Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, June 25, 2014

আস্তিকদের কয়েকটি অভিযোগ খন্ডন :


১. কে কোন মতবাদ মেনে নিল সেটাতো বড় কথা নয় l বড় কথা হলো সাইন্স কি বলে সেটা l সাইন্স ডারউইনের মতবাদ মেনে নিয়েছে এবং আধনিক কালে তার প্রমান উত্থাপন করেছে l আর এটা সারা পৃথিবী মেনে নিয়েছে l ডারউইনের তত্বটা আজ শুধু তত্ত্ব নয় , এটা বাস্তব সত্য ( বিভিন্ন ফসিল এবং মানুষের ও মানরের ডিএনএ ম্যাচিং-এর ভিত্তিতে ) l এটাকে অস্বিকার করার কোনো উপায় নেই l যারা এটা জানে না তারাই একে অস্বিকার করতে চায় (বিশেষ করে ঈশ্ব বিশ্বাসীরা )l এই তত্ত্ব সারা পৃথিবীর সব বিজ্ঞানী মেনে নিয়েছে l এখানে কোনো contradiction এর সুযোগ নেই l একটা বা দুইটা বিজ্ঞানী কি বলল সেটা তো বিজ্ঞান নয় l বিজ্ঞান হচ্ছে যেটা প্রতিষ্ঠিত সত্য l কিছু কিছু বিজ্ঞানী ঈশ্বরে বিশ্বাস করে এবং তারা নানা রকম কথা বলে থাকে ? তাদের সেসব কথাতো বিজ্ঞান নয় l আমাদের এটা ভালো করে বুঝতে হবে l অমক বিজ্ঞানী এই বলেছে তমক বিজ্ঞানী ওই বলেছে , আর সেটাকে যারা সাইন্স বলে চালাতে চায় , তাদের উচিত আগে জানা সাইন্স কি l সাইন্স কোনো ব্যক্তি বা কোনো গোষ্টি নয় l যে জ্ঞানটা প্রতিষ্ঠিত এবং বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সেটাই সাইন্স l যেটা বাক্তিগত ধ্যান ধারণা এবং অনুমানের উপর নির্ভরশীল সেটা সাইন্স নয় l কোনো বিজ্ঞানীর একান্ত বিশ্বাসও বিজ্ঞান নয় l একটা বিজ্ঞানী কি বললো না বললো তার উপর ভিত্তি করে সাইন্স কেই দোষারোপ করার মত বড় বোকামি আর নেই l
২.
মালয়েশিয়ান এরোপ্লেন ৭৭৭ নিখোঁজ হওয়ার প্রসঙ্গে :
কাউকে কাউকে দেখছি বলতে যে মালয়েশিয়ান এরোপ্লেন ৭৭৭ নিখোঁজ হওয়ার এত দিন পরও খুঁজে পেল না তাহলে কিসের বিজ্ঞান l মালয়েশিয়ান এরোপ্লেন হারিয়ে গেছে l সেটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা যেন বিজ্ঞানের দোষ l কেউ কেউ বলছে সেটা বিজ্ঞানের অক্ষমতা l আরে বাবা বিজ্ঞান তদের এত এত প্রযুক্তি দিল , এত জ্ঞান দিল আর তরা সেটার সঠিক ব্যবহার করতে পারলি না তার দায় কি বিজ্ঞান নেবে l হারানো কিছু খুঁজে পাওয়া কি বিজ্ঞানের কাজ l নাকি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাজ l বিজ্ঞান প্রযুক্তি দিয়েছে সেটা ব্সঠিক ব্যবহার করতে পারে না এত বড় মুর্খ আর সেই বিজ্ঞান কেউ দোষারোপ করা হচ্ছে l আর এই দশ্রোপ কিন্তু কোনো বুদ্ধিমান মানুষ করছে না l কিছু কিছু অন্ধ ঈশ্বর বাদী মানুষ করছে l মানুষ কিন্তু ঠিকই খুঁজে পাবে l যতক্ষণ না পাওয়া যায় ততক্ষণ এরা বাহাদুরি করবে l আর যখন পাওয়া যাবে তখন মানে মানে করতে থাকবে l বলবে অমুক হয়েছিল তমুক হয়েছিল তাই খুঁজে পেয়েছে l ইস্যুটা কি কেন বিজ্ঞান বিমানটি খুঁজে পাচ্ছে না l যেন খুঁজে পাওয়ার দায়ত্ব তাও বিজ্ঞানের l এতো এতো প্রযুক্তি দিচ্ছে বিজ্ঞান , যা অসম্ভব ছিল কয়েক বছর আগে সেসব সম্ভব করেছে বিজ্ঞান সেটার কোনো ভুমিকা নেই l আস্তিকদের কাছে আমার প্রশ্ন - বিজ্ঞান বাদে কোনো ধর্ম কি কখনো কিছু আবিস্কার করতে পেরেছে l কোনো ঈশ্বরের কি কখনো ক্ষমতা হয়েছে যে তার অনুসারীদের দিয়ে কিছু আবিস্কার করতে l যা কিছু আবিষ্কৃত হয়েছে তার সব কিছুই বিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়ে হয়েছে l আজ পর্জন্য কোনো ঈশ্বরের দূত বা নবী কখনো কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি l বিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়েই আধুনিক প্রযুক্তি তৈরী করা সম্ভব হয়েছে l কোনো ঈশ্বরের যে ক্ষমতা নেই তাই তৈরী করেছে বহু জ্ঞানের সৈনিক বিজ্ঞানী l আর আমরা সই প্রযুক্তি ব্যবহার করছি আর অকৃতগ্গের মত তাদের চৈদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছি l কতবড় অকৃতজ্ঞ আমরা l
এবার আসি ঈশ্বর বিশ্বাসীদের বুঝতে - আচ্ছা বলুনতো এই যুগে এই সময়ে যদি বিজ্ঞান কে সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে আপনারা কোথায় থাকবে l বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীরা না থাকলে আপনাদের বনে গিয়ে থাকতে হবে l
এক মুহূর্ত কি বাচতে পারবেন বিজ্ঞান ছাড়া l শহরের এসি রুমে আরাম করে বসে কফি খাবেন আর ঈশ্বর সত্য, ঈশ্বর সত্য সেটা বলে বলে ফাসেবুকে পোস্ট দিবেন l বিজ্ঞান না থাকলে কিভাবে এসির ঠান্ডা বাতাস খেতেন ? কফি খাচ্ছেন , বিজ্ঞান না থাকলে কোথায় পেতেন এত সাধের কফি ? দামী কাপটা না থাকলে খেতেন কিভাবে কফি ? কম্পিউটার না থাকলে আপনার জ্ঞানের (অজ্ঞানের ) post দিতেন কি করে ? ভাত খেতেন কি করে যদি গ্যাস না থাকত ? খাবার জন্য চাল কোথায় পেতেন ? শাক সবজি মাছ মাংস খাচ্ছেন আরামে কোথায় পেতেন যদি বিজ্ঞান আপনাদের কে না দিত আধনিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা l এত সুন্দর বাসাতে আরামে আছেন l কোথায় থাকতে হত যদি বিজ্ঞান এই আবিস্কার গুলো না করতো l মানুষ যদি হয়ে থাকেন তাহলে কি করে বিজ্ঞানীদের অবদান অসীকার করবেন ?
আজ পৃথিবীর অন্য পাশে আপনার আপন জন থাকে তার সাথে কথা বলছেন viver অথবা skype এর মাধ্যমে l সত্যি করে বলুন তো যদি বিজ্ঞান এসব সুবিধা না দিত কি করে চলত আজকের এই পৃথিবী l বিজ্ঞান না থাকলে মানব জাতির কখনো এত উন্নতি করা সম্ভব হতো ? আজ মানুষের হাতে হাতে মোবাইল l প্রিয়জনের সার্বক্ষনিক খোজ খবর রাখতে পারছেন ,l পারতেন যদি বিজ্ঞান না থাকতো l কি করে অস্বিকার করবেন বিজ্ঞানের অবদান ? এসব সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে l আজ সব কিছু অস্বিকার করছেন l বিজ্ঞানের অক্ষমতার প্রশ্ন তুলছেন শুধুমাত্র কতগুলো দায়িত্ব প্রাপ্ত মানুষের অজ্ঞতা অথবা দায়িত্ব সম্মন্ধে সতর্ক না থাকার জন্য l অথচ ভেবে দেকছেন না বিজ্ঞান কি অসম্ভব কে সম্ভব করেছে l আজ থেকে ২০ বা ৩০ বছর আগে মানুষ যা কল্পনাও করতে পারতোনা সেগুলো সম্ভব করেছে বিজ্ঞান l আর বিজ্ঞানের এই অকল্পনীয় ক্ষমতাকে অস্বিকার করা মুর্খতার সামিল l চিন্তা করুন মানুষের প্রস্তর যুগের কথা আর আধুনিক যুগের কথা l তুলনা করে দেখুন বিজ্ঞান কোথায় নিয়ে এসেছে মানুষকে l কিভাবে অস্বিকার করবেন সে কথা ?
আজ থেকে ২০ থেকে ৩০ বছর আগে মানুষ মারা যেত ডায়রিয়ায় , কলেরার মত সাধারণ রোগে l হাজার হাজার মানুষ মারা যেতো l তখন কোনো ধর্মের কোনো ঈশ্বর তাদের বাচাতে পারত না l আর আজ বিজ্ঞান সেটা সম্ভব করেছে l এমনকি মৃত্যুর দুয়ার থেকেও মানুষ কে বাচাতে পারছে l এমন কি ক্যান্সার রোগীকেই বাচাতে পারছে মানুষ l এটা শুধুই বিজ্ঞানের অবদান l একে অস্বিকার করার কোনো উপায় আছে কি ?

এবার দেখুনতো মানুষকে স্বাধারণ একটা জীব থেকে আজকের আধনিক মানুষ বানিয়েছে বিজ্ঞান l কোনো ঈশ্বর দূত , কোনো ঈশ্বর নবী কি পেরেছে ? তাদের থেকে কত বেশি শক্তি শালী এই বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীরা l আজ আমরা বিজ্ঞানের নৌকার উপর দাড়িয়ে বিজ্ঞান কেই অস্বিকার করছি কতগুলো কাল্পনিক বিশ্বাস কে আকড়ে ধরে l
অথচ বিশ্বাস করছি তাদের কথা যাদের বিন্দু মাত্র অবদান নেই মানব সভ্যতার উন্নয়নে l
বিজ্ঞান কি পারেনি সেটা না দেখে বিজ্ঞান কি পেরেছে সেটা নিয়ে ভাবুন তাহলেই বুঝতে পারবেন বিজ্ঞান কত ক্ষমতাশালী l বুঝতে পারবেন বিজ্ঞান ভবিষ্যতে কত বেশি ক্ষমতাশালী হবে l আজ যেটা মানুষ পারছে না সেটা সময়ের ব্যবধানেই পারবে সেটা একটু পরিসংখ্যান করলেই বুঝা যাবে l চিন্তা করুন একশ বছর আগের মানব সভ্যতা আর আজকের মানব সভ্যতা l তাহলেই বুঝতে পারবেন একশ বছর পর কোথায় যাবে এই মানব সভ্যতা l আর এটা শুধু বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের অবদানেই l কোনো ঈশ্বর বা ঈশ্বর বিশ্বাসীদের অবদানে নয় l

3.
অনেক ঈশ্বর বিশ্বাসীই বলে থাকে যে কোনো এক বিজ্ঞানী আত্মার অস্তিত্ব প্রমান করেছিল l এবং সে একটা নির্দিষ্ট পরিমান আত্মার ওজন পরিমাপ করতে সফল হয়েছিল l কথাটা কত বড় মিথ্যা আসুন দেখি l যারা এই দাবি করে তাদের কাছে আমি জানতে চাই কোন বিজ্ঞানী এমন পরীক্ষা করেছিল ? এতবড় একটা আবিষ্কার কোন পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে ? এই পরীক্ষার বর্ণনা এবং তথ্য প্রমান আছে কোন বইয়ে l কে কে দেখেছিল সেই পরীক্ষা ? এত বড় আবিষ্কার আর সে নোবেল পেল না ? এমন আবিষ্কার কোন বিজ্ঞান বইয়ে আছে l
আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন একটা তথ্য প্রমান কেউ দিতে পারবে না l কারণ ব্যাপারটাই একটা মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী l আর এই মিথ্যা কথাটা প্রচার করেছে কিছু স্বার্থান্নেষী আস্তিক l মিথ্যা প্রচার করে তারা লাভবানও হয়েছে l অনেক মুর্খ যারা যুক্তি তর্কের ধার ধারে না তারা অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করেছে l আর আজকাল এই বিষয়টা নিয়ে নানান বোকা আস্তিক প্রশ্ন করছে l যারা সত্য মিথ্যা যাচায় করার প্রয়োজনই অনুভব করে না l মিথ্যা দিয়ে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় l

4.
এক আস্তিক ভাই বলছেন সে নাকি সাত বছর আগে জেনেছে সৌর জগতে গ্রহ সংখ্যা ১১ টি l জানি না সে কোথা থেকে জেনেছে ? তবে আমি ১২ থেকে ১৫ বছর আগেই জেনেছি যে আমদের সৌরজগতে ৯ টি গ্রহ আছে এগুলো হচ্ছে - বুধ , শুক্র , পৃথিবী , মঙ্গল , বৃহস্প্রতি , শনি , ইউরেনাস , নেপচুন , প্লেটু l এছাড়াও কিছু বামন গ্রহ আছে l
কিন্তু কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীরা প্লেটুর উপর ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে প্লেটুর বৈশিষ্ট গ্রহ গুলুর মত নয় l এর বৈশিষ্ট বামন গ্রহ গুলুর মত l তাই তারা প্লেটু কে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বামন গ্রহের তালিকায় ফেলেছেন l ফলে গ্রহের সংখ্যা দাড়ায় ৮ টিতে l এই কথাটাই বার বার উদাহরণ হিসেবে দেখাচ্ছে কিছু নির্বোধ মানুষ l আমি তাদের কেন নির্বোধ বলছি এখন সেটা ব্যাখ্যা করব l
বিজ্ঞানের সব সময় কিছু লিমিটেশন থাকে l যেমন এভগ্রেদুর পরমানু মডেলের লিমিটেশন , বোরের পরমানু মডেলের লিমিটেশন , নিউটনের শব্দের গতি নির্ণয়ে লিমিটেশন ইত্যাদি l
পরমানু এত ক্ষুদ্র যে সে গুলো পর্যবেক্ষণ করা অনেক কঠিন l তারপর তাদের বৈশিষ্ট দেখে পরমানুর একটা গঠন তৈরী কত বা ব্যাখ্যা করা কত কঠিন l আর এই কঠিন কাজটিই করেছেন এভগ্রেডু এবং বোর l তার ফলে কিছু লিমিটেশন দেখা দিয়ে ছিল l কিন্তু তাদের মডেল গুলোকে কখনো ভুল বলা হয়না l কারণ তাতে কোনো ভুল ছিলনা l কিছু বৈশিষ্ট একটু অন্য রকম ছিল কিন্তু কোনটা ভুল ছিলনা l আর সেটা প্রমান হয়েছে আধুনিক পরমানুর মডেল আবিস্কার হবার পরে l
আবার নিউটন যখন বাতাসে শব্দের গতি গাণিতিক ভাবে নির্ণয় করলেন তার মান যা এসেছিল তা শব্দের গতির তুলনায় কম l পরে আরেক বিজ্ঞানী বাতাসে জ্বলীয় বাস্পের প্রভাব বিবেচনা করে শব্দের গতি নির্ণয় করলেন এবং নিউটন-এর মানের সংশোধন করলেন l এটা একটা স্বীমাবদ্ধতা l কিন্তু এটা কি বিজ্ঞানের স্বীমাবদ্ধতা নাকি বিজ্ঞানীর স্বীমাবদ্ধতা সেটা না বুঝেই যদি বলি বিজ্ঞান ভুল করেছে , বিজ্ঞান ভুল বলেছে তাহলে কি সেটা সত্যি হলো l কারণ বিজ্ঞান হচ্ছেই পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সত্য l নিউটন ভুল করেছিলেন কারণ বাতাসে আর্দ্রতার প্রভাবের ফলে যে শব্দের তারতম্য হয় সেটা সে সময়ে আবিস্কারই হয়নি l তাই এই স্বীমাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে l তাই বলে কিন্তু তার আবিস্কার ভুল হয়ে যায়নি l তার হিসাব ছিল সম্পূর্ণ ভাবে সঠিক l তাই এখানে ভুল বলা যাবে না , এখানে ছিল স্বিমাবদ্ধতা l
বিজ্ঞানের স্বিমাবদ্ধতা নয় বরং বিজ্ঞানীর স্বীমাবদ্ধতা l
আবার প্লাটু গ্রহটি যখন আবিষ্কৃত হয়েছিল তখন বর্তমানের মত এত শক্তিশালী টেলিস্কোপ ছিলনা l ফলে সে সময় একে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি l ফলে সে সময় প্লাটুকে গ্রহ মনে হয়েছিল l কারণ তখন এর বৈশিষ্ট গুলো মনে হয়েছিল গ্রহের মত l এটা ছিল স্বীমাবদ্ধতা l বিজ্ঞানের স্বীমাবদ্ধতা নয় বরং বিজ্ঞানীর স্বীমাবদ্ধতা l কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখা গেছে যে প্লাটুর বৈশিষ্ট গ্রহের মত নয় বরং বামন গ্রহের মতো l ফলে তাকে বামন গ্রহের লিস্টে রাখা হয়েছে l তার ফলেই বর্তমানে গ্রহের সংখ্যা ৮ টি l
এখন প্রশ্ন হলো কিছু দিন আগে বিজ্ঞান বলেছে গ্রহ ৯ টা আবার এখন বলছে গ্রহ ৮ টা তাহলে পরস্পর contradictory হয়ে যাচ্ছে না ?
এর উত্তর খুব সহজ , না হচ্ছে না l
বিজ্ঞান কি বলেছে যে প্লাটু নামের কোনো গ্রহ সৌরজগতে নেই ? যদি এটা বলত তাহলে বলা যেতো একবার বলছে প্লাটু আছে আর একবার বলছে প্লাটু নেই এটা পরস্পর বিরোধী l
প্লাটু কিন্তু ঠিকই আছে l আগে ছিল এক গ্রুপে আর এখন অন্য গ্রুপে l কিন্তু সৌরজগতের মোট গ্রহ উপগ্রহ এবং বামন গ্রহের সংখ্যা কিন্তু একই আছে l
তাই যেসকল ঈশ্বর বাদী বলে যে বিজ্ঞান পরস্পর বিরোধী কথা বলছে তারা তাদের অজ্ঞতার পরিচয়ই দিচ্ছে l এজন্যই কবি বলেছেন আগে জানো তারপর পান্ডিত্ব দেখাতে এসো l
তাই বলছি ঈশ্বর বিশ্বাসী ভাইয়েরা আসুন আমরা বিজ্ঞান জানি এবং কুসংস্কারের অন্ধকার দূর করি l

No comments:

Post a Comment