Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, June 25, 2014

আমাদের এই বিশ্ব জগতে সত্যিই কি একজন ঈশ্বর থাকা সম্ভব ?


আমাদের এই বিশ্ব জগতে সত্যিই কি একজন ঈশ্বর থাকা সম্ভব ?
পৃথিবীতে সাড়ে সাতশো কোটিরও বেশি মানুষ বাস করে l এদের মধ্যে সিংহ ভাগ মানুষ ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে l এবং এদের মধ্যে সবাই কোনো না কোনো ধর্ম পালন করে l
পৃথিবীতে প্রায় আড়াই হাজার ধর্ম আছে l এবং প্রত্যেকটি ধর্ম একটির থেকে অন্যটি আলাদা l তাদের আদর্শ , নিয়ম কানুন সবকিছুতেই একটি থেকে অন্যটি ভিন্ন l এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে প্রত্যেকের ঈশ্বর বা সৃষ্টি কর্তারাও সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা l তাদের কারো সাথে কারো মিল নেই l কোনো ধর্মে একটি আবার কোনো ধর্মে হাজার হাজার ঈশ্বর l আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীরা দাবি করে যে একমাত্র তাদের ধর্ম এবং তাদের ঈশ্বরই হচ্ছে সত্যি আর বাকি সবার ধর্ম এবং ঈশ্বর মিথ্যা l
এবার ধরি, এদের মধ্যে একটা ধর্ম সত্যি l সেই সত্যি ধর্মটা যেকোনো একটি হতে পারে l ফলে বাকি ধর্ম গুলো মিথ্যা হয়ে যায় l এখন আমদের বের করতে হবে কোন ধর্মটা সত্যি l
প্রথমে একটা ধর্ম বেছে নিলাম , ধরি সেটা মুসলিম ধর্ম l মুসলিমরা বলে যে তাদের ধর্ম ইসলাম এবং তাদের সৃষ্টি কর্তা হচ্ছে আল্লাহ l আল্লাহ একজনই এবং তার কোনো আকার নেই এমন একটা সত্তা l যিনি সমস্ত বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন l এবং এক রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব তারই l অর্থাত তিনি সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে l
আল্লাহের অস্তিত্বে বিশ্বাসী মুসলমানরা বলে থাকে তাদের ধর্ম একমাত্র সত্যি ধর্ম এবং বাকি সব ধর্ম এবং সব ধর্মের ঈশ্বররা মিথ্যা l
শুধু তারা এটাও বলে না , তারা বলে আল্লাহের সাথে অনেক নবী বা আল্লাহের দূতগণ সরাসরি বা কোনো মাধ্যমের মাধ্যমে আল্লাহের সাথে সাক্ষাত করেছেন l যেমন তাদের একজন নবী হজরত মুসা (আ:) সরাসরি আল্লাহের সাথে কথা বলেছিলেন l আবার হজরত মোহাম্মদ (স মেরাজের মাধ্যমে আল্লাহের সাক্ষাত পেয়েছিলেন l এবং সে সব নবী রাসুলদের উপর আল্লাহের নিকট থেকে ওহি বা আল্লাহের বাণী প্রেরণ হয়েছে l যদি এসব কথা সত্যি হয়ে থাকে তবে সেই সত্যি ধর্মটা হচ্ছে ইসলাম l
তাহলে আর যেসব ধর্ম আছে সেগুলো ডাহা মিথ্যা এবং তাদের ঈশ্বর বা সৃষ্টি কর্তা গুলোও সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা l
এবার আরেকটা ধর্ম বেছে নেব যারা দাবি করে থাকে একমাত্র তাদের ধর্মই হচ্ছে সত্য ধর্ম l ধরি সেই ধর্মটা হচ্ছে হিন্দু ধর্ম l (আমি হিন্দু ধর্ম খুব ভালো ভাবে জানি না তাই আমার ভুল হতে পারে l) হিন্দু ধর্মের মতে তাদের সৃষ্টি কর্তার নাম হচ্ছে ভগবান l তিনি সমগ্র বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন l এবং এই ধর্মে হাজার হাজার দেবতা এবং দেবী বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীতে এসেছে l এবং মানুষকে সতর্ক বাণী দিয়েছে l এই ধর্মে আবার অনেকগুলো দেবতা ( অসংখ্য )l তারা যুগে যুগে পৃথিবীতে এসে মানুষকে ধর্মের কথা বলেছেন l মানুষকে সৎ পথে নিয়ে এসেছেন l তারা সেইসব দেবতাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রকম ভাবে প্রার্থনা করে থাকে l তাদের মতে তাদের দেবতারা মানুষের মাঝে এসেছিলেন এবং মানুষ তাদেরকে দেখেছিল ( যেমন ভগবান রাম , কৃষ্ণ ইত্যাদি ) l এখন তাদের কথা যদি সত্যি হয় তাহলে তাদের ধর্মই একমাত্র ধর্ম যেটা সম্পূর্ণ রূপে সত্যি l এবং বাকি সব ধর্ম এবং সেইসব ধর্মের ঈশ্বরগুলো সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা l একমাত্র তাদের ধর্মই চির সত্যি ধর্ম এবং তাদের ঈশ্বরই একমাত্র সত্যি l
এবার আরেকটি ধর্ম বেছে নেব যেটা দাবি করে একমাত্র তাদের ধর্ম এবং তাদের ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তাই সত্যি l আর সেটা হলো খ্রিস্টান ধর্ম l তাদের দাবি মতে তাদের ঈশ্বর বা সৃষ্টি কর্তার নাম God l সে এই বিশ্ব জগতের সব কিছু সৃষ্টি করেছেন l তিনি যুগে যুগে তার দূত প্রেরণ করেছেন মানুষের কাছে যারা মানুষকে গড-এর আদেশ মত চলতে বলেছেন l মানুষ যখন সম্পূর্ণ রূপে গড -কে ভুলে গেল এবং গড-এর দেখানো রাস্তায় না চলে অন্যায় পথে চলতে থাকলো তখন গড তার একটা সন্তান তৈরী করলো যে পৃথিবীতে আসলো মরিয়াম নামে এক কুমারীর গর্ভে l যার নাম জেসাস ক্রাইস্ট l যেটা একটা অলৌকিক ঘটনা হিসেবে খ্রিস্টান অনুসারীরা বিশ্বাস করে l সে পৃথিবীতে এসে মানুষকে গড-এর রাস্তায় আসার জন্য চেষ্টা করতে লাগলো l তার অনুসারীও তৈরী হয়ে গেলে l এবং জেসাস অনেক অলৌকিক কান্ড ঘটিয়ে ছিল যেগুলো কোনো মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয় l যেমন জন্মান্ধের চোখ ঠিক করা , মৃত মানুষকে জীবিত করা ইত্যাদি l সে সময় ইহুদিরা গেল ক্ষেপে l তারা জিসাসকে শুলে চড়িয়ে হত্যা করলো l মারা গেল জেসাস ক্রাইস্ট l যেহেতু জেসাস ক্রাইস্ট গড-এর পুত্র তাই সে ঠিক তিন দিন পর আবার জীবিত হলো l এবং তার অনুসারীদের কাছে দেখা দিল l তাদেরকে ধর্মের বিভিন্ন উপদেশ দিলেন l তারপর আকাশে উঠে গেলেন l যেটা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় l তারপরে তার অনুসারীরা পরবর্তিতে এই ধর্ম প্রচার করে এবং খ্রিস্টান ধর্ম প্রতিষ্ঠা করে l তাদের কথা যদি সত্য হয়ে থাকে তবে একমাত্র তাদের ধর্ম এবং তাদের গড এবং গড-এর পুত্র জেসাস ক্রাইস্ট সত্য l আর বাকি সব ধর্ম এবং সেইসব ধর্মের ঈশ্বর গুলো মিথ্যা l
একই রকম ভাবে ইহুদি , বৈদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা দাবি করে থাকে যে তাদের ধর্মই সত্য l বাকি সব ধর্ম মিথ্যা l
এই ধর্ম গুলোর সবাই বিভিন্ন রকম যুক্তি উপস্থাপন করে থাকে এমনকি অন্য ধর্মের অনুসারীদের কে নিজের ধর্মে নিয়েও আসে বিভিন্ন রকম সত্যতা দেখিয়ে l এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষই অন্য ধর্মে রুপান্তরিতও হয় l
এখন আমরা ঠিক কোন ধর্মটাকে এবং কোন ধর্মের ঈশ্বর কে বিশ্বাস করবো l সবাই দাবি করে তাদের ধর্মই সত্যি l এবং তাদের ধর্মকে সত্যি বলে প্রতিষ্ঠিতও করে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করে l তাদের ধর্মে নতুন অনুসারিও আসে অন্য ধর্ম থেকে l
এখন প্রশ্ন হলো একই সাথে সব ধর্মই কি সত্যি হতে পারে ? নাকি সব ধর্মের ঈশ্বর গুলোই একসাথে সত্যি ? এক সাথে সব ঈশ্বর কি সত্যি হতে পারে ? তাহলে একিশ্বর থাকলো কোথায় l তাহলে বিভিন্ন ঈশ্বরের মধ্যে নিশ্চয় বিরোধ লাগে l এক ধর্ম যেহেতু অন্য ধর্মের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের ঈশ্বর গুলোও কি পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত থাকে ? তাহলে তো এক ঈশ্বর আর এক ঈশ্বর কে ধংস করে দিতে পারে যেহেতু তারা সবাই সর্ব শক্তিমান l (সব ঈশ্বর কি একই সাথে সর্ব শক্তিমান হতে পারে?) তাহলে তো ঈশ্বর চিরজীবী সেই কথাটাও মিথ্যে হয়ে যায় l
তাহলে কি সব ঈশ্বরের অস্তিত্ব মিথ্যে হয়ে যায় না ?
এখন আমার প্রশ্ন "এই সব ঈশ্বরের মতবাদ কি পরস্পর কে মিথ্যে প্রমান করে দেয় না ?"
তাহলে কি এত বিতর্কের পরেও কোনো ঈশ্বর সত্যি হতে পারে ?

8 comments:

  1. ঈশ্বর বিভিন্ন সময় (সময়,এলাকা,জাতি) ভেদে বিভিন্ন অবতার প্রেরন করেছেন ৷ ভাষা ও সংস্কৃতি ভেদে তাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয় ৷ সমস্যা হল পূর্বের ধর্ম যাজকগন তাদের সুবিধামত ঈশ্বরের বাণীকে পরিবর্তন করেছে/ বিকৃত করেছে ৷ কারন তখন ঈশ্বরের বাণীগুলো সংরক্ষনের কোন ব্যাবস্থা ছিল না ৷ অনুসন্ধান করে দেখুন সকল ঐশ্বরিক বাণীগুলো যে অবতারের ওপর অবতির্ন হয়েছিল তার মৃত্যুর হাজার বছর পরে লিখিত আকারে সংরক্ষন করা হয় (ইসলাম ধর্ম বাদে) ৷ ফলে তা বিশ্মৃত ও বিকৃত হয়েছে বার বার ৷ তার প্রমান ঐ ধর্ম গ্রন্থ গুলোর বিভিন্ন সংস্করন, যা কুরআনের ক্ষেত্রে সম্ভব নয় ৷ এ আলোচনা থেকে প্রমানিত ঈশ্বর একজনই আর তার বাণীও এক৷ ৷ সুধু পার্থক্য এই মানুষের তৈরী ভেজালটুকু বর্জনীয় ৷ তাহলে সকল ধর্মই হবে এক ধর্ম ৷

    ReplyDelete
    Replies
    1. পূর্বের ধর্মের বাণীগুলো বিকৃত এমনি এমনি হয় নাই
      সময়ের সাথে টিকতে না পেরে যাজকরা পরির্বতন করতে বাধ্য হয়েছিলো। যেমন পৃথিবী কেন্দ্রিক সৌর মডেলের ধারনা বাদ দিতে হয়েছিলো।

      Delete
  2. পৃথিবীতে সব ধর্মই মানুষের সৃষ্টি.. ভগবান মানুষ আনেনি..মানুষ ই ভগবান সৃষ্টি করেছে

    ReplyDelete
  3. ধর্ম একটি। স্রষ্টাও একজন। পৃথিবীর শুরুতে দুইজন মানুষ থেকে একটি জাতি হয়ে ছিল। বংশ বৃদ্ধির সাথে সাথে তারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে লাগল। এতো বড় পৃথিবীতে মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন ভূ-খন্ডে বসবাসের মাধ্যমে তাদের ভাষাও ভিন্ন হয়ে গেল সাথে সাথে বিভিন্ন জাতিগোষ্টিতে পরিনত হলো। সেই বিভিন্ন জাতি ও ভাষা ভাষি জন্য স্রষ্টা স্ব-স্ব জাতি ও ভাষায় তার প্রতিনিধি পাঠালেন। যে জাতির নিকট যে প্রতিনিধি এসেছিলেন তার মৃত্যুর পর সে জাতি তাকে বড় ও প্রসংশিত করার জন্য নিজেরাই কিছু নিয়মনীতি তৈরি করে একেকটি ধর্ম বানিয়েছে। যতদিন তাদের সে প্রতিনিধি থাকে ততদিনই তার সঠিক পথে চলে কিন্তু সেই মহা মানবের ওফাতের পর তারা নিজেরাই নিজেদের বড়ত্ব ঠিকিয়ে রাখার জন্য ধর্ম তৈরি করেছে। কিন্তু যারা তাদের প্রতিনিধির মুল বিষয়গুলো বুঝতে পেরে তদানুযায়ী চলেছে তারা অতি সংখ্যালঘু হওয়ায় নিঃসচুপ থেকে সঠিক ধর্ম পালন করে গেছেন। এখনও করছেন। স্রষ্টার ধর্ম একটি তা হলো একক স্রষ্টার নিকট নিজেকে আত্মসমর্পন করা। সেটি হলো বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাসীর কাজ হলো নৈতিকতা বজায় রেখে সকল কিছুর কল্যান করা। এই দুইটি হলো ধর্মের মুল জিনিস। বাকি নিয়মকানুন ধর্ম নয় বরং ভৌগলিক, ভাষা, বর্ণ অনুযায়ি তাদের নিয়ম কানুন যা পালন করা অত্যবশকীয় নয়। এখন আসুন দেখি সকল ধর্ম মুল অর্থ্যাৎ মৌলিক বিষয় গুলো মানে কিনা। সকল ধর্মই বা ধর্মগ্রন্থই একই দুইটি কথা বলে। এক স্রষ্টা এবং কাজ হিসাবে নৈতিকতা। এমন কোন ধর্ম পেয়েছেন যে, সেই ধর্ম বলে মিথ্যা বলা কল্যানের কাজ, চুরি করা কল্যানের কাজ, ধর্ষন করা কল্যানের কাজ আশা করি আর উদাহরণ দরকার নেই। এই দুইটি উপর যারা চলবে তারাই স্রষ্টা অনুগত বান্দা। তাদের জন্যই রয়েছে। পুরস্কার। যদি আমার লেখাটুকু একটুও আপনার বিবেকে ধরে থাকে তাহলে যোগযোগ করবেন। আমি আপনাকে কিছু তথ্য দিতে পারি যা আপনার ভালো লাগবে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভাই,মালিক আপনার সহায় হোন,
      আমি কিভাবে যোগাযোগ করতে পারি।
      01824659595,01703684361.

      Delete
  4. অনেক কিছু জানলাম ভাই ভালোই লাগলো

    ReplyDelete