Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, July 1, 2014

আল্লাহ কি মিথ্যেবাদী নাকি অজ্ঞ ?



মুসলমানদের মহান আল্লাহ কোরানে সুরা বাকারা-এর ২৫৫ নাম্বার আয়াতে বলেছে -
তার মহাসিংহাসন মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে ব্যাপ্ত; এদের উভয়ের হেফাজত তাকে ক্লান্ত করে না; আর তিনি সর্বচ্চে অধিষ্ঠিত, মহামহিম l
অর্থাত আল্লাহর  সিংহাসন বা আরস মহাবিশ্বের সর্বত্র বিস্তৃত l আকাশ, মহাকাশ, এবং পৃথিবী এগুলোর সব জায়গায় আল্লাহর আরশ তথা সিংহাসন বিস্তৃত অবস্থায় রয়েছে l আর আল্লাহ মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করে কিন্তু তাতে তার কোন ক্লান্তি লাগে না l এবং আল্লাহ মহাবিশ্বের সব কিছুর উপরে আছে বা অধিষ্ঠিত আছে l

অর্থাত আল্লাহর আরশ মহাবিশ্বের সবজায়গাতেই বিরাজমান l এবং আল্লাহর অবস্থান হচ্ছে সবকিছুর উপরে l
কিন্তু বিজ্ঞান পৃথিবীতে কোথাও কোন আরশ বা সিংহাসন খুঁজে পায়নি l কেন পায়নি যদি আল্লাহর আরশ সব জায়গাতেই বিরাজ করে বা বিস্তৃত থাকে ? বিজ্ঞান আজ অতি ক্ষুদ্র পদার্থের অস্তিত্বও আবিষ্কার করে ফেলেছে l ইলেকট্রন প্রোটন এবং নিউটন সহ সব ধরনের ক্ষুদ্রতম কনিকা গুলোও আবিষ্কার করে ফেলেছে বিজ্ঞান l মহাবিশ্ব-এ বিরাজমান সব ধরনের শক্তি(এনার্জি) পর্যন্ত মানুষ আবিষ্কার করে ফেলেছে l কিন্তু তারপরেও কোথাও আল্লাহর আরশ খুঁজে পেল না l
মহাবিশ্বে যা কিছু আছে তার সবকিছুই গঠিত হয়েছে দুটি ভিন্ন সত্বা দিয়ে l একটা হচ্ছে পদার্থ এবং অন্যটি হচ্ছে শক্তি l আবার পদার্থ শক্তিতে পরিনত হতে পারে এবং শক্তি পদার্থ তৈরী করতে পারে l অর্থাত পদার্থ এবং শক্তি একে অন্যে পরিবর্তিত বা রুপান্তরিত হতে পারে l এবং এটাই হয় বাস্তব জগতে l মহাবিশ্বে পদার্থ ও শক্তির বাইরে অন্য কিছু নেই l তাহলে আল্লাহর আরশ বা সিংহাসন পদার্থ দ্বারা অথবা শক্তি দ্বারা অর্থাত এ দুটোর একটি দ্বারা গঠিত হতে হবে l
কিন্তু বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত কোন আরশ বা সিংহাসন পৃথিবীতে, আকাশে এবং মহাকাশে খুঁজে পায় নি l যদি আল্লাহর আরশ বলে কিছু থাকতো তবে অবশ্যই সেটা খুঁজে পেতো বিজ্ঞান l কিন্তু বাস্তব জগতে এমন কিছু নেই বলেই বিজ্ঞান খুঁজে পায়নি l যদি থাকতো তবে অবশ্যই খুঁজে পেতো l
অর্থাত আল্লাহর আরশ বলতে কিছু নেই বিশ্বজগতে l কোরান মিথ্যে কথা বলেছে l

আবার আল্লাহ নাকি সবকিছুর উপরে অধিষ্ঠিত l অর্থাত আল্লাহ সবকিছুর উপরে রয়েছে l
কিন্তু উপর নিচে বলতে মহাকাশে কিছু নেই l মহাকাশে যেকোন দিক উচু বা নিচু হতে পারে l মহাকাশে সবদিকই উচু এবং সব দিকই নিচু l উচু নিচু ব্যাপারটা তৈরী হয় কোন গ্রহ বা নক্ষত্রের মহাকর্ষীয় বলের কারণে l অর্থাত যখন কোন গ্রহ বা নক্ষত্র কোন পদার্থকে তার নিজের দিকে আকর্ষণ করে মহাকর্ষ বল দ্বারা তখনই পদার্থ উপর নিচে বলে কিছু অনুভব করে বা বুঝতে পারে l সুতরাং উপর নিচে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ মহাকর্ষীয় বলের কারণে ঘটে l অর্থাত উপর নিচের ব্যাপারটা শুধু মাত্র গ্রহ নক্ষত্রের মধ্যে স্বীমাবদ্ধ l কিন্তু মহাশুন্যে বা মহাকাশে যেখানে মহাকর্ষ বল কাজ করবে না সেখানে উপর নিচে বলে কিছু থাকবে না l আর তাই আল্লাহ সবকিছুর উপরে কথাটা মিথ্যে কথা l কারণ মহাবিশ্বের যেকোন দিকই উপর বা নিচে হতে পারে l আবার মহাকর্ষ বল না থাকলে কোথাও উপর বা নিচে বলে কিছু থাকবে না l আর তাই আল্লাহ সবকিছুর উপর অধিষ্ঠিত আছে কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা l

আর এই কথাটা বলা হয়েছে কোরানে l অর্থাত কথাটা স্বয়ং আল্লাহর (মুসলমানদের দাবি অনুযায়ী) l তাহলে আল্লাহ এক আয়াতে দুইটি মিথ্যে কথা কেন বললেন ?
এর একটাই কারণ থাকতে পারে; সেটা হচ্ছে আল্লাহ আসলে মহাবিশ্ব সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখেন না l তাই আরশের সর্ববিস্তৃতি এবং আল্লাহ সবকিছুর উপর আছে এই কথাটা বলেছে l যদি জানতো তবে এই মিথ্যে কথা দুটি বলতো না l

No comments:

Post a Comment