Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, June 25, 2014

ঈশ্বর কি শূন্য থেকে মহাবিশ্ব তৈরী করতে পারেন ? ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন আসুন দেখি এর গাণিতিক হিসাব l (বিশ্লেষণ):

ঈশ্বর কি শূন্য থেকে মহাবিশ্ব তৈরী করতে পারেন ?
ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন আসুন দেখি এর গাণিতিক হিসাব l (বিশ্লেষণ):

বিজ্ঞানের মতে প্রতিটি বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ার আগের বিক্রিয়ক গুলোর মোট পরিমান এবং উত্পাদক গুলুর মোট পরিমান সমান হবে l
অর্থাত , বিক্রিয়ক = উত্পাদক l
এই সূত্রের কখনো ব্যতিক্রম হয় না l
এবার আসি বিগ বাং এর ক্ষেত্রে , এই সুত্র অনুযায়ী বিগ ব্যাং -এর আগের মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান আর বিগ ব্যাং-এর পরের মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান সমান হবে l
সুতরাং বিগ ব্যাং-এর থিওরি অনুযায়ী ,
বিগ ব্যাং-এর আগের সমস্ত উপাদান = বিগ ব্যাং-এর পরের সমস্ত উপাদান ,
বা, (শক্তি) * (অস্বিম) = ( শক্তি + পদার্থ )(অস্বিম)
এটা হবে বিজ্ঞানের থিওরি অনুযায়ী l

আবার ঈশ্বর অনুযায়ী ,
শূন্য * ঈশ্বরের ফুত্কার(আদেশ) = ( শক্তি + পদার্থ )(অস্বিম)

বা , শূন্য = ( শক্তি + পদার্থ )(অস্বিম)
কিন্তু আমরা জানি ( শক্তি + পদার্থ )(অস্বিম) কখনো শূন্য হতে পারে না l
অর্থাত ( শক্তি + পদার্থ )(অস্বিম) = শূন্য নয় l
সুতরাং ঈশ্বর কখনো শূন্য থেকে বিশ্বজগত সৃষ্টি করতে পারেন না l (প্রমানিত )

লেখাটা লেখার সময় খুব সংক্ষেপে ব্যাপারটা তুলে ধরেছিলাম l কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ করেছি যে আমার লেখাটা অনেকেই ধরতে পারেন নি বা ঠিক ভাবে বুঝতে পারে নি l তাই বিষয়টা বিশদ ভাবে বর্ণনা করছি l
বিজ্ঞানের মতে প্রতিটি বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ার আগের বিক্রিয়ক গুলুর মোট পরিমান এবং উত্পাদক গুলুর মোট পরিমান সমান হবে l
অর্থাত , বিক্রিয়ক = উত্পাদক l
এই সূত্রের কখনো ব্যতিক্রম হয় না l
শুধু বিক্রিয়ক গুলি নয় বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত শক্তির পরিমান (শোষিত বা উত্পাদিত) এবং উত্পাদে শক্তির পরিমান (শোষিত বা উত্পাদিত) সমান হয় l
এই নিয়মেরও কোনো ব্যতিক্রম হয় না l

একটা বিক্রিয়া বিবেচনা করি, ফিশন বিক্রিয়া ;
যেখানে একটা বড় মৌল ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং তৈরী হচ্ছে দুটো ছোট মৌল এবং প্রচুর শক্তির(+কিছু নিউট্রন) l
এখানে, বড় মৌল = ছোট মৌল১ + ছোট মৌল২ + শক্তি(+কিছু নিউট্রন) l

অর্থাত বড় মৌলটির ভর ভেঙ্গে যাচ্ছে , এবং দুটি কম ভরের মৌল তৈরী হচ্ছে এবং প্রচুর পরিমান শক্তির সৃষ্টি হচ্ছে l
এখানে; শক্তি(+কিছু নিউট্রন) , ছোট মৌল১ ও ছোট মৌল২ মোট পরিমান হলো ওই বড় মৌলটির সমান l
অর্থাত এই বিক্রিয়া সংঘঠিত হওয়ার আগের ও পরের শক্তির পরিমান সমান থাকছে l

আবার যদি আমরা সূর্যের কথা চিন্তা করি, যেখানে ফিউশন বিক্রিয়া হচ্ছে এবং উত্পন্ন শক্তি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে l সূর্যের অভ্যন্তরীণ হাইড্রুজেন-এর দুইটি মৌল(আইসোটোপ) পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করছে এবং এদের নিউক্লিয়াস দুটি মিলিত হয়ে একটা বড় নিউক্লিয়াস(হিলিয়াম) তৈরী করছে l ফলে একটা নিউট্রন বেরিয়ে যাচ্ছে আর বিপুল পরিমান শক্তি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে l (এখানে সূর্যের ভর কমে যাচ্ছে l) সেই শক্তিরই কিছু অংশ আমরা তাপ ও আলো হিসেবে পাচ্ছি l এর ফলে সূর্য বিপুল পরিমান ভর হারিয়ে ফেলছে l এখানে সূর্যের ভর হারানোর কারণ নিউট্রন ও বিপুল পরিমান শক্তি বেরিয়ে যাওয়া l
এখন এই বিক্রিয়ার আগের পরিমান (দুটি হাইড্রুজেন ) এবং উত্পন্ন উপাদান(হিলিয়াম + নিউট্রন + শক্তি) সমান হবে l
অর্থাত, দুটি হাইড্রুজেন = হিলিয়াম + নিউট্রন + শক্তি l
সুতরাং বিক্রিয়ার আগের উপাদান এবং বিক্রিয়ার পরের উপাদান (+শক্তি) সমান l

এই রাসায়নিক বিক্রিয়া নমুনা মাত্র l প্রকৃতিতে আপনি যেদিকেই তাকাবেন এই সূত্রের প্রতিফলন দেখতে পাবেন l
ধরেন এক বালতি পানি ফোটাবেন আগুনে l আপনি যদি চুলার আগুন মৃদুভাবে জ্বালান তাহলে কিন্তু পানি ফুটতে অনেক সময় লাগবে l আবার চুলার আগুন যদি খুব বেশি মাত্রায় জ্বালান তাহলে কিন্তু খুব অল্প সময়ে ফুটে যাবে l
এই দুটি পর্যায় যদি আপনি বিবেচনা করেন তাহলে দেখবেন যে প্রথম ক্ষেত্রে আগুন মৃদু ভাবে জলে যে পরিমান তাপ উত্পন্ন করছে তাতে অনেক সময় লাগছে বালতির পানি ফুটতে যে পরিমান তাপের দরকার সেই পরিমান তাপ উত্পন্ন করতে l কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে সেই পরিমান তাপ উত্পন্ন হতে কম সময় লাগছে এবং পানি তারাতারি ফুটে যাচ্ছে l
কিন্তু দুটো ক্ষেত্রেই যদি শক্তির পরিমাপ করা হয় তাহলে দেখা যাবে প্রথম ক্ষেত্রে পানি ফুটতে যে পরিমান তাপের প্রয়োজন হয়েছে সেই পরিমান তাপ উত্পন্ন করতে যে জ্বালানির প্রয়োজন ঠিক সেই পরিমান জ্বালানিই প্রয়োজন হয়েছে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে পানি ফুটার জন্য সেই পরিমান তাপ উত্পন্ন করতে l
এক্ষেত্রে , জ্বালানি থেকে উত্পন্ন তাপ = পানি ফুটতে প্রয়োজনীয় তাপ l
তাহলে এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ঘটনা সংঘঠিত হবার আগে ও পরের শক্তির মোট পরিমান সমান থাকছে l
যেটা রাসায়নিক বিক্রিয়ার গুনাবলীরই অনুরূপ l

আবার আরেকটি উদাহরণ বিবেচনা করি l
মোটর গাড়ি চলার সময় এর স্পিড বাড়ানো বা কমানো হয় l যখন গাড়ির কম স্পিডে চালানো হয় তখন যে পরিমান জ্বালানি ক্ষয় হয় তার থেকে অনেক বেশি জ্বালানি ক্ষয় হয় যখন খুব বেশি স্পিডে গাড়ি চালানো হয় l
মোটর গাড়ি চলার সময় এখানে দুটি শক্তি বা বল ক্রিয়া করে l পৃথিবীর অভিকর্ষীয় বল বা শক্তি যা গাড়িটিকে স্থির রাখতে কাজ করে এবং জ্বালানি শক্তির প্রভাবে গাড়ির গতিশক্তি যা গাড়িটিকে অভিকর্ষীয় বলের বিরুদ্ধে কাজ করে গাড়িকে চলমান করে l
ফলে গাড়িটি যখন কম গতিতে যায় তখন জ্বালানি শক্তিকে অপেক্ষাকৃত অনেক কম শক্তি প্রয়োগ করতে হয় l ফলে গাড়িটি কম গতিতে চলার সময় জ্বালানি ক্ষয় হতে বেশি সময় লাগে l কিন্তু গাড়িটি যখন খুব বেশি গতিতে যাবে তখন খুব কম সময়ে বেশি পরিমান জ্বালানি ক্ষয় হবে l অর্থাত গাড়িটিকে অনেক বেশি গতি অর্জন করতে যে শক্তির প্রয়োজন তা তৈরী করতে অনেক জ্বালানি শক্তির প্রয়োজন হবে l কিন্তু গাড়িটিকে কম গতিতে চলার সময় যে শক্তির প্রয়োজন হয় তা তৈরী করতে অপেক্ষা কৃত কম শক্তির প্রয়োজন হবে l

এখন ধরি গাড়িটি যে পথ অতিক্রম করবে তাতে গাড়িটির একটা নির্দিষ্ট পরিমান জ্বালানি ক্ষয় হবে l
কম গতিতে গেলে সময় লাগবে বেশি l
এখানে গাড়িটিকে যে শক্তি প্রয়োগ করে অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কাজ করে গতি শক্তি অর্জন করতে হবে তার পরিমান হবে জ্বালানির ক্ষয়ে উত্পন্ন শক্তি (যা গাড়িকে অভিকর্ষজ বলের বিরুদ্ধে কাজ করতে ব্যবহৃত হয় ) তার পরিমানের সমান l

অর্থাত দুটো শক্তি(জ্বালানির ফলে উত্পন্ন শক্তি এবং অভিকর্ষজ বলের বিরুদ্ধে গতিশক্তি) পরস্পর সমান হবে l
জ্বালানি শক্তি ক্ষয়ের ফলে উত্পন্ন শক্তি = গাড়িটির অভিকর্ষজ শক্তির বিরুদ্ধে কার্যত গতিশক্তি l

আবার গাড়িটি যখন অপেক্ষাকৃত বেশি গতিতে যাবে, তার জ্বালানির ক্ষয়ের ফলে উত্পন্ন শক্তি বেশি হবে l ফলে এই শক্তি গাড়িটির উপর বেশি কাজ করবে l তারফলে বেশি গতির সৃষ্টি হবে l
এখানে গাড়িটির জ্বালানি ক্ষয়ের ফলে উত্পন্ন শক্তি এবং গাড়িটির অভিকর্ষজ বলের বিরুদ্ধে কার্যত গতি শক্তি সমান হয় lএর জন্য গাড়িটির গতি থাকে অনেক বেশি (যেহেতু বেশি জ্বালানি শক্তি ক্ষয় হয়)
অর্থাত, জ্বালানির বেশি ক্ষয়ের ফলে উত্পন্ন শক্তি = অভিকর্ষজ বলের বিরুদ্ধে কার্যত বেশি গতিশক্তি l

আবার ,
একই পরিমান পথ অতিক্রম করতে বেশি গতিতে গেলে সময় লাগবে কম l কিন্তু জ্বালানি ক্ষয় হবে কম গতিতে গেলে যে পরিমান ক্ষয় হয় তার সমান l যেহেতু কম গতিতে এবং বেশি গতিতে চলমান গাড়ি একই পথ অতিক্রম করে l
এখানে কম গতিতে চলমান অবস্থায় গাড়িটির জ্বালানি ক্ষয় কম কিন্তু সময় লাগে বেশি l ফলে কম জ্বালানি ক্ষয়ের ফলে উত্পন্ন অপেক্ষাকৃত কম শক্তি এর সাথে গুন হবে বেশি সময় l এবং বেশি জ্বালানির ক্ষয়ের ফলে উত্পন্ন অপেক্ষাকৃত বেশি শক্তি এর সাথে গুন হবে কম সময় l এর ফলে দুটো শক্তি হবে সমান l
অর্থাত কম জ্বালানি ক্ষয়ের ফলে উত্পন্ন অপেক্ষাকৃত কম শক্তি * বেশি সময় = বেশি জ্বালানির ক্ষয়ের ফলে উত্পন্ন অপেক্ষাকৃত বেশি শক্তি * কম সময় l
প্রক্ষান্তরে , কম গতিতে চলমান গাড়ির গতি শক্তি * বেশি সময় = বেশি গতিতে চলমান গাড়ির গতি শক্তি * কম সময় l
আমরা দেখতে পারছি দুটি ভিন্ন গতিতে চললেও শক্তির ক্ষয় হচ্ছে একই এবং অভিকর্ষজ বলের বিরুদ্ধে কার্যত গতিশক্তির পরিমানও একই থাকছে l
আবার এখানে শক্তির পরিবর্তন হচ্ছে সমান পরিমানে l অর্থাত জ্বালানি ক্ষয়ের শক্তির সমান পরিমান গতি শক্তির সৃষ্টি হচ্ছে l
ফলে ঘটনা ঘটার আগের শক্তি ও পরের শক্তি সমান থাকছে l
অর্থাত ঘটনা ঘটার আগের শক্তি ও পরের শক্তি সমান l
এখানেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না l
আরেকটা উদাহরণ দেখি ,
আমরা যখন সাইকেল চালাই তখন আমাদের সাইকেলের প্যাডেলে শক্তি প্রয়োগ করতে হয় l শরীর এই শক্তি শরীরের অভ্যন্তরে খরজ করে l সেই শক্তি আমরা পাই খাদ্য থেকে l
এখন সাইকেলে যে পরিমান শক্তি খাটানো হবে সাইকেল তত গতিতে ছুটতে থাকবে l
এখানে প্যাডেলে প্রয়োগকৃত শক্তি সাইকেলের গতিশক্তির সমান হবে l
অর্থাত, প্যাডেলে প্রয়োগকৃত শক্তি = সাইকেলের গতিশক্তি l
আবার যদি প্যাডেলে বেশি পরিমানে শক্তি প্রয়োগ করা হয় তাহলে গতি শক্তিও সেই পরিমানে বৃদ্ধি পাবে l
এখানে হবে , সাইকেলে বেশি পরিমানে প্রয়োগ কৃত শক্তি = সাইকেলের বেশি পরিমানে গতি শক্তি l
অর্থাত , সাইকেলে প্রয়োগকৃত শক্তি = সাইকেলের গতি শক্তি l
এখানেও ঘটনার আগের শক্তি ও পরের শক্তি সমান থাকছে l
ফলে এখানেও এর ব্যতিক্রম হয় না l
আবার আপনি যখন হেটে যান তখন আপনি ক্লান্তি বোধ করেন না l কিন্তু যদি আপনি দৌড়ান তাহলে কিন্তু ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং শরীর ঘামতে থাকে l এর কারণ হাটা অবস্থায় শক্তি খরচ হয় অপেক্ষাকৃত কম l এবং দৌড়ালে শক্তি খরচ হয় বেশি l
হাটা অবস্থায় শক্তির দরকার হয় কম ফলে শরীর কম শক্তি ব্যয় করে l আর এর জন্যই আপনি ক্লান্তি বোধ করেন না l কিন্তু যখন আপনি দৌড়ান তখন বেশি পরিমান শক্তির দরকার হয় l ফলে শরীর বেশি পরিমান শক্তি ব্যয় করে l ফলে হুট করে প্রচুর শক্তি খরচ হয়ে যায় l ততক্ষনাত শরীরে শক্তির পরিমান হঠাত করে কমে যায় l এজন্যই আপনি ক্লান্তি বোধ করেন l
এসময় শরীর বেশি করে শক্তি খরচ করতে থাকে যার জন্য শরীরে বেশি পরিমান তাপ উত্পন্ন হয় l এই তাপ উত্পন্নের জন্যই আপনি ঘেঁমে যান l
এখন হাটা অবস্থায় যে শক্তির দরকার হয় অর্থাত শরীরকে যে পরিমান বল প্রয়োগ করতে হয় শরীর ঠিক সেই পরিমান শক্তিই ব্যয় করে l
অর্থাত হাটার জন্য ব্যয়িত শক্তি = হাটার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি l

আবার দৌড়ানোর জন্য যে বেশি পরিমান শক্তির দরকার হয় সেই পরিমান বেশি শক্তিই শরীর ব্যয় করে l
অর্থাত দৌড়ানোর জন্য ব্যয়িত শক্তি = দৌড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি l
অর্থাত ঘটনা ঘটার আগের শক্তি ও ঘটনা ঘটার পরের শক্তি সমান l
এখানেও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হচ্ছে না l

এভাবে প্রকৃতিতে প্রতিটি সংগঠিত ঘটনা নিয়ে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে শক্তির পরিবর্তন সব সময় সমান থাকছে l রাসায়নিক বিক্রিয়ার শক্তির এবং বস্তুর পরিবর্তনের মতোই প্রকৃতির সব ক্রিয়ার শক্তির পরিবর্তন সব সময় সমান হয় l
বিগ ব্যাং এর আগে এবং পরের শক্তির পরিমানও এই নিয়মের বাইরে সংঘঠিত হয়নি l এই নিয়ম সেখানেও অক্ষুন্ন ছিল l
অর্থাত বিগ ব্যাং সংঘঠিত হবার আগের শক্তির পরিমান এবং বিগ ব্যাং সংঘঠিত হবার পরের
শক্তির পরিমান সমান ছিল l
এটা প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়মের একটি অংশ l

এবার আসি বিগ বাং-এর ক্ষেত্রে , এই সুত্র অনুযায়ী বিগ ব্যাং -এর আগের মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান আর বিগ ব্যাং-এর পরের মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান সমান হবে l
সুতরাং বিগ ব্যাং-এর থিওরি অনুযায়ী ,
বিগ ব্যাং-এর আগের সমস্ত উপাদান = বিগ ব্যাং-এর পরের সমস্ত উপাদান ,
বা, (শক্তি) * (সমস্ত মহাবিশ্বের পরিমান) = ( শক্তি + পদার্থ ) * (সমস্ত মহাবিশ্বের পরিমান)
এটা হবে বিজ্ঞানের থিওরি অনুযায়ী l

আবার ঈশ্বর অনুযায়ী ,
শূন্য * ঈশ্বরের ফুত্কার মানে ম্যাজিক(আদেশ) = ( শক্তি + পদার্থ ) * (সমস্ত মহাবিশ্বের পরিমান)

বা , শূন্য = ( শক্তি + পদার্থ ) * (সমস্ত মহাবিশ্বের পরিমান) ------- {এখানে শুন্যের সাথে যা কিছুই গুন করা হোক না কেন গুনফল সবক্ষেত্রে শূন্য হয় }

কিন্তু আমরা জানি ( শক্তি + পদার্থ ) * (সমস্ত মহাবিশ্বের পরিমান) কখনো শূন্য হতে পারে না l
অর্থাত ( শক্তি + পদার্থ ) * (সমস্ত মহাবিশ্বের পরিমান) = শূন্য নয় l
সুতরাং এই বিশ্বজগত শূন্য থেকে তৈরী হয়েছে এটা মিথ্যা l
এই সমীকরণ অনুযায়ী শূন্য থেকে ঈশ্বর এই বিশ্বজগত তৈরী করতে পারবেন না l

সুতরাং ঈশ্বর কখনো শূন্য থেকে বিশ্বজগত সৃষ্টি করতে পারেন না l (প্রমানিত )

বি : দ্র: কোনো গণিত বিশেষজ্ঞ আস্তিক ভাইকে আমার এই সমিকরনকে ভুল প্রমান করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি ( আমি গণিত একটু কম বুঝিতো তাই !) l আর অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে নিষেধ করছি l সময় কোথায় অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ?

No comments:

Post a Comment