Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, March 18, 2016

একজন অন্ধবিশ্বাসী, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের সাথে বিতর্ক (পর্ব ২ – দ্বিতীয় অংশ)



প্রথম অংশের পর থেকে...
রানা আব্দুল্লাহ বলেছে, "কুরান থেকে দেখান তো সেখানে আছে সূর্য, চন্দ্র এক স্থানে সারাদিন ঘুরে! তাহলে কুরান ভুল প্রমানিত হবে! আর যদি না দেখাতে পারেন তবে আধুনিক বিজ্ঞান বলে যে সূর্য, চন্দ্র তাদের নিজ নিজ অক্ষে পরিভ্রমণ করে।
আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি আগেই দিয়ে দিয়েছি। আমি কখনই বলিনি যে কুরআনে সূর্য আর চন্দ্রের এক স্থানে সারাদিন ঘুরে এই কথাটি বলা আছে। এটা আপনি নিজে থেকেই ধরে নিয়েছেন যে আমি এটা বলেছি।

আপনি হয়তো লক্ষ করেন নি কুরআনের আয়াতটিতে কি বলা হয়েছে বলে আমি দেখিয়েছি। সূর্য চন্দ্রের ঘুর্নন সম্পর্কে কুরআন কি বলে আরেকবার দেখুন!
"সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনীর পক্ষে সম্ভব নয় দিবসকে অতিক্রম করা। এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে চলছে।"  (৩৬:৪০)
সূর্য চন্দ্রের নাগাল পাওয়ার ব্যপারটি কি আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না? সূর্যের ঘূর্ণন প্রকৃতি আর চন্দ্রের ঘূর্ণন প্রকৃতি সম্পূর্ন আলাদা। সূর্য ঘুরে আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে আর চন্দ্র ঘূরে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে। কিন্তু পৃথিবী থেকে এদের ঘুর্নন একই মনে হয়। কুরআনের লেখক একজন মানুষ তাই সূর্য চন্দ্রের নাগাল পাবার ব্যাপারটি এখানে এভাবে বলা হয়েছে। যদি কুরআন কোন সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা লেখতো তবে সে সূর্য চন্দ্রের নাগালের কথা বলতো না। কারণ তখন সৃষ্টিকর্তা জানতো যে সূর্য আর চন্দ্র এক কক্ষপথে চলে না। তাই এদের একটা আরেকটাকে ধরে ফেলার বা নাগাল পাবার কথাই আসেনা। কারণ সেই সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা জানতো যে সূর্য আর চন্দ্র সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা কক্ষপথে চলে। তাই তাদের একটা আরেকটাকে ধরে ফেলা বা নাগাল পাবার প্রশ্নই আসে না। এই আয়াতটি পড়লে মনে হয় যে এখানে বলা হয়েছে সূর্য আর চন্দ্র একই কক্ষপথে চলে কিন্তু তবু একটি আরেকটিকে ধরতে পারে না বা নাগাল পায় না।
আবার আমরা জানি সূর্য পৃথিবী এবং চাঁদকে ধরে রেখেছে বা নাগালের মধ্যে রেখেছে মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে। যা কুরআন লেখকের জানা ছিল না বলে এরকম একটি কথা কুরআনে লিখে দিয়েছে।
অপরদিকে চাঁদ, সূর্য দিন, রাত এরা সবাই আলাদা আলাদা ভাবে নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরছে বলে কুরআনের দাবী। লক্ষ করুণ কুরআনে আছে, সূর্য যেমন চাঁদের নাগাল পায় না ঠিক তেমনি রাত দিনকে অতিক্রম করতে পারে না। এবং এরা প্রত্যেকটি (অর্থাৎ সূর্য, চন্দ্র, রাত দিন) নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে। চাঁদ, সূর্য আলাদা কক্ষ পথে ঘুরছে; কিন্তু তাই বলে রাত দিন কিভাবে আলাদা আলাদা নিজ নিজ কক্ষ পথে ঘুরবে? আবার বলা হচ্ছে, রাতের পক্ষে দিনকে অতিক্রম করা বা দিনের পক্ষে রাতকে অতিক্রম করা সম্ভব নয়। রাত দিনের কি তাহলে সূর্য চন্দ্রের মত আলাদা আলাদা অস্তিত্ব আছে?
আমরা জানি রাত আর দিন আলাদা আলাদ কোন অস্তিত্বশীল কিছু নয়। এরা দুটোই (সূর্যের) আলোর জন্য তৈরী হওয়া দুটি ভিন্ন অবস্থা। যেমন যে পাশে সূর্যের আলো থাকে সেটা দিন। অপরদিকে যে পাশে আলো থাকে না সেটা রাত। রাত আর দিন আলাদা আলাদা বস্তু নয়। রাত দিন একটি বস্তুকণার উপর নির্ভর করে আর সেটা হলো সূর্যের আলো। কিন্তু কুরআন লেখক দাবী করেছে সূর্য চন্দ্রের মতো রাত দিনেরও আলাদা আলাদা কক্ষপথ রয়েছে যা বাস্তবে ঘটে না। তাহলে কুরআন কেন দাবী করেছে সূর্য চন্দ্রের মতো রাত দিনেরও আলাদা আলাদা কক্ষপথ রয়েছে? লক্ষ করুন কুরআন বলছে, চন্দ্র, সূর্য রাত, দিন সবাই আলাদা আলাদা কক্ষপথে চলছে।
আশা করি মাথা খাটিয়ে (যুক্তি ধার করে নয়) যুক্তি উপস্থাপন করবেন এবং এটা কি ওটা কি না বলে নিজের যুক্তি পরিষ্কার ভাবে উপস্থাপন করবেন।

৩৫:১৩ আয়াতটি দেখুন,
"...তিনি সূর্য চন্দ্রকে করেছেন নিয়ন্ত্রিত, প্রত্যেকে পরিভ্রমন করে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ..."
একই রকম কথা পাবেন ৩১:২৯ তে
এখন প্রশ্ন হলো সূর্য চন্দ্র কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় বা কিভাবে এরা নিয়ন্ত্রনাধীন? আর সূর্য, চন্দ্র নির্দিষ্টকাল বা নির্দিষ্টমেয়াদ পর্যন্ত পরিভ্রমন করে বলে কুরআন দাবী করছে, এই নির্দিষ্টকালটা কি? আর এই নির্দিষ্টকাল পরে এরা কোথায় যায় বলে আপনি মনে করেন? অর্থাৎ এরা বাকী সময় কোথায় থাকে?
এর উত্তর দেয়া আছে হাদিসে। আবু যার বা আবু দার-এর হাদিসটি নিশ্চই আপনি জানেন? সেখানে বলা হয়েছে সূর্য ডুবার পরে সূর্য আল্লাহর আরসের নিচে যায়। এবং সারা রাত প্রার্থনা করে পরের দিন সকালে পুনরায় উদয় হবার জন্য। আর এটাই কুরআনে বর্নিত ৩৬:৩৮ আয়াতে উল্লেখিত সূর্যের জন্য নির্ধারণ করে দেয়া অবস্থান বা গন্তব্য।
"সূর্য ভ্রমন করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, এটা পরাক্রমশালী, সর্বাজ্ঞের (মানে আল্লাহর) নিয়ন্ত্রন।"
এখন বুঝতে পারছেন কেন কুরআনে বলা হয়েছে সূর্য চন্দ্র নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে? কারন বাকী সময় আল্লাহর আরসের নিচে যেয়ে প্রার্থনা করে। আর সূর্য চন্দ্রকে আল্লাহ এভাবেই নিয়ন্ত্রিত বা নিয়মাধীন করেছে। সেই নিয়ন্ত্রন বা নিয়মাধীনটা কি?
স্পষ্টত এখানে সূর্য চন্দ্র এবং রাত দিন সম্পর্কে মুহাম্মদের ধ্যাণ ধারনা ফুটে উঠেছে বাস্তব  সত্য নয়।


রানা আব্দুল্লাহ বলেছে- বিজ্ঞান এগিয়ে গেলেও আপনার জ্ঞান আগাই নাই। কারন আপনি বার বার বিজ্ঞান ছেড়ে মন গড়া কথা বলছেন আর আগে ভাগেই কুরানে কি আছে কি নাই তা নিয়া ধুকপুক দুকপুক করছেন।
আমি বলেছি- আবারও ব্যক্তিগত আক্রমন করলেন!
এসব না বলে আপনার যুক্তি উপস্থাপন করুন! দিন রাত সম্পর্কে আপনার জ্ঞান আমাদের জানতে দিন!
দয়া করে, আপনি দিন রাত সূর্য চন্দ্র সম্পর্কে কুরআনের বর্ননা এবং বাস্তব জগতে এগুলো কেমন সেটা যুক্তি সহকারে উপস্থাপন করুন।
কারণ কুরআন দাবী করেছে সূর্য চন্দ্রের মতো রাত দিনেরও আলাদা আলাদা নিজ নিজ কক্ষপথ রয়েছে। কিন্তু আমারা জানি সূর্য চন্দ্রের আলাদা আলাদা বা নিজ নিজ কক্ষপথ থাকলেও রাত দিনের আলাদা আলাদা বা নিজ নিজ কোন কক্ষপথ নেই। এটা সম্পূর্ণই বাস্তবতার বিপরীত। তাই কুরআন ভূল বা মিথ্যা!


রানা আব্দুল্লাহ বলেছে- আগে ক্লিয়ার হতে হবে আধুনিক বিজ্ঞান এই সম্পর্কে কি বলে?

আমি বলেছি- আপনিই ক্লিয়ার করুন না! তাহলেই তো হয়। আমরা তো এখানে বিতর্কের জন্য এসেছি তাই না! আমি আমার যুক্তি উপস্থাপন করেছি এবার আপনি আপনার যুক্তি উপস্থাপন করুন।
তাই অনুরোধ করে বলছি, আপনি আপনার যুক্তি উপস্থাপন করুন। (যেমনটা আমি করেছি।)

রানা আব্দুল্লাহ বলেছে- অক্ষ তো বৃত্তাকার। আর এই বৃত্তে নির্দিষ্টকাল পরিভ্রমণ করে আবার সে একি স্থানে ফিরে যায় আবার প্রদক্ষিন করা শুরু করে। বৃত্তের বাইরে যাওয়ার তো সুযোগ নাই; তাইলে কই যাবে?


আমি বলেছি- অক্ষ যে শুধু বৃত্তাকারই হয় না সেটা একটু খেয়াল করে দেখুন। যেমন ধরুন এক্স অক্ষের উপর ওয়াই অক্ষের অবস্থান লম্ব বরাবর (দ্বিমাত্রা নির্দেশ করতে) অক্ষ যেমন বৃত্তাকার হয় তেমনি লম্বাকার, উপবৃত্তাকার ইত্যাদি ইত্যাদি আকারের অক্ষ আছে।
সুতরাং অক্ষ বৃত্তাকার নাকি লম্বাকার সেটা কিন্তু ওই আয়াতগুলো থেকে বুঝতে পারবেন না।
চন্দ্র, সূর্য বা পৃথিবীর কক্ষপথ বৃত্তাকার সেটা কিন্তু বিজ্ঞান আমাদের জানিয়েছে। তার আগে কিন্তু কেউ সেটা জানতো না।

আমার প্রথম যুক্তিটি হলো -
তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি দিন এবং সূর্য চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। (সূরা আম্বিয়া ২১:৩৩)
কুরআনের ওই আয়াতের বাক্যটা একটু ভালো করে লক্ষ করুন, বলা হয়েছে, রাত, দিন, সূর্য, চন্দ্র সবাই নিজস্ব কক্ষ পথে পরিভ্রমন করে। কিন্তু বিজ্ঞান বলে সূর্য চন্দ্রের নিজেদের আলাদা কক্ষপথ থাকলেও রাত এবং দিনের আলাদা কক্ষপথ নেই। কারন রাত-দিনের সূর্য-চন্দ্রের মতো আলাদা আলাদা অস্তিত্ব নেই। রাত দিন হলো সূর্যের আলোর সাপেক্ষে পৃথিবীর অবস্থানের উপর নির্ভরশীল দুটি ভিন্ন অবস্থা যা পৃথিবীর চারপাশকে ঘিরে রেখেছে বলে মনে হয়। আসলে দিনের অস্তিত্ব থাকলেও (যেহেতু দিন আলোর উপস্থিতির জন্য তৈরি হয় আর আলোর অস্তিত্ব আছে) রাতের কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই। তাই রাত দিনের আলাদা আলাদা কক্ষপথ থাকা অসম্ভব। কিন্তু কুরআন বলছে সুর্য চন্দ্রের মতো রাত দিনেরও আলাদা আলাদা কক্ষপথ আছে; সেটা বাস্তব সত্য নয়।

দ্বিতীয় যুক্তিটি হলো -
৩৫:১৩ দেখুন,
"...তিনি সূর্য চন্দ্রকে করেছেন নিয়ন্ত্রিত, প্রত্যেকে পরিভ্রমন করে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ..."
একই রকম কথা পাবেন ৩১:২৯ তে
এই বাক্যটি লক্ষ করুন বলা হচ্ছে, আল্লাহ সুর্য চন্দ্রকে নিয়ন্ত্রিত করেছেন, আর এরা নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে। এখানে বলা হয়নি সুর্য, চন্দ্র পরিভ্রমন করতেই থাকে। বরং বলা আছে সূর্য চন্দ্র শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে।
আমি সহজ করে বুঝাচ্ছি, ধরুন আপনাকে বলা হল আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাবেন। এই কথাটার মানে কিন্তু আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্তই যেতে বলা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বেশী কিন্তু যেতে বলা হচ্ছে না। আপনাকে একটা নির্দিষ্ট গন্তব্য সীমাবদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
ঠিক তেমনি বাক্যটিতে বলা হচ্ছে, সুর্য চন্দ্র নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে। তার মানে সেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের পরে সেটি আর পরিভ্রমন করে না।

ইংরেজী অনুবাদটা দেখলে হয়তো ব্যাপারটা আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
"He merges Night into Day, and he merges Day into Night, and he has subjected the sun and the moon [to his Law]: each one runs its course for a term appointed."
লক্ষ করুন বলা হচ্ছে, সূর্য চন্দ্র তাদের নির্দিষ্ট করে দেয়া সময় পর্যন্ত পরিভ্রমন করে। সেটা বুঝাতে লেখা হয়েছে 'term appointed'
আর এই কথা দ্বারা এটাই বুঝা যায়, সূর্য চন্দ্র নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই পরিভ্রমন করে।
কিন্তু আমরা জানি সূর্য চন্দ্র তাদের সৃষ্টির শুরু থেকেই পরিভ্রমন করে চলেছে। কখনই থামেনি। এগুলো একটা চক্র শেষ করে আরেকটা চক্র শুরু করে কোন বিরতি ছাড়াই। কিন্তু কুরআন বলছে এরা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্তই পরিভ্রমন করে। সব সময়ের জন্য পরিভ্রমন করে না। পরিভ্রমন করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যে সময়টা আল্লাহ নির্ধারন করে দিয়েছে। আর সেই নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে গেলে এরা আর পরিভ্রমন করে না।
আর এটাই স্পষ্ট হয়েছে আবু যারের হাদিস থেকে, যা থেকে জানা যায় সূর্য নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করে কিন্তু সূর্য ডুবার পরে আল্লাহর আরসের নিচে যেয়ে পরের দিন ওঠান জন্য প্রার্থনা করে
কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, সূর্য চন্দ্র ঘুরতে থাকে চক্রাকারে বিরতিহীন ভাবে। (ছোট বেলায় চরকি ঘুড়িয়েছেন তো?)
কিন্তু কুরআন বলে, না এগুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই ভ্রমন করে। আর হাদিস অনুযায়ী, বাকী সময় আল্লাহর আরসের নিচে থাকে।

রানা আব্দুল্লাহ বলেছে- আধুনিক বিজ্ঞান বলে, সূর্য চন্দ্র সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। সেখানে আপনি কি ঘোড়ার দিম , আগদুম বাগদুম বলছেন!


আমি বলেছি- বিজ্ঞানের আপন আপন কক্ষপথ আর কুরানের আপন আপন কক্ষপথ এক নয়।
কারন বিজ্ঞান বলে না রাত দিন তাদের আপন আপন কক্ষপথে বিচরন করে যেটা কুরআনে সূর্য-চন্দ্রের পরেই বলা হয়েছে।
আবার কুরআন আর হাদিস অনুযায়ী সুর্য চন্দ্রের ভ্রমন আর বাস্তব ভ্রমন এক নয়।
যেমন কুরআন বলে সূর্য চন্দ্র নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ভ্রমন করে কিন্তু বাস্তবে এরা সব সময়ই পরিভ্রমন করে। আবার ৩৬:৪০ আয়াত অনুযায়ী, সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া' এই কথা বলা হয়েছে যেন এরা একই পথে পরিভ্রমন করছে কিন্তু কেউ কারো নাগাল পাচ্ছে না বুঝাতে। এবং ৯১:০২ আয়াত অনুযায়ী চন্দ্র সূর্যের পেছনে পেছনে আসে। (শপথ চন্দ্রের, যখন তা সূর্যের পেছনে পেছনে আসে।)
এগুলো পড়লেই বুঝা যায় এরা পৃথিবীর চার পাশে পরিভ্রমন করে একই আকাশে কিন্তু কেউ কারো নাগাল পায় না। একটা আরেকটার পিছনে পিছনে আসে বলে কেউ কারো নাগাল পায় না।
আশা করি আমার বক্তব্য আপনাকে বুঝাতে পেরেছি।
তাহলে আপনি আপনার পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করুন গালাগালি এবং ব্যক্তিগত আক্রমন না করে।
আপনি যুক্তি উপস্থাপন না করে শুধু ব্যাক্তিগত আক্রমন করে চলেছেন।

রানা আব্দুল্লাহ বলেছে- পরিভ্রমন হল সে এক স্থান থেকে শুরু করবে যাত্রা, আবার এক বিন্দুতে ফিরে আসবে যদি তা বৃত্তাকার হয়।

আমি বলেছি- পরিভ্রমন মানে হলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া। যেমন আপনি কোন এক জয়গায় গেলেন সেটাকে ভ্রমন বা পরিভ্রমন বলে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়াকে বলে পরিভ্রমন করা। কেউ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিভ্রমন করে পূর্বের জায়গায় আসুক আর যাযাবর হয়ে সারা জীবন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়াক সেটা পরিভ্রমন করাই হবে। সূর্য চন্দ্র পরিভ্রমন করে মানে সূর্য চন্দ্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমন করে। সেটা এক স্থান থেকে শুরু করে পূর্ব স্থানেই আসবে এমন কথা নেই। বৃত্তাকার পথে পরিভ্রমন করার কথাটি যদি লেখা থাকতো তবে বুঝা যেতো যে সূর্য চন্দ্রের পরিভ্রমণকে বৃত্তাকার পরিভ্রমন বলা হয়েছে। কিন্তু কুরআনের কোথাও বলা হয়নি সূর্য চন্দ্রের পরিভ্রমণ বৃত্তাকার নাকি উপবৃত্তাকার নাকি লম্বাকার। শুধু পরিভ্রমণের কথা বলা হয়েছে। তাই বৃত্তাকার হলে সূর্য চন্দ্র এক স্থান থেকে যাত্রা করে পূর্বের অবস্থানে আসবে এই কথা কুরআনে বলা হয়েছে বলে আপনি যে দাবীটি করেছেন তার কোনই ভিত্তি নেই।
কুরআনে বর্ণিত সূর্য চন্দ্রের পরিভ্রমন সেটা পূর্ব দিক থেকে উদিত হয়ে পশ্চিমের দিকে অস্ত যাওয়াও হতে পারে আবার বৃত্তাকার পথেও হতে পারে। কিন্তু কুরআন পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন না এটা বৃত্তাকার নাকি পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে পরিভ্রমণের কথা বলেছে। কিন্তু হাদিস মতে সূর্য চন্দ্র পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে পরিভ্রমণ করে আল্লাহর আরসের নিচে গিয়ে সারা রাত প্রার্থনা করে পরের দিন পুনরায় উদিত হওয়াও হতে পারে।
কিন্তু আপনি যেভাবে বলছেন সূর্য বৃত্তাকার পথে এবং নিজ অক্ষে পরিভ্রমন করে সেটা কিন্তু আপনি বিজ্ঞানের কাছ থেকে জেনেছেন বলে এটা দাবী করতে পারছেন। বিজ্ঞান এটা আবিষ্কার করার আগে কিন্তু কেউ এটা বুঝতে পারেনি। এর আগে সবাই এই আয়াতের অর্থ সূর্যের পুর্ব থেকে পশ্চিমে গমনই বুঝেছিল। যেটা হাদিস প্রমান করেছে। কারন তখন তারা জানতো না যে, সূর্য পৃথিবীর চার পাশে ঘুরে না বরং পৃথিবীই সুর্যের চার পাশে ঘুরে। আর তারা বিশ্বাস করতো (মুহাম্মদ সহ সবাই) সুর্য পূর্ব দিকে উঠে পশ্চিমে আল্লাহর আরসের নিচে ঢুবে যায়। কিন্তু আজ আপনারা সূর্যের নিজ অক্ষে পরিভ্রমণের এবং গ্যালাক্সীর কেন্দ্রকে পরিভ্রমন করার সাথে কুরআনে বর্ণিত চন্দ্র সূর্যের নিজস্ব অক্ষে পরিভ্রমন করার তুলনা করতে পারছেন; কারন বিজ্ঞান এটা প্রমান করেছে বলে আপনি এই তথ্যটি জেনে গেছেন। কিন্তু কুরান পড়ে কিছুতেই বুঝা সম্ভব নয় (কোনদিন বুঝা সম্ভব ছিলও না) সূর্য চন্দ্রের নিজ নিজ অক্ষে পরিভ্রমন পৃথিবীর চার পাশে নয়। বরং কুরআনের আয়াতগুলো পড়ে এটা স্পষ্ট ভাবেই বুঝা যায় (মুহাম্মদের আগে থেকে বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত) যে সূর্য চন্দ্র পৃথিবীর চার পাশে পরিভ্রমন করে কথাই কুরআনে বলা হয়েছে। এবং সূর্যের এই পরিভ্রমন পুর্ব থেকে পশ্চিমে আল্লার আরসের নিচে পর্যন্ত। এবং এই পরিভ্রমন ঘটে নির্দিষ্টকাল বা নির্দিষ্ট করে দেয়া সময় পর্যন্ত। এই নির্দিষ্ট করে দেয়া সময় পরে এগুলো পরিভ্রমন করে না বলেই এখানে নির্দিষ্টকাল পরিভ্রমনের কথা বার বার বলা হয়েছে। যেটা আবু যার-এর হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়।

 চলবে....


23 comments:

  1. Brother I have all of your answer which u are asking for...tell me how to contact u or make a conversation about this conflict.
    meghrahman8@gmail.com.
    Please let me know how to .

    ReplyDelete
  2. Bro I got what uhv never got..,the simple things u made complicated...
    ৩৬:৪০ আয়াতে স্পষ্ট বলা আছে যে প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষে বিচরন করে অথচ আপনার মনে হচ্ছে যে এখানে বলা হয়েছে যেন এরা একই কক্ষপথে চলে তবু একটা আরেকটাকে ধরতে পারেনা যা স্পষ্ট ভুল ধারনা। আর নাগাল পাওয়ার বিষয়ে যে যুক্তি আপনি দিচ্ছেন তাও আপনার ভুল ব্যখ্যা। যেখানে বলা হয়েছে সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া শুধুমাত্র তাদের একটি অলংঘনীয় নিয়মের মধ্য দিয়ে পরিভ্রমণের বিষয়টি ই রূপকার্থে বোঝানো হয়েছে অথচ নাগাল পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আপনি বলছেন যে কোরআন যদি সর্বজ্ঞাণী কোন সৃষ্টিকর্তা হতে আসত তাহলে নাগালের কথাটিই আসতনা।অথচ এই আয়াতটিই সৃস্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমান। যদি আপনি ১৫০০বছর আগের বিজ্ঞানের ইতিহাস জানেন তবে দেখবেন তৎকালীণ মানুষের সর্বোচচ জ্ঞাণ পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র এবং স্থির আর আকাশ তার চারপাশে প্রতিদিন একবার করে ঘুরে আসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, সূর্য আর চন্দ্রের কক্ষপথের ধারনা অনেক দূরের বিষয়। আর দিন আর রাতের অতিক্রম এবং আলাদা কক্ষপথ বলতে পৃথিবীর ঘূর্ণন এবং তারই কক্ষপথের কথা বলা হয়েছে। রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা বলতে পৃথিবী যে তার ঘূর্ণন হঠাৎ করে থামিয়ে দিয়ে প্রকৃতির অলঙঘনীয় আইন ভঙ্গ করবেনা বা পারবেনা তাই বোঝানো হয়েছে এবং দিন আর রাত যেহেতু পৃথিবীতেই সংগঠিত হচ্ছে তাই বলা হয়েছে যে প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরন করে। এবং স্পষ্টতই এখানে দিন আর রাতের আলাদা কোন কক্ষপথের কথা বলা হয়নাই। এটা শুধুমাত্র জ্ঞানের গভীরতার অভাব। আপনি যদি আর একটু গভীরে যেতে পারেন তবে আপনি আয়াতগুলোর সত্য অর্থ উপলব্ধি করতে পারবেন আশা করি। এছাড়াও বিজ্ঞানের সকল ইতিহাস ঘেটে আপনি যদি দেখাতে পারেন যে ১৫০০ বছর আগে মানব জাতির জোর্ত্যিজ্ঞাণ চন্দ্র , পৃথিবী এমনকি সূর্যের কক্ষপথ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তাহলে হয়তোবা আপনার ধারনার প্রেক্ষিতে আপনি এত confidently যুক্তি দিতে পারতেন। ভাই, 6 লেখাটি দুইজন দুইপাশ থেকে দেখে একজন 9 বলবে এটাই স্বাভাবিক কিন্ত এটা যদি 6 ই হয় তবে আপনাকে অথবা আমাকে ঘুরে এসেই সত্যটা দেখতে হবে কারন সত্য একটাই ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. /////৩৬:৪০ আয়াতে স্পষ্ট বলা আছে যে প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষে বিচরন করে অথচ আপনার মনে হচ্ছে যে এখানে বলা হয়েছে যেন এরা একই কক্ষপথে চলে তবু একটা আরেকটাকে ধরতে পারেনা যা স্পষ্ট ভুল ধারনা।/////
      হ্যা আমি দেখতে পাচ্ছি। এবং এই আয়াতে বলা প্রত্যেকে নিজেদের কক্ষপথে চলে কথাটি নিয়ে আমার প্রতিবাদ আগেই বলে দিয়েছি। সূর্য চন্দ্র নিজেদের কক্ষপথে চলে কথাটি সত্য হলেও রাত ও দিন নিজেদের কক্ষপথে ঘুরে না; যেটা ৩৬;৪০ আয়াতে বলা হয়েছে খুবই স্পষ্টে করে। এখানে কোন ফাকির জায়গা নেই। প্রথমতো রাত দিন চলে না এবং দ্বিতীয়তো সূর্যের কক্ষপথের সাথে চাঁদের কক্ষপথের কোন তুলনাই চলে না। শুধু পৃথিবীতে দাড়িয়ে থাকা প্রাচীণ আসরের মানুষের কাছেই মনে হতে পারে যে সূর্য ও চন্দ্রের গতিপথ একই রকম। আসলে পৃথিবী থেকে সূর্য ও চাঁদের গতিপথকে একই রকম দেখা যায়। কিন্তু এটা আসলে মানুষের দেখা একটি দৃষ্টি বিভ্রাট। পৃথিবীর মানুষ যদি দেখে সূর্য ও চন্দ্র একই রকমভাবে একই দিকে চলছে কিন্তু কোনটিই কোনটিকে ধরে ফেলছে না এমনটি একটি আরেকটিকে অতিক্রমও করছে না; আর তাই দেখে যদি প্রাচীণ আরবের কোন মানুষ ধরে নেয় যেসূর্য ও চন্দ্র একটি আরেকটিকে ধরে ফেলছে না কারণ এরা আলাদা আলাদা পথে চলে। আর সেটাই যদি সে কোন বইয়ে লিখে দেয় তবে তার বলা কথাটি কুরআনের এই আয়াতের মতই হবে। এখানে একটি অনুবাদের কারসাজি আছে। মুহাম্মদের সময়ে মুহাম্মদ সূর্য ও চন্দ্রের কক্ষপথের কথা বলেনি। কক্ষপথ শব্দটিই সে জানতো কিনা সেটা সন্দেহ। মুহাম্মদ বলেছে সূর্য ও চন্দ্রের চলার পথের কথা। কিন্তু কুরআন অনুবাদকরা অনুবাদ করার সময় পথকে কক্ষপথ করে দিয়েছে। কারণ ততদিনে অনুবাদকরা খুব ভালো করেই জানতো যে আধুনিক বিজ্ঞান সূর্য ও চন্দ্রের চলার পথকে কক্ষপথ বলে। এই অনুবাদটা প্রথমে দেখে মনে হতে পারে এখানে সত্যিই বুঝি বিজ্ঞানের বলা সূর্য ও চন্দ্রের কক্ষপথের কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু আসলে এখানে সূর্য ও চন্দ্রের গতিপথের কথা বলা হয়েছে। (আর আমরা পৃথিবীতে বসেও দেখতে পাই যে সূর্য ও চন্দ্র একই রকম পথে চলে।) এই কথাটা প্রমাণ হয় যখন দেখা যায় সূর্য ও চন্দ্রের কক্ষপথের মতো রাত ও দিনেরও কক্ষপথের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব পৃথিবীতে রাত দিনের কক্ষপথ থাকা অসম্ভব।

      ///পরিভ্রমণের বিষয়টি ই রূপকার্থে বোঝানো হয়েছে ////
      আপনি কিভাবে জানলেন এটা রুপকার্থে বলা হয়েছে? এটি একটি সোজাসাপ্টা কথা। এই আয়াতে কোন রুপকতা নেই। "আপনি কারো আগে যেতে পারেন না তাকে ধরতেও পারেন না। আপনি, সে ও তারা আদালা আলাদা পথে চলেন। আর আপনি নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলেন।" এই কথাগুলোর মধ্যে কোনই রুপকথা নেই। সহজ কিছু বর্ননা দিয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা তিলকে তাল করছে শুধু তাদের অন্ধবিশ্বাসের কারণে।
      আমি ভুল ব্যাখ্যা কোথায় দিলাম। আমি শুধু বলেছি, চাঁদ সূর্যের নাগালের মধ্যেই আছে। এবং এটি একটি সত্য কথা।

      Delete
    2. ////আপনি বলছেন যে কোরআন যদি সর্বজ্ঞাণী কোন সৃষ্টিকর্তা হতে আসত তাহলে নাগালের কথাটিই আসতনা।অথচ এই আয়াতটিই সৃস্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমান। ////
      হ্যাঁ আমি ঠিক কথাই বলেছি। যদি কুরআন আল্লাহর বাণী হতো তবে সে এমন অযৌক্তিক কথা বলতো না! যদি আপনি দৌড় প্রতিযোগিতা করেন অনেক দৌড় বিদের সাথে তবে আপনারা আলাদা আলাদা পথে থেকে দৌড়াবেন। এবং তখনই একজন আরেকজনকে ধরে ফেলা ও অতিক্রম করে যাবার প্রশ্ন আসে। এখন আমি যদি বলি, ক-দৌড়বিদ খ-দৌড়বিদকে ধরতে পারে না এবং অতিক্রম করতে পারে না তাহলে কি বুঝাবে? মনে হবে না যে এরা দুজন একি পথে আছে? যদি আপনি যান ইন্ডিয়া আর একজন যায় মায়ানমার (অর্থাৎ যাত্রাপথ আলাদা আলাদা) তবে কিন্তু একজন আরেকজনকে ধরে ফেরা বা অতিক্রম করার কথা আসবে না। ঠিক একই ভাবে কুরআন লেখক দেখেছে সূর্য আর চাঁদ একই ভাবে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিত দিকে চলে আর সে ভেবেছে এরা একই রকম পথে পরিভ্রমন করে কিন্তু একটি আরেকটিকে ধরতে পারে না ও অতিক্রম করে যেতে পারে না। যা কুরআনে লিখে দিয়েছে। সুতরাং এই আয়াতটি সৃষ্টিকর্তার প্রমাণতো নয়ই বরং প্রমাণ করে কুরআন মুহাম্মদের মতো কোন অজ্ঞ মানুষ লিখেছে।


      /////তৎকালীণ মানুষের সর্বোচচ জ্ঞাণ পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র এবং স্থির আর আকাশ তার চারপাশে প্রতিদিন একবার করে ঘুরে আসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, সূর্য আর চন্দ্রের কক্ষপথের ধারনা অনেক দূরের বিষয়। /////
      আকাশ তার চারপাশে ঘুরে এটি মুহম্মদ ছাড়া অন্য কেউ বলেনি। বরং মুহাম্মদই কুরআনে আকাশের চক্রাকারে পরিভ্রমনের কথা বলেছে। সে ভেবেছিল যে আকাশ বুঝি চক্রাকারে ঘুরতে পারে। (এটি ভিন্ন বিষয়। এটি নিয়ে পড়ে একটি পোস্ট লেখার ইচ্ছা আছে আমার।)
      সূর্য চন্দ্রের কক্ষপথের ধারণাটি অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল গ্রীক দার্শনিকদের মধ্যে। তবে টলেমী তার জিওসেন্ট্রিক মডেলে পূর্ণাঙ্গভাবে বর্ননা করেছে মুহাম্মদের জন্মের চারশো বছর আগেই। তারপর থেকে চাঁদ সূর্যের আলাদা আলাদা কক্ষপথ আছে এই ধারণাটি মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়।
      সুতরাং ভালোভাবে জেনে যদি মন্তব্য করতেন তবে আমার আর সময় নষ্ট করতে হবে না। প্লিজ!

      ///দিন আর রাতের অতিক্রম এবং আলাদা কক্ষপথ বলতে পৃথিবীর ঘূর্ণন এবং তারই কক্ষপথের কথা বলা হয়েছে। ///
      রাত দিনকে অতিক্রম করে এবং রাত ধিরে ধীরে দিনে পরিণত হয় মানেই পৃথিবী গোলাকার এবং পৃথিবী গতিশীল বলা হয়েছে- এসব জুকার নায়েকের কু-যুক্তি। আপনি দৌড়ান মানেই যে আপনার বাড়ি দৌড়ায় এর কোনই মানে নেই। এগুলো ফালতু কথা। আসলে জাকির নায়েকের এসব ফাল্তু কুযুক্তিগুলো এদেশের পোলা পানের মাথায় এমন ভাবে ঢুকে দেছে যে এরা এই সব কুযুক্তি অপযু্ক্তির বেড়া জাল থেকে কিছুতেই বেড়িয়ে আসতে পারছে না।

      প্রকৃতপক্সে মুহাম্মদ জানতো না রাত দিন কেন ও কিভাবে বদলে যায়। তাইসে ভেবেছে সূর্য চন্দ্রের মতো রাত দিনও বুঝি গতিশীল থাকে। তাই সে রাত দিনের গতিকে সূর্যের মতই মনে করে কুরআনে লিখে দিয়েছে। এর বেশী কিছু নয়। এখন কিছু ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ী এসব ফালতু কথা দিয়ে কুরআনকে মহাবিজ্ঞানময় গ্রন্থ বানাতে যা নয় তাই করছে।

      ///////রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা বলতে পৃথিবী যে তার ঘূর্ণন হঠাৎ করে থামিয়ে দিয়ে প্রকৃতির অলঙঘনীয় আইন ভঙ্গ করবেনা বা পারবেনা তাই বোঝানো হয়েছে এবং দিন আর রাত যেহেতু পৃথিবীতেই সংগঠিত হচ্ছে তাই বলা হয়েছে যে প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরন করে।/////
      একটা পরামর্শ দেই, এই কথা আমাকে বলেছেন তো বলেছেন, আর কাউকে বলবেন না; তাহলে সে আপনা সুস্থ ভাববে কিনা বলতে পারছি না। সহজ কথাকে কঠিন করে আলুকে বেগুন করা যায় না এই কথাটিই নব্য মুসলমানরা বুঝতে পারে না।

      /////১৫০০ বছর আগে মানব জাতির জোর্ত্যিজ্ঞাণ চন্দ্র , পৃথিবী এমনকি সূর্যের কক্ষপথ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তাহলে হয়তোবা আপনার ধারনার প্রেক্ষিতে আপনি এত confidently যুক্তি দিতে পারতেন।/////
      এর উত্তর আগেই দিয়ে দিয়েছি, তাই আর কিছু বললাম না।

      একদিনে এতোগুলোর উত্তর দিতে পারবো না। এতো সময় করে উঠতে পারি না। আরেক দিন দিবো আপনার বাকী উত্তর গুলো।
      ভালো থাকবেন। আর সবকিছু নিয়ে চিন্তা করতে থাকবেন। চিন্তার গতি থামাবেন না। অনেক কিছু বুঝার আছে ভাই। কেবলতো শুরু!!!

      Delete
    3. ///হ্যাঁ আমি ঠিক কথাই বলেছি। যদি কুরআন আল্লাহর বাণী হতো তবে সে এমন অযৌক্তিক কথা বলতো না! যদি আপনি দৌড় প্রতিযোগিতা করেন অনেক দৌড় বিদের সাথে তবে আপনারা আলাদা আলাদা পথে থেকে দৌড়াবেন। এবং তখনই একজন আরেকজনকে ধরে ফেলা ও অতিক্রম করে যাবার প্রশ্ন আসে। এখন আমি যদি বলি, ক-দৌড়বিদ খ-দৌড়বিদকে ধরতে পারে না এবং অতিক্রম করতে পারে না তাহলে কি বুঝাবে? মনে হবে না যে এরা দুজন একি পথে আছে? যদি আপনি যান ইন্ডিয়া আর একজন যায় মায়ানমার (অর্থাৎ যাত্রাপথ আলাদা আলাদা) তবে কিন্তু একজন আরেকজনকে ধরে ফেরা বা অতিক্রম করার কথা আসবে না। ঠিক একই ভাবে কুরআন লেখক দেখেছে সূর্য আর চাঁদ একই ভাবে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিত দিকে চলে আর সে ভেবেছে এরা একই রকম পথে পরিভ্রমন করে কিন্তু একটি আরেকটিকে ধরতে পারে না ও অতিক্রম করে যেতে পারে না। যা কুরআনে লিখে দিয়েছে। সুতরাং এই আয়াতটি সৃষ্টিকর্তার প্রমাণতো নয়ই বরং প্রমাণ করে কুরআন মুহাম্মদের মতো কোন অজ্ঞ মানুষ লিখেছে।///
      ভাই প্রথমত আপনাকে তর্ক করার মত জ্ঞানী বলে মনে হচ্ছে না। কারন আপনি বলছেন যে সূর্য আর চন্দ্রের কক্ষপথটি এমন যেন একটি যায় ইনডিয়ার দিকে আর একটি যায় মিয়ানমার এর দিকে, তাই একজন আরেকজনকে ধরে ফেরা বা অতিক্রম করার কথা আসবে না,কি অদ্ভুত অজ্ঞতার মাঝে আবদ্ধ আপনার জ্ঞান যদি আপনি জানতেন। For your kind information সূর্য আর চন্দ্রের কেন্দ্রভিত্তিক কক্ষগতি আলাদা বাট তাদের চলার পথ নিঃসন্দেহে একি দিকে আর তা নাহলে সূর্য পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেত যদি তা আপনার ক্ষুদ্র জ্ঞানের মত দুইজন দুই দিকে চলতে থাকত।
      সূর্য গালাক্সির চারপাশে পরিভ্রমন এর সময় কি চাঁদ আর পৃথিবী তথা সমগ্র সৌরজগতকে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছেনা?
      অথবা আপনি ত একজন মহাজ্ঞানী মানুষ, তাহলে আমকে বলেন যে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরার সময় যখন সূর্যের গতিপথের সামনে অবস্থান করে তখন কি তা চাঁদের নাগাল পাওয়ার বিষয়টি আসেনা?
      নাকি তখনো সূর্য মায়ানমার আর চাঁদ ইন্দিয়ার দিকে দৌড়ায়?
      আপনিকি সূর্যের গতির পরিমান জানেন?



      Delete
    4. দ্বিতীয়ত আমি যতটুকু যে মানুষ অনেক জ্ঞান আহরন করে একটা
      নির্দিষ্ট সীমায় পৌছায়, তখন সে নিজকে সয়ংসম্পন্ন মনে করে তার হয়তো আর জানার কিছুই বাকী নেই, আর এই আত্মবিশ্বাস তার স্রষ্টার অস্তিত্ত অস্বীকার করতে প্রেরনা জোগায়,যুক্তি আর প্রমান এর ভিত্তিতে সে গড়েতোলে এক গণ্ডি এবং নিজেকে নাস্তিক বলে পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করে।
      আফসোস এর বিষয় এই যে যদি আপনারা একবার নিজের অস্তিতের কথা ভাবতেন তবে হয়ত কিছুটা হলেও বুঝতেন যে আপনারা কতটা নির্বোধ।
      "আমি মাত্র এক বিন্দু শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছি, আর এখন সে মনে করে স্রস্টা সম্পর্কে বিতর্ক করার শক্তি তার রয়েছে। ভ্রুন থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি ভুলে যেয়ে সে আমার ক্ষমতা সম্পর্কে অদ্ভুত সব কথা বলে।" (৩৬ঃ৭৭)
      একটু ভাবেন বিষয়টা নিয়ে বাকিটা পরে বলছি।

      Delete
    5. //////ভাই প্রথমত আপনাকে তর্ক করার মত জ্ঞানী বলে মনে হচ্ছে না। কারন আপনি বলছেন যে সূর্য আর চন্দ্রের কক্ষপথটি এমন যেন একটি যায় ইনডিয়ার দিকে আর একটি যায় মিয়ানমার এর দিকে, তাই একজন আরেকজনকে ধরে ফেরা বা অতিক্রম করার কথা আসবে না,কি অদ্ভুত অজ্ঞতার মাঝে আবদ্ধ আপনার জ্ঞান যদি আপনি জানতেন।//////
      আপনি কিন্তু বারবার আমাকে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করেই গেছেন কিন্তু আমি কিছু বলিনি। আসলে অন্ধবিশ্বাসীরা সব সময়ই ব্যক্তিগত আকমণ করে থাকে। এসব আমরা অনেক আগে থেকেই জানি। আমি আগেই বলেছি কারো একটি বা দুটো পোস্ট পড়ে কখনও তার জ্ঞানের পরিধি নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে হয় না। এগুলো করে কিছু বোঁকা মানুষ। আসলে হঠাৎ দেখে কারো জ্ঞানের গভিরতা বুঝা সম্ভব নয়।
      আপনি আপনার সাথে খুবই ভদ্র ভাবে এবং বাচ্চাদেরকে বুঝানোর মতো বুঝানোর চেষ্টা করছি। এজন্য একটি পয়েন্ট বুঝানোর জন্য আপনি আমি একটি উদাহরণ টেনে এনেছিলাম। কিন্তু আপনি সেই সহজ উদাহরণটিই বুঝতে পারেননি। কিন্তু নাবুঝেই আক্রমনাত্বক মন্তব্য করে বসেছেন। আসলে মুসলমানদের এই ঈমানী জোশ্ সবার মধ্যেই কাজ করে। আর বুঝুক আর না বুঝুক ঈমানী জোশে মন্তব্য করতে চলে আসে।

      আমি বুঝিয়েছি যদি দুটো জিনিস ভিন্ন পথে বা ভিন্ন দিকে গতিশীল থাকে তবে একটি আরেকটিকে ধরে ফেলা বা অতিক্রম করে যায়ও সম্ভব নয়। কিন্তু যদি তারা একই দিকে এবং একই রকম পথে গতিশীল থাকে তবেই শুধু একটি আরেকটিকে ধরে ফেলার প্রশ্ন আসবে। এটি একটি উদাহরণ ছিল যা আপনি বুঝতে পারেননি।
      আমি বলেছি যদি কুরআনের লেখক মুহাম্মদ জানতো যে সূর্যের গতিপথ এবং চাঁদের গতিপথ সম্পূর্ণই আলাদা তবে সে কুরআনে এমন অজ্ঞতাপূর্ণ আয়াত লিখে দিতো না। চাঁদের গতিপথ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে। অপরদিকে সূর্যের গতিপথ গ্যালাক্সির চার দিকে। যদিও পৃথিবী ও চাঁদ সূর্যের সাথে সাথে গ্যালাক্সির চারপাশে ভ্রমণ করছে কিন্তু এই ভ্রমণ চাঁদ নিজে করছে না। বরং সূর্য পৃথিবী ও চাঁদকে মহাকর্ষ বলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে (অর্থাৎ চাঁদ যাচ্ছে না, তাকে অন্য কেউ টেনে নিয়ে যাচ্ছে; যেখানে চাঁদ নিজে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে তার নিজের শক্তিতে)। তাই চাদের গতিপথ এবং সূর্যের গতিপথ সম্পূর্ণই ভিন্ন। আর তাই তাদের একটি আরেকটিকে ধরে ফেলা বা অতিক্রম করার কথা উল্লেখ করাটাই অজ্ঞতা। যেহেতু মুহাম্মদ পৃথিবীর বুকে দাড়িয়ে দেখতো সূর্য চাঁদ একি দিকে ভ্রমণ করছে কিন্তু তার পরেও একটি আরেকটিকে ধরতে পারছে না তাই সে ধরেই নিয়েছে চাঁদ ও সূর্য যদিও একই দিকে ভ্রমণ করে তবুও এদের আলাদা আলাদা পথ আছে। আর তার সেই ভ্রান্ত ধারণাই কুরআনে লিখে দিয়েছে।
      কিন্তু নব্য মুসলমানরা এই আয়াত গুলোকে একটু বদলে দিয়ে, ভিন্ন ব্যাখ্যা এনে এমন ভাবে অর্থ করছে যেন তা বিজ্ঞানের আধুনিক আবিষ্কার চাঁদ ও সূর্যের ভিন্ন কক্ষপথের সাথে মিলে যায়। আর কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো যায়।
      কিন্তু সেটা সত্যি হয়ে যায় না।

      Delete
    6. ////For your kind information সূর্য আর চন্দ্রের কেন্দ্রভিত্তিক কক্ষগতি আলাদা বাট তাদের চলার পথ নিঃসন্দেহে একি দিকে আর তা নাহলে সূর্য পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেত যদি তা আপনার ক্ষুদ্র জ্ঞানের মত দুইজন দুই দিকে চলতে থাকত।//////
      সূর্যের গতিপথ এবং পৃথিবী ও চাঁদের গতিপথ সম্পূর্ণই আলাদা আলাদা। এই তুচ্ছ বিষয়টিই যদি না বুঝতে পারেন তবে আমার কি বলার আছে। সূর্যের গতিপত মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চারপাশে। আবার পৃথিবীর গতিপথ সূর্যের চারপাশে। পক্ষান্তরে চাঁদের গতিপথ পৃথিবীর চারপাশে। অর্থাৎ এদের প্রত্যেকের গতিপথ আলাদা আলাদা। তাই এদের একটির আরেকটিকে ধরে ফেলা বা অতিক্রম করার প্রশ্নই আসবে না। যা আমি আগে উদাহরণ দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আপনি বুজতে পারেননি।
      যদিও পৃথিবী ও চাঁদ সূর্যের সাথে সাথে গ্যালাক্সির চারপাশে ঘুরছে তবে এই চলাটি পৃথিবী আর চাঁদ নিজেরা করছে না। তাদেরকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে সূর্য। এখানে সূর্যের মহাকর্ষ বল দায়ী। কিন্তু সূর্য যেমন তার মহাকর্ষ বল এবং গতিশক্তির কারণে গ্যালাক্সির কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে ঠিক একইভাবে পৃথিবীর গতিশক্তি এবং তার ও সূর্যের মহাকর্ষ বলের কারণে সূর্যের চারপাশে ঘুরছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে পৃথিবী নিজে ঘুরছে। আবার চাঁদ তার নিজের গতিশক্তি এবং তার ও পৃথিবীর মহাকর্ষ শক্তির কারণে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে চাঁদ নিজে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। কিন্তু যখন সূর্য তার মহাকর্ষ বলের দ্বারা পৃথিবী ও চাঁদকে টেনে নিয়ে যায় তখন পৃথিবী ও চাঁদের কিছু করার থাকে না। আর তাই চাঁদ ও পৃথিবী সূর্যের সাথে সাথে চলে বলেই তাদের ও সূর্যের গতিপথ একই এমন ধারণা করা বোঁকামী। আসলে বিজ্ঞান সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান না থাকলে এবং জাকির নায়েকের মতো বিজ্ঞান না জানা মানুষদের কাছ থেকে বিজ্ঞান শিখলে মানুষ আপনার মতই বিভ্রান্ত হতে বাধ্য।

      Delete
    7. ////সূর্য গালাক্সির চারপাশে পরিভ্রমন এর সময় কি চাঁদ আর পৃথিবী তথা সমগ্র সৌরজগতকে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছেনা?////
      আপনার এইপ্রশ্নের উত্তর আমি আগেই দিয়েছি। হ্যাঁ সূর্য তার সাথে সমগ্র সৌরজগতকেই সাথে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে একক ভাবে পৃথিবী বা চাঁদের গতিপথও গ্যালাক্সির চারপাশে। বরং পৃথিবী গতিপথ সূর্যের চারপাশে আর চাঁদের গতিপথ পৃথিবীর চারপাশে। প্রক্ষান্তরে সূর্যের গতিপথ গ্যালাক্সির চারপাশে। সূর্য নিজে (তার আওতার মধ্যের গ্রহ উপগ্রহকে নিয়ে) গ্যালাক্সির চারপাশে ঘুরছে। কিন্তু পৃথিবী বা চাঁদ নিজে বা নিজের শক্তিতে গ্যালাক্সির চারপাশে ঘুরছে না। অর্থাৎ পৃথিবী ও চাঁদের গতিপথ এক দিকে নয়। প্রত্যেকের গতিপথ আলাদা যেটা দিয়ে আপনি নিজেই দাবী করেছিলেন যে, যেহেতু কুরআন সূর্য ও চন্দ্রের ভিন্ন ভিন্ন কক্ষপথের কথা বলেছে তাই কুরআন সত্য। আবার আপনিই এখন দাবীকরছেন যে সবগুলোরই গতিপথ একই। পরস্পর বিরোধী কথা বলে ফেলেছেন যা আপনি নিজেই বুঝতে পারেন নি। কারণ আপনদেরকে জাকির নায়েকের মতো লোকগুলো ভূল বিজ্ঞান শিখিয়ে এবং যুক্তির নামে কুযুক্তি ও অপযুক্তি শিখিয়েছে। এজন্যই সব কিছুকেই ভ্রান্ত ভাবে বুঝেন।

      /////অথবা আপনি ত একজন মহাজ্ঞানী মানুষ, তাহলে আমকে বলেন যে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরার সময় যখন সূর্যের গতিপথের সামনে অবস্থান করে তখন কি তা চাঁদের নাগাল পাওয়ার বিষয়টি আসেনা?/////
      এই কথাটির মানে কি আমি বুজতে পারছি না। এটা দিয়ে কি বুঝিয়েছেন সেটাও ধরতে পারছি না। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে, যখন পৃথিবী চাঁদকে নিয়ে সূর্যের সামনের অংশে অবস্থান করে তখন সূর্য চাঁদকে ধরে ফেলে বা চাঁদ সূর্যকে ধরে ফেলে!
      প্রথমত পৃথিবী সূর্যের চলাম পথের সামনে আসে না। এটি সূর্যের চারপাশে ঘুরে তবে চলাম পথের দিকে নয়।
      সব কিছুকেই গুলিয়ে মিশিয়ে খিচুরি বানিয়ে ফেলছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না। প্রথমত, সূর্যের চলার পথ আর পৃথিবী ও চাঁদের চলার পথ কখনই এক নয়। দ্বিতীয়ত, পৃথিবী যেমন সূর্যের চারপাশে ঘুরে নিজের শক্তিতে অর্থাৎ পৃথিবীর চলার পথ সুর্যের চারপাশে (গ্যালাক্সির চারপাশে নয়) ঠিক তেমনি চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে নিজের শক্তিতে ঘুরে অর্থাৎ চাঁদের গতিপথ পৃথিবীর চারপাশে (গ্যালাক্সির চারপাশে নয়)। কিন্তু সূর্য গ্যালাক্সিকে কেন্দ্র করে নিজে ঘুরছে। তবে সূর্যের মহাকর্ষ বল অত্যাধিক হওয়ায় এটি তার সাথে সাথে পৃথিবী ও চাঁদ সহ অন্যান্য গ্রহদেরকে নিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ করুন পৃথিবী বা চাঁদ যাচ্ছে না কিন্তু সূর্য এদেরকে নিয়ে যাচ্ছে নিজের পথের সাথে। অর্থাৎ সূর্যের গতিপথ আর চাঁদের গতিপথ সম্পূর্ণই আলাদা আলাদা। তাই এদের একটি আরেকটিকে ধরে ফেলার প্রশ্নই আসে না।
      তবে পৃথিবী থেকে দেখলে মনে হতে বাধ্য যে চাঁদ আর সূর্যের গতিপথ একই। কারণ পৃথিবী থেকে বুঝা সম্ভব নয় যে চাঁদ আর সূর্যের গতিপথ এক নয় বরং আলাদা। যা মুহাম্মদ জানতো নাবলে সে পৃথীবী থেকে যেমনটা দেখেছে তেমনটাই কুরআনে লিখে দিয়েছে।
      আর নব্য মুসলমানরা সেই কথাগুলো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বিজ্ঞানময় দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

      Delete
    8. আশা করি বুঝতে পেরেছেন। বিভ্রান্তি থেকে বের হবার চেষ্টা করছেন।

      Delete
    9. প্রথমত পৃথিবী সূর্যের চলাম পথের সামনে আসে না। এটি সূর্যের চারপাশে ঘুরে তবে চলাম পথের দিকে নয়।
      সব কিছুকেই গুলিয়ে মিশিয়ে খিচুরি বানিয়ে ফেলছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না। প্রথমত, সূর্যের চলার পথ আর পৃথিবী ও চাঁদের চলার পথ কখনই এক নয়। দ্বিতীয়ত, পৃথিবী যেমন সূর্যের চারপাশে ঘুরে নিজের শক্তিতে অর্থাৎ পৃথিবীর চলার পথ সুর্যের চারপাশে (গ্যালাক্সির চারপাশে নয়) ঠিক তেমনি চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে নিজের শক্তিতে ঘুরে অর্থাৎ চাঁদের গতিপথ পৃথিবীর চারপাশে (গ্যালাক্সির চারপাশে নয়)। কিন্তু সূর্য গ্যালাক্সিকে কেন্দ্র করে নিজে ঘুরছে। তবে সূর্যের মহাকর্ষ বল অত্যাধিক হওয়ায় এটি তার সাথে সাথে পৃথিবী ও চাঁদ সহ অন্যান্য গ্রহদেরকে নিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ করুন পৃথিবী বা চাঁদ যাচ্ছে না কিন্তু সূর্য এদেরকে নিয়ে যাচ্ছে নিজের পথের সাথে। অর্থাৎ সূর্যের গতিপথ আর চাঁদের গতিপথ সম্পূর্ণই আলাদা আলাদা। তাই এদের একটি আরেকটিকে ধরে ফেলার প্রশ্নই আসে না।
      তবে পৃথিবী থেকে দেখলে মনে হতে বাধ্য যে চাঁদ আর সূর্যের গতিপথ একই। কারণ পৃথিবী থেকে বুঝা সম্ভব নয় যে চাঁদ আর সূর্যের গতিপথ এক নয় বরং আলাদা। যা মুহাম্মদ জানতো নাবলে সে পৃথীবী থেকে যেমনটা দেখেছে তেমনটাই কুরআনে লিখে দিয়েছে।
      আর নব্য মুসলমানরা সেই কথাগুলো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বিজ্ঞানময় দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।///
      ভাই আমি বুঝলামনা যে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরার সময় সূর্যের চলারপথের সামনে আসেনা মানে কি? একটা চলন্ত বস্তুকে ঘিরে আপনি ঘুরছেন অথচ বলছেন যে আপনি তার সামনে আসেন্না। তবে কি সে যেদিকে যায় সে দিকে আপনার পথ রচিত নয়? আপনি পেছন থেকেই তাকে ফলো করছেন?তাহলে কি আপনার মনে হচ্চেনা যে আপনি ই গুলিয়ে ফেলছেন?আর তাছাড়া কুরআন এর প্রতিটি আয়াতেই স্পষ্ট বলা আছে যে চাঁদ আর সূর্য আলাদা কক্ষপথে চলে, যা আপনি ও বার বার ই বলছেন।এছারাও সূর্য প্রতি সেকেন্ডে যায় ২৫০কিমি, আর পৃথিবী যায় ৩০কিমি/স। খুব সহজেই তা আমদের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। যেহেতু সূর্যের প্রবল মহাকর্ষের কারনে তা হারিয়ে যাচ্ছেনা তাই সহজেই বোঝা যায় যে তা পৃথিবী সাথে করে নিয়ে জাচ্ছে।কিন্তু তারপরও প্রশ্ন আসেই যে কেন এত speed থাকা সত্তেও পৃথিবীর সাথে কেন সূর্যের সংঘর্ষ হচ্ছেনা? আর "প্রথমত পৃথিবী সূর্যের চলাম পথের সামনে আসে না। এটি সূর্যের চারপাশে ঘুরে তবে চলাম পথের দিকে নয়।" আপনার এই ধারনাটি খুবই ভুল। সংঘর্ষ না ঘটার কারন পৃথিবীর side momentum এবং enough speed to avoid the crash.
      বিশ্বাস না হলে u can ask to google, that why earth doesn't crash with the Sun?& u gonna get the answer.
      এছাড়াও চন্দ্রগ্রহন বা সূর্যগ্রহণ সম্বন্ধে একটু স্টাডি করলেও বুঝবেন যে পৃথিবী সর্বদাই সূর্যের চারপাশে ঘোরার সময় অবশ্যই সূর্যের চলার পথের সামনে আসে। আজ থেকে ১৫০০ বছর আগে অবশ্যই অবশ্যই মানুসের পক্ষে এত গভির আর জটিল বিষয় জানা কিছুতেই সম্ভব ছিলনা। আর তা ছারাও মুহাম্মদ (সা) ছিলেন নিরক্ষর, সূর্য আর চাঁদের পরিভ্রমন বিষয়ক বৈজ্ঞানিক কোন আয়াত স্পষ্টতই উনার জানার কথা ছিলনা।এছারাও আপনি বার বার বলছেন যে পৃথিবী থেকে চাঁদ আর সূর্যের গতিপথ একি দেখা যায়, যা আদৌ সত্য নয়। কারন চাঁদ ১৫দিন পর পর ই তার দশা পরিবরতন করে যা শত শত বছর যাবত ই মানুষ দেখছে। সূর্য আর চাঁদের গতিপথ একি রকম দেখায় তাই কুরআন বলেছে যে তারা একজন আর একজনকে ধরতে পারেনা বিষয়টি মোটেও তা নয় ভাই। কারন যে আয়াতটির উদ্ধৃতি আপনি দিছেন তাতেই স্পষ্ট বলা আছে যে " সূর্য তার নির্দিষ্ট পথে ক্রমাগত পরিভ্রমন করছে, আর এ পথ মহাপরাক্রমশালি সর্বজ্ঞ করতিক সুনির্দিষ্ট । আর চাঁদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কক্ষপথ যা বিভিন্ন দশা অতিক্রম করে শুকনো বাঁকানো খেজুর শাখার রূপ লাভ কড়ে।"
      (এখানে স্পষ্ট চাদের লুনার অরবিট এর কথাই বলা হয়েছে)।
      আর আপনি যে নব্য মুসলমান,নব্য মুসলমান করছেন তা কিন্তু মোটেও নয়, অন্তত ১৫০০বছর পুরনো। বিশ্বাস অবিশ্বাস আপনার বিষয়, তবে আমার মনে হয় বিজ্ঞান যে ফলাফল দিচ্ছে তার প্রতিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে কুরানে বর্ণিত আছে তা আমি আপনাকে প্রমান করে দিতে পারব। যে বিজ্ঞান পড়ে বা জেনে আপনি নাস্তিক, আমি সেই বিজ্ঞান পরেই আস্তিক হয়েছি(u believe it or not!!!)
      আপনার জ্ঞাতারথে জানিয়ে রাখছি যে আমি একজন "Astrophysics" এর স্টুডেন্ট আর আমি মোটেও জাকির নায়েক এর কাছ থেকে বিজ্ঞান শিখিনি। এমনকি উনার লেকচার ও আমি খুব কমই দেখেছি, তবে নিঃসন্দেহে তিনি যথেষ্ট জ্ঞানী মানুষ। আর আমার মনে হয় বিজ্ঞান নিয়ে যে লজিক আপনি দিচ্ছেন তা আরও strong হওয়া উচিত।আপনার দেয়া লজিক ক্লাস ৫ এর বাচ্চারাও break করতে পারবে।(Dont Mind, But its true).

      Delete
  3. আর এছাড়াও আপনি নক্ষএদের জীবন নিয়ে তেমন কিছুই জানেন বলে মনে হয়না, যদি জানতেন তবে আপনি সূর্য চন্দ্রের নির্দিষ্ট কাল বলতে কি বোঝানো হয়েছে তা কিছুটা হলেও বুঝতেন। আপনি হয়ত জানেন না যে আগামী ৫০০কোটি বছরের মধ্যে সূর্য তার সকল জালানী ফূরিয়ে মৃত্যূর মুখে ধাবিত হবে তথা তার নির্দিষ্ট কাল সমাপ্ত হবে আর তখন অবধারিত ভাবেই চন্দ্রের নিয়তি ও একই। আর নি:সন্দেহে এটিই সূর্য ও চন্দ্রের নির্দিষ্ট কাল পরিভ্রমণের আয়াতটির প্রকৃত মর্মার্থ । যা পবিএ কোরআনের প্রজ্ঞাময়তার এক অন্যতম প্রমান। কারন সূর্যের পরিভ্রমণ এবং এর আয়ুষকাল নিতান্তই বিজ্ঞানের আধুনিক আবিষ্কার । মাএ কয়েক দশক বা শতক আগেই মানুষ জানতে পেরেছে। অথচ পবিত্র কোরআন সহস্রাব্দ বছর আগেই এই একই information দিয়েছে মানুষকে। আমার মনে হয় আপনার আয়াতগুলো আরও মনোযোগ দিয়ে আরও গভীরভাবে পড়া দরকার। এছাড়াও বিজ্ঞানের reference দিয়ে কোরআন ভুল প্রমান করার আগে বিজ্ঞান আরও অনেক বেশী জানা দরকার। এছাড়াও আপনার কোরআন নিয়ে যত সন্দেহ আপনার আছে তার প্রত্যেকটির উওর আমি দিতে প্রস্তুত। if u can break my logic I will confess.
    & if u can prove that Quran is wrong by the reference of science or it is made by man I'll agree with u...& I can prove that Quran is really comes from God by the reference of science.& I gonna challenge u...whatever u hv wrote by the reference of science it was ur misconcept & it doesn't really mean that this holy books are wrong...or it was written by Muhammad (pbh) .

    ReplyDelete
    Replies
    1. /////আর এছাড়াও আপনি নক্ষএদের জীবন নিয়ে তেমন কিছুই জানেন বলে মনে হয়না/////
      মাত্র একটি পোস্টের কিছু অংশ পড়ে বা মাত্র একটি পোস্ট পড়ে কখনও কারো জ্ঞানের পরিধি নিয়ে ধারণা করা উচিত নয়। এটা করে বোঁকা মানুষেরা।

      ////আপনি হয়ত জানেন না যে আগামী ৫০০কোটি বছরের মধ্যে সূর্য তার সকল জালানী ফূরিয়ে মৃত্যূর মুখে ধাবিত হবে তথা তার নির্দিষ্ট কাল সমাপ্ত হবে আর তখন অবধারিত ভাবেই চন্দ্রের নিয়তি ও একই।/////
      কাউকে এটা বলতে হয় না যে, "আপনি হয়তো জানেন না।" এটা অভদ্রতা। বরং উত্তম পদ্ধতি হলো এটা বলা, "আপনি হয়তো জানেন" অথবা বলতে হয়, "এটা হয়তো আপনার জানা আছে!" যদি কাউকে বলেন যে, "আপনি হয়তো জানেন না" অথবা আপনি জানেন না"। তাহলে লোকটি রেগে যেতে পারে।
      আর সূর্যের জ্বালানী শেষ হবে ৫০০ কোটি বছর পরে, এই কথাটি সত্য। এবং তারপরে, এটির উপরিস্তরটি বিস্ফোরিতের মতো হবে এবং উপরের অংশ চারদিকে ছড়িয়ে যাবে। তখন বোধ ও শুক্রকে পুড়িয়ে ফেলবে। পৃথিবী ও চাঁদকেও পুড়িয়ে দেবে। কিন্তু পৃথিবী পুরোপুরি ধ্বংস হবে না। এবং সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সূর্য বিস্ফোরিত হলেও এর ভেতরের কোর বা অংশটি থেকে যাবে। এবং এটিই পরবর্তীতে সাদা বামন সূর্য হয়ে যাবে (হুয়াইট ডর্ফ্)। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে তখনও সূর্যের একটি বিশাল অংশ থেকে যাবে। আর সূর্যের ভর হবে বর্তমানের প্রায় অর্ধেক বা এর কিছু কম। অর্থাৎ তখন পৃথিবী ও চন্দ্রও টিকে যাবে। তবে পৃথিবী ও চন্দ্র তখন সূর্যের অনেক দূরে অবস্থান করবে- তখন সূর্যের ভর কম থাকবে বলে। অর্থাৎ তখনও আসলে পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্যের একটা অংশ টিকে থাকবে। তবে সেটা বর্তমানের মতো হবে না।

      Delete

    2. এখানে বলে রাখা ভালো যে বিশ্বজগতের সব সূর্যই এক এক করে তাদের জ্বালানী শেষ করবে। কিন্তু সবার পরিনতি এক হবে না। যেমন ছোট তাঁরা যেমন সূর্যের সমান তারকারা হুয়াইট ডর্ফ হবে। আবার সূর্যের চেয়ে বড় তারকাগুলো নিউটন স্টারে পরিণত হবে। আর তার চেয়েও বড় তারকাগুলো ব্ল্যাক হুলে পরিনত হবে। এটাই আপাতো তারকাদের পরিনতি।
      তবে সব কিছুরই শেষ আছে। কারণ সমস্ত কিছুই সদা পরিবর্তনশীল। কিন্তু সব কিছু পরিবর্তন হবে অন্য কিছুতে পরিণত হয়। ধ্বংস হয় না। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। একটা পরিবর্তিত হয়ে ভিন্ন কিছুতে পরিণত হয়।
      তাই বলা যায় আপনার কথাটি সত্য। কিন্তু এটা সত্য নয় যে সূর্য একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। আর পৃথিবী ও চন্দ্রও টিকে থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো চন্দ্র পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে সূর্যের আকর্ষণকে উপেক্ষা করে। ফলে যদি সূর্য বিস্ফোরিত হয়ে সাদা বামন তারকায় পরিণত হয় তবুও চন্দ্র পৃথিবীকে কেন্দ্র করেই ঘরবে। আরেকটা কথা হলো সূর্য কিন্তু পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে না। বরং এটি তারপরও গ্যালাক্সির কেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই ঘুরতে থাকবে। তবে এর ভর অর্ধেকে কমে যাওয়ার ফলে এটি গ্যালাক্সির যে অক্ষতে অবস্থান করছে সেটি পরিবর্তিত হয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে দুরে চলে যাবে। এবং সেই দুরের অবস্থান থেকে গ্যাসাক্সিকে কেন্দ্র করে পরিভ্রমন করবে। অর্থাৎ সূর্যের আপাত ধ্বংসের পরেও এটি কোটি কোটি বিলিয়ন বছর টিকে থাকবে। অর্থাৎ এটির পরিভ্রমন অব্যাহত থাকবে। তবে সেই পরিভ্রমণের গতিপ্রকৃতি আকার আকৃতি সব কিছুরই পরিবর্তন হবে। আর সেটি হবে কোন বিরতী ছাড়া। যেটা আল্টিমেটলি কুরআনের নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণকে আবারও মিথ্যে প্রমাণ করে দিবে।
      অর্থাৎ কুরআনের যে নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে নব্য মুসলমানরা কুরআনের নতুন মানে দাড় করায় সেটাও আসলে ভিত্তিহীন। সমস্যা হচ্ছে এই নব্য মুসলমানরা বিজ্ঞান শেখে জাকির নায়েকের মতো বিজ্ঞান না জানা মানুষের কাছ থেকে তাই তারা প্রকৃত বিজ্ঞান জানে না বলে বিভ্রান্ত হয়। আর এসব অযৌক্তিক অপযু্ক্তির আমদানি করে। কারণ প্রথমতো কুরআন সূর্য ও চন্দ্রের নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অস্তিত্বশীল থাকার কথা বলা হয়নি। বরং কুরআন নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণের কথা বলা হয়েছে। নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অস্তিশীল থাকা আর নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করা এক কথা নয়। যদি কেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দৌড়ায় তবে সেটা হলো নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করা বা দৌড়ানো। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে এখানে সেই দৌড় বিদের মৃত্য পর্যন্ত অস্তিত্বশীল থাকার কথা বলা হচ্ছে। বরং এখানে দৌড়ানোর নির্দিষ্ট সময় কালের কথা বলা হয়েছে। অস্তিত্বশীল থাকার সময় কালের কথা বলা হয়নি।
      আয়াতটি লক্ষ করুন, বলা হচ্ছে, সূর্য ও চন্দ্র, এরা নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ভ্রমন বা পরিভ্রমন করে।
      (সূর্য ও চন্দ্র) কি করে বলা হচ্ছে? বলা হচ্ছে পরিভ্রমণের কথা। অস্তিত্বশীল থাকার কথা বলা হচ্ছে না। আর তাই ওই আয়াতে "নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন মানে সূর্য ধ্বংস হবে" এটা বলা হয়েছে বলে যে দাবীটা নব্য মুসলিমরা করছে সেটার কোনই ভিত্তি নেই।
      সমস্যা হচ্ছে মনে অন্ধবিশ্বাস; তাই কিছুতেই মানতে পারে না যে কুরআন ভূল। তাই যেহেতু তারা অন্ধভাবে বিশ্বাস করে যে কুরআন ভূল হতে পারে না তাই তাদের মস্তিষ্ক তাদেরকে একটি উত্তর দেখিয়ে দেয়। সেই উত্তরটি সত্যি কিনা সেটা যতটা না তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাদের মনে প্রশান্তি ফিরিয়ে আনা। আর তাই এই সব কুযুক্তি পূর্ণ উত্তর পেয়েও তারা খুশি থাকে তাদের অন্ধবিশ্বাস অক্ষত থাকে বলে। কিন্তু আমরা যারা অন্ধবিশ্বাসমুক্ত তারা এই সব কুযুক্তিগুলো খুব সহজেই ধরতে পারি। আর বুঝতে পারি যে এই সব কুযু্ক্তি ও অপযুক্তিগুলোর আসলে কোন ভিত্তি নেই। ধরে তারা ধরেই নেয় যে কুরআন কখনই ভূল হতে পারে না। তাই তারা এটা ধরে নিয়েই উত্তর খুজে যে তাদের কুরআন কোন ক্রমেই ভূল নয়। আর তাই কোনটা অযুক্তি, কোনটা কুযুক্তি আর কোনটা অপযুক্তি এগুলো তারা কিছুতেই বুঝতে পারে না এবং বুঝতেও চায় না। ফলে তারা এসব কুযুক্তি শুনে খুশিতে বাকবাকুম হয়ে যায়। সেটা তাদের অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারাচ্ছন্নতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুন। এসবের আর কোন উপযোগিতা নেই্।

      Delete


    3. /////কারন সূর্যের পরিভ্রমণ এবং এর আয়ুষকাল নিতান্তই বিজ্ঞানের আধুনিক আবিষ্কার । মাএ কয়েক দশক বা শতক আগেই মানুষ জানতে পেরেছে। অথচ পবিত্র কোরআন সহস্রাব্দ বছর আগেই এই একই information দিয়েছে মানুষকে।/////

      আমি আগেই বলেছি কুরআনের ওই আয়াতটিতে সূর্য ও চন্দ্রের আয়ুষ্কালের কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছে সূর্য ও চন্দ্রের ভ্রমণের কথা।
      একজন মানুষ পৃথিবীর বুকে দাড়িয়েও সূর্য ও চন্দ্রকে গতিশীল দেখে। আর সে দেখতে পায় সূূর্য ও চন্দ্র দিনের একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই পরিভ্রমণ করে। আর তাই যদি সে কোন বইয়ে লিখে দেয় সূর্য চন্দ্র নির্দিষ্টকার পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে তবে সেটা নিশ্চিয় কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী হলো না!
      একই কথা কুরআনের ক্ষেত্রেও খাটে।
      আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন কুরআন বিজ্ঞানের বলা কথাটিই বলেছে? বরং তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যায় কুরআন মোটেও বিজ্ঞানময় কথা বলেনি। বরং কুরআন মুহাম্মদের দেখা সূর্য ও চন্দ্রের ভ্রমণের কথা বলেছে। যেমন, কুরআনে আছে, সূর্য ভ্রমণ করে নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। (আর এই আয়াতটি নিয়েও জাকির নায়েক আতলামী করেছে। বিজ্ঞান না জানলে বা আংশিক জানলে যা হয় আরকি। সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ যেহেতু জাকির নায়েকের কুযুক্তি ও অপযুক্তি দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত তাই তারা এসব কুযুক্তির অস্বাড়তা তো ধরতেই পারে না উপরন্তু এসব কুযু্ক্তিগুলোই কপি পেস্ট করে চলে। ফলে একটি বিভ্রান্তিতে ভোগা জনগোষ্টির জন্ম হয়েছে যারা নানা কুযুক্তিকে প্রকৃত যুক্তি মনে করে প্রশান্তি অনুভব করে। )
      আর এই আয়াতে বলা হয়েছে সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে।
      আবার হাদিসে আছে মুহাম্মদ "সূর্য নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে পরিভ্রমণ করে মানে হচ্ছে- সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হয়ে পশ্চিমে অস্ত যায় এবং সন্ধার পরে আল্লাহর আরসের নিচে যেয়ে সেজদা করে। (এই হাদিসটি আবু যরের হাদিস যা বুখারি ও মুসলিম এই দুই সহি হাদীসে বর্ণিত আছে।)
      তাহলে আমরা পাই, সূর্য নির্দিষ্টকাল পরিভ্রমণ করে, সূর্যের একটি গন্তব্যস্থল আছে (কুরআন অনুযায়ী) এবং সূর্য আল্লাহর আরসের নিচে সেজদা করে সারারাত (হাদিস অনুযায়ী)।
      এখন এই তথ্যকে মিলিয়ে দেখতে পাই, সূর্য নির্দিষ্টকাল পরিভ্রমণ শেষ করে আল্লাহর আরসে পৌছে সেটা তার গন্তব্যস্থল; এবং সেখানে সারারাত সেজদা করে পরের দিন সকালে উদিত হয়। আর হাদিসে আছে সূর্য পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে ঢুবে।
      তাহলে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি তথ্য থেকে স্পষ্টতই প্রমাণ হয় সূর্যের ভ্রমণ আসলে পৃথিবীর চারপাশের ভ্রমণের কথা বলা হয়েছে।
      কিন্তু মুসলমানদের নানা কুরআনের অর্থের বিকৃতি, নানা অপব্যাখ্যা এবং কুযুক্তি ও গোজামিল এনে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানোর চেষ্টা করা হয়। এছাড়া কুরআনের বিজ্ঞানময় হওয়ার আর কোন উপায় নেই। অর্থাৎ কুরআন আসলে বিজ্ঞানময় নয়। বরং আধুনিক বিজ্ঞান জানা মুসলমানরা নানা রকমের অপকর্ম করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানায়। তারা কুরআনের অর্থকে বদলে দিয়ে এমন ভাবে নতুন অর্থ করে যাতে কুরআন বিজ্ঞানের সাথে মিলে যায়। তারা তাদের সুবিধামত ব্যাখ্যা দাড় করায় এবং শেষে বিজ্ঞানকে মানুষের কাছে ভূল ভাবে উপস্থাপন করে কুরআনের সাথে মিল দেখায়।
      আর এভাবে মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে থাকে। আর আমাদের দেশেও নব্য মুসলমানরা এসব কুযুক্তি ও মিথ্যাচার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভ্রান্তির সাগরে হাবুডুবু খায়। আর বিশ্বাস করে অন্ধভাবে - তাদের কুরআন আসলেই বিজ্ঞানময় গ্রন্থ।
      সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তারা এসব কুযুক্তি গুলো দিয়ে আমাদের মতো মানুষকে বুঝাতে আসে। অথচ এসব কুযুক্তিগুলো অনেক বছর আগেই আমরা খন্ডন করেছি। তবুও একই কুযু্ক্তি তারা বারবার উপস্থাপণ করে। ফলে কেউ বিভ্রান্ত হোক আর না হোক কিছু মানুষ বিভ্রান্তিতে পতিত হয়ে কুসংস্কারে অন্ধবিশ্বাসী থেকে যায়। আর কিছু নয়।
      তাই আপনার কাছে অনুরুধ এসব কুযুক্তিগুলোকে ভালো করে যাচাই করে দেখুন। যদি কুরআন সত্যিই আল্লাহর বাণি হতো তবে কুরআনের অর্থের পরিবর্তনের মাধ্যমে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে হতো না। তাহলে অর্থের পরিবর্তন ব্যাতীত, অপব্যাখ্যা ব্যতীত এবং বিজ্ঞানকে ভূল ভাবে উপস্থাপন ব্যাতীতই কুরআন বিজ্ঞানময় হতো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কিছু অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ সব সময়ই বিভ্রান্তিতে থাকতে ভালোবাসে।
      তাই বলছি চিন্তার ক্ষমতাকে ব্যবহার করতে থাকুন। বিচার বিশ্লেষণ করা থামিয়ে না দিয়ে যুক্তি প্রয়োগ করুন। কু যু্ক্তি অপযুক্তি থেকে বের হতো শিখুন। সর্বপরী চিন্তা করা এবং জ্ঞান অর্জন করা থামিয়ে না দিয়ে সত্যকে খুজতে থাকুন। একসময় সত্য এসে আপনার সাথে দেখা করবেই যদি আপনি চিন্তা করা থামিয়ে না দেন।

      Delete
    4. আপনার সাথে তর্ক করব
      আপনার বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান খুবই কম
      ফেসবুক আইডি দেন ম

      মেসেঞ্জারে আপনার কুযুক্তিগুলোর বিরুদ্ধে প্রমাণ দেব

      Delete
  4. Vi amar kothai dukkho peye thakle I m sorry... But apni nije o kintu prithibir onnotomo boro ekti dhormer sobchaite morjada shomponno bekti k kromagoto oggo, mitthuk ba aro heyo kore kotha bolsen ja apnar moto biggo kono bektir kora uchit noi, karon apni j bisshase nijeke porichalito korsen erokom manuser shonkha kintu otishoy nogonno oi dhormo bissaser manuser tulonai...jai hok ekta jinis bolen, prithibi surjer charpase chad k shathe kore ghorar somoy surjer gotipother samne kokhono ese uposthit hoi kina? R jodi hoi tobe chad prithibi o surjo eki sorol rekhai ase kina? R jodi Ashe tobe surjer pokkhe keno somvob hoscena chad othoba prithibir nagal pawa??? Kenona surjo j ovimukhe jasce tar samnei chad o prithibi ...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার সাথে তর্ক করব
      আপনার বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান খুবই কম
      ফেসবুক আইডি দেন ম

      মেসেঞ্জারে আপনার কুযুক্তিগুলোর বিরুদ্ধে প্রমাণ দেব

      Delete
  5. ভাই আর একটা জিনিষ, আপনি টলেমির জিওসেন্ট্রিক মডেলটা আর একটু ভাল করে পরবেন। ওখানেও বিশাল অজ্ঞতা বিরাজমান আপনার জানাতে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. নিশ্চয় আল্লাহতো মশা অথবা তার চেয়েও ক্ষুদ্র কোন বস্তুর উদাহরণ দিতে লজ্জাবোধ করেন না; অতএব যারা ঈমানদার তারা জানে যে, এ সত্য তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে এসেছে, কিন্তু যারা অবিশ্বাসী তারা বলে যে, আল্লাহ কী উদ্দেশ্যে এ উদাহরণ পেশ করেছেন? (আসল ব্যাপার হল) তিনি এর দ্বারা অনেককেই বিভ্রান্ত করেন, আবার অনেককেই সৎপথে পরিচালিত করেন। বস্তুতঃ তিনি ফাসিকদের ছাড়া আর কাউকেও বিভ্রান্ত করেন না।

      Delete
    2. নির্দিষ্টকাল বলতে আবর্তনের নির্দিষ্ট সয়কে বোঝানো হয়েছে।অর্থাৎ সূর্য ২৫ দিনে নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করে ।এই আবর্তনের সময় নির্দিষ্ট।

      Delete
  6. fb id din
    আপনার সাথে তর্ক করব
    আপনার বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান খুবই কম
    ফেসবুক আইডি দেন ম

    মেসেঞ্জারে আপনার কুযুক্তিগুলোর বিরুদ্ধে প্রমাণ দেব

    ReplyDelete