Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Monday, December 14, 2015

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ৯)



গ্রন্থ:- আল মুরাল

সূরা কাফেরুনোফোবিয়ানো (কাফেরভীতগণ)

আয়াত - ১২৯৪, ১২৯৫ এবং ১২৯৬;

"আর তারা বলে কাফেরগণ হলো ভীরু কাপুরুষ; তারা মূর্খ, বধির এবং জ্ঞানশুন্য মানুষ। কিন্তু তারা যদি জানতো কাফেররাই হলো জ্ঞানে অপূর্ব, দুনিয়ার উন্নততর সৃষ্টি! আমিতো তাদেরকে নিকৃষ্ট করে তৈরী করেছি যারা বাস্তবজ্ঞানকে (বিজ্ঞানকে) ছুড়ে ফেলে (প্রাচীণ) কুসংস্কারময় অপজ্ঞান নিয়ে মজে আছে। বস্তত সেই সব কাফেরভীতদের জন্য ঠিক করে রেখেছি মহা ঘৃণা। তারাই মূর্খ জ্ঞানহীন এক কুসংস্কারাচ্ছন্ন জাতি।" 

 

ব্যাখ্যাঃ উক্ত আয়াতে মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের জানিয়েছেন যে, যে সমস্ত লোক বিশ্বাস করে (সম্পূর্ণ অন্ধভাবে) যে কাফেররা হলো মূর্খ, বধিন, জ্ঞানহীন; তারা কিছু বুঝে না, তারা অন্ধকারে থাকে- সেসব লোককে সৃষ্টিকর্তা মূর্খ জ্ঞানহীন বলে রায় দিয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে (যারা কাফেরদেরকে হেয় ভাবে) মূর্খ, জ্ঞানহীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন জাতি বলে আখ্যায়িত করেছে। কারণ তারা বাস্তব জ্ঞান অর্থাৎ বিজ্ঞানকে গ্রহন না করে তারা প্রাচীণ মানুষের দ্বারা রচিত কুসংস্কারকে বিশ্বাস করে। ফলে তারা কাফেরদের থেকে পিছিয়ে পড়ে; হয়ে যায় জ্ঞানহীন। বস্তুব সৃষ্টিকর্তা এই সব কুসংস্কারাচ্ছন্নদের জন্য সৃষ্টিকর্তা শাস্তি রেখেছেন। আর সেটা হলো ভবিষ্যতের মানুষ এবং বর্তমান পৃথিবীর উন্নত মানুষেরা তাদেরকে প্রচন্ড ঘুণা করবে। এটাই হলো মূর্খ, জ্ঞানহীন কুসংস্কারাচ্ছন্নদের জন্য মহা শাস্তি। সৃষ্টিকর্তা এদের কে নিকৃষ্ট জাতিদের অন্তর্ভূক্ত করে দিয়েছেন।

মোট কথা হলো কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকরা বিধর্মীদের বা কাফেরদেরকে যেমনটা মূর্খ, বধির ও জ্ঞানহীন মনে করে, সৃষ্টিকর্তা সেই সব কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকদেরকেই মূর্খ, জ্ঞানহীন কুসংস্কারচ্ছন্ন জাতি বলে উল্লেখ করেছেন। বাস্তব জ্ঞানে কাফেররাই এগিয়ে আছে, কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকরা নয়। বরং (জ্ঞান বিজ্ঞানে) উন্নত হওয়ার জন্য কাফেরদেরকে তারা ভয় পায়।

এটাই হলো সূরা "কাফেরুনোফোবিয়ানো"র ব্যাখ্যা। এই আয়াতে সৃষ্টিকর্তা কুসংস্কারাচ্ছন্ন এই সব লোকদেরকে কাফেরুনোফোবিয়ানো অর্থাৎ কাফেরভীত বলে আখ্যায়িত করেছেন।

 

সূরা পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠি

আয়াত - ১৫৮৬, ১৫৮৭, ১৫৮৮ এবং ১৫৮৯

"তাদেরকে যখন দেখানো হয় উন্নত মানুষদের কল্যাণের উদাহরণ, তখন তারা বলে এসবতো অনেক আগেই আমাদের পূর্ববর্তীদের গ্রন্থে লেখা আছে। তারা (কাফেররা) সেখান থেকে চুরি করেছে। তারা আরো 'বলে তারাতো মূর্থ বধির, তারা কিভাবে এতো উন্নত কল্যাণ আবিষ্কার করে?' বস্তুত আমি তাদেরকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন করে রেখেছি; ফলে তারা বাস্তব জ্ঞান (বিজ্ঞান) থেকে অনেক পিছনে পড়ে থাকে। আমিই তাদেরকে করে দিয়েছি মূর্খ, জ্ঞানহীন। ফলে তারা কুসংস্কার এবং বাস্তব জ্ঞানের প্রার্থক্য করতে অক্ষম। তারাই কাফেরভীত (কাফেরুনোফোবিয়ানো),  পশ্চাতপদ জনগোষ্ঠি।"

 

ব্যাখ্যাঃ এই আয়াতটিতে সুমহান সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন কাফেরভীরুদের যখন বিজ্ঞানের উন্নত আবিষ্কারগুলো দেখানো হয় তখন তারা দাবী করে যে এগুলো তাদের ধর্মগ্রন্থে অনেক আগেই উল্লেখ করা আছে। কাফেরভীরুগন বিজ্ঞান জানে না বলে মনে করে যে বিজ্ঞানের উন্নত আবিষ্কারগুলো তাদের ধর্মগ্রন্থে শহস্র বছর আগেই উল্লেখ করা আছে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলো দাবী করে থাকে যে, তাদের ধর্মগ্রন্থ থেকেই বিজ্ঞানীগন এসব আবিষ্কার পেয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিজ্ঞানীগন সেই সব কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদের ধর্মগ্রন্থ পড়েইনি। তাই তাদের দাবীর কোন ভিত্তি নেই। সে জন্যই মহান সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে কাফেরভীরু এবং পশ্চাতপদ জনগোষ্ঠি বলে সম্বোধন করেছে। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন যে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলোকে সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং নিজে কুসংস্কারাচ্ছন্ন করে রেখেছেন; ফলে তারা বিজ্ঞানের জ্ঞান থেকে অনেক পিছনে পড়ে থাকে। আর তাই তারা বাস্তব জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের জ্ঞান সম্পর্কে সম্যখ ধারণা রাখে না বলে তারা তাদের কুসংস্কারময় গ্রন্থের সাথে বিজ্ঞানকে মিলাতে চায়। আর অযৌক্তিক দাবী করে। মহান সৃষ্টিকর্তা দাবী করেছেন যে কুসংস্কারাচ্ছন্নদেরকে সৃষ্টিকর্তা কুসংস্কারাচ্ছন্ন করে রেখেছেন বলে তারা তাদের কুসংস্কারময় ধর্মগ্রন্থ এবং বিজ্ঞানের জ্ঞানের কোন পার্থক্য করতে পারে না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারকে অস্বীকার করে। মহান সৃষ্টিকর্তা দাবী করেছেন যে কুসংস্কারাচ্ছন্নরা কাফেরদেরকে ভয় পায় এবং যখন দেখে যে কাফেররা তাদের থেকে জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে গেছে তখন তারা তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মগ্রন্থটিকে বিজ্ঞানময় দাবি করে। বস্তুত এটি তারা করে উন্নত এবং জ্ঞানী কাফেরদের প্রতি তাদের কাফেরুনোফোবিয়া বা কাফেরভীতি থেকে। ফলে তারা পশ্চাতপদ থেকে যায়।

এটাই হলো এই আয়াতটির ব্যাখ্যা।

 

সূরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, আয়াত - ৮১১, ৮১২, ৮১৩, ৮১৪, ৮১৫, ৮১৬ এবং ৮১৭,

"আর যখন তাদেরকে দেখানো হয় বাস্তব জ্ঞানের মহিমা তখন তারা মুখ বাঁকা করে বলে, এতো সেই কথা যা বলা আছে আমাদের পূর্ববর্তীগনের গ্রন্থে। আমাদের গ্রন্থ কত মহান!' আমাদের পূর্ববর্তীগনই প্রকৃত সত্য বলেছে।' বস্তুত তারা এজন্য এমনটি বলে কারণ আমিই তাদেরকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন করে রেখেছি। তারাতো চির কুসংস্কারাচ্ছন্ন, যারা বাস্তবতা বিমুখী। আর যখন তাদের সামনে তুমি বাস্তব জ্ঞানকে উপস্থাপন করবে তখন তারা বলবে, এটা কখনই সত্য হতে পারে না; এটাতো আমাদের পূর্ববর্তীদের গ্রন্থের বিরুদ্ধে। এটা কখনই সত্য নয়। এটা কাফেরদের ষড়যন্ত্র। বস্তুত আমি তাদেরকে এজন্য কুসংস্কারাচ্ছন্ন করে রেখেছি যাতে তারা তাদের অহংকারের গ্রন্থ নিয়ে যুগ যুগ ধরে ঘৃণিত হতে পারে। তারাই সেই জাতি, বাস্তব জ্ঞান (বিজ্ঞান) বহির্ভুত, কাফেরভীরু (কাফেরুনোফোবিয়ানো) পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠি।"

 

ব্যাখ্যাঃ মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের জানিয়েছেন যে যখন কুসংস্কারাচ্ছন্নদেরকে বিজ্ঞানের মহিমা এবং বিজ্ঞানের জয়গান দেখানো হয় তখন তারা দাবী করে যে এই বিজ্ঞানের জয়গানগুলো তাদের ধর্মগ্রন্থে অনেক আগেই বর্ণিত হয়েছে। তাই তারা দ্বাবী করতে থাকে যে তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো বিজ্ঞানসম্মত এবং সত্য ধর্মগ্রন্থ। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে তাদেরকে (যারা এমন ভিত্তিহীন দাবী করে) তাদেরকে তিনি কুসংস্কারাচ্ছন্ন করে রেখেছেন। বস্তুত কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকগন বিজ্ঞান সম্পর্কে জানে না বলে তারা এমনটা দাবী করে থাকে। কারণ সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে বাস্তবতা বা বিজ্ঞান বিমুখী করে রেখেছেন। আর এজন্যই তারা বিজ্ঞানের জ্ঞান থেকে অনেক পিছনে পড়ে থাকে। ফলে তারা বিজ্ঞানের উন্নত আবিষ্কার গুলো সম্পর্কে ভালো ভাবে জানে না; তারা এমনটি দাবী করে থাকে। সৃষ্টিকর্তার মতে, তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো হলো কুসংস্কারের কারখানা। আর তাই তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোতে দেখলে দেখা যায়, সেখানে বাস্তবতা বহির্ভূত এবং বিজ্ঞান বিরোধী নানা কথা বলা হয়েছে।

সব থেকে অদ্ভুত ব্যাপার হলো তাদের ধর্মগ্রন্থের সাথে যখন বিজ্ঞানের কোন তত্ব না মিলে অর্থাৎ তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়, সেসব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোকে তারা মিথ্যা বলে দাবী করে। তারা বলে তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোই সত্য বরং বিজ্ঞানই মিথ্যা কথা বলছে।

এজন্যই মহান সৃষ্টিকর্তা এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদেরকে বাস্তাবতা বর্জিত, ঘৃ্ণ্য বলে দাবী করেছেন। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলো দাবী করে যে তাদের ধর্মগ্রন্থ সত্য, বিজ্ঞান সত্য নয়। তারা আরো দাবী করে থাকে যে এগুলো কাফেরদের ষড়যন্ত্র। এসম্পর্কে সৃষ্টিকর্তা দাবী করেছেন যে এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলোকে মহান সৃষ্টিকর্তাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন করে রেখেছেন যাতে তাদের যে গ্রন্থটি নিয়ে তারা অহংকার করে সেটির জন্যই তারা যুগ যুগ ধরে মানুষের দ্বারা ঘৃণিত হতে পারে।

মহান সৃষ্টিকর্তা কুসংস্কারাচ্ছন্ন জনগোষ্ঠিকে এজন্য ঘৃণার শাস্তি দিবে কারণ তারা তাদের কুসংস্কারময় ধর্মগ্রন্থটি নিয়ে অহংকার করেছে এবং এটিকে বাস্তব জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের উপরে স্থান দিতে চেয়েছে। সৃষ্টিকর্তার মতে এজন্যই তারা এটা করেছে কারণ তারা হলো পশ্চাতপদ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, বিজ্ঞান বিরোধী, এবং ভ্রান্তিতে বুঁধ হয়ে থাকা কাফেরভীরুতায় আক্রান্ত এক জাতি। এজন্য সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পশ্চাতপদ এবং কাফেরুনোফোবিয়ায় আক্রান্ত এক ঘৃণ্য জাতি বলে সম্বোধন করেছে।

বস্তুত কুসংস্কারাচ্ছন্নদের জন্য এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত শাস্তি যে তারা যুগ যুগ ধরে মানুষের ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকবে।

 

সূরা পতন

আয়াত ১৪৩৩,১৪৩৪,১৪৩৫

"আর তারা যখন দাবী করে যে তাদের পূর্ববর্তীগনের গ্রন্থের মতো কোন গ্রন্থ কেউ তৈরী করতে পারবে না" তখন আমি তাদেরকে জগতের কাছে হাস্যস্পদ করে দেই। ফলে তারা কৌতুকের উৎপত্তি ঘটায়। তারা কি কখনও ভেবে পায় না কেন তারা বাস্তব জ্ঞানে পিছিয়ে থাকে? বস্তুত আমিই তাদেরকে কাফেরভীতু করে তৈরী করেছি যাতে তারা বাস্তব জ্ঞান বিবর্জিত হতে পারে। তারাতো বাস্তব জ্ঞান রাখে না। বাস্তব জ্ঞান কত উৎকৃষ্ট যদি তারা জানতো! ফলে তারা কাফেরুনোফোবিয়ানো হয়ে যায় আর কুসংস্কারময় দাবী করে। বস্তুত তাদের সমস্ত লোক মিলেও বাস্তব জ্ঞানের মতো (বিজ্ঞানের মতো) উন্নত জ্ঞান কখনই তৈরী করতে পারবে না।"

 

ব্যাখ্যাঃ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষরা যেমনটি দাবী করে থাকে যে তাদের ধর্মগ্রন্থের মতো কোন গ্রন্থ তৈরী করা সম্ভব নয়। এ কথার উত্তরে মহান সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, তাদেরকে তিনি পৃথিবীর মানুষের কাছে হাস্যকর ব্যক্তিতে পরিণত করেছেন। আর এই দাবীর দ্বারা তারা মানুষের মাঝে কৌতুকের তৈরী করেছে যা দ্বারা তারাই বরং হাসীর পাত্র হয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে প্রশ্ন করেছেন যে, তারা কি কখনও ভাবে না যে তারা কেন জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে? যদি তাদের ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের আসলেই কোন উপাদান থাকতো তবে তারাই কেন জ্ঞান বিজ্ঞানে সব থেকে পিছিয়ে পড়েছে? তাদেরই তো সব থেকে এগিয়ে যাবার কথা ছিল। এই বিষয়টি সৃষ্টিকর্তা সেই সব কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদেরকে ভেবে দেখতে বলেছেন।

সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, তিনিই কুসংস্কারাচ্ছন্নদেরকে কাফেরভীরু করেছেন যাতে তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়ে। ফলে তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত বিজ্ঞানীদের ভয় পায়। আর এমন হাস্যকর দাবী করে বসে।

সৃষ্টিকর্তা বলেছেন তাদের কুসংস্কারময় ধর্মগ্রন্থগুলো এতটা জঘন্য যে বিজ্ঞানের জ্ঞান তার থেকে হাজার গুন উৎকৃষ্ট। আর তাই তাদের ধর্মগ্রন্থ কখনই বিজ্ঞানের মতো উন্নত নয়। আর তাই বিজ্ঞানীদেরকে তারা ভয় পায়। এজন্যই তারা তাদের কুসংস্কারময় ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় এবং উৎকৃষ্ট দাবী করে সম্পূর্ণ অন্ধভাবে এবং কাফেরভীতি থেকে।

মহান সৃষ্টিকর্তা সেসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদেরকে বুঝাতে চেয়েছে যে তাদের সমস্ত লোক মিলেও বিজ্ঞানের মতো বা বিজ্ঞানের কাছাকাছি মানের কোন জ্ঞান তৈরী করতে কোনদিনও পারবে না।

এটাই হলো এই আয়াতটির ব্যাখ্যা।

 

বি.দ্র.: পর্বটি পড়ে কোন বিশেষ ধর্মের দুর্বল অনুভূতি সম্পন্ন মানুষ ধর্মানুভূতি নামক অদ্ভুত অনুভুতিতে আঘাত পেতে পারেন তাদের কাছে ক্ষমা পূর্বক দাবী যে তারা বলে তাদের ধর্মগ্রন্থের মতো ভালো গ্রন্থ তৈরী করা সম্ভব নয় তাদের কে বুঝানোর জন্যই এই পর্বটির অবতারনা যে তাদের ধর্মগ্রন্থের চেয়েও ভালো গ্রন্থ লেখা সম্ভব

কেই ব্যক্তিগত ভাবে নিলে লেখক দায়ী থাকবে না।

 

 

No comments:

Post a Comment