Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Saturday, March 21, 2015

ধর্ম বা প্রার্থনা ধর্ম (Religion) আর বাস্তবতা এক নয় । (পর্ব ৩) ধর্মের ধ্যান ধারণা এবং বাস্তবতা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।



ধর্ম আর বাস্তবতা এক নয়ধর্ম হলো বাস্তবতা বহির্ভুত কাল্পনিক ধ্যান ধারণা এবং বিশ্বাসের সামষ্টিক রুপতাই ধর্ম এবং বাস্তবতা পরস্পর সাংঘর্ষিকধর্ম যা কিছুকে সত্য বলে মনে করে বাস্তবে সেসবই মিথ্যা ও কল্পনা মাত্রআবার ধর্ম যেসব কাজ ভালো মনে করে সেগুলো আসলে বাস্তবের ভালোর সাথে মিল নেইফলে ধর্মের সাথে বাস্তবতার সংঘর্ষ প্রাচীণকাল থেকেই চলে আসছেধর্মের মূল ভিত্তি হলো কল্পনাকিন্তু বাস্তবতায় কল্পনার কোন স্থান নেইতাই ধর্ম এবং বাস্তবতা কখনই এক হতে পারে না

ধর্ম বলে আত্মা বলে অমর এক স্বত্বা আছে যা জীব দেহে উপস্থিত থাকে বলে জীবের প্রাণ থাকে বা জীব জীবিত থাকেকিন্তু বাস্তব জ্ঞান তথা বিজ্ঞান বলে আত্মা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেইজীব বেঁচে থাকে যতক্ষন জীব দেহে রাসায়নিক ক্রিয়া স্বক্রিয় থাকেরাসায়নিক ক্রিয়া কোন কারনে বন্ধ হয়ে গেলে সেই জীবটি মারা যায়

জীব এবং জড়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হলে আগে জানতে হবে জীব বা জীবন আসলে কি?

জীবের সব চেয়ে ভালো সংজ্ঞাটি হলো-

জীব হলো জৈব রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা তৈরী এমন একটি রাসায়নিক ব্যবস্থা বা সিস্টেম যার অন্তর্বর্তী রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলোকে সেই জৈব রাসায়নিক ব্যবস্থাটি নিজেই নিয়ন্ত্রক করেঅর্থাৎ সেই রাসায়নিক সিস্টেমটি নিজের অভ্যন্তরিন রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো নিজেই নিয়ন্ত্রন করে এবং নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারে

জড় রাসায়নিক ব্যবস্থার (বা সিস্টেমের) সাথে জীবের পার্থক্য হলো জীব তার সিস্টেমের সব রাসায়নিক বিক্রিয়া নিজে পরিচালনা করে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো নিজেই নিয়ন্ত্রন করতে পারেকিন্তু জড় রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো অনিয়ন্ত্রিত থাকেতাই, যে রাসায়নিক সিস্টেম তার অভ্যন্তরিন রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো নিজে নিয়ন্ত্রন করে সেই রাসায়নিক সিস্টেমটিই হলো জীব

কিন্তু যখন জীব তার অভ্যন্তরিন রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো আর নিয়ন্ত্রন করতে পারে না তখন জীবটি মারা যায়  

প্রত্যেকটি জীব গঠিত হয় জৈব জড় পদার্থ দ্বারাএবং তার অভ্যন্তরিন বিক্রিয়াগুলো সে নিজেই পরিচালনা করে এবং নিয়ন্ত্রন করেফলে কোন কারনে যখন জীবটি তার অভ্যন্তরিন রাসায়নিক বিক্রিয়া গুলোকে আর নিয়ন্ত্রন করতে পারে না তখন জীবটি মারা যায়জীবের শারীরিক গঠন এবং এর অভ্যন্তরিন সব রাসায়নিক উপাদানগুলোই জড় পদার্থকিন্তু যখন এই জড় সিস্টেমটি তার অভ্যন্তরিন বিক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয় তখন এটি জীবন্ত হয়ে উঠে

কিন্তু প্রশ্ন হলো জীব গঠিত হয় জৈব জড় পদার্থ দ্বারা, এমনকি এর অভ্যন্তরিন রাসায়নিক বিক্রিয়কগুলোও জড় পদার্থের; তাহলে কি এমন বাড়তি জিনিস বা উপাদান থাকে যা সেই রাসায়নিক সিস্টেমটিকে জীবন্ত করে তুলে?

আস্তিকরা এই প্রশ্নটির আগা মাথা না ভেবেই চোখ বন্ধ করে বলে দেয়, সেই বাড়তি উপাদানটি হলো আত্মা, যার কখনই মৃত্যু নেই

কিন্তু একজন বাস্তব বাদী মানুষ কখনই একটা রহস্যকে ব্যাখ্যা করতে আরেকটা রহস্যের আমদানী করে নাবাস্তববাদী এবং বিজ্ঞানমনস্ক কেউ এই প্রশ্নটির উত্তর অনেক ভেবে চিন্তে দেয় বলে তার উত্তর উত্তরটি হয় বাস্তব সম্মত

বিজ্ঞান বিশ্বজগতের সব কিছুকেই বাস্তব জ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেএর জন্য কাল্পনিক কোন স্বত্বার (আত্মা, সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদির) দারস্ত হতে হয়নি

বাড়তি যে উপাদানটি জীবকে জীবন্ত করে সেটা হলো সেই নিয়ন্ত্রিত সিস্টেমের মধ্যে সংগঠিত হওয়া রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো থেকে উৎপন্ন হওয়া শক্তির খরচ হওয়াআমরা জানি প্রতিটা বিক্রিয়ায় শক্তি ব্যবহৃত হয়, উৎপন্ন হয় এবং শক্তির খরচ হয়ঠিক তেমনি জীবের অভ্যন্তরিন রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো থেকেও শক্তি উৎপন্ন হয় এবং খরচ হয়জড় মাধ্যমে বা সিস্টেমে শক্তি উৎপাদন ও খরচ হলেও সেটি জীবন্ত থাকে না কিন্তু জীবের ক্ষেত্রে জৈব জড় মাধ্যমটি তার নিজের অভ্যন্তরিন বিক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রন করতে পারে এবং উৎপন্ন হওয়া শক্তিকে নিজেই খরচ করতে পারে বলে সেটি জীবন্ত হয়ে উঠে

জীবের জীবন্ত হওয়ার পিছনে জীব দেহের গঠনটি যেমন অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে ঠিক তেমনি উৎপন্ন হওয়া শক্তির ব্যবহারটাও জীবটিকে জীবন্ত রাখেযদি কোন কারণে শক্তি উৎপন্ন হওয়া বা খরচ হওয়া থেমে যায় তবে জীবের দেহ ঠিক থাকলেও জীবটি আর জীবিত থাকে নাঅর্থাৎ জীবটিকে জীবিত রাখতে যেমন জৈব রাসায়নিক ব্যাবস্থাটিকে দরকার ঠিক তেমনি ভাবে শক্তির ব্যবহারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন

অর্থাৎ সামগ্রিক ভাবে জীব হলো সেটাই যে রাসায়নিক সিস্টেমটা তার অভ্যন্তরিন বিক্রিয়াগুলোকে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে এবং সেই শক্তিকে ব্যবহার করে

সুতরাং এই ব্যাখ্যায় কোন সৃষ্টিকর্তা বা আত্মার আমদানী করার প্রয়োজন হয় না 

জীব সম্পর্কে এমন ব্যাখ্যা শুনার পর আস্তিকদের যত অদ্ভুতই লাগুক না কেন, এটাই হলো সত্যি এবং বাস্তবতা

জীব দেহ থাকলেই এবং সেটি তার রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রন করতে পারলেই কিন্তু জীবের বুদ্ধিমত্তা তৈরী হয় নাআবার জীবন থাকলেই কোন জীবের মন তৈরী হয় নাসেসব জীবের মস্তিষ্ক আছে অর্থাৎ সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম আছে শুধুমাত্র সেই জীবটিরই মন আছেসেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে একটি মস্তিষ্ক থাকে এবং নানা নার্ভ টিস্যু থাকেজীব দেহে মস্তিষ্ক এবং সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম থাকলেই তার একটি মন তৈরী হয়

এক্ষেত্রেও প্রশ্ন আসে জীব গঠিত হয় জৈব রাসায়নিক উপাদান দিয়ে এবং এর অভ্যন্তরিন বিক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে উৎপন্ন শক্তি ব্যয় করার মাধ্যমেই যদি জীব জীবিত থাকে আর মস্তিষ্ক ও নার্ভ টিস্যুগুলোও যদি জৈব রাসায়নিক উপাদান হয় তবে জীবের মন তৈরী হয় বাড়তি কোন উপাদানটার জন্য?  

এক্ষেত্রেও আস্তিকরা চোখ বন্ধ করে আত্মার কথা বললেও আসলে শক্তি খরচের মাধ্যমেই মনের সৃষ্টি হয়জীব দেহ শক্তি ব্যবহার করে জীবন্ত থাকে এবং মস্তিষ্ক শক্তি খরচ করার মাধ্যমে মনের সৃষ্টি করেজৈব জড় পদার্থ যেমন শক্তি খরচ করে জীবন্ত হয়ে উঠতে পারে ঠিক তেমনি জৈব মস্তিষ্ক শক্তি খরচ করার মাধ্যমে মনের সৃষ্টি করে

আর যখন জীব দেহ এবং মস্তিষ্ক শক্তি উৎপাদন ও ব্যয় করতে পারে না তখন সেই জীবটি মারা যায়কোন প্রাণীর মন মারা যায় মস্তিষ্ক মারা যাবার কারণেআবার মস্তিষ্ক বেঁচে থাকলেও যদি সেটি শক্তি খরচ করতে না পারে তবে মন অকার্যকর হয়ে পড়েএমনকি মস্তিষ্ক যদি সাভাবিক কাজ ঠিক ভাবে না করতে পারে তবুও মন নিষ্কৃয় হয়ে যেতে পারে

অর্থাৎ মস্তিষ্ক ও মস্তিষ্কের শক্তি খরচ করাই জীবের মন তৈরী করে

সুতরাং জীব বা প্রাণী হলো একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যম বা সিস্টেম যা রাসায়নিক বিক্রিয়াকে খরচ করে এবং সেই মাধ্যম বা সিস্টেমটি জীবন্ত হয়ে উঠে এবং মন হলো জীব দেহে অবস্থিত মস্তিষ্ক এবং মস্তিষ্কের শক্তি খরচ করার ফলে উৎপন্ন একটি সচেতন স্বত্বা

অর্থাৎ আপনি আপনার যে স্বত্বাটির অস্তিত্ব অনুভব করছেন সেটি হলো কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন শক্তির খরচের ফলে উৎপন্ন হওয়া একটি স্বত্বা মাত্রআর আপনি হলেন কিছু জৈব জড় পদার্থের তৈরি এমন একটি রাসায়নিক মাধ্যম বা সিস্টেম যা নিজেই রাসায়নিক বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রন করে শক্তি উৎপাদন করে এবং সেই শক্তিকে ব্যবহার করেআপনি একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নন   

সুতরাং দেখা যাচ্ছে জীবনের বর্ণনায় কোন আত্মা এবং সৃষ্টিকর্তার আমদানী করার প্রয়োজন হচ্ছে নাআত্মা বা সৃষ্টিকর্তাকে দিয়ে জীবনের ব্যাখ্যা করাটা হলো একটা রহস্যকে আরেকটা রহস্য দ্বারা ব্যাখ্যার ব্যর্থ চেষ্টা করাকারণ কোন আস্তিকই আত্মা কি, কি দিয়ে তৈরী, সৃষ্টিকর্তা কি, সৃষ্টিকর্তা কি দিয়ে তৈরি এসবের কোন উত্তরই দিতে পারে নাবরং তারা একটা রহস্যকে আরেকটা বড় রহস্য দিয়ে ব্যাখ্যা হরে বিষয়টিকে আরো জটিল করে তুলে

কিন্তু বিজ্ঞান সব বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করে বাস্তব জ্ঞান ও প্রমাণ হাজির করেফলে কোন রহস্যই আর অবশিষ্ট থাকে না

জীব কেন জীবন্ত সেটা ব্যাখ্যা করার জন্য আর আত্মার মতো হাস্যকর বিষয়কে আনতে হয়নি, মন কি সেটা ব্যাখ্যা করতে আত্মার মতো হাস্যকর কিছুকে আনতে হয়নিবিজ্ঞান সব প্রশ্নের উত্তর বাস্তব জ্ঞান দিয়েই দিয়েছেফলে বিজ্ঞানের কাছে আত্মার ধারনা পরিত্যাজ্য হয়েছেসৃষ্টিকর্তার মতো অদ্ভুদ এক চরিত্রের আমদানী করার প্রয়োজন নেই বিজ্ঞানেরবিজ্ঞান আজ জন্ম মৃত্যু, জীবন জড়ের পার্থক্য করেছে বাস্তব জ্ঞান দিয়েতাই বিজ্ঞান হলো সত্য 

অন্যদিকে ধর্ম আত্মা, সৃষ্টিকর্তার মতো কাল্পনিক ধারণাগুলোর আমদানী করে সব কিছুতে হাস্যকর করে তুলেছেকারণ বাস্তবতা আর কল্পনা কখনই সত্য হয় নাধর্ম যেহেতু কাল্পনিক বিষয়গুলো দিয়ে বিশ্বজগতকে ব্যাখ্যা করেছে তাই রহস্যের কোন কিনারা হয়নিবরং ধর্ম আত্মা, সৃষ্টিকর্তা প্রভৃতি কাল্পনিক ধারনাগুলোর আমদানী করে এসব বিষয়গুলোকে জটিল ও হাস্যকর করেছিলকিন্তু বিজ্ঞান বিশ্বজগত সৃষ্টির বাস্তব কারণ উদঘাটন করেছেতাই আত্মা, পরমাত্মা ও সৃষ্টিকর্তার মতো কাল্পনিক প্রাচীণ ধারণাগুলো পরিত্যাগ করা হয়েছে

ধর্মের মতে সব কিছু তৈরী করেছে সৃষ্টিকর্তা নামের রহস্যময় এক স্বত্বাকিন্তু বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে, বিশ্বজগত সৃষ্টিতে কোন সৃষ্টিকর্তার দরকার হয়নিবিশ্বজগত কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই পদার্থবিজ্ঞানের সুত্র মেনে সৃষ্টি হয়েছে নিজে নিজেইআবার ধর্মের দাবী জীব জীবন্ত থাকে আত্মার মতো এক রহস্যময় উপাদানের কারণেকিন্তু বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে জীব তার অভ্যন্তরিন রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন শক্তি খরচের মাধ্যমে জীবন্ত হয়এর জন্য কোন আত্মার দরকার হয়নাধর্মের দাবী মানুষের মধ্যে আত্মার উপস্থিতি রয়েছে বলে তার একটি মানব মনের অস্তিত্ব সৃষ্টি হয়েছেকিন্তু বিজ্ঞান বলে মন তৈরী হয় মস্তিষ্ক এবং মস্তিষ্কে শক্তি খরচ হবার মাধ্যমেকোন আত্মার দরকার হয়না মন তৈরীতে

ফলে ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সংঘর্ষ রয়েছেধর্ম আর বিজ্ঞান কখনই এক নয়বিজ্ঞান হলো বাস্তব এবং ধর্ম হলো কল্পনা মাত্রসুতরাং ধর্ম আর বিজ্ঞান কখনই এক নয়

 

ধর্ম বলে বিশ্বজগতের পূর্বেও একজন সৃষ্টিকর্তা ছিলকিন্তু বিজ্ঞান বলে বিশ্বজগত সৃষ্টির পূর্বে কোন জায়গা বা স্থান ছিল না এবং বিশ্বজগত সৃষ্টির পূর্বে কোন সময়ও ছিল নাঅর্থাৎ বিশ্বজগত সৃষ্টির কোন অতীত বা পূর্ব ছিল না এবং কোন স্থান বা জায়গাও ছিল নাতাহলে সৃষ্টিকর্তা সময়হীন ও স্থানহীন অবস্থায় কোথায় ছিল? এটা বিজ্ঞানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিকবিজ্ঞান বলে বিশ্বজগত সৃষ্টির সাথে সাথে স্থান বা জায়গার সৃষ্টি হয়েছে এবং সাথে সাথে সময়ও সৃষ্টি হয়েছেফলে বিশ্বজগতের পূর্ব বলে কিছু নেইতাই বিশ্বজগতের সৃষ্টির পূর্বে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকার মতো সময় বা স্থান কোনটিই ছিল নাআর এজন্যই বিজ্ঞান সৃষ্টিকর্তার ধারনাকে পরিত্যাগ করেছে

ধর্ম হলো মানুষের কল্পনার সামষ্টিক রুপআর বিজ্ঞান হলো বাস্তবতার সামষ্টিক রুপফলে কল্পনার ধর্ম আর বাস্তবতা কখনই এক হতে পারে না  

তাই ধর্ম আর বাস্তবতা এক নয়  

আবার ধর্মের ভালো মন্দ আর বাস্তবের ভালো মন্দ এক নয়

ধর্মগুলো দাবী করে তারা ভালো মন্দের নির্ধারকধার্মীকদের দাবী যদি ধর্ম না থাকতো তবে পৃথিবীতে ভালো খারাপের পার্থক্য করা যেতো নাসমাজে ভালো ও খারাপের পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য একমাত্র ধর্মের উপরে ভরসা করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই বলে ধার্মিকরা দাবী করে থাকে

কিন্তু সমস্যা হলো, ধর্মের ভালো খারাপ এবং বাস্তবতার ভালো খারাপ এক নয়ধর্মে যা ভালো, দেখা যায় বাস্তবতার ক্ষেত্রে সেগুলো জঘন্য অপরাধআবার ধর্ম যেগুলোকে খারাপ বলেছে দেখা যায় বাস্তব ক্ষেত্রে সেগুলোই উত্তম কাজ

যেহেতু ধর্মের ভালো খারাপগুলো এবং বাস্তবের ভালো খারাপগুলো সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার তাই ভালো খারাপ নির্নয়ে ধর্মের ভুমিকা শুন্য

উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যাবেএকটি ধর্মে ভালো কাজ হচ্ছে সেই ধর্মের নির্দিষ্ট করে দেওয়া সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করাআর এটাই হলো ধর্মের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভালো কাজকিন্তু এই কাজটি বাস্তবতার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থহীন তাই এটাকে ভালো কাজ হিসেবে দেখা হয় নাবাস্তবতার ক্ষেত্রে ভালো কাজ হলো উন্নয়নমুলক কাজযে কাজ গুলো মানব সভ্যতার জন্য উপকারী সেইসব কাজ করাটাই হলো ভালো কাজআর সে সব কাজ মানব জাতির জন্য অকল্যাণকর সে সব কাজই খারাপ কাজযেমন- বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার যেগুলো মানুষের জন্য উপকারি সেটাও ভালো কাজবন্যার্তদেরকে খাদ্য, পানি, ঔষধ ইত্যাদি দান করা হলো ভালো কাজআবার স্কুল তৈরী করে মানুষকে শিক্ষিত করাটাও অত্যন্ত ভালো কাজ

অর্থাৎ বাস্তব জগতের ভালো কাজ হলো উন্নয়নমুলক কাজ এবং পরের উপকার জনীত কাজকিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে প্রধান ভালো কাজ হলো সেই ধর্মের সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা, পুজা, বা উপাসনা করাকিন্তু এটি মানব সভ্যতার জন্য কোন কল্যাণ আনতে পারে নাবরং উপাসনার জন্য মানুষের অনেক অনেক সময় এবং অর্থের অপচয় হয় বলে প্রার্থনা বা উপাসনা একটি খারাপ কাজ

কিন্তু আস্তিকরা এটাকে মেনে নেবে নাতাদেরকে বুঝানোর জন্য একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারেপৃথিবীতে হাজারো ধর্ম আছেপ্রতিটা ধর্মের সৃষ্টিকর্তা বা ইশ্বর আলাদা আলাদাএবং প্রত্যেক ধর্মই যার যার সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেযেমন মুসলমানরা নামাজ পড়ে এবং হিন্দুরা নানা রকমের পুজা করেএখন হিন্দুদের কাছে মুসলমানদের নামাজ একটি অর্থহীন এবং সময় অপচয়ী কাজহিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী মুসলমানরা যত নামাজ রোজা করুক না কেন তাদের এ উপাসনা কোন কাজেই আসবে নাহিন্দুদের ধারণা মতে শুধু মাত্র তাদের পুজাই হলো একমাত্র উপাসনা যা মানব জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবেআর বাকী সব ধর্মের অনুসারীদের উপাসনার কোন মূল্য নেই সৃষ্টিকর্তার কাছেতাই বাকী ধর্মের উপাসনা সময় ও অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়হিন্দুদের কাছে বাকী সব ধর্মের অনুসারীদের উপাসনা হলো সব চেয়ে খারাপ কাজ

 

আবার মুসলমানদের ধারণা ও বিশ্বাস সম্পূর্ণ ভিন্নমুসলমানদের ধারণা একমাত্র নামাজেই মানব জাতির কল্যাণ নিহীতআর বাকী ধর্মের পুজা বা উপাসনা হলো অর্থহীন কাজমুসলমানদের মতে শুধু মাত্র নামাজ রোজাই দিতে পারে মানুষের মুক্তি এবং এতেই মানব জাতির কল্যাণ নিহীতআর বাকী সবার পুজা বা উপাসনা হলো সময় ও অর্থের অপচয়এবং মুসলমানদের কাছে বাকী ধর্মের অনুসারীদের ওইসব উপসনার কাজ হলো সব থেকে খারাপ কাজ

সুতরাং দেখা যাচ্ছে এক ধর্মে যেটা সব থেকে ভালো কাজ সেটিই আবার ভিন্ন ধর্মের কাছে সব থেকে খারাপ কাজ

কিন্তু যেহেতু কোন ধর্মের কোন উপাসনাই মানব জাতির জন্য কোন কল্যান বা উপকার করে না কিন্তু মানুষের সময় এবং অর্থের অপচয় ঘটায় তাই সব ধর্মের সব উপাসনাই খারাপকারণ এতে মানুষের সময় ও অর্থের ক্ষতি হয়আর ক্ষতিকর কাজই হলো বাস্তবের ক্ষেত্রে খারাপ কাজআর কল্যাণকর কাজই হলো ভালো কাজ  

আবার ধর্মের ক্ষেত্রে পশু জবাই করা হলো পুন্যের কাজতাই ধর্মগুলো হাজার পশু হত্যা করে উৎসব করে যেটা শুধু ক্ষতিকর কাজই নয় বরং ভয়ংকর অমানবিক কাজ

মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে পশুকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেএই কাজটিই হলো অমানবিক কাজআর যদি পশু হত্যার উৎসব করা হয় তবে সেটা ভয়ংকর এক খারাপ কাজপশুরা মানুষের নানা ভাবে উপকার করে থাকেতাই মানবিক মানুষদের মানবিক দায়িত্ব হলো পশুদের সেবা করা, তাদেরকে দেখে রাখাকিন্তু সেই মানুষ যখন পশুদেরকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে সেটা খুব জঘন্য একটি কাজআর যখন সেই পশুদেরকে হত্যা করার উৎসব করা হয় এটি মানব জাতির জন্য ক্ষতিকরই নয় বরং ভয়ংকর এক অমানবিক কাজহাজার হাজার পশু হত্যার উৎসব করে ধার্মিকগুলোলক্ষ লক্ষ পশুকে হত্যা করে এই অমানবিক ধার্মিকগুলোআর এই সময়ে পশু খাবার জন্য মানুষ হিংস্র হয়ে উঠেতখন মানুষের আর পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে নাএকদিনে লক্ষ লক্ষ পশু হত্যা করে তাদেরকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে খাদ্যের চরম অপচয় করা হয়। (কারণ সেই উৎসবের সময়ে প্রচুর পরিমানে পশুর মাংস খাওয়া হয় যেটা শরীরের জন্য অপকারীকারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের হিসেবে আমিশ জাতিয় খাবার পরিমিত থেতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় পরপরকিন্তু যখন কুরবানী জাতিয় পশু হত্যার উৎসব করা হয় তখন দেখা যায় মানুষ দু এক দিনের মধ্যে পচুর পরিমান মাংস খেয়ে ফেলেযেটা খাদ্য অপচয়ের কারণ হয়ে দাড়ায়একবারে এতো আমিশ না খেয়ে সারা বছর একটি নির্দিষ্ট পরিমানে আমিষ গ্রহন করা উচিৎ।)

এটি কখনই কোন ভালো কাজ হতে পারে নাআর অমানবিক এই কাজটিকেই ধার্মিকরা পরম ভালো কাজ মনে করেপ্রকৃতপক্ষে এটি মানুষের লোভ লালসার একটা প্রতিফলনযেহেতু এই উৎসবে মানব জাতির উপকারের চেয়ে অপকার হয় বেশী তাই এটি খারাপ কাজ হিসেবে গন্য হয়

আবার যেহেতু এটি অমানবিক তাই এটি নৈতিক নয়কারণ এক প্রানী অন্য প্রাণীকে বাঁচার তাগিদেই বক্ষন করতে পারেকিন্তু যখন তার অন্য উপায়ে বেঁচে থাকার উপায় থাকে তখন এক পশুর অন্য পশুকে হত্যা করা চরম অপরাধ হিসেবে গন্য হয়যদি পৃথিবীতে মানুষ রাজত্ব না করে বাঘ বা সিংহ রাজত্ব করতো তবে তারাও মানুষকে ধরে কুরবানীর উৎসব করতোসেটা মানুষের কাছে যেমন অমানবিক নৃশংস হতো ঠিক তেমনি পশুদের কাছেও মানুষের এমন পশু হত্যার উৎসব জঘন্যতম খারাপ কাজ

তাই পশু হত্যার এই উৎসবকে বাস্তবতার হিসেবে খারাপ কাজ হিসেবে গন্য করা হয়

শুধু তাই নয়, এক ধর্মে কোন এক রকমের পশুকে হত্যা করা বা কুরবানি দেওয়া যদি পরম ভালো কাজ হয় তবে সেটাকে অন্য ধর্মের অনুসারীরা সব চেয়ে খারাপ কাজ হিসেবে দেখেএক ধর্মে যদি গরু হত্যা করে ভক্ষন করা ভয়ংকর অন্যায় হয় তবে অন্য ধর্মে সেটা পরম পুন্যের কাজআবার এক ধর্মে যদি শুকর হত্যা করে ভক্ষন করা পরম ভালো কাজ হয় তো সেটাই অন্য ধর্মের কাছে সব চেয়ে খারাপ কাজ

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে ধর্মের ভালো খারাপ ধর্ম ভেদে বদলে যায়কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে যা কিছু কল্যাণকর সেগুলোকেই ভালো কাজ বলা হয়আর বাস্তব ভালো কাজ কখনই লোক ভেদে বদলে যায় না

মুসলমানরা গরুর মাংস খাওয়াকে ভালো কাজ হিসেবে দেখেকিন্তু হিন্দুদের কাছে গরুর মাংস খাওয়া সব চেয়ে বড় খারাপ কাজআবার হিন্দুদের কাছে শুকরের মাংস খাওয়া ভালো কাজ কিন্তু মুসলমানদের কাছে এটা হলো সব চেয়ে খারাপ কাজ

কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে শুকর এবং গরুর মাংস সমান উপকারী এবং অপকারীচিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে গরু ছাগল ও শুকর প্রভৃতি লাল মাংস মানুষের জন্য ক্ষতিকর সমান ভাবে

তাই ধর্মের ভালো আর বাস্তবের ভালো এক নয় এবং ধর্মের খারাপ ও বাস্তবের খারাপও এক নয়  

ধর্মের মতে নিজের ধর্ম বাদে সব ধর্মের অনুসারীদেরকে শত্রু হিসেবে দেখা হয়ধর্মগুলো বিশ্বভ্রাত্রিত্বে বিশ্বাস করে নাধর্মের কাছে নিজের ধর্মের অনুসারীদেরকে সর্বোৎকৃষ্ট মনে করা হয় এবং ভিন্ন ধর্মের মানুষদেরকে সর্বনিকৃষ্ট মনে করা হয়কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে সব মানুষই সমানধর্মের ক্ষেত্রে নিজ ধর্মের মানুষের মধ্যে মানবতা দেখানোকে ভালো কাজ বলা হয় এবং ভিন্ন ধর্মের মানুষের ক্ষেত্রে অমানবিক হলেও ধর্মে সেটাকে খারাপ বলা হয় নাকিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে সব মানুষকে সমান করে দেখাকে ভালো কাজ বলা হয় এবং মানুষে মানুষে প্রার্থক্য করাকে খারাপ কাজ বলে ধরা হয়

সুতরাং ধর্মের ভালো আর বাস্তব ভালো এক নয়

ধর্ম অবশ্য কিছু বাস্তব ভালো কাজকে ধর্মে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছেএর কারণ ধর্ম তৈরী কারকগণ এটাকে তাদের ধর্মে লোক ভারি করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেছেতাই বাস্তব জগতের কিছু ভালো কাজ সব ধর্মই অনুসরণ করেএটাতে ধর্মের কোন ভুমিকা নেইবরং মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে সেই সব ভালো কাজগুলোকে সংজ্ঞায়িত করেছে আর ধর্ম সেই ভালো কাজগুলোকে তাদের ধর্মে ঢুকিয়ে দিয়েছে

কিন্তু ধর্ম কখনই ভালো আর খারাপের পার্থক্য করতে পারেনি কখনইআর তাই দেখা যায় সব ধর্মেই নারীকে ছোট করে উপস্থাপন করা হয়েছে পুরুষ কর্তৃক তৈরীকৃত ধর্মেপশুকে তাদের নিজের জন্য তৈরী করা সৃষ্টিকর্তার উপহার হিসেবে দেখা হয়েছেকিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান মর্যাদার অধিকারীবরং মানব সভ্যতায় নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে অনেক গুন বেশী যদি নারী না থাকতো তবে মানব সভ্যতাই টিকে থাকতে পারতো নামানব ইতিহাসে নারীর ভুমিকা সব চেয়ে বেশী সব সময়ের জন্যইতাই মানবিক ভাবে নারীর সম্মানই সব থেকে বেশী হবার কথাকিন্তু ধর্মগুলো যেহেতু পুরুষরা তৈরী করেছে তাই নারীদেরকে নিচু করে তুলে ধরেছেএবং প্রত্যেক ধর্মেই নারীকে হেয় করা হয়েছে, তাদেরকে অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে এবং সর্বপরী নারীকে গোলাম করে রাখা হয়েছে পুরুষ কর্তৃক তৈরীকৃত ধর্মেধর্মের ইতিহাসে নারীর উপর যে অত্যাচার অবিচার করা হয়েছে তা মানব জাতির জন্য চরম নিকৃষ্ট ও জঘন্যকিন্তু সেই সব জঘন্য কাজকে ধর্ম বৈধতা দিয়েছে পুরুষের মনরঞ্জনের জন্যপুরুষের তৈরী করা ধর্মে নারীকে করা হয়েছে চরম অবমাননাবাস্তবতার ক্ষেত্রে নারীর প্রতি ধর্মের বিদ্বেষ সব চেয়ে জঘন্য কাজ কিন্তু ধর্মে সেগুলো বৈধ এবং উৎকৃষ্ট

নারীর প্রতি এরকম ধর্মের ব্যবহার বাস্তবতার ক্ষেত্রে চরম খারাপ কাজকিন্তু ধর্মে সেগুলোকেই ভালো কাজ হিসেবে দেখা হয়

আর তাই ধর্মের ভালো কাজ আর বাস্তবতার ভালো কাজ এক নয়ধর্মের খারাপ কাজ আর বাস্তবতার খারাপ কাজ এক নয়

ধর্মে মানুষকে কৃতদাস করে রাখাকে খারাপ কাজ বলা হয়নিসব ধর্মই মানুষকে কৃতদাস করে রাখাকে বৈধ করেছে এবং সেগুলোকে পালন করে এসেছেকিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে মানুষকে কৃতদাস করে রাখা খুব খারাপ কাজকিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে এটি খারাপ কাজ নয়

ধর্মে ভিন্ন ধর্মের মানুষকে হত্যা করায় কোন অন্যায় নেইকিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে যে কোন মানুষকে হত্যা করাই অন্যায়ধর্মে ভিন্ন ধর্মের মানুষ হত্যা করাকে ভালো কাজ হিসেবে দেখিয়েছে কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে কোন মানুষকে হত্যা করাই খুব খারাপ কাজ

ঠিক এরকম অনেক অমানবিক, ঘৃন্য, জঘন্য খারাপ কাজগুলোকে ধর্ম বৈধতা দিয়েছেকোন কোন ধর্ম কিছু কিছু অমানবিক, ঘৃন্য, জঘন্য খারাপ কাজগুলোকে ভালো কাজ হিসেবে দেখিয়েছেকিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে যে কোন অমানবিক, ঘৃন্য, জঘন্য কাজকেই নিকৃষ্ট খারাপ কাজ হিসেবে দেখা হয়

তাই ধর্মের ভালো খারাপ আর বাস্তবের ভালো খারাপ এক নয়

 

No comments:

Post a Comment