Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, July 22, 2014

বিশ্বজগতের বিস্ময়কর এক সৃষ্টি সময় বা কাল (Time) !


প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভেবে আসছে সময় চিরকাল থেকেই চলে এসেছে এবং চিরকাল থাকবে l অর্থাত সময় চিরন্তন একটা ব্যাপার সময় অনন্ত অসীম
কিন্তু বিজ্ঞান বলে সময় অনন্ত অসীম নয় সময়ের সৃষ্টি হয়েছে একটা নির্দিষ্ট সময় পূর্বে এবং এটির ধ্বংস হবারও খুব বেশি সম্ভাবনা রয়েছে বা ধ্বংস হবে
বিগ ব্যাং তত্ত্ব অনুযায়ী সময় সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং-এর সময় থেকে এর পূর্বে কোন সময় ছিল না কারণ তখন সময় তৈরিই হয়নি অর্থাত বিগ ব্যাং-এর কোন পূর্ব মুহূর্ত ছিল না
অর্থাত আমাদের বিশ্বজগতের যাত্রা শুরু হয়েছে বিগ ব্যাং থেকে এর পূর্বে কোন জগত ছিল না জগত সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে আর তাই আমাদের বিশ্বজগত চিরকালেব্র নয় আমাদের বিশ্বজগত বিগ ব্যাং-এর পর থেকে এবং এই বিশ্বজগত সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে সময় সৃষ্টি হয়েছে এবং সৃষ্টি করেছে আমাদের বিশ্বজগত তাই আমাদের বিশ্বজগত অনন্তকালের নয় বরং এটি একটি নির্দিষ্ট কাল পূর্বের যেটা সাড়ে তেরোশত কোটি বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছে এবং আরো কোটি কোটি বিলিয়ন বছর ধরে চলতে থাকবে
আবার আমরা দেখি যে আমাদের বিশ্বজগত তিন মাত্রার বিশ্বজগত (Three Dimension) অর্থাত আমাদের বিশ্বজগত শুধু দৈঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা এই তিনটি মাত্রা নিয়ে গঠিত হয়েছে কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে আমাদের বিশ্বজগত আসলে তিন মাত্রার বিশ্বজগত নয় বরং এটি চারমাত্রার বিশ্বজগত দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা এই তিনটি মাত্রার সাথে একটি মাত্রা 'সময় বা কাল (Time)'  যোগ হয়ে তৈরী করেছে চারমাত্রার স্থান-কাল-এর জগত (স্পেস-টাইম) তিন মাত্রার জগতের সাথে সময় পেচিয়ে তৈরী করেছে স্থান কালের বক্রতা আর এর মধ্য দিয়ে তৈরী হয়েছে আমাদের স্থান-কালের বিশ্বজগত স্থান-কালের চতুর্মাত্রিক বিশ্বজগত
চিরকাল থেকে মানুষ ভেবে এসেছে সময়ের গতিপথ সরল রৈখিক অর্থাত সময় অতীত থেকে এসে বর্তমান হয়ে ভবিষ্যতের দিকে সরল রৈখিক পথে গমন করে এবং সময়ের এই গতি সব জায়গায় অভিন্ন সময় বিশ্বজগতের গতি পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল নয় বরং সময় সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং অতীত থেকে ভবিষ্যতের পথে সময়ের গতি কখনই পরিবর্তিত হয় না

Monday, July 21, 2014

কে বিশ্বাসী আর কে অবিশ্বাসী ?

 
আস্তিকরা দাবি করে থাকে তারা বিশ্বাসীকিন্তু সত্যিই কি তারা বিশ্বাসী ?
আস্তিকরা যুগ যুগ ধরে বিশ্বাস করে এসেছে অলৌকিকতায় তারা বিশ্বাস করে এসেছে এই বিশ্বজগতের একজন অতিক্ষমতা সম্পন্ন কেউ আছে যে সবকিছু সৃষ্টি করেছে তারা কুসংস্কার বিশ্বাস করে এসেছে জ্বিন-পরী, ভুত-প্রেত, শয়তান-দেবদূত বা ফেরেশতা এবং সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদি কাল্পনিক অস্তিত্তগুলোকে বিশ্বাস করে এসেছে সবসময়
কিন্তু কিছু মানুষ ছিল যারা এসব কিছু বিশ্বাস করতো না তারা ছিল বাস্তববাদী যেসব বিষয় মানুষের দৃষ্টিগোচর ছিল না সেসবে তারা অবিশ্বাস করে এসেছে সবসময় তারা জ্বিন-পরী, ভুত-প্রেত, শয়তান-দেবদূত বা ফেরেশতা এমনকি সৃষ্টিকর্তাকে তারা অবিশ্বাস করতো কারণ তাদের যুক্তি ছিল এসব স্বত্বাগুলো মানুষের কল্পনা এবং বাস্তবে এদের কোন অস্তিত্ব নেই কিন্তু যখন আস্তিকরা দাবি করতো যে এগুলোর অস্তিত্ব আছে তখন এই অবিশ্বাসী লোকগুলো প্রশ্ন করতো আস্তিকদেরকে যে তোমরা যে দাবি করো ওই সব স্বত্বাগুলোর অস্তিত্ব আছে তোমরা কি কখনো সেগুলোকে দেখেছো অথবা প্রমান করতে পারবে ঐসব জ্বিন-পরী, ভুত-প্রেত, শয়তান-দেবদূত বা ফেরেশতা এবং সৃষ্টিকর্তার সত্যি অস্তিত্ব আছে ? কিন্তু তারা কখনই সেই সব কাল্পনিক স্বত্বাগুলোর অস্তিত্বের কোন প্রমান দেখাতে পারতো না ফলে অবিশ্বাসী মানুষগুলো কখনই সেই সব কাল্পনিক স্বত্বাগুলোর অস্তিত্বে বিশ্বাস করতো না আবার আস্তিকগুলো সেই সব কাল্পনিক চরিত্রগুলোর অস্তিত্বে বিশ্বাস করতো কোন প্রকার যুক্তি-প্রমান ছাড়াই ফলে তারা নিজেদেরকে বিশ্বাসী বলে দ্বাবি করতো এবং যারা ঐসব কাল্পনিক অস্তিত্বে বিশ্বাস করতো না তাদেরকে  বলতো অবিশ্বাসী কিন্তু সত্যি কি তারা অবিশ্বাসী ছিল তারা যা কিছু দেখা যায় না অথবা যার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই সেগুলোকে অবিশ্বাস করতো কিন্তু তারা ছিল বাস্তবতায় বিশ্বাসী তাদের মতে যার কোন অস্তিত্ব নেই তাকে বিশ্বাস করা অর্থহীন অর্থাত প্রকৃত পক্ষে তারাও ছিল বিশ্বাসী আস্তিকদের মতই কিন্তু তারা ছিল বাস্তবতায় বিশ্বাসী এবং কল্পনায় অবিশ্বাসী কিন্তু আস্তিকরা ছিল কল্পনায় বিশ্বাসী কিন্তু বাস্তবতায় অবিশ্বাসী
বর্তমানেও মানুষ জ্বিন-পরী, ভুত-প্রেত, শয়তান-দেবদূত বা ফেরেশতা এবং সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে যেগুলোর বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই তবুও তারা এইসব কাল্পনিক চরিত্রগুলোর প্রতি অন্ধ-বিশ্বাস স্থাপন করে চলে তারা বাস্তবতায় বিশ্বাস করে না তারা বিজ্ঞানে বিশ্বাস করে না অর্থাত তারা বাস্তবতায় অবিশ্বাসী এবং বিজ্ঞানে অবিশ্বাসী কিন্তু তারা কল্পনায় বিশ্বাসী
আবার বিপরীতক্রমে যারা বাস্তবতায় এবং বিজ্ঞানে বিশ্বাসী তাদেরকে নাস্তিক বলা হয় আস্তিকদের কাছে নাস্তিকরা অবিশ্বাসী কারণ তারা অবাস্তব ও কাল্পনিক যেসবের অস্তিত্ব বাস্তব জগতে নেই সেসবে তারা অবিশ্বাস করেআর তাই আস্তিকরা দাবি করে নাস্তিকরা অবিশ্বাসী এবং তারা বিশ্বাসী কিন্তু যখন আস্তিকরা বিজ্ঞানের সত্য মেনে নেয় না এবং বাস্তবতা বহির্ভূত অবাস্তবতায় ও কল্পনায় অন্ধ-বিশ্বাস স্থাপন করে তখন তারা বিশ্বাসী হয় বটে তবে সেটা হচ্ছে কল্পনায় বিশ্বাসী কিন্তু নাস্তিকরা অবাস্তবতা এবং কল্পনাতে বিশ্বাস করে না কিন্তু তারা বাস্তবতায় এবং বিজ্ঞানে বিশ্বাস স্থাপন করে কারণ বিজ্ঞান হচ্ছে বাস্তব জ্ঞানের সমাহার অন্য দিকে ধর্ম হচ্ছে কল্পনায় এবং অবাস্তবতায় বিশ্বাসের আড্ডাখানা আর তাই তারা বিশ্বাসী বলে দাবি করে বটে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধবিশ্বাসী এবং কল্পনায় বিশ্বাসকারী ফলে তারা হচ্ছে বাস্তবতায় এবং বিজ্ঞানে অবিশ্বাসী
অর্থাত আস্তিকরা কল্পনায় বিশ্বাসী কিন্তু বাস্তব জ্ঞান, বিজ্ঞানে অবিশ্বাসী
প্রক্ষান্তরে নাস্তিকরা ধর্ম এবং ধর্মের কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে অবিশ্বাস করে কিন্তু তারা বাস্তবতায় বিশ্বাস করে; তারা বাস্তব জ্ঞান, বিজ্ঞানে বিশ্বাস করে সুতরাং নাস্তিকরা বাস্তবতায় এবং বিজ্ঞানে বিশ্বাসী কিন্তু কল্পনায় এবং মিথ্যা ধর্মে অবিশ্বাসী
আস্তিক বিশ্বাস করে আত্মায়; কিন্তু বাস্তব জগতে আত্মা বলে কিছু নেই বিজ্ঞান বলে আত্মার কোন অস্তিত্ব নেই এটি কিছু মানুষের কল্পনা মাত্র এবং প্রাচীন অন্ধবিশ্বাস আর তাই নাস্তিক আত্মায় অবিশ্বাস স্থাপন করে ফলে তারা আস্তিকদের কাছে অবিশ্বাসী কিন্তু বিজ্ঞানে বিশ্বাসী কিন্তু আস্তিকরা বাস্তবতা ও বিজ্ঞানের বাইরে থেকে আত্মায় বিশ্বাস করে ফলে তারা অন্ধবিশ্বাসী আবার আস্তিকরা আত্মায় এত অন্ধ-বিশ্বাসী যে তারা বিজ্ঞানকেই অস্বীকার করছে অর্থাত তারা বাস্তবতায় অবিশ্বাস করছে; তারা বিজ্ঞানে অবিশ্বাস করছে অর্থাত তারা বিজ্ঞানে ও বাস্তবতায় অবিশ্বাসী কিন্তু নাস্তিকরা বাস্তবতায় ও বিজ্ঞানে বিশ্বাসী কিন্তু তারা অবাস্তব কল্পনার আত্মায় অবিশ্বাসী
আস্তিকরা বিশ্বাস করে জ্বিন-পরী, ভুত-প্রেত, শয়তান-দেবদূত বা ফেরেশতা এবং সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে কিন্ত বাস্তব জগতে এসব কাল্পনিক চরিত্রগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই এগুলো কিছু মানুষের কল্পনার দ্বারা তৈরী কৃত কিছু চরিত্র যেগুলোর অস্তিত্ব বাস্তব জগতে নেই এবং বিজ্ঞান এসব অস্তিত্তগুলোকে সরাসরি অস্বীকার করে আর নাস্তিকরা এই বাস্তবতা বিশ্বাস করে ফলে নাস্তিকরা বাস্তবতায় বিশ্বাসী এবং বিজ্ঞানে বিশ্বাসী কিন্তু ধর্মে বা কল্পনায় অবিশ্বাসী কিন্তু আস্তিকরা এই মিথ্যা কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে বিশ্বাস করে যেগুলো সরাসরি বিজ্ঞানের বিপক্ষে অর্থাত আস্তিকরা কল্পনায় বিশ্বাস করছে কিন্তু বাস্তবতায় অবিশ্বাস করছে অর্থাত আস্তিকরা বিজ্ঞানে অবিশ্বাসী

আবার আস্তিকরা বিশ্বাস করে মানুষকে এবং অন্যান্য সকল প্রানীকে তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা সরাসরি মানুষ এবং ঐসব প্রাণী রূপে তৈরী করে পৃথিবীতে ছেড়ে দিয়েছে
কিন্তু বিজ্ঞান বলে মানুষসহ অন্যান্য সকল প্রাণী এসেছে প্রথমে জড় পদার্থ থেকে একটি প্রাণী এবং পরে একটি প্রাণী থেকে পর্যায় ক্রমে পরিবর্তিত হয়ে অর্থাত এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে পরিবর্তিত হয়ে সকল প্রাণী এবং মানুষ বিবর্তিত হয়েছে এটাই বাস্তব জ্ঞান আর এটাকে নাস্তিকরা মেনে নিয়েছে আর তাই নাস্তিকরা হচ্ছে বাস্তবতায় বা বিজ্ঞানে বিশ্বাসী কিন্তু কল্পনায় অবিশ্বাসী কিন্তু আস্তিকরা এই সত্যটিকে মেনে নিতে পারে না বা অবিশ্বাস করে ফলে তারা বাস্তবতায় অবিশ্বাসী কিন্তু তারা বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তা নামে এক কাল্পনিক স্বত্বা মানুষ এবং সব প্রানীকে সৃষ্টি করেছে যেটা বাস্তবতা বিরোধী এবং বিজ্ঞান বিরোধী ফলে তারা কল্পনায় বিশ্বাসী

বিজ্ঞান বলে মহাজগত সৃষ্টি হবার পূর্বে কোন সময় সৃষ্টি হয়নি এবং মহাবিশ্ব সৃষ্টি হবার সাথে সাথে সময় সৃষ্টি হয়েছে আর তাই বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই কারণ বিশ্বজগত সৃষ্টি করতে হলে সৃষ্টিকর্তার সময়ের প্রয়োজন যে সময় সৃষ্টিই হয়নি তখন পর্যন্ত ফলে বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই থাকা সম্ভবও নয় আর এটাই বিশ্বাস করে নাস্তিকরা ফলে তারা বিজ্ঞানে বিশ্বাসী এবং কল্পনায় অবিশ্বাসী প্রক্ষান্তরে আস্তিকরা বিশ্বাস করে সময়ের বাইরে থেকেও সৃষ্টিকর্তার বিশ্বজগত সৃষ্টি করা সম্ভব যেটা সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিরোধী এবং বিজ্ঞান বিরোধী ফলে আস্তিকরা বাস্তবতায় অবিশ্বাসী এবং বিজ্ঞানে অবিশ্বাসী কিন্তু কল্পনায় বিশ্বাসী
সুতরাং দেখা যাচ্ছে আস্তিকরা বিশ্বাসী কিন্তু বাস্তবতায় নয় তারা বিশ্বাসী কল্পনায়, মিথ্যা ও ভ্রান্ত ধারনায় তারা অন্ধ-বিশ্বাসী এবং বাস্তবতায় অবিশ্বাসী
আবার নাস্তিকরা বাস্তবতায় এবং বিজ্ঞানে বিশ্বাসী কিন্তু কল্পনায় এবং মিথ্যা ও ভ্রান্ত ধারনায় অবিশ্বাসী
আর তাই নাস্তিকরা অবিশ্বাসী নয় বরং নাস্তিকরাই প্রকৃত বিশ্বাসী তারা বাস্তবতায় বিশ্বাসী কিন্তু আস্তিকরা প্রকৃত বিশ্বাসী নয় বরং তারা মিথ্যা ও কল্পনায় অন্ধ-বিশ্বাসী কিন্তু তারা বাস্তবতায় এবং বিজ্ঞানে অবিশ্বাসী
প্রকৃত পক্ষে নাস্তিকরা সত্যে বিশ্বাসী এবং মিথ্যায় অবিশ্বাসী কিন্তু আস্তিকরা মিথ্যায় বিশ্বাসী কিন্তু সত্যে অবিশ্বাসী
আর তাই বলা যায় নাস্তিকরাই প্রকৃত বিশ্বাসী এবং আস্তিকরা প্রকৃত অবিশ্বাসী

Sunday, July 20, 2014

বিবর্তনবাদ এবং আস্তিকদের দ্বিমুখীতা :




প্রতিটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব উত্থাপিত হলে প্রথমে কিছু মানুষ এর বিরোধিতা করে l পরে যখন তত্বটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে তখন সবাই তত্ত্বটিকে মেনে নেয় l মানব ইতিহাসে এরকম হাজারও উদাহরণ আছে l কোন নতুন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এর বিরোধিতা করা হয়নি এমনটি ঘটেনি কখনও l অথবা ঘটলেও এমনটি খুব কমই ঘটেছে l
সবসময়ই কোন বৈজ্ঞানিক তত্বের বিরোধিতা করেছে কিছু মানুষ l
আর এই বিরোধিতায় সব চেয়ে বেশি ভুমিকা রেখেছে আস্তিকরা l আস্তিকরা বিজ্ঞানের সেই সব তত্ত্বগুলোর ঘোর বিরোধী ছিল সবসময়ই যেসব তত্ত্ব ধর্মের বিরুদ্ধে গেছে l আস্তিকরা প্রথমে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলোর বিরোধিতা করেছে যেগুলো তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে গেছে l কিন্তু যখন এই তত্ত্বগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তখন আস্তিকদের মধ্যে কেউ কেউ সেই তত্বকে মেনে নিয়েছে l আবার বাকি সকলে সেই তত্বের বিরদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে l কিন্তু যখন তত্বটির বিপুল তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছে তখন সবাই সেই তত্বটি মেনে নিয়েছে l তবুও কিছু মানুষ থেকে গেছে যারা তত্বটি প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও সেই তত্বটি মেনে নেয়নি l বরং এর বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে l যখন সেই তত্বটি সর্বজন গৃহীত হয়েছে ব্যাপক তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে তখন এই লোকগুলোই সেই তত্বের গুনগান গেয়েছে l কেও কেও আবার একধাপ এগিয়ে বলেছে এই তত্বটি তাদের ধর্মে আগেই বলা হয়েছে l যে তারা আগে ওই তত্ত্বটিকেই অস্বীকার করেছে তারাই আবার ধর্মকে বাচাতে সেই তত্বকে ধর্মের সিল মোহর মেরে দিতে উদ্যত হয়েছে l এভাবেই আস্তিকরা আচরণ করে থাকে বৈজ্ঞানিক তত্বের ব্যাপারে l
এরকম অনেক উদাহরণ আছে মানুষের ইতিহাসে l
পৃথিবীর মানুষ আগে বিশ্বাস করতো পৃথিবী বিশ্বজগতের কেন্দ্রে রয়েছে l এই মিথ্যে ধারনাটি ধর্মে ভালো করেই ছিল সবসময় l কিন্তু যখন কোন এক বিজ্ঞানী দেখালো যে পৃথিবী কেন্দ্রে নয় বরং সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘুরে l এই তত্বটি ধর্মের বিরুদ্ধে গেল সরাসরি l ফলে খেপে গেল ধার্মিকরা l তাদের ধর্মকে বাচাতে সেই বিজ্ঞানীকে বাধ্য করা হলো এই তত্ত্ব তুলে নিতে l শুধু তাই নয় তাকে শাস্তিও দিল সেই ধার্মিক অন্ধ লোকগুলো l কিন্তু এই তত্ত্ব ঠিকই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে l আর সেই ধার্মিক লোকগুলোই এখন বলছে এই তথ্য সত্য l মেনে নিচ্ছে কারণ সত্যকে অস্বীকার করা যায় না l

তেমনি একটি তত্বের বিরোধীতা করে আসছে অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকগুলো l সেটা হচ্ছে বিবর্তনবাদ l এই তত্ত্ব মতে মানুষের কোন আদিপুরুষ তৈরী করা হয়নি বরং মানুষ এসেছে অন্য কোন প্রাণী থেকে বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে l বিবর্তনবাদের দাবি হচ্ছে বানর, গরিলা, শিপ্পান্জি এবং মানুষ এসেছে একই পূর্বপুরুষ থেকে l এই পূর্ব পুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়ে আজকের সভ্য মানুষের উত্থান ঘটেছে l ফলে কিছু ধর্ম যেমন খ্রিস্টান, মুসলমান ধর্মের বিরুদ্ধে যাওয়ায় এই তত্ত্বটিকে কখনই মেনে নিতে পারেনি তারা l বরং এই তত্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে l তারা মানুষকে মিথ্যা কথা বলে বিবর্তনবাদকে ভুল প্রমান করার চেষ্টা করেছে l কিন্তু তাতে এই তত্ত্ব থেমে থাকেনি; যেমনটি অন্যান্য তত্ত্বগুলো থেমে থাকেনি l এই তত্ত্ব আবির্ভাবের শত বছর পরেও এই তত্বের পক্ষে তথ্য প্রমান উত্থাপিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে l ফলে খ্রিস্টান ধর্মের লোকগুলো বিবর্তনবাদকে মেনে নিচ্ছে ব্যাপক তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে l কিন্তু এখনো কিছু কিছু খ্রিস্টান এই তত্বকে মেনে নিতে পারছে না l তারা এর বিরোধিতা করেই যাচ্ছে উদ্ভট উদ্ভট তথ্য উত্থাপন করে করে l কিন্তু তবুও বিবর্তনবাদ যেভাবে প্রমাণিত হয়েছে তাতে তাদের ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে তারাও বিবর্তনবাদের পক্ষে কথা বলতে শুরু করেছে l তারপরেও কিছু মানুষ থেকেই যাচ্ছে যারা বিবর্তনবাদকে সত্যি জেনেও মেনে নিতে পারছে না l
মুসলমানরা আরো বেশি বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছে তাদের ধর্মকে বাচাতে l কিন্তু বিবর্তনবাদের এত এত তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবার কারণে কিছু কিছু মুসলমান বিবর্তনবাদকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে l কিন্তু তারা সংখ্যায় খুব কম l বেশির ভাগ মুসলমান এখনও অস্বীকার করে বিবর্তনবাদকে হাজার হাজার তথ্য প্রমান উপস্থাপন এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও l তবুও তারা তাদের ধর্মকে বাচাতে বিবর্তনের বিপক্ষে নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং সহজ সরল স্বাধারণ মানুষকে মিথ্যা এবং ভুল ধারণা দিয়ে বেড়াচ্ছে ধার্মিকগুলো l
কিন্তু তাতে সত্য বিবর্তনবাদ মিথ্যে হয়ে যাবে না যেমনটি অন্য কোন তত্ত্ব মিথ্যে হয়ে যায়নি l বিবর্তন ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে l
বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ধর্মগুলো যুগের পর যুগ ধরেই অবস্থান নিয়েছে l এখনও নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও নিবে তাদের ধর্মকে বাচাতে যেয়ে l কিন্তু তাতে বিশেষ কোন লাভ হবে না কিছু মানুষকে কুসংস্কারে রাখা ছাড়া l অতীতে এমনটি বহুবার ঘটেছে, এখনো ঘটছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে এতে কোন সন্দেহ নেই l
আস্তিকদের দ্বিমুখিতার প্রমান পাওয়া যায় যখন তারা তাদের ধর্মকে বাচাতে যেয়ে বিজ্ঞানের সাথে নিজেদের ধর্মকে মিলাতে যায় l এবং তারা মানুষের কাছে উপস্থাপন করে দেখাতে চায় যে তাদের ধর্ম বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ l এবং বিজ্ঞানের সাথে মিল দেখাতে তারা তাদের ধর্মের আমূল পরিবর্তন করতেও দ্বিধাবোধ করে না l কিন্তু যে তত্বের সাথে তারা তাদের ধর্মকে মিলাতে পারে না বা মিল দেখাতে পারে না সেই তত্ত্বগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বেড়ায় l
বিবর্তনবাদ তেমনই একটা তত্ত্ব যেটার সাথে মুসলমানরা তাদের ধর্মের পরিবর্তন এনেও এর সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছে না অথবা সরাসরি এই তত্বটা তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে যাচ্ছে বলে তারা এর বিরোধিতা করে যাচ্ছে মিথ্যা কথা বলে বলে l কিন্তু অন্যান্য তত্ত্ব যেগুলো প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বজন স্বীকৃত সেগুলোকে তারা এখন আর অস্বীকার করতে পারছে না বলে সেটার সাথে তাদের ধর্মের মিল দেখাচ্ছে l কিন্তু বিবর্তনবাদের সাথে তাদের ধর্মের কোন মিল না থাকায় এবং তাদের ধর্মের সরাসরি বিরদ্ধে যাওয়ায় তারা এর বিরুদ্ধে মানুষকে মিথ্যে বলে তাদের ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে l কিন্তু মানুষ তবুও জেনে যাচ্ছে যে বিবর্তনবাদ সত্য l তাদের মিথ্যা অপপ্রচার কোন কাজে দিচ্ছে না l এখন অনেক মুসলমানও মানতে বাধ্য হচ্ছে যে বিবর্তনবাদ সত্য l ধার্মিকরা ভুলে যায় যে তাদের মিথ্যে ধর্ম কখনই বিজ্ঞানকে এবং বিজ্ঞানের তত্বকে মিথ্যা প্রতিপন্য করতে পারেনি এবং কোনদিন তারা পারবে না l সত্য চিরদিন সত্যই থাকবে l
যেসব আস্তিকরা (খ্রিস্টান এবং মুসলমান) আজ বিবর্তনবাদ কে মেনে নিতে পারছে না সত্যি জেনেও বরং মানুষের মাঝে মিথ্যে বলে বলে এর বিরদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারাই যখন দেখবে বিবর্তনবাদকে সবাই মেনে নিচ্ছে এর সত্যতার জন্য তখন এরাই ধর্মকে পরিবর্তন করে বিবর্তনবাদকে মেনে নেবে l শুধু তাই নয় তারাই তখন মিথ্যে দাবি করবে যে বিবর্তনবাদের কথা তাদের ধর্মগ্রন্থে আগেই বলা হয়েছে l অতীতে এরকম করেছে, বর্তমানে করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে এতে কোন ভুল নেই l
মুসলমানরা বিবর্তনবাদকে মিথ্যে প্রমান করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছে কারণ বিবর্তনবাদের স্বপক্ষে লক্ষ লক্ষ প্রমান উপস্থাপিত হয়েছে এবং বৈজ্ঞানিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য l
আবার তারাই তাদের ধর্মকে বৈজ্ঞানিক বলে দাবি করছে l এবং বিজ্ঞানকে তাদের মিথ্যা ধর্মকে বাচাতে ব্যবহার করছে l কিন্তু বিবর্তনবাদ তাদের ধর্মের সরাসরি বিরুদ্ধে যাওয়ায় তারা বিবর্তনবাদকে অস্বীকার করতে চাইছে l কিন্তু তবুও তারা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বিবর্তনবাদ বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য বলে l কিন্তু তাদের অপপ্রচার কিন্তু থেকে থাকেনি l তারা এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে এবং স্বাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে মিথ্যে বলে l কিন্তু তাতে বিবর্তনবাদ থেমে থাকছে না বরং আরোও বেশি করে সত্য প্রমানিত হচ্ছে l

যখন পৃথিবীর সব মানুষ বিবর্তনবাদ সত্য এটা জেনে যাবে তখন এই মুসলমানেরাই বিবর্তনবাদকে মেনে নেবে এবং বিবর্তনবাদের আলোকে তাদের মিথ্যে ধর্মকে নতুন করে সাজাবে l এবং দাবি করবে তাদের ধর্ম গ্রন্থে আগেই বিবর্তনবাদের কথা উল্লেখ করা আছে l
এভাবেই আস্তিকরা তাদের মিথ্যে ধর্মকে বাঁচিয়ে রেখেছে l এবং ভবিষ্যতেও এভাবেই মিথ্যে ধর্মগুলোকে বাঁচিয়ে রাখবে l
কিন্তু বিবর্তনবাদ অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তথ্যের মতই সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকবে l কারণ মানব সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথেই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধবিশ্বাসে জর্জরিত মিথ্যে ধর্মগুলো মিথ্যে প্রতিপন্য হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে l প্রতিষ্ঠিত হবে সত্যের আলো l

দেখেন দেখেন বিবর্তনবাদ সত্য !


Friday, July 18, 2014

আস্তিকদের হাস্যকর দাবির জবাব : মাছ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে বানর ও মানুষ তৈরী হওয়ার থেকে মাছ থেকে মত্স্য কন্যা হওয়াই ছিল অধিক সহজ বা সম্ভাবনাময় !




যুক্তিটাকে খুব জোড়ালো এবং উপযুক্ত যুক্তি বলে আস্তিকরা অন্ধের মত বিশ্বাস করে থাকে l তাদের বোধ শক্তিতে এটাই সব চেয়ে উপযুক্ত যুক্তি বিবর্তনবাদকে মিথ্যা প্রমান করার জন্য l আর যেসব আস্তিক এই যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চায় বা নিজেরাও বোঝে যে বিবর্তনবাদ যদি সত্য হত তবে মাছ থেকে মত্স্য কন্যা হত ! মাছ থেকে বানর এবং এর পরে বানর থেকে মানুষ হওয়ার বদলে সরাসরি মাছ থেকে মত্স্য কন্যা হওয়া অধিক সহজ এবং যুক্তিযুক্ত !
যেসকল আস্তিক এই দাবিটি করে তারা বিবর্তনবাদ সম্পর্কে খুব সামান্য ধারনাই রাখেন l

বিবর্তনবাদ অনুযায়ী পৃথিবী জীব বসবাসের উপযুগী হওয়ার পরে অর্থাত পৃথিবীতে পানি এবং বাতাসে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরী হবার পরে প্রথম এক কোষী জীব তৈরী হয়েছিল পানির মধ্যে বা পানিতে l পরে এই এক কোষী জীব (যেমন ব্যাকটেরিয়া) কোষ বিভাজনের মাধ্যমে বহুকোষী জীব তৈরী করে l  এর পরে ক্রমান্নয়ে বহুকোষী প্রাণী তৈরী হয় এগুলো ছিল অনেকটা বর্তমান মাছের মত প্রাণী l এই মাছগুলো পরবর্তিতে বিবর্তিত হয়ে পাখা বা ফুলকা বা লেজ আকৃতির প্রাণীতে পরিনত হয়েছে l এর লক্ষ বছর পরে এই প্রানীগুলো থেকে কিছুটা শক্ত মাংস ওয়ালা অঙ্গ (অনেকটা হাতের মত) প্রাণী তৈরী করে যেগুলো ক্রমান্নয়ে উভচর হিসেবে আচরণ করতে থাকে l এরাই পরবর্তিতে ডাঙায় উঠে আসতে শুরু করে l এর মাধ্যমেই প্রাণী মাছ প্রজাতির পূর্ব পুরুষ থেকে পৃথক হয়ে সম্পূর্ণ একটা স্থলচর প্রাণীর আবির্ভাব ঘটে l এর লক্ষ বছর পর গিরগিটি বা টিকটিকি অথবা ইদুরের মত এক প্রকারের প্রাণীর উদ্ভব হয় যেগুলো থেকে পরবর্তিতে বড় আকৃতির প্রাণী বিবর্তিত হয়ে আরো বড় আকৃতি ধারণ করতে থাকে l এভাবে পর্যায় ক্রমে বাঘ সিংহ, হাতি ঘোড়া প্রভৃতি প্রাণীর আবির্ভাব ঘটে l এবং মানব তৈরির সূচনা হয় বানর জাতীয় প্রাণী তৈরী হবার মাধ্যমে l এর পর থেকেই বানর থেকে পর্যায় ক্রমে বিবর্তনের মাধ্যমে গরিলা, শিপ্পাঞ্জি ও শেষে মানুষের আবির্ভাব ঘটে l আর এই বিবর্তন প্রক্রিয়ায় পানিতে তৈরী হয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং ডলফিন, হাঙ্গর ও তিমির মত বড় প্রাণীর l আবার স্থলে সাপ, বেজি, খরগোস প্রভৃতি থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে পর্যায় ক্রমে তৈরী হয়েছে শেয়াল-কুকুর, ছাগল-ভেরা, গরু-মহিষ, বাঘ-সিংহ, হাতি-ঘোড়া প্রভৃতি উচু স্থরের প্রাণীর l  এছাড়াও স্থলের প্রানীদের মধ্যে কিছু প্রাণী হিংস্র প্রানীদের হাত থেকে বাচতে উড়তে শিখে যায় l ফলে পাখির মত প্রাণীর উদ্ভব ঘটে l

বিবর্তন ঘটার পিছনে কাজ করেছে সেই অঞ্চলের আবহাওয়া l যেখানে যে প্রাণীর সহজে উদ্ভব হতে পেরেছে সেখানে সেই প্রাণীর আবির্ভাব হয়েছে l আর যেখানে যে প্রাণীর বেচে থাকার উপযোগিতা বেশি ছিল সেখানে সেই প্রাণী টিকে থেকেছে খুব সহজে l ফলে প্রাণীর বিবর্তন নির্ভর করেছে প্রাণীর বসবাসের উপযোগিতার উপর l আবার যে প্রাণী পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনি সে প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে l
বিবর্তন নির্ভর করেছে প্রাণী কোন পরিবেশে উদ্ভব হয়েছে এবং সেই পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর সংগ্রাম থেকে l কোন প্রাণী কোন এক পরিবেশে উদ্ভুত হয়ে সে সেই পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে l আর এই খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা থেকে বিবর্তন ঘটেছে প্রায় সব প্রাণীর মধ্যে l এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ডিএনএ মিউটেশন প্রাণীর বিবর্তনের ক্ষেত্রে মুখ্য ভুমিকা পালন করেছে l
আর এভাবেই বিবর্তনের ধারা পরিচালিত হয়েছে l
তাই প্রথমে জীব জগতের উদ্ভব ঘটেছে পানিতে l পরে এটি স্থলে প্রবাহিত হয়েছে l তৈরী করেছে উদ্ভিদ জগত l  প্রাণী জগত প্রথমে পানিতে বেশি উপযোগী ছিল আর তাই পানিতেই এদের প্রথম উদ্ভব ঘটে l পরবর্তিতে প্রাণী বিবর্তিত হয়ে প্রথমে নরম মাংসের প্রাণী এবং পরে মেরুদন্ডি প্রাণীর উদ্ভব হয়েছে l এরপর এই মেরুদন্ডি প্রাণী পানিতে সাতার কাটার তাগিদে তৈরী হয়েছে লেজ ও ফুলকা l পরে এদের কিছু কিছু প্রাণী বিবর্তিত হয়ে মাংসল অঙ্গ যেগুলো পরবর্তিতে শক্ত হয়ে হাত বা পায়ের মত অঙ্গ তৈরী হয়েছে l এগুলো উভচর হিসেবে আচরণ করেছে এবং বাচার তাগিদে স্থলে বসবাস করা শুরু করেছে l আর এ ভাবেই প্রাণী বিবর্তিত হয়ে তৈরী করেছে বিশাল প্রাণীজগত l ফলে প্রাণী ধাপে ধাপে উচুস্থরের প্রাণী তৈরী করেছে l এবং এক সময় বানর, শিপ্পাঞ্জি ও মানুষ প্রভৃতির আবির্ভাব হয়েছে l
এক প্রাণী অন্য প্রাণীতে বিবর্তিত হবার সময় সবচেয়ে উপযোগী প্রাণীতে পরিবর্তিত হয়েছে l যেমন পানিতে যে প্রাণীজগত বিবর্তিত হয়ে তৈরী হয়েছে সেটা পানির উপযোগী হয়ে টিকে থেকেছে l আর এজন্যই মাছের ও অন্যন্য সামদ্রিক প্রাণীর গঠন প্রণালী এক রকম; আবার স্থলের প্রাণীজগতের গঠন প্রণালী অন্যরকম l এবং পাখিদের গঠন প্রণালী অন্য রকম l  মানুষের গঠন প্রণালী এবং শিপ্পাঞ্জি ও বানরের গঠন প্রণালীর মধ্যে অনেক মিল আছে l মানুষের আবির্ভাব বানর হয়ে শিপ্পাঞ্জি ও মানুষের পূর্বপুরুষের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে l এটা হয়েছে ধাপে ধাপে l  যদি বানর এবং শিপ্পান্জির পূর্বপুরুষের আবির্ভাব না ঘটত তবে মানুষের উত্পত্তি পৃথিবীতে হত না l পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ঘটা সম্ভব হয়েছে তার একমাত্র কারণ মানুষ, শিপ্পাঞ্জি এবং বানরের পূর্বপুরুষের আবির্ভাব হয়ে ছিল বলেই l

আস্তিকদের মত্স্য কন্যার ধারণার সাথে বিবর্তনকে মিলিয়ে ফেলতে যে অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারটা কাজ করে সেটা হচ্ছে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবকে তারা আবশ্যিক কল্পনা করে l তাদের ধারণা পৃথিবীতে প্রাণীজগতের উত্পত্তির মূল কারণ মানুষের আবির্ভাব ঘটা l আর তাই তারা চিন্তা করতে ভালবাসে যে যেখানেই প্রাণীজগতের আবির্ভাব ঘটুক না কেন অবশ্যই মানুষের আবির্ভাব ঘটবেই l অর্থ্যাত তাদের ধারণা প্রাণীজগতের মূল উদ্দেশ্য মানুষ সৃষ্টি l
কিন্তু তারা এই ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখে না যে পৃথিবীতে মানুষের উত্পত্তি নাও ঘটতে পারত l মানুষের উত্পত্তি সম্ভব হয়েছে কারণ মানুষের উত্পত্তির যতগুলো ধাপ পার হওয়ার দরকার তার সবগুলোই পার হয়েছে এবং সৌভাগ্য ক্রমে মানুষের পূর্বপুরুষের জ্বিনে আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল l যদি মানুষের পূর্বপুরুষদের মধ্যে কোন একজন বিলুপ্ত হত মানুষের আবির্ভাবের পূর্বেই তবে আর মানুষের আবির্ভাব ঘটত না পৃথিবীতে l আবার যদি মানুষের ডিএনএ-তে মিউটেশন না ঘটত তবে মানুষের আবির্ভাব ঘটত না l পৃথিবীতে শুধু বানর শিপ্পাঞ্জি এগুলো থাকতো l এবং পৃথিবীতে কোন বুদ্ধিমান (মানুষের মত) প্রাণীর আবির্ভাব ঘটত না l
কিন্তু আস্তিকদের ধারণা প্রাণীজগত তৈরী হয়েছে বা আবির্ভূত হয়েছে একমাত্র মানুষের আবির্ভাবের উদ্দেশ্যে l আর তাই যেখানেই প্রাণীজগত থাকবে সেখানেই মানুষের আবির্ভাব ঘটতে বাধ্য হবে l
এ চিন্তা থেকেই তারা ধরে নেয় যদি বিবর্তন সত্যি হয়ে থাকে তবে ডাঙায় মানুষের উদ্ভব না ঘটে পানিতে মত্স্য কন্যার উদ্ভব ঘটত l এখানে তাদের চিন্তার এবং বুদ্ধির অসারতা হচ্ছে তাদের ধারণা যেখানেই প্রাণীজগত থাকবে সেখানেই মানুষের আবির্ভাব ঘটবে l আর তাই পানিতেই মানুষের বিবর্তন হয়ে মত্স্য কন্যার উদ্ভব ঘটবে l
আস্তিকদের এই রকম ধারনার কারণ হচ্ছে তারা বিবর্তন সম্পর্কে খুব কম (একদম অল্প পরিমান) জ্ঞান রাখে l আর এজন্যই তারা এরকম উদ্ভট কথা উত্থাপন করে l
পানিতেও বিবর্তন ঘটেছে l এবং পানিতে বিবর্তন ঘটে পানিতে বসবাসকারী হাজারও প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছে l যেমন বিবর্তনের প্রথম দিকে ছিল ছোট ছোট প্রাণী এবং ছোট ছোট মাছ l পরবর্তিতে বড় মাছের আবির্ভাব হয়েছে এবং আরো পরে রাক্ষসে মাছের উদ্ভব ঘটেছে l আবার অন্যন্য প্রাণী যেমন কচ্ছপ, কুমির সাপ ব্যাং প্রভৃতি প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছে l এমনকি বিবর্তনের মাধ্যমে তিমির মত বৃহৎ প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছে l
আর তাই আস্তিকদের দাবি বিবর্তন ঘটলে অবশ্যই সরাসরি মানুষ তৈরী হতে হবে কথাটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন l
বিশ্বজগতে অনেক জায়গাতেই প্রাণী জগতের উদ্ভব ঘটার অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে l তাহলে যদি অন্য কোথাও (আমাদের সৌরজগত বা গ্যালাক্সির বাইরে) প্রাণীজগতের সন্ধান পাওয়া যায় তবে সেখানেও দেখা যাবে একটা প্রাণীজগতের সৃষ্টি হয়েছে যেখানে হাজারও রকমের প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছে l সেখানে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকারও খুব বেশি সম্ভাবনা রয়েছে l তাহলে সেই জগতে যে বুদ্ধিমান প্রাণীর আবির্ভাব ঘটবে সেটা কি মানুষই হবে ? আস্তিকদের ধারণা মতে প্রাণীজগতের মূল উদ্দেশ্য মানুষের আবির্ভাব ঘটা হলে সেখানেও মানুষের উত্পত্তি ঘটা উচিত l কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সেখানে কোন মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না বরং সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের প্রাণীর আবির্ভাব ঘটবে l যেমনটা ঘটা সম্ভব অসংখ্য গ্যালাক্সির অসংখ্য গ্রহে l এবং কোথাও মানুষ থাকবে না l এর কারণ হচ্ছে প্রাণী জগতের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে উপযোগী প্রাণী তৈরী করা কিন্তু মানুষ তৈরী করা নয় l আর তাই পৃথিবীতে মানুষ তৈরী হওয়া কোন পূর্ব নির্ধারিত ঘটনা নয় l এটা ঘটেছে সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ ঘটার মাধ্যমেই l যদি এই সুনির্দিষ্ট কারণগুলো না ঘটত তবে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ঘটত না l যেমন যদি মানুষের পূর্বপুরুষের বিলুপ্তি ঘটে যেত, যদি কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটতো; তবে মানুষ, শিপ্পাঞ্জি প্রভৃতির আবির্ভাব ঘটতো না l আবার যদি মানুষের জ্বিনের মিউটেশনের মাধ্যমে ক্রোমোসোম সংখ্যার পরিবর্তন না ঘটতো তবে পৃথিবীতে কোন মানুষের আবির্ভাব ঘটতো না l শুধু শিপ্পাঞ্জিরা থাকতো l জেনেটিকেল মিউটেশনের মাধ্যমেই অন্যান্য Homo. প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়ে Homo sapience বা মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে l আর তাই পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ঘটা প্রধান উদ্দেশ্য ছিলনা বরং মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে ডিএনএ-এর মিউটেশন নামে এক দুর্ঘটনার মাধ্যমে l

যদি শিপ্পাঞ্জি এবং অন্যান্য হোমো প্রজাতির মধ্যে ডিএনএ-এর মিউটেশনের মাধ্যমে ক্রোমোসোম সংখ্যা ২৪ জোড়া থেকে কমে ২৩ জোড়া না হতো তবে পৃথিবীতে মানুষের উদ্ভবই ঘটতো না l কারণ ডিএনএ মিউটেশনের মাধ্যমে অন্যান্য হোমো প্রজাতির একটির মধ্যে ২ জোড়া ক্রোমোসোম-এর মধ্যে মিউটেশন ঘটে ১ জোড়া ক্রোমোসোম তৈরী হয়েছিল l ( ২ জোড়া বা ৪ টা ক্রোমোসোম মিলে এক জোড়া বা ২ টা ক্রোমোসোম গঠন করেছে) ফলে ২৪ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়া অপরিবর্তিত থেকেছে এবং ২ জোড়া ক্রোমোসোম মিলিত হয়ে ১ জোড়া ক্রোমোসোম তৈরী করেছে l ফলে নতুন একটি প্রজাতি হোমো সেপিয়েন্স বা মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে পৃথিবীতে l আর এভাবেই বিবর্তন ঘটেছিল বলে মানুষের উদ্ভব সম্ভব হয়েছে l  যদি এককোষী ব্যাকটেরিয়া বিবর্তিত হয়ে হোমো প্রজাতি (২৪ জোড়া ক্রোমোসোম) তৈরী  হতে না পারতো তবে কখনই মানুষের (২৩ জোড়া ক্রোমোসোম) উদ্ভব ঘটা সম্ভব হতো না l
এখানে উল্লেখ্য যে পৃথিবীতে মানুষের মত একটা প্রাণীর উদ্ভব ঘটার জন্য অবশ্যই অন্তর্বর্তী প্রাণী যেমন বানর, গরিলা প্রভৃতির উদ্ভব ঘটা আবশ্যিক ছিল l যদি এই অন্তর্বর্তী প্রজাতির একটি বিলুপ্ত হয়ে যেতো পরবর্তী প্রজাতির উদ্ভব হওয়ার আগেই তবে পৃথিবীতে মানুষের উদ্ভব ঘটা অসম্ভব ছিল l
আবার শারীরিক দিক দিয়ে মাছের গঠনের সাথে মানুষের গঠনের আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে l মাছের পূর্ব পুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষের উদ্ভব হতে যে অন্তর্বর্তী প্রানীগুলোর উদ্ভব হতে হবে সেগুলো না হলে কখনই মানুষের উদ্ভব হওয়া সম্ভব হবে না l বিবর্তনের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে মাছের পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়ে উভচর প্রাণীতে পরিনত হতে হবে l পরে এই উভচর প্রাণী বিবর্তিত হয়ে বাঘ সিংহ হাতি এবং বানর প্রভৃতির পূর্বপুরুষে পরিনত হতে হবে l এর পরে বানর থেকে মানুষের পূর্বপুরুষের (যেমন গরিলা) আবির্ভাব ঘটবে l যদি মাছ থেকে মানুষের মত উন্নত প্রাণীর উদ্ভব হতে হয় তবে বানর বা গরিলা প্রভৃতির মত উন্নত প্রাণীর উদ্ভব ঘটতে হবে l কিন্তু মাছের গঠন প্রণালী কখনই বিবর্তিত হয়ে মানুষের গঠন প্রণালী তৈরী করার মত উপযুক্ত নয় l

মানুষের ডিএনএ এবং মাছের ডিএনএ-এর মধ্যে অনেক বেশি পার্থক্য l কিন্তু প্রকৃতিতে প্রাপ্ত অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে মানুষের ডিএনএ-এর সাথে অন্যান্য স্থলচর প্রাণীর উল্লেখযোগ্য মিল রয়েছে l আর এ থেকেই বোঝা যায় মাছ থেকে সরাসরি মানুষের উদ্ভব ঘটা কখনই সম্ভব নয় l কিন্তু বানর বা গরিলা অথবা শিপ্পান্জির গঠনের মিল দেখে সহজেই অনুমান করা যায় যে মানুষের উদ্ভব ঘটেছে বানরের এবং গরিলা বা শিপ্পান্জির পূর্বপুরুষ থেকে l
কর্ড মাছের ক্রোমোসোম সংখ্যা ১০৪ কিন্তু শিপ্পাঞ্জি বা গরিলার ডিএনএ সংখ্যা ৪৮ এবং মানুষের ডিএনএ সংখ্যা ৪৬ l আর তাই গরিলা থেকে মানুষ তৈরী হওয়া অনেক যুক্তিযুক্ত l কিন্তু মাছ থেকে সরাসরি মানুষের আবির্ভাব ঘটা অসম্ভব l
মানুষের বিবর্তন ঘটা সম্ভব হয়েছে এককোষী ব্যাকটেরিয়া থকে বিবর্তনের মাধ্যমে বহুকোষী প্রাণী এবং পরবর্তিতে মাছ এবং উভচর প্রাণীর উদ্ভব এবং এরও অনেক পরে স্থলচর প্রাণী বাঘ, সিংহ, হাতি, বানর প্রভৃতির পূর্বপুরুষের উদ্ভব এবং সব শেষে মানুষের পূর্বপুরুষের উদ্ভবের মাধ্যমেই এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষের উদ্ভব ঘটেছে l এই পদ্ধতি ছাড়া কখনই মানুষের উদ্ভব ঘটতো না পৃথিবীতে l পানিতে মাছের পূর্বপুরুষের মধ্যে বিবর্তন ঘটে তৈরী করেছে জলচর প্রাণী এবং উভচর প্রাণী l আবার উভচর প্রাণীর বিবর্তনের মাধ্যমে তৈরী হয়েছে স্থলচর প্রাণী l এবং এই স্থলচর প্রাণীর বিবর্তনের মাধ্যমে তৈরী হয়েছে উন্নত শ্রেনীর স্থলচর প্রাণী l আর এর থেকে তৈরী হয়েছে গরিলা শিপ্পাঞ্জির মত উন্নত প্রাণী l এদের পূর্বপুরুষের মধ্যে ডিএনএ-এর পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরী হয়েছে অতি উন্নত প্রাণী মানুষের l
এভাবেই বিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে l এটাই বিবর্তনের ধারা l এর বিকল্প সম্ভব নয় কখনই !
আর তাই মাছ থেকে মত্স্য কন্যা নয় বরং গরিলা শিপ্পান্জির মত প্রাণীর পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে l
বিবর্তন মানুষের মাঝে ঘটেছে এবং ঘটছে l ভবিষ্যতেও বিবর্তন ঘটতে থাকবে যতদিন প্রাণীজগত আছে l