Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Monday, June 30, 2014

সত্য স্টিফেন হকিংস, বিবর্তন এবং আস্তিকদের অন্ধবিশ্বাস l



"God doesn't exist. Because there was no time before the big bang.
So there was no time for God to exist."
[ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই l কারণ বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সময় বলে কিছু ছিল না (অর্থাত সময় তৈরী হয় নি তখনও)l আর তাই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকার মত সময় এর পূর্বে ছিল না l
তাই সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই l ]

স্টিফেন হকিংস তার এই বাক্যটি দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে মানব সভ্যতা থেকে চির তরে কবর দিয়ে দিয়েছে l বিনিময়ে পেয়েছে অন্ধ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকদের সমালোচনা l কিন্তু তাতে সত্য থেমে থাকবে না l এই কুসংস্কারাচ্ছ অন্ধ-বিশ্বাসীরা একদিন মেনে নেয়নি সৌরজগতের সব গ্রহ সূর্যের চারপাশে ঘুরে l তাদের ধর্মের ক্ষতি হবে জেনে তারা বিরোধিতা করেছিল l বিজ্ঞানীকে মেরে ফেলেছে এবং শাস্তি দিয়েছে এই সত্য কথা বলার জন্য l তাতে সত্য থেমে থাকেনি l আজও পৃথিবী সহ সব গ্রহ নক্ষত্র সূর্যের চারপাশেই ঘুরে l  ভবিষ্যতেও ঘুরতে থাকবে যতদিন সৌরজগত থাকবে l
আজ বিজ্ঞান বলছে মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমেই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছে l কিন্তু অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিকগুলো এটা মেনে নিতে পারছে না তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা এবং মিথ্যে ধর্মকে বাচাতে l কিন্তু তাতে বিবর্তন থেমে থাকবে না l যেমনটি আস্তিকদের শত চেষ্টাতেও পৃথিবীর চারপাশে সূর্য ও গ্রহ নক্ষত্রকে তারা ঘুরাতে পারেনি ঠিক তেমনি প্রাণীর বিবর্তন তারা থামিয়ে রাখতে পারবে না l সূর্য যেমন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরেনি অন্ধ-বিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকদের জন্য বরং পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘুরেছে যুগ যুগ ধরে; ঠিক তেমনি অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিক গুলো প্রাণীর বিবর্তন থামিয়ে রাখতে পারবে না গায়ের জোরে / বরং বিবর্তন ঘটে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটতে থাকবে l
চিরকাল এই অন্ধ-বিশ্বাসী ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকগুলো সত্যের বিরোধিতা করে এসেছে এবং এখনো করছে l কিন্তু তাতে সত্য কখনো মিথ্যে হয়ে যায় নি l বরং সত্য সবসময় সত্যই থেকেছে চিরকাল l
আর তাই আজ যারা বিজ্ঞানের সত্যকে অস্বীকার করতে চাইছে তাদের মিথ্যে ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে; তারা কখনই তাদের মিথ্যে দিয়ে সত্যকে থামিয়ে রাখতে পারবে না l বিবর্তনবাদ সত্যি ছিল সতিই থাকবে l
আবার স্টিফেন হকিংস যখন বলছে যে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই এটি মানুষের কল্পনা ঠিক তখন এই আস্তিকগুলোই তার বিরোধিতা করছে l
বিজ্ঞান বলছে যে বিগ ব্যাং-এর আগে সময় ছিল না l অর্থাত সময় তৈরিই হয়নি বিগ ব্যাং-এর আগে l
আর তাই কোন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয় l যদি সময়ই না থাকে তবে সৃষ্টিকর্তা থাকবে কিভাবে ?
সৃষ্টিকর্তা থাকার জন্য তো সময় থাকতে হবে l যদি সময় না থাকে অর্থাত সময় তৈরিই না হয়ে থাকে তাহলে সৃষ্টিকর্তাও থাকতে পারবে না l
আর তাই কোন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয় l যদি সময়ই না থাকে তবে সৃষ্টিকর্তা থাকবে কিভাবে l
সৃষ্টিকর্তা যদি বিশ্বজগত তৈরী করে থাকে তবে তাকে সময় অতিবাহিত করে এসব করতে হবে l আবার যদি সৃষ্টিকর্তা বিগ ব্যাং-এর আগে থেকে বিরাজমান থাকে তবুও তাকে সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে l ফলে সময় ছাড়া সৃষ্টিকর্তা থাকতে পারবে না l আর তাই সৃষ্টিকর্তা থাকাও সম্ভব নয় l অর্থাত সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই l
ঠিক এই কথাটিই বলেছিল স্টিফেন হকিংস l ফলে অন্ধ-বিশ্বাসী ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকগুলো সমালোচনা শুরু করে দিল তার বিরুদ্ধে l
এবারেও যে এই আস্তিক গুলো সত্যকে থামিয়ে দিতে পারবে না বরং সত্যই যুগ যুগ ধরে প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেটা অতীত এবং বর্তমানের বিজ্ঞানের সভ্যতাই প্রমান করে l
বহু ধর্ম যুগে যুগে বিলীন হয়ে গিয়েছে l আর বহু ধর্ম বর্তমানে বিলীন হয়ে যাচ্ছে l কিন্তু বিজ্ঞান তার সত্যের সর্বময় ক্ষমতা নিয়ে দাড়িয়ে আছে বীর দর্পে l কেউ বিজ্ঞানের সত্যকে থামিয়ে রাখতে পারেনি আর ভবিষ্যতেও কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না l সত্যি চিরকাল সত্যি হয়েই থাকবে l
ফলে যারা স্টিফেন হকিংস-এর সমালোচনা করছে এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছে তাদের দুরভিসন্ধি কখনই সফল হবে না বরং মিথ্যে বিলুপ্ত হয়ে সত্যই প্রতিষ্ঠিত হবে l

যদি স্টিফেন হকিংস সত্যি কথা না বলে, মিথ্যে সৃষ্টিকর্তার পক্ষে কথা বলতো তাহলে এই অন্ধ-বিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিক গুলোই তাকে পুজো করত l কিন্তু সে সত্যিটা বলায় তারা আজ তাকে নিয়ে সমালোচনা করে চলেছে l কিন্তু তাতে কখনই তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা এবং মিথ্যে ধর্মগুলো সত্যি হয়ে উঠবে না l বরং বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা এবং মিথ্যে ধর্মগুলো সত্যের কঠিন আঘাতে বিলীন হয়ে যাবে l সত্য চিরকাল সত্য ছিল ভবিষ্যতেও সত্যই থাকবে l বিলুপ্ত হবে মিথ্যে l এবং বিলুপ্ত হবে মানুষের তৈরী কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা এবং মিথ্যে ধর্মগুলো l

No comments:

Post a Comment