতিক্ষুদ্র আয়তন ধারণ করবে যেটা এক অতিক্ষুদ্র বিন্দুতে মিলিত হবে l কিন্তু সময় শুন্যে পৌছলে এটি আর ক্ষুদ্র হবে না কারণ এটি তখন সবচেয়ে ক্ষুদ্র আয়তন ধারণ করে ফেলবে l আর এই শূন্য অবস্থানের বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র হওয়া সম্ভব হবে না l কারণ ফুটবল যেটার অস্তিত্ব আছে সেটি শূন্য বিন্দুর চেয়ে অর্থাত শুন্যের একদম কাছাকাছি আয়তনের চেয়ে ক্ষুদ্র হতে পারবে না l কারণ তখন ফুটবলের আয়তন শূন্য হয়ে যাবে l কিন্তু কোন কিছুর আয়তন শূন্য হতে পারে না তবে শুন্যের একদম কাছাকাছি হওয়া সম্ভব কিন্তু কখনই শূন্য হওয়া সম্ভব নয় l আর তাই বৃত্ত অথবা ফুলবল কখনই ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র হবে না l কারণ তাহলে বৃত্ত বা ফুটবলটির আয়তন শূন্য হয়ে যাবে যেটা কখনই সম্ভব নয় l অর্থাত শূন্য অবস্থানের বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র হওয়া সম্ভব নয় l
আর তাই আমাদের এই মহাবিশ্বের আয়তন বিগ ব্যাং-এর সময় ওই এক বিন্দুতে অর্থাত শূন্য অবস্থানের বিন্দুতে মিলিত ছিল l আর মহাবিশ্বের ওই বিন্দু ছাড়া অন্য কোন অবস্থান হতে পারবে না l
আবার মহাবিশ্ব ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দু থেকে বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে প্রসারিত হচ্ছে এবং এটির আয়তন বেড়ে যাচ্ছে l আর এই প্রসারণ চতুর্দিকে হচ্ছে অর্থাত সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, এবং উপর-নিচে এই ছয় দিকেই সমান হারে প্রসারিত হচ্ছে ঠিক একটা গোলকাকার ফুটবলের মত l এখন যদি মহাবিশ্বের প্রসারণকে বিপরীত দিক থেকে বিবেচনা করি সময়ের বিপরীত দিকে অর্থাত মহাবিশ্বের বর্তমান সময় থেকে অতীতের দিকে ঠিক বিগ ব্যাং-এর মুহূর্ত পর্যন্ত l তবে আমরা দেখবো মহাবিশ্ব সংকুচিত হচ্ছে l এবং এটি সময়ের শূন্য অবস্থানের একবিন্দুতে অর্থাত শূন্য অবস্থানের বিন্দুতে মিলিত হচ্ছে l এবং যখন সময় বিপরীত দিকে যেতে যেতে শূন্য সময়ে পৌছবে তখন মহাবিশ্বের আয়তন হবে একবিন্দু অর্থাত শূন্য অবস্থানের বিন্দু l এবং এখানে এসে সময় শূন্য হয়ে যাবে l কিন্তু এই শূন্য অবস্থানের বিন্দু অথবা এক বিন্দু মহাবিশ্বের আর সংকুচিত হওয়া সম্ভব হবে না কারণ তাহলে মহাবিশ্বের আয়তন শূন্য হয়ে যাবে যেটা কখনই সম্ভব হবে না l
এখন আমরা প্রশ্ন করতে পারি যে মহাবিশ্বের এই অবস্থা ব্যতিত অন্য অবস্থা কি থাকা সম্ভব ? অর্থাত মহাবিশ্বের এইযে সংকোচন এবং সময়ের বিপরীতে যেয়ে এইযে একবিন্দুতে মিলিত হওয়া; মহাবিশের এই পরিনতি ছাড়া কি অন্য কোন পরিনতি হওয়া সম্ভব ?
মহাবিশ্বের এই পরিনতি ছাড়া অন্য কোন পরিনতি সম্ভব নয় l কারণ আমাদের মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে চতুর্দিকে অর্থাত ডানে-বামে, সামনে-পিছনে, এবং উপরে-নিচে এই ছয় দিকেই l আর তাই মহাবিশ্ব যদি সময়ের বিপরীত গমনে সংকোচিত হতে থাকে তাহলে সময় শূন্য হলে মহাবিশ্ব একবিন্দুতে মিলিত হবে l এবং এই সংকোচন হবে চতুর্দিক থেকে l ফলে মহাবিশ্বের এই সংকোচনের মাধ্যমে এক বিন্দুতে মিলিত হওয়া ছাড়া অন্য কোন কিছু ঘটা সম্ভব হবে না l অর্থাত শূন্য অবস্থার বিন্দু থেকে মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং বিপরীত ক্রমে ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দুতেই মিলিত হবে; এর অন্যটি হওয়া সম্ভব নয় l
আবার মহাবিশ্বের ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দু বা একবিন্দুতে মিলিত হবার অতিক্ষুদ্র আয়তনের চেয়ে ক্ষুদ্র আয়তন হওয়াও সম্ভব নয় l তাহলে দাড়ায় মহাবিশ্বের সংকোচনের ফলে ওই একবিন্দুতে মিলিত হওয়া ছাড়া অন্য কোন কিছু ঘটা সম্ভব নয় l অর্থাত মহাবিশ্বের পরিনতি ওই একটাই l
আর তাই আমরা যদি বর্তমান অবস্থা থেকে বিগ ব্যাং-এর শুরুর অবস্থা পর্যন্ত মহাবিশ্বের গঠন প্রণালী বিবেচনা করি তবে বিগ ব্যাং-এর সময়ে অর্থাত সময় যেখানে শূন্য সেই অবস্থানে মহাবিশ্বকে অতিক্ষুদ্র এক বিন্দুতে মিলিত অবস্থায় দেখতে পাবো l যে ক্ষুদ্র আয়তনের চেয়ে ক্ষুদ্র আয়তন সম্ভব নয় l ফলে এই মহা বিশ্বের ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দুর পিছনে কি আছে এই প্রশ্ন করা অর্থহীন হয়ে যাবে l কারণ মহাবিশ্ব সংকোচিত হয়ে ওই অতিক্ষুদ্র বিন্দুতে মিলিত হবে কিন্তু এর চেয়ে ক্ষদ্র হবে না l আর যেহেতু মহাবিশ্ব চতুর্দিক থেকে সংকুচিত হবে তাই ওই অতিক্ষুদ্র বিন্দুর পিছনে কি আছে এই প্রশ্নটি অর্থহীন হয়ে পড়বে l কারণ মহাবিশ্বে তখন সংকোচিত হয়ে শূন্য আয়তনের কাছাকাছি (কিন্তু শূন্য নয়) আয়তনের হবে এবং এটি একদন শূন্য অবস্থানের বিন্দুতে বা অতিক্ষুদ্র বিন্দুতে মিলিত হবে l এবং এই অতিক্ষুদ্র আয়তনের চেয়ে ক্ষুদ্র আয়তন হওয়া সম্ভব হবে না l আবার এই মহাবিশ্ব শূন্য আয়তনেরও হবে না যেহেতু মহাবিশ্বের একটি নির্দিষ্ট পরিমান আছে l আর তাই বিগ ব্যাং-এর পিছনে কোন কিছুর থাকা সম্ভব হবে না l কারণ বিগ ব্যাং-এর শূন্য অবস্থানের বিন্দু বা অতিক্ষুদ্র বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র অবস্থান হওয়া সম্ভব নয় l আর তাই বিগ ব্যাং-এর পিছনে কি আছে এই প্রশ্নটি অর্থহীন হয়ে যায় l যেহেতু মহাবিশ্ব সংকোচিত হয়ে শূন্য অবস্থানের বিন্দু বা অতিক্ষুদ্র বিন্দুতে মিলিত হয় এবং এর চেয়ে ক্ষুদ্র কোন অবস্থান হওয়া সম্ভব নয় তাই বিগ ব্যাং-এর পিছনে কোন কিছু থাকা সম্ভব নয় কারণ ওটা শূন্য বিন্দুতে মিলিত হবে বা মিলিয়ে যাবে l কারণ মহাবিশ্ব তখন চতুর্দিক থেকে সংকুচিত হয়ে আসবে এবং শূন্য বিন্দু থেকে শুন্যে মিলিয়ে যাবে l আর তাই বিগ ব্যাং-এর কোন পিছন অবস্থা থাকবে না l
সুতরাং বিগ ব্যাং-এর পিছনে কি আছে এই প্রশ্নটি করা অর্থহীন l কারণ বিগ ব্যাং-এর পিছনে হচ্ছে শূন্য l যেহেতু মহাবিশ্বের মোট পরিমান শূন্য নয় তাই মহাবিশ্ব শূন্য হবে না l ফলে বিগ ব্যাং-এর কোন পিছনে বলে কিছু থাকবে না l আর এটাই মহাবিশ্বের বাস্তব রূপ l অর্থাত মহাবিশ্ব সত্যি সত্যিই ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দু বা অতিক্ষুদ্র বিন্দুতে মিলিত অবস্থায় ছিল l আর তাই এর কোন পিছনের অবস্থান ছিল না l তাই মহাবিশ্বের মোট উপাদান কিভাবে ওই বিগ ব্যাং-এর বিন্দুতে এসে মিলিত হলো এই প্রশ্নটি অর্থহীন l কারণ মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ প্রকৃতিই বলে দেয় মহাবিশ্ব বিগ ব্যাং-এর ওই একবিন্দুতে মিলিত ছিল কিন্তু এই উপাদান অন্য কোথাও থেকেই আসে নি l এই উপাদানটি ওই এক বিন্দুতেই ছিল l কারণ থিওরি এবং Law বা নিয়ম অনুযায়ী বিগ ব্যাং-এর ওই এক বিন্দু ব্যতিত অন্য কোন অবস্থান থাকা সম্ভব নয় l ফলে মহাবিশ্বের মোট উপাদান অন্য কোথাও থেকেও আসেনি বরং বিগ ব্যাং-এর ওই বিন্দুতিতেই ছিল বিগ ব্যাং-এর শুরুর দিকে l যেহেতু মহাবিশ্বের গতি প্রকৃতি থেকে তাত্তিকভাবে বিগ ব্যাং-এর বিন্দু ব্যতিত অন্য কোন অবস্থান থাকা সম্ভব নয় এবং বিগ ব্যাং-এর অতিক্ষুদ্র (শূন্য অবস্থানের বিন্দু) বিন্দুর পিছনের অবস্থান হওয়া সম্ভব নয় (তাহলে মহাবিশ্ব শুন্যে মিলিয়ে যাবে) তাই বিগ ব্যাং-এর পিছনে কিছু থাকা সম্ভব নয় এবং এর অন্য কোন অবস্থানও সম্ভব নয় l আর তাই মহাবিশ্বের পিছনে কিছু নেই l আছে শুধু শূন্য l

আর তাই মহাবিশ্বের পিছনে কি আছে অথবা মহাবিশ্বের মোট উপাদান কোথা থেকে আসলো ? বিগ ব্যাং-এর আগে এই উপাদানগুলো কোথায় ছিল ? কিভাবে বিগ ব্যাং-এর ওই উপাদান এক বিন্দুতে আসলো ? এই প্রশ্নগুলো অর্থহীন l কারণ বাস্তবতা হচ্ছে বিগ ব্যাং-এর কোন পিছনের অবস্থা নেই কারণ তাহলে বিগ ব্যাং-এর অবস্থান শুন্যে মিলিয়ে যাবে (যেহেতু বিগ ব্যাং-এর এক বিন্দু শুন্যের কাছাকাছি ) l এবং এটি অন্য কোথাও থেকে বিগ ব্যাং-এর বিন্দুতে আসাও সম্ভব নয় কারণ বিগ ব্যাং এর অবস্থান ওই এক বিন্দুতেই সম্ভব এবং এটি ওই বিন্দু থেকেই প্রসারণ শুরু করেছে আর তাই এর কোন পিছনের অবস্থা থাকবে না এবং এটি অন্য কোথা থেকেও আসবে না l এটি ওই বিন্দুতেই থাকবে l
তাহলে দেখা যাচ্ছে বিগ ব্যাং-এর মোট উপাদান অন্য কোথাও থেকে আসেনি বরং বিগ ব্যাং-এর শুরুতে এটি ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দু বা অতিক্ষুদ্র বিন্দুতেই ছিল l
আর তাই বিগ ব্যাং-এর সময় মহাবিশ্বের মোট উপাদান কোথা থেকে এসেছে এই প্রশ্নটি অমূলক বা অর্থহীন l

এবার দেখবো কেন বিগ ব্যাং-এর আগে সময় থাকা সম্ভব নয় !
উপরের আলোচনাটুকু বুঝে থাকলে এই অংশটুকু বোঝা সহজ হবে l
বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় বলে কিছু ছিল না l সময়ের সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে l এখন তাহলে প্রশ্ন চলে আসে কেন বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় থাকা সম্ভব নয় ?
মহাবিশ্বের সম্প্রসারের অবস্থা থেকে এর উত্তর দেয়া যায় l
আমরা জানি বিগ ব্যাং-এর পর থেকে মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে l এবং বিগ ব্যাং-এর পরে তের বিলিয়ন বছরের ব্যবধানে আজকের মহাবিশ্বের এই আকৃতি ধারণ করেছে l এবং এটি প্রসারিত হতে থাকবে সময় অতিবাহিত হবার সাথে সাথে l
তাহলে আমরা যদি আজকের সময় থেকে বিগ ব্যাং-এর সময় পর্যন্ত পিছনের দিকে বিপরীত ক্রমে যেতে থাকি তবে দেখবো মহাবিশ্ব সংকোচিত হয়ে এক বিন্দুতে মিলিত হয়েছে এবং সেই সময়ে সময় ( বা টাইম) শূন্য হয়ে গেছে l অর্থাত সময়কে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে থাকলে এটি শূন্য সময়ে চলে আসবে l অর্থাত বিগ ব্যাং-এর বিন্দুটিতে সময় হবে শূন্য l ফলে এর পূর্বে কোন সময় থাকবে না বা বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্ব মুহূর্ত থাকবে না l কারণ সেখানে সময় হচ্ছে শূন্য বা সময় অনুপস্থিত l
এর কারণ হচ্ছে, সময় সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং-এর ফলে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের মাধ্যমে l অর্থাত বিগ ব্যাং সংগঠিত হবার কারণে মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হয়ে সময়ের যাত্রা শুরু হয়েছে বা সময় সৃষ্টি হয়েছে l এখন সম্প্রসারণ যত বাড়তে থাকবে সময়ও ততো বাড়তে থাকবে l ফলে মহাবিশ্ব আজকের সময় পর্যন্ত যে পরিমান সম্প্রসারিত হবে ঠিক সেই পরিমান সময় বাড়বে l আমরা জানি মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হয়ে এ পর্যন্ত আসতে প্রায় সাড়ে তের বিলিয়ন বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে l  অন্য কথায় মহাবিশ্ব যে পরিমান সম্প্রসারিত হয়েছে এই সম্প্রসারণের ফলে সময়ের অগ্রগতি হয়েছে তের বিলিয়ন বছর l অর্থাত সময় অতিবাহিত হয়ে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ ঘটেছে এবং প্রক্ষান্তরে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের মাধ্যমে সময়ের এই পরিমান অতিবাহিত হওয়া সম্ভব হয়েছে l সময়কে সৃষ্টি হতে হয়েছে এবং সময় নির্ভর করছে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের উপর l
অর্থাত মহাবিশ্ব যতো সম্প্রসারিত হবে সময় ততো বাড়তে থাকবে l

এখন যদি আমরা মহাবিশ্বের সম্প্রসারণকে বিপরীত দিকে প্রবাহিত করি বা কল্পনা করি মহাবিশ্ব সংকোচিত হচ্ছে তাহলে আমরা দেখতে পাবো সময়ও কমতে শুরু করেছে অর্থাত সময় বিপরীত দিকে ফিরে যাচ্ছে l ফলে মহাবিশ্ব সংকোচিত হয়ে এক বিন্দুতে মিলিত হওয়ার ফলে সময় কমতে কমতে একদম শূন্য হয়ে যাবে l অর্থাত বিগ ব্যাং-এর সময়টাতে সময় বা টাইম শূন্য বা সময় বলে কিছু নেই l
এখানে যেহেতু মহাবিশ্ব চতুর্দিক থেকে সংকুচিত হবে ফলে সময় নিজেও চতুর্দিক থেকে কমে আসবে l ঠিক চিত্রের বৃত্তের মত করেই অথবা ওই ফুটবলের মত করেই l
এরফলে সময় চারদিক থেকে কমে এসে ওই শূন্য অবস্থানের বিন্দুতে বা অতিক্ষুদ্র বিন্দুতে সময় শূন্য হয়ে যাবে এবং এটি শূন্য বিন্দুতে স্থির হয়ে থাকবে l অর্থাত বিগ ব্যাং-এর বিন্দুতে সময় অনুপস্থিত থাকবে l যেহেতু এই বিন্দুর কোন পিছন অবস্থা বা ব্যাক নেই তাই সময়ের শূন্য অবস্থার কোন পূর্ব মুহূর্ত এবং অতীত বা পাস্ট থাকবে না l ফলে বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্ব মুহূর্ত বা পাস্ট থাকবে না l চিত্র অনুযায়ী যেমন বিগ ব্যাং-এর অবস্থাটা হবে শূন্য অবস্থার এক অতিক্ষুদ্র বিন্দু এবং এর কোন পিছন বা ব্যাক নেই (তাহলে বিন্দুটি শুন্যে মিলিয়ে যাবে) ঠিক তেমনি সময়ের চিত্রে ওই শূন্য বিন্দুর কোন পিছনে বা পাস্ট থাকবে না l চিত্রে বৃত্তগুলোকে যদি সময় হিসেবে ধরি তবে দেখতে পাবো যে মহাবিশ্বের সংকোচনের সাথে সাথে সময় কমতে কমতে শূন্য অবস্থানের বিন্দুতে মিলিত হবে l ফলে এই শূন্য অবস্থানের বিন্দু বা অতিক্ষুদ্র বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র কোন বিন্দু সম্ভব নয় l আর তাই বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্ব মুহূর্ত বা পাস্ট থাকা সম্ভব নয় l এখানে চিত্রে অতিক্ষুদ্র বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র কোন বিন্দু সম্ভব নয় l অতিক্ষুদ্র বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র অর্থাত এই শূন্য সময়ের পিছনে যাওয়া সম্ভব হয় না কারণ তাহলে এই অতিক্ষুদ্র সময়ের চেয়ে ক্ষুদ্র কোন বিন্দু থাকতে হয় যেটা বাস্তবে সম্ভব নয় l আর তাই বিগ ব্যাং-এর শূন্য সময়ের পূর্বে অর্থাত সময়ের সৃষ্টির পূর্বে সময় বলে কিছু থাকবে না l তাহলে চিত্রে অতিক্ষুদ্র বিন্দুটিকে শুন্যে মিলিয়ে যেতে হবে যেহেতু এই অতিক্ষুদ্র বিন্দুর পরেই শুন্যের অবস্থান l এবং বৃত্তের কমে যাওয়ার ফলে এই অতিক্ষুদ্র অবস্থানের নিচে কোন অবস্থান থাকা সম্ভব নয় l আবার মহাবিশ্বের সংকোচন হয় চতুর্দিক থেকে l এবং এটি চতুর্দিক থেকে সংকোচিত হয়ে এক বিন্দুতে মিলিত হয় যে বিন্দুর চেয়ে কোন কিছু ক্ষুদ্র হতে পারে না অর্থাত এই অতিক্ষুদ্র বিন্দুর চেয়ে কোন কিছু ক্ষুদ্র হওয়া সম্ভব নয় আর তাই সময়ও চতুর্দিক থেকে কমে এসে শূন্য হয়ে যাবে এবং বিগ ব্যাং-এর বিন্দুতে এসে স্থির হয়ে যাবে কিন্তু এই বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র হতে পারবে না যেহেতু ওই অতিক্ষুদ্র বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র কিছু থাকবে না l আর তাই বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্ব মুহূর্ত থাকবে না অর্থাত বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় বলে কিছুর অস্তিত্বই থাকবে না l ফলে বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্ব মুহূর্ত নেই বা পাস্ট নেই l মহাবিশ্বের মত সময় নিজেও চতুর্দিক থেকে সংকোচিত হয়ে শূন্য অবস্থানের বিন্দু বা অতিক্ষুদ্র এক বিন্দুতে মিলিত হয় (যেখানে সময় হয় শূন্য এবং মহাবিশ্বের সব উপাদান এক বিন্দুতে মিলিত হয়) এবং এই বিন্দুর কোন পিছন অবস্থা নেই শুন্যে মিলিয়ে যাওয়া ছাড়া l আর এজন্যই বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় থাকা সম্ভব নয় বা সময় অনুপস্থিত l
এখানে লক্ষনীয় ব্যাপার হচ্ছে সময় মহাবিশ্বের সাথে সাথে চতুর্দিক থেকে সংকোচিত হয়ে অতিক্ষুদ্র এক বিন্দুতে মিলিত হয় যে বিন্দুটি আর ক্ষুদ্র হতে পারে না (কারণ বিন্দুটি চতুর্দিক থেকে সংকোচিত হয়ে একদম শুন্যের কাছাকাছি বিন্দুতে মিলিত হয় যে বিন্দুর চেয়ে ক্ষুদ্র কিছু হতে পারে না) ফলে সময়ের পরিসীমা ওই বিগ ব্যাং পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে l এর পূর্ব কোন অস্তিত্ব থাকে না l
এটাই হচ্ছে বাস্তবতা স্থান-কালের বিশ্বজগতে l আর এজন্যই বিগ ব্যাং-এর পূর্বে কোন সময় থাকবে না এবং বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় অনুপস্থিত থাকায় বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্ব মুহূর্ত বা পূর্ব অবস্থা নেই l বিশ্বজগতের একটাই অবস্থা সেটা হচ্ছে বিগ ব্যাং l এর যেমন কোন পূর্ব অবস্থা নেই তেমনি এর কোন পূর্ব মুহূর্তও নেই l অর্থাত আমাদের বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং-এর বিন্দু থেকে এবং বিগ ব্যাং-এর সময় থেকেই l অনন্তকাল থেকে নয় এবং অনন্ত অবস্থা থেকেও নয় l এটা আমাদের বোধশক্তিতে অসম্ভব কিন্তু বাস্তব সত্যি l এর কোন বিকল্প ঘটেনি এবং এর কোন বিকল্প নেই l


বিগ ব্যাং-এর সমস্ত উপাদান বিগ ব্যাং-এর শুরুর বিন্দুতেই ছিল তাই কোন সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেনি এই বিশ্বজগত এবং বিগ ব্যাং-এর পূর্বে কোন সময় ছিলনা কোন সৃষ্টিকর্তা থাকার মত l আর তাই আমাদের বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই l থাকা সম্ভবও নয় l



4 comments:

  1. ধন্যবাদ এতো সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যার জন্য

    ReplyDelete
  2. ফালতু, তাল গাছ আমার পোস্ট।

    ReplyDelete
  3. আপনাকে সৃষ্টি করেছে কে?

    ReplyDelete
  4. Last kothata kharap laglo....
    Allah apnake hedayat dan koruk.....
    Amin...

    ReplyDelete