Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Monday, March 23, 2015

ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। জীবন ধারণের যাবতীয় সব সমস্যার সমাধান ইসলামে আছে। সত্যিই কি ইসলাম সব সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে?



ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা নয়ইসলামে সে সব সমস্যার সমাধানই করা আছে যেগুলো সম্পর্কে মুহাম্মদ অবগত ছিলযে সব সমস্যার কথা মুহাম্মদ জানতো না সে সব সমস্যার সমাধান করা আল্লাহর পক্ষেও সম্ভব হয়নিকিন্তু কেন?  

মুসলমানরা দাবী করে থাকে যে, ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থামানব জাতির সব সমস্যার সমাধান ইসলামে করে দিয়েছে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহমুসলমানদের দাবী অনুযায়ী জীবন ধারণের ক্ষেত্রে এমন কোন সমস্যা নেই যার সমাধান ইসলামে নেইএমনকি মানব জাতির জন্য ইসলামের এই বিধান কেয়ামত পর্যন্ত মানুষের সব সমস্যার সমাধান দেবেতাই ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা

কিন্তু মুসলমানদের এই দাবী কি আদৌ সত্য? বাস্তবতা বলে মুসলমানদের এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যেআধুনিক কালে আমরা দেখি জীবনের এমন কিছু সমস্যা আছে যেগুলো ইসলাম দিতে পারেনি এবং পারে নাবরং মুসলমানদেরকেই সে সব সমস্যার সমাধান নিজ জ্ঞান বুদ্ধি খাটিয়ে করতে হয় সম্পূর্ণ শরীয়তের বাইরে যেয়েযে সব সমস্যার সমাধান কুরআন হাদিসে পাওয়া যায় না সেসব সমস্যার সংখ্যা অগনিত

এক্ষেত্রে কেন ইসলাম এসব সমস্যার সমাধান করে যায়নি অথবা করতে ব্যর্থ হয়েছে সেই কারণটি বিচার করে দেখলে দেখা যায় ইসলাম শুধু সেই সব সমস্যার সমাধানই দিতে পেরেছে যেসব সমস্যার সমাধান মুহাম্মদ করতে পেরেছেকিন্তু মুহাম্মদ যেসব সমস্যার সমাধান করে যেতে পারেনি সেসব সমস্যার সমাধান আল্লাহও করে যেতে পারেনিমুহাম্মদ যেসব সমস্যার কথা জানতো ইসলামে শুধু সেসব সমস্যারই সমাধান দেওয়া আছেকিন্তু যেসব সমস্যার কথা মুহাম্মদ জানতো না সেসব সমস্যার সামাধান আল্লাহ করতে পারেনিকুরআন এবং হাদিসে শুধু সেসব সমস্যারই সমাধান করা যেগুলোর সমাধান করতে মুহাম্মদ সক্ষম ছিলআর যেসব সমস্যার সমাধান করা মুহাম্মদের পক্ষে সম্ভব ছিল না সেসব সমস্যার সমাধান করা আল্লাহর পক্ষেও সম্ভব হয়নিআবার যেসব সমস্যা মুহাম্মদের জানা ছিল না সেসব সমস্যার সমাধানও আল্লাহর পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি

ফলে মুসলমানদের এই দাবীটা যে, “ইসলামে সব সমস্যার সমাধান আল্লাহ করে গেছেন সেই দাবীটাই ইসলমানকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে  

যেসব সমস্যার সমাধান ইসলামে নেই (কারণ মুহাম্মদ জানতো না বলে) সেসব সমস্যাগুলোর বর্ণনা এবং ইসলামে কেন এসব সমস্যার সমাধান করা নেই তা পর্যায়ক্রমে নিচে বর্ণনা করা হলো

ইসলাম হলো পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাজীবনের সব সমস্যার সমাধান আছে ইসলামে, কুরআন ও হাদীসেজীবনের কোন সমস্যায় কি সমাধান দিতে হবে, খাওয়া থেকে টয়লেট পর্যন্ত কিভাবে কি করতে হবে এবং সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কি খেতে হবে, কোথায় যেতে হবে ইত্যাদি সব কিছুই ইসলামে আছে, কুরআন ও হাদিসে সব কিছুরই বর্ননা দেওয়া আছে  

কিন্তু তেল নিয়ে ইসলাম কি বলে? কুরআন বা হাদিসের কোথাও কি লেখা আছে আরবের তেল কি ভাবে ব্যবহার করতে হবে? আরবের তেলের মোট কত শতাংশ আমেরিকার কাছে বেচতে হবে, কতটুকু রাশিয়ার কাছে বেচতে হবে এবং কতটুকু আরব বিশ্বের জন্য রাখতে হবে এসব কি কুরআন ও হাদিসে কিছু লেখা আছে?

না থাকলে কেন নেই? ইসলাম যদি পুর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হয় তবে এসবের বর্ননাও তো কুরআন হাদিসে থাকার কথাকারণ সব নিয়মইতো আল্লাহ করে দেয়তবে তেলের ব্যাপারে কোন সমাধানই আল্লাহ রাখেনি কেন?

সৌদি আরব এবং অন্যান্য আরব দেশ গুলোতে তেল নিয়ে এক সময় বিরাট সমস্যা দেখা দেবেআল্লাহ যেহেতু সব বিষয়ের ব্যাপারে সেই শুরু থেকে জানে ভবিষ্যতে কি হতে পারে, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহর জানার কথা ভবিষ্যতে কোন এক সময় আরবের তেল নিয়ে সমগ্র বিশ্ববাসির মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগে যাবেআর তাই সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহর দায়িত্ব ছিল তেল ব্যবহার, বন্টন এবং বিক্রি করার নিয়ম কানুন কুরআনে লিখে দেওয়া, যেহেতু মুসলমানরা দাবী করে ইসলাম পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাআল্লাহ তেলের ব্যাপারে কোন শরীয়তি বিধান দেয়নি বলেই আরব বিশ্বে তেল নিয়ে এতো ঝামেলা হয়েছেসুতরাং সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা হিসেবে কেন তেলের সমস্যার সমাধান করে দেয়নি আল্লাহ?

আল্লাহ কি তাহলে টের পায়নি যে আরবের মাটির নিচে তেলের খনি আছে? এর কারণ কি? মুহাম্মদ তেলের খবর জানতো না বলে কি আল্লাহও জানতো না?

ইসলামে কৃতদাসের ব্যাপারে সব সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেএমন কি কৃতদাস ও কৃতদাসীদের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তাও কুরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেকৃতদাসীদের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, কিভাবে সেক্স করতে হবে, বউদের সাথে সাথে কৃতদাসীদের সাথে সেক্স করার রুটিন কিভাবে মেনটেইন করতে হবে সেগুলোও স্বয়ং আল্লাহ করে দিয়েছেকারণ এই সব সমস্যার সমাধানগুলো মুহাম্মদের ক্ষেত্রে করা সম্ভব ছিল

কিন্তু দেড় হাজার বছর পরে যখন কৃতদাস প্রথাকে মানুষ বিলুপ্ত করে দেবে এবং কর্মচারী রাখার ব্যবস্থা করা হবে তখন কিভাবে মুমিনরা কাজের মেয়েদের সাথে কিভাবে আচরন করবে, তাদের সাথে সেক্স করা যাবে কিনা, যদি যায় তবে বউকে কিভাবে মেনেজ করতে হবে সে সম্পর্কে কোন সমাধানই কুরআন হাদিসে নেইএমনকি কৃতদাস প্রথা যে এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে সে কথাই আল্লাহ কুরআনের কোথাও বলে যেতে পারেনিআর কৃতদাস প্রথা বিলুপ্ত হবার পরে মানুষ কিভাবে কাজের লোক নিয়োগ দেবে, তাদেরকে দিয়ে কিভাবে পারিশ্রমিক দেবে তার কোন বর্ণনাই কুরআন হাদিসে নেই

কৃতদাসীদের সাথে সেক্স করার আদেশ, নির্দেশ দিয়েছে স্বয়ং আল্লাহএবং কৃতদাসীদের সাথে কিভাবে বউদের সাথে সেক্স করার পর সিরিয়াল মেনটেইন করতে হবে সেসবও স্বয়ং আল্লাহ কুরআনে আয়াতের মাধ্যমে সমাধান করে দিয়েছেকিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কুরআনের কোথাও কাজের মেয়েদের সাথে সেক্স করা যাবে কিনা সে সম্পর্কে কোন আয়াতই নেইএমনকি হাদিসেও এ বিষয়ে কোন সমাধান নেই

কিন্তু প্রশ্ন হলো ইসলাম যদি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানই হবে তবে কেন আল্লাহ কৃতদাসীদের ব্যাপারে সব সমস্যার সমাধান করতে পারলেও কাজের মেয়েদের ব্যাপারে কোন সমাধানই দিতে পারেনি?

এর উত্তর একটাই, মুহাম্মদ জানতো না যে কৃতদাস প্রথা এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবেতাই কৃতদাস প্রথা বিলুপ্ত হওয়া নিয়ে ইসলামে কোন সমাধান নেইএবং কৃতদাস প্রথা বিলুপ্ত হলে মানুষ কিভাবে কৃতদাসদের অভাব মেটাবে সে সম্পর্কেও কিছু কুরআন হাদিসে বলা নেইকৃতদাসীদের সাথে সেক্স করার নীতিগুলো মুহাম্মদ করতে পেরেছে কারণ সে তার এবং তার সাহাবাদের মন রক্ষার্থেই কৃতদাসীদের সাথে কিভাবে সেক্স করতে হবে সেসব কুরআনের আয়াত নাযিল করে সমাধান করে দিয়েছেকিন্তু কৃতদাস প্রথা এক সময় উঠে যাবে এবং তারপর মানুষ কাজের মেয়ে রাখবে কাজ করানোর জন্য সেসব কথা মুহাম্মদের জানার কথা ছিল নাআর তাই মুহাম্মদ সেই সব সমস্যার সমাধান করে যেতে পারেনিযেহেতু মুহাম্মদের পক্ষে সেসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব ছিল না তাই আল্লাহর পক্ষেও সেসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব ছিল নাআর তাই কুরআন হাদিসের কোথাও উল্লেখ নেই যে, দাসপ্রথা বিলুপ্ত হলে মানুষ কাজের মেয়েদের সাথে কি রকম আচরণ করবে? সে সম্পর্কে কোন সমস্যারই সমাধান দেওয়া নেই কুরআন হাদিসে

কারণ মুহাম্মদ এসব তথ্য জানতো না বলে আল্লাহও এসব সমস্যার সমাধান করে যেতে পারেনি

মুসলমানরা দাবী করে যে, ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থামানব জীবনের সব সমস্যার সমাধানই ইসলামে করে দেওয়া আছেআর সেই সমাধানগুলো কেয়ামত পর্যন্ত মানুষের সব সমস্যার সমাধান দেবে

কুরআনে নারীদেরকে পুরুষের চেয়ে কম মর্যাদার হিসেবে বর্ণনা করেছেনারীকে পুরুষের চেয়ে কম সুবিধা দিয়েছেএবং নারীকে পুরুষের চেয়ে কম যোগ্যতার বলে রায় দিয়েছেকিন্তু নারীরা যে এক সময় পুরুষের সমান অধিকারের হবে সে সম্পর্কে কুরআন হাদিসে কোন কিছুই উল্লেখ নেইইসলামে পুরুষকে একাধিক বিয়ে করার অধিকার দিয়েছেশুধু তাই নয়, পুরুষের চার পাঁচটা বউ থাকার পরেও কৃতদাসীদের সাথে যৌন মিলন করার নিয়ম কানন সহ কুরআনে আল্লাহ স্বয়ং বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেকিন্তু এক সময় মানুষ সভ্য হয়ে যাবে এবং একজন পুরুষ কেবল একজন মেয়েকেই বিয়ে করতে পারবেফলে একজন মেয়ে এবং একজন পুরুষের অধিকার সমান হবেএবং নারীকে তার প্রাপ্য সমান অধিকার দিতে হবে এমন মানবিক নিয়ম কানুন মানুষ করবে

কিন্তু সে সময় পুরুষ একজন বউয়ের সাথে কিভাবে কি আচরণ করবে সে সম্পর্কে কুরআন হাদিসে কোন সমাধানই দেওয়া নেই

আল্লাহ মুমিনদেরকে চার পাঁচটা বউ নিয়ে যৌন ক্রিয়ার সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে এবং তার উপরে বোনাস হিসেবে কৃতদাসীদের সাথে অবাদ যৌন লীলার বন্দবস্ত করে দিয়েছে কুরআনে আয়াত নাযিলের মাধ্যমেকিন্তু দেড় হাজার বছর পরে এক বউ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা মুমিনদেরকে কিভাবে এক বউয়ের সাথে সেক্স করে সন্তুষ্ট থাকতে হবে, বউয়ের শারীরিক সমস্যার সময় কিভাবে হাতের দারস্ত হতে হবে এবং বউয়ের সাথে যৌন সুখ বঞ্চিত হয়ে থাকতে হবে সে সম্পর্কে কোন সমাধানই আল্লাহ করে যেতে পারেনি

এর কারণ মুহাম্মদ এসব কিছু জানতো না বলে আল্লাহর পক্ষেও এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি

মুহাম্মদের সময় আধুনিক প্রযুক্তি ছিল নাসে সময় মানুষ উটের পিঠে চড়ে যাতায়াত করতোআর তাই ইসলামে শুধু উটের পিঠে যাতায়াত করার বিধানই বর্ণিত হয়েছেকিন্তু দেড় হাজার বছর পরে বিমান, ট্রেন, বাস আবিষ্কার হয়ে যাবার পরে উট বেকার হয়ে গেছেকিন্তু ইসলামে বিমান ভ্রমন, ট্রেন ভ্রমণ অথবা বাস ভ্রমণ সম্পর্কে কোন সমাধানই দিয়ে যায়নিকোন মানুষ দিনে কতবার বিমানে উঠতে পারবে? মেয়েরা বিমান, ট্রেন বা বাসে ভ্রমন করতে পারবে কিনা? পারলেও পুরুষের পাশে বসতে পারবে কিনা? একই বাস, ট্রেন বা বিমানে ভ্রমন করা নারী পুরুষের জায়েজ কিনা? এসব কোন সমস্যারই সমাধান ইসলামে করে দেওয়া নেইআল্লাহ কুরআনে সেক্স থেকে শুরু করে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা দিলেও এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে কোন সমাধানই করে দেয়নি

এর কারণ আর কিছুই নয়, মুহাম্মদ জানতো না যে উট বেকার হয়ে বিমান, ট্রেন এবং বাসের মতো যানবাহন মানুষ আবিষ্কার করে সেসবে চলাচল করবেতাই আল্লাহর পক্ষেও সম্ভব হয়নি এসব সমস্যার সমাধান করারতাই কুরআন হাদিসে এসব সমস্যার সমাধান করা নেই

বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো কম্পিউটারএক সময় মানুষ এই কৃতিম যন্ত্রটি আবিষ্কার করবে এবং জগতের সব কাজ এই যন্ত্রটিই দখল করে নেবেআল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও সর্বশক্তিমান হওয়ায় এই কথা তার জানা থাকার কথাআর তাই মানুষের কম্পিউটার ব্যবহারের বীধি বিধান সম্পর্কে বর্ণনা করার কথামানুষ দিনের কতক্ষন কম্পিউটারে কাজ করতে পারবে, কম্পিউটারে কাজ করা জায়েজ কিনা, মেয়েরা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে কিনা, কত বছর পর্যন্ত বাচ্চারা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে না এসব কিছুর কোন সমাধানই আল্লাহ করতে পারেনি

এর কারণ মুহাম্মদ কম্পিউটার ইন্টারনেট সম্পর্কে কিছুই জানতো না বলে এসব সমস্যার সমাধান করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নিআর তাই আল্লাহর পক্ষেও এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে যাওয়া সম্ভব হয়নি

একুশ শতকের বিস্ময়কর আবিষ্কার মোবাইলকিন্তু মোবাইল সম্পর্কেও কুরআন হাদিসে কোন বিধান করে দেওয়া হয়নিদিনে একজন মানুষ কতক্ষন মোবাইলে কথা বলতে পারবে, মেয়েরা মোবাইলে কথা বলতে পারবে কিনা, পারলেও কার কার সাথে কথা বলতে পারবে ইত্যাদি কোন সমস্যারই সমাধান কুরআন হাদিসে নেইএর কারণও মুহাম্মদ জানতো না যে ভবিষ্যতের কোন এক সময়ে মানুষ এমন একটি বিস্ময়কর যন্ত্র আবিষ্কার করবে যেটা মানুষের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় একটা বিষয় হয়ে যাবেফলে আল্লার পক্ষেও সম্ভব হয়নি এসব সমস্যার সমাধান দেওয়ার  

এরকম হাজার হাজার সমস্যা যেগুলো সম্পর্কে মুহাম্মদ অবগত ছিল না, ফলে আল্লাহর পক্ষেও এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নিযেমন- তলোয়ার বাদ যেয়ে যখন আনবিক বোমা আবিষ্কার হবে তখন কিভাবে মানুষ সেগুলো ব্যবহার করবে? (এজন্যই দেখা যায় মুমিনরা বুকে বোমা বেধে আত্মঘাতী হচ্ছেকারণ এসব বিষয়ের সমাধান কুরআন হাদিসে নেইফলে মুসলমান মুমিনরা বিপথে চলে যাচ্ছে এসব ব্যবহারের ক্ষেত্রে।) মেয়েরা বন্দুক ব্যবহার করতে পারবে কিনা? মেয়েরা গাড়ি চালাতে পারবে কিনা? মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে পারবে কিনা? মেয়েদের চিকিৎসা পুরুষ ডাক্তার করতে পারবে কিনা? এসব কোন কিছুরই সমাধান কুরআন হাদিসে নেই। (আধুনিক মুমিনরা নিজের বুদ্ধিতেই এসব কিছুর উল্টাপাল্টা সমাধান করে নেয় আল্লাহর হুকুম ব্যতিতই।)

ইসলামে এসব সমস্যার সমাধান না থাকার একটাই কারণ, সেটা হলো মুহাম্মদ এসব সমস্যা সম্পর্কে জানতো না এবং কল্পনাই করতে পারেনি যে কোন এক সময় এসব সমস্যা মানুষের সামনে আসবেফলে মুহাম্মদের তৈরী করা কুরআনে এসব সম্পর্কে কোন কথাই বলে যেতে পারেনি সেআর সমস্যার সমাধানতো অনেক পরের ব্যাপার

মুহাম্মদ এসব সমস্যা সম্পর্কে কিছু জানতো না বলেই তার তৈরী কাল্পনিক চরিত্র আল্লাহর পক্ষেও এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি

যদি আল্লাহই সৃষ্টিকর্তা হতো এবং সর্বজ্ঞানী হতো তবে সে এইসব সমস্যা গুলো সম্পর্কে জানতো এবং এগুলো সমাধান করে রাখতো কুরআনেযেহেতু মুহাম্মদই হলো আল্লাহ তাই যেসব সমস্যা মুহাম্মদ জানতো না সেসব সমস্যার সমাধান করা আল্লাহর পক্ষে সম্ভব হয়নি

আর এসব সমস্যার (মতো হাজার হাজার সমস্যার) সমাধান ইসলামে পাওয়া যায় না বলে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান নয়

 

No comments:

Post a Comment