Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, June 25, 2014

একটি শান্তির ধর্মের ইতিকথা


আমরা শুধু সাইন্স ফিকশন বা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী পড়বো l এবার একটু রিলিজিওন ফিকশন বা ধর্ম কল্পকাহিনী পড়ি l
“”””একটি শান্তির ধর্মের ইতিকথা”””””

ইসলাম আল্লাহর ধর্ম l পৃথিবীতে একমাত্র সত্য ধর্ম l আল্লাহ মুহাম্মদকে নবী নিযুক্ত করেছেন যেন মুহাম্মদ পৃথিবীর সব ধর্মের মানুষকে শান্তির ধর্ম ইসলামে নিয়ে আসতে পারে l এর ফলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে l ইসলামের পূর্বে আরবে অশান্তি লেগেই ছিল ! মারা-মারি খুন, হত্যা, ধর্ষণ মূর্তি-পূজা আরো হাজারও রকম অন্যায় অবিচার চলতো সেই সময়-এ আরবে l আর সে জন্যই সেই সময়টাকে আয়ামে জাহেলিয়া অর্থাত অন্ধকারের যুগ বলা হয়েছে l সেই সময়ে দাস প্রথা চালু ছিল l সেই অন্ধকার যুগের মানুষ অসহায় মানুষদের জোর করে নিয়ে যেত আর বাজারে পশুর মত বিক্রি করে দিত l অর্থাত গরিব অসহায় মানুষ ছিল গরু ছাগলের মত l আর মানুষ সেই সব মানুষকে কিনে নিয়ে যেত এবং পশুর মত তাদেরকে দিয়ে কাজ করাতো l মেয়েদের কে কিনে নিতো আরও অন্যন্য খারাপ কাজের দাসী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য l এক কথায় মানুষের কোন মর্যাদাই পেত না সেই সব অসহায় মানুষ গুলো l আর এজন্যই সেই যুগ ছিল অন্ধকারের যুগ l আর সে সময় 'জোর যার জগত তার' এই নীতিতে চলতো পৃথিবী l অর্থাত যে শক্তিশালী এবং ধন ও ক্ষমতাবান সে যা চাইতো তাই করতে পারতো l আক্রমন করে অনেক ক্ষমতা বান অথবা কম ক্ষমতাবান মানুষকে মেরে ফেলতো এবং তার সম্পদ গ্রাস করে নিতো l সম্পদের মধ্যে ধন-সম্পদ, টাকা পয়সা, সোনা দানা, দাসী এমনকি স্ত্রী আত্তীয় সজনকেও জোর করে ধরে নিয়ে যেত এবং দাসী বানিয়ে রাখত l আর মেয়েদের মধ্যে যাকে ভালো লাগত তাকে ধর্ষণ করত l এসব জঘন্য মানবতা বহির্ভূত কাজ কারবার করতো বলেই সে যুগকে অন্ধকারের যুগ বলা হতো l
একদল আরেক দলের উপর আক্রমন করত এবং ধন -দৌলত লুট করত ! আর যুদ্ধ বিদ্রোহ লেগেই থাকত সব সময় l এ ওকে খুন করে, তাকে হত্যা করে এরকম অবস্থা ছিল সেই সময়ে l আর যার সম্পদ বেশি ছিল সে তার ইচ্ছামত যাকে ইচ্ছা তাকে বিয়ে করত , দাসী বানাত l একজন ধনবান ব্যক্তির, তার ধন-সম্পদের পরিমানের উপর নির্ভর করতো তার দাস দাসীর সংখ্যা এমনকি তার বিয়ের সংখ্যাও নির্ভর করত তার ধন-সম্পদের উপর l অর্থাত একজন ধনী ব্যক্তি চাইলে এক হাজারটা বিয়ে করতে পারত তার ধন সম্পত্তির উপর নির্ভর করে !
আয়ামে জাহিলিয়ার যুগের আরেকটা বর্বর কাজ ছিল যে তারা মা-বোন বিচার করতো না l বাগিনি বাতিজি বাচ বিচার করতো না l যাকে মন চাইতো তাকেই বিয়ে করতো এবং অশ্লীলতা শুরু করে দিত l আর এটাই ছিল অন্ধকার যুগের সবচেয়ে অমানবিক আচরণ l তারা বাগনি. বাতিজি, নাতি, পুত্রবধু এমন কি সৎমাকেও বাদ দিত না, বিয়ে করে নিতো l দেখা যেত এক বন্ধু অন্য বন্ধুর মেয়েকে বিয়ে করে নিল এবং অন্য বন্ধুটি ওই বন্ধুটির মেয়েকে বিয়ে করে নিল l তাদের কাছে মেয়ে অথবা মা বোন কোনো ব্যাপার ছিল না l যাকে মন চাইতো তাকেই বিয়ে করে নিতো l আয়িয়ামে জাহেলিয়া যুগের অর্থাত অন্ধকার যুগের মানুষ এরকমই বর্বর ছিল l তারা শিশুকেউ বাদ দিত না l তারা শিশুকে বিয়ে করতো, এমনকি শিশু অবস্থাতেই তাদের সাথে বর্বর আচরণ করত l শিশু বিয়ে এবং তাদের সাথে বর্বরতা করা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল l ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে, খালা ফুপু কাউকেই তারা বাদ দিত না বর্বরতা থেকে l এটাই ছিল স্বাভাবিক ঘটনা lএরকম বর্বর ছিল অন্ধকার যুগের মানুষগুলো l
আর এই সকল অন্যায় অবিচার চলতো বলেই সেই যুগকে আইয়িয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকারের যুগ বলা হয়েছে l
আর এইসব অন্যায় অবিচার যুদ্ধ বিগ্রহ এবং অশান্তি চলার সময়টাতে অর্থাত অন্ধকার যুগে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীকে শান্তিতে ভরিয়ে দিতে তার প্রিয় বান্দা মুহাম্মদকে পৃথিবীতে পাঠালেন এবং তাকে দায়িত্ব দিলেন অশান্তির পৃথিবীকে শান্তিতে ভরিয়ে দিতে l মুহাম্মদ নবী হলেন এবং আল্লাহর বাণী প্রচার করতে লাগলেন l সবাইকে আল্লাহর পথে অর্থাত শান্তির পথে আসতে বললেন l আর আল্লাহর গুন কির্তন করতে বললেন ! বলা বাহুল্য খুব অল্প লোকই শান্তির ধর্ম ইসলামে এসেছিল l তারা অশান্তির ধর্ম; অন্ধকারের ধর্ম ছেড়ে আসতে চাইল না l তারা মুহাম্মদের উপর অত্যাচার করতে শুরু করলো l একসময় মুহাম্মদ মক্কা ছেড়ে মদিনায় পারি জমালো শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে l সেই অশান্তির ধর্মের মানুষ গুলো মুহাম্মদকে মক্কা ছেড়ে যেতে বাধ্য করলো l
মুহাম্মদ মদিনায় যেয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে লাগলো l মদিনার মানুষ দল বেধে শান্তির ধর্মে আসতে লাগলো l তারা আর অশান্তির ধর্মে থাকলো না l
এভাবেই মুহাম্মদ মদিনাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলো l সেখানে (মদিনাতে) মানুষ বর্বরতা ভুলে গেল l কোন মানুষ আর মানুষকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় না l মানুষকে বাজারে নিয়ে পশুর মত বিক্রি করে দেয় না l অসহায় নিরীহ মানুষকে আর দাস-দাসী হিসেবে ব্যবহার করে না l যত দাস-দাসী ছিল মদিনাতে সবাইকে মুক্ত করে দেয়া হলো l এবং তাদের সবাইকে স্বাভাবিক মানুষের মর্যাদা নিয়ে বাচার সুযোগ করে দেয়া হলো l এক কথায় মদিনা থেকে দাস প্রথা পুরো পুরি বিলুপ্ত হয়ে গেল l
আবার মদিনার সবাই তাদের ক্ষমতাবলে একসাথে অনেকগুলো করে বিয়ে করা বন্ধ করে দিল l তারা একটা করে বিয়ে করে l স্বামী শুধু স্ত্রীকে এবং স্ত্রী শুধু স্বামীকে ভালবাসতে লাগলো l তারা স্বামী এবং স্ত্রী অর্থাত ছেলে এবং মেয়ের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করলো l আর তারা দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রয়োজন মনে করলে স্বামী তার স্ত্রীর কাছে অনুমতি চাইতো এবং স্ত্রী অনুমতি না দিলে স্বামী আর দ্বিতীয় বিয়ে করতো না l
আবার সম্পদশালী স্ত্রী যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইতো তখন তারা স্বামীর অনুমতি নিতো l যদি স্বামী অনুমতি না দিত তবে সে অর্থাত স্ত্রী আর দ্বিতীয় বিয়ে করতো না l অর্থাত বহু বিয়ের যে নিয়ম ছিল অন্ধকারের যুগের সেটাও আসতে আসতে বিলুপ্ত হয়ে গেল মদিনা থেকে l সেখানে ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করা এবং তাদের সাথে বর্বরতা করার যে নিয়মটা ছিল সেটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেল l ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে মানুষ সভ্য হয়ে গেল l তারা আর ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করলো না l তারা ভাতিজি ভাগ্নি কে এবং বন্ধুর মেয়েকে মা বলে সম্মুধন করা শুরু করে দিল l আর পিতৃ স্নেহের গন্ডি বাড়তে থাকলো l আর এভাবেই ইসলামের শান্তির গুনে মানুষ সভ্য হয়ে গেল l আর শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলো l
সেখানে কেও কাওকে আক্রমন করে না l কেউ কারো সম্পদ ছিনিয়ে নেয় না l কাওকে ধর্ষণ করে না l সবাই সবার স্বাধীনতা নিশ্চিত করে জীবন যাপন করে l সবাই সবাইকে স্বাধীন ভাবে থাকতে দেয় l কেউ কারো সম্পদ চুরি করে না l ডাকাতি লুন্ঠন সব বন্ধ হয়ে গেল মোদিনা থেকে l খুন হত্যা যুদ্ধ বিগ্রহ সব কিছু বন্ধ হয়ে গেল মদিনা থেকে l আর মুহাম্মদ আল্লাহর ধর্ম ইসলামের প্রতিষ্ঠার ফলে মদিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সফল হলো l কেও অন্যায় করে না অর্থাত সবাই ভালো হয়ে গেল এবং শান্তির ধর্ম ইসলাম কায়েম করার জন্য মদিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলো l সেখানে হত্যা জুলুম যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ হয়ে গেল l আর চারিদিকে মদিনার শান্তি প্রতিষ্ঠার খবর ছড়িয়ে পড়ল l

মদিনার শান্তির কথা শুনে চারদিক থেকে মানুষ দলে দলে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলো l মক্কার অনেক লোক যারা শান্তির ধর্মের শান্তির বাণী বিশ্বাস করেছিল তারা এসে শান্তির ধর্ম ইসলামে যুগ দিতে লাগলো l আর এই শান্তির খবর মক্কার অশান্তির ধর্মের ধর্ম গুরুদের কানে গেল l কিন্তু তারা বিশ্বাস করতে চাইল না l তারা মুহাম্মদকে মারার জন্য সৈন্য বাহিনী পাঠালো l সেই সৈন্য বাহিনী মদিনায় গেল এবং মদিনা বাসীর শান্তি ময়তা এবং শত্রুর প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল l এবং সৈনিকদের মধ্যে সবাই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলো l অর্থাত তারাও শান্তির ধর্ম গ্রহণ করলো l তারপর সেই সৈন্য বাহিনী মক্কায় ফিরে যেয়ে মুহাম্মদের শান্তির ধর্ম ইসলামের গুনগান গাইতে লাগলো l আর মদিনাতে কি রকম শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার বর্ণনা দিল l কিন্তু অশান্তির ধর্মের লোকগুলো তাদের কথাও বিশ্বাস করতে পারল না l তাই তারা বিশ্বস্ত লোক পাঠালো শান্তির ধর্মের খোজ খবর নেবার জন্য l এবার যে দলটা গেল তারাও মদিনার শান্তি দেখে এবং আল্লাহর শান্তির বাণী শুনে ইসলাম গ্রহণ করলো এবং মক্কায় ফিরে যেয়ে শান্তির বাণী বলতে লাগলো অশান্তির ধর্মগুরুদের কাছে l তারা অর্থাত অশান্তির ধর্মগুরুরা শান্তির ধর্মের প্রতি আগ্রহ দেখালো এবং মুহাম্মদ কে মক্কায় আসার আহবান করলো এবং তাদের সাথে পুনরায় বন্ধুত্ব স্থাপনের আহবান জানালো l শান্তির পুজারী মুহাম্মদ সেই বাণী অগ্রায্য করতে পারল না l তাই তার অনুসারীদেরকে অর্থাত শান্তি বাহিনীকে নিয়ে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করলো l সে তার শান্তির বাণী (আল্লাহ প্রদত্ত) শুনাতে লাগলো সেই অশান্তির ধর্মের ধর্মগুরুদের l
মুহাম্মদের মুখে আল্লাহর শান্তির বাণী শুনে এবং মদিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা শুনে তারা ইসলাম গ্রহণ করে ফেলল l এবং মক্কার সব মানুষকে ইসলামের শান্তির বর্ণনা করলো এবং সবাই ইসলাম অর্থাত শান্তির ধর্মে প্রবেশ করলো l তারপর থেকে মক্কায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হলো মদিনার মতই l মক্কাতেও খুন হত্যা জ্বুলুম ধর্ষণ , দাস দাসী কেনা বেচা এবং বহুবিবাহ সহ যাবতীয় অন্ধকার যুগের অশান্তির এবং অমানবিক কাজ কারবার বন্ধ করে দিল l আর এর ফলে মক্কাতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলো l সমগ্র আরববাসী ইসলাম অর্থাত শান্তির ধর্ম গ্রহণ করলো l এবং আরবে আর কোন অন্যায় অর্থাত খুন ধর্ষণ; দাস প্রথা ; বহু বিবাহ ; যুদ্ধ-বিগ্রহ সব বন্ধ হয়ে গেল l সেখানে ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করা এবং তাদের সাথে বর্বরতা করার যে নিয়মটা ছিল সেটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেল l ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে মানুষ সভ্য হয়ে গেল l তারা আর ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করলো না l তারা ভাতিজি ভাগ্নি কে এবং বন্ধুর মেয়েকে মা বলে সম্মুধন করা শুরু করে দিল l আর পিতৃ স্নেহের গন্ডি বাড়তে থাকলো l আর এভাবেই ইসলামের শান্তির গুনে মানুষ সভ্য হয়ে গেলl এবং প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলো l

এদিকে আরবে শান্তির প্রতিষ্ঠা এবং আল্লাহর সত্য নবী মুহাম্মদের মহিমার কথা সমস্ত আরব দেশগুলুতে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো l তারাও দলে দলে এসে ইসলাম এবং মুহাম্মদের নিকট ইমান আনলো l এবং শান্তির ধর্ম ইসলাম আরব ছাড়িয়ে অন্যন্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো l সব দেশ তখন মুহাম্মদ এবং আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করতে লাগলো l শান্তির ধর্ম ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম আর তাইতো এই শান্তির ধর্মের জন্য সমগ্র আরব বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং অন্ধকার যুগের সমগ্র অন্যায় অবিচার অর্থাত খুনাখুনি; ধর্ষণ, মানুষ কেনাবেচা অর্থাত দাস প্রথা; ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করা এবং তাদের সাথে বর্বরতা করার যে নিয়মটা ছিল সেটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেল l ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে মানুষ সভ্য হয়ে গেল lতারা ভাতিজি ভাগ্নি কে এবং বন্ধুর মেয়েকে মা বলে সম্মুধন করা শুরু করে দিল l আর পিতৃ স্নেহের গন্ডি বাড়তে থাকলো l আর এভাবেই ইসলামের শান্তির গুনে মানুষ সভ্য হয়ে গেল l এবং বহুবিবাহ সহ যাবতীয় অমানবিক কাজ-কারবার বন্ধ হয়ে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে লাগলো l

ঠিক সেই সময়ে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল l মুহাম্মদের একমাত্র ভালবাসার মানুষটি অর্থাত তার স্ত্রী খাদিজা মারা গেল l সেই ২৫ বছর বয়সে সে ধনী মহিলা ৪০ বছরের খাদিজাকে সে বিয়ে করেছিল l তার পর থেকে সে খাদিজাকে ভালোবেসেছে l স্ত্রী হিসেবে তার সব দু:খে পাশে থেকেছে, তাকে সান্তনা দিয়েছে ; স্ত্রী হিসেবে তাকে শ্রদ্ধা করেছে l খাদিজা তাকে খুব ভালবাসা দিয়ে পাশে থেকেছে l তার সাথে ইসলাম প্রচার করেছে l আর সেই খাদিজা মারা যাওয়াতে সে খুব ব্যথিত হয়ে গেল l বাকি জীবন সে খাদিজাকেই মনে মনে ভালোবেসে গেল l বাকি জীবনে আর বিয়ে করলো না একটাও l
আর ইসলামের মহত্তে সম্পূর্ণ আরব বিশ্ব ইসলামের শান্তির ছায়া তলে এসে গেল l কোন দেশ কোন দেশকে আক্রমন করে না l কোন দেশ কোন দেশের সাথে যুদ্ধ করে না l প্রকৃত পক্ষে ইসলাম আসার পর থেকে আরব বিশ্বে একটাও যুদ্ধ সংগঠিত হয়নি এবং কোন মুসলমান কাউকেই হত্যা করেনি মুসলমান হবার পর থেকে l ইসলাম এবং মুহাম্মদ মানুষের সাথে যুদ্ধ করতে নিষেধ করেছে সবসময় l আর তাই শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে সম্পূর্ণ আরব বিশ্ব থেকেই যুদ্ধ, হত্যা, খুন, জুলুম, ধর্ষণ, বহুবিবাহ, শিশুবিবাহ, ভাতিজি ভাগ্নি, বন্ধুর মেয়ে বিবাহ প্রভৃতি বিলুপ্ত হয়ে এক সভ্য শান্তির আরব বিশ্ব গঠিত হলো l আর এর নেতৃত্ব দিল মুহাম্মদ নিজে l
এভাবেই মুহাম্মদ ইসলাম ধর্মের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর পথে এবং শান্তির পথে আনলো আর মানুষের মাঝে এক আদর্শ মানুষ হিসেবে তার কীর্তি রেখে গেল l আরবের প্রিয় মানুষ আল্লাহর নবী, শান্তির প্রতিকৃত মুহাম্মদ মারা গেল l
সে তার পরে কে ইসলামের দিক নির্দেশনা দেবে সেটা ঠিক করে রেখে গেল l আবু বক্কর মুহাম্মদের ঘনিষ্ট বন্ধু আবু বক্করকে ইসলামের নেতা নিযুক্ত করে গেছে মুহাম্মদ l ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে আবু বক্করকে নিযুক্ত করে গেছে সে l আর আবু বক্কর কে সবাই তারপর থেকে নেতা বা খলিফা হিসেবে মেনে নিল l
আবু বক্কর ইসলামের শান্তি আরব ছাড়িয়ে আফ্রিকা এবং ইউরুপের দিকে ছড়িয়ে দিতে থাকে l আবু বক্কর তারপর উমর তারপর উসমান তারপর আলী পরপর খলিফা হিসেবে ইসলামের নেতৃত্ব দেয় l এবং ইসলামের শান্তি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে l এবং পৃথিবী থেকে অশান্তি, অন্যায়, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, যুদ্ধ, দাস প্রথা, শিশুকাম, বহুবিবাহ ইত্যাদি বিলুপ্ত হয়ে যায় ইসলামের খেলাফতের মাধ্যমে l

আজ পর্যন্ত উসমান-আলীর পর থেকে বহু খলিফা নিযুক্ত হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত খেলাফত টিকে আছে l সব সময়ে সব খলিফাকে সব মুসলমান যুগে যুগে মেনে নিয়েছে এবং আল্লাহর এবং তার খলিফাবৃন্দের আদেশ মেনে চলেছে l পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত শান্তির ইসলাম কায়েম আছে এবং ইসলামের আবির্ভাবের পর থেকে পৃথিবীতে কোন যুদ্ধ, হত্যা, জুলুম, দাস প্রথা, বহুবিবাহ, শিশুবিবাহ এবং আয়ামে জাহিলিয়ার কোন বর্বরতা আর দ্বিতীয়বার হয় নি l তাই ইসলাম আল্লাহর একমাত্র সত্যি ধর্ম এবং মুহাম্মদ আল্লাহর শেষ এবং প্রিয় নবী l মুহাম্মদ এবং ইসলামের মহানভবতায় পৃথিবী থেকে আয়ামে জাহেলিয়ার বা অন্ধকার যুগের বর্বরতা খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, যুদ্ধ, দাস প্রথা সব কিছু থেকেই মানব জাতি মুক্ত হয়েছে l
আর তাই ইসলাম আল্লাহর ধর্ম, মুহাম্মদ আল্লাহর সত্য নবী, শান্তির ধর্ম ইসলাম এতে কোন ভুল নেই l
ইসলাম আসার পর থেকেই আয়ামে জাহিলিয়া বা অন্ধকার যুগের সব অন্যায় বর্বরতা যেমন হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, লুন্ঠন, দাস প্রথা, বহুবিবাহ, শিশুবিবাহ এমনকি বাগনি-বাতিজি-পুত্রবধু-বন্ধুর মেয়ে বিবাহ ইত্যাদি জঘন্য বর্বর কাজ পৃথিবী থেকে দূর হয়েছে l আর মুহাম্মদ এসব জঘন্য কাজ করা থেকে তার নবুয়ত প্রাপ্তির পর থেকে সবাইকে নিষেধ করেছেন এবং নিজেও অন্ধকার যুগের কোন বর্বর কাজ করেননি l আর তাই সে আজ সব মুসলমানদের তথা সমগ্র পৃথিবীর আদর্শ মানব l মুহাম্মদ এবং তার ইসলাম আসার পর থেকেই অন্ধকার যুগের কোন কাজ এক মুহুর্তের জন্যও সংগঠিত হয়নি l আর তাই ইসলাম শান্তির ধর্ম l ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম l মুহাম্মদ আল্লাহর মনোনীত শেষ নবী l মানব জাতির আদর্শ l

বি.দ্র.: এই লেখার সমস্ত ঘটনা, স্থান, নাম, আবহ কাল্পনিক l কারো সাথে মিলে গেলে সেটা কাকতালীয় ব্যাপার মাত্র l এর জন্য লেখক দায়ী থাকবে না l

No comments:

Post a Comment