Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, July 22, 2014

বিশ্বজগতের বিস্ময়কর এক সৃষ্টি সময় বা কাল (Time) !


প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভেবে আসছে সময় চিরকাল থেকেই চলে এসেছে এবং চিরকাল থাকবে l অর্থাত সময় চিরন্তন একটা ব্যাপার সময় অনন্ত অসীম
কিন্তু বিজ্ঞান বলে সময় অনন্ত অসীম নয় সময়ের সৃষ্টি হয়েছে একটা নির্দিষ্ট সময় পূর্বে এবং এটির ধ্বংস হবারও খুব বেশি সম্ভাবনা রয়েছে বা ধ্বংস হবে
বিগ ব্যাং তত্ত্ব অনুযায়ী সময় সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং-এর সময় থেকে এর পূর্বে কোন সময় ছিল না কারণ তখন সময় তৈরিই হয়নি অর্থাত বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্ব মুহূর্ত ছিল না
অর্থাত আমাদের বিশ্বজগতের যাত্রা শুরু হয়েছে বিগ ব্যাং থেকে এর পূর্বে কোন জগত ছিল না জগত সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে আর তাই আমাদের বিশ্বজগত চিরকালেব্র নয় আমাদের বিশ্বজগত বিগ ব্যাং-এর পর থেকে এবং এই বিশ্বজগত সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে সময় সৃষ্টি হয়েছে এবং সৃষ্টি করেছে আমাদের বিশ্বজগত তাই আমাদের বিশ্বজগত অনন্তকালের নয় বরং এটি একটি নির্দিষ্ট কাল পূর্বের যেটা সাড়ে তেরোশত কোটি বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছে এবং আরো কোটি কোটি বিলিয়ন বছর ধরে চলতে থাকবে
আবার আমরা দেখি যে আমাদের বিশ্বজগত তিন মাত্রার বিশ্বজগত (Three Dimension) অর্থাত আমাদের বিশ্বজগত শুধু দৈঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা এই তিনটি মাত্রা নিয়ে গঠিত হয়েছে কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে আমাদের বিশ্বজগত আসলে তিন মাত্রার বিশ্বজগত নয় বরং এটি চারমাত্রার বিশ্বজগত দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা এই তিনটি মাত্রার সাথে একটি মাত্রা 'সময় বা কাল (Time)'  যোগ হয়ে তৈরী করেছে চারমাত্রার স্থান-কাল-এর জগত (স্পেস-টাইম) তিন মাত্রার জগতের সাথে সময় পেচিয়ে তৈরী করেছে স্থান কালের বক্রতা আর এর মধ্য দিয়ে তৈরী হয়েছে আমাদের স্থান-কালের বিশ্বজগত স্থান-কালের চতুর্মাত্রিক বিশ্বজগত
চিরকাল থেকে মানুষ ভেবে এসেছে সময়ের গতিপথ সরল রৈখিক অর্থাত সময় অতীত থেকে এসে বর্তমান হয়ে ভবিষ্যতের দিকে সরল রৈখিক পথে গমন করে এবং সময়ের এই গতি সব জায়গায় অভিন্ন সময় বিশ্বজগতের গতি পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল নয় বরং সময় সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং অতীত থেকে ভবিষ্যতের পথে সময়ের গতি কখনই পরিবর্তিত হয় না
কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে মানুষ বিস্ময়ের সাথে আবিষ্কার করলো সময় স্বাধীন কোন অস্তিত্ব নয় এটি স্থানের সাথে এবং বস্তুর গতির সাপেক্ষে সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল স্থান ও বস্তুর গতির পরিবর্তনের সাথে সাথে সময়েরও পরিবর্তন হয় স্থানের সাথে সময় যুক্ত হয়ে সরল রৈখিক পথে না যেয়ে বক্র পথে গমন করেছে এমনকি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বা স্থানে বস্তুর গতি ভিন্ন ভিন্ন হলে সময়ও ভিন্ন ভিন্ন গতিতে পরিবর্তিত হবে এক কথায় স্থান বা বস্তুর মতই সময় আপেক্ষিক ফলে সময় চিরন্তন নয়; অনন্ত এবং অসীমও নয়
সময় এমনই এক সত্বা যাকে সৃষ্টি হতে হয়েছে এবং এর বিনাশও ঘটবে ফলে বিশ্বজগতের যে চিত্র আমরা দেখতে পাই বাস্তবতা আসলে ভিন্ন যেটা আমরা বুঝতে পারি না কারণ সময়ের স্রোতে ভেসে চলা একটা জগতে থেকে আমরা সেই জগতের বাইরের যে প্রকৃত রূপ সেটা আমরা কখনই বুঝতে পারব না আমরা সময়কে সরল রৈখিক পথে গমন করতে দেখি কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এটি স্থানের সাথে মিলে যেয়ে বক্র পথে গমন করেছে যেটাকে স্থান-কালের বক্রতা বলা হয়
আবার বস্তুর গতিপ্রকৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে সময় পরিবর্তিত হয় অর্থাত ভিন্ন ভিন্ন গতি প্রকৃতির অভ্যন্তরীণ সময়ের পরিবর্তনের পার্থক্য ভিন্ন ভিন্ন স্থির অবস্থানের বস্তুর সময়ের পরিবর্তন এবং গতিশীল অবস্থানের বস্তুর সময়ের পরিবর্তন ভিন্ন হয় আবার কম গতিশীল বস্তুর সময়ের পরিবর্তনের চেয়ে বেশি গতিশীল বস্তুর সময়ের পরিবর্তন হয় কম
আলো সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার গমন করে অর্থাত আলো এক সেকেন্ডে যে পথ অতিক্রম করে সেটা তিন লক্ষ কিলোমিটার আলো এক সেকেন্ড সময়ে ঠিক তিনলক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে এখানে সময়ের মাপ কাঠিতে আলোর অতিক্রান্ত পথকে নির্দেশ করা হয় অর্থাত আলোর অতিক্রান্ত পথকে সময়ের সাহায্যে নির্দেশ করা হয় এর মাধ্যমে বুঝা যায় আলো এক সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটারই অতিক্রম করবে এর কম বা বেশি নয়
আবার শুধু যে আলোর গতি সময়ের উপরই নির্ভরশীল থাকবে এমন নয় বরং বিপরীত ক্রমে সময় নিজেও আলোর গতির উপর নির্ভরশীল থাকে অর্থাত আমরা যে জানি আলো এক সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটারই যাবে এটার বিপরীত ঘটনাও সম্ভব সেখানে আলো তিন লক্ষ কিলোমিটার অতিক্রম করতে যে সময় ব্যায় করবে সেটাই হবে এক সেকেন্ড সহজ করে বললে আলো কোন স্থানে তিন লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে যে সময় ব্যায় হবে সেটাকেই এক সেকেন্ড ধরা হবে বা সেটাই হচ্ছে এক সেকেন্ড এখানে আলো যেমন সময়ের উপর নির্ভরশীল ঠিক তেমনিভাবে সময় নিজেও আলোর গতির উপর নির্ভরশীল অর্থাত এক সেকেন্ড হতে বা এক সেকেন্ড সময় অতিবাহিত হতে আলোকে তিন লক্ষ কিলোমিটার যেতে হবে অর্থাত আলো তিন লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেই সেই সময়টা হবে এক সেকেন্ড । (উপরের সবগুলো ক্ষেত্রে শূন্য মাধ্যমে আলোর গতি নির্ণয় করতে হবে ।)
অর্থাত আলোর গতি এবং সময় পরস্পরের উপর নির্ভরশীল

এখন ধরি মহাকাশে এমন একটি বস্তু যেটা খুব বেশি বেগে গতিশীল রয়েছে তাহলে পৃথিবীর সাপেক্ষে তার সময়ের পরিবর্তন হবে কম ফলে পৃথিবীতে কোন বস্তুর যে সময় অতিবাহিত হবে মহাকাশে অবস্থিত গতিশীল বস্তুটির খুব কম সময় অতিবাহিত হবে এক্ষেত্রে মহাকাশের বস্তুটির তুলনায় পৃথিবীর বস্তুটির কয়েক হাজার মুহূর্ত ঘটে যাবে কিন্তু দেখা যাবে মহাকাশের বস্তুটির মাত্র একটি ঘটনা ঘটেছে ফলে পৃথিবীতে অনেক বেশি সময় অতিবাহিত হবে মহাকাশের ওই বস্তুটির তুলনায়
এটা বোঝার জন্য আমরা এমন একটা মহাকাশযান কল্পনা করতে পারি যেটার দৈর্ঘ্য হচ্ছে তিন লক্ষ কিলোমিটার এখানে মহাকাশযানের মধ্যে আলো প্রবেশ করে অন্য পাশে বের হলে এক সেকেন্ড অতিবাহিত হবে অর্থাত মহাকাশযানের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় আলো অতিক্রম করার ফলে এক সেকেন্ড সময় ব্যায় হবে কিন্তু যদি মহাকাশযানটি প্রচন্ড বেগে গতিশীল থাকে তবে আলো এক মাথা থেকে অন্য মাথায় পৌছতে বেশি সময় লাগবে কারণ এখানে মহাকাশযানটা নিজেই আলোর গতির সাথে গতিশীল থাকার দরুণ আলো মহাকাশযানটি অতিক্রম করতে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি সময় লাগবে কিন্তু আলো মহাকাশযানটির এক প্রান্ত থেকে বিপরীত প্রান্ত অতিক্রম করা না পর্যন্ত এক সেকেন্ড হবে না এর কারণ হচ্ছে মহাকাশ যানের দৈর্ঘ্য হচ্ছে তিন লক্ষ কিলোমিটার এবং আলো এই তিন লক্ষ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারলেই কেবলমাত্র এক সেকেন্ড অতিবাহিত হবে এতে যদি মহাকাশযানটি আলোর গতির সমান্তরালে গতিশীল থাকে এবং তাহলে এই গতিশীল অবস্থায় আলোকে যে অতিরিক্ত বেশি সময় নিয়ে মহাকাশ যানটিকে অতিক্রম করতে হবে তবুও মহাকাশের এক সেকেন্ড হবে আলো মহাকাশযানটিকে অতিক্রম করতে পারার সময়টি এখানে মহাকাশ যানটি আলোর সাথে গতিশীল হওয়ায় আলোর মহাকাশযানটিকে অতিক্রম করতে যে সময় লাগবে সেটা পৃথিবীতে অবস্থানরত একজনের কাছে অনেক বেশি দীর্ঘ বলে মনে হবে কিন্তু সেই মহাকাশযানে অবস্থানরত একজন ব্যক্তির কাছে সেটা এক সেকেন্ড-ই থাকবে ফলে পৃথিবীর সাথে সেই মহাকাশযানটির বিশাল সময়ের পার্থক্য দেখা দিবে এখানে আলোর গতি সময়কে নিয়ন্ত্রণ করছে দুই ভিন্ন অবস্থানে দুই ভিন্ন গতির সাপেক্ষে
এজন্যই মহাকাশে গতিশীল কোন বস্তুর তুলনায় পৃথিবীতে কোন বস্তুর সময়ের পার্থক্য দেখা যায়
ফলে সময় চিরন্তন কথাটা মিথ্যে হয়ে যায় প্রমানিত হয় সময় সম্পূর্ণ আপেক্ষিক ব্যাপার এবং এটি স্থানের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত আর এজন্যই আমাদের জগৎ চিরকালের নয় এটি একটি নির্দিষ্ট সময় পূর্বে সৃষ্টি হয়েছে যাকে বিগ ব্যাং বলা হয়; সেই সময় থেকেই বিশ্বজগতের যাত্রা শুরু হয়েছে চিরকাল থেকে আমাদের বিশ্বজগত ছিল না এটি বিগ ব্যাং থেকে যাত্রা শুরু করেছে
আর তাই বিশ্বজগতের সৃষ্টি ওই বিগ ব্যাং থেকেই এর পূর্বে সময় ছিল অনুপস্থিত সময়হীন এক অবস্থা
বিগ ব্যাং সংগঠিত হবার আগে বিশ্বজগতের যে অবস্থা ছিল সেখানে সময় ছিল না বা সেটা ছিল সময়হীন অবস্থা ফলে বিগ ব্যাং যে বিন্দুটিতে ছিল সেটা সেই বিন্দুটিতেই ছিল এবং এটি অন্য কোথাও থেকেও আসেনি যদি এটা অন্য কোথাও থেকে ওই অবস্থানে এসে থাকে তবে তাকে সময় অতিবাহিত করে সেই বিন্দুটিতে আসতে হবে কিন্তু যেহেতু বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় বলে কিছুর অস্তিত্ব ছিলনা তাই বিশ্বজগতের সমস্ত উপাদান ওই বিন্দুটিতেই ছিল অন্য কোথাও ছিল না এবং বিশ্বজগতের সমস্ত উপাদান ছিল বিগ ব্যাং-এর সময় থেকেই এর পূর্বে থেকে নয় কারণ বিগ ব্যাং-এর পূর্ব বলে কিছু নেই কারণ বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় ছিলনা সময় তৈরিই হয়নি তখন ফলে আমাদের বিশ্বজগতের যাত্রা বিগ ব্যাং-এর বিন্দু থেকে এবং বিগ ব্যাং-এর সময় থেকে অনন্তকাল থেকে নয় সুতরাং বিগ ব্যাং-এর পূর্বে যে অবস্থাটি ছিল সেটা সময়হীন এক অবস্থা এবং সময়ের সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং থেকে
তাই বিশ্বজগতের শুরু হচ্ছে সময়ের শুরু থেকে; সময় সৃষ্টির মধ্য দিয়ে
যেহেতু সময় ছাড়া কোন কাজ হওয়া সম্ভব নয় বা কোন ঘটনা ঘটা সম্ভব নয় তাই বিগ ব্যাং-এর কোন পুর্বমুহুর্ত বা পূর্ব ঘটনা নেই বিগ ব্যাং-ই হচ্ছে একমাত্র ঘটনা এবং সময় সৃষ্টির সূচনা যেটার মাধ্যমে আমাদের এই বিশ্বজগতের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর কোন পূর্ব বা অতীত নেই নেই কোন অতীত বা পূর্ব ঘটনা বিশ্বজগত চিরকালের নয় বা চিরদিনের নয় কারণ বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্বমুহূর্ত ছিল না কোন পূর্বও ছিল না কারণ সময় বলে কিছুর অস্তিত্ব ছিল না তখন
সময় একটা বিস্ময়কর ব্যাপার; বিশ্বজগতের থেকেও বিস্ময়কর ব্যাপার এই বিস্ময়কর সময় প্রমান করে বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই বিশ্বজগত সৃষ্টিকর্তাহীন একটা বাস্তব জগৎ সময়ই প্রমান করে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব একটা কাল্পনিক অস্তিত্ব সময় ছাড়া বা সময়হীন অবস্থায় সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয় আর সময় যেহেতু বিগ ব্যাং-এর পূর্বে ছিল না তাই এর পূর্বে কোন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকাও অসম্ভব
যদি সময় চিরন্তন হতো তবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকা সম্ভব হতো কিন্তু বিস্ময়কর সৃষ্টি সময় চিরন্তন নয় ফলে বিশ্বজগতও চিরকালের নয় ফলে চিরন্তন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বও অসম্ভব
সময় বা কাল (Time) নির্ধারণ করে দিচ্ছে সৃষ্টিকর্তাহীন জগতের
অন্য কথায় বলা যায় সময়ই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের চাবিকাঠি সময়হীনতাই প্রমান দেয় সৃষ্টিকর্তাহীনতা সময় নেই তো জগৎ নেই; সময় আছে তো জগৎ আছে আর তাই সময় হচ্ছে বিশ্বজগতের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি সময় সৃষ্টি হলে জগতের সৃষ্টি হবে সময় সৃষ্টি না হলে বিশ্বজগতের যাত্রা শুরু হবেনা সৃষ্টিজগৎ থেমে যাবে সময় থেমে গেলে সময় অনুপস্থিত থাকলে সৃষ্টিকর্তাও অনুপস্থিত থাকবে সময় নেই কিছু নেই সময় আছে তবে সব আছে

(বি.দ্র. :- সময় ছাড়া যে অবস্থার সৃষ্টি হয় সেটাকে সিঙ্গুলারিটি বলে সেটা হচ্ছে শূন্য অবস্থানের জগৎ সেখানে সবকিছু পরম শূন্য আরেক বিস্ময়কর জগৎ সময়হীন জগৎ স্থান পরম শূন্য, বস্তু পরম শূন্য, মহাবিশ্বের অবস্থান পরম শূন্য এবং সময় শূন্য জগৎ )

3 comments:

  1. আচ্ছা তাহলে এত কিছু থাকতে সময়টাই বা কেন সৃস্টি হল ? বিগ ব্যাং বা মহা বিস্ফোরণ , আর কোন কিছু বিস্ফোরণ ঘটতে গেলে অবশ্যই উপাদান দরকার , তো বিগব্যাং সেই উপাদান পেল কোই থেকে ? এখন হয়তো কোয়ান্টাম কনা বা সেই বোসন কনার কথা আসবে , কিন্তু সেটা আর যাই হোক কনা জিনিস টাই এল কোথা থেকে ? একেবারে কিছুই নাই থেকে সামান্য কনা তো দূরে থাক কোন কিছুই সৃস্টি হওয়া কি সম্ভব ? মহাবিশ্বে এত পরিমান শক্তি ও পদার্থ একদম শুন্য বা কিছুই নাই থেকে হল ! এটা অনেকটা অযৌক্তিক ! এখন হয়তো কথা আসতে পারে যে বিগ ব্যাং এর আগে বিপুল পরিমান শক্তি বিরাজমান ছিল , কিন্তু সেই ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন , সেই শক্তিটাই বা এল কোথা থেকে ?? আর একটাও প্রশ্ন আসে আর সেটা হল কোন ঘটনা ঘটতে স্থান লাগে + সময় ও লাগে , তো বিগ ব্যাং ঘটার সময় কোনটা আগে সৃস্টি হয়েছে ঃ সময় না ঘটনা নাকি স্থান ! কারন বিগ ব্যাং একটা ঘটনা আর সময় বা স্থান না থাকলে ঘটনা ঘটবে কিভাবে ?? আর সবকটাই (সময়,স্থান,কাল) একসাথে সৃস্টি হওয়ারও বা কি যৈক্তিকতা আছে কারন এগুলো তো একে অপরের উপর নিভর্শীল , একটা না হলে তো অন্যটা হওয়ার প্রশ্নই আসে না !

    ReplyDelete
  2. আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সবকিছু বুঝিয়েছেন।কিন্তু সৃষ্টিকর্তা নাই এই কথাটি আমি মানতে পারছি না।
    এই সময়টা যে এলো তা সৃষ্টি করলো কে।বা বিগ ব্যাং যে ঘটলো সেটাও তো এমনি এমনি ঘটে নি,,,,🙄

    ReplyDelete