Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Thursday, November 19, 2015

কোরআনের বর্ণনায় সমতল পৃথিবী - পর্ব ৪



 পর্ব ৩-এর পর থেকে

এখন আমরা আরো দুইটি আয়াত দিয়ে প্রমান করবো যে কোরআনের মতে পৃথিবী সমতল l

৫৫). সুরা আর রহমান; আয়াত ১৭ :
      "তিনি দুই উদয়াচল দুই অস্তালয়ের মালিক l"
৭০). সুরা আল মা'আরিজ; আয়াত ৪০ :
      "আমি শপথ করছি উদয়াচল অস্তাচলসমূহের পালনকর্তার, নিশ্চয় আমি সক্ষম l"

৫৫). সুরা আর রহমান; আয়াত ১৭ :
      "তিনিই দুই উদয়াচল দুই অস্তাচলের নিয়ন্ত্রণকারী l"
৭০). সুরা আল মা'আরিজ; আয়াত ৪০ :
      "আমি শপথ করছি উদয়াচল অস্তাচলের প্রভুর- নিশ্চই আমি সক্ষম- " (অনুবাদ- প্রফেসর : মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)


৫৫). সুরা আর রহমান; আয়াত ১৭ :
      "তিনি দুই পূর্বের প্রভু, আর দুই পশ্চিমেরও প্রভু l"
৭০). সুরা আল মা'আরিজ; আয়াত ৪০ :
      "কিন্তু না, আমি উদয়াচলের অস্তাচলের প্রভুর নামে শপথ করছি যে আমরা আলবৎ সমর্থ - " (অনুবাদ:- : জহুরুল হক)

SURA 55. Rahman,
17. “[He is] lord of the two Easts and lord of the two Wests:”
SURA 70. Maarij
40. Now I do call to witness the lord of all points in the East and the West that We can certainly-
(Translation by Abdullah Yusuf Ali)                                 

SURA 55. AR-RAHMAN
17. lord of the two Easts, and lord of the two Wests!
SURA 70. Al-MAARIJ
40. But nay! I swear by the lord of the rising-places and the setting-places of the planets that We verily are Able
(Translation by Mohammad Marmaduke Pickthal)

SURA 55. AR-RAHMAN
17. “[He is] lord of the two sunrises and lord of the two sunsets.”
SURA 70. Al-MAARIJ
40. “So I swear by the lord of [all] risings and settings that indeed We are able “
(Translated by Saheeh International)

55. Al Rahman
17. “(He is) lord of the two Easts and lord of the
two Wests: “
70. Al Ma'arij
40. “Now I do call to witness the lord of all points
in the East and the West that We can certainly- “

এই আয়াত দুটিতে বলা হয়েছে আল্লাহ দুই উদয়াচল এবং দুই অস্তাচলের প্রভু এবং আল্লাহ সবগুলো উদয়াচল এবং সবগুলো অস্তাচলের প্রভু l
অর্থাত আল্লাহ দুটি উদয়াচল সবগুলো উদয়াচলের প্রভু আবার দুটি অস্তাচল এবং সবগুলো অস্তাচলের প্রভু l
এখানে প্রফেসর : মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান এবং : জহুরুল হক এই দুজনই সুরা আল মা'আরিজ-এর ৪০ নাম্বার আয়াতের অনুবাদ করেছেন উদয়াচলের এবং অস্তাচলের l এই অনুবাদটা ঠিক নয় l এখানে সবগুলো উদয়াচল সবগুলো অস্তাচল হবে l কারণ আরবি ভাষায় দুই প্রকারের বহু বচন আছে - একটা দিয়ে শুধু দ্বিবচন বোঝায় এবং আরেকটা দিয়ে দুইয়ের অধিক বহুবচন বোঝায় l আর এখানে 'মাশ্রিকাইন এবং মাগ্রিবাইন' এটা হলো দ্বিবচন l অর্থাত আল্লাহ দুই উদয়াচল এবং দুই অস্তাচলের প্রভু l
আবার 'মাশারিক এবং মাঘারিব' এটা দিয়ে বোঝায় দুইয়ের অধিক বহুবচন অর্থাত আল্লাহ সবগুলো উদয়াচল এবং সবগুলো অস্তাচলের প্রভু l
সুতরাং সুরা আল মা'আরিজ-এর ৪০ নাম্বার আয়াতের সঠিক অনুবাদ হবে আল্লাহ সবগুলো উদয়াচল সবগুলো অস্তাচলের প্রভু l

এখন মূল আলোচনায় আসি l অনেক ইসলামিক ব্যক্তিত্ব বা ইসলাম বিশেষজ্ঞ সুরা আর রহমানের ১৭ নাম্বার আয়াতের ব্যাখ্যা করে যে এখানে পূর্বের দুই প্রান্ত এবং পশ্চিমের দুই প্রান্তের কথা বলা হয়েছে l এবং তারা সুরা আল মা'আরিজ-এর ৪০  নাম্বার আয়াতের ব্যাখ্যা করে যে এখানে পূর্ব প্রান্তের সবগুলো অবস্থান এবং পশ্চিম প্রান্তের সবগুলো অবস্থানে সূর্যের উদয় হওয়া এবং অস্ত যাওয়াকে বোঝানো হয়েছে l অর্থাত সূর্য পূর্ব প্রান্তের সবগুলো অবস্থানে এবং পূর্বের দুই প্রান্তের সীমানায় অস্ত যায় এবং পশ্চিমের সবগুলো অবস্থানে এবং দুই প্রান্তে অস্ত যায় l মানে হলো সূর্য পূর্বের যে শেষ সীমাদ্বয় এবং এর মধ্যবর্তী সবগুলো অবস্থানে উদয় হয় সেগুলোর সবগুলোর প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ l আবার সূর্য পশ্চিমের যে শেষ প্রান্তদ্বয় এবং এগুলোর মধ্যবর্তী সবগুলো অবস্থানে সূর্য অস্ত যায় এদের সবগুলো অবস্থানের প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ l

তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সূর্য পূর্বের অনেকগুলো প্রান্ত থেকে উদয় হয় এবং পশ্চিমের অনেকগুলো প্রান্তে অস্ত যায় l আর বাস্তবিক ভাবেই এটা এরকম হয় l অর্থাত সূর্য বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অবস্থানে উদয় হয় এথবা বিভিন্ন অবস্থানে অস্ত যায় বলেই আমাদের মনে হয় l আর এটাই এই আয়াতে বলা হয়েছে l
তাহলে এখন ভালো করে চিন্তা করে দেখুন যে গোলক আকার এই পৃথিবীতে কি সত্যিই পূর্বের দুই প্রান্তে এবং এগুলোর মধ্যবর্তী সবগুলো অবস্থান থেকে সূর্য উদয় হওয়া সম্ভব l কোনো গোলকের পূর্বের দুই প্রান্ত থাকা সম্ভব নয় l এটা তখনি সম্ভব যদি পৃথিবী সমতল হয় l তাহলে সমতল পৃথিবীতে পূর্বের দুই প্রান্তে আর এগুলোর মধ্যবর্তী সবগুলো অবস্থানে সূর্য উদয় হতে পারবে এবং পশ্চিমের দুই প্রান্তে আর এগুলোর মধ্যবর্তী সবগুলো অবস্থানে সূর্য অস্ত যেতে পারবে l কিন্তু গোলক আকার পৃথিবীতে এটা কখনই সম্ভব হবে না l অর্থাত এই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী সম্পূর্ণ ভাবে সমতল l এতে কোনোই সন্দেহ নেই যে এখানে আল্লাহ এবং মুহাম্মদ : সমতল পৃথিবীর বর্ণনাই দিচ্ছেন l

পর্যন্ত পড়ে অনেক মুসলমান আপত্তি তুলবে l তারা বলবে এখানে দুই পূর্ব বলতে বোঝানো হয়েছে যে পৃথিবীর কোনো এক জায়গায় সূর্য উদয় হওয়ার সময় তার বিপরীত পাশে (গোলক আকার পৃথিবীতে) সূর্য অস্ত যায় l এবং সেই জায়গায় যখন সূর্য অস্ত যায় তখন তার বিপরীত পাশে সূর্য উদয় হয় l তাহলে পৃথিবীর এই বিপরীত পাশের ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সূর্য অস্ত যাওয়া আর সূর্য উদয় হওয়ার জন্যই দুই পূর্ব এবং দুই পশ্চিম বলা হয়েছে l তাদের মতে পৃথিবীর একপাশে সূর্য উদয় হয় একবার এবং অস্ত যায় একবার এবং সেই সময়েই পৃথিবীর অন্য পাশে সূর্য অস্ত হয় আরেকবার আর সূর্য উদয় হয় আরেকবার l অর্থাত দুইবার উদয় হয় এবং দুইবার অস্ত যায় l
আমি তাদের সাথে সম্পূর্ণ ভাবে একমত যে, হ্যা পৃথিবীর দুই বিপরীত পাশে সূর্য অস্ত যায় এবং সূর্য উদয় হয় একবার একবার করে দুই বার l  অর্থাত যেসময়ে এখানে সূর্য উদয় হচ্ছে ঠিক সেই সময়েই এর বিপরীত জায়গায় (ধরি আমেরিকায়) সূর্য অস্ত যাচ্ছে l আর যেসময়ে এখানে সূর্য অস্ত যাচ্ছে ঠিক সেই সময়েই এর বিপরীত পাশে সূর্য উদয় হচ্ছে l
বেশ ভালো ! তাহলে এখানে বুঝানো হচ্ছে যে একপাশে হচ্ছে সূর্য উদয় একবার আর সূর্যাস্ত একবার l আর অন্য পাশে সূর্য উদয় হচ্ছে একবার আর সূর্যাস্ত হচ্ছে একবার l তাহলে দুইবার সূর্যাস্ত এবং দুইবার সূর্য উদয় হচ্ছে l অর্থাত দুই পূর্ব আর দুই পশ্চিম l

কিন্তু এখানে অনেক সমস্যা থেকে যাচ্ছে l
এক- কোনো এক নির্দিষ্ট জায়গায় দাড়িয়ে একজন কখনই দুই সূর্যাস্ত এবং দুই সূর্য উদয় দেখতে পারছে না l এমন কি সে পৃথিবীর যে জায়গাতেই যাক না কেন সে সব সময় এক সূর্যাস্ত এবং এক সূর্য উদয়ই দেখবে l কিন্তু কখনই কারো পক্ষে দুই সূর্যাস্ত অথবা দুই সূর্যোদয় দেখা সম্ভব নয় গোলক আকার পৃথিবীতে l (এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী) l কিন্তু যদি সমতল পৃথিবীর কথা চিন্তা করি তবে সে ঠিকই এক জায়গায় দাড়িয়ে বিভিন্ন সময়ের ব্যবধানে দুই ভিন্ন অবস্থানে সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পারবে l (আগের ব্যাখ্যা অনুযায়ী) l
সুতরাং আল্লাহ মুহাম্মদ :- কে কখনই একথা বলেনি যে পৃথিবীর দুই বিপরীত দিকের দুই সূর্যাস্তের এবং দুই সূর্য উদয়ের কথা l বরং তাকে আল্লাহ এটাই বুঝিয়েছেন যে পূর্বের দুই প্রান্তে সূর্য  উদয় হচ্ছে এবং পশ্চিমের দুই প্রান্তে ডুবে যাচ্ছে আর তাই দুই উদয়াচল এবং দুই অস্তাচল l কারণ কারো পক্ষেই পৃথিবীর দুই বিপরীত পাশের দুই সূর্যাস্ত এবং দুই সূর্যোদয় দেখা সম্ভব নয় l পৃথিবীর কোনো স্থানের কোনো মানুষের জন্য কখনই দুই সূর্যোদয় বা দুই সূর্যাস্ত থাকা সম্ভব না l কিন্তু এটা সমতল পৃথিবীর ক্ষেত্রে খুব সহজেই সম্ভব l(প্রথম ব্যাখ্যা অনুযায়ী)l

দুই-  আবার মেরু অঞ্চলে সূর্য কখনো উঠবে না প্রায় ছয় মাস l আবার সবসময় সূর্য থাকবে বাকি প্রায় ছয় মাস একটানা l ফলে সেখানে দিন রাত কখনো পরিবর্তন হবে না l অর্থাত সবসময় দিন থাকবে, না হয় সবসময় রাত থাকবে সেই সময়টাতে l ফলে সেখানে দুই সূর্যোদয় অথবা দুই সূর্যাস্ত কখনো সম্ভব নয় l অর্থাত সেখানে টানা এক সূর্য থাকবে প্রায় ছয়মাস ধরে বা টানা সূর্য থাকবে না প্রায় ছয় মাস l ফলে সেখানে কখনই দুই সূর্যাস্ত বা দুই সূর্যোদয় সম্ভব নয় l কিন্তু যদি সমতল পৃথিবীর কথা চিন্তা করেন তবে সারা বছর দুই সূর্যোদয় বা দুই সূর্যাস্ত সম্ভব l সুতরাং এখানে দুই সূর্যোদয় আর দুই সূর্যাস্ত দিয়ে আসলে সমতল পৃথিবীর সুর্যোদয়ের আর সূর্যাস্তের জায়গা পরিবর্তনকেই নির্দেশ করছে l  সুতরাং এই আয়াতে পৃথিবী সমতল এই তত্তটাই প্রমান দিচ্ছে l

তিন- সুরা আল মা'আরিজ-এর ৪০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে যে আল্লাহ সবগুলো সুর্যোদয়ের প্রভু আর সবগুলো সূর্যাস্তের প্রভু l তাহলে দুই সুর্যাস্তই শুধু নয় বরং অনেকগুলো সূর্যাস্ত আবার দুই সূর্যোদয় নয় বরং অনেকগুলো সূর্যোদয় l এই আয়াতের ফলে গোলক আকার পৃথিবীর দুই বিপরীত পাশের ক্ষেত্রে যে দুই সূর্যাস্ত দুই সুর্যোদয়ের যুক্তিটি দেয়া হয়েছে সেটা ভেঙ্গে পড়ে l কারণ পৃথিবীতে একই সাথে এক সূর্যোদয় এবং এক সূর্যাস্ত হওয়া আর একই সাথে এক সূর্যাস্ত এবং এক সূর্যোদয় (মোট দুই সূর্যাস্ত এবং দুই সূর্যোদয়) সম্ভব পৃথিবীর কোন এক বিন্দুর আর তার বিপরীত বিন্দুর সাপেক্ষে l কিন্তু কখনই অনেকগুলো সূর্যাস্ত বা অনেক গুলো সূর্যোদয় সম্ভব নয় l আরেকটু সহজ করে বলছি l ধরুন, বাংলাদেশে সকাল হচ্ছে মানে সূর্যোদয় হচ্ছে l ঠিক সেই সময়ে আমেরিকাতে সূর্যাস্ত হচ্ছে l ঠিক বারো ঘন্টা পরে বাংলাদেশে সূর্যাস্ত হবে এবং সেই সময়টাতে আমেরিকাতে হবে সূর্যোদয় l তাহলে দুই সূর্যাস্ত বা দুই সূর্যোদয় হলো l কিন্তু এই সময় ব্যবধানে বাংলাদেশ এবং আমিরিকাতে কখনই অনেকগুলো সূর্যোদয় বা অনেকগুলো সূর্যাস্ত সম্ভব নয় l এখানে সব সময়ই বা সারা বছরই দুই সূর্যাস্ত বা দুই সূর্যোদয় হবে l
আবার যদি ধরি ইন্দোনেশিয়াতে সূর্য উদয় হচ্ছে , ঠিক সেই সময়ে পেরুতে সূর্যাস্ত হচ্ছে l আবার যখন ইন্দোনেশিয়াতে সূর্য অস্ত যাবে , তার বিপরীত পাশে সেসময় সূর্য উদয় হবে l ফলে এই দুই বিপরীত জায়গাতে সবসময়ই দুই সূর্যাস্ত এবং দুই সূর্যোদয় সম্ভব l কিন্তু কখনই অনেকগুলো সূর্যাস্ত বা অনেকগুলো সূর্যোদয় সম্ভব নয় l এভাবে পৃথিবীর যেকোনো দুই বিপরীত বিন্দু নিয়েই এই তত্বটা প্রয়োগ করা হোক না কেন কখনই দুই সূর্যাস্ত এবং দুই সুর্যোদয়ের বেশি সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয় সম্ভব নয় l তাই এই আয়াত দুটি দিয়ে কখনই দুই বিপরীত পাশের দুই সূর্যোদয় এবং দুই সূর্যাস্ত তত্বটি প্রয়োগ করা যায় না l কারণ আয়াত দুটি পরস্পরকে নাকচ করে দিবে যদি এর ব্যাখ্যা এরকম করা হয় l
কিন্তু যদি সমতল পৃথিবীর কথা চিন্তা করেন তবে এই আয়াত দুটি দিয়ে খুব সহজেই ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে যে দুই উদয়াচল এবং অনেকগুলো উদয়াচল আবার দুই অস্তাচল এবং এনেকগুলো অস্তাচল l অর্থাত সমতল পৃথিবীতেই কেবল দুই উদায়্চল দুই অস্তাচল এবং অনেকগুলো উদয়াচল অস্তাচল সম্ভব l যেখানে উদয়াচলের শেষ দুই বিন্দু এদের মাঝে সব গুলো বিন্দুতে সূর্যোদয় হবে আর অস্তাচলের শেষ দুই বিন্দু এবং এগুলোর মধ্যবর্তী সবগুলো বিন্দুতে সূর্যাস্ত হবে l
কিন্তু গোলক আকার পৃথিবীতে এটা কখনই সম্ভব নয় l কারণ এর দুই উদয়াচল বা দুই অস্তাচল অর্থাত দুই পূর্ব বা দুই পশ্চিম বলে কিছু নেই l এটা শুধু সমতল পৃথিবীর ক্ষেত্রেই সম্ভব l অর্থাত সমতল পৃথিবীর পূর্বের (উদয়াচল) পশ্চিমের (অস্তাচল) দুই শেষ প্রান্ত সম্ভব l অর্থাত পৃথিবী সমতল l

এই তিনটি কারণে প্রমানিত হয় যে এই আয়াত দুটি দিয়ে আসলে সমতল পৃথিবী এবং এর দুই বিপরীত পাশের (পূর্ব পশ্চিম) দুই প্রান্ত বিন্দুকে বোঝানো হয়েছে l অর্থাত পৃথিবী সমতল l

বি.দ্র.- এখানে প্রফেসর : মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান এবং : জহুরুল হক এই দুজনই সুরা আল মা'আরিজ-এর ৪০ নাম্বার আয়াতের অনুবাদ করেছেন উদয়াচলের এবং অস্তাচলের এটা সম্ভব হয়না তার আরেকটা কারণ হচ্ছে যে এই দুটো পরস্পরের বিপরীত হয়ে যায় l কারণ এক জায়গায় বলা হয়েছে দুই উদয়াচল এবং দুই অস্তাচল আবার অন্য জায়গায় যদি বলা হয় যে এক অস্তাচল এক উদয়াচল তবে তারা পরস্পর বিপরীত কথা বলবে l আর সব কোটি অনুবাদে বিশেষ করে ইংরেজি অনুবাদে যদি দেখেন তবে দেখবেন সবাই এই আয়াতের অর্থ করেছেন বহুবচনে অর্থাত সবগুলো বা অনেকগুলো উদয়াচল অস্তাচল l কারণ এটাই সঠিক অনুবাদ l আবার তারা দুজনই (৩৭) সুরা আস-সাফফাত-এর নাম্বার আয়াতের অনুবাদ করেছেন উদয়াচলসমূহের অর্থাত বহুবচনে) l




চিত্র : - দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচল এবং সবগুলো উদয়াচল ও সবগুলো অস্তাচল কেবল সমতল পৃথিবীর ক্ষেত্রেই সম্ভব l


এতক্ষণে নিশ্চয় প্রমান করতে পেরেছি যে কোরানের বর্ণনায় পৃথিবী ডিম্বাকৃতি বা গোলাকার নয় l বরং এটি সম্পূর্ণ ভাবেই সমতল l অর্থাত কোরান বলছে যে পৃথিবী সমতল l



কিছু অদ্ভুত উপস্থাপনার উপযুক্ত জবাব :



পৃথিবী কি সত্যিই ডিম্বাকৃতির ?
উত্তর:
অনেক মুসলমানের দাবি কোরআনে পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতির বলা হয়েছে l আর বিজ্ঞানও বলছে যে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির l
আসুনতো দেখি কোরআনে পৃথিবীকে সত্যিই ডিম্বাকৃতির বলা হয়েছে কিনা ! আর পৃথিবী সত্যিই ডিম্বাকৃতির কিনা !
কোরআনের একটি সুরাতে বর্ণিত আছে :
(৭৯). সুরা আন-নাযিয়াত; আয়াত ৩০:
      "পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন l"
অর্থাত আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন বা প্রসারিত করেছেন l
এই আয়াতটির অর্থ নতুন করে মুসলমানরা এরকম করেছে :
       "পৃথিবীকে এর পরে করেছেন ডিম্বাকৃতির l"
তাদের যুক্তি হলো যে এখানে যে আরবি শব্দটির ব্যবহার করা হয়েছে সেটা হলো 'দাহাহা' (যার অর্থ বিস্তৃত করা) কিন্তু এটি এসেছে মূল শব্দ 'দুইয়া' থেকে l আর দুইয়া শব্দটির অর্থ হলো ডিম l আর এটার বিশেষ অর্থ হয় উটপাখির ডিম l অর্থাত দুইয়া শব্দটির অর্থ ডিম (উটপাখির) l
আর তাই তারা এই আয়াতের অর্থ করে ডিম্বাকৃতির l
কিন্তু দাহাহার আরেকটি অর্থ হলো বিস্তৃত করা l

তিনটি কারণে তাদের এই দাবি অযৌক্তিক  :
. এখানে যে বলা হয়েছে 'দাহাহা' যার অর্থ করা হয় ডিম্বাকৃতির সেটা এসেছে মূল শব্দ দুইয়া থেকে যার অর্থ ডিম আরবরা কি দাহাহা দিয়ে ডিমকেই বোঝায় নাকি এর অন্য অর্থ আছে নাকি শুধু দুইয়া অর্থ ডিম ?
. কোরআনের অন্য কোনো জায়গায় এই শব্দটি উল্লেখ করা হয়নি দ্বিতীয় বার l সবজায়গায় পৃথিবীর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে পৃথিবীকে বিস্তৃত করা হয়েছে অথবা প্রসারিত করা হয়েছে বিছানা বা কার্পেটের মত l যদি পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতিরই বোঝানো হলো তবে কেন অন্য কোনো আয়াতে বলা হয়নি ডিম্বাকৃতির কথা ?
. দাহাহার আরেকটি অর্থ হলো বিস্তৃত করা বা প্রসারিত করা l ঠিক এই কথাটাই কোরআনের সব জায়গায় বলা হয়েছে l সুতরাং যেকেউ এখানে বিস্তৃত করা এই অর্থটিই উপযুক্ত মনে করবে যার নুন্যতম জ্ঞান আছে l আর কোরআনের অন্যান্য আয়াত অনুযায়ী তাই দাহাহার উপযুক্ত যুক্তিপূর্ণ অর্থ হবে বিস্তৃত করা l ডিম্বাকৃতির নয় l যদি এর অর্থ ডিম্বাকৃতির হতো তবে অবশ্যই কোরআনের অন্য আরোও আয়াতে ভিন্ন শব্দ দিয়ে বলা হতো পৃথিবী ডিম্বাকৃতির l কিন্তু সেটা না বলে কোরানে বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার সবসময়ই বলা হয়েছে বিস্তৃত বা প্রসারিত করার কথা l আর তাই এখানে বিস্তৃত করা বা প্রসারিত করাই হবে দাহাহার প্রকৃত অর্থ l

তাহলে মুসলমান ভাইয়েরা কেন আপনারা দাহাহার অর্থ এখানে ডিম্বাকৃতির ধরবেন যেহেতু দাহাহার আরেকটি অর্থ হলো বিস্তৃত করা l আর সমগ্র কোরআনে বিস্তৃত বা প্রসারিত করার কথাই বার বার বলা হয়েছে ? তাহলে আপনাদের কি বুঝতে খুব কষ্ট হচ্ছে যে এখানে দাহাহার অর্থ হবে বিস্তৃত করা বা প্রসারিত করা, যেহেতু দাহাহা অর্থ বিস্তৃত বা প্রসারিত করা ? নাকি সমগ্র কুরআনকে অবজ্ঞা করে আপনারা বিজ্ঞানের সাথে মিলাতে এর অর্থ অযৌক্তিকভাবে ডিম্বাকৃতির এই অর্থটি করবেন ? ভাবুন একবার ভালোভাবে ! দেখবেন এখানে ডিম্বাকৃতির কথা বলা হয়নি বরং এখানে বিস্তৃত বা প্রসারিত করার কথাই বলা হয়েছে l

কেন এখানে ডিম্বাকৃতির হবেনা তার আরোও একটা কারণ আমি দেখাচ্ছি :
আপনারা বলেন যে পৃথিবী উটপাখির ডিমের মতই l কারণ এর মেরু অঞ্চলের দিকে কিছুটা চাপানো বিষুবীয় অঞ্চলের তুলনায় l আর তাই পৃথিবীকে উটপাখির ডিমের মতই দেখায় l
কিন্তু আসলেই কি পৃথিবীকে উটপাখির ডিমের মত দেখায় ! মহাকাশ থেকে তুলা ছবি কি কখনো দেখেছেন ? যদি দেখে থাকেন তবে দেখবেন যে পৃথিবীকে মোটেও উটপাখির ডিমের মত দেখা যায়না l এমনকি কোনো ডিমের মতই দেখা যায়না l বরং এটাকে পুরোপুরি ফুটবলের মত দেখায় l
কেন এমন দেখায় জানেন কি ? যদিও বিজ্ঞানীরা বলে যে পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের দিকে খুব কম পরিমানের হলেও কিছুটা চাপানো থাকে বিষুবীয় অঞ্চলের তুলনায়; তারপরেও পৃথিবী একদম ফুটবলের মত দেখায় l

এর কারণ হচ্ছে মেরু অঞ্চলে খুব অল্প পরিমানে চাপা বিষুবীয় অঞ্চলের তুলনায় l দুই মেরুর দুরত্ব এবং বিষুবীয় অঞ্চলের দুই বিপরীত বিন্দুর দুরত্ব প্রায় সমান l এদের দূরত্বের ব্যবধান মাত্র ৪৩ কি.মি. l যেখানে বিষুবীয় অঞ্চলের দৈর্ঘ্য বা বিস্তৃতি (Diameter) হচ্ছে ১২৭৫৬. কি.মি. l প্রক্ষান্তরে দুই মেরু অঞ্চলের দৈর্ঘ্য বা বিস্তৃতি (Diameter) ১২৭১৩. কি.মি. l আর এদের দৈর্ঘের ব্যবধান মাত্র ৪৩ কি.মি. l এতবড় পৃথিবীর তুলনায় ৪৩ কি.মি. দৈর্ঘ্যের ব্যবধান খুবই কম l আর তাই পৃথিবীকে দেখতে পুরোপুরি গোলকের মতই দেখায় l অর্থাত পৃথিবীকে ফুটবলের মত দেখায় l
আবার পৃথিবীকে অনেকাংশে কমলার মত দেখায় l অর্থাত পৃথিবী দেখতে অনেকটাই কমলার মত l পৃথিবীর আকৃতি বুঝাতে তাই সবাই কমলার উদাহরণই দেয় l কারণ হচ্ছে পৃথিবীর আকৃতি কমলার মতই l তাহলে পৃথিবীর আকৃতি কমলার মত অথবা ফুটবলের মত কিন্তু কখনই ডিমের মত নয় l কারণ ডিম সুষম গোলক আকৃতির মত নয় l কিন্তু কমলা অথবা ফুটবল সুষম গোলক আকৃতির মত l অথবা প্রায় সুষম গোলক আকৃতির l আর পৃথিবীও সুষম আকৃতির মত বা প্রায় সুষম গোলক আকৃতির l আর এই জন্যই পৃথিবী কমলার আকৃতির বা ফুটবল আকৃতির l ডিম্বাকৃতির নয় l
আর তাই পৃথিবী ডিম্বাকৃতির মত কথাটা পুরোপুরি মিথ্যা বা ভুল l

তাহলে আল্লাহ কেন কোরআনে বলবে যে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির l কেন বললো না যে পৃথিবী কমলার আকৃতির ? সে সময় মানুষ হয়তো ফুটবল চিনতো না কিন্তু কমলাতো ঠিকই চিনতো l তাহলে এখানে পৃথিবী কমলার আকৃতির না বলে কেন ডিম্বাকৃতির বলা হবে ? যেখানে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির কথাটা পুরোপুরি ভুল l
সেজন্যই এখানে ডিম্বাকৃতির পৃথিবীর কথা বলা হয়নি l বরং এখানে পৃথিবীকে বিস্তৃত বা প্রসারিত বলা হয়েছে l কারণ সমগ্র কোরআনে পৃথিবীকে বিস্তৃত বা প্রসারিত এই কথাটিই বলা হয়েছে বারবার l এখানে বিস্তৃত বা প্রসারিত পৃথিবী বোঝাতেই দাহাহা শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে l কিন্তু এর আরেকটি অর্থ হয়তোবা ডিম্বাকৃতির কিন্তু এখানে সেই অর্থটি ব্যবহার করা যাবে না l কারণ কোরআনের সব জায়গাতেই পৃথিবীকে বিস্তৃত বা প্রসারিত বলা হয়েছে l আর তাই এখানেও পৃথিবী বিস্তৃত বা প্রসারিত এই অর্থটিই হচ্ছে সঠিক l
আর তাই কোরান পৃথিবীর আকৃতি সঠিক ভাবে উল্লেখ করেছে কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা l বরং কোরআনে সমতল পৃথিবীর কথাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলা হয়েছে বারবার l





চিত্র :- পৃথিবীর আকৃতি কমলা এবং ফুটবলের মত কিন্তু কখনই উটের ডিমের মত নয় l





 (চলবে....)
(বি.দ্র.: লেখাটি এমকেএ আহমেদ রচিত "কোরআনের বর্ণনায় সমতল পৃথিবী- ১ম খন্ড" থেকে ধারাবাহিক ভাবে নেওয়া হচ্ছে।)




7 comments:

  1. http://arifazad.blogspot.com/2016/03/blog-post_48.html

    ReplyDelete
  2. সূরা ইন্‌শিক্বাক্বের ৩ নম্বর আয়াত দেখুন- “আর যখন পৃথিবীকে সমতল করা হবে।” (৮৪:৩)

    ‘যখন সমতল করা হবে...’ অর্থাৎ এখনই সমতল না। যদি আল্লাহ্‌ পৃথিবীকে সমতলই বলতেন, তাহলে আবার সমতল করার কথা বলবেন কেন? এই আয়াত থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায়, কুরআনে পৃথিবীকে সমতল বলা হয় নি। যদি এখানে মসৃণ সমতলের কথা বলা হত তা হলে আল্লাহ্‌ পরের আয়াতে এটি উল্লেখ করতেন না- “আর তার ভেতরে যা-কিছু রয়েছে তা নিক্ষেপ করবে এবং শূন্যগর্ভ হবে।” (৮৪:৪) এখানে মসৃণ সমতল নয়- একেবারে অরিজিন সমতল। যদি মসৃণ সমতলের কথা বলতেন, তাহলে পৃথিবীর উপরিভাগের কথা বলতেন। কিন্তু পুরো সূরাতে আল্লাহ্‌ কোথাও উপরি-অংশ বা উপরিভাগের কথা উল্লেখ করেন নি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভুলভাল ও মনগড়া অনুবাদ ও ব্যাখ্যা দিয়ে কেন বিভ্রান্ত করেন? সূরা ইনশিকাকের ৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, যখন যমীনকে সম্প্রসারিত করা হবে। আর আপনি যে বললেন সমতল করা হবে, এর মানে এই না যে পৃথিবী আগে গোলাকার ছিল পরে সমতল করা হবে। এখানে বুঝানো হয়েছে, পৃথিবীর পাহাড়, পর্বত সবকিছু চূর্ণ বিচূর্ণ করে যমীনের সাথে মিশিয়ে দেওয়া হবে। আগেকার মানুষের ধারণা অনুযায়ী ও চোখের আন্দাজে পৃথিবী সমতল হলেও তা সব জায়গায় সমতল না। এখানে অনেক উঁচু নিচু পাহাড়ি ভূমি আছে। সেসব ভূমিকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে মূল যমীনের সাথে মিশিয়ে পৃথিবী পুরোপুরি সমতল করার কথা বলা হয়েছে।

      Delete
  3. আসলে ভাষা জ্ঞ্যান না থাকা আর ইসলাম বিরুধিতার স্বার্থে বিরুধিতা করলে যা হয়।পৃথিবীকে বিস্তৃত বলতে পৃথিবীর আকার বুঝায় না।বিলে সারি সারি ধান ক্ষেত দেখলেই বুঝা যায় কি চমৎকার বিস্তৃত ভুমি।বান্দরবান রাংগামাটির মত হলে সারা পৃথিবী কি হত ভাবা যায়।শস্য করা রাস্তাঘাট কি কঠিন হত। পৃথিবী সমত হলে নিশ্চয়ই সুর্য রাতে নিভে যায় এরকম আয়াত থাকত অথচ আছে রাত সুর্যকে ঢেকে দেয়

    ReplyDelete
  4. ভাই এতে কিছু ব্যাখ্যা করতে হবে না আপনি আপনার মত ব্যাখ্যা দিয়ে পৃথিবীতে সমতল বানাইলেন। আমরাও ব্যাখ্যার মাধ্যমে পৃথিবীকে গোল করতে পারতেছি।। so আমি যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হল জাস্ট কুরআনে একটা ওয়ার্ড বাইর কইরা দেন যাতে পৃথিবীতে সমতল সমতল বলা হয়েছে। আরবি ভাষায় সমতল বলছে পৃথিবীকে এরকম একটা ওয়ার্ড বের করে দেন
    I challenge you 😅 পারবেন না

    ReplyDelete
  5. ভাই কিছু মনে করবেন না তবে আপনি কি পাগল কারণ আপনি পৃথিবীতে কমলালেবু বা ফুটবলের সাথে তুলনা করলেন যা পুরোপুরি ভুল আমি আশা করি আপনি জানেন যে পৃথিবী রোটেশন করে বলতে পৃথিবীর ঘুরতে থাকে এই পৃথিবী ঘুরতে থাকার কারণে তাদের গোলোকে একটু কিছুটা পরিবর্তন আসে এই পরিবর্তনের কারণে আমরা পৃথিবীকে সম্পূর্ণ ভুল বলতে পারিনা
    যাইহোক আমার কথা আপনারা বুঝতে হবে না আপনি জাস্ট google এ গিয়ে এতোটুকু লেখেন
    is the earth completely round?আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তরটা পেয়ে যাবেন গুগলে জাস্ট এতোটুকুই লেখেন

    ReplyDelete
  6. ভাই আপনি বললেন পৃথিবীর সমতল বলা হয়েছে কোরআনে তা একটু ঘুরার প্যাচায়ে বলা হয়েছে
    ভাই আমার প্রশ্নটা হচ্ছে
    কোরআনে পৃথিবীর সমতল হওয়ার কথাটা ঘুরায় পেচায় লিখবে?কেন ?
    এখন আমি একটা উদাহরণ দিতেছি
    ধরেন আমি আপনি কমলাকে সারা জীবন কমলা নামেই চিনে আসতেছি পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ কমলারে কমলাই বলে এখন আপনি যদি হঠাৎ কইরা কমলারে আম বলেন আপনি কিন্তু সরাসরি বলতে পারবেন না কমলারে আম বলতে গেলে আপনার একটু ঘোড়ায় প্যাঁচায় বলতে হবে যেহেতু আমরা সবাই জানি যে এটা কমলা


    এখন মূল কথায় আসি
    সেই সময় পৃথিবীর সবাই জানত পৃথিবীর সমতল
    তো সবাই জানে যে পৃথিবী সমতল তাই কুরআন শরীফে পৃথিবীকে সমতল সরাসরি বলতে পারত। ঘুরায় প্যাঁচায় বলার কোন প্রয়োজনই ছিল না কারণ সে সময় সবাই জানত পৃথিবী সমতল তো এই কথাটা ঘোড়ায় প্যাঁচায় বলার কোন প্রয়োজনই ছিল না বরং পৃথিবীর যে গোল এই কথাটাই ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলতে হবে কারণ পৃথিবীর সকলের মানতো পৃথিবীর সমতল কোরআন শরীফে পৃথিবী যে গোল এই কথাটা সরাসরি না বলার কারণ হলো ঐ সময়কার মানুষগুলো পথভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে কুরআন শরীফকে ভুল মনে করতে পারে তাইএকটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলা হয়েছে তাই পৃথিবী যে গোল এই কথাটা।
    কিন্তু কোরআন শরীফের কোথাও বলা হয়নি পৃথিবীর সমতল বরং আকার ইঙ্গিতে বোঝানো হয়েছে পৃথিবীতে একটা গোল আর ভাই৷ দিউদয়চল এবং দিঅস্তচল পৃথিবীর সমতল হলে কখনো সম্ভব ছিল না
    লাস্ট কথা হচ্ছে আপনি যে বললেন ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে সমতল বলা হয়েছে কোরআন শরীফে। আপনার এই কথাটা একদমই ভুল এটাই আমি লজিক দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করলাম। কোরআন শরীফে পৃথিবীকে সমতল ঘোড়ায় প্যাঁচায় বলার কোন প্রয়োজনই ছিল না কারণ সেই সময় সবাই মানতো যে পৃথিবী সমতল তো এই কথাটা কমসেকম ঘুরায় প্যাচায়ে লেখার কোন প্রয়োজন নাই এটা মানলেন ভাই। পৃথিবীযে গোল এইটাই ঘুরায় প্যাচায় লিখতে হবে
    আশা করি আপনারা বুঝাইতে পারছি

    ReplyDelete