Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, March 11, 2016

আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের যৌক্তির ও বৈজ্ঞানিক উত্তর। (পর্ব ১০)



আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নঃ
আপনি কত বড় সাইনটিস্ট বলেন তো? পৃথিবীর সব সাইনটিস্টরা সব কিছু কোরআন থেকেই আবিষ্কার করছে।

যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
মুসলমানদের জ্ঞানের নমুনা দেখে হাসবো নাকি কাঁদবো বুঝে উঠতে পারি না!
আপনি কোথায় খোজ নিয়ে পেয়েছেন যে বিজ্ঞানীরা কুরআন থেকে আবিষ্কার করে? কুরআন থেকে কি কিছু আবিষ্কার করা যায়? যদি তাই যেতো তবে মুসলমানরাই পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানী হতো।
আমরা সারা জীবন কত চেষ্টা করেও কুরআনে বাজে কথা ছাড়া আর কিছুই পেলাম না আর আপনারা কুরআনে বিজ্ঞানের সমুদ্রের দাবী করেন।
কেউ যদি নিজেকে আল্লাহ, গড, ভগমান বা সৃষ্টিকর্তা বলে দাবী করে তবে কি তার দাবী সত্য হয়ে যাবে। কেউ দাবী করলেই কি সৃষ্টিকর্তা হয়ে যায়? মুসলমানরা মনে করে দাবী করলেই বুঝি সেটা সত্যি হয়ে যায়।

যারা বিজ্ঞানী তারা কুরআন কোনদিন ছুয়েও দেখেনি। তারা কিভাবে কুরআন থেকে আবিষ্কার করলো?
কুরআনে যদি এতই বিজ্ঞানের খনি থাকে তবে মুসলমানরা কি কারণে কুরআন থেকে বিজ্ঞানের কিছু আবিষ্কার করতে পারে না? পৃথিবীতে কত কুরআন পন্ডিত, কত হাফেজ, কত ইসলাম বেদ্যা আছে তারা কেন কিছু আবিষ্কার করতে পারে না? যদি সত্যিই কুরআন থেকে কিছু আবিষ্কার করা যেতো তবে মুসলমানদের হাত ধরেই বিজ্ঞানের সব বড় বড় আবিষ্কারগুলো হতো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যারা দাবী করে কুরআনে বিজ্ঞানের সব আবিষ্কারের কথা লেখা আছে তারা নিজেরা কেন বিজ্ঞানের বড় বড় আবিষ্কারগুলো করে না? এই প্রশ্ন করলেই নানা ইসলামী কুযুক্তির অবতারনা করে। ভিত্তিহীন দাবী না করে বিজ্ঞানের কোন কিছু কুরআন থেকে আবিষ্কার করে দেখালেই কিন্তু হয়। কিন্তু সেটা তো করতে পারবে না শুধু বড় বড় দাবী করে নিজেদের পান্ডিত্য হাজির করবে!
মনে তো হয় না কোন দিন কুরআন বাংলা ভাষায় পড়েছেন?
পড়েন নি বলেই মুখ দিয়ে বড় বড় বুলি বের হচ্ছে। কুরআন আর বিজ্ঞান সম্পর্কে যদি কিছু ধারনা থাকতো তবে চোখ কান বন্ধ করে দাবী করতেন না যে সব আবিষ্কার কুরআন থেকেই হয়েছে।
মুসলমানদের একটা কমন ব্যাপার হলো এরা বিজ্ঞানের জ্ঞানতো রাখেই না উপরন্তু কুরআনও পড়ে না। কিন্তু চোখ বন্ধ করে দাবী করে বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার কুরআন দেখেই হয়েছে।
একটা তথ্য শুনে রাখুন, আপনার মত অনেক আস্তিক আছে যারা চোখ বন্ধ করে দাবী করে বাইবেলে বিজ্ঞানের খনি আছে আর সব আবিষ্কার বাইবের দেখেই করা হচ্ছে। আবার হিন্দু আস্তিকরাও আপনার মতো করে দাবী করে যে তাদের বেদেও বিজ্ঞানের খনি আছে। যদি তাই হতো তাহলে সবাই বিজ্ঞান পড়া বাদ দিয়ে ফালতু ধর্মগ্রন্থগুলো পড়া শুরু করে দিত। আর বড় বড় বিজ্ঞানী বের হতো হাফেজদের মধ্য থেকে, ধর্মগুরুদের মধ্য থেকে।
কিন্তু আপনারা তো যুক্তি বুঝবেন না শুরু চোখ কান বন্ধ করে দাবী করেবেন-" যা কিছু আবিষ্কার করা হচ্ছে সব আমাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে আবিষ্কার করা হয়েছে”।
ভাবটা এমন, দাবী করতে পারলেই সেটা সত্যি হয়ে যায়।

মুসলমানরা তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে এমন কোন অসততা নেই যা তারা করছে না। কুরআনের অর্থকে বদলে ফেলছে এবং অদ্ভূত অদ্ভূত ব্যাখ্যা হাজির করছে। তারা কুরআনের অর্থকে এমন ভাবে বদলাচ্ছে যেন তা বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলোর সাথে মিলে যায়। এভাবে তারা কুরআনের অর্থকে বদলে দেবার মাধ্যমে যেমন কুরআনকে বিজ্ঞানময় করে তুলছে ঠিক একই ভাবে তারা কুরআনকে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে কুরআনের ভূল ভ্রান্তিগুলোকে সংশোধন করছে। আর এটা করছে আধুনিক যুগের বিজ্ঞানের প্রাথমিক জ্ঞান রাখা মুসলমানরা। তো এভাবে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে কুরআনের ভূলগুলোকে সংশোধন করে নতুন অর্থ বা ব্যাখ্যা আমদানী করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানোর পর যদি তারা দাবী করে বসে কুরআন না জানা (বিজ্ঞানী) মানুষগুলোই নাকি কুরআন থেকে সব আবিষ্কার করেছে। কত বড় মূর্খ আর ভন্ডের দল এসব মুসলমানরা!
বড় বড় বিজ্ঞানীরা কুরআন কোনদিন পড়ে দেখেনি। তারা সব আবিষ্কারই বিজ্ঞানের জ্ঞানের চর্চার মাধ্যমেই আবিষ্কার করেছে। রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের নতুন নতুন জ্ঞান আবিষ্কার করবে আর বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকা কিছু ধর্মান্ধ (অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন) মূর্খ মানুষ দাবী করে বসবে যে তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো (কুরআন, বেদ, বাইবেল ইত্যাদি ফালতু প্রাচীন অশিক্ষিত মানুষদের লেখা বই) থেকেই নাকি বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার করা হয়েছে। কোন প্রমাণ ব্যতিরেখেই ভন্ড অশিক্ষিতের দলগুলো এমন দাবী করে নির্লজ্জের মতো।

যদি তারা অশিক্ষিত নির্লজ্জই না হবে তবে কেন তারা বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কার করতে পারে না ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে? পৃথিবীতে ধার্মিক ধর্মগ্রন্থের পন্ডিত ব্যাক্তির অভাব নেই। সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করা মানুষের অভাব নেই পৃথিবীতে। এ ছাড়াই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মুসলমান দিন রাত এক করে কুরআন পড়ছে। তারা কুরআন প্রতিনিয়ত পড়েই চলেছে। তাহলে তারা কেন কুরআন থেকে কিছু আবিষ্কার করতে পারে না? সেসব ধার্মিকরা বিজ্ঞানের চর্চা করে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখুন তারা তাদের বিজ্ঞানের জ্ঞান কুরআন, বাইবেল বা বেদ দেখে শিখতে পারে কিনা? তারা বলবে - তারা বিজ্ঞান শিখেছে বিজ্ঞানের বই থেকে। কোন ধর্মগ্রন্থ থেকে নয়।
তাহলে নির্লজ্জ্বের মতো কেন দাবী করে যে বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার কুরআন, বাইবেল আর বেদ দেখেই করা হয়?
একটু ভেবে দেখবেন!

আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নঃ
অন্তত ১০০ অমুসলিম বিজ্ঞানী এ hypothesis (not proved in any lab) -কে ভুল বলেছেন। তাই বিবর্তন সত্য নয়।
যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
প্রথম ৫টা বিজ্ঞানীর নাম দেন যারা খ্রিস্টান নয়। কারন বিবর্তনবাদ তিনটি ধর্মকে ভিত্তিহীন প্রমান করেছে যার প্রথমটিই হল খ্রিস্টান আর দ্বিতীয়টি হল মুসলমান (সংখার দিক দিয়ে) তৃতীয়টি হল ইহুদী। এই তিন ধর্মের অন্ধবিশ্বাসী ছাড়া একটি বিজ্ঞানীর নাম দিন যে বিবর্তনবাদকে মেনে নেয়নি!
আর সব থেকে বড় কথা কোন বিজ্ঞানী যদি কোন থিউরীকে না মেনে নিতে পারে (শুধুমাত্র তার ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসের জন্য) তার মানে এটা নয় যে সেই থিউরীটা ভূল। বরং যারা কোন থিউরীর বিরোধীতা করে তারাই বরং ওই থিউরীটার জন্য উপকার করে। কারণ কেউ কোন থিউরীর বিরোধীতা করলে সেই থিউরীটা আরো বেশী করে পরীক্ষা করা হয় এবং বেশী সংখ্যক বিজ্ঞানী সেই থিউরীটিকে জাস্টিফাই করে।
বিবর্তনবাদ ঠিক এমনই একটি থিওরী যেটাকে সব থেকে বেশি বার পরীক্ষা দিয়ে উত্তির্ন হতে হয়েছে শুধুমাত্র ধর্মীয় অন্ধত্বের জন্য। ফলে বিবর্তনবাদ হল সব থেকে বেশী বার পরীক্ষিত এবং সব থেকে বেশী সংখ্যক বিজ্ঞানী দ্বারা স্বীকৃত থিওরী।
আর তাই বিবর্তনবাদের ফসিল এবং ডিএনএ ম্যচিং টেস্ট গুলো সব থেকে বেশী বার করা হয়েছে। ফলে সব থেকে বেশী প্রমান বা ফ্যাক্ট সম্পন্ন থীওরী হলো বিবর্তনবাদ বা ইভোলিউশন থিওরী।
আপনি হয়তো জানেন না (বা আস্তিক ভন্ড বা অজ্ঞদের দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ হয়েছেন) যে, অনেক প্রমান বা ফ্যাক্ট (ফসিল ডিএনএ ম্যাচিং টেস্ট) সম্পন্ন থিওরী হলো বিবর্তনবাদ।

বিবর্তনবাদের এতো প্রমান আছে যে তা আপেক্ষিকতাবাদ বা বিগ ব্যাং থিওরীর তুলনায় অনেক অনেক গুন বেশী।
কিন্তু আস্তিকরা যেহেতু বিজ্ঞান জানে না আর যারাওবা জানে তারা তাদের অন্ধবিশ্বাসের জন্য এর প্রমানকে মেনে নিতে পারে না। তাই তারা বিবর্তনবাদ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভূল জানে বলে এরা এটাকে শুধু একটা থিওরী মনে করে। কিন্তু তারা কোন খোজ খবর রাখে না বলে (আর রাখলেও ভন্ড বা অজ্ঞদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয় বলে) তারা জানে না বিবর্তনবাদ কত বেশী পরিমান প্রমানিত সত্য।
আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে বর্তমানের সব থিওরীর মতো বিবর্তনবাদের প্রমান অনেক বেশী আছে। কিন্তু আপনারাতো জাকির নায়েক মার্কা ভন্ডদের কাছ থেকেই বিজ্ঞান শিখেন তাই এসব জানেন না। প্রকৃত বিজ্ঞান জানতে পারলেই বুঝতেন বিবর্তনবাদ কতটা সত্য।
লোকের কথা না বিশ্বাস করে বিবর্তনবাদ সম্পর্কে একটু পড়াশুনা করে দেখুন তবেই সত্যটা জানতে পারবেন (তবে অবশ্যই খ্রিস্টান বা মুসলিম সাইডগুলো থেকে নয়; কারণ এদের সাইটগুলোতে মিথ্যের ছড়াছড়ি।
যেহেতু বিবর্তনবাদ অনেক ধর্মকে সরাসরি আঘাত করেছে ফলে তারা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিবর্তনবাদকে মেনে নিতে পারছে না। উপরন্তু তারা বিবর্তনবাদ থিউরীর নামে নানা মিথ্যা কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। খ্রিস্টানদের মতো মুসলমানরাও তাদের ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে বিবর্তনবাদের নামে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্যই অনেক খ্রিস্টান এবং মুসলমান আস্তিক মনে করে বিবর্তনবাদ সত্য নয়। কিন্তু প্রায় ৯০% -এরও বেশী বিজ্ঞানী সরাসরি বিবর্তবাদকে সত্য বলে রায় দিয়েছে। অনেক খ্রিস্টান মুসলমান বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে বা নিতে বাধ্য হয়েছে শুধুমাত্র বিবর্তনবাদের অগণিত প্রমাণ দেখে। তারা তাদের অন্ধবিশ্বাসকে টিকিয়ে রেখেছে এটা বলে যে ইশ্বর বা আল্লাহ বিবর্তনের মাধ্যমেই মানুষকে সৃষ্টি করেছে।
বিবর্তনবাদ বাস্তব সত্য। পৃথিবীতে বিবর্তন ঘটেছে এবং বিবর্তন ঘটে চলেছে।
এটাই সত্য এবং এটাই বাস্তব। যার ইচ্ছা তথ্য প্রমান দেখে মেনে নেবে আর যার ইচ্ছা তথ্য প্রমাণকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তাদের কুসংস্কারের ধর্মকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবে।


আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নঃ
কোন মুত্রমনা কি আছেন উওর দেয়ার জন্য? সরি ভুল হয়ে গেছে মুত্রমনা নয়, মুক্তমনা!
আদম হাওয়া বাস্তব এবং সত্য। নাস্তিকদের এটার প্রমান পেতে হলে অতীতে যেতে হবে।
যদিও কোন নাস্তিক অতীতের সবকিছু দেখে নাই তবুও বিশ্বাস করে যে মানুষ এসেছে বানর থেকে?
তাই আস্তিকরা নয় বরং নাস্তিকরাই হলো অন্ধবিশ্বাসী।

যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
মানুষ এক সময় ভাবতো তারাই সৃষ্টির মুল উদ্দেশ্য। পৃথিবী বিশ্বজগতের কেন্দ্র আর মানুষের জন্যই সব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষ এটা ভাবতো কারণ তারা নিজেদেরকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাবতো। নিজেদেরকে নিয়ে অহংকার করতো এটা ভেবে যে বিশ্বজগত সৃষ্টির মুল উদ্দেশ্য তারা। মাতালদের মতো এসব ভেবে সুখ পেতো।
এখন কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ আছে যারা বিশ্বজগতের কিছুই জানে না কিন্তু নিজেদেরকে শ্রেষ্ট ভেবে মনে মনে সুখ পায়। এদেরকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় ডিলিউশনার বলে (এক ধরনের পাগল বা মানুষিক রোগী)
এতে করে মানুষ কিন্তু বিশ্বজগতের শ্রেষ্ট হয়ে যায় না। বরং এতে করে তাদের অজ্ঞতা, অন্ধবিশ্বাস কুসংস্কার প্রমানিত হয়।

প্রকৃত সত্য হলো পৃথিবী হলো বিশ্বজগতের তুলনায় একটা বালু কনার চেয়েও ক্ষুদ্র; আর মানুষ হলো কিছুই না (নাথিং) -এর সমান (বিশ্বজগতের তুলনায়)
সুতরাং যারা নিজেদেরকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট মনে করে মাতালের মজা উপভোগ করে তারা নিজেদের অজ্ঞতার প্রমানই বহন করে।
প্রাচীনকালে মানুষ এসব ভেবে সুখ পেতো কারণ তারা ছিল অজ্ঞ কুসংস্কারাচ্ছন্ন। আর যারা একবিংশ শতাব্দিতে বসে এসব ভাবে তারা সেই প্রাচীন কালের তুলনায় আরোও বেশী অজ্ঞ কুসংস্কারাচ্ছন্ন। যারা নিজেদের অজ্ঞতা নিয়ে নিজেদেরকে শ্রেষ্ট ভেবে কৃতিম সুখ উপভোগ করে তারা যে কতটা ছোট নিকৃষ্ট (জ্ঞানে এবং মানে) সেটা তারা নিজেরাও জানে না।
বানর জাতিয় প্রানী থেকে বিবর্তিত হয়েছে ভাবতে লজ্জা লাগে কিন্তু বানরের থেকেও কম জ্ঞান সম্পন্ন থাকতে লজ্জা লাগে না যাদের, তাদেরকে কিছু বলার নেই আমার।
মানুষ বানর জাতীয় প্রানী থেকেই বিবর্তিত হয়েছে এবং সাধারণ একটা প্রানী থেকে আজকের সভ্য জ্ঞানী উন্নত মানুষ হয়েছে সম্পূর্ন নিজের চেষ্টায় (এমনকি সৃষ্টিকর্তার মতো ক্যারেক্টারের সৃষ্টিকর্তাও মানুষ) সেই শ্রেষ্ট মানুষদেরকে নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি।
আর আমি সেই সব নিকৃষ্ট জ্ঞানহীন মানুষদেরকে ঘৃনা করি যারা নিজেরা চরম অজ্ঞ কুসংস্কারাচ্ছন্ন থেকে নিজেদেরকে শ্রেষ্ট মনে করে আর তাদেরই সৃষ্টি (কাল্পনিক) সৃষ্টিকর্তাদের কাছে মাথা নত করে আর সেটা নিয়ে (অজ্ঞতা কুসংস্কারময় হয়ে) অহংকার করে
এরা যে কতটা অজ্ঞ আর নিকৃষ্ট সেটা আরো একশো বছর না গেলে মানুষ বুঝতে পারবে না। কারণ এই একশো বছরের মধ্যে সব সৃষ্টিকর্তা এবং ধর্ম বিলীন হয়ে যাবে।
তাই আল্লাহ নামের এক কাল্পনিক শয়তানের কাছে মাথা নিচু করে যে মাতালের মজা পাচ্ছেন (অজ্ঞ কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে) সেটা নিয়ে অহংকার করার কিছু নেই। বরং এটা আপনার অজ্ঞতারই প্রমান, আর কিছু নয়।

কোন কিছু প্রমাণ করতে অতীতে যেতে হবে কেন? ডাইনোসর প্রমান করতে কি কেউ অতীতে গিয়েছে? সেসবের প্রমাণ মানুষ বর্তমানে বসেই পেয়েছে।
আল্লাহ, ভগমান, ইশ্বরেরা সবাই মারা গেছে নাকি যে তাদের অস্তিত্বের জন্য অতীতেই যেতে হবে? বর্তমানে ইশ্বরদের ক্ষমতা দেখানো বন্ধ হলো কেন?
এর সব থেকে সহজ বিশ্বাসযোগ্য কারণটি হলো, এরা সবাই গল্পের কাহিনী চরিত্র, তাই তাদের বাস্তব কোন প্রমান নেই। রুপকথার কোন চরিত্র যেমন বাস্তব হয় না তেমনি আল্লাহ, ভগমানেশ্বরদের কোন বাস্তব প্রমান হয় না।

অতীতকে জানার জন্য অতীতে যাবার প্রয়োজন নেই। মানুষ তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে অতীতে কি ঘটেছিল সব বর্তমানে উপস্থিত থেকেই প্রমান করতে পারে। বিশ্বজগতের বয়স জন্ম রহস্য বের করতে মানুষের ১৩. বিলিয়ন বছর অতীতে যেতে হয়নি। মানুষ বিজ্ঞানের সাহায্যে বর্তমানে বসেই তা বের করে ফেলেছে। এগুলো বুঝতে হলে বিজ্ঞান জানতে হবে। কিন্তু আস্তিকরাতো আবার পড়াশুনা করতে চায়না। এরা ভাবে "হে প্রভু আমাকে জ্ঞান দাও" বলে প্রার্থনা করলেই জ্ঞান এসে মানুষের বুকে ঢুকে পড়বে। আর তাই উল্টাপাল্টা কথা বলে আল্লাহ, ভগমান, ইশ্বরকে প্রমান করতে চায়।

যদি আদম হাওয়া সত্য হতো তবে পৃথিবীতে তাদের অনেক প্রমাণ পাওয়া যেতো। কিন্তু তার কোন প্রকারের প্রমাণই পাওয়া যায়নি। বরং বিবর্তনবাদ অনুসারে মানুষ বানর জাতিয় প্রাণী (বানর নয়) থেকে বিবর্তিত হয়েছে এটার স্বপক্ষে হাজার হাজার প্রমাণ রয়েছে। আর বিবর্তনবাদের প্রমাণই মানুষকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে মানুষ আদম হাওয়া নামের কোন কাল্পনিক চরিত্র থেকে বিবর্তিত হয়নি। বরং মানুষ এসেছে অন্য কোন বাস্তব প্রাণী পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে। আর তার প্রমাণ মানুষ বর্তমানে বসেই আবিষ্কার করছে। এর জন্য মানুষকে অতীতে যেতে হয়নি। যদি আদম হাওয়ার রুপকথা সত্যিই হতো তবে তার প্রমাণ পৃথিবীর আনাচে কানাচে পড়ে থাকতো। যেটা নেই। তাই আদম হাওয়ার গল্প বা কল্পকাহিনী সম্পূর্ণই মিথ্যা। আর এটা মানুষ বর্তমানে বসেই আবিষ্কার করে ফেলেছে।

 কে অন্ধবিশ্বাসী আর কে বাস্তববাদী সেটা জানতে হলে আপনাকে প্রথমে অন্ধবিশ্বাস কি সেটা আগে জানতে হবে। কিন্তু আপনি কি সেটা জানার জন্য কষ্ট করবেন? নাকি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে বসবেন যে, হে আল্লাহ, অন্ধবিশ্বাসী কি সেটা আমাকে বলে দাও!
এভাবেতো কোন কাজ হবে না। পড়াশুনা করতে হবে। বড় বড় কথা বাদ দিয়ে পড়াশুনা করতে হবে। তাহলেই জ্ঞান অর্জন করা যাবে। শুধু পান্ডিত্য করলে হবে না। বিজ্ঞান কি , বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে সেগুলো জানার পরই বুঝবেন আসলে বাস্তবতা আর ধর্মের পার্থক্য কতটুকু?
কুসংস্কার কি? যার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই, শুধু অন্ধবিশ্বাসের উপর ভর করে কল্পনা শক্তিকে প্রসারিত করে যে মিথ্যা ভ্রান্ত সংস্কার বা আচার আচরণ সমাজে প্রচলিত হয় সেগুলোকেই কুসংস্কার বলে। যেমন জ্বীন, ভূত, পরী ইত্যাদি হলো সমাজের কিছু কমন কুসংস্কার। এসব অবাস্তব কাল্পনিক অস্তিত্বহীন জিনিসে কোন প্রমাণ ছাড়াই অন্ধের মতো বিশ্বাস করাটাই হলো কুসংস্কারাচ্ছন্নতা।
এখন প্রশ্ন হলো কে বা কারা প্রমাণহীন কাল্পনিক অস্তিত্বহীন চরিত্রগুলোকে বিশ্বাস করে? চোখ বন্ধ করেই বলা যায় যে, আস্তিকরাই কোন তথ্য প্রমাণহীন কাল্পনিক চরিত্রকে সত্য বলে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে কোন প্রকারের প্রমাণ ছাড়াই। তারা সৃষ্টিকর্তার প্রমাণ হিসেবে কিছু প্রাচীণ মানুষের লেখা বই দেখায়। তারা সৃষ্টিকর্তার কোন প্রমাণ না দেখাতে পেরে কিছু অর্থহীন কথা হাজির করে। তারা যানে যে সৃষ্টিকর্তার কোন প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
এজন্যই সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাস হলো প্রমাণহীন অন্ধবিশ্বাসযুক্ত কুসংস্কার। আর এই কুসংস্কাগুলোকে যারা বিশ্বাস করে অন্ধের মতো তারা আর কিছুই নয়; তারা হলো অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকের দল।
নাস্তিকরা যেহেতু প্রমানহীন কাল্পনিক কোন চরিত্রে বিশ্বাস রাখে না তাই তারা কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাসমুক্ত যুক্তিবাদী তথা বাস্তববাদী মানুষ।

No comments:

Post a Comment