প্রসেনজিত এক
সিনেমাতে পুলিশের চরিত্র করার সময় বলেছিল- মন্ত্রীরা ক্ষমতা চ্যুত হয় পাচ বছর পর
পর ; পাচ বছর
পরে ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা তার কোন গ্যারান্টি নেই l কিন্তু
পুলিশরা টিকে থাকবে চারশ বছর l আর এটা গ্যারান্টেড l
আমরা মানবতাবাদীরা বলতে পারি; পৃথিবীতে ধর্ম থাকবে ওই চারশো বছর ; কিন্তু মানবতাবাদ টিকে থাকবে চিরকাল l আর এটা গ্যারান্টেড l
পৃথিবীতে বহু ধর্ম তৈরী করেছিল মানুষ কিন্তু তার অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে l আর যেগুলো এখনো টিকে আছে সেগুলো বিলুপ্তির পথ ধরেছে l মানুষ কুসংস্কার, অন্ধ-বিশ্বাস কাল্পনিক অস্তিত্বে বিশ্বাস করা বাদ দিয়ে বাস্তবতার জ্ঞান তথা বিজ্ঞানে আস্থা রাখতে শুরু করেছে l আর তাই ধর্ম নামে যে কাল্পনিক এবং অন্ধ বিশ্বাসের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রাচীন কালে; সেটা বিলুপ্তির পথে হাটা শুরু করে দিয়েছে l
মানুষ আজ জানতে এবং বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে এই মহাবিশ্ব এবং মানুষকে কোন অতিক্ষমতা সম্পন্ন সত্তা অথবা কোন সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেনি l মানুষ সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতি নামে চিরস্থায়ী এক জড় অস্তিত্বের আপন খেয়ালে l প্রকৃতি বিশ্বজগত এবং জীবজগত সৃষ্টি করেছে তার নিজের বৈশিষ্টের গুনে l আর এই সৃষ্টি কারো ইচ্ছা বা পরিকল্পনায় হয়নি l বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতি নামে জড় অস্তিত্বের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের গুনে l আর এই সৃষ্টিতে কারো নিয়ন্ত্রণ নেই l
আর তাই মানুষ যে এক কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করা এবং রক্ষনা-বেক্ষনের দায়িত্ব দিয়েছিল এবং তাকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করেছিল; সেই বিশ্বাস থেকে মানুষ বেরিয়ে আসতে শুরু করে দিয়েছে l মানুষ এখন জানছে যে বিশ্বজগত সৃষ্টিতে কোন সৃষ্টিকর্তার হাত নেই l মানুষ এমনকি সম্পূর্ণ জীবজগত সৃষ্টিতে কোন মানুষের কাল্পনিক কোন সৃষ্টিকর্তার কোন ভুমিকা নেই l মানুষ সৃষ্টি হয়েছে বিবর্তনের ধারায়; মানুষ তৈরী হয়েছে সম্পূর্ণ জড় পদার্থ থেকে l বিশ্বজগত তৈরী হয়েছে বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে; প্রকৃতির আপন খেয়ালে l
আর তাই সৃষ্টিকর্তা মানের কাল্পনিক সত্বার উপর বিশ্বাস থেকে মানুষ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে l মানুষ বুঝতে শুরু করেছে কোন সৃষ্টিকর্তা এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেনি l মানুষের সৃষ্টিতে কোন সৃষ্টিকর্তার কোন ভুমিকা নেই l মানুষ বুঝতে শুরু করেছে সৃষ্টিকর্তা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই এই বাস্তব জগতে l এটা মানুষের কল্পনার এক অস্তিত্ব l সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টি করেনি বরং মানুষই তার কল্পনার দ্বারা সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করেছে l
আর তাই পৃথিবীতে ধর্ম বিলুপ্ত হতে খুব বেশি সময় লাগবে না l বিজ্ঞানের উত্থানের সাথে সাথে যেভাবে ধর্মের পতন শুরু হয়েছে সেটা নিঃশেষের পথে এগিয়ে যাচ্ছে l আলো আসলে যেমন অন্ধকার বিলুপ্ত হয়ে যায় ঠিক তেমনি বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যাবে l ইতিমধ্যে বিলুপ্তির পথে যেতে শুরু করে দিয়েছে l আগামী চারশো থেকে পাচশ বছরের মধ্যে বিজ্ঞান এমন এক অবস্থানে যাবে যেখানে ধর্ম সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত হয়ে যাবে l
আর মানবতা ? মানুষ যুগ যুগ ধরে মানবতার জয়গান গেয়ে যাবে l আজ থেক লক্ষ বছর পরেও মানুষ যখন উন্নতির চরম শিখরে পৌছবে তখন মানবতাবাদীরা মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলবে l সাম্যতার কথা বলবে l পরস্পরে মানবিক ভালবাসার কথা বলবে l আবার যখন ভিন গ্রহের প্রাণীর সাথে মানুষের যোগাযোগ হবে (আমি এব্যপারে আশাবাদী) তখন মানবতার দাবি তুলবে এই মানবতাবাদীরা l লক্ষ বছর, কোটি বছর পরেও মানুষ মানবতার কথা বলবে l অর্থাত মানবতাবাদীরা টিকে থাকবে যুগ যুগ ধরে l আর চিরকাল মানবতার জয়গান গেয়ে যাবে l
পৃথিবীতে একমাত্র মানবতা ধর্ম টিকে থাকবে l বিলুপ্ত হবে মিথ্যা কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসী ধর্মগুলো l জাদুঘরে পাঠানো হবে এই সব মিথ্যা ধর্মগুলোকে l
আমরা মানবতাবাদীরা বলতে পারি; পৃথিবীতে ধর্ম থাকবে ওই চারশো বছর ; কিন্তু মানবতাবাদ টিকে থাকবে চিরকাল l আর এটা গ্যারান্টেড l
পৃথিবীতে বহু ধর্ম তৈরী করেছিল মানুষ কিন্তু তার অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে l আর যেগুলো এখনো টিকে আছে সেগুলো বিলুপ্তির পথ ধরেছে l মানুষ কুসংস্কার, অন্ধ-বিশ্বাস কাল্পনিক অস্তিত্বে বিশ্বাস করা বাদ দিয়ে বাস্তবতার জ্ঞান তথা বিজ্ঞানে আস্থা রাখতে শুরু করেছে l আর তাই ধর্ম নামে যে কাল্পনিক এবং অন্ধ বিশ্বাসের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রাচীন কালে; সেটা বিলুপ্তির পথে হাটা শুরু করে দিয়েছে l
মানুষ আজ জানতে এবং বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে এই মহাবিশ্ব এবং মানুষকে কোন অতিক্ষমতা সম্পন্ন সত্তা অথবা কোন সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেনি l মানুষ সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতি নামে চিরস্থায়ী এক জড় অস্তিত্বের আপন খেয়ালে l প্রকৃতি বিশ্বজগত এবং জীবজগত সৃষ্টি করেছে তার নিজের বৈশিষ্টের গুনে l আর এই সৃষ্টি কারো ইচ্ছা বা পরিকল্পনায় হয়নি l বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতি নামে জড় অস্তিত্বের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের গুনে l আর এই সৃষ্টিতে কারো নিয়ন্ত্রণ নেই l
আর তাই মানুষ যে এক কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করা এবং রক্ষনা-বেক্ষনের দায়িত্ব দিয়েছিল এবং তাকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করেছিল; সেই বিশ্বাস থেকে মানুষ বেরিয়ে আসতে শুরু করে দিয়েছে l মানুষ এখন জানছে যে বিশ্বজগত সৃষ্টিতে কোন সৃষ্টিকর্তার হাত নেই l মানুষ এমনকি সম্পূর্ণ জীবজগত সৃষ্টিতে কোন মানুষের কাল্পনিক কোন সৃষ্টিকর্তার কোন ভুমিকা নেই l মানুষ সৃষ্টি হয়েছে বিবর্তনের ধারায়; মানুষ তৈরী হয়েছে সম্পূর্ণ জড় পদার্থ থেকে l বিশ্বজগত তৈরী হয়েছে বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে; প্রকৃতির আপন খেয়ালে l
আর তাই সৃষ্টিকর্তা মানের কাল্পনিক সত্বার উপর বিশ্বাস থেকে মানুষ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে l মানুষ বুঝতে শুরু করেছে কোন সৃষ্টিকর্তা এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেনি l মানুষের সৃষ্টিতে কোন সৃষ্টিকর্তার কোন ভুমিকা নেই l মানুষ বুঝতে শুরু করেছে সৃষ্টিকর্তা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই এই বাস্তব জগতে l এটা মানুষের কল্পনার এক অস্তিত্ব l সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টি করেনি বরং মানুষই তার কল্পনার দ্বারা সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করেছে l
আর তাই পৃথিবীতে ধর্ম বিলুপ্ত হতে খুব বেশি সময় লাগবে না l বিজ্ঞানের উত্থানের সাথে সাথে যেভাবে ধর্মের পতন শুরু হয়েছে সেটা নিঃশেষের পথে এগিয়ে যাচ্ছে l আলো আসলে যেমন অন্ধকার বিলুপ্ত হয়ে যায় ঠিক তেমনি বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যাবে l ইতিমধ্যে বিলুপ্তির পথে যেতে শুরু করে দিয়েছে l আগামী চারশো থেকে পাচশ বছরের মধ্যে বিজ্ঞান এমন এক অবস্থানে যাবে যেখানে ধর্ম সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত হয়ে যাবে l
আর মানবতা ? মানুষ যুগ যুগ ধরে মানবতার জয়গান গেয়ে যাবে l আজ থেক লক্ষ বছর পরেও মানুষ যখন উন্নতির চরম শিখরে পৌছবে তখন মানবতাবাদীরা মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলবে l সাম্যতার কথা বলবে l পরস্পরে মানবিক ভালবাসার কথা বলবে l আবার যখন ভিন গ্রহের প্রাণীর সাথে মানুষের যোগাযোগ হবে (আমি এব্যপারে আশাবাদী) তখন মানবতার দাবি তুলবে এই মানবতাবাদীরা l লক্ষ বছর, কোটি বছর পরেও মানুষ মানবতার কথা বলবে l অর্থাত মানবতাবাদীরা টিকে থাকবে যুগ যুগ ধরে l আর চিরকাল মানবতার জয়গান গেয়ে যাবে l
পৃথিবীতে একমাত্র মানবতা ধর্ম টিকে থাকবে l বিলুপ্ত হবে মিথ্যা কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসী ধর্মগুলো l জাদুঘরে পাঠানো হবে এই সব মিথ্যা ধর্মগুলোকে l
good job thank you for your blog.
ReplyDelete