Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, November 21, 2014

আল্লাহ অজ্ঞতায় মুহাম্মদকেও হার মানায় ! (পর্ব ২)

মুসলমানদের সৃষ্টির জনক আল্লাহ কুরআন করীমে জ্ঞাত করেছে,
সুরা নুর ; আয়াত ৪৩
"তুমি কি দেখ না, আল্লাহ সঞ্চালিত করেন মেঘমালাকে, তৎপর তাদেরকে একত্রিত করেন এবং পরে পুঞ্জিভূত করেন, অতপর তুমি দেখতে পাও, ওর মধ্য হতে নির্গত হয় পানিধারা; আকাশস্থিত শিলাস্তূপ হতে তিনি বর্ষণ করেন শিলা এবং এটা দ্বারা তিনি যাকে ইচ্ছা প্রদান করেন এবং যাকে ইচ্ছা তার উপর হতে এটা অন্য দিকে ফিরিয়ে দেন; "
এই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ মেঘমালা সঞ্চালিত করে, পরে পুঞ্জভূত করে এবং এটিই পরবর্তীতে বৃষ্টি হয়ে পরে । আকাশে সংরক্ষিত শিলাস্তুপ থেকে শিলা বর্ষন করে । এবং যার দিকে ইচ্ছা তার দিকে শিলা নিক্ষেপ করে ।
মহাজ্ঞানী আল্লাহ কুরআনে এই কথাগুলো বলেছে । মেঘমালাকে একত্রিত করা, সঞ্চালিত করা এবং বৃষ্টিপরা মানুষ পৃথিবীর মাটির উপরে দাড়িয়ে থেকে দেখতে পায় । আর তাই এইটুকু বলাতে কোন ভূল হবার কথা নয় একজন মানুষের । কিন্তু মানুষ মুহাম্মদের সময়ে জানতো না আকাশ থেকে শিলা কোথা থেকে আসে । মানুষ আগের দিনে ভাবতো শিলা হয়তো আকাশে সংরক্ষিত আছে এবং ওসব শিলাস্তুপ থেকেই শিলা পৃথিবীতে পরে । সেই সময়ের মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব ছিলনা শিলা বৃষ্টির কারন সম্পর্কে ।

আবার কুরআনে আল্লাহ বলেছে, "আকাশস্থিত শিলাস্তূপ হতে তিনি বর্ষণ করেন শিলা" । অর্থাৎ আল্লাহ আকাশে সংরক্ষিত শিলাস্তুপ থেকে শিলা বর্ষন করে বা নিক্ষেপ করে । এমনকি আল্লাহ এই শিলা যাদের উপর ইচ্ছা তাদের উপর নিক্ষেপ করে এবং যাদের উপর ইচ্ছা তাদের উপর থেকে অন্যদিকে ফিরিয়ে দেয় ।
বাস্তবতা হচ্ছে আকাশে কোন শিলাস্তুপ নেই । সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উঠে যায় এবং এই পানি ঠান্ডা হয়ে মেঘে পরিনত হয়, পরে এটিই বৃষ্টি হয়ে পরে । এই মেঘ যখন খুব বেশী ঠান্ডা হয় এবং তাপমাত্রা খুব বেশী কমে যায় তখন এটি বরফে পরিনত হয়ে শিলা তৈরী হয় । আর এই শিলা নিচে নেমে আসে; ফলে শিলা বৃষ্টি হয় ।
শিলা তৈরী হয় সমুদ্রের পানির বাষ্প ঘনিভুত হয়ে । আকাশে কোন শিলার পাহাড় নেই যেমনটি কোরআনে বলা হয়েছে । আসলে আল্লাহ জানতই না আকাশ থেকে যে শিলা বর্ষিত হয় সেটা আকাশের কোন পাহাড় থেকে নয় বরং সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে যেয়ে আকাশে ঘনিভূত হয় এবং শিলা তৈরী হয় ।
এর কারণ হচ্ছে মুহাম্মদ সেই সময়ে জানতো না আকাশে শিলা আসলে কোথা থেকে আসে । সে ভেবেছিল আকাশে হয়তো শিলার পাহার আছে । আর সেই পাহার থেকেই বুঝি শিলা নিক্ষিপ্ত হয় । আর আল্লাহ এজন্যই কুরআনে বলেছে আকাশে সংরক্ষিত শিলাস্তুপ থেকে শিলা বর্ষিত হয় ।
মুহাম্মদ ছিল অশিক্ষিত এক স্বাধারণ মানুষ । আর তাই সে জানতো না শিলাবৃষ্টির কারণ । ফলে মুহাম্মদের কাল্পনিক আল্লাহর পক্ষেও সম্ভব ছিলনা শিলাবৃষ্টির আসল কারণ জানার । এর কারণ হচ্ছে মুহাম্মদ নিজেই হচ্ছে আল্লাহ । ফলে মুহাম্মদ যেমন অজ্ঞ ছিল তার আল্লাহও তেমনি অজ্ঞ ছিল ।
কুরআন মুহাম্মদ লিখেছে বলে কারআনের আল্লাহ শিলা বৃষ্টি সম্পর্কে সম্পুর্ন অজ্ঞ ছিল ।

No comments:

Post a Comment