Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, February 27, 2015

আল্লাহ অজ্ঞতায় মুহাম্মদকেও হার মানায় ! (পর্ব ৫)



মুসলমানদের আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে মুসলমানরা সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা বলে দাবী করেমুসলমানদের দাবী আল্লাহ অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সবকিছুই জানেবিশ্বজগতের এমন কোন জ্ঞান নেই যে আল্লাহ সেটা জানে নাঅর্থাৎ মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী তাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সব বিষয়েই সব চেয়ে বেশী জ্ঞানী তথা সর্বজ্ঞানী
কিন্তু দুঃখের বিষয় যে আল্লাহ বিশ্বজগত সম্পর্কে এবং মানুষের সৃষ্টি, কর্ম এবং আচার আচরণের ব্যাপারে সম্পূর্ণ ভুল কথা বলেছেসে পৃথিবী, সূর্য, চন্দ্র ও তারকাদের নিয়ে ভুল কথা বলেছেআকাশ ও পাহাড় সম্পর্কে ভুল বলেছেএমনকি মানব সৃষ্টি ও মানব গঠন সম্পর্কেও ভুল কথা বলেছে
আল্লাহ কর্তৃক কৃত ভুলগুলো বিশ্লেষণ করলে এটা বুঝা যায় যে, তার জ্ঞানের সাথে মুহাম্মদের সময়ে আরবের মানুষের জ্ঞানের অবিশ্বাস্য সাদৃশ্য রয়েছেযেসব বিষয় মুহাম্মদের সময়ে মানুষ জানতো আল্লাহ কেবল সেসব বিষয় সম্পর্কেই জানতোআর তারা যেসব বিষয় জানতো না সেসব আল্লাহর পক্ষেও বলা সম্ভব হয়নিএমনকি মুহাম্মদের সময়ে মানুষ যেসব ভ্রান্ত ধারণা পোষন করতো ঠিক সেগুলোই আল্লাহ কুরআনে বর্ননা করেছেমুহাম্মদ যেসব ভুল ধারণা রাখতো এবং যেসব ভ্রান্ত ধারণা রাখতো সেসব কথাই আল্লাহ কুরআনে ব্যাক্ত করেছে
সুতরাং এসব ভুল দেখে এটা বুঝা যায় যে, আল্লাহর জ্ঞান তৎকালীন আরবের মানুষের জ্ঞানের মতইআল্লাহ তৎকালীন মানুষের মতই অজ্ঞ ছিলঠিক মুহাম্মদের মত অজ্ঞতা আল্লাহরও ছিলহয়তোবা মুহাম্মদের থেকেও আল্লাহ বেশী অজ্ঞ

Thursday, February 26, 2015

মুসলমানদের কর্মকান্ডের ভবিষ্যতবাণী ! ভবিষ্যতে মুসলমানরা কিভাবে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবি করবে? (পর্ব ১)



মুসলমান আস্তিকরা বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কার হলেই দাবী করে বসে যে, সেই আবিষ্কার করা বিষয়টি তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে অনেক আগে, প্রায় ১৪০০ বছর আগেকিন্তু তাদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে কুরআনে চোখ বুলালে কোথাও সেই আবিষ্কারটির কথা পাওয়া যায় নাকিন্তু তাদের দাবী করা আয়াতগুলো দেখিয়ে যদি বলা হয়, কুরআনের কোথায় আছে সেই আবিষ্কারের কথা? তখন তারা বলে এই আয়াতে অমুক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে আর অমুক শব্দের অর্থ তমুক; সুতরাং প্রমানিত হল কুরআনে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের কথা লেখা আছে ১৪০০ বছর আগে
কিন্তু মুসলমানদের লেখা কোন বইয়েই (হাদিস বা কুরআন সম্পর্কিত) সেই আবিষ্কারের কথা পাওয়া যায় না বরং যে আয়াতটি মুসলমানরা দেখায় দেখা যায়, সেটাতে বিজ্ঞান বিরোধী কথা বলা আছেকিন্তু মুসলমানরা সেই আয়াতের কোন একটি শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে দিয়ে কুরআনের আয়াতের সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ করে (অর্থাৎ অর্থ পরিবর্তন করে) দেখায় যে কুরআন বিজ্ঞানময়এক্ষেত্রে দুটো আয়াত বর্ণনা করলে বিষয়টা বুঝতে সহজ হবে

Wednesday, February 25, 2015

আল কুরআনঃ ইহা একটি কৌতুক গ্রন্থ, গল্প গ্রন্থ, কবিতা গ্রন্থ, সন্ত্রাসী গ্রন্থ, নাকি কাম গ্রন্থ? (পর্ব-১)



মুসলমানদের দাবী তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআন কোন মানব রচিত গ্রন্থ নয়এটি তাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নিজের হাতে লিখেছেতারপর এটি বার্তা বাহক দেবদূত জিব্রাইল ফেরেশতার মাধ্যমে মুহাম্মদের কাছে পর্যায় ক্রমে ২৩ বছর যাবত প্রেরণ করেছেআর মুসলমানরা সেগুলোকে একত্র করে বই আকারে প্রকাশ করেছেঅতএব তাদের দাবী এটি অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কর্তৃক লিখিত গ্রন্থ (বই)
কিন্তু মুসলমান বাদে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ একথা এক বাক্যে স্বীকার করে যে, কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তা বা অতি বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কারোও বই নয়তাদের যুক্তি কুরআনে নানা রুপকথার গল্প, নানা অবাস্তব কথা, অবৈজ্ঞানিক এবং পরস্পর বিরোধী কথায় পরিপূর্ণতাই এটি কোন বুদ্ধিমান প্রাণী বা স্বত্ত্বার বাণী বা কথা হতে পারে নাবরং এটা তৎকালীন আরবের মানুষ বা গুটি কয়েক মানুষ কর্তৃক লিখিত একটা সাধারণ মানের বইকারণ এতে তৎকালীন আরবের মানুষের ধ্যান ধারণাই বর্নিত হয়েছে সব জায়গায়অতএব কুরআন অবশ্যই কোন আরবীয় মানুষ দ্বারা লিখিত বই
কিন্তু মুসলমানরা সেই দাবী মেনে নেয় নামুসলমানদের মতে কুরআনই পৃথিবীর শ্রেষ্ট ও সব চেয়ে জ্ঞানগর্ভ বইএরকম বই পৃথিবীর কেউ লিখতে পারবে নাকুরআন আল্লাহ লিখেছে এবং কুরআনের সংরক্ষনের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহর

Tuesday, February 24, 2015

বিশ্বাস একটি মিথ্যে প্রক্রিয়া। বিশ্বাস কি সত্যের পরিপূরক, নাকি বিশ্বাসের প্রক্রিয়াটি মানুষকে মিথ্যের সাগরে ঢুবিয়ে দেয় ?


আস্তিকরা দাবী করে যে, সৃষ্টিকর্তাকে অনুধাবন করার মতো বা বোঝার মত শক্তি বা উপলব্ধি মানুষের নেইযেহেতু মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে অনুধাবন করতে পারবে না বা বোঝতে পারবে না (কারণ তাদের সে শক্তি নেই) তাই সৃষ্টিকর্তাকে বিনা যুক্তি প্রমাণে মেনে নিতে হবে এবং তাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে যেতে হবেঅন্ধবিশ্বাসের মাত্রা অনেক বেশী হলে অন্ধবিশ্বাসীদের কাছে সৃষ্টিকর্তা দর্শন দিতে পারে, অনুভুত হতে পারে বা প্রমাণ দিলেও দিতে পারেঅর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার বিষয়ে যুক্তি-প্রমাণ চাওয়া যাবে না, শুধু মাত্র তাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতে হবে এবং বিনা শর্তে তার গোলামী করতে হবে

কিন্তু যুক্তিবাদী এবং বাস্তববাদী মানুষ আস্তিকদের এই দাবীকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন হিসেবে গন্য করেযুক্তি ও বাস্তববাদী মানুষের কাছে চিরসত্য হলো, যার কোন প্রমাণ নেই তার কোনই অস্তিত্ব নেইযেমন- ইউনিকর্ন, ফেইরি (পরী), জ্বীন, ভূত, প্রেতপুরী, পাতালপুরী ইত্যাদির কোন বাস্তব প্রমাণ নেই তাই এগুলোর কোন অস্তিত্ত্বই নেইএগুলো মানুষের কল্পনা শক্তি দিয়ে তৈরী করা কিছু কাল্পনিক অস্তিত্ত্ব যার বাস্তব কোন ভিত্তি নেইঅর্থাৎ এই চরিত্রগুলো মানুষ কল্পনা করেছে মাত্র, এদের বাস্তব কোন অস্তিত্ত্বই নেই
ঠিক তেমনি মানুষ তার কল্পনা শক্তি ব্যবহার করে তৈরী করেছে সৃষ্টিকর্তা, স্বর্গ-নরক, শয়তার-ফেরেশতা বা দেবদূতদেরএগুলোর বাস্তব কোন অস্তিত্ত্ব নেই, এগুলোর অস্তিত্ত্ব আছে শুধুই মানুষের মনেবাস্তব জগতে এদের কোনই অস্তিত্ত্ব নেই

Monday, February 23, 2015

বিবর্তনবাদের বৈজ্ঞানিক প্রমাণের বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে ক্রিয়েশনিজম বা সৃষ্টিতত্ত্বের ছাতায় আশ্রয় নেওয়া ধর্মগুলো।



বিজ্ঞানের সত্যের কাছ থেকে ধার্মিকরা তাদের ধর্মকে বাঁচাতে নানা কর্ম সূচি হাতে নিয়ে এসেছেপ্রথমে তারা পৃথিবীকে সূর্যের চারপাশে ঘুরা বন্ধ করার চেষ্টা করেছেকিন্তু ব্যার্থ হওয়ায় আবার তারা দাবী করেছে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে এটা তাদের ধর্মগ্রন্থেই লেখা আছেএসব বলে তারাই আবার তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় বানানোর নানা পায়তারা করেছে

আবার যখন বিজ্ঞান রায় দিয়েছে যে, বিবর্তনবাদ সত্য; ধার্মিকদের আদম হাওয়া রুপকথা মিথ্যে, তখন আবার এই ধার্মিকরাই মিলিত হয়ে বিজ্ঞানের মুন্ডুপাত করতে উঠে পড়ে লেগেছেকিন্তু বিজ্ঞান কারো ধার ধারে নাসত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে সব সময়ফলে বিজ্ঞান যখন বিবর্তনবাদের সপক্ষে হাজার হাজার প্রমাণ হাজির করেছে তখন এই ধার্মিকরাই বিবর্তনবাদকে মিথ্যা প্রমাণের জন্য নানান কর্ম সূচি হাতে নিয়েছেএর ফলেই তারা দাড় করেছে ক্রিয়েশনিজম ও ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন বা সৃষ্টিতত্ত্ব নামে অপবিজ্ঞানেরবিজ্ঞান হলো বিজ্ঞানীয় পদ্ধতি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত জ্ঞান আর অপ-বিজ্ঞান হলো বিজ্ঞানের মত দেখতে কিন্তু বিজ্ঞান নয় এমন মতবাদবিজ্ঞান থেকে অপ-বিজ্ঞানকে খুব সহজেই পৃথক করা যায়

Sunday, February 22, 2015

বিশ্বাস কি সত্যিই একটি ভাইরাস ?



বিশ্বাস একটা ভাইরাসতবে এটি জীবানু ভাইরাসের মত ভাইরাস নয়এটি কম্পিউটার ভাইরাসের মতজীবানু ভাইরাস, কম্পিউটার ভাইরাস এবং বিশ্বাসের ভাইরাস এগুলোর কাজ একই রকম;  পোষক দেহে প্রবেশ করা এবং পোষক দেহকে দখল করে নেওয়া
কম্পিউটার ভাইরাস কিন্তু কোন জীবানু ভাইরাস নয়তেমনি বিশ্বাসের ভাইরাসও কোন জীবানু ভাইরাস নয়বিশ্বাসের ভাইরাস হলো কিছু কথা বা কিছু তথ্য যেগুলো মানুষের মনে প্রবেশ করে এবং মনকে দখল করে নেয়তখন আর মানুষটার নিজের ইচ্ছে বলে কিছু থাকে নাসে হয়ে যায় বিশ্বাসের ভাইরাস আক্রান্ত একটা রোবট
এবং তার কাজ বা আচার আচরণ হয়ে যায় অমানবিকতখন সে আর মানুষ থাকে না

বিশ্বাসের ভাইরাসগুলোর মধ্যে ধর্ম হলো প্রধান ভাইরাসএই ভাইরাস মানুষের মনে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয় শৈশবেইফলে সেই বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষটি সারা জীবন ধর্মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকেধর্ম যা তাকে করতে বলে সে তাই করেযদি কাজটা অমানবিকও নয় তবু সে সেই কাজ থেকে সরে আসতে পারে না
আর তাই কোন ধর্মের ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষটি সারা জীবন ধর্মের গোলাম হয়ে কাটিয়ে দেয়

Wednesday, February 11, 2015

জাকির নায়েকের মিথ্যাচার এবং প্রতারনা । বিজ্ঞান সম্পর্কে জাকির নায়েকের মিথ্যাবাদীতা এবং প্রতারনা । (পর্ব ৫)



জাকির নায়েক একজন বিখ্যাত ইসলামিক বক্তাতিনি অনেক দেশে জনপ্রিয় বক্তাতার কথা এবং বক্তব্যের ধরন মানুষকে আকৃষ্ট করেকিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় তিনি তার বক্তব্যে অনেক মিথ্যে কথা বলেন এবং কু-যুক্তি ও গোঁজামিল দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করেনতার মিথ্যেবাদিতা অনেকে ধরিয়ে দিয়েছে এবং আমিও আগের পর্বগুলোতে তার কিছু মিথ্যেবাদিতা এবং প্রতারনা ধরিয়ে দিয়েছিএই পর্বেও তার একটি মিথ্যেবাদিতা এবং প্রতারণা ধরিয়ে দেব বা প্রমাণ করবো
জাকির নায়েক তার 'কুরান ও আধুনিক বিজ্ঞান- বিরোধ নাকি সাদৃশ্যলেকচারে চাঁদ ও সূর্যের আলোর ব্যাপারে নিম্নুক্ত কথাগুলো বলেছেন
জাকির নায়েকের বক্তব্যটি ছিল-
"আগে আমরা মনে করতাম যে, চাঁদের আলোটা তার নিজস্ব আলোকিছু দিন আগে আমরা জানতে পেরেছি যে, চাঁদের আলো আসলে সূর্যের আলোর প্রতিফলিত আলোপবিত্র কুরআনের সূরা ফুরকানের ৬১ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে,
"কত মহান তিনি, যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করিয়াছেন রাশিচক্র এবং উহাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ এবং চাঁদ যাহার রহিয়াছে ঋন করা আলো।"
পবিত্র কুরআনে সূরা ইউনুসের ৫ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে,
আল্লাহ সুবাহানুতালাই এই সূর্যকে করেছেন তেজস্বক ও চন্দ্রকে করিয়াছেন প্রতিবিম্বিত আলো

Wednesday, February 4, 2015

আল্লাহ অজ্ঞতায় মুহাম্মদকেও হার মানায় । (পর্ব ৪)

মুসলমানদের আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কুরআনে সূরা লোকমান-এর ৩৪ নাম্বার আয়াতে বলেছে,
"নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রহিয়াছেতিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে তিনি তা জানেনকেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবেআল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।"
এই আয়াতটিতে অনেকগুলো ভুল রয়েছেএই ভূলগুলো লক্ষ করলে বোঝা যায় কুরআনের আল্লাহর জ্ঞান মুহাম্মদের মতোআল্লাহ এবং মুহাম্মদ সমান বুদ্ধিমান
এই আয়াতে কি কি ভূল আছে সেটা দেখার আগে আয়াতটির অন্যান্য অনুবাদে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক

"নিশ্চয় কিয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহর নিকট রয়েছে, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন যা জরায়ুতে আছেকেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবেআল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ব বিষয়ে অবহিত।" (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)

"নিঃসন্দেহ আল্লাহ্- তার কাছেই রয়েছে ঘড়িঘন্টার জ্ঞান; আর তিনি বর্ষন করেন বৃষ্টি, আর তিনি জানেন কি আছে জরায়ুর ভেতরেআর কোনো সত্ত্বা জানে না কী সে অর্জন করবে আগামীকালআর কোনো সত্ত্বা জানে না কোন দেশে সে মারা যাবেনিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, পূর্ণ-ওয়াকিবহাল।" (অনুবাদ- ডঃ জহুরুল হক)

Sunday, February 1, 2015

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ৭)



আল মুরআল

সুরা অন্ধবিশ্বাসী, আয়াত ৫৮৭ ও ৫৮৮
"তারা কি কখনও ভেবে দেখেছে, তাদের উপরের তাঁরকারাজির ব্যপারে ? তারা ভাবে ওগুলো আকাশের সুন্দর্যের জন্য তৈরী করা হয়েছেতারা ভাবে ওগুলো আলোর চিহ্ন, ভাবে পথ প্রদর্শক কিন্তু তারা চিন্তাও করতে পারেনি ওগুলোকে আমি কি বানিয়েছি ! বরং তারা তাদের কাল্পনিক ধারণা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে।"
"তারা ভাবে তাদের বিশ্বাসই সবচে সত্যি, কিন্তু যদি তারা জানতো বিশ্বাস সত্যের কাছে কতটা অসহায় ! আমি কি যুগে যুগে বহু বিশ্বাসকে মিথ্যে প্রমাণ করে দেয়নি ?  তথাপি তারা তাদের অন্ধবিশ্বাস নিয়ে গর্ব করেবিশ্বজগতের বিশালতা সম্পর্কে তারা কি ভেবেছে কখনও? অবশ্যই এতে কুসংস্কারাচ্ছন্ন গোঁড়া ব্যক্তিদের জন্য নিদর্শন রয়েছে!"

ব্যাখ্যাঃ অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্নরা ভাবে তাঁরকাগুলোর কাজ আকাশের সুন্দর্য বর্ধন এবং মানুষের পথ দেখানো ও শয়তানদের শাস্তি দেবার উপকরণকিন্তু তাঁরকাগুলো কি, বা ওগুলো কেমন সেটা তারা জানে নাকেউ ভাবতেই পারেনি একেকটা তারকা কত বিশাল আকুতিরমানুষ ভেবেছে বা কল্পনা করেছে ছোট ছোট দেখতে মিটিমিটি তারকাগুলোর কাজ আকাশের সুন্দর্য রক্ষা করামানুষ ভেবেছে ও বিশ্বাস করে এসেছে তারকাগুলোর কাজ শুধু মানুষের চলার পথ দেখানো এবং শয়তানদেরকে (একটি কাল্পনিক বা রুপকথার গল্পের কাল্পনিক চরিত্র) শাস্তি দেবার জন্য আগুনের গোলাকিন্তু একটা তারকার আয়তন কত বড় সেটা মানুষের কল্পনাতেও আসেনি