বিজ্ঞানের
ভুল ব্যাখ্যা : পর্ব -2 :
জাকির নায়েকের বিগ ব্যাং সম্পর্কে মিথ্যাচার ( নাকি অজ্ঞতা ?) :
(হিন্দু বা অন্য ধর্মের আস্তিকরা যেন দাত না কেলায় l কারণ তাদের ধর্মের ভন্ডদেরও মিথ্যা চারের বিরুদ্ধে লেখা হবে )
(মুসলমানদের মহান বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক) জাকির নায়েক বিগ ব্যাং থিওরির সাথে পবিত্র কোরআনের সাদৃশ্য দেখাতে যে আয়াত দুটি উল্লেখ করেছেন তা আবার প্রকাশ করছি l
“সুরা আল আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে,
" অবিশ্বাসীরা কি ভাবিয়া দেখে না , আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়া ছিল ওতপ্রত ভাবে l অতপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম l"
পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে বিগ ব্যাং থিওরি বর্ণনা করা হয়েছে খুব সংক্ষেপে l
এছাড়াও পবিত্র কুরআনে আছে , সুরা ফসিলতের ১১ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে
" অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যাহা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ , অনন্তের দিকে উহাকে এবং পৃথিবীকে বললেন তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং উভয়ে বলিল আমরা আসলাম একান্ত অনুগত হইয়া l"
যে আরবি শব্দটি এখানে বলা হয়েছে সেটা 'দুখান' যার অর্থ ধোয়া l
কোনো বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলবেন এই বিশ্ব জগত এটা তৈরির আগে মহাবিশ্বের বিভিন্ন উপাদান সেগুলো ছিল বায়বীয় অবস্থায় l
আর এই আরবি শব্দ দুখান যার অর্থ ধোয়া এটাকে আরও সঠিক ভাবে বললে বলা হবে বায়বীয় l”
১ম পর্বে আমি বলেছিলাম যে বিগ ব্যাং থিওরি আমাদের বলে না যে মহাবিশ্ব ছিল বায়বীয় অবস্থায় l
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে কোন বিজ্ঞানীর কাছ থেকে তিনি জেনেছেন একথা ?
সেও কি তার মত আস্তিক ?
এই আয়াত দুটি দিয়ে উনি কিভাবে বিগ ব্যাং-এর সাথে মিল খুঁজে পেলেন আমি বুঝতে পারছি না !
তার উদ্ধৃত অনুবাদ অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে যে অবিশ্বাসীরা মানে মুসলিম বাদে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ কি ভেবে দেখে না পৃথিবী এবং আকাশ পরস্পর মিশে ছিল এবং আল্লাহ এদের পৃথক করে দিয়েছেন l এই অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি পৃথিবী সেটা আগেই তৈরী ছিল ( কুরআনের অন্যান্য আয়াত অনুযায়ী সমতল ) এবং আকাশ ( কুরআনের অন্যান্য আয়াত অনুযায়ী ছাদ) এটাও আগেই তৈরী করা ছিল l এরা পরস্পর একসাথে মিশে ছিল অর্থাত আকাশ (ছাদ) এবং (সমতল )পৃথিবী একটা আরেকটার উপর মিশে ছিল l এরপর আল্লাহ এই দুটি কে আলাদা করে দিয়েছেন l
তার উদ্ধৃত অন্য আয়াত অনুযায়ী আকাশ ছিল ধুম্রপুঞ্জ মানে ধোয়া অর্থাত বায়বীয় পদার্থ l আল্লাহ আকাশকে যা আগেই তৈরী ছিল বায়বীয় হিসেবে এবং পৃথিবী যা আগেই তৈরী করা ছিল উভয়কে বললেন তোমরা দুজন আসো অনন্তের দিকে সেচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে l এবং তারা বাধ্যগত হয়ে আল্লাহের আদেশ পালন করলো l
এখানে আকাশ এবং পৃথিবীকে বলা হয়েছে উভয় (together) কিন্তু সবাই মানে সমস্ত(altogether or all) বিশ্বজগত নয় l
এই ব্যাখ্যা দিয়ে কি বিগ ব্যাং থিওরি বর্ণনা হলো তাও আবার সংক্ষিপ্ত ভাবে ?
জাকির নায়েকই এর উত্তর দিতে পারবেন l
এই আয়াত দুটির অনুবাদ আমি যেটা পেয়েছি সেটা হলো :
সুরা আল আম্বিয়া : আয়াত ৩০ :
"কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে , আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল , অতপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম l"
SURA 21. AL-ANBIYA (THE PROPHETS)
30.
“Have not those who disbelieve known that the heavens and the earth were of
one piece, then We parted them,"
(“Do not the Unbelievers see that the heavens and the
earth were joined together (as one unit of
creation), before we clove them asunder?"
এখানে বলা হয়েছে যে অবিশ্বাসী বা কাফেররা মানে মুসলিম বাদে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ কি ভেবে দেখে না যে পৃথিবী এবং আকাশের (যে দুটো আগেই তৈরী করা ছিল ) মুখ বন্ধ ছিল বা এগুলো একসাথে যুক্ত অবস্থায় ছিল অথবা এদুটো আসলে একটাই ছিল পরে মহান আল্লাহ তালা এদুটোর মুখ খুলে দিলেন বা এদুটোকে পৃথক করলেন অথবা এটাকে দু টুকরা করলেন l ( অনুবাদ অনুযায়ীতো এরকমই হয় l) এবং আলাদা ভাবে স্থাপন করলেন l
পরের আয়াতটি হলো
সুরা ফসিলাত : আয়াত-১১ :
"অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ , অতপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় l তারা বলল , আমরা সেচ্ছায় আসলাম l"
SURA 41. FUSSILAT (EXPLAINED IN DETAIL)
11.
“Then turned He to the heaven when it was smoke, and said unto it and unto the earth: Come both of you, willingly or loth. They said: We come, obedient.”
11. “Moreover He comprehended in His design the
sky, and it had been (as) smoke: He said to it
and to the earth: "Come ye together, willingly
or unwillingly." They said: "We do come (together), in
willing obedience."
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ আকাশকে যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ বা বায়বীয় সেটাকে এবং পৃথিবীকে বললেন তোমরা আসো ইচ্ছে অথবা অনিচ্ছায় অর্থাত বাধ্য হয়ে l তখন আকাশ এবং পৃথিবী সেচ্ছায় আল্লাহর আদেশ পালন করলো l
এখানে লক্ষ করলে দেখবেন যে আল্লাহ আকাশ এবং পৃথিবী কে আসতে বলছেন অর্থাত এগুলো আগেই তৈরী হয়ে আছে l
তাহলে কি এটা বিগ ব্যাং থিওরির সাথে মিললো ?
জাকির নায়েক কি দেখে এগুলোকে বলল যে এগুলো বিগ ব্যাং-এর বর্ণনা দিয়েছে ? সেটা জাকির নায়েক ছাড়া কেউ বলতে পারবে কিনা সন্দেহ !
আপনাদের বুঝার জন্য সুরা ফসিলোতের কয়েকটি আয়াত তুলে ধরছি :
সুরা ফসিলত : আয়াত ০৯ :
"বলুন, তোমরা কি সে সত্ত্বাকে অস্বিকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুদিনে এবং তোমরা কি তার সমকক্ষ স্থির কর ? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা l"
সুরা ফসিলত : আয়াত ১০ :
"তিনি পৃথিবীর উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন , তাতে কল্যান নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন - পূর্ণ হলো জিজ্ঞাসুদের জন্যে l"
সুরা ফসিলত : আয়াত ১১ :
"অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রুপুঞ্জ , অতপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন , তোমরা উভয়ে আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় l তারা বলল আমরা আসলাম সেচ্ছায় l"
সুরা ফসিলত : আয়াত ১২ :
"অতপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দুদিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন l আমি নিকটবর্তী আকাশ কে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি l এটা পরাক্রম শালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থা l"
এখানে (৯ নাম্বার আয়াতে ) বোঝা যাচ্ছে যে আল্লাহ মুহাম্মদ (স:) আদেশ দিয়েছেন সে যেন অবিশ্বাসীদের কে বলে যে তোমরা সেই সত্ত্বাকে অস্বিকার কর যিনি দুদিনে পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছে l
অর্থাত আল্লাহ দুদিনে (আল্লাহর হিসেবে) পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন যেটা মানুষের হিসেবে দুটি দশ হাজার বছর বা দুটি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা দুটি নির্দিষ্ট সময়কাল l
আবার ১০ নাম্বার আয়াতে বলেছেন যে আল্লাহ পৃথিবীর উপরিভাগে অটল পর্বত মালা স্থাপন করেছে এবং তাতে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে যা করতে আল্লাহর সময় লেগেছে আল্লাহর হিসেবে চার দিন যা মানুষের হিসেবে চারটি দশ হাজার বছর বা চারটি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা চারটি নির্দিষ্ট সময়কাল l
আবার ১১ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী , অতপর আল্লাহ আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন সেটা ছিল ধুয়া বা বায়বীয়; তাকে এবং পৃথিবীকে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় পৃথক হতে বললেন ( সুরা আল আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী ) l এবং তারা আল্লাহর আদেশ পালন করলো l
আয়াত- ১২ অনুযায়ী , অতপর আল্লাহ আকাশ মন্ডলীকে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং সবচেয়ে নিচের আকাশকে প্রদীপমালা অর্থাত তারকারাজি দিয়ে সুশোভিত ও সংরক্ষিত করলেন l যা করতে আল্লাহর সময় লাগলো দুদিন যা মানুষের হিসেবে দুটি দশ হাজার বছর বা দুটি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা দুটি নির্দিষ্ট সময়কাল l
এই আয়াত গুলো থেকে আমরা দেখতে পাই যে আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন একটা নির্দিস্ট সময়ে তারপর পৃথিবীতে পাহাড় তৈরী করেছেন এবং প্রাণীর বসবাস উপযুগী করেছেন l তারপর তিনি পৃথিবীকে এবং আকাশকে পৃথক করেছেন এবং আকাশ কে সপ্ত আকাশ হিসেবে তৈরী করেছেন এবং সবশেষে আকাশে তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন l
অনেক অনুবাদে অতপর-এর (আরবিটা মনে পরছেনা) অর্থ করা হয়েছে তারপর l কিন্তু মুসলিমরা (কিছু কিছু) বলে এর অর্থ হবে সাথে সাথে l
তাহলে আয়াত গুলোর অর্থ দাড়ায় আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন একটা নির্দিষ্ট সময়ে l এবং পৃথিবীতে পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন ও একে প্রাণীর বসবাস উপযুগী করেছেন আরেকটা নির্দিস্ট সময়ে l এবং আকাশ যা ছিল ধোয়া বা বায়বীয় সেটাকে এবং পৃথিবীকে পৃথক করেছেন l সাথে সাথে আল্লাহ আকাশমন্ডলীকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে সাত আসমান সৃষ্টি করলেন এবং সবচেয়ে নিচের আকাশে তারকা রাজি সৃষ্টি করে সুন্দর করে সাজালেন l
সংক্ষেপে , "পৃথিবী সৃষ্টি –> ( পাহাড় সৃষ্টি ও বসবাস উপযুগী করা + সাত আকাশ সৃষ্টি করা ও তারকা সৃষ্টি করা) l"
কোরআনের অন্য কয়েকটি আয়াত অনুযায়ী মহাবিশ্ব তৈরী হতে সময় লেগেছে মোট আল্লাহর হিসেবে ছয় দিন যেটা মানুষের হিসেবে ছয়টি দশ হাজার বছর বা ছয়টি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা ছয়টি নির্দিষ্ট সময়কাল l
এখন প্রশ্ন হলো এই আয়াত গুলো অনুযায়ী আল্লাহ দুদিনে পৃথিবী সৃষ্টি করলেন l তারপর পৃথিবীতে পাহাড় সৃষ্টি করেছেন ও পৃথিবীকে প্রাণীর বসবাসের উপযুগী করেছেন চারদিনে l সাথে সাথে আকাশ যা ছিল দুম্রপুঞ্জ সেটাকে পৃথিবী থেকে আলাদা করলেন এবং আকাশকে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং তারকারাজি সৃষ্টি করলেন l ফলে আল্লাহর ছয় দিন পূর্ণ হলো l
তাহলে দাড়ালো আল্লাহ যে সময়ে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তারপরে পৃথিবী থেকে আকাশ পৃথক করেছেন এবং তাকে সপ্ত আকাশ করেছেন এবং তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন l
ফলে দাড়ালো পৃথিবীকে আগে তৈরী করা হয়েছে l পরে আকাশকে পৃথিবী থেকে পৃথক করা হয়েছে l আকাশকে সপ্ত আকাশ তৈরী করা হয়েছে এবং তারকারাজি সৃষ্টি করা হয়েছে l দেখা যাচ্ছে পৃথিবী তৈরী করা হয়েছে প্রথমে l তারপর তারকা রাজি সৃষ্টি করা হয়েছে l যা বিগ ব্যাং থিওরির সম্পূর্ণ বিরোধী l
কিন্তু জাকির নায়েক এই সুরার ১১ নাম্বার আয়াত ছাড়া সবগুলো আয়াত বাদ দিয়ে বিগ ব্যাং থিওরির সাথে কুরআনকে মিলাতে চরম মিথ্যাচার করেছেন !
যেখানে কোরান বিগ বাং থিওরির সরাসরি বিরোধিতা করছে সেটাকে কেটেছেটে কি ভয়ঙ্কর মিথ্যা চারিতাই না সে করেছে !
আর এটা যে সে ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাতেই এসব করেছে তা নিশ্চয়ই কারো বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না l কারণ সে সম্পূর্ণ আয়াত না বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে l মিথ্যাচার করা আর যাই হোক সততা হতে পারে না l ধোকাবাজি সবসময় খারাপ l
এতক্ষণে নিশ্চই প্রমান করতে পেরেছি যে মুসলমানদের বিখ্যাত (অ)বিজ্ঞানী জাকির নায়েক একজন বিশিষ্ট ও সম্মানীয় ইসলামী সৈনিক(ভন্ড) l
একটা কথা বলা উচিত হবে না তার পরও বলছি l বিভিন্ন মুসলমান ধর্মীয় বিশেষজ্ঞগণ বলে থাকে যে কোরান আল্লাহর কাছ থেকে আবির্ভূত হয়েছে বলে এতে একটাও ভুল নেই l যদি এতে একটাও ভুল পাওয়া যায় তবে এই কুরআন মিথ্যা বলে প্রমানিত হবে l
বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী কুরআন মিথ্যা কথা বা ভুল কথা বলছে l সুতরাং এই কুরআন আল্লাহর কাছ থেকে আসেনি l এটা কোনো মানুষই লিখেছে l
আমি সবাইকে অনুরোধ করবো শুধু অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে নয় আসুন আমরা সত্য জানি l সত্যের সাথে জ্ঞানের আলোকে আমাদের জীবন কে আলোকিত করি !
আমার এই লেখাটি পরে যে সকল মুসলমান ভাইয়েরা প্রতিবাদ(ঘেউ) করতে আসবেন তাদেরকে আমি বিনীত অনুরোধ করবো আপনারা বিগ ব্যাং সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে তারপর কমেন্টস করবেন l আপনারা নেটে সার্চ দিয়ে উইকিপিডিয়া থেকে বিগ ব্যাং সম্পর্কে জেনে নিবেন l অথবা স্টিফেন হকিংসের কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ( A brief histry of time) বইটি পরে নিতে পারেন l
আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকলো যে আপনারা কোনো আস্তিক ( মুসলমান সহ ) ওয়েবসাইট দেখবেন না l কারণ তাহলে আপনারা বিগ ব্যাং সম্পর্কে উল্টা পাল্টা ধারনাই পাবেন l তারা আপনাকে ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে বিভ্রান্ত করবে l
বি : দ্র : কেউ কমেন্টস করতে চাইলে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার জন্য অনুরোধ করছি l কেউ অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দিবনা l পরে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে উত্তর দেয় না উত্তর দেয় না বলে চিল্লালে কোনো লাভ নেই l
জাকির নায়েকের বিগ ব্যাং সম্পর্কে মিথ্যাচার ( নাকি অজ্ঞতা ?) :
(হিন্দু বা অন্য ধর্মের আস্তিকরা যেন দাত না কেলায় l কারণ তাদের ধর্মের ভন্ডদেরও মিথ্যা চারের বিরুদ্ধে লেখা হবে )
(মুসলমানদের মহান বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক) জাকির নায়েক বিগ ব্যাং থিওরির সাথে পবিত্র কোরআনের সাদৃশ্য দেখাতে যে আয়াত দুটি উল্লেখ করেছেন তা আবার প্রকাশ করছি l
“সুরা আল আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে,
" অবিশ্বাসীরা কি ভাবিয়া দেখে না , আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়া ছিল ওতপ্রত ভাবে l অতপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম l"
পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে বিগ ব্যাং থিওরি বর্ণনা করা হয়েছে খুব সংক্ষেপে l
এছাড়াও পবিত্র কুরআনে আছে , সুরা ফসিলতের ১১ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে
" অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যাহা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ , অনন্তের দিকে উহাকে এবং পৃথিবীকে বললেন তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং উভয়ে বলিল আমরা আসলাম একান্ত অনুগত হইয়া l"
যে আরবি শব্দটি এখানে বলা হয়েছে সেটা 'দুখান' যার অর্থ ধোয়া l
কোনো বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলবেন এই বিশ্ব জগত এটা তৈরির আগে মহাবিশ্বের বিভিন্ন উপাদান সেগুলো ছিল বায়বীয় অবস্থায় l
আর এই আরবি শব্দ দুখান যার অর্থ ধোয়া এটাকে আরও সঠিক ভাবে বললে বলা হবে বায়বীয় l”
১ম পর্বে আমি বলেছিলাম যে বিগ ব্যাং থিওরি আমাদের বলে না যে মহাবিশ্ব ছিল বায়বীয় অবস্থায় l
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে কোন বিজ্ঞানীর কাছ থেকে তিনি জেনেছেন একথা ?
সেও কি তার মত আস্তিক ?
এই আয়াত দুটি দিয়ে উনি কিভাবে বিগ ব্যাং-এর সাথে মিল খুঁজে পেলেন আমি বুঝতে পারছি না !
তার উদ্ধৃত অনুবাদ অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে যে অবিশ্বাসীরা মানে মুসলিম বাদে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ কি ভেবে দেখে না পৃথিবী এবং আকাশ পরস্পর মিশে ছিল এবং আল্লাহ এদের পৃথক করে দিয়েছেন l এই অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি পৃথিবী সেটা আগেই তৈরী ছিল ( কুরআনের অন্যান্য আয়াত অনুযায়ী সমতল ) এবং আকাশ ( কুরআনের অন্যান্য আয়াত অনুযায়ী ছাদ) এটাও আগেই তৈরী করা ছিল l এরা পরস্পর একসাথে মিশে ছিল অর্থাত আকাশ (ছাদ) এবং (সমতল )পৃথিবী একটা আরেকটার উপর মিশে ছিল l এরপর আল্লাহ এই দুটি কে আলাদা করে দিয়েছেন l
তার উদ্ধৃত অন্য আয়াত অনুযায়ী আকাশ ছিল ধুম্রপুঞ্জ মানে ধোয়া অর্থাত বায়বীয় পদার্থ l আল্লাহ আকাশকে যা আগেই তৈরী ছিল বায়বীয় হিসেবে এবং পৃথিবী যা আগেই তৈরী করা ছিল উভয়কে বললেন তোমরা দুজন আসো অনন্তের দিকে সেচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে l এবং তারা বাধ্যগত হয়ে আল্লাহের আদেশ পালন করলো l
এখানে আকাশ এবং পৃথিবীকে বলা হয়েছে উভয় (together) কিন্তু সবাই মানে সমস্ত(altogether or all) বিশ্বজগত নয় l
এই ব্যাখ্যা দিয়ে কি বিগ ব্যাং থিওরি বর্ণনা হলো তাও আবার সংক্ষিপ্ত ভাবে ?
জাকির নায়েকই এর উত্তর দিতে পারবেন l
এই আয়াত দুটির অনুবাদ আমি যেটা পেয়েছি সেটা হলো :
সুরা আল আম্বিয়া : আয়াত ৩০ :
"কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে , আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল , অতপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম l"
SURA 21. AL-ANBIYA (THE PROPHETS)
30.
“Have not those who disbelieve known that the heavens and the earth were of
one piece, then We parted them,"
(“Do not the Unbelievers see that the heavens and the
earth were joined together (as one unit of
creation), before we clove them asunder?"
এখানে বলা হয়েছে যে অবিশ্বাসী বা কাফেররা মানে মুসলিম বাদে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ কি ভেবে দেখে না যে পৃথিবী এবং আকাশের (যে দুটো আগেই তৈরী করা ছিল ) মুখ বন্ধ ছিল বা এগুলো একসাথে যুক্ত অবস্থায় ছিল অথবা এদুটো আসলে একটাই ছিল পরে মহান আল্লাহ তালা এদুটোর মুখ খুলে দিলেন বা এদুটোকে পৃথক করলেন অথবা এটাকে দু টুকরা করলেন l ( অনুবাদ অনুযায়ীতো এরকমই হয় l) এবং আলাদা ভাবে স্থাপন করলেন l
পরের আয়াতটি হলো
সুরা ফসিলাত : আয়াত-১১ :
"অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ , অতপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় l তারা বলল , আমরা সেচ্ছায় আসলাম l"
SURA 41. FUSSILAT (EXPLAINED IN DETAIL)
11.
“Then turned He to the heaven when it was smoke, and said unto it and unto the earth: Come both of you, willingly or loth. They said: We come, obedient.”
11. “Moreover He comprehended in His design the
sky, and it had been (as) smoke: He said to it
and to the earth: "Come ye together, willingly
or unwillingly." They said: "We do come (together), in
willing obedience."
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ আকাশকে যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ বা বায়বীয় সেটাকে এবং পৃথিবীকে বললেন তোমরা আসো ইচ্ছে অথবা অনিচ্ছায় অর্থাত বাধ্য হয়ে l তখন আকাশ এবং পৃথিবী সেচ্ছায় আল্লাহর আদেশ পালন করলো l
এখানে লক্ষ করলে দেখবেন যে আল্লাহ আকাশ এবং পৃথিবী কে আসতে বলছেন অর্থাত এগুলো আগেই তৈরী হয়ে আছে l
তাহলে কি এটা বিগ ব্যাং থিওরির সাথে মিললো ?
জাকির নায়েক কি দেখে এগুলোকে বলল যে এগুলো বিগ ব্যাং-এর বর্ণনা দিয়েছে ? সেটা জাকির নায়েক ছাড়া কেউ বলতে পারবে কিনা সন্দেহ !
আপনাদের বুঝার জন্য সুরা ফসিলোতের কয়েকটি আয়াত তুলে ধরছি :
সুরা ফসিলত : আয়াত ০৯ :
"বলুন, তোমরা কি সে সত্ত্বাকে অস্বিকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুদিনে এবং তোমরা কি তার সমকক্ষ স্থির কর ? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা l"
সুরা ফসিলত : আয়াত ১০ :
"তিনি পৃথিবীর উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন , তাতে কল্যান নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন - পূর্ণ হলো জিজ্ঞাসুদের জন্যে l"
সুরা ফসিলত : আয়াত ১১ :
"অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রুপুঞ্জ , অতপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন , তোমরা উভয়ে আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় l তারা বলল আমরা আসলাম সেচ্ছায় l"
সুরা ফসিলত : আয়াত ১২ :
"অতপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দুদিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন l আমি নিকটবর্তী আকাশ কে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি l এটা পরাক্রম শালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থা l"
এখানে (৯ নাম্বার আয়াতে ) বোঝা যাচ্ছে যে আল্লাহ মুহাম্মদ (স:) আদেশ দিয়েছেন সে যেন অবিশ্বাসীদের কে বলে যে তোমরা সেই সত্ত্বাকে অস্বিকার কর যিনি দুদিনে পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছে l
অর্থাত আল্লাহ দুদিনে (আল্লাহর হিসেবে) পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন যেটা মানুষের হিসেবে দুটি দশ হাজার বছর বা দুটি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা দুটি নির্দিষ্ট সময়কাল l
আবার ১০ নাম্বার আয়াতে বলেছেন যে আল্লাহ পৃথিবীর উপরিভাগে অটল পর্বত মালা স্থাপন করেছে এবং তাতে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে যা করতে আল্লাহর সময় লেগেছে আল্লাহর হিসেবে চার দিন যা মানুষের হিসেবে চারটি দশ হাজার বছর বা চারটি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা চারটি নির্দিষ্ট সময়কাল l
আবার ১১ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী , অতপর আল্লাহ আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন সেটা ছিল ধুয়া বা বায়বীয়; তাকে এবং পৃথিবীকে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় পৃথক হতে বললেন ( সুরা আল আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী ) l এবং তারা আল্লাহর আদেশ পালন করলো l
আয়াত- ১২ অনুযায়ী , অতপর আল্লাহ আকাশ মন্ডলীকে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং সবচেয়ে নিচের আকাশকে প্রদীপমালা অর্থাত তারকারাজি দিয়ে সুশোভিত ও সংরক্ষিত করলেন l যা করতে আল্লাহর সময় লাগলো দুদিন যা মানুষের হিসেবে দুটি দশ হাজার বছর বা দুটি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা দুটি নির্দিষ্ট সময়কাল l
এই আয়াত গুলো থেকে আমরা দেখতে পাই যে আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন একটা নির্দিস্ট সময়ে তারপর পৃথিবীতে পাহাড় তৈরী করেছেন এবং প্রাণীর বসবাস উপযুগী করেছেন l তারপর তিনি পৃথিবীকে এবং আকাশকে পৃথক করেছেন এবং আকাশ কে সপ্ত আকাশ হিসেবে তৈরী করেছেন এবং সবশেষে আকাশে তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন l
অনেক অনুবাদে অতপর-এর (আরবিটা মনে পরছেনা) অর্থ করা হয়েছে তারপর l কিন্তু মুসলিমরা (কিছু কিছু) বলে এর অর্থ হবে সাথে সাথে l
তাহলে আয়াত গুলোর অর্থ দাড়ায় আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন একটা নির্দিষ্ট সময়ে l এবং পৃথিবীতে পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন ও একে প্রাণীর বসবাস উপযুগী করেছেন আরেকটা নির্দিস্ট সময়ে l এবং আকাশ যা ছিল ধোয়া বা বায়বীয় সেটাকে এবং পৃথিবীকে পৃথক করেছেন l সাথে সাথে আল্লাহ আকাশমন্ডলীকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে সাত আসমান সৃষ্টি করলেন এবং সবচেয়ে নিচের আকাশে তারকা রাজি সৃষ্টি করে সুন্দর করে সাজালেন l
সংক্ষেপে , "পৃথিবী সৃষ্টি –> ( পাহাড় সৃষ্টি ও বসবাস উপযুগী করা + সাত আকাশ সৃষ্টি করা ও তারকা সৃষ্টি করা) l"
কোরআনের অন্য কয়েকটি আয়াত অনুযায়ী মহাবিশ্ব তৈরী হতে সময় লেগেছে মোট আল্লাহর হিসেবে ছয় দিন যেটা মানুষের হিসেবে ছয়টি দশ হাজার বছর বা ছয়টি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা ছয়টি নির্দিষ্ট সময়কাল l
এখন প্রশ্ন হলো এই আয়াত গুলো অনুযায়ী আল্লাহ দুদিনে পৃথিবী সৃষ্টি করলেন l তারপর পৃথিবীতে পাহাড় সৃষ্টি করেছেন ও পৃথিবীকে প্রাণীর বসবাসের উপযুগী করেছেন চারদিনে l সাথে সাথে আকাশ যা ছিল দুম্রপুঞ্জ সেটাকে পৃথিবী থেকে আলাদা করলেন এবং আকাশকে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং তারকারাজি সৃষ্টি করলেন l ফলে আল্লাহর ছয় দিন পূর্ণ হলো l
তাহলে দাড়ালো আল্লাহ যে সময়ে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তারপরে পৃথিবী থেকে আকাশ পৃথক করেছেন এবং তাকে সপ্ত আকাশ করেছেন এবং তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন l
ফলে দাড়ালো পৃথিবীকে আগে তৈরী করা হয়েছে l পরে আকাশকে পৃথিবী থেকে পৃথক করা হয়েছে l আকাশকে সপ্ত আকাশ তৈরী করা হয়েছে এবং তারকারাজি সৃষ্টি করা হয়েছে l দেখা যাচ্ছে পৃথিবী তৈরী করা হয়েছে প্রথমে l তারপর তারকা রাজি সৃষ্টি করা হয়েছে l যা বিগ ব্যাং থিওরির সম্পূর্ণ বিরোধী l
কিন্তু জাকির নায়েক এই সুরার ১১ নাম্বার আয়াত ছাড়া সবগুলো আয়াত বাদ দিয়ে বিগ ব্যাং থিওরির সাথে কুরআনকে মিলাতে চরম মিথ্যাচার করেছেন !
যেখানে কোরান বিগ বাং থিওরির সরাসরি বিরোধিতা করছে সেটাকে কেটেছেটে কি ভয়ঙ্কর মিথ্যা চারিতাই না সে করেছে !
আর এটা যে সে ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাতেই এসব করেছে তা নিশ্চয়ই কারো বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না l কারণ সে সম্পূর্ণ আয়াত না বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে l মিথ্যাচার করা আর যাই হোক সততা হতে পারে না l ধোকাবাজি সবসময় খারাপ l
এতক্ষণে নিশ্চই প্রমান করতে পেরেছি যে মুসলমানদের বিখ্যাত (অ)বিজ্ঞানী জাকির নায়েক একজন বিশিষ্ট ও সম্মানীয় ইসলামী সৈনিক(ভন্ড) l
একটা কথা বলা উচিত হবে না তার পরও বলছি l বিভিন্ন মুসলমান ধর্মীয় বিশেষজ্ঞগণ বলে থাকে যে কোরান আল্লাহর কাছ থেকে আবির্ভূত হয়েছে বলে এতে একটাও ভুল নেই l যদি এতে একটাও ভুল পাওয়া যায় তবে এই কুরআন মিথ্যা বলে প্রমানিত হবে l
বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী কুরআন মিথ্যা কথা বা ভুল কথা বলছে l সুতরাং এই কুরআন আল্লাহর কাছ থেকে আসেনি l এটা কোনো মানুষই লিখেছে l
আমি সবাইকে অনুরোধ করবো শুধু অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে নয় আসুন আমরা সত্য জানি l সত্যের সাথে জ্ঞানের আলোকে আমাদের জীবন কে আলোকিত করি !
আমার এই লেখাটি পরে যে সকল মুসলমান ভাইয়েরা প্রতিবাদ(ঘেউ) করতে আসবেন তাদেরকে আমি বিনীত অনুরোধ করবো আপনারা বিগ ব্যাং সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে তারপর কমেন্টস করবেন l আপনারা নেটে সার্চ দিয়ে উইকিপিডিয়া থেকে বিগ ব্যাং সম্পর্কে জেনে নিবেন l অথবা স্টিফেন হকিংসের কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ( A brief histry of time) বইটি পরে নিতে পারেন l
আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকলো যে আপনারা কোনো আস্তিক ( মুসলমান সহ ) ওয়েবসাইট দেখবেন না l কারণ তাহলে আপনারা বিগ ব্যাং সম্পর্কে উল্টা পাল্টা ধারনাই পাবেন l তারা আপনাকে ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে বিভ্রান্ত করবে l
বি : দ্র : কেউ কমেন্টস করতে চাইলে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার জন্য অনুরোধ করছি l কেউ অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দিবনা l পরে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে উত্তর দেয় না উত্তর দেয় না বলে চিল্লালে কোনো লাভ নেই l
আপনার তো বিগ ব্যাং সম্পর্কে ধারনাই নাই। আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? তার উপরে আবার আপনি কোরআন সম্পর্কেও ধারনা নেই। চাপাবাজদের মত নিএ যা মনে করেন, তাই মানুষকে বোঝাতে যাওয়া আরেক ধরনের বোকামি। আগে ভাল করে নিজে জানুন। জাকির নায়েক তো ভুল বলছেই। আপনিও সঠিক বলছেন না। আগে বিগ ব্যাং থিওরিটা ভাল করে পড়ুন। ভাল করে বুঝুন। তারপর ব্যাখ্যা করতে আসেন।
ReplyDeleteবিগ ব্যাং একটা থিয়রি মাত্র৷অকাট্য প্রমানীত নয়৷ বিজ্ঞান মাজে মাজে মত পাল্টায়৷ কিছুদিন আগে বিজ্ঞান বলেছিল যে - সূর্য স্থির৷ আর আজ প্রমাণিত যে সূর্য তার কক্ষ পথে চলে৷ তাই বিজ্ঞানের থিয়রি দিয়ে কোরআনকে ভূল বলা যায়না৷
ReplyDeleteyour interpretations regarding many quranic verses are obviously wrong. Besides your knowledge about Islam is very poor. Know Islam more perfectly, then come to criticize.
ReplyDelete