Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Monday, September 22, 2014

মুসলমানদের মিথ্যে দাবী - কুরআনে বিগ ব্যাং এবং পৃথিবী ঘুর্নায়মান !


মুসলমানরা দাবি করে কুরানে বিগ ব্যাং থিওরী অনেক আগেই বর্ণনা করা হয়েছে l তারা কুরআনের সুরা আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াত উল্লেখ করে দাবি করে যে এই আয়াতে বিগ ব্যাং থিওরীর কথা বলা হয়েছে l তারা আরো দাবি করে কুরানে নাকি পৃথিবীর ঘূর্ণনের কথা ১৪০০ বছর আগেই কুরানে বর্ণনা করা হয়েছে l আসুন আমরা দেখি কুরানে সত্যি বিগ ব্যাং এবং রাত দিনের পরিবর্তন বা পৃথিবীর ঘূর্ণন সম্পর্কে কি বলা হয়েছে l
কুরআনে আছে;
২১) সুরা আম্বিয়া, আয়াত ৩০ :
অবিশ্বাসিরা কি লক্ষ্য করে দেখে না,নভোমন্ডল ও ভুমন্ডল পরস্পর সংযুক্ত ছিল ;অতপর আমি এদের ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি l”

"যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অত:পর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না ?" (অনুবাদ - প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)
এই আয়াত অনুযায়ী, পৃথিবী ও আকাশমন্ডলী একসাথে মিশে ছিল অর্থাত একটা আরেকটার সাথে মিলিত অবস্থায় ছিল এবং আল্লাহ এদেরকে পৃথক করে দিয়েছে l

এখানে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে যে পৃথিবী এবং আকাশ আগে থেকেই তৈরী অবস্থায় ছিল এবং একটা আরেকটার সাথে পরস্পর মিশে ছিল l আল্লাহ শুধু এদেরকে আলাদা করে দিয়েছে l এটা বিগ ব্যাং থিওরীর সম্পূর্ণ বিপরীত l


একটা দুইহাত কাঠিকে মাঝ বরাবর ভেঙ্গে একটাকে উপরে রাখা আরেকটাকে নিচে রাখা হয়েছে আর এটা দিয়ে কি বিগ ব্যাং বুঝা যায় ? এই আয়াতে বলা হয়েছে পৃথিবী ও আকাশ একসাথে ছিল জোড়া লাগানো অবস্থায় এবং আল্লাহ এদেরকে ভেঙ্গে আলাদা করে দিয়েছেন ! এই আয়াতে আরো লক্ষ করুন বলা হচ্ছে ভু-মন্ডল মানে পৃথিবী এবং নভোমন্ডল বা আকাশ (যেটা শক্ত কঠিন ছাদ) এগুলো আগে থেকেই তৈরী অবস্থায় ছিল এবং আল্লাহ শুধু এদের ভেঙ্গে আলাদা করে দিয়েছে এবং একটাকে উপরে স্থাপন করেছে (আকাশকে) এবং একটাকে নিচে স্থাপন করেছে (পৃথিবী) ! আর এটা বিগ ব্যাং-এর সম্পূর্ণ বিপরীত ! বিগ ব্যাং-এর মতে পৃথিবী ও বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং-এর লক্ষ কোটি বছর পরে ! মানে বিগ ব্যাং-এর পরে লক্ষ বছর লেগেছে পৃথিবী ও তারকা সমূহ তৈরী হতে ! কিন্তু কুরানে বলা হচ্ছে পৃথিবী ও আকাশ আগে থেকেই তৈরী করা ছিল এবং একসাথে লাগানো অবস্থায় ছিল ! আল্লাহ শুধু এদেরকে আলাদা করে দিয়েছে ! যেটা বিগ ব্যাং থিওরীর সম্পূর্ণ বিপরীত l  
অর্থাত কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী পৃথিবী ও আকাশসমূহ পরস্পরের সাথে মিলে মিশে ছিল মানে পৃথিবী এবং তার উপর আকাশ একদম মিশে ছিল একটার উপর আরেকটা l আল্লাহ শুধু এদুটোকে আলাদা করে একটাকে(আকাশকে) উচ্চে স্থাপন করেছে এবং অন্যটাকে (পৃথিবীকে) নিচে স্থাপন করেছে l এটা দিয়ে কখনই বিগ ব্যাং বুঝানো যায় না l বরং বিগ ব্যাং-এর বিপরীত কথাই এখানে বলা হয়েছে l

আবার মুসলমানরা সূরা লোকমান-এর ২৯ নাম্বার আয়াত উল্লেখ করে বলে এখানে প্রবিষ্ট হওয়া বলতে বোঝায় রাত ধীরে ধীরে ও ধারাবাহিক ভাবে দিনের ভেতর প্রবেশ করে ৷ তেমনটি দিনও রাতের ভেতর ৷ যদি পৃথিবী চ্যাপ্টা বা সমান্তরাল হত তাহলে তা সম্ভব হত না ৷ আর তাই এই আয়াত দ্বারা পৃথিবীকে গোলক আকৃতির বলা হয়েছে l

আসুন আমরা দেখি আসলে কুরআনে কি বলা হয়েছে !
 কুরআনে বলা হয়েছে;
"তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন ? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেনপ্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করেতুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন ?" (সূরা লোকমানঃ২৯)

এই আয়াতে বলা হচ্ছে আল্লাহ রাতকে দিনের ভিতরে প্রবিষ্ট করে বা ঢুকিয়ে দেয় এবং দিনকে রাতের ভিতরে প্রবিষ্ট করে বা ঢুকিয়ে দেয় l এটা একটা বিজ্ঞান বিরোধী কথা l আপনি যদি বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে থাকেন তবে আপনি জেনে থাকবেন রাত বলে বাস্তব জগতে কিছুর অস্তিত্ব নেই l কিন্তু দিনের বাস্তব অস্তিত্ব আছে l কারণ হচ্ছে সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসে এবং এটা কোন প্রাণীর চোখে পরে ফলে সেই প্রাণীটি দেখতে পায় বলে সেটাকে দিন বা আলোকিত অবস্থায় দেখে l অর্থাত দিন তৈরী হচ্ছে সূর্যের আলোর প্রত্যক্ষ উপস্থিতির জন্য l তার মানে হচ্ছে দিনের অস্তিত্ব আছে l কিন্তু যখন সূর্য ঢুবে যায় (প্রকৃত পক্ষে পৃথিবীর অপর পাশে চলে যায়) তখন পৃথিবীতে আলো আসা বন্ধ হয় (এটা ঘটে পৃথিবীর বিপরীত এক পাশে) l ফলে কোন আলো আর আসে না l
এবং কোন প্রাণীই আর কিছু দেখতে পায় না অর্থাত প্রাণীর চোখে কোন আলো পরে না ফলে মস্তিষ্ক আলো না আসার দরুন বিপরীত ক্রিয়া হিসেবে সব কিছু কালো অন্ধকার দেখায় l আমরা জানি কালো হচ্ছে সব রঙের অনুপস্থিতি অর্থাত কোন আলোর অনুপস্থিতি l যেহেতু রাতের বেলা কোন আলো আসে না সূর্যের কাছ থেকে তাই সব কিছুই অন্ধকার দেখায় l অর্থাত অন্ধকার হচ্ছে আলোর অনুপস্থিতি l আলোর উপস্থিতি হচ্ছে দিন এবং আলোর অনুপস্থিতি হচ্ছে রাত l অর্থাত আলোর উপস্থিতির জন্য দিন হয় এবং আলোর অনুপস্থিতির জন্য রাত হয় l আলোর নিজস্ব অস্তিত্ব আছে কিন্তু অন্ধকারের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই l আলোর অনুপস্থিতিই হচ্ছে অন্ধকার l তেমনি রাতের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই বরং দিনের অনুপস্থিতিই হচ্ছে রাত l
রাতের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই l এটি মস্তিষ্কের আলোর অনুপস্থিতির একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া l অর্থাত আলোর অনুপস্থিতির জন্য মস্তিষ্কে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় সেটাই হচ্ছে অন্ধকার বা রাত l অর্থাত রাতের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই l এটা শুধুমাত্র মস্তিষ্কের একটি প্রতিক্রিয়া কিন্তু বাস্তব জগতে এর কোন অস্তিত্ব নেই l আলোর অনুপস্থিতিতে মস্তিস্ক একটি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে যেটা আমাদের কাছে অন্ধকার রাত হিসেবে মনে হয় l কিন্তু বাস্তব জগতে এর কোন অস্তিত্ব নেই l আছে শুধু মস্তিস্কে l
যেহেতু রাতের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই, তাই রাতকে দিনের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া বা প্রবিষ্ট করা একে বারেই অসম্ভব l আবার বিপরীত ভাবে দিনকেও রাতের ভিতরে প্রবিষ্ট করা বা ঢুকিয়ে দেয়া সম্ভব নয় l
রাতের কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই এটা একটি মস্তিস্কের বিপরীত প্রতিক্রিয়া মাত্র এই তথ্যটি মুহাম্মদ অর্থাত আল্লাহ জানতো না l আর তাই সে ভেবেছে রাতকে দিনের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায় এমনকি দিনকেও রাতের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায় l কিন্তু বাস্তব জগতে রাতের কোন বাস্তব অস্তিত্ব না থাকায় এটাকে কোন কিছুর ভিতরেই ঢুকিয়ে দেয়া সম্ভব নয় l আর এই তথ্যটা আল্লাহ জানতো না বলেই কুরানে এমন অদ্ভুত কথা বলা হয়েছে যে, রাতকে দিনের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় আর দিনকে রাতের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় l প্রকৃত সত্য হচ্ছে যার কোন বাস্তব অস্তিত্ত নেই তাকে কোথাও ঢুকানো হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারনা এবং উদ্ভট কল্পনা মাত্র l পক্ষান্তরে কোন কিছুকে অস্তিত্বহীন কোন কিছুতেই ঢুকানো সম্ভব নয় l
অর্থাত রাতকে দিনের ভিতরে ঢুকানো হচ্ছে এবং দিনকে রাতের ভিতরে ঢুকানো হচ্ছে এই ধারনাটা মুহাম্মদের উর্ভর মস্তিস্কের কল্পনা বা ধারণা মাত্র l

সুতরাং "রাত ধীরে ধীরে ও ধারাবাহিক ভাবে দিনের ভেতর প্রবেশ করে ৷ তেমনটি দিনও রাতের ভেতর" এটা একেবারেই অবান্তর কথা l রাত কখনই দিনের ভিতরে প্রবেশ করবে না এবং দিন রাতের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না l কারণ রাতের কোন বাস্তব অস্তিত্তই নেই l আর তাই "যদি পৃথিবী চ্যাপ্টা বা সমান্তরাল হত তাহলে তা সম্ভব হত না" এটা বলাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় l আর এই আয়াত দ্বারা কখনই পৃথিবীর আকার বুঝা সম্ভব নয় l এই কথাগুলো জাকির নায়েকের মত মানুষের উর্ভর মস্তিস্কের ব্যাখ্যা এবং তারা বোকা মুসলমানদেরকে আরো বোকা বানাতেই এই ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে l

"তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন" এটা ভালো কথা; কিন্তু "প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে" বলতে আল্লাহ এখানে কি বুঝিয়েছে ? সূর্য আর চাদ সবসময়ই পরিভ্রমন করে তাহলে এখানে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে এই কথাটা কেন বলা হয়েছে ?
যদি চাদ ও সূর্য নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে তবে বাকি সময় তারা কি করে এবং কোথায় যায় ?
এর উত্তর খুজতে গেলে মুহাম্মদের সময়ের মানুষের চাদ-সূর্যের ধারণা জানতে হবে ! মুহাম্মদের সময়ে মানুষ ভাবতো পৃথিবী সমতল, আকাশ হচ্ছে শক্ত কঠিন ছাদ এবং চাদ ও সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে বেড়ায় l আর পৃথিবী সমতল এই কথাটি কুরানে বলা হয়েছে নানা ভাবে l কুরআনের ০২:২২, ৮৮:২০, ৭৮:৬, ৫১:৪৮, ৫০:৭, ১৫:১৯, ১৩:৩, ২০:৫৩, ৭১:১৯, ৪৩:১০, প্রভৃতি আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে সমতল পৃথিবীর l এবং কুরআনের অনেক আয়াতে বলা হয়েছে আকাশকে শক্ত ছাদ হিসেবে l যেমন - ২১:৩২ ও ১০৪, ১৯:৯০, ২২:৬৫, ৩৪:৯, ৫২:৯, ৬৯:১৬, ৬৭:৩ ও ৫, ৩৯:৬৭, ৪২:৫, ৫০:৬, ৫২:৪৪, ৫৫:৩৭,৭৮:১২, ৭৮:১৯, ২:২২ প্রভৃতি আয়াতে আকাশকে ছাদ বলা হয়েছে এবং আকাশ সম্পর্কে অদ্ভুত তত্ত্ব দেয়া হয়েছে যার সাথে বাস্তব জগতের আকাশের কোন মিল নেই l
আবার কুরানে চাদ ও সূর্যের সম্পর্কেও উল্টা পাল্টা কথা বলা হয়েছে বিভিন্ন আয়াতে l

সুরা ইয়াসিনের ৩৮ ও ৩৯ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে
"সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নীয়ন্ত্রন l
"চন্দ্রেন জন্যে আমি (আল্লাহ) বিভিন্ন মনজিল (আকার) নির্ধারণ করেছি l অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর(খেজুর গাছের) শাখার অনুরূপ হয়ে যায় l "
৩৯ নাম্বার আয়াতে বলা হচ্ছে চাদ খেজুর গাছের পুরাতন শাখার মত বাকা আকৃতি ধারণ করে l আমরা এটাই দেখি যে চাদ ছোট হতে হতে খেজুরের ডালের মত বা দা-বটির মত বাকা আকৃতি ধারণ করে l আর আল্লাহও ওই আয়াতে একথাই বলছেন যে চাদ খেজুর শাখার পুরাতন ডালের মত হয়ে যায় l কিন্তু আল্লাহ এটা জানত না যে চাদ আসলে সব সময় গোলক আকৃতিরই থাকে l কিন্তু সেটা শুধু পৃথিবী থেকেই ও রকম দেখায় l কিন্তু আল্লাহ ভেবেছে চাদ সত্যি সত্যি ছোট হতে হতে বাকা আকৃতি ধারণ করে l আবার ৩৮ নাম্বার আয়াতে বলা হচ্ছে সূর্য নির্দিষ্ট অবস্থানেই আবর্তন করে l
সহি বুখারীর ভলিউম ৪, অধ্যায় ৫৪, হাদিস নং ৪২১,
আবু যার (রা:) হতে বর্ণিত l তিনি বলেন, একদা সূর্য অস্ত যাবার সময় রসুল (স:) আমাকে বললেন,"তুমি কি জান সূর্য কোথায় গমন করে ?" আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রসুলই ভালো জানেন l তিনি বললেন, এটা যায় (ভ্রমন করে অর্থাত যেতে যেতে) (আল্লাহর) আরশের নিচে পৌছে সিজদা করে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয় l এবং অচিরেই (এমন এক সময় আসবে) যখন সে সেজদা নত হবে কিন্তু তা গৃহীত হবে না এবং নিজস্ব পথে যাত্রা করার অনুমতি চাইবে; কিন্তু আর অনুমতি মিলবে না , (বরং) তাকে নির্দেশ দেয়া হবে, সেই পথে ফিরে যেতে-যে পথে সে এসেছে l  এবং তখন সে পশ্চিম দিকে উদিত হবে l এটাই হলও আল্লাহ-তালার এই বাণীর মর্ম; আর সূর্য তার নির্দিষ্ট গন্তব্য পথে বিচরণ করে l এটিই মহাশক্তিশালী সর্বজ্ঞাতার নির্ধারিত বিধান l (৩৬:৩৮)
এই হাদিস দ্বারা মুহাম্মদ সুরা ইয়াসিনের ৩৮ নাম্বার আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছে l তার মতে সূর্য যে নির্দিষ্ট পথে গমন করে সেটা অস্ত যাবার পরে আল্লাহর আরশের নিচে যায় এবং সেজদা করে আর পরের দিন পুনরায় উদিত হবার জন্য প্রার্থনা করে এবং আল্লাহ তার প্রার্থনা কবুল করে নেয় l ফলে সূর্য আবার উদিত হয় l কিন্তু কেয়ামতের দিন সূর্যকে আর পূর্ব দিক হতে উদিত হবার অনুমতি দেয়া হবে না বরং সূর্যকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত হতে বলা হবে l এবং কেয়ামত হবে l
অর্থাত সূর্য প্রতিদিন অস্ত যাবার পরে আল্লাহর আরশের নিচে যেয়ে সেজদা দেয় এবং সারা রাত সেখানেই থাকে l আল্লাহর কাছে পুনরায় উদিত হবার প্রার্থনা করতে থাকে l আল্লাহ তাকে অনুমতি দেয় এবং পরের দিন সে পুনরায় উদিত হয় l সুতরাং সূর্যের নির্দিষ্ট পথে আবর্তন সম্পূর্ণ আল্লাহর নিয়ন্ত্রনাধীন l আর এটাই উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে l
এখন সূরা লোকমান-এর ২৯ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে চাদ ও সূর্য নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে l এটা থেকে বুঝা যায় যে চাদ ও সূর্য আসলে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে এবং এরপর আল্লাহর আরশের নিচে গমন করে এবং সেজদারত অবস্থায় সারা রাত বা সারা দিন (চাদের ক্ষেত্রে) প্রার্থনা করে পুনরায় উদিত হবার জন্য এবং সারা রাত বা সারা দিন সেখানেই কাটায়  l  এবং পরদিন পুনরায় উদিত হয় l আর এজন্যই সুরা লোকমানের ২৯ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে l এবং বাকি সময় আল্লাহর আরশের নিচে সেজদারত অবস্থায় থাকে l
তাহলে পাঠক এবার বুঝুন কুরআনের এই আয়াত দ্বারা কখনই কি পৃথিবী গোলক আকার এটা বুঝা যায় ?
নাকি রাত দিন, সূর্য ও চন্দ্রের সম্পর্কে আবুল তাবুল কথা বলা হয়েছে কুরানে ?
বরং কুরআনের রচয়িতা আল্লাহর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাই জানতো না রাত, দিন, চন্দ্র, সূর্য এবং বিশ্বজগতের সৃষ্টি ও কার্যপ্রণালী সম্পর্কে l কুরানে সব কিছু এমন ভাবে বলা হয়েছে যেন এটা কোন স্বাধারণ মানুষ রচনা করেছে l
আর তাই বলা যায় কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার দ্বারা রচিত হয়নি বরং এটা একজন মানুষের দ্বারাই রচিত হয়েছে l

15 comments:

  1. মাল খাইসস?????? উলতে পাল্টা কস কেন

    ReplyDelete
    Replies
    1. উনি তো মাল খাইছে কিন্তু তুই তো শালা বাংলা খাইছোস

      Delete
  2. আপনার লজিক গুলা পুরাই বেসলেস। এগুলা কোন যুক্তিই না! শুধু আমাদের কে এবং অন্যদের disrtract করার চেষ্টা। আপনি খুব ভালো ভাবে দেখেন কি লিখেছেন। আর আয়াত গুলা এভাবে দ্বার করানোর কোন মানেই হয় না! আপনি কুরানের আয়াত গুলো ভালো করে পর্যবেক্ষন না করেই এসব বলছেন। কুরান যেখানে মানুষ আজ পর্যন্ত এর পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি আর আপনি এসেছেন এর বিরুদ্ধে লজিক দিতে! আগে ভালো করে জেনে বুঝে আসুন পরে কথা বলবেন

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনাদের মত কিছু মানুষেরাই মনে করে কোরআনের একটা আয়াত এর ব্যাখ্যা বুঝতে 40 বছর লাগবে আসল কথা বলতে গেলে কোরআন একটা নিম্নমানের বই এটা কোন বই না উল্টোপাল্টা কতগুলো কথার সংকলন

      Delete
  3. আপনার লজিক গুলা পুরাই বেসলেস। এগুলা কোন যুক্তিই না! শুধু আমাদের কে এবং অন্যদের disrtract করার চেষ্টা। আপনি খুব ভালো ভাবে দেখেন কি লিখেছেন। আর আয়াত গুলা এভাবে দ্বার করানোর কোন মানেই হয় না! আপনি কুরানের আয়াত গুলো ভালো করে পর্যবেক্ষন না করেই এসব বলছেন। কুরান যেখানে মানুষ আজ পর্যন্ত এর পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি আর আপনি এসেছেন এর বিরুদ্ধে লজিক দিতে! আগে ভালো করে জেনে বুঝে আসুন পরে কথা বলবেন

    ReplyDelete
  4. লেখা দেখে বুঝা যাচ্ছে কুরআন ভালোই স্টাডি করেন৷ কিন্তু বুঝার চেষ্টা না করে নিজের মস্তিষ্কের উর্বরতা প্রমানের চেষ্টা করা বোকামি নয়কি!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরিফ আজাদ (বা প্যারাসিটামল সাজিদ নাকি প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ কি যেন) ভাই যদি এই লেখাটা লিখতো আমার তো মনে হয় না আপনি এটা মেনে নিতে আপত্তি করতেন

      Delete
  5. পাগোল আছিস

    ReplyDelete
  6. আপনি যাই বলেন ভাই কোরআনের আয়াতের সাথে আপনার এই যুক্তি পুরাই লেংড়া খোড়,আপনার এগুলা কোনোযুক্তি হলো,ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকেই এগুলা আপনি লিখছেন,যাই হোক মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত আর সেদিন থেকেই আপনার এই যুক্তি গুলা বেরকরে দেয়া হবে।

    ReplyDelete
  7. আমি ধারমিকSeptember 27, 2020 at 6:43 PM

    অ্যাই হালায় date expired গাঁজা পায় কই ?

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোদের মত কিছু গাঁজাখুর‌ই দেয়

      Delete
  8. 🥴🥴🥴🥴🥴🥴🥴🥴,,,
    পাগলে কামড় দিছে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ ঠিকই কইছত তরে পাগলে কামড় দিছে

      Delete
  9. আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আর আপনার উর্বর মস্তিষ্কের প্রশংসা করছি। কিন্তু কোরআনের সব কিছুই যদি একজন সাধারণ মানুষ রচনা করেছে বলে আপনার কাছে মনে হয় তাহলে অনুরুপ একটি কুরান বানিয়ে দেখান। অন্যথায় মানুষদেরকে বিব্রত করবেন না। কারণ যদি পরকাল নাই থাকে,তাহলে বিশ্বাসি ও অবিশ্বাসিদের পরিণত সমান। কিন্তু যদি পরকাল থেকে থাকে তাহলে Atheist দের জন্য আফসোস,,,

    ReplyDelete
  10. এমন একটা কেন হাজারটা কুরআন বানানো কোন ব্যাপারই না শুধু আরবী ব্যকরণ ও সাহিত্য নিয়ে 2-3 বছর একটু গবেষণা করতে হবে

    ReplyDelete