এবার আমি
আলোচনা করব "কেন মানুষ সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাস করে " l
মানুষের মস্তিষ্কের দুইটা অংশ থাকে l একটা চেতন অংশ আর একটা অবচেতন অংশ l
আমরা চিন্তা করি , কথা বলি, অনুভব করি, হাটাচলা করি এসব নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্কের চেতন অংশ l বস্তুত আমরা যে আমাদের সত্তাটা বুঝতে পারি সেটাই হচ্ছে মস্তিষ্কের চেতন অংশ l
আবার আমরা যখন ঘুমিয়ে পরি তখন আমাদের চেতন অংশটা ঘুমিয়ে পরে l তখন আমাদের শরীরের শারীরিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের অবচেতন অংশ l
আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া অর্থাৎ হার্ট বিট, শ্বাস- প্রশ্বাস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের অবচেতন অংশ l এমনকি আমরা ঘুমিয়ে গেলে যে স্বপ্ন দেখি সেটাও নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের অবচেতন অংশ l
এবার মূল প্রসঙ্গে আসি ,
মানুষ যখন জন্ম নেয় তখন খুব অসহায় থাকে l সে কারো সাহায্য ছাড়া বাচতে পারে না l কেউ থাকে তার পাশে সার্বক্ষনিক ভাবে l সেটা তার মা বাবা বা অন্য কোনো আত্বীয় অথবা অন্য কেউ l মোট কথা কেউ না কেউ থাকে যে তার খেয়াল রাখে l
এভাবে সে বুঝমান হওয়ার আগে পর্যন্ত এবং বুঝমান হবার পরে সে দেখতে পায় তার বাবা মা তার যেকোনো বিপূদে পাশে থাকে l এই পর- নির্ভরশীলতার ব্যাপারটা তার অবচেতন মনে স্থায়ী ভাবে থেকে যায় l সে যখন শিশু অবস্থায় থাকে তখনি তার অবচেতন মনে ধারণা জন্মে যে কেউ একজন আছে যে তার সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে l কেউ একজন আছে তার দেখাশুনা করার l সে তাকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করবে l
সে যখন বোঝমান হয় তখনও সে দেখে তার বাবা মা তার পাশে আছে l তার দেখাশুনা করছে l যেকোনো বিপদেই তার পাশে তার বাবা মা থাকছে l ফলে সে ধরে নেয় তার পাশে কেউ একজন আছে যে যেকোনো বিপদেই তাকে রক্ষা করবে l এবং অবচেতন মনে এর একটা স্থায়ী প্রভাব থেকে যায় l
ফলে সে জীবনের বাকি সময়ে কোনো বিপদে পড়লে ভাবতে থাকে তাকে কেউ একজন সাহায্য করবে l তাকে রক্ষা করার জন্য কেউ একজন আছে l এই ভরসাটা আসে অবচেতন মন থেকেই l এই বিশ্বাস থেকেই তার মস্তিস্ক কল্পনা করে যে তার একটা রক্ষা কারী আছে যে তাকে সবরকম বিপদ থেই রক্ষা করবে l এই বিশ্বাসই কালেভদ্রে তৈরী করে মহান সৃষ্টি কর্তা l এটা তার পরনির্ভরশীলতার প্রতিফল l ছেলেবেলার ধারনাই এক সময় একজন রক্ষাকারী সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাস তৈরী করে l আর এর থেকেই তৈরী হয়েছে বিভিন্ন সৃষ্টিকর্তার l
যদি আফ্রিকার গহীন বনে যাওয়া যায় দেখা যাবে সেখানের মানুষ গুলো ( জংলি মানুষ ) , যাদের সাথে আধনিক পৃথিবীর মানুষের কোনো যোগাযোগ নেই , তারাও কোনো না কোনো সৃষ্টি কর্তা তৈরী করে নিয়েছে l তাদের সৃষ্টিকর্তা আধনিক ধর্ম বিশ্বাসীদের থেকে আলাদা l কিন্তু তারা ঠিকই সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করছে l এর কারণ মানুষের শৈশব কালীন প্রাকৃতিক অবস্থা l প্রকৃতি আমাদের অসহায় করে জন্ম দিয়েছে বলে মানুষ ইচ্ছায় বা অনইচ্ছায় সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে l শৈশব কালীন অভিজ্ঞতাই দায়ী এর জন্য l এক্ষেত্রে কাল্পনিক সৃষ্টি কর্তার কোনো ভুমিকা নেই l সম্পূর্ণ ধারনাটাই আসে অবচেতন মনের ভ্রান্ত ধারণা থেকে l
এবার আসি কেন কেউ হিন্দু , কেউ খিস্টান , কেউ মুসলমান এই প্রসঙ্গে l
প্রতিটি শিশু যখন জন্ম নেয় তখন সে থাকে শূন্য বুদ্ধির অধিকারী l সে তার চার পাশের পরিবেশ থেকে শিখে l তার চারপাশে সে যাই দেখে সেটাই শিখে নেয় l সে শিখে তার চারপাশের মানুষ গুলোর কাছ থেকে l
এখন সে তার চারপাশের মানুষ গুলো কে যা করতে দেখবে সে তাই করবে l তারা যা বলবে সে তাই বলবে l এমন কি তারা যেটা বিশ্বাস করবে আস্তে আস্তে সে সেটাই বিশ্বাস করবে l শিশু অবস্থায় একটা মানুষের যুক্তি বুদ্ধি থাকে না l তার যুক্তি বুদ্ধি তৈরী হয় আশে পাশের যুক্তি বুদ্ধি দেখে দেখে এবং শুনে শুনে l সুতরাং একটা শিশুর বিশ্বাস তৈরীই হয় তার চার পাশের বিশ্বাস থেকে l
তারফলে যে শিশুটি দেখছে তার বাবা মা এবং প্রতিবেশী নামাজ পরছে রোজা করছে এক আল্লাহে বিশ্বাস করছে স্বভাবতই সে সেসব বিশ্বাস করছে l এজন্য একটা মুসলমানের সন্তান সব সময় মুসলমান হচ্ছে l আবার প্রক্ষান্তরে একটা হিন্দুর ঘরে জন্ম নেয়া শিশুটি হচ্ছে হিন্দু l তেমনি খ্রিস্টানের ঘরে জন্ম নেয়া শিশুটি হচ্ছে খ্রিস্টান l
এখানে আল্লাহ বা god বা ঈশ্বরের কোনো রকম ভুমিকা নেই l এখানে ভুমিকা পালন করে তার শৈশব অবস্থা এবং তার চার পাশের পরিবেশ l সে কোনো সৃষ্টি কর্তা বিশ্বাসী হয়ে জন্ম নেয় না বরং প্রকৃতি ও পরিবেশ তাকে সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসে বাধ্য করে l
মানুষের মস্তিষ্কের দুইটা অংশ থাকে l একটা চেতন অংশ আর একটা অবচেতন অংশ l
আমরা চিন্তা করি , কথা বলি, অনুভব করি, হাটাচলা করি এসব নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্কের চেতন অংশ l বস্তুত আমরা যে আমাদের সত্তাটা বুঝতে পারি সেটাই হচ্ছে মস্তিষ্কের চেতন অংশ l
আবার আমরা যখন ঘুমিয়ে পরি তখন আমাদের চেতন অংশটা ঘুমিয়ে পরে l তখন আমাদের শরীরের শারীরিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের অবচেতন অংশ l
আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া অর্থাৎ হার্ট বিট, শ্বাস- প্রশ্বাস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের অবচেতন অংশ l এমনকি আমরা ঘুমিয়ে গেলে যে স্বপ্ন দেখি সেটাও নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের অবচেতন অংশ l
এবার মূল প্রসঙ্গে আসি ,
মানুষ যখন জন্ম নেয় তখন খুব অসহায় থাকে l সে কারো সাহায্য ছাড়া বাচতে পারে না l কেউ থাকে তার পাশে সার্বক্ষনিক ভাবে l সেটা তার মা বাবা বা অন্য কোনো আত্বীয় অথবা অন্য কেউ l মোট কথা কেউ না কেউ থাকে যে তার খেয়াল রাখে l
এভাবে সে বুঝমান হওয়ার আগে পর্যন্ত এবং বুঝমান হবার পরে সে দেখতে পায় তার বাবা মা তার যেকোনো বিপূদে পাশে থাকে l এই পর- নির্ভরশীলতার ব্যাপারটা তার অবচেতন মনে স্থায়ী ভাবে থেকে যায় l সে যখন শিশু অবস্থায় থাকে তখনি তার অবচেতন মনে ধারণা জন্মে যে কেউ একজন আছে যে তার সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে l কেউ একজন আছে তার দেখাশুনা করার l সে তাকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করবে l
সে যখন বোঝমান হয় তখনও সে দেখে তার বাবা মা তার পাশে আছে l তার দেখাশুনা করছে l যেকোনো বিপদেই তার পাশে তার বাবা মা থাকছে l ফলে সে ধরে নেয় তার পাশে কেউ একজন আছে যে যেকোনো বিপদেই তাকে রক্ষা করবে l এবং অবচেতন মনে এর একটা স্থায়ী প্রভাব থেকে যায় l
ফলে সে জীবনের বাকি সময়ে কোনো বিপদে পড়লে ভাবতে থাকে তাকে কেউ একজন সাহায্য করবে l তাকে রক্ষা করার জন্য কেউ একজন আছে l এই ভরসাটা আসে অবচেতন মন থেকেই l এই বিশ্বাস থেকেই তার মস্তিস্ক কল্পনা করে যে তার একটা রক্ষা কারী আছে যে তাকে সবরকম বিপদ থেই রক্ষা করবে l এই বিশ্বাসই কালেভদ্রে তৈরী করে মহান সৃষ্টি কর্তা l এটা তার পরনির্ভরশীলতার প্রতিফল l ছেলেবেলার ধারনাই এক সময় একজন রক্ষাকারী সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাস তৈরী করে l আর এর থেকেই তৈরী হয়েছে বিভিন্ন সৃষ্টিকর্তার l
যদি আফ্রিকার গহীন বনে যাওয়া যায় দেখা যাবে সেখানের মানুষ গুলো ( জংলি মানুষ ) , যাদের সাথে আধনিক পৃথিবীর মানুষের কোনো যোগাযোগ নেই , তারাও কোনো না কোনো সৃষ্টি কর্তা তৈরী করে নিয়েছে l তাদের সৃষ্টিকর্তা আধনিক ধর্ম বিশ্বাসীদের থেকে আলাদা l কিন্তু তারা ঠিকই সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করছে l এর কারণ মানুষের শৈশব কালীন প্রাকৃতিক অবস্থা l প্রকৃতি আমাদের অসহায় করে জন্ম দিয়েছে বলে মানুষ ইচ্ছায় বা অনইচ্ছায় সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে l শৈশব কালীন অভিজ্ঞতাই দায়ী এর জন্য l এক্ষেত্রে কাল্পনিক সৃষ্টি কর্তার কোনো ভুমিকা নেই l সম্পূর্ণ ধারনাটাই আসে অবচেতন মনের ভ্রান্ত ধারণা থেকে l
এবার আসি কেন কেউ হিন্দু , কেউ খিস্টান , কেউ মুসলমান এই প্রসঙ্গে l
প্রতিটি শিশু যখন জন্ম নেয় তখন সে থাকে শূন্য বুদ্ধির অধিকারী l সে তার চার পাশের পরিবেশ থেকে শিখে l তার চারপাশে সে যাই দেখে সেটাই শিখে নেয় l সে শিখে তার চারপাশের মানুষ গুলোর কাছ থেকে l
এখন সে তার চারপাশের মানুষ গুলো কে যা করতে দেখবে সে তাই করবে l তারা যা বলবে সে তাই বলবে l এমন কি তারা যেটা বিশ্বাস করবে আস্তে আস্তে সে সেটাই বিশ্বাস করবে l শিশু অবস্থায় একটা মানুষের যুক্তি বুদ্ধি থাকে না l তার যুক্তি বুদ্ধি তৈরী হয় আশে পাশের যুক্তি বুদ্ধি দেখে দেখে এবং শুনে শুনে l সুতরাং একটা শিশুর বিশ্বাস তৈরীই হয় তার চার পাশের বিশ্বাস থেকে l
তারফলে যে শিশুটি দেখছে তার বাবা মা এবং প্রতিবেশী নামাজ পরছে রোজা করছে এক আল্লাহে বিশ্বাস করছে স্বভাবতই সে সেসব বিশ্বাস করছে l এজন্য একটা মুসলমানের সন্তান সব সময় মুসলমান হচ্ছে l আবার প্রক্ষান্তরে একটা হিন্দুর ঘরে জন্ম নেয়া শিশুটি হচ্ছে হিন্দু l তেমনি খ্রিস্টানের ঘরে জন্ম নেয়া শিশুটি হচ্ছে খ্রিস্টান l
এখানে আল্লাহ বা god বা ঈশ্বরের কোনো রকম ভুমিকা নেই l এখানে ভুমিকা পালন করে তার শৈশব অবস্থা এবং তার চার পাশের পরিবেশ l সে কোনো সৃষ্টি কর্তা বিশ্বাসী হয়ে জন্ম নেয় না বরং প্রকৃতি ও পরিবেশ তাকে সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসে বাধ্য করে l
No comments:
Post a Comment