প্রকৃতিতে নারীর ভূমিকা প্রধান। পুরো জীব জগত দাড়িয়ে আছে নারীর উপর ভর করে। যদি প্রকৃতিতে নারী না থাকতো তবে কোন পুরুষের অস্তিত্ব থাকতো না। পুরুষই প্রকৃতিতে বাহুল্য হতে পারে। কিন্তু নারী কখনই বাহুল্য ছিল না কখনও হবেও না। বরং নারী পুরুষকে বিলুপ্ত করার ক্ষমতা রাখে।
বংশ টিকে থাকে নারীর জন্য। প্রকৃতির সব জীবই টিকে আছে নারীর অবদানের কারণে। তাই জীব জগতে
নারীর
ভূমিকাই প্রধান। অনেক প্রজাতি আছে যার পুরুষের দরকার হয় না।
কার অবদান বেশী সেটা সবারই জানা। তবুও পুরুষ তার বাহুবলে নারীকে বশীভূত করে রেখেছে। নারীর দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সে শ্রেষ্ট সেজেছে। কিন্তু পুরুষ কখনই শ্রেষ্ট ছিল না। এবং সে শ্রেষ্ট নয়।
মানুষ টিকে থাকে সন্তান জন্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। আর এই প্রক্রিয়ায় পুরুষের ভূমিকা কতটুকু? পুরুষের দ্বায়িত্ব শুধু মজাতেই স্বীমাবদ্ধ। কিন্তু নারীর দায়িত্ব মজাতে স্বীমাবদ্ধ নয়। পুরুষ এক ফোটা শুক্র দিয়েই খালাস। আর নারী শুধু এক বিন্দু ডিম্ব দিয়ে খালাস পায় না। সে সেই ডিম্বতে পুরুষের শুক্রকে স্বযত্নে আগলে রাখে। তাদেরকে মিলে নতুন স্বত্বা তৈরী হতে দেয়। এবং সেই নতুন স্বত্বাকে তার বুকের রক্ত দিয়ে এবং নাড়ির পুষ্টি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তাকে দান করে জীবন বটিকা। নিজের মধ্যে ধরে রাখে। আগলে রাখে সব বিপদ থেকে। তিলে তিলে নিজেকে নিঃশেষ করে গড়ে তুলে এক নতুন জীবনকে। দশ মাস কষ্টে থেকে দান করে এক নতুন প্রাণ। তারপর অসহ্য যন্ত্রনা সহ্য করে প্রকৃতিকে দেয় একজন পুরুষ অথবা নারী। তাই সমগ্র জীবজগতে নারীর অবদানকে সব থেকে শ্রেষ্টত্ব দিতে হয়। এতে পুরুষের ভূমিকা সূর্যের আলোতে জোনাকির আলোর সমান। নারীর অবদান অসীম।
নারীকে দমিয়ে পুরুষ সমাজের অধিপতি হয়েছে। আর বঞ্চিত করেছে নারীকে। বংশ নির্ধারণ করেছে স্বল্প ভুমিকার পুরুষকে কেন্দ্র করে। আর অসীম ভূমিকার নারীকে করেছে বংশের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। অথচ পুরুষ তান্ত্রিক বংশের রীতিটি চরম প্রকারের ভূল প্রক্রিয়া।
সন্তানের জন্ম হয় পুরুষের অর্ধের ডিএনএ এবং নারীর অর্ধেক ডিএনএ দিয়ে। পুরুষের শুক্রানুর শুধুমাত্র ডিএনএ-টুকুই নারীর ডিম্বানুতে প্রবেশ করে। আর নারীর ডিম্বানুতে তার ডিএনএ-তো থাকেই উপরন্তু নারীর ডিম্বানুটিই নিষিক্ত হয়ে ভ্রণে পরিণত হয়। অর্থাৎ যদিও পুরুষ শুধুমাত্র ডিএনএ দেয় কিন্তু নারী ডিএনএ-এর সাথে সাথে তার ডিম্বকোষটিও দেয়। উপরন্তু দশ মাস তার রক্ত, পুষ্টি দিয়ে ভ্রুণটিকে মানুষের আকৃতি দান করে। অর্থাৎ সন্তান জন্ম দানে পুরুষের থেকে একশোগুন বেশী অবদান হলো নারীর। এবং পুরুষের শুধু ডিএনএটিই সন্তানে থাকে। অপরদিকে সন্তানের ডিএনএ-এর অর্ধেক অংশের সাথে সাথে শরীরটিও নারীর দান। তাই সন্তানের উপর পুরুষের চেয়ে নারীর অধিকার অনেক অনেক বেশী। আর তাই বংশ ধারা নারীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা হাজার গুন যুক্তিযুক্ত। অর্থাৎ সমাজ ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক নয় বরং মাতৃতান্ত্রিক হওয়া উচিত।
যেহেতু বংশরক্ষার্থে পুরুষ এবং নারীর ভূমিকা সমান সমান (যেহুতু সন্তানের ডিএনএ-তে দুজনেরই সমান অংশ থাকে) তাই সন্তান শুধু পুরুষের বংশ নয় বরং নারীরও বংশ। অর্থাৎ বংশ আসলে পুরুষের হয় না বরং নারী পুরুষ দুজনেরই হয়। অথচ আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটি ভূল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। এবং পুরুষকে বংশের ধারক বাহক করে দেখিয়েছে। যা আসলে একটি ভূল প্রক্রিয়া। যদি বংশের ধারা দেখাতেই হয় তবে নারী পুরুষ দুজনেরই দেখাতে হবে। অর্থাৎ সন্তান শুধু বাবার বংশ হবে না মার বংশও হবে। সহজ কথায় সন্তান বাবা এবং মায়ের বংশ ধারণ করে। কিন্তু সমাজ ব্যবস্থায় যেভাবে সন্তানকে বাবার বংশ বলে দাবী করা হয়, সেটি সত্য নয়। বরং সন্তান আসলে বাবা মা দুজনেরই বংশ। তাই বংশ রক্ষার্থে শুধু ছেলের ঘরে সন্তান জন্মালেই যে বংশ রক্ষা হবে সেটি সঠিক নয় বরং মেয়ের ঘরের সন্তানও বংশের অংশিদার। অর্থাৎ একজন মানুষের বংশ হলো তার ছেলের ঘরের ছেলেমেয়ে এবং তার মেয়ের ঘরের ছেলেমেয়ের সমষ্টি।
যদি বংশের ধারা কোন এক বিশেষ প্রজাতির মানুষের উপর বর্তায় তবে তার দাবীদার একমাত্র মা বা নারী। কারণ পুরুষের অর্ধেক ডিএনএ নিয়ে এবং মায়ের অর্ধেক ডিএনএ নিয়ে সন্তান জন্ম নেয় ঠিকই কিন্তু মা তার শরীরের ডিম্বদেহটিও দান করে। শুধু তাই নয় সে তার দেহ থেকে রক্ত এবং পুষ্টি দিয়ে সন্তানকে তিলে তিলে গড়ে তুলে। অর্থাৎ বাবার চেয়ে সন্তানের দেহের উপর মার অধিকার শতগুন বেশী। আর তাই বংশ রক্ষা পদ্ধতিতে যদি কারো মাপকাঠি নির্ধারিত হয় তবে সেটি নারী। পুরুষ নয়। যদিও পুরুষ তার বাহুবলে এই পদ্ধতিটি প্রতিষ্ঠিত করেছে। কারণ পুরুষ উপার্জন করে নারীকে খাইয়েছে। নারী পুরুষের উপর নির্ভরশীল থেকে সন্তান জন্ম দেয় তাই বংশের ধারাটি পুরুষকে ভিত্তি করে দাড়িয়েছে। আর এই রীতিটি পুরুষই করেছে। পুরুষের ভূমিকা যদিও নারীকে ভরণ পোষনের মাধ্যমে কিন্তু বাস্তবে সন্তান জন্মদানে পুরুষের এসব ভূমিকা কাজে লাগেনি। বরং নারী বেঁচে থাকতে যা গ্রহন করেছে তার মধ্য থেকে সে তার সন্তানটিকে দান করে সন্তানের জন্ম দিয়েছে। পুরুষ তার ভিতর থেকে কিছু দেয়নি। পুরুষ শুধু নারীটিকেই দিয়েছে। আর নারী তার অংশটি থেকেই সন্তানকে দান করেছে। তাই কোন ভাবেই সন্তান জন্মানোর ক্ষেত্রে পুরুষের সরাসরি কোনই ভূমিকা নেই। অথচ নারীর ভূমিকা তার দেহগত। সন্তান হলো নারীর শরীরের অংশ। পুরুষের শরীরের তুচ্ছ একটা অংশই শুধু ব্যবহৃত হয় যা তার দেহ থেকে বের হয়ে যায়। অথচ
নারী
তার শরীরের অংশ থেকেই সন্তানকে তিলে তিলে গড়ে তুলে। অর্থাৎ সন্তান আসলে নারীর শরীরেরই অংশ। তাই সন্তানের উপর মায়ের অধিকারই বেশী এবং সেটা অনেক অনেকগুন বেশী। আর তাই বংশরক্ষা নারীকে কেন্দ্র করেই হওয়া উচিত। যদিও বংশ রক্ষা আসলে নারী পুরুষের দুজনের কারণেই হয় এবং সন্তানের উপর নারী পুরুষের সমান অধিকার থাকে (যেহেতু সন্তানের ডিএনএ-তে নারী পুরুষের সমান অংশ থাকে) কিন্তু তারপরও যদি সন্তানের বংশের কৃতিত্ব একজনকে দেওয়া হয় তবে তা মা বা নারীকে দিতে হয়। বাবা বা পুরুষকে নয়।
আর তাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বা পুরুষকে কেন্দ্র করে বংশধারার রীতিটি পুরোটাই ভূল প্রক্রিয়া। অথচ পুরুষের দ্বারা শাসিত সমাজে নারীকে বঞ্চিত করা হয়েছে শুধু সামাজিক মর্যাদা থেকেই নয় বরং তার অসীম অবদানকেও অস্বীকার করা হয়েছে। সমাজ ব্যবস্থা টিকে আছে সম্পূর্ণই নারীর উপর নির্ভর করে। পুরুষ শুধু একটি উপাদান মাত্র। নারীই প্রকৃতির কাছে ধর্তাকর্তা জীবজগতের টিকে থাকার ক্ষেত্রে। যদি নারী না থাকতো তবে পুরুষের জন্ম হতো না। আর পুরুষের পক্ষে সম্ভবও হতো না নারীর সাথে মিলিত হয়ে বংশ রক্ষা করতে। বিবর্তন আমাদের জানাচ্ছে প্রকৃতিতে পুরুষ নয় বরং নারীই প্রধান। জীব সৃষ্টির প্রথম দিকে কোন পুরুষ ছিল না ছিল শুধু মা অর্থাৎ নারী। নারীর মধ্য থেকেই পুরুষ প্রজাতির জন্ম। কালক্রমে নারীর পাশাপাশি পুরুষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। এজন্যই জীবজগতের টিকে থাকতে পুরুষের ভূমিকা সামান্যই (কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ)
থাকে। অথচ এই পুরুষ প্রজাতির মানুষটিই পরে তার বাহু বলে সমস্ত জীবজগতকে দখলে নিয়েছে। আর বঞ্চিত করেছে নারীকে। কালক্রমে নারী বঞ্চিত হতে হতে পুরুষের দাসে পরিণত হয়েছে। অথচ পুরুষ ভূলে গেছে তার টিকে থাকাটা সম্পূর্ণই নারীর উপর নির্ভরশীল। বরং সে নারীকে সেটা জানতেও দেয়নি। সে নিজেও ধরে নিয়েছে তার অস্তিত্ব টিকে আছে তার নিজেরই অবদানে। অথচ তাদের ধারণাটি পুরোই মিথ্যা। বরং নারীই পুরুষের অস্তিত্বের জন্য প্রধান কারণ। এবং পুরুষের জন্ম হয়েছে নারীর দেহ থেকেই। যা কিছু পুরুষের তার ৮০%ই নারীর কাছ থেকে পাওয়া (তুলনামূলকভাবে)। ফলে বংশের দাবীদার পুরুষ কখনই ছিল না, এখনও নেই এবং ভবিষ্যতেও হতে পারবে না।
আমাদের ভূলে গেলে চলবে না যে, বংশ রক্ষা হয় পুরুষের ডিএনএর অর্ধেক এবং নারীর অর্ধেক ডিএনএ থেকে। এবং সাথে সাথে নারী তার শরীরের অংশ দিয়ে সন্তানকে গড়ে তুলে। বংশ নির্ধারণ হয় নারী পুরুষের দুজনেরই সমান বংশ নির্ধারনকারী ডিএনএ থেকে। তাই বংশ শুধু পুরুষের হয় না বরং বংশ হয় নারী পুরুষের দুজনেরই। তাই পুরুষই বংশের ধারক বাহক এই ভ্রান্ত ধারণাটির কোনই ভিত্তি নেই। বরং ছেলে এবং মেয়ে দুজনই বংশের ধারক এবং বাহক। পুত্রের বংশধর এবং কন্যার বংশধর মিলেই কোন মানুষের বংশ নির্ধারিত হয়। একজন মানুষের বংশ তার পুত্র এটা যেমন ঠিক তেমনি তার বংশ তার কন্যাও। আর তাই পুত্রের সন্তানের সাথে সাথে কন্যার সন্তানও বংশের অংশ। এবং দুটোই সমান ভাবে।
আর তাই আমাদের সমাজে যে ধারণাটি প্রচলিত যে,
"পুত্র সন্তানই বংশের ধারক বাহক;
কন্যা সন্তান বংশের ধারক বাহক নয়" এই ধারণাটি সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন। বরং বংশ রক্ষার্থে পুত্র এবং কন্যা দুজনই সমান ভূমিকা রাখে। পুত্রের বংশধরও যেমন একজনের বংশের অংশিধার ঠিক একইভাবে কন্যার বংশধরও ওই মানুষটির বংশধর। দুজনই সমান ভাবে মানুষের বংশের অংশিধার হয়। এটাই প্রকৃতির রীতি। তাই পুরুষের বানানো পুরুষের বংশপদ্ধতির কোনই ভিত্তি নেই। এটি পুরোটই মিথ্যের উপর দাড়িয়ে আছে। তাই পুরুষই বংশের কেন্দ্র এমনটি ভাবার কোনই ভিত্তি নেই। বরং এগুলো হলো মানুষের অজ্ঞতা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনেক মানুষই আছে যারা মনে করে তাদের পুত্র সন্তানই কেবল তাদের বংশ রক্ষা করে। কন্যা সন্তান তাদের বংশ রক্ষা করে না। তারা ভাবে তাদের কন্যাগণ শুধুমাত্র অন্য কোন পুরুষের বংশ রক্ষার্থে ভূমিকা রাখে। এজন্য অনেক পুরুষই আছে যে পুত্র সন্তান না হবার জন্য আফসোস করে বেড়ায়। তারা ভাবে পুত্র সন্তান না থাকলে তার বংশ রক্ষা হবে না। এজন্যই যাদের শুধু কন্যা সন্তান রয়েছে তারা ভাবে তাদের বংশ রক্ষা হলো না। অনেকেই পুত্র সন্তানের জন্য একের পর এক সন্তান নিতে থাকে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তারা সন্তানকে ভালো করে লালন পালন করতে পারে না। অথচ তারা জানেই না যে তাদের বংশ রক্ষা তাদের পুত্রদের সাথে সাথে কন্যারাও করে। এবং যাদের শুধুমাত্র কন্যা তাদের বংশ রক্ষা কন্যাদের মাধ্যমেই হয়। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। বিজ্ঞান আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বংশ রক্ষা ছেলে মেয়ে দুজনের মাধ্যমেই ঘটে। আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে বংশের ধারণ বাহক যেমন পুরুষ ঠিক একই ভাবে নারীও বংশের ধারক এবং বাহক। বরং নারীদের মাধ্যমে যদি বংশ নির্ধারণ হতো তবে সেটাই হতো যুক্তিযুক্ত। অপর দিকে পুরুষের দ্বারা বংশ নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি ভ্রান্তিযুক্ত এবং ভিত্তিহীন অযৌক্তিক।
নাস্তিকদের কাছে প্রশ্ন!
ReplyDeleteআমার মেয়ের (৫ বছর) গত ১১/০১/২০২১ তারিখে একটা স্বর্ণের আংটি লুজ হওয়ায় হাত থেকে খুলে হারিয়ে যায়। সারাদিন অনেক জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। তাই কোথায় খুলে পড়েছে অনেক খুজেও পাওয়া যায় নি। মনে খুব কষ্ট নিয়েই মেয়ে রাত্রে ঘুমিয়ে পড়েছে। কারন আংটিটা অনেকদিন ধরে চাওয়ার পর মাত্র কয়েকদিন আগে বানিয়ে দিয়েছি। আমরাও খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম মেয়ের মন খারাপ দেখে। যাইহোক ফজরের ওয়াক্তে হঠাৎ আমার মেয়ে ঘুম থেকে উঠে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে উঠছে আম্মু আম্মু আমার আংটি পেয়েছি। ওর আম্মু জিজ্ঞেস করছে কোথায় তোমার আংটি মামুনি? মেয়ে বলছে আল্লাহ আমাকে স্বপ্নে দেখিয়েছেন খাটের নিচে আংটি পড়ে আছে। তখনি খুঁজে দেখা গেল সত্যিই খাটের নিচে আংটিটি পড়ে আছে। এই ঘটনায় আল্লাহর প্রশংসা কিভাবে করব বুঝে পাচ্ছি না। আপনারা হলে কি করতেন ????