Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, March 25, 2016

বিজ্ঞান সম্পর্কে বেশীর ভাগ আস্তিকই সম্পুর্ণরুপে অজ্ঞ! বিবর্তনবাদ কি শুধুই থিউরী বলে এটি সত্য নয়?


আস্তিকরা বৈজ্ঞানিক থিউরী বা তত্ব, বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট বা প্রমান এবং বৈজ্ঞানিকল’ বা সুত্র সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে বলেই বিবর্তনকে মিথ্যা মনে করে। আর তারা প্রতিনিয়ত বলতে থাকে এই থিউরীটা মিথ্যা, এটা শুধু মাত্র থিউরী কিন্তু বাস্তব সত্য নয় কারণ এটি কোন ফ্যাক্ট নয়; এটিকে বিজ্ঞান প্রশ্রয় দিলেও এটি আসলে সত্য নয় কারণ বিবর্তনবাদের বইগুলোতে কখনও বিবর্তনের ফ্যাক্ট নামে কোন বই নেই; কেউ বলতে পারবে না যে বিবর্তনের ' বা সুত্র আছে। যদি বিবর্তনবাদ সত্যই হতো তবে অবশ্যই এটির কোন বৈজ্ঞানিক '' বা সুত্র থাকতো। বিবর্তনবাদ মিথ্যা বলেই এটির কোন '' বা সুত্র নেই।
আস্তিকদের এসব দাবী শুনে এটা স্পষ্ট বুঝা যায় যে তারা আসলে বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখে না। যদি তারা জানতো বিজ্ঞানে থিউরী বা তত্ত্ব কাকে বলে, ফ্যাক্ট বা প্রমাণ কি, বৈজ্ঞানিক '' বা সুত্র কাকে বলে, তবে তারা এসব উদ্ভট দাবী করতো না।  

Friday, March 18, 2016

একজন অন্ধবিশ্বাসী, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের সাথে বিতর্ক (পর্ব ২ – দ্বিতীয় অংশ)



প্রথম অংশের পর থেকে...
রানা আব্দুল্লাহ বলেছে, "কুরান থেকে দেখান তো সেখানে আছে সূর্য, চন্দ্র এক স্থানে সারাদিন ঘুরে! তাহলে কুরান ভুল প্রমানিত হবে! আর যদি না দেখাতে পারেন তবে আধুনিক বিজ্ঞান বলে যে সূর্য, চন্দ্র তাদের নিজ নিজ অক্ষে পরিভ্রমণ করে।
আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি আগেই দিয়ে দিয়েছি। আমি কখনই বলিনি যে কুরআনে সূর্য আর চন্দ্রের এক স্থানে সারাদিন ঘুরে এই কথাটি বলা আছে। এটা আপনি নিজে থেকেই ধরে নিয়েছেন যে আমি এটা বলেছি।

Friday, March 11, 2016

আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের যৌক্তির ও বৈজ্ঞানিক উত্তর। (পর্ব ১০)



আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নঃ
আপনি কত বড় সাইনটিস্ট বলেন তো? পৃথিবীর সব সাইনটিস্টরা সব কিছু কোরআন থেকেই আবিষ্কার করছে।

যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
মুসলমানদের জ্ঞানের নমুনা দেখে হাসবো নাকি কাঁদবো বুঝে উঠতে পারি না!
আপনি কোথায় খোজ নিয়ে পেয়েছেন যে বিজ্ঞানীরা কুরআন থেকে আবিষ্কার করে? কুরআন থেকে কি কিছু আবিষ্কার করা যায়? যদি তাই যেতো তবে মুসলমানরাই পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানী হতো।
আমরা সারা জীবন কত চেষ্টা করেও কুরআনে বাজে কথা ছাড়া আর কিছুই পেলাম না আর আপনারা কুরআনে বিজ্ঞানের সমুদ্রের দাবী করেন।
কেউ যদি নিজেকে আল্লাহ, গড, ভগমান বা সৃষ্টিকর্তা বলে দাবী করে তবে কি তার দাবী সত্য হয়ে যাবে। কেউ দাবী করলেই কি সৃষ্টিকর্তা হয়ে যায়? মুসলমানরা মনে করে দাবী করলেই বুঝি সেটা সত্যি হয়ে যায়।

Friday, March 4, 2016

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ১৪) দুই দরিয়ার পানি কি একে অপরের সাথে মিশতে পারে না? নাকি সেটা আল্লাহর জানাই ছিল না বলে প্রাচীণ আরবের ভূল ধারণাটাই কুরআনে লিখে দিয়েছে?


মুসলমানরা দাবি করে তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআন হলো পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা তাদের আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নিজের হাতে রচনা করেছে এবং সে নিজেই এর রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। তাদের ধর্মগ্রন্থটিই অবিকৃত অবস্থায় আছে। তাই তাদের ধর্মগ্রন্থটিই পৃথিবীর একমাত্র সত্য ধর্মগ্রন্থ। মুসলমানরা আরো বলে তাদের ধর্মগ্রন্থটি অবশ্যই (আরবীয়) সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছ থেকে আসা ঔষী গ্রন্থ। তাদের দাবী কুরআনে বহু বৈজ্ঞানীক তথ্য দেওয়া আছে। মুসলমানদের যে দাবীটা সব চেয়ে বেশী বার আসে সেটা হলো তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনে একটা ভূলও নেই। আর তাই এটা অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর লেখা বই।
একটা বইতে কোন ভূল না থাকলেই সেটা কিভাবে সৃষ্টিকর্তার বই হয় সেটা ভেবে পাই না। পৃথিবীতে অনেক বই আছে যা সত্য এবং প্রমাণিত বাস্তবতার কথা বলে। কিন্তু কেউই সেটাকে সৃষ্টিকর্তার বই বলে দাবী করে না।