Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Saturday, January 31, 2015

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ৯ ) কুরআনে বর্ননা মতে পৃথিবী সমতল; যা বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক ।

মুসলমানদের দাবী কুরআন আল্লাহ নামের এক আরবীয় সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ধর্মীয় গ্রন্থ কিন্তু কুরআনের লেখার ধরন এবং বিভিন্ন বাস্তবতা বহির্ভূত ও অবৈজ্ঞনিক কথা থাকায় এটা কারও বুঝতে বাকী থাকে না যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং এটি কোন এক স্বাধারণ মানুষ লিখেছে
কিন্তু মুসলমানদেরকে নানা প্রমাণ দেখালেও তারা মানতে চায়না যে কুরআন মুহাম্মদ নামের এক আরবীয় স্বাধারণ মানুষ লিখেছে তারা তাদের দাবী থেকে সরে দাড়াতে চায় না অন্ধভাবে বিশ্বাস করে চলে যে কুরআন কোন এক সৃষ্টিকর্তারই লেখা
আগের পর্বগুলোতে দেখানো হয়েছে যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ নয় এটি একজন স্বাধারণ মানুষ কর্তৃক লিখিত
এই পর্বেও একটি প্রমাণ উল্লেখ করা হবে যেখানে প্রমান করা হবে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়; বরং কুরআন কোন এক স্বাধারন মানুষের লেখা


কুরআনে পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে বলা আছে -
সুরা বাকারা; আয়াত ২২ :
     "যে পবিত্র সত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন,"
সুরা আন- নাবা ; আয়াত ৬ :
      "আমি কি পৃথিবীকে বিছানা বানিয়ে দেইনি ?"
এই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী বিছানার মত সমতল

সুরা আল হিজর; আয়াত ১৯ :
    "পৃথিবীকে আমি বিস্তৃত করেছি এবং ওতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি; "
সুরা ক্বাফ; আয়াত ৭ :
         "আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি ও তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি "
সুরা আন-নাযিয়াত; আয়াত ৩০,
       "এবং পৃথিবীকে এরপর বিস্তৃত করেছেন l"
সুরা আশ-শামস; আয়াত ৬ :
       "শপথ পৃথিবীর এবং তার যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, "
উপরিউক্ত আয়াতগুলো অনুযায়ী পৃথিবীকে বিস্তৃত করা হয়েছে এই আয়াতগুলোতে বলা হয়েছে পৃথিবী প্রশস্তভাবে বিস্তৃত অর্থাৎ পৃথিবী সমতল

সুরা আল গাশিয়াহ ; আয়াত ২০ :
       "এবং ভুতলের দিকে যে, কিভাবে ওটাকে সমতল করা হয়েছে ?" 
এই আয়াতেও পৃথিবীকে সমতল বলা হয়েছে

সুরা আয-যারিয়াত; আয়াত ৪৮:
      "এবং আমি পৃথিবীকে বিছিয়ে দিয়েছি, সুতরাং আমি কত সুন্দরভাবে বিছিয়েছি !"
এই আয়াতে বলা হয়েছে পৃথিবীকে খুব সুন্দর ভাবে বিছানো হয়েছে যেভাবে বিছানা বা কার্পেট বিছানো হয় ঠিক সেভাবে সমতলে বিছানো হয়েছে

সুরা রাদ; আয়াত ৩ :
      "তিনিই ভুতলকে বিস্তৃত করেছেন এবং ওতে পর্বত ও নদী সৃষ্টি করেছেন "
এই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবীকে বিস্তৃত করে এতে পর্বত এবং নদ-নদী তৈরী করা হয়েছে পৃথিবীকে যদি প্রশস্তভাবে বা সমতলে বিস্তৃত করা যায় তবে তাতে পাহাড়-পর্বত এবং নদ-নদী খুব ভালো ভাবে স্থাপন করা যায়

সুরা ত্ত্বায়াহা; আয়াত ৫৩:
     "যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা এবং তাতে করে দিয়েছেন তোমাদের চলবার পথ,
এই আয়াতে বলা হয়েছে পৃথিবীকে বিছানার মত করে অর্থাৎ বিছানার মত সমতলে বিছানো হয়েছে আর এতে চলবার পথ করে দেওয়া হয়েছে

সুরা নূহ; আয়াত ১৯ ও ২০ :
    "এবং আল্লাহ তোমাদের জন্যে ভূমিকে করেছেন বিস্তৃত-"
    "যাতে তোমরা এর প্রশস্ত পথে চলাফেরা করতে পারো l" 
এতক্ষণে বিষয়টা বুঝা গেল যে, কেন আল্লাহ বারবার পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেটের মত করে বিছানোর কথা বলেছে এ জন্য পৃথিবীকে বিছানার মত সমতল করে সৃষ্টি করা হয়েছে যেন পৃথিবীতে প্রশস্ত রাস্তা তৈরী করা যায় কারণ রাস্তাও বিছানার মত সমতল তো কুরআনে কেন বারবার পৃথিবীকে বিছানার মত সমতল বলা হচ্ছে এটা এই আয়াতে এসে আল্লাহ পরিস্কার করে বলেছেএজন্য পৃথিবীকে বিছানার মত সমতল করে তৈরী করা হয়েছে যাতে এতে প্রশস্ত পথ তৈরী করা যায় এবং মানুষ প্রশস্ত পথে চলতে পারে

সুরা আয-যুখরুফ; আয়াত ১০:
      "যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন শয্যা এবং ওতে করেছেন তোমাদের চলার পথ যাতে তোমরা সঠিক পথ পেতে পারো;
এই আয়াতেও পৃথিবীকে কেন বিছানার মত সমতল করে তৈরী করা হয়েছে সেই কথা বলা হচ্ছে যাতে মানুষ সমতল পথে চলাফেরা করে সঠিক ভাবে পথ চিনতে পারে সে জন্য পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেটের মত করে সমতল ভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে

উপরিউক্ত সবগুলো আয়াতে পৃথিবীর আকৃতি বলতে কখনও বিছানা বা কার্পেটের কথা বলা হয়েছে আবার কখনও বলা হয়েছে প্রশস্তভাবে বিস্তৃতির কথা অর্থাৎ কুরআনে পৃথিবীর আকৃতির বর্ণনার সবগুলো আয়াতে পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেট অথবা প্রশস্তভাবে বিস্তৃত এই কথাগুলো দিয়ে এটাই বুঝিয়েছে যে, পৃথিবী আসলে সমতল পৃথিবীকে সমতল বুঝাতে যতগুলো শব্দ ব্যবহার করা যায় তার প্রায় সবগুলো শব্দ দিয়েই এটা স্পষ্ট করা হয়েছে যে, পৃথিবী সমতল কখনও বলা হয়েছে, পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেটের মত করে বিছানো হয়েছে অর্থাৎ বিছানা বা কার্পেটের মত সমতল করা হয়েছে আবার কখনও বলা হয়েছে, পৃথিবীকে বিস্তৃত করা হয়েছে প্রশস্তভাবে অর্থাৎ সমতলে
আবার কেন পৃথিবীকে সমতল করে তৈরী করা হয়েছে সেটাও কুরআনে বলা হয়েছে পৃথিবীকে এজন্য সমতল করা হয়েছে যাতে এতে প্রশস্ত পথ তৈরী করা যায় এবং মানুষ সমতল পথে সহজে চলাচল করতে পারে আর পৃথিবীতে নদ-নদী তৈরী করার জন্যই পৃথিবীকে সমতল করে তৈরী করা হয়েছে
অর্থাৎ কুরআনের আয়াতগুলো দিয়ে পৃথিবীকে সমতল বুঝিয়েছে আর সমতল বুঝাতে যতগুলো শব্দের প্রয়োজন হয়েছে তার সবগুলোই নিয়ে পৃথিবীকে সমতল বুঝিয়েছে

কুরআনে বর্ণিত পৃথিবী যে সমতল সেটা বুঝা যায় আরো কিছু আয়াত থেকে যেমন নিচের আয়াতটিতে স্পষ্ট করে বুঝানো হয়েছে যে, পৃথিবী আসলে সমতল
সুরা আল কাহফ; আয়াত ৮৬ ৯০ :
       "চলতে চলতে যখন তিনি সূর্য ডোবার স্থানে পৌছলেন তখন তিনি সূর্যকে এক পংকিল (কর্দমাক্ত) জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি তথায় এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন; আমি বললাম: হে যুলকারনাইন! তুমি তাদেরকে শাস্তি দিতে পার অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পার l"
        "চলতে চলতে যখন তিনি সূর্যোদয় স্থলে পৌছলেন তখন তিনি দেখলেন ওটা এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদিত হচ্ছে যাদের জন্যে সূর্যতাপ হতে আত্বরক্ষার কোনো অন্তরাল আমি সৃষ্টি করি নাই l" 
৮৬ নাম্বার আয়াতটি ভালো ভাবে লক্ষ করলে দেখা যায়, সেখানে স্পষ্ট করে বর্ণনা করা আছে যে, যুলকারনাইন নামের এক মহামানব বা বীর পৃথিবীর এমন প্রান্তে পৌছতে পেরেছিল যেখানে সূর্য অস্ত যায় এবং যখন যুলকারনাইন সেই সূর্য অস্ত যাবার স্থানে পৌছে যায় সেখানে সে দেখতে পায় সূর্য এক জলাশয়ে ডুবে যাচ্ছে আর সেখানে সে এক উপজাতির দেখা পায় আয়াতটি লক্ষ করুন বলা হচ্ছে, যখন যুলকারনাইন সূর্য ডোবার স্থানে পৌছলেন তখন সূর্য জলাশয়ে অস্ত গেল এবং সে সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন
অর্থাৎ এই আয়াত অনুযায়ী, পৃথিবীর একটা প্রান্ত সীমা আছে যেখানে সূর্য ডোবে যায় আর এটা দিয়ে স্পষ্ট হয় যে কুরআনের পৃথিবী সমতল কারণ যুলকারনাইন পৃথিবীর শেষ সীমায় পৌছতে পেরেছিল যেখানে সূর্য ডোবে যায় জলাশয়ের মধ্যে কুরআনে "যখন তিনি সূর্য ডোবার স্থানে পৌছলেন" দিয়ে সমতল পৃথিবীর শেষ প্রান্ত বুঝিয়েছে আর সমতল পৃথিবীরই শেষ প্রান্ত থাকা সম্ভব
আবার ৯০ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী, যুলকারনাইন এমন এক স্থানে পৌছলেন যেখানে সূর্য উদয় হচ্ছে এক সম্প্রদায়ের উপর দিয়ে যাদের জন্য সূর্য তাপ থেকে বাঁচানোর জন্য কোন আড়াল বা অন্তরাল ছিল না অর্থাৎ সেই সম্প্রদায়ের মাথার খুব কাছ থেকে সূর্য উদয় হচ্ছে এই আয়াতেও বলা হচ্ছে, "যখন সে সূর্য উদয়ের স্থানে পৌছলো" অর্থাৎ এমন একটা স্থান আছে যেখানে সূর্য উদয় হয় আর এটা তখনই সম্ভব যখন পৃথিবী সমতল হবে গোলাকার বা গোলকাকার পৃথিবীর ক্ষেত্রে সূর্য উদয়ের স্থান বা সূর্য অস্ত যাবার স্থান বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই তখনই সূর্য ডোবার স্থার এবং সূর্য উদয়ের স্থানের প্রশ্ন আসবে যখন পৃথিবী সমতল হবে
আর এই দুই আয়াত দিয়ে কুরআন পৃথিবীকে সম্পূর্ণরুপে সমতল বুঝিয়েছে

আবার কুরআনে কাবা বা কেবলা মুখি হওয়ার ক্ষেত্রে কী বলেছে সেটা একটু লক্ষ করি
সুরা আল বাক্বারাহ ; আয়াত ১৪৮; ১৪৯ ১৫০ :
           "প্রত্যেকের জন্যে এক একটি লক্ষস্থল রয়েছে, ঐদিকেই সে মুখমন্ডল প্রত্যাবর্তিত করে, অতএব তোমরা কল্যাণের দিকে ধাবিত হও; তোমরা যেখানেই থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সকলকেই একত্রিত করবেন, নিশ্চই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতাবান l"
           "এবং তুমি যেখান হতেই বের হবে, তোমার মুখ মসজিদে হারামের দিকে প্রত্যাবর্তিত কর এবং নিশ্চয়ই এটাই তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে সত্য, এবং তোমরা যা করছো তদ্বিষয়ে আল্লাহ অমনোযোগী নন l"
           "আর তুমি যেখান হতেই বের হও না কেন, তোমার মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরাও যে যেখানে আছ তোমাদের মুখমন্ডল সেদিকেই প্রত্যাবর্তিত কর যেন তাদের অন্তর্গত অত্যাচারীগণ ব্যতিত অন্য কেউ তোমাদের সাথে বিতর্ক করতে না পারে, অতএব তোমরা তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকেই ভয় কর যেন আমি তোমাদের উপর আমার অনুগ্রহ পূর্ণ করি এবং যেন তোমরা সুপথ প্রাপ্ত হও l"   
অর্থাৎ কুরআনের বর্ণনা মতে মানুষ যেদিক থেকেই বের হোক বা যেখানেই মানুষ অবস্থান করুক না কেন সেখান থেকেই কেবলামুখি হওয়া যায় আর এটা তখনই সম্ভব হবে যখন পৃথিবী সমতল হবে মানুষকে কেবলামুখী হওয়ার এই আদেশটি তখনই কেও দিবে যখন সে ভাববে পৃথিবী সমতল কারণ গোলকাকার পৃথিবীর ক্ষেত্রে কেবলা বা কোন একটা কেন্দ্রমুখি হওয়া কখনই সম্ভব নয় কিন্তু সমতল পৃথিবীর ক্ষেত্রে এটা পানির মত সহজ যে কেই যে কোন স্থান থেকেই কেবলা মুখি হতে পারবে যখন পৃথিবী সমতল হবে অর্থাৎ এই আয়াতগুলো মতে পৃথিবী সমতল আর তাই মানুষ যেখানেই অবস্থান করুক না কেন সে কেবলামুখী হতে পারবে

নিচের আয়াতটি থেকে পৃথিবী যে সমতল সেটা আরো ভালোভাবে বুঝা যাবে
সুরা আর রহমান; আয়াত ৩৩ :
           "হে জিন মানুষের সমবেতগোষ্ঠী ! যদি তোমরা মহাকাশ-মন্ডল পৃথিবীর সীমারেখা থেকে বেরিয়ে যাবার ক্ষমতা রাখ তাহলে বেরিয়ে যাও l তোমরা অতিক্রম করতে পারবে না নির্দেশ ব্যতীত l"   ( : জহুরুল হক)

এই আয়াত অনুযায়ী মানুষ এবং জ্বীন (একটি কাল্পনিক চরিত্র) কখনই পৃথিবীর এবং আকাশের সীমানা ছারিয়ে যেতে পারবে না অর্থাৎ এই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবীর এবং আকাশের একটা প্রান্তসীমা আছে আর সেই প্রান্তসীমা অতিক্রম করা কারো পক্ষে সম্ভব নয় একমাত্র আল্লাহর বিশেষ ক্ষমতা ব্যতীত
সুতরাং পৃথিবীর একটা প্রান্তসীমা আছে আর পৃথিবীর প্রান্তসীমা তখনই থাকা সম্ভব যখন পৃথিবী সমতল হবে আর কুরআনের মতে পৃথিবী সমতল বলেই এর প্রান্তসীমা অতিক্রম করার প্রসঙ্গ এসেছে কিন্তু গোলকাকার পৃথিবীর কোন প্রান্তসীমা থাকা সম্ভব নয় প্রান্তসীমা শুধু সমতল পৃথিবীরই থাকা সম্ভব অর্থাৎ কুরআনের বর্ণনা মতে পৃথিবী সমতল এবং সমতল পৃথিবীর একটা প্রান্তসীমা আছে যা অতিক্রম করার সামর্থ্য কারোরই নেই  

উপরিউক্ত আয়াতগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারছি কুরআন পৃথিবীকে সমতল হিসেবে বর্ণনা করেছে অর্থাৎ কুরআনের পৃথিবী সমতল কিন্তু আমরা জানি বাস্তব পৃথিবী সমতল নয় বাস্তব পৃথিবী গোলাকার বা গোলকাকার
তাহলে কুরআন কেন পৃথিবীকে সমতল হিসেবে বর্ণনা করেছে বা পৃথিবীকে সমতল দেখিয়েছে ?
এর উত্তর খুব সহজ কারণ কুরআন কোন অতি ক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তা লেখেনি লিখেছে প্রাচীণ ধ্যান ধারনার এক স্বাধারণ মানুষ আর তাই কুরআনে পৃথিবীকে সমতল হিসেবে দেখানোটা তার প্রাচীণ চিন্তা ধারারই বহিঃপ্রকাশ
কুরআন লিখেছে মুহাম্মদের মতো এক স্বাধারণ আরব মানুষ আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে তখন সব মানুষই পৃথিবীকে সমতল ভাবতো এখনও একজন স্বাধারণ মানুষের কাছে পৃথিবীকে সমতলই মনে হয় কিন্তু বাস্তব পৃথিবী সমতল নয় গোলকাকার আর এই কথাটি মুহাম্মদের পক্ষে সেই দেড় হাজার বছর আগে জানা সম্ভব ছিল না তাই সে যখন কুরআন লেখে তখন পৃথিবীকে সমতল হিসেবেই বর্ণনা করেছে আর তাই পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেট বানানো হয়েছে, বিছানো হয়েছে এবং বিস্তৃত করা হয়েছে বা প্রশস্তভাবে বিস্তৃত করা হয়েছে এই কথাগুলো বলা হয়েছে বারবার মুহাম্মদের ধারণা ছিল পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকেই মানুষ কেবলামুখি হতে পারবে আর পৃথিবী সমতল কিন্তু মানুষের সাধ্য নেই সমতল পৃথিবীর প্রান্তকে অতিক্রম করে যাওয়া তাই এই কথাগুলোই সে কুরআনে বর্ণনা করেছে ফলে কুরআন যে কোন অতিজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা লেখেনি সেটা প্রমানিত হয়ে পড়েছে
কুরআনের বর্ণনায় পৃথিবী সমতল কিন্তু এটি সত্যি নয় আর এই মিথ্যে প্রাচীণ ধারনা কুরআনে উপস্থিত থাকায় এটা প্রমান হয় কুরআন আল্লাহ নামের কোন সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং কুরআন লিখেছে মুহাম্মদ
কুরআনে পৃথিবী সম্পর্কে ভূল ধারনা মুহাম্মদের নিজস্ব ধারনা আর সেটি মিথ্যে তাই কুরআনও আল্লাহর লেখা কোন গ্রন্থ নয়
অর্থাৎ কুরআন আল্লাহর বাণী নয়; কুরআন মুহাম্মদের নিজের বাণী

1 comment: