Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, November 28, 2014

ইশ্বর অনুভূতি ভ্রম ছাড়া কিছুই নয় !


ওরা বলে ইশ্বরকে যুক্তি প্রমান দিয়ে বুঝা যায় না ! ওদের দাবী ইশ্বরকে শুধুমাত্র পরম বিশ্বাস (আমি বলি অন্ধবিশ্বাস) এবং ভক্তির মাধ্যমেই উপলব্ধি করা যায় ! ওরা দাবী করে ইশ্বরকে কেবল মন বা অন্তকরন দিয়ে অনুধাবন করা যায় যুক্তিবুদ্ধি বা বাস্তবতা দিয়ে নয়
ওদের দাবী শুনে মনে হয়, নেশাগ্রস্থ হলে যে ভালোলাগা বা সুখ অনুভূত হয় ইশ্বর ওরকমই কিছু একটা হবে আর তাইতো ধর্মান্ধরা নেশাগ্রস্থদের মতো আচরন করে । 

পাগলের জ্বীন বা ভুত দেখা যেমনশুধু পাগলেই দেখতে পায় অন্য কেউ পায় না, তেমনি ইশ্বরকে অনুভব করতে হলে হতে হয় অন্ধবিশ্বাসী যে যুক্তি ও বাস্তবতা বুঝে না, বুঝে শুধু তার কাল্পনিক অনুভুতি (আসলে বিকৃত অনুভুতি) আর তাইতো ধর্মান্ধরা মাঝে মাঝে উন্মাদের মতো আচরন করে । 

ইশ্বর আরাধনার বিষয় আরাধনা ছাড়া ইশ্বরকে পাওয়া যায় না বিজ্ঞান বা দর্শন দিয়ে নয়, ইশ্বরকে পেতে হলে চাই একান্ত বিশ্বাস এবং আরাধনা অনেক আরাধনার পরেই কেবল ইশ্বরের সন্ধান মেলে যুক্তি তর্ক এবং অবিশ্বাস দিয়ে কখনও ইশ্বরের সন্ধান পাওয়া যায় না
ওদের দাবীটা এমন. জ্ঞান চর্চা বাদ দিয়ে শুধু ধ্যান করতে হবে ইশ্বরের আর তাইতো পথে ঘাটে প্রায়ই সন্যাসী দেখা যায় লম্বা লম্বা চুল দাড়িওয়ালা, বস্ত্রহীন হয়ে ঘুরে বেড়ায় (আবার তাদের পিছু পিছু ভদ্র বেশী মুরিদও থাকে) ।  বাস্তব জ্ঞান, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান চর্চা বাদ দিয়ে শুধু আরাধনা বা ধ্যান করলে মানব জাতির কী উন্নতি হতে পারে সেটা সবাই ভালো করে জানে ।  আরাধনা করে কখনও মানব জাতির কোন উপকার করা যায় না বাস্তব জ্ঞান, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমেই মানব জাতির উন্নতি হয়েছে; আরাধনা বা ধ্যানের মাধ্যমে নয় এজন্যই ধর্মান্ধরা কখনই কোন কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি অথবা কোন বৈজ্ঞানিক তত্ব দিতে পারেনি জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বাস্তববাদী এবং বিজ্ঞান মনষ্করাই যুগে যুগে নতুন নতুন তত্ব তৈরী করেছে, নানা প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই এবং নানারকম বিপদ থেকে মানুষকে রক্ষা করেছে কোন ধ্যানমগ্ন ধার্মিক অন্ধবিশ্বাসী করেনি এবং করতে পারেওনি এর প্রমান ধর্মান্ধ, অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন জাতির তথ্য প্রযুক্তি এবং জীবন যাত্রায় অনগ্রসরতা
ওদের প্রাচীনকালের ধ্যান ধারনা, অন্ধবিশ্বাস এবং বাস্তবতা বহির্ভুত কার্যকলাপই প্রমান করে ইশ্বর বলে কিছু নেই আর তাই ইশ্বরের কোন প্রমান পাওয়া যায় না ফলে অন্ধবিশ্বাসী হয়ে, কল্পনায় মগ্ন থেকে এবং ধ্যান করে যে ইশ্বরকে পাওয়া যায় তা পাগলের পাগলামি, নেশাগ্রস্থের নেশাচ্ছন্নতা এবং মানুষিক ভারসাম্যতারই প্রমান বহন করে কোন বাস্তব ইশ্বরের প্রমান বহন করে না আর তাই পৃথিবীতে নানা মানুষের পাগলামী, নেশাচ্ছন্নতা এবং মানুষিক ভারসাম্যহীনতা যেমন নানা রকম, ঠিক তেমনি ইশ্বরের রকমফেরও নানা রকম নানা রুপি ইশ্বরের ধারনা এটাই প্রমান করে পৃথিবীর নানা রকমের ধর্মান্ধ মানুষের ইশ্বর অনুভুতি নানা রকম হয় এই ইশ্বর অনুভুতি নানা রকম হওয়ার কারন নানা রকম পাগলের নানা রকম পাগলামি, নানা রকম নেশাগ্রস্থের নানা রকম নেশাচ্ছন্নতা এবং নানা রকমের মানুষিক রোগির নানা রকম মানুষিক ভারসাম্যতা
আর এর দ্বারা এটাই প্রমানিত হয় ইশ্বর বলে কিছু নেই আর তাই পৃথিবীতে এতো রকমের ইশ্বর এবং এতো রকমের ইশ্বর অনুভূতি
নানা রকমের ভ্রমগ্রস্থদের ভ্রমই যে ইশ্বর এটা বুঝা খুব কঠিন নয় !

No comments:

Post a Comment