Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Saturday, January 31, 2015

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ৯ ) কুরআনে বর্ননা মতে পৃথিবী সমতল; যা বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক ।

মুসলমানদের দাবী কুরআন আল্লাহ নামের এক আরবীয় সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ধর্মীয় গ্রন্থ কিন্তু কুরআনের লেখার ধরন এবং বিভিন্ন বাস্তবতা বহির্ভূত ও অবৈজ্ঞনিক কথা থাকায় এটা কারও বুঝতে বাকী থাকে না যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং এটি কোন এক স্বাধারণ মানুষ লিখেছে
কিন্তু মুসলমানদেরকে নানা প্রমাণ দেখালেও তারা মানতে চায়না যে কুরআন মুহাম্মদ নামের এক আরবীয় স্বাধারণ মানুষ লিখেছে তারা তাদের দাবী থেকে সরে দাড়াতে চায় না অন্ধভাবে বিশ্বাস করে চলে যে কুরআন কোন এক সৃষ্টিকর্তারই লেখা
আগের পর্বগুলোতে দেখানো হয়েছে যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ নয় এটি একজন স্বাধারণ মানুষ কর্তৃক লিখিত
এই পর্বেও একটি প্রমাণ উল্লেখ করা হবে যেখানে প্রমান করা হবে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়; বরং কুরআন কোন এক স্বাধারন মানুষের লেখা

অস্তিত্ব সংকট এবং গুজামিলের ধর্ম ।




ধর্মগুলো অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে বিজ্ঞান যতই এগিয়ে যাচ্ছে অজ্ঞতা ততই দুর হচ্ছে ফলে অজ্ঞতা দ্বারা সৃষ্ট ধর্মগুলোও অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে
ইসলাম, খৃস্টান এবং ইহুদী এই ধর্মগুলো (আব্রাহামিক ধর্ম) মানব সৃষ্টি সম্পর্কে প্রাচীন গল্পকাথার আশ্রয় নিয়েছে প্রাচীন মানুষ জানতো না মানুষ কিভাবে পৃথিবীতে আবির্ভুত হয়েছে কিন্তু তারা তাদের কৌতুহল মেটাতে তৈরী করেছে নানা গল্প-উপকথার আর তার মধ্যে আদম হাওয়ার গল্প খুব উল্লেখযোগ্য এই গল্প বা রুপকথাটি ধর্মে চলে এসেছে বা ধর্মের সৃষ্টিকর্তা প্রাচীন মানুষ এই গল্পটিকে ধর্মে ব্যবহার করেছে ফলে ধর্মগুলো বিশ্বাস করে এসেছে কোন এক (কাল্পনিক) সৃষ্টিকর্তা প্রথমে পৃথিবী থেকে মাটি নিয়ে আদম নামের প্রথম মানুষকে সৃষ্টি করেছে এবং তার শরীরের অংশ থেকে হাওয়াকে সৃষ্টি করেছে আর আদম হাওয়াকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে

Friday, January 30, 2015

কুরআনের কারিক্যাচার এবং মুসলমানদের অনুবাদের কারী-ক্যাঁচাল । ১৪০০ বছর পরে কি এমন হলো যে কুরআনের অর্থই বদলে গেল ? (পর্ব ২)



মুসলমানরা কুরআনের আগের অর্থ পরিবর্তন করে কিছু কিছু আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করে ফেলেছে নিজেদের সুবিধামত কিন্তু তারা কেন ১৪০০ বছর ধরে চলে আসা কুরআনের অর্থ পরিবর্তন করে সেটা এই পর্বগুলোতে দেখানো হচ্ছে

সুদীর্ঘ ১৪০০ বছর ধরে কুরআনের যে অর্থ বা অনুবাদ করা হয়েছে সেই অনুবাদ বিংশ শতাব্দিতে এসে এবং একবিংশ শতাব্দির প্রথম ভাগে এসে কুরআনের অর্থের পরিবর্তন করতে হচ্ছে মুসলমানদের এটা করার কারণ আর কিছুই নয়; নিজেদের ধর্মকে রক্ষা করা মুসলমানরা তাদের ধর্মগ্রন্থের নানা ভূল ভ্রান্তি মানুষের কাছে ধরা পড়ায় তারা মরিয়া হয়ে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ধর্মকে রক্ষা করার জন্য এটা তারা করছে পৃথিবীর সব ধর্মগুলোর মতো করেই

এখন প্রশ্ন আশা স্বাভাবিক যে, কেন মুসলমানরা ১৪০০ বছর পরে এসে মুহাম্মদের সময় থেকে চলে আসা কুরআনের অর্থ আজকের এই একবিংশ শতাব্দিতে এসে পরিবর্তন করছে ?

Sunday, January 25, 2015

সৃষ্টিকর্তা কে ? সে কেমন ? কি করে সে ?



সৃষ্টিকর্তা কে ? সে কেমন ? কি করে সে ?
আস্তিকদের কাল্পনিক সৃষ্টি হলো সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিকর্তা হলো এমন কেও যে বিশ্বজগতের সব কিছু সৃষ্টি করেছে এবং বিশ্বজগতের সব কিছুকে পরিচালিত করে (আস্তিকদের দাবী সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কাজই ঘটা সম্ভব নয়) তাদের দাবী অনুযায়ী সব কিছুর একজন সৃষ্টিকর্তা আছে কিন্তু সেই সৃষ্টিকর্তার কোনই সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন হয়নি তার কোন শুরু নেই এবং তার কোন শেষও নেই সে আদি অনন্ত কাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত বিরাজ করবে তার কোন বিনাশ নেই তিনি চিরঞ্জীবি

তাহলে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এসে উপস্থিত হয় সৃষ্টিকর্তা কেমন ? তার আকৃতির কেমন ? কি করে সে ? কিভাবে তার জীবন অতিবাহিত করে ?
সৃষ্টিকর্তা আদি অনন্ত কাল থেকে বিরাজ করছে কিন্তু আমাদের বিশ্বজগত মাত্র বড় জোর পনেশ কোটি বছরের তাহলে সৃষ্টিকর্তা এই বিশ্বজগত সৃষ্টির পূর্বে কোথায় ছিল ? সেখানে সে কি করছিল সেই সময়টাতে ?
বিশ্বজগত সৃষ্টির পূর্বে সৃষ্টিকর্তার কি কোন কাজ ছিল ?  সে তখন কেমন ছিল ?

Saturday, January 24, 2015

কোন ধর্মই কি সত্যি ?



এক কথায় বললে কোন ধর্মই সত্যি নয় ? কিভাবে নির্ণয় করা যায় কোন ধর্মই সত্যি নয় ?
প্রত্যেক ধর্মেরই কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ থাকে যেগুলোকে সৃষ্টিকর্তার বাণী বলা হয় l ধর্মের অনুসারীরা দাবি করে থাকে তাদের ধর্ম গ্রন্থটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত অর্থাত সৃষ্টিকর্তার বাণী l এই দাবির পক্ষে তারা নানা যুক্তি উপস্থাপন করে থাকে l সবাই দাবি করে তাদের ধর্ম গ্রন্থটিতে কোন ভুল নেই l  কোন ভুল কথা বা মিথ্যে কথা যদি ধর্মীয় গ্রন্থে থাকে তবে সেটি কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় বা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ নয় l
এই কথাটির উপর ভিত্তি করেই বলা যায় যে পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে তাদের সব ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থের মাঝে প্রচুর ভুল ও মিথ্যে তথ্য দেয়া আছে l আর তাই পৃথিবীর কোন ধর্মীয় গ্রন্থই সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত নয় l ফলে কোন ধর্মই সত্যি ধর্ম নয় l
মুসলমানরাও দাবি করে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনই একমাত্র সত্য l বাকি সব ধর্ম গ্রন্থ মিথ্যে l
কিন্তু আমরা যদি কুরআন পড়ি তাহলে দেখা যায় সেখানে অনেক ভুল বা মিথ্যে কথা বলা হয়েছে l

Tuesday, January 20, 2015

কুরআনের কারিক্যাচার এবং মুসলমানদের অনুবাদের কারি-ক্যাঁচাল । ১৪০০ বছর পরে কি এমন হলো যে কুরআনের অর্থই বদলে গেল ? পর্ব ১



 মুসলমানদের দাবী, কুরআন একজন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ যার নাম আল্লাহ তো আল্লাহ তার কর্মী জিব্রাইলকে দিয়ে আরবের একজন মানুষের কাছে তার বাণী বা কথা পাঠিয়েছে সুদীর্ঘ ২৩ বছর ধরে আরবের সেই মানুষটির নাম মুহাম্মদ জিব্রারাইলের কথা কেউ শুনতে পায়নি একমাত্র মুহাম্মদ শুনতে পেয়েছে বলে মুসলমানদের দাবী তাদের দাবী মতে, মুহাম্মদ ছিল সেই সময়ের একমাত্র ব্যক্তি যে জিব্রাইলের কথা শুনতে পেতো, তাকে দেখতে পেতো এবং তার সাথে কথপোকথন করতে পারতো মুহাম্মদ ছাড়া জিব্রাইলকে কেও দেখেনি, তার কথাও কেউ শুনতে পায়নি
জিব্রাইলকে দিয়ে আল্লাহ যে সব বাণী মুহাম্মদের কাছে পাঠাতো সেগুলোই পরবর্তীতে সংকলিত হয়ে একটি গ্রন্থ তৈরী করেছে মুসলমানরা, যার নাম আল কুরআন এটাই মুসলমানদের নিকট পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ
আল্লাহ কিছু কথা বলেছে সেগুলো জিব্রাইল এসে মুহাম্মদকে বলেছে এবং মুহাম্মদ সেই সব কথাগুলোকে সবার কাছে প্রকাশ করেছে আর এভাবেই কুরআনের বাণী বা কথা গুলো সবার কাছে পৌছেছে কিন্তু কুরআনের বাণীগুলো বিগত ১৪০০ বছর ধরে মানুষের কাছে এক রকমের অর্ধ বহন করেছে অর্থাৎ কুরআনে যে কথা গুলো বর্ণনা করা হয়েছে সেই কথাগুলোর অর্ধ বিগত ১৪০০ বছর ধরে এক রকম অর্থ বহন করে এসেছে কিন্তু বিংশ শতকের শেষ দিকে বা একবিংশ শতকে এসে কুরআনের অর্থগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে

Saturday, January 17, 2015

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । পর্ব ৮



রাত দিন সম্পর্কে কুরআনের অজ্ঞতা এবং অদ্ভুত কথাবার্তা

কুরআন কোন অতি ক্ষমতাবান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ নয়, বরং এটি কোন এক স্বাধারণ মানুষের লেখা স্বাধারণ মানের গ্রন্থ কুরআনে নানা ভুল তথ্য এবং বাস্তবতা বহির্ভুত কথা থাকায় এটা কারো বুঝতে বাকি থাকে না যে, কুরআন মুহাম্মদ লিখেছে বা মুহাম্মদ দ্বারা প্রস্তুতকৃত
এর আগের পর্বগুলোতে সেটা আমি প্রমাণ করে দিয়েছি এবং এই পর্বেও আরো একটা প্রমাণ হাজির করবো

কুরআনে আল্লাহ তথা মুহাম্মদ বলেছে,
সুরা রাদ, আয়াত ০৩
"...তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন ...।"
অর্থাৎ দিনকে রাত দ্বারা আবৃত করা হয় বা ঢেকে দেয়া হয়
সুরা আন-নমল : আয়াত ৩৯ :
"... তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন ...।"
অর্থাৎ দিন রাতকে ঢেকে দেয় বা রাত দিনকে ঢেকে দেয়

Friday, January 16, 2015

আল্লাহ মানব শিশু জন্ম পদ্ধতি বর্ণনা করতে যেয়ে নিজের অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে ।



কুরআনের সুরা মুমিনুন-এর ১২, ১৩ ও ১৪ নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছে,
"আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকার মূল উপাদান হতে ।"
"অতঃপর আমি ওকে শুক্রবিন্দু রুপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আঁধারে ।"
"পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি রক্তপিন্ডে, অতঃপর রক্তপিন্ডকে পরিণত করি গোশতপিন্ডে এবং গোশতপিন্ডকে পরিণত করি হাড়সমূহে; অতঃপর হাড়সমূহকে ঢেকে দিই গোশত দ্বারা; অবশেষে ওকে গড়ে তুলি অন্য এক সৃষ্টিরুপে; অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত মহান !"

এই আয়াত তিনটিতে ভুলের ছড়াছড়ি !
প্রথমত- মানুষ মাটির মূল উপাদান থেকে সৃষ্টি হয়নি এটি একটি প্রাচীন উপকথা বা মিথ মানুষের শারীরিক গঠনের কােথাও মাটির মূল উপাদান বা মাটির সারাংশ নেই মাটির মূল উপাদান বা প্রধান উপাদানগুলো হলো- কোয়ার্টজ্ (SiO2), ক্যালসাইট (CaCO3), ফেল্ডসপার (KAlSi3O8)  এবং মিকা (K(Mg,Fe)3AlSi3O10(OH)2)
এছাড়াও মাটির মুল উপাদানগুলো হচ্ছে - P2O5, K2O, CaO, MgO, SiO2, Al2O3, Fe2O3, Na2O, TiO2 এবং MnO2  কিন্তু এই উপাদানগুলো মানব দেহ তৈরী করতে পারে না কুরআন ভূল কথা বলছে

Tuesday, January 13, 2015

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ৭) আকাশ সম্পর্কে কুরআনের অযৌক্তিক, অবাস্তব এবং অবৈজ্ঞানিক কথা বার্তা ।


মুসলমানদের দাবী তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন একটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ কিন্তু কুরআন নানা ভূল এবং মিথ্যা কথায় ভরপুর কুরআনে নানা অবৈজ্ঞানিক তথ্য থাকায় এটা বুঝতে কারোও বাকী থাকে না যে কুরআন কোন অতি ক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ নয় কোন এক স্বাধারণ মানুষের তৈরী করা একটা স্বাধারণ মানের গ্রন্থ ইতিপূর্বে সেটা আমি প্রমাণ করেছি এই পর্বেও আরো একটি প্রমাণ উপস্থাপন করবো
কুরআনে আল্লাহ বলেছে, সুরা বাকারার ২২ নাম্বার আয়াতে,
"যিনি তোমাদের জন্যে যমীনকে শয্যা ও আকাশকে ছাদ স্বরুপ করেছেন এবং যিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেণ, ...."
এই আয়াত অনুযায়ী ভুমি শয্যা, আকাশ ছাদ এবং এই ছাদ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ হয়
আবার সুরা আম্বিয়ার ৩২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে
"এবং আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ;..."
অর্থাৎ আকাশ একটি সুরক্ষিত ছাদ
আল্লাহ যে শুধু একটা সুরক্ষিত ছাদ তৈরী করেছে তাই নয় সে মোট সাতটা ছাদ তৈরী করেছে
সুরা নাবা, আয়াত ১২
"আর নির্মাণ করেছি তোমাদের ওপর সুদৃঢ় সাত আকাশ ।"

Thursday, January 8, 2015

আস্তিকদের কু-যুক্তি বা অপ-যুক্তি এবং অপ-বিজ্ঞানের প্রতিবাদ ।



আস্তিকরা অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন তারা তথ্য প্রমান ছাড়া কাল্পনিক কোন কিছুর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের কল্পনাকেই সত্য বলে মনে করে ফলে একটা ভ্রমের মধ্যে তাদের সারা জীবন কাটে তারা কাল্পনিক ভাবে এক সৃষ্টিকর্তা তৈরী করেছে এবং তাকে বাস্তব বলে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সত্য তাদের দাবীর পক্ষে কোন প্রমানই তারা দেখাতে পারেনি আজ পর্যন্ত তারা সৃষ্টিকর্তার প্রমান হিসেবে প্রাচীণ আমলে রচিত ভূলে ভরা কয়েকটা বই হাজির করে বইগুলো পড়ে এটা স্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে, বইগুলো প্রাচীণ কালের কোন স্বাধারণ মানুষ বা মানুষ সমষ্টির দ্বারা রচিত হয়েছে এছাড়া তারা কোন প্রমাণ হাজির করতে পারে না কিন্তু তারা কথার মারপ্যাঁচে জোর করে প্রমাণ করতে চায় যে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে এবং তারা কোন প্রমাণ ছাড়াই শুধু কথার মাধ্যমে (চাপার জােরে) সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ চেষ্টা করে আর সেটা করতে যেয়ে তারা নানা রকম অপযুক্তি এবং মিথ্যের আমদানী করে যেমন-

১. আস্তিকদের দাবী বুদ্ধিমান কোন কিছু বা জটিল কোন সিস্টেম থাকলে অবশ্যই তার কোন সৃষ্টিকর্তা বা ডিজাইনার থাকতে হবে আর তাদের দাবী প্রমাণ করতে যেয়ে বুদ্ধিমান নকশা বা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের মত অপ-যুক্তি বা অপ-বিজ্ঞান তৈরী করেছে তাদের দাবী যেখানেই কোন বুদ্ধিমান কিছু বা জটিল কোন সিস্টেম থাকে সেখানে সেই জটিল সিস্টেম তৈরী করতে অবশ্যই কোন অতিবুদ্ধিমান স্বত্ত্বার নকশা বা ডিজাইনারের প্রয়োজন আছে তাই এই বিশাল (জটিল) বিশ্বজগৎ এবং বুদ্ধিমান প্রাণীজগতের অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে আর তাই অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে
তাদের এই যুক্তিটি যে একটা অপযুক্তি বা অপবিজ্ঞান সেটা তাদের দাবীটাই প্রমান করে

Wednesday, January 7, 2015

কুরআনে মুহাম্মদের উল্টা পাল্টা কথা বার্তা ।



স্বাধারণত ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্মগ্রন্থগুলোর কথা জটিল প্রকৃতির হয়ে থাকে কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করা হয যাতে মানুষ মনে করে এগুলো সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বাণী যেমন- হিন্দু ধর্মের বাণী বা মন্ত্রগুলো সংস্কৃত ভাষায় পাঠ করা হয় বলে হিন্দুরা মনে করে এগুলো ঔশী বাণী আবার কুরআন আরবী ভাষায় পাঠ করা হয় এবং নামাজ আরবি ভাষায় পাঠ করা হয় বলে বাঙ্গালীরা এবং অন্যান্য অন-আরবরা মনে করে কুরআন আল্লাহর বাণী এছাড়াও ধর্মগ্রন্থের বাণীগুলোতে কঠিন কঠিন শব্দ প্রয়োগ করা হয় যাতে সেগুলোকে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ঔশী বাণী বলে মনে হয় আর তাই পৃথিবীর সব ধর্মগুলোই কঠিন এবং জটিল করে লেখা হয়েছে
কিন্তু মুহাম্মদের সময়ে মুহাম্মদ যখন কুরআনের বিভিন্ন আয়াত সবার কাছে প্রকাশ করতে থাকলো তখন সবাই দেখলো কুরআনের আয়াতগুলো আরবি ভাষায় অর্থাৎ মাতৃভাষায় সহজ করে বর্ণিত ফলে তারা এগুলোকে ঔশী বাণী হিসেবে মানতে চাইলো না তারা বলতে লাগলো - কুরআনতো অনেক সহজ করে লেখা, তাহলে এটি সৃষ্টিকর্তার বাণী হয় কি করে ?
তখন মুহাম্মদ দেখলো কুরআন বেশী সহজ হয়ে গেছে যেটি তার নবুওতের জন্য হুমকি স্বরুপ কিন্তু যে আয়াতগুলো প্রচার করা হয়ে গেছে সেগুলো পরিবর্তন করা যাবে না আর তাই তাকে কুরআনকে এবং নিজের নবীয়ত্বকে বাঁচাতে আয়াত হাজির করতে হয়েছে
সুরা ইউসুফ, আয়াত ০২
"আমি অবতীর্ন করেছি তাকে কুরআন(রুপে) আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝতে পারো ।"

Tuesday, January 6, 2015

কুরআন বৈজ্ঞানিক নাকি মুসলমানরা বিজ্ঞান এবং ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ ?


যে ভাবে মুসলমান আস্তিকগুলো কুরআনে বিজ্ঞানকে খুজে পায় তাতে একটা ব্যপার স্পস্টভাবে ফুটে উঠে এরা কেও বিজ্ঞান জানে না ?
যেমন-
১. আকাশ আর পৃথিবী এক সাথে মিশে ছিল, আল্লাহ মশাই এদেরকে আলাদা করে দিয়েছে (২১:৩০) আর মুসলমানরা এটাকেই বিগ ব্যাং মনে করে বোকারা বুঝতে চায় না বা বুঝতে পারে না কুরআন বলছে আকাশ আর পৃথিবী আগে থেকেই তৈরী ছিল, আল্লাহ মশাই শুধু এদেরকে আলাদা করে দেয় যেটা বিগ ব্যাং থিওরীর বিরোধী দেখুন লেখা আছে - আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবীকে আলাদা করে দিয়েছে আকাশ ও পৃথিবী তৈরী করেছে বলা হয়নি বরং বলা হয়েছে আলাদা করে দিয়েছে মানে আকাশ আর পৃথিবী আগে থেকেই তৈরী অবস্থায় ছিল
২. বিশ্বজগত সৃষ্টির আগে অর্থাৎ বিগ ব্যাং-এর আগে সব কিছু ছিল বায়ুবীয় অবস্থায় (৪১:১১) কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বায়ুবীয় পদার্থ তৈরী হয়েছে বিগ ব্যাং-এর লক্ষ বছর পরে বিগ ব্যাং-এর আগে বা বিশ্বজগৎ সৃষ্টির পূর্বে কোন পদার্থই ছিল না ছিল শুধু এনার্জি বা শক্তি আর কুরআনের এই দাবী দ্বারা এটাই বুঝা যায় আল্লাহর বিশ্বজগৎ সম্পর্কে কোন জ্ঞানই নেই থাকবে কি করে, কুরআনতো তৈরী করেছে মুহাম্মদের মত এক স্বাধারন মানুষ

ধর্ম বা প্রার্থনা ধর্ম (Religion) আর বাস্তবতা এক নয় । (পর্ব ২) ধর্মের সত্য আর বাস্তব সত্য এক নয় ।


সত্য মিথ্যার বিচার বাস্তব জীবনে যেভাবে করা হয় ধর্মে সেভাবে করা হয় না । বাস্তব সত্য হচ্ছে যেটা বাস্তবিক অর্থেই সত্য । কিন্তু ধর্ম যেটাকে সত্য বলে প্রচার করে সেটা আসলে বাস্তব সত্য নয় ।
পৃথিবী সূর্যের চার পাশে ঘুরে এটা একটা বাস্তব সত্য । কিন্তু ধর্ম আগে বলতো সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে । মানুষ আগে এটাই ধারনা করতো যে সূর্য চন্দ্রই পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে । কিন্তু এই ধারনাটা ছিল ভুল বা মিথ্যা । কিন্তু বর্তমানে প্রমানিত সত্য (বাস্তব সত্য) যে পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘুরে । অর্থাৎ ধর্ম প্রাচীণ মানুষের মিথ্যে ধারনাই সত্য হিসেবে গ্রহন করেছিল । এবং এটাকেই সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছিল । পরে যখন প্রমান হলো সূর্য নয় পৃথিবীই ঘুরে তখন ধর্মও এটাকে পরিবর্তন করে নিয়েছে (যেহেতু এটা সবাই জেনে গেছে) ।
ধর্ম বলে মানব জাতি এসেছে একজনমাত্র মানুষ থেকে । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ একজন মানুষ থেকে আসেনি, এসেছে অন্য কোন প্রাণী হতে বিবর্তিত হয়ে (বিবর্তনের মাধ্যমে) । অর্থাৎ ধর্মের কাছে চির সত্য হলো মানুষ একজন মানুষ থেকে সৃষ্ট হয়েছে; যেমন ইহুদী, খৃস্টান ও ইসলাম ধর্ম মতে মানব জাতি সৃষ্টি হয়েছে আদম হাওয়া থেকে । আর তারা এটাকেই পরম সত্য বলে মনে করে । কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে মানবজাতি আদম হাওয়া নামের কাল্পনিক চরিত্র থেকে উদ্ভুত হয়নি, হয়েছে বিবর্তনের মাধ্যমে অন্য কোন প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে । অর্থাৎ ধর্ম যেটাকে সত্য বলে মনে করছে সেটা আসলে মিথ্যে ।

Monday, January 5, 2015

ধর্ম বা প্রার্থনা ধর্ম (Religion) আর বাস্তবতা এক নয় । (পর্ব ১) বাস্তবজগতের ভালো-খারাপ আর ধর্মের ভালো-খারাপ এক নয় ।

ভালো বা খারাপ কি?
ধর্ম কি ভালো খারাপ নির্ধারণ করে দেয় ?

উন্নতি সাধন করা বা উপকারী কিছু তৈরী করা ভালো কাজ । ক্ষতি করা বা উপকারী কিছু ধ্বংশ করা খারাপ কাজ । আবার অন্য কারো উপকার করা ভালো কাজ কিন্তু কারো ক্ষতি করা খারাপ কাজ ।
অর্থাৎ ভালো কাজ নির্ধারিত হয় ভালো কিছু করার মাধ্যমে, যেটা সবার ভালো বা কল্যাণ করে কিন্তু কারো ক্ষতি করে না । আবার খারাপ কাজ নির্ধানিত হয় খারাপ কিছু করা যেটা সবার ক্ষতি বা অমঙ্গল করে ।
সহজ করে বললে, অন্যকে উপকার করা হচ্ছে ভালো কিন্তু কারো ক্ষতি করা হচ্ছে খারাপ । অর্থাৎ ভালো খারাপ নির্ধারিত হয় অন্যের ভালো খারাপ করার মাধ্যমে ।
কিন্তু ধর্মগুলো ভালো খারাপ নির্ধারণ করে ভিন্ন হিসেবে । ধর্মগুলোর মতে ইশ্বরের উপাসনা করা অর্থাৎ ইশ্বরের প্রশংসা বা গুনগান করাই ভালো কাজ । যারা ইশ্বরের গুনগান করে না তারা পাপী; তারা খারাপ । সে যত মানব কল্যাণকর কাজই করুক না কেন যদি সে ইশ্বরের গুনগান না করে তবে সে খারাপ ।