আমার গার্ল ফ্রেন্ড সব সময় নামাজ রোজা করতে
বলে l কিন্তু আমিতো পুরোপুরি নাস্তিক l তাই আমি তাকে বলি এসব আমাকে দিয়ে হবে না l সে বলে একটু চেষ্টা করে দেখো l এভাবে চলতে থাকলে তো জাহান্নামে যাবে l আমি তাকে বলি আমি জাহান্নামেই যেতে চাই l তবু এগুলো করতে পারবো না l সে এটা নিয়ে রাগারাগি
করে সবসময় l আমি তাকে কখনো নাস্তিক হতে বলি না l
আমি জানি সে দুর্বল মনের মানুষ l আমি হাজার যুক্তি প্রমান দিয়ে বোঝালেও সে বুঝতে চায়না l শেষে যুক্তিতে না পেরে বলে তুমি নাস্তিক আছ ভালো কথা কিন্তু এসব আমাকে বলতে আসবে
না l
আমিও আর জোর করি না l থাকনা অন্ধ-বিশ্বাস নিয়ে l সেতো আর কারো কোন ক্ষতি করছে না l কিংবা মোল্লাদের
মত কারো উপর জোর করে ধর্মকে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে না l সে শুধু নিজের বিশ্বাসকে পালন করে যাচ্ছে l তাতে সমাজেরতো কোন ক্ষতি হচ্ছে না l হোক না সেটা
মিথ্যে বিশ্বাস কিন্তু তাতে তো সমাজের কোন ক্ষতি হচ্ছে না l সে শুধু নিজের ধর্ম
বিশ্বাসকে পালন করছে l
আমি জানি সে দুর্বল মনের অধিকারী l তাই কখনো এসব ব্যাপারে
কিছু বলি না l
কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি সবে বরাতের রাতে
অথবা সবে কদরের রাতে সারা রাত জেগে থেকে নামাজ পরে l ভিশন কষ্ট হয় তখন l আবার যখন রমজান মাস
চলে আসে তখন প্রত্যেকটা রোজা করে শরীরের বারোটা বাজিয়ে দেয় l এসব দেখেও খুব কষ্ট হয় l কেন এমন একটা অদ্ভুত ধর্ম মুহাম্মদ তৈরী করলো সেজন্যে খুব রাগ হয় ওই ভন্ড লোকটির
উপরে l এরকম অদ্ভুত নিয়ম করার কি কোন অর্থ আছে ?
পাচ ওয়াক্ত নামাজ তার উপর আবার সারাদিন না খেয়ে থাকা l
আর শরীরের বারোটা বাজানো l এ ছাড়া কি ওই লোকটির কোন কাজ ছিল না ? নিজেই নিয়ম
তৈরী করবি তবে সহজ কোন নিয়ম তৈরী কর l কেউ না জানুক
মুহাম্মদ তো জানতো ধর্মের জারিজুরি সব ভুয়া l তবুও সেটা না করে কঠিন কিছু নিয়ম তৈরী করে গেছে l আর অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিক গুলো বেহেস্তের লোভে এই নামাজ রোজার মত অযৌক্তিক কাজ গুলো
করে চলে l
প্রতিবার যখন রমজান মাস আসে আর আমি বলি এত
রোজা করে কি করবে কয়েকটা রোজা বাদ দিলে কিছু হবে না l আল্লাহতো দয়ালু তাই দু-একটা রোজা বাদ দিলে কিছু হবে না l কিন্তু সে কখনো রোজা বাদ দেয় না l অনেক বুঝিয়েও কোন কাজ হয়না l আস্তিকরা অন্ধ-বিশ্বাসী
হয় তাই তারা যুক্তি তর্ক বুঝে না, অন্ধ ভাবে পালন করে
চলে l
সে আমাকে নামাজ পড়তে বললেও কখনো আমাকে রোজা
করতে জোর করে না l সারাদিন না খেয়ে থাকলে আমার কষ্ট হবে আর তাই
রোজা করার জন্য কখনো জোরা জোরি করে না l বলে - তুমিতো
নাস্তিক, নামাজই পড় না আবার রোজা করার দরকার কি !
কিন্তু নিজে কখনও রোজা বাদ দেয় না l
আমি অনেক ভাবে বুঝিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি l
সেবার রোজাতে আমি তাকে বললাম - তুমিতো কিছুটা
অসুস্থ, আগে ভালো হও তারপর রোজা কর l
সে বলল- না আমি রোজা বাদ দিব না l
আমি তখন বললাম - এত রোজা করে কি করবে বেহেস্তে
যাবে ?
সে বলল - না যাতে জাহান্নামের আগুন থেকে বাচতে
পারি তাই রোজা করবো l
আমি তাকে বললাম - জান্নাত এবং জাহান্নাম বলে
কিছু নেই এটি মানুষের কল্পনা l আর তাই যতই রোজা করনা
কেন বেহেস্তে বা দোজকে যাবে না কখনো l মরার পর সব
শেষ l
তখন সে বলে - হোক শেষ তবু আমি রোজা করবো l
যদি থাকে !
আমি বলি - কখনই থাকবে না l এই বেহেস্ত দোজক এগুলো মানুষের কল্পনা বাস্তব জগতে এগুলোর অস্তিত্ব
নেই l
সে বলে - না থাকে তবুও আমি রোজা করবোই l
বাদ দেবো না l
আমি শেষে বললাম - আচ্ছা তুমি যে রোজা করছো,
নামাজ পড়ছো l কিন্তু আমিতো
নামাজ রোজা করছি না l তাহলে তুমি বেহেস্তে যাবে কিন্তু আমি দোজকে
যাব l তাহলে তো আমরা দুজন আলাদা আলাদা থাকবো l
এক কাজ করি চল, তুমি আমি দুজনেই
দোজকে যাই তাহলে এক সাথে থাকতে পারবো l তা না হলে কিন্তু
পরকালে আলাদা আলাদা থাকতে হবে l তাই রোজা করো না l
নামাজ পড়লে পড়তে পারো l
বলাই বাহুল্য সে কিন্তু রোজা বাদ দেয়নি l
কষ্ট করেই রোজা করেছিল l
অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিকদের কে মানুষ বানানো
খুব কঠিন l
No comments:
Post a Comment