Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, September 2, 2014

মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো না



মুহাম্মদ কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেয়নি l নিয়েছে কিনা সেটা আর আমরা জানতেও পারবনা l যদি নিয়েও থাকে তবে কুরআন পড়ে এটা বোঝা যায় যে সে বিজ্ঞান জানতো না ! আর এজন্যই কুরানে পৃথিবী, আকাশ, চাদ-তারা-সূর্য সম্পর্কিত দেয়া তথ্যে সম্পূর্ণ ভুল করেছে l যেমন মুহাম্মদ জানতো না সমতল কাকে বলে l তাই পৃথিবীকে নিয়ে সেই সময়ের মানুষের ধারণা যে পৃথিবী সমতল এই কথাটা বুঝাতে যেয়ে বিছানা এবং কার্পেটের মত বিছানো এই কথাটা বলেছে l অর্থাত পৃথিবীকে সমতল বুঝাতে মুহাম্মদ বিছানা বা কার্পেটের উদাহরণ দিয়েছে l এটাকেই যে সমতল বলা হয় সেটা মুহাম্মদ জানতো না l আর তাই সে পৃথিবীকে সমতল বুঝাতে বিছানার মত বিছানো বা কার্পেটের মত বিছানো এবং প্রশস্তভাবে বিস্তৃত এই সব শব্দ ব্যবহার করেছে l যদি মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো তবে বিছানা বা কার্পেট না বলে সমতল কথাটাই সরাসরি বলতো l

আবার মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো না বলে আকাশকে ছাদ বলে আখ্যায়িত করেছে কুরানে l আকাশকে দেখতে ঘরের ছাদের মতই মনে হয় l আর তাই সেই সময় মানুষ ভাবতো আকাশ হচ্ছে ছাদ l কিন্তু আকাশ যে ছাদ নয় বরং পৃথিবীর আকাশ বায়ুবীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত হয়েছে এটা সেই সময়ের মানুষের জানা সম্ভব ছিল না l মুহাম্মদ এবং সেই সময়ের মানুষ ভেবেছিল আকাশ হচ্ছে ছাদ এবং এটি কোন কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী l ফলে কুরানে আকাশকে ছাদ বলা হয়েছে এবং এটি কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী ছাদ এটাই উল্লেখ করা হয়েছে বার বার l
কিন্তু যদি মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো তবে আকাশকে ছাদ বা কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদ বলে উল্লেখ করতো না l
কুরানে এভাবে বলা হয়েছে কারণ হচ্ছে মুহাম্মদ জানতো না আসলে আকাশ কি l সে প্রাচীন কালের মানুষের ধ্যান ধারনাই কুরানে উল্লেখ করেছে l

আগের দিনে মানুষ ভাবতো পৃথিবী সমতল এবং এই সমতল পৃথিবী কোন এক দিকে হেলে পড়ে যেতে পারে l আর তাই সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর উপর পাহাড় স্থাপন করে পৃথিবীর ভার সাম্য রক্ষা করেছে এবং পাহাড় স্থাপন করার ফলে পৃথিবী কোন এক দিকে হেলে পড়ে যাচ্ছে না l
মুহাম্মদ এটাই জানতো l আর তাই কুরানে পাহাড়ের কথা বলে হয়েছে যে আল্লাহ পাহাড় সৃষ্টি করেছে যেন পৃথিবী হেলে না পড়ে l অথবা নড়েচড়ে না উঠে l
কিন্তু যদি মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো তবে কুরানে পাহাড় সম্পর্কে এমন অবৈজ্ঞানিক কথা বলতো না l

মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো না ফলে সে জানতো না আকাশের তারা আসলে কি l সে জানতো না তারাগুলোও একেকটি সূর্যের মত l আর তাই সে তারা সম্পর্কে বলেছে এগুলো আকাশের সুন্দর্যের জন্য এবং মানুষের পথ দেখার জন্য তৈরী করা হয়েছে l আকাশে যে উল্কা পিন্ড রাতে দেখা যেত সেগুলোকেও সে তারা মনে করেছে l এবং কুরানে উল্লেখ করেছে তারা হিসেবে l কিন্তু সেগুলো হচ্ছে উল্কা এটা মুহাম্মদ জানতো না বলে এগুলোকে তারা বলে উল্লেখ করেছে কুরানে l

এছাড়াও মুহাম্মদের বিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞান ছিল না বলে মানুষের জন্ম সম্পর্কে, পৃথিবী ও আকাশ সৃষ্টির সম্পর্কে, ঝর-বৃষ্টি সম্পর্কে, অসুখ-বিসুখ (রোগ) সম্পর্কে, রাত-দিন সম্পর্কে নানা অবৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়েছে l
আর এর কারণ হছে মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো না l যদি মুহাম্মদ বিজ্ঞান জানতো তবে এগুলো সম্পর্কে ভুল কথা বলতো না l এবং কুরআনেও এই ভুলগুলো পাওয়া যেতো না l
আর মুহাম্মদ বিজ্ঞান না জানাতে এই ভুল গুলোই প্রমান করে কুরানে বর্ণিত কথা গুলো কোন সৃষ্টিকর্তার নয় l আর তাই কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় l কুরআন মুহাম্মদ নিজেই তৈরী করেছে এবং মুহাম্মদ যে ভুল বা মিথ্যে ধারণা পোষণ করেছে সে গুলোই কুরানে উল্লেখ করেছে l
কুরআন পড়লেই মুহাম্মদের অজ্ঞতা গুলো বুঝা যায় l আর এই অজ্ঞতাই প্রমান করে কুরআন মুহাম্মদ কর্তৃক তৈরী করা l

2 comments:

  1. লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মন্তব্য আশা করছি !

    ReplyDelete
  2. মুহাম্মদের চারিত্রিক অবক্ষয় ! ধর্মকে নিজের মত করে প্রতিষ্ঠিত করণ এবং অবাধ যৌনাচারণ মুহাম্মদকে একেবারে নিকৃষ্টতম মানুষে পরিনত করেছে আধুনিক মানুষের কাছে ! এটা সব মানুষই খুব ভালো ভাবে জানে !

    ReplyDelete