Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, December 24, 2014

আকাশ নিয়ে আল্লাহর হুমকি, আর আমার প্যাঁচাল !

মুসলমানদের সৃষ্টির জনক মহান রাব্বুল আলামীন(??) আল্লাহ সুবাহানু তাআলা পবিত্র(?) কুরআনুল করীমে(?) বলেছেন, সুরা শূরা, আয়াত ৫
'আকাশমন্ডলী তার উর্ধদেশ হতে ফেটে (ভেঙ্গে) পড়ার উপক্রম হয় এবং ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে এবং জগদ্বাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে । সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহ, তিনি অতি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ।"
"5. The heavens are almost rent asunder from above them [by Him Glory]: and the angels celebrate the Praises of their Lord, and pray for forgiveness for [all] beings on earth: Behold! Verily Allah is He, the Oft-Forgiving, Most Merciful."

দেখেছেন আকাশমন্ডলী (মানে সাতটা আকাশ) ফেটে বা ভেঙ্গে মানুষের মাথার উপর পড়ার উপক্রম হয় আর ফেরেশতারা কিভাবে মানুষকে এর হাত থেকে বাঁচায় । (নাস্তিকরা শুধু শুধু ফেরেশতাদের বদনাম করে !!!!)
"যদি ফেতেশতারা না থাকতো তবে হে মানব সমাজ তোমাদের কী গতি হতো ?" আমি নিজেই দেখি আয়াত লিখে ফেললাম, কী মুশকিল !!!

আকশ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় আর ফেরেশতারা আল্লাহকে তেল দিয়ে দিয়ে আকাশের পতন ঠেকায় কিন্তু ব্যাটা আল্লাহ সেই কৃতিত্ব নিজের উপর নিয়ে নিচ্ছে; বলছে - আল্লাহ কত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু । আরে মিয়া দয়ালুতো হচ্ছে ফেরেশতারা, যারা আল্লাহকে তেল মেরে মেরে মানুষকে বাঁচায় । তাহলে আল্লাহ দয়ালু হলো কিভা্বে ?
ভাগ্যিস (ভাগ্য ভালো) ফেরেশতারা ছিল তা না হলে যে খোকা (মানব সমাজ), তোদের কী গতিই (পরিনতি) যে হতো !

আমি মনে হয় আল্লাহ কে আন্ডারএস্টিমেট করছি, আমি আসলে বুঝতে পারছি না আল্লাহর ক্ষমতা কতটুকু বা আল্লাহ কতটা ক্ষমতাশালী !
কুরআনে করীমে(?) মহান (?) আল্লাহপাক বলেছেন,
সুরা যুমার, আয়াত ৬৭
"তারা আল্লাহর যথাযথ সম্মান করে না । সমস্ত পৃথিবী কিয়ামতের দিন থাকবে তাঁর হাতের মুষ্টিতে এবং আকাশমন্ডলী থাকবে ভাজকৃত তাঁর ডান হাতে । পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরীক করে তিনি তার উর্ধ্বে । "
67. No just estimate have they made of Allah, such as is due to Him: On the Day of Judgment the whole of the earth will be but His handful, and the heavens will be rolled up in His right hand: Glory to Him! High is He above the Partners they attribute to Him!"
দেখলেন আল্লাহ আমাকে এবং আমার মতো মানুষদেরকে বলছে, আমরা আল্লাহকে আন্ডারএস্টিমেট করে ফেলেছি । আর তাই আল্লাহ তার ক্ষমতা দেখিয়ে বলছে, সমস্ত পৃথিবী এবং আকাশমন্ডলী ( মানে সাতটা আকাশ) তিনি আল্লাহ দু হাতে ধরে রাখতে সক্ষম । আর আমি কিনা সেই মহাশক্তিশালী আল্লাহকে দাম দিচ্ছিনা । কাজটা ঠিক হচ্ছে না !!
ভাবছেন আল্লাহর মতো মহাশক্তিশালী একটা মানুষ আমার উদ্দেশ্যে আয়াত নাজিল করেছে ? যদি এমনটি ভেবে থাকেন তবে ভূল ভাবছেন । এই আয়াতটি আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়নি । হয়েছে কোরায়েশ পৈত্তলিক ধার্মিকদের উদ্দেশ্যে । কারন তারা আল্লাহকে একজন দেবতা ভাবতো যার তিনটি মেয়ে দেবী ছিল । এছাড়াও আল্লাহর অনেকগুলো ছোট বড় দেব দেবী (মোট ৩৬০টি) ছিল । এমনকি পৈত্ত্লিকরা আল্লাহর মূর্তি পর্যন্ত বানিয়ে কাবা ঘরে রেখে দিয়েছিল । আর তাই মহান শক্তিধর আল্লাহ ক্ষেপে গিয়ে এই আয়াতটির মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন আর তার ক্ষমতা দেখাচ্ছেন । সবাই বলেন সুবাহান আল্লাহ ।
আপনারা এবার আল্লাহর ক্ষমতা দেখেছেন তো । কিয়ামতের দিন আল্লাহ পৃথিবীকে হাতে (এটা হচ্ছে বাম হাত) রাখবেন এবং ডান হাতে রাখবেন আকাশগুলোকে (সাত আকাশ) । আর আল্লাহ এতােটাই ক্ষমতাশালী । সুতরাং আল্লাহকে আন্ডার এস্টিমেট করা নাস্তিক, সংশয়বাদী, এবং হিন্দু, খ্রিস্টান, ইহুদী এবং নাম না জানা হাজারও ধর্মের মানুষগণ, এখনও সময় আছে সাবধান হয়ে যান ।
এই আয়াতটি দিয়ে আল্লাহ খ্রিস্টানদেরকেও সাবধান করে দিচ্ছেন; কারণ খ্রিস্টানরা আল্লাহর স্ত্রী আর সন্তানের দাবী করে আল্লাহর ক্ষমতাকে আন্ডারএস্টিমেট করেছে মানে আল্লাহকে শরীক করেছে । সুতরাং এই আয়াতটি দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত পৈত্তলিক এবং খ্রিস্টান সহ সব বহুশ্বরবাদীদেরকে সাবধান করে দিয়েছে তার ক্ষমতা সম্পর্কে আন্ডারএস্টিমেট না করার জন্য ।
এই আয়াতটি দিয়ে আরেকটা ব্যাপার স্পষ্ট হয়েছে, আর সেটা হচ্ছে মানুষের মতো আল্লাহরও ডান এবং বাম দুটো হাত রয়েছে ।

বি.দ্র.: আকাশমন্ডলী বা সাত আকাশ বলে বাস্তব জগতে কিছু নেই । বায়ুমন্ডলে আলো প্রতিসরিত বা বিক্ষিপ্ত হয়ে যে আকাশের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে সেটা কোন কঠিন পদার্থের তৈরী নয় যে এটা ফেটে বা ভেঙ্গে কারো উপর পড়ে যেতে পারে; আবার এটি নরম কঠিন পদার্থের তৈরীও নয় যে একে ভাজ করে রাখা যাবে । কুরআনে অনেক আয়াতে আকাশকে শক্ত কঠিন হিসেবে দেখানো হয়েছে যেটা পৃথিবীতে পড়ে যেতে পারে বা কারে্া মাথায় পড়ে যাবে এমন ভয় থাকতে পারে । প্রকৃতপক্ষে এমন কোন আকাশের অস্তিত্বই নেই বাস্তব জগতে ।
আকাশকে দেখতে শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদের মতো দেখালেও এটি কোন শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী নয় যে এটা ভেঙ্গে যাবে বা এটাকে ভাজ করে রাখা যাবে । আকাশ হচ্ছে বায়ুমন্ডলে আলাের প্রতিসরন এবং বিক্ষেপণের মাধ্যমে তৈরী প্রতিচ্ছবি । অর্থাৎ আকাশ হচ্ছে একটা ছবি মাত্র যেটা আলোর প্রতিসরণ এবং বিক্ষেপণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয় ।
তাহলে কুরআনে কেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ার ভয় দেখানো হয়েছে ? কারন কুরআনের লেখক জানতো না যে আকাশ বলে কিছু নেই ।
আকাশ হচ্ছে বায়ুমন্ডলে আলাের প্রতিসরন এবং বিক্ষেপন ।
আর তাই কুরআনের লেখক আকাশকে শক্ত কঠিন হিসেবে কল্পনা করেছে যাকে কারো উপর ভেঙ্গে ফেলে দেয়া্ যায় বা ভাজ করে রাখা যায় ।
কিন্তু কুরআনের লেখক আকাশ সম্পর্কে ছিল সম্পূর্নই অজ্ঞ ।

1 comment:

  1. #আকাশ ফেটে যাওয়াকে পদার্থ বিজ্ঞানীরা বলেন, " big rip " অর্থাৎ big bang এর পর মহাবিশ্ব সপ্রসারিত হতে হতে এক সময় space এর ঘনত্ব কমতে কমতে তাতে চিড় ধরতে পারে। অর্থাৎ ফেটে যেতে পারে। এবং মহাবিশ্ব ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে এভাবেই।

    #আকাশ মণ্ডলী ভাজ হওয়াকে পদার্থ বিজ্ঞানীরা বলেন big crunch. অর্থাৎ big bang এর ঠিক উল্টো। মহাবিশ্ব প্রসারিত হতে হতে একদিন থেমে আবার উল্টোভাবে একবিন্দুতে ফিরে আসতে পারে। আবার big bounce এর মাধ্যমে নতুন মহাবিশ্ব তৈরি হতে পারে। পুরো মহাবিশ্ব এক সূক্ষ্ম vibration পরিলক্ষিত হয় সবসময়। এটাকে cosmic vibration বলেন অনেক বিজ্ঞানী।

    মহাবিশ্ব উল্টোদিকে রওয়ানা হলে এই vibration বহুগুনে বেড়ে যাবে। সমগ্র স্পেস ভাঁজ হতে শুরু করবে।

    যদিও মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের কারণ জানলেও আমরা জানিনা এর এতো উচ্চ বেগের কারণ। বিজ্ঞানীরা বলেন ডার্ক ম্যাটার ও এনার্জি। এ সম্বন্ধে কেউ কিছু পরিষ্কার জানেনা।

    # এবার আসি 'সাত আসমান'। অনেক বিজ্ঞানী " parallel universe " এ বিশ্বাস রাখেন। ( এখনো থিউরি পর্যায়ে) parallel universe মানে মহাবিশ্বের ভিতরে মহাবিশ্ব না। মহাবিশ্বের বাইরে আরেক মহাবিশ্ব।

    যেভাবে আল্লাহ বলেছেন supericomposed heaven. একটির উপর অপরটি স্থাপন করা। আমাদের দৃষ্টিসীমা ৯৩ বিলিওন লাইট ইয়ার্স। এর বাইরে কিছুই দেখিনা। তাহলে সাত আসমান দেখবো কি করে। কি করেই বা বলে এটি নেই? এই মহাবিশ্ব তো একটাই আসমান। :)


    আমি জানি আপনার চোখ আমি খুলে দিতে পারবো না। কারণ আপনি বুঝে শুনেই চোখ বন্ধ করেছেন। :) তবু আপনার জন্যে অনেক ভালোববাসা ভাই। আল্লাহ্‌ আপনাকে হেদায়েত করুণ।

    মন থেকে আপনার জন্যে দোওয়া করবো।

    আমি অবেক জ্ঞানী নই, তবু কোনো প্রশ্ন থাকলে
    আপনার উত্তর দিতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।

    Email : shawonEric@gmail.com

    ReplyDelete