Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, November 26, 2014

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ৬)


আল মুরআল
সুরা অন্ধবিশ্বাসী, আয়াত ১২৬৫, ১২৬৬ এবং ১২৬৭

"তারা কি বিজ্ঞানকে মিথ্যে প্রতিপন্ন করতে চায় ? তবে তুমি তাদের বলঃ তাহলে তোমরাও অনুরুপ জ্ঞান তৈরী কর ! যদি তাদের সব (আস্তিক) সম্প্রদায় এবং তাদের কাল্পনিক সমস্ত ঈশ্বর মিলিত হয়েও প্রচেষ্টা করে তথাপিও তারা (অন্ধবিশ্বাসীরা) অনুরুপ জ্ঞান তৈরী করতে পারবে না !"
"তুমি কি দেখনি তারা এবং তাদের কাল্পনিক ঈশ্বরেরা কিরুপ জ্ঞান রচনা করেছিল ? আমি তাদের সমস্ত জ্ঞানকে মিথ্যা প্রমানিত করে দিয়েছি সত্য জ্ঞানের (বিজ্ঞানের) সাহায্যে আমি তাদেরকে অন্ধবিশ্বাসী আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিসেবে মানুষের কাছে প্রতিপাদ করেছি তথাপি তারা সত্য জ্ঞানকে গ্রহন করবে না ?"
"তারাতো অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিসেবে মানুষের হাসি আর ঘৃনার পাত্র হয়ে থাকবে চিরকাল যেমনটি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে আমি (অনুরুপ) নিদর্শনস্বরুপ করে রেখেছি ।"


ব্যাখ্যাঃ আস্তিকরা বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে এবং বিজ্ঞান মিথ্যে বলে অপ-প্রচার করে বেড়ায় সৃষ্টিকর্তা বলছেন, যারা এমন করে তাদেরকে চ্যালেন্জ জানাও, পারলে তারা যেন বিজ্ঞানের মত বাস্তব এবং সত্য জ্ঞান আবিষ্কার বা তৈরী করে দেখায় কিন্তু সৃষ্টিকর্তা নিশ্চিত করে বলছে যে, পৃথিবীর সমস্ত আস্তিকরা এবং তাদের কল্পনার ইশ্বরগুলো যদি মিলিত ভাবেও চেষ্টা করে তবুও বিজ্ঞানের মত বাস্তব এবং সত্য জ্ঞান তারা তৈরী করতে পারবে না
সৃষ্টিকর্তা আবার বলেছেন যে, আস্তিকদের পুর্ববর্তীরা যেমন কাল্পনিক ধর্ম এবং কাল্পনিক ইশ্বর সম্বন্ধীয় ভ্রান্ত এবং মিথ্যা কাল্পনিক জ্ঞান তৈরী করেছিল জগৎ সম্পর্কে, সেই মিথ্যা এবং ভ্রান্ত জ্ঞানগুলোকে সৃষ্টিকর্তা বিজ্ঞানের সাহায্যে মিথ্যে প্রমান করে দিয়েছেন বর্তমানের মানুষ এখন জেনে গেছে যে, প্রাচীন কালে যে ধর্ম এবং কাল্পনিক ইশ্বরদের জ্ঞান বা ধারনা মানুষ তৈরী করেছিল সেগুলো সম্পূর্নরুপে ভুল এবং মিথ্যা সৃষ্টিকর্তা আস্তিকদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করছে তারা এর পরেও কি বিজ্ঞানের বাস্তব জ্ঞানকে মেনে নেবে না ?
যারা বিজ্ঞানের বাস্তব এবং সত্য জ্ঞানকে মিথ্যে বলে অপ-প্রচার করে তারা মানুষের কাছে অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিসেবে মানুষের কাছে হাসির এবং ঘৃনার পাত্র হয়ে থাকবে যেমনটি পূর্ববর্তী আস্তিকদেরকে বর্তমানের মানুষ অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিসেবে দেখে ঠিক সেভাবে এদেরকেও ভবিষ্যতের মানুষ অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিসেবে দেখবে আর এটা সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই ঘটাবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন
এটাই উক্ত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা

No comments:

Post a Comment